মাদমোয়াজেল,
মাদমোয়াজেল আপনি মনে হয় এখন স্বামী, সন্তান প্রতিপালনে দিয়েছেন মন এবং হৃদয়।
মাঝে মাঝে হোটেলে খাওয়া দাওয়া, শীততাপনিয়ন্ত্রিত ঘোরাফেরা, পোশাক আশাক, গয়না ভারী।
আমি অবশ্য পিচগলা পিচ্ছিল রাস্তা বেয়ে চলেছি ছায়াময় এবং উলঙ্গ মৃত্যু উপত্যকায়।
হেমন্তের আবছায়া সকালে আলপথ আর কালকেউটে আলিঙ্গন ছেড়ে পায়চারি কঙক্রিটের আলগা ছাদে। মৃতপ্রায় তারাদের ফিসফিসিয়ে বলে, ছেড়ে যাও,দুরে যাও,যাও মরে।
কাস্তেটা হারিয়ে গেছে,অনেককাল হাতছাড়া।
অনাবশ্যক জীবনে আকাশ মিনাkরে, চেয়ার টেবিল আর কাগজের ভীড়, হৃদয়টাও প্রাণহীন, ঠিক যেমন গঙ্গায় ভেসে চলা ক্লান্তি হীন পেটফাঁপা গোশাবক।সঙ্গী দলের কচুরিপানা।
মেঘের দেশ থেকে তুমি এলে, এবড়োখেবড়ো ফুটপাতে ধরলাম ডানহাত। তোমার। ওটাই তো দিয়েছিলে। বাড়িয়ে।
মাঝে আসে সুদীর্ঘ অনুভূতিহীন শীত। স্বপ্ন সন্ধানী জীবন নিতান্তই স্বার্থ রক্ষায় অপারগ।
তুমি এখন আরও বাস্তব সুন্দর। মগ্ন ট্রাপিজ খেলা, দীর্ঘতাময়। দেখি। কতো যে কথা বলি নির্লিপ্ত না বলায়।
এগিয়ে যাই। একলব্য উপত্যকা।আরেক জীবন। বাড়াও হাত। ঢোল কলমী সারি পাশে রেখে এগিয়ে চলি ছাতারের কিচিরমিচির সম্মোহনের আবেশে।দাওয়ায় বাঁশ খুঁটিতে গা এলিয়ে ভিজতে হবে আমোদিত রোদ্দুরে।
মাদমোয়াজেল,ডান হাতটা।
No comments:
Post a Comment