Thursday, October 31, 2024

 শৃঙ্খলিত জীবন,

 অন্ধ আবর্তে খুঁজে মরা

ভুলের বোঝা,

বেলাশেষে গোধুলিবেলা,

  হল  সময়,

খেলাঘরের দুয়ার খোলে, 

অমোঘ আহ্বান আকাশ হবার।


করার ছিল কতকিছু,

দীর্ণ সন্তাপ।

আপনবৃত্তে রাজাসাজা, 

অলসবিলাসে  জুড়ায় পরাণ ,

পল,ক্ষন অব্যয়,

অখন্ড অবসর,

সময়ের ডাক,

 জীবন গারদের বাঁধ ভাঙার।

পৃথিবী সুখে থেকো,

শুভকামনায়  চলমান মৃত কীট।

 বনকুসুমের গন্ধে পাগল উদার সকাল,

কৄষ্নকলি , ভুবনডাঙা ,দামোদর,মাঠ প্রান্তর ।

পেয়ে হারায় ,একলা কাঁদে উদাস বাউল খোঁজে 

রাঙাধুলোয় ,হলদে সবুজ সরষেক্ষেতে, পরশপাথর।

 

Tuesday, October 29, 2024

 গহিন গাঙ,ভাঙা তরী,কোথাষ পার ?

একলা মাঝি ,উথাল পাথাল অরুপআধার ।

চরৈবতি চরেবতি ,খুঁজে পাগল দীন মধুকর  ।

সাই দে চিত্তপালে অনন্তপরশ,জাগা জীবনভর ।

      

 একটি কালো কবিতা

পথচলতি পাগলা হাওয়ায় চিতি সাপেরও আড়মোড়া ভাঙে,

নীরবতার একটা কালো কবিতা অন্ধকারেই সাজায় অবনী ।

মৄত্যুতেও শুরু হয় এক নতুন ঝরঝরে অশ্রুত রাগবাহার।

ফোঁসফোসানী শুরু করে চিতি , শিকার অথবা নিজেই শিকারী ।


আমি কে ?এই আধাঁরে কেন ,কালোতেই তো প্রতিবিম্ব সুস্পষ্ট,

কৄষ্নসাগরে ঝাঁপ দেবার আগে অবনী আর কালোচিতি এক আত্মা ।

নিস্তব্দতার কবিতা , আখরমালা সাজে আপন সুরে ফিরে মৄত্যুগহ্বর ,

হেমলক তুই এতো তরল ,এতো তীব্র আবাহন ,বড়ো নিবিড় সুনিবিড় ।


তাপচুল্লীর দরজা খোলে ক্ষনিকতরে, চোখ ধাঁধিয়ে তীব্রছটায় সুতীব্র,

এতো শীতল আবাহন , কৄষ্নসার হরিণ এই তাপে পোড়ে না পুড়েই ছাই ।

দিকহারা নিকস মধুময় প্রেমে অপ্রেমে আস্টেপিস্টে জড়িয়ে আলিঙ্গনে আঁধার,

অবনী তার উদ্দাম আবেগে বন্ধ করে সব জানালা দরজা সব সব কপাট ।


জেল সেলুলার ,আবেগ অনুভুতি হাতে পায়ে লৌহশৄঙ্খলিত জীবনচেতনা,

কালাপানির ঘুম ভেঙেছে কালোমনে এদোল ওদোল চেনা মুখের ভীড় ।

মহামিছিলে এমন নোনাচোখ, প্রবাহমান কঙ্কালে টঙ্কারে মৄত্যুগীতিকা ।

চোখ বুজে আসে ,মধু আবেশে অন্ধকার তোকে জড়িয়ে মরে বেঁচে ডুব,

কৄষ্ন সমুদ্র মরণে ভেসে চলে জীবনভেলা  ।।

Sunday, October 27, 2024

 প্রভাতরবির অমল আলো

জীবনকোপাই ঝিকমিক

নতুন করে জেগে বাঁচা,

হোক না মনস্বপ্ন অলীক ।

Wednesday, October 23, 2024

এতো বৃষ্টির মাঝে চোখ হয়ে যায় ঝাপসা, তবু প্যান্টের দুই পকেট ভর্তি স্বপ্নে,

আছি বেশ।

কাজ ছেড়ে দেখি আকাশের বুকের দুরূ দুরূ, আচম্বিত আশঙ্কায়,

সকালের শেষ।

দৌড়ে গিয়ে চেয়ারে বসি একা , চোখের সামনে, শুন্যের উঁকি ঝুঁকি খোলা জানালা,

দুপুরের শ্লেষ।


Tuesday, October 22, 2024

 স্থবির

আচ্ছা, কোন বাসে উঠি ,পৌছুতে হবে সঠিক ঠিকানায়

দাড়িয়ে আছি এক্সাইড মোড়, ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়েই

কত নম্বর বাস ,মনে আসছেনা কিছুতেই চেনাপথেই ভুলভুলাইয়া

আমি যে এখন কি করি, ওই পাগলটাও তো একটা পা তোলে

আর নামায় ,স্থবির একই জায়গায় ।

 

দক্ষিণেশ্বরে মাকে প্রনাম,শিবের মাথায় জল গঙ্গাস্নান শুদ্ধমন,

বেলুড়ে তুমি রাম তুমিই কৄষ্ন, মনপ্রাণ তোমা পানে ধায় ।

ফেরার পথে শ্যামবাজার গোলবাড়ি কষামাংস দুটো করে রুটি,

গৄহে পত্নি প্রেমে গদো গদো বাইরে মন এদিক ওদিক চায় ,

একই রুটিন মন ,স্থবির একই জায়গায় ।


ইঁদুর দৌড়, বাঁশে যতই তেল মাখানো থাক নবনব রুপে

ইশ্বরের নামে কত্তা ভজন টিকে তো থাকতে হবেই ।

হলদেটে শেষের কবিতা, ফেসবুক আর হোয়াট্স আপে 

অমর হয়ে যায় লেখনী রুপে কি-প্যাডের অক্ষরমালা ।

অচলায়তন ,স্থবির একই জায়গায় ।


কাজের মাসিটা বড়ো বেয়ারা, কামাই করলে চলে ?

ফ্যাশান শো এর আরেন্জমেন্ট, সবাই কন্ট্রিবিউট করবে

অনাথ আশ্রমে দান,সাংবাদিক কুল কেউ বাদ পড়েনিতো ?

এর মাঝে আবার রান্না, দুর একটা ফোন ডোমিনোজ আর

সচিত্র স্ববিজ্ঞাপন , স্থবির একই জায়গায়


সময় অফুরান,

বলতে পারেন বাসের নম্বরটা ??

Monday, October 21, 2024

 মাদমোয়াজেল,

মাদমোয়াজেল আপনি মনে হয় এখন স্বামী, সন্তান প্রতিপালনে দিয়েছেন মন এবং হৃদয়।

মাঝে মাঝে হোটেলে খাওয়া দাওয়া, শীততাপনিয়ন্ত্রিত ঘোরাফেরা, পোশাক আশাক, গয়না ভারী‌।

আমি অবশ্য পিচগলা পিচ্ছিল রাস্তা বেয়ে চলেছি ছায়াময় এবং উলঙ্গ মৃত্যু উপত্যকায়।

হেমন্তের আবছায়া সকালে আলপথ আর কালকেউটে আলিঙ্গন ছেড়ে পায়চারি কঙক্রিটের আলগা ছাদে। মৃতপ্রায় তারাদের ফিসফিসিয়ে বলে, ছেড়ে যাও,দুরে যাও,যাও মরে।

কাস্তেটা হারিয়ে গেছে,অনেককাল হাতছাড়া।

অনাবশ্যক জীবনে আকাশ মিনাkরে, চেয়ার টেবিল আর কাগজের ভীড়, হৃদয়টাও প্রাণহীন, ঠিক যেমন গঙ্গায় ভেসে চলা ক্লান্তি হীন পেটফাঁপা গোশাবক।সঙ্গী দলের কচুরিপানা।

মেঘের দেশ থেকে তুমি এলে, এবড়োখেবড়ো ফুটপাতে ধরলাম ডানহাত। তোমার। ওটাই তো দিয়েছিলে। বাড়িয়ে।

মাঝে আসে সুদীর্ঘ অনুভূতিহীন শীত। স্বপ্ন সন্ধানী জীবন নিতান্তই স্বার্থ রক্ষায় অপারগ।

তুমি এখন আরও বাস্তব সুন্দর। মগ্ন ট্রাপিজ খেলা, দীর্ঘতাময়। দেখি। কতো যে কথা বলি নির্লিপ্ত না বলায়।

এগিয়ে যাই। একলব্য উপত্যকা।আরেক জীবন। বাড়াও হাত। ঢোল কলমী সারি পাশে রেখে এগিয়ে চলি ছাতারের কিচিরমিচির সম্মোহনের আবেশে।দাওয়ায় বাঁশ খুঁটিতে গা এলিয়ে ভিজতে হবে আমোদিত রোদ্দুরে।

মাদমোয়াজেল,ডান হাতটা।



Sunday, October 20, 2024

 এরপর , 

তুমি যখন খুঁজবে আকাশ,মাটি,

কালঢিপি,আমাকে ডেকো।

এরপর , 

তুমি যখন দিকভ্রান্ত, খুঁজবে অবলম্বন, আমাকে রেখো।

এরপর,

তুমি যখন অসহায়,

গাইবে একলা গান,

ভালোবাসা মেখো।

এরপর,

সবাই যখন দুরে,

বুকের মাঝে নারিকেল পাতা ঝিরিঝিরি,

কান্না মেখো।

ভালোয় থেকো।

Saturday, October 19, 2024

 ফিরে ফেরা মেঘবালিকা

হিজিবিজি সাদা পাতায় এতো আকিবুকি

ইচ্ছা বারুদগুলো নিভে যায় ,

শহর তোমার বৃস্টিঘুম ভেঙেছে ?

মোম গলা আশাগুলো নিভে কাঁদে তীব্র হাওয়ায়,

বুকের আগলে সজোরে ধাক্কা মারে, হৃদপিন্ড খুঁজে পাইনা ।

আঁধারে ,অঝোরে, একলা একলাই ভিজি। ব্যাঙগুলান শীতঘুমের প্রস্তুতি ছেড়ে আবার জাগে,কাকে ডাকে?

দৌড়ে পালায় জ্বলন্ত ফানুসগুলো, আকাশের এই কোন থেকে ওইধার, আমি ভিজি রাতচানে।

চিনেআলোগুলো অনুভুতি হীন জ্বলে, জ্বলতেই থাকে

বাজিগানে মদির, নীরব অন্ধপেয়ালা খানখান,

ভালোবাসা মুখ ফিরিয়ে, আগাছাভরা সাধের বাগান ।

বোঝা,অবোঝা,নাবোঝা,গাথামালায় চোখের জল।

মেঘবালিকার ছোয়ায়, হিমেল হাওয়ায় বরফ জমাট।

একলা ভিজি,

 অথৈ হৃদয় ভেজে, আগুন হাহাকারে ।


 যায় ভেসে যায় বুকের ভার,

পাথর চাপা যত বেদন,

অঝোর তোমার করুনাধারা ।

একলা অন্ধকার তুমি,

সব ছাড়িয়ে দিক হারিয়ে

সিক্ত জীবন বাঁধন হারা ।

মন ভিজে,চোখ ভিজে,

আকাশ জুড়ে একি খেলা ,

কেমন রুপ, অরুপ পাগলপারা ।

Wednesday, October 16, 2024

  তুমিও 

ছাতিমতলায় অবিরাম ঝরে পড়ছে ছাতিম ফুল, বৃষ্টির সবুজ ধারা।

পাশ কাটিয়ে এগিয়ে চলছি স্বার্থপর কঙক্রিট পথে, আগুন সিক্ত টিমটিমে।

রোজ দিন এক পথেই হাঁটি। খুঁজে ফিরি।পাইনে। ভুলে গেছি কিসের খোঁজে চলা।

ধাক্কা খাই গোটা পথে।চলি। মাথা নিচু। আকাশের সাথে অদেখা বহুদিন।

পঞ্চাশ পেরোনো দীর্ঘশ্বাস। তুমিও আসবে।আজ না হয় অন্যদিন। নগ্ন উপত্যকায়।

Monday, October 14, 2024

 শৃঙ্খলিত জীবন, খুঁজে মরা ঝরা ফুলে, 

ভুলের বোঝা,বেলাশেষে এই গোধুলিবেলা। 


হল তো সময় খেলাঘরের দুয়ার খোলার,

রাগ বিলাবলের ভ্রান্তিবিলাসে পরাণমেলা ।

Saturday, October 12, 2024

 শিউলি ভালোবাসা এলোমেলো উঠোন জুড়ে,

শুভকামনা আর আত্মশুদ্ধির শপথ ঝরে।

শুভ বিজয়া দশমী।

The affection of Siuli throughout this wounded sphere,

Best wishes and oath for purgation of ourselves there and here .

Best wishes,Suvo Vijaya dashami.

 পাগল এই পথচলা, 

গভীর গহিন অরণ্য। নিজেকে হারিয়ে ফেলা। টুকরো টুকরো । ভেঙে চুর চুর ।

 বিজ্ঞাপিত।নকল বুঁদির গড়। ভুল রাজা সাজা,

 যুদ্ধের ক্লান্তিকর বিরতি।


আকাশ মিনার।সাময়িক ভুলবসবাস।ফিরেআসা। অন্তরকথন। খুঁজে ফেরা। শিউলি ।দুগ্গা ।

স্বপ্ন প্রতি রক্তকণিকায়।

ঝরাপথ।  ছোঁয়া পলপল। আধো যতনে তালাবন্দী,

অমৃত দুগ্গা ভালো বাসা।

অনন্ত । অন্ধ আলো।  সমর্পণ।

দুগ্গ গাঁথা।

Thursday, October 10, 2024

অফিস ছেড়ে বেরিয়ে ছিলাম আজ মানুষ দেখতে।

মানুষ পরিচয়ে অপরিচয়ে এই আরশিনগরে।

আজো মনে পড়ে সেই মানুষটিকে ,যার সাথে দেখা হয়েছিল শ্রী ভুমি থেকে উল্টোডাঙা যাওয়ার বাসে, প্রতি পুজোয় একা একা কলকাতা আসেন দুগ্গা দর্শনে,কোন এক মন্ডপে রাত কাটানো,অন্য মাধুকরী। যদি আবার দেখা পেতেম।

ভিড় যখন বাড়ে, দৌড়ে যাই এই শ্মশান থেকে অন্য শ্মশান, বটের ছায়া,ভাঙা শিবমন্দির, শুধু যাওয়া আর আসা,মন ভিজে যায়।বেশ খানিকটা সময় কাটিয়ে নেমে আসি পথে।

ফুটপাতে ছোট প্লাস্টিকের ছাউনী, আলো আঁধার,বাপুজী কেক, কয়েকটি বিস্কুটের ব্যোয়াম,কোন এক মা চায়ের দোকান খুলে বসে আছে। বিক্রি বাটা নেই, পুজোয় চা! আশা মরিচীকা।

হাঁটতে থাকি,ওটাই আমার সম্বল।ঘোলের দোকান,একটা গ্লাস, দুটো স্ট্র, কিশোর ভালোবাসা, নিখাদ! যদি থাকে।

এগিয়ে চলি, বুড়ি বসে আছে, চুপচাপ, প্লাস্টিকের প্যাকেটে মুড়ি, সাদা।চোখ যে কিসের খোঁজে?

এগিয়ে চলি, রোদ্দুর হাসছে।





Sunday, October 6, 2024

 তখন

সিগারেট। ধোঁয়া। ফুটপাত। পিঠের তিল, হাঁটু ছোয়া বা কুঞ্চিত কেশ। হাতুড়ে পাহাড়।।গ্লোব বা নিউ এম্পায়ার। কমপক্ষে বিজলীবালা।

এখন

প্রেশার, সুগার অথবা নড়বড়ে পা এবং স্ফীত কোমর বন্ধন। আমেরিকা বা , হায়দ্রাবাদ। নেক্সট জেনারেশন।

কাঁপা কাঁপা ।পার পঞ্চাশটি বছর।এক পাঁচমিশালি সম্মেলন।

ফিরে দেখা।



Friday, October 4, 2024

 জ্বর

কানুর আজকাল আসে। 

জ্বর ।একবার দুবার নয় ।বারবার।দিনে রাতে।একলা এবং অন্য সাথে।

জ্বর এলেই এক হতাশ স্বপ্ন দৃশ্যমান হয় তার দুই চোখে। পুনরাবৃত্তি। মৃত্যুজনিত ইচ্ছা হয় তীব্র থেকে তীব্রতর।

কানুর চারপাশে যখন ভিড় করে মুখোশগুলো, দুটো হাতে গলা টিপে ধরে। নিজের। চোখদুটো ঝুলে পড়ে।রক্ত ঝরে।

চিকিৎসা অথবা জীবন দাহ। প্রয়োজন। ঘুমটা নিয়ম করে আসে সকাল আলো ফুটলে। অন্ধ শান্তি। টলমলে পথে অনাবশ্যক আর্তনাদ।

উত্তাপ বাড়লে একটাই  স্বপ্ন বারবার দেখে।কানু। জেগে বা ঘুমিয়ে। চিৎকার করতে চায়।গলা দিয়ে কোন আওয়াজ বের হয়না।

পাহাড়ের কোল।সারি সারি ছাউনী। শুকনো শালপাতার আচ্ছাদন। শব্দহীন, কর্কশ বাইক উল্লাস। নারী ও পুরুষ দুইএর প্রয়োজন।রিপুদমন।অস্থির কান্না, বাধ্যতামূলক বশ্যতা। স্বপ্ন।

কালো গ্রাফাইটের উন্মুক্ত গহিন আহ্বান। অসহায় তক্তোপোশ। দরকার আশু চিকিৎসা।

জ্বর কাটেনা। ফিরে ফিরে আসে।




Wednesday, October 2, 2024

 আনন্দী

মনে হয়,না মনে হওয়ার কি আছে, নিশ্চিত ভাবে সুপরিকল্পিত আলো আছে আনন্দীছায়ায়।

কৈশোর কিভাবে যে বয়ে গেল?

আনন্দী স্কুল থেকে আধা কলেজ পর্যন্ত ভালো বেসেছিল কাউকে পাগলের মতো,সেও,তার চলায়,বলায়, হাসি কান্নায়,হৃদয়ের আলো ছায়ায়।এখন অবশ্য অন্য আলো।

বিচ্ছেদটা হয়েছিল কোনো এক হালকা সকালে, নিশ্চয়ই কোনো সুত্র মেনে, প্রচলিত সুত্র। মাঝে মাঝে আলগোছে মনে পড়ে, তাহলে ও মানিয়ে নিয়েছে শহুরে আবহাওয়ায়। ভবিষ্যতের ডাক।

দিন আর রাত নির্দিষ্ট নিয়মে খত লিখে চলে, ব্যাতিক্রম কেবল চিন্তায়। কিছু কিছু পাগলের পাগলামির মাধ্যমে। বাদবাকি জীবন মানে ছোট,বড়, ছোটখাটো ভালোবাসা হয়তো বা বিচ্ছেদ, বিয়ে, সন্তান, বড়ো করা, বুড়ি হওয়া। সুখী জীবন যাপন।

মাঝে কোন অঘটন, সেটা হতেই পারে, দুটো বড়ো দুঃখ একজোট হতেই পারে, ঘটতে পারে চলমান হাত ও হাতের মিলমিশ এবং ছোঁয়াচে সন্ধ্যা। হয়তো কিছু না ঘটে চলতে পারে জীইইবন। কোন ছবি?

আনন্দী জানে।

শেষটা কি হবে বেজায় ধন্দ, সবকটি চরিত্র আপ্রাণ চেষ্টায় মুখোসের কারসাজি দেখাতে। কোথাকার চরিত্র কোথায় যে আশ্রয় নেয়?

একাঙ্ক পথ নাটিকা।

Tuesday, October 1, 2024

 পুজো পরিক্রমা 

বাবা কাশীনাথ,কদিন ভালোই কাটলো বল

সেই বাঘমুন্ডীর পাহাড় কোলে সবুজগ্রাম

মাকে ছেড়ে, শহরের মায়ের মন্ডপ ,

কাঁসিতে বোল তুই ভালোই তুললি বাপধন ।


বাবাগো আমাদের গ্রামে কেন শুধু পিদিম

বান ডাকে আলোর শুধু এই শহরভরে ?

মায়ের সাজের এতো বাহার, দেশগ্রামের

মাকে ,বাবা একটা নতুন শাড়ী কিনে দিস কিন্তু ।


৬৪ বছর,সেই কামারপুকুর,প্রতিবছর আসি ভাই

ব্যাগে খালি এক জলের বোতল, বছর পর বছর

আশ মেটেনা মাগো,তুই জোটাস খাবার,জায়গা শোবার

নবমীর রাতে মল্লিকবাড়ী,ওরা ভোগ ভালোই খাওয়ায় ভরপেট ।


অস্টমীর শেষে সন্ধিপুজা অসুরনিধন ,মহাপুজা

মাগো আমিও মা দোষ কোথায় একটা নয় ,

তেইশজন অসুর আমাকে শতছিন্ন করে সিদুঁরলাল

আমার মরাজীবন সিদুঁরখেলা আর হলোনা মাগো ।


মাকে মন্ডপে আনি আবার ভাসাই গঙ্গা অগভীর,

রোজগার ভালোই আঁধারে আলো কদিন ভালোই ।

শুধু মনকেমন, ছেলে সেই ক্যানিং নদীর ওপার

বড্ড কাঁদছিলো গো, আসছে বছর আবার এসো মা ।


রেশনে চাল ১০ টাকা কেজি, এবারে অনেকটা চলবে অনেকদিন ।

উছলে পড়া আনন্দ, মুঠো ভরা খুশি ,চাল একটু মোটা তবুও

আছড়ে পড়া জীবনে চারপাঁচদিন মায়ের আরাধনা, না ফোঁটা অতসী

আসছে বছর আবার ভরপেট আসিস কিন্তু দশভুজা মা


আমার দুগ্গা, তুই বছরভর পালিয়ে ফেরা, প্রতিদিন প্রতিভোর

মনপিদিম জ্বেলে জ্বলিস অমলধুলোয় ভালোবাসায় একা কান্নায়,

চোখের কোনের কালিতে , গোপন অপ্রকাশে শ্থবির নীরবতায়

জেগে ওঠ মা অসুরনিধনে বোকাস্বপ্নের নিত্য কল্পকল্পনায়  ।