কানামাছি
নির্বাসনে পাগল,এই সমাজ থেকে ঠেলতে ঠেলতে অনেক দুরে,
অলীক দ্বীপ।
পাখিরা এখানে ভুলেছে গান,
বসে থাকে ঝিম মেরে, কিচ্ছুটি নেই করার,
বাঁশী তবু বাজে।
রক্ত ঝরে অহরহ, হৃদয়ের গহীনে।লাল, ঠিক যেন ফুটে থাকা শিমুল। হেলেদুলে ঝরে পড়ে টুপটুপ, শিমুল বা ফোঁটা ফোঁটা রক্তবিন্দু।যখন টেনে ছিঁড়তে যাই মুখমুখোস , তখনও টপ্ টপ্ ,লাল,রক্ত।
লিখতে জানিনে। তবু এই মাধ্যমের দৌলতে গোপন দিনলিপি থেকে দু এক কথা লিখি।কবিতা কবিদের জন্য। মেঠো লোক মাঠের ভাষায় দুচার কথা জুড়ে বাক্যরচনার চেষ্টা করে মাত্র।এই লেখা যখন আপন খেয়ালে সত্যিগুলো মুখ ফসকে বলে ফেলে ,সমাজ বলে ছি!ছি!, ঝাঁকের কই। বেশীর ভাগ মানুষই উপহাসে মুখ ফিরিয়ে নেয়। তবু ও লেখা আর মোছা, নিতান্তই অস্থিরতার বেলাগাম প্রকাশ। যে ইচ্ছেগুলোকে অবদমিত করে রাখা তার কিছুটা দড়ি ছিঁড়ে বেরিয়ে আসা,অবোধ বাছুরের মায়ের কাছে ফিরে যাওয়ার নিঃস্ব কামনা।বয়স বাড়ে, অনুভবের মৃত্যুর দিন এগিয়ে আসে নীরবে,একান্তে। শিশু মরতে চায়না,বালক চায়না,যুবক ও চায় অমর্ত্য জীবন।
আবেগ চিতায় পোড়ে,সেই বিশেষ ধুপের গন্ধ ইশারায় ডাকতে থাকে,বলে এটা করিসনা,ওটা বলিসনা,লিখিস না ওই কথা। এই নিজেকে জাহির করার যুগে,যা কিছু সব নিজের জন্য কেড়ে নেওয়ার যুগে এক অপরিমেয় ক্লান্তি ঘিরে ধরে,চোখ আসে বুজে।
রক্তশিমুল ঝরতে থাকে।
আমি যে সম্মোহন জানিনা।
সবুজ পাতা,তার বয়স বাড়ে,
ধুসরতর আবেগ আস্টেপিস্টে আঁকড়ে ধরে ।
চৈতি বাতাসে শুরু দেওয়া নেওয়া খেলা,
রক্তাক্ত দুপুরে নেভাআলোর লুকোচুরি বেলা।
মন নামক অনুভবের কড়ানাড়া অহেতুক,
গলিজুড়ে চড়ুই উঁকিঝুঁকি নির্জলা ঝিনুক।
No comments:
Post a Comment