Tuesday, April 29, 2025

 আমরাও বাঁচি


রোদেলা বিকেল,অনেক অনেক পথ পেরিয়ে

গ্রাম ছাড়িয়ে দুচোখ ভরে তুই আকাশপানে।

পার হয়ে গেলো একটি দুটি কতক  জীবন ,

তুই কি সেই আগের মতো আছিস, বহমান,

অনর্গল ।পায়ে হাতে ছুয়ে পাই তো শুধুই অশ্রুপাথর ।

তুই কি ওরে পাগলপারা ইছামতী ?


চাঁদেলা সাঁঝবেলা ফিসফিস কানে কানে, দে দৌড় 

দে দৌড়,একটুখানি অন্য ভুবনে আপন সুরে ,সব

হারিয়ে বকুলব্যাথা,কুল যে ভাঙে উথাল ঢেউ কৃষ্নকলি ।

ওই যে হোথায় ঔ সুদূরে বৄষ্টি রাঙা স্বপ্ন চর আবছা

নিথর, সব ভেসে যায়, তবু জাগতে চায় সবুজ হাওয়ায় ।

তুমি নয় তো সেই বিদ্যাধরী ?


একেলা আকাশ,ছোট্ট ডিঙি, ঠায় দাড়িয়ে,কিসের খোঁজ?

আঁধার নামে,ওকুল কাঁদে,নাও ভাসায়ে ভাসা মন ।

বৈঠা হাতে ,সে হাত কাঁপে, অথৈ মাঝে ভাটিয়ালি,

খোঁজের খোঁজ, চোখের জল, ডুব সাঁতারে অমুল্যধন ।

এত শিকলেও বাঁধন টুটে আপন ধারায় অগাধ অশেষ

মরেও বাঁচিস ,অমৃতপানে শীর্ণ কোপাই ।


সরস্বতী জেগে ওঠ ,কানা নদী বয়ে চল আপন সুরে

জ্যোৎস্না ধারায় নেচে নেচে গেয়ে চল নিজের সুরে

নদী তুই জাগ , বেঁচে থাক আপন ধারায় মরিসনা ,

দিন কাল সময় বর্তমানে ভবিষ্যতে মেলে ধর ইচ্ছেডানা ,

নদী তোর অবলম্বনে আমরাও বাঁচি ।

পাহাড়িয়া লিডার বয়ে চলে আপন খেয়ালে, চুমু দেয়,আদর করে খামখেয়ালি পাথরে,

চির,পাইন আর উইলো কান্ড দেখে আর একে অন্যের গা ছুঁয়ে বলে,পাগল তুই থাম।

কোনদিন কোনখানে হয়তো বা কোপাই,বিদ্যেধরী, সরস্বতী,ইচ্ছামতী মিলে যাবে পাহাড়িয়া লিডারে,আগল খুলে নামবে বেলোয়ারী সন্ধ্যা, জীবন জেগে থাকবে অনিমেষ।

Sunday, April 27, 2025

 পুড়ছে জীবন, পুড়ছে ভেজা কান্না

অন্ধ আকাশজুড়ে স্বপ্নদহন, আকাশহোলি খেলছি।বুলডোজার পথ গুলো দুমড়ে মুচড়ে,

ইচ্ছেগুলো  মারছি।


কানামাছি ভোঁ ভোঁ, আজ আমি ,কাল

তুমি,ঝরাপাতায় দাবানল,জ্বলছি।


গ্যাঙর গ্যাঙ নিশির ডাকে মুখোশগুলো ছিড়ছি।


সাপলুডো যে খেলাটা এতদিন ...এখন খামারবাড়ি

খড়বিচালি নিয়মমতো খাচ্ছি।

কামারশালায় হাপর ছেড়া,মরাপাথরেই কাস্তে আমি গড়ছি।

মিডাস রাজা তোমার ছোঁয়ায় নতুন ধরা গড়ছি।


পরিযায়ী ঠোঁট, কোথায় তুমি, আমি ঐ আকাশে আগুন হয়ে উড়ছি আর পুড়ছি। 

নতুন ধরা গড়ছি।

Saturday, April 26, 2025

পথের ধুলায় জীবনের গা ঘেঁষাঘেঁষি।চলার শুরুতেই শেষের আনাগোনা। মানুষ মানুষকে হাসায়, কাঁদায়, ভালোবাসায়।

সমের তল ছেড়ে কয়েকদিন আশ্রয় নিলেম আকাশের কাছাকাছি, হিমালয়ের কোলে।মন ভিজিয়ে এক অদ্ভুত একাকিত্বের গান শুনতে থাকলাম।

শঙ্করাচার্যের মন্দির,চশমে শাহি,পরিমহল,নিশাত গার্ডেন,হর গার্ডেন, শালিমার গার্ডেন,মিনি জু,সারিকা মন্দির,ডাল লেক,অ্যাপ্রিকট গার্ডেন,মানসবাল, খীরভবানি সতীপীঠ ,সোনমার্গ,গুলমার্গ,

শঙ্করাচার্যের মন্দির 

খুব সকালে ঘুমন্ত শ্রীনগর শহরে পা রাখলাম। প্রথমে সত্যম শিবম সুন্দরমের পথে। জীবনের আলোর খোঁজে।সিড়ি দিয়ে উপরে ওঠার আগে সিকিউরিটি চেক, সবাইকে ছেড়ে আর্মি অফিসার গল্প জুড়লেন। ২২ আর ২৪ এর দুরত্ব বেশি নয়।অবাক হলেন আমার সাহস দেখে। যার বুদ্ধি কম সেই তো চলে সহজিয়া পথে। উঁচু খাড়া সিড়ি পেরিয়ে শঙ্করাচার্যের অতি ক্ষুদ্র উপাসনা স্থল। মহাশিবলিঙ্গের আর্শীবাদ ঝরে পড়ে গোটা ভুস্বর্গ জুড়ে।গোটা শহর, পাহাড়, নদী,অমোঘ ডাক।

চশমে শাহি 




পহেলগাও

রোদে পিঠ পুড়িয়ে বসে আছি লিডার নদীর শীতল জলে পা ডুবিয়ে। আমার যত পাপ, অন্ধকার ধুয়ে নিয়ে যাচ্ছে বহমান শ্রোতধারা। সময় এখানে নদীর বুকে এলোমেলো পাথরের বুকে মুখ লুকিয়ে অচল,নিথর।

এখানে দুপুরের উষ্ণতা এসে থামে সন্ধ্যার শীতলতায়, অতি দ্রুত।

বোঝা অবোঝার সীমারেখা মুছে যায় দেওদারের সুনিবিড় হাওয়ায়,

 ভালোবাসা জাগে একা কান্নায়।

রাত পাহাড়ায় পিরপান্জালের বরফের চাদর, আমি মৃত্যুকে বুকে মুখে দুই হাতে জড়াই, জাগি।

Wednesday, April 23, 2025

 ভেজা স্বপ্নে আবছা আলো,

 ইচ্ছে চড়ুই ,এক ধুসর চিত্রন,


একটুকরো আরেকটু জীবন,

 চাওয়াতে আরও কিছুক্ষণ।


স্তব্ধ দিন , তবু  নতুন সকাল 

আরবার এলোমেলো লেখন।


মনমাধুকরী আর কুড়িয়ে ফেরা,

কাজ ভুলে অন্তর অবলোকন।

                 অথবা 


 সুন্দর পৄথিবীর অলীক দিবাকল্পন।

Sunday, April 20, 2025

        কালো পুরুষ 

টায়ারটাকে মারছি, মারছি লাঠি দিয়ে,

ঘুরছে একটি জীবন।

টলমলে পায়ে হেঁটে চলেছি অলজ্জার নেভাগেরামে আর মরাকাটা লাশঘরে ওরা ধেনোতে ডুবছে।

ফৎফৎ পাতলুন, গিঁটে বাঁধা সঙ্গম,

সঙ্গে বেঁধেছি ক্ষরণ।

সব মুখগুলো একে অন্যের সাথে মিলে মিশে পুড়ে মরা ঘাসে পিতাম্বরী যৌবন খোঁজে।

অবিন্যস্ত চাকা, আদুরী ট্রেন্চ মারিয়ানা,

যোনি গহ্বরে মরণ।

হস্তমৈথুনে ভেজা বিছানায় উপুড় মুখে

এপাশ ওপাশ কেন্নোগুলো মত্ত হয় উদ্ধত সার্বজনীন চুমুতে।

এলোমেলো শ্বাস, ল্যাঙটা দাঁড়িয়ে একা,

উত্তুঙ্গ স্তনে দহন।

বেওয়ারিশ মানুষটা পিচ রাস্তায় চিকেগোল্লা খেলা ছেড়ে দৌড়ে উঠে পড়ে রোজদিনের চেনা কম্পার্টমেন্টে।



Saturday, April 19, 2025

 জীবন খোঁজা কাজে,

মারণ সাগর মাঝে।


ওই ওখানে কৃষ্ণগহ্বর,

অসহায় নিঃশ্বাস নিরন্তর।


আধো অচেতনে জাগা,

আছিতেই না থাকা।

Monday, April 14, 2025

 আজ চৈতি হাওয়ায় আমার জানালায় নিমফুল তার শাখায় শাখায় হেসে হেসে ভালোবেসে ফিসফিস করে জানান দিয়ে যাচ্ছে নতুনের আগমনী গান । লেবু ফুলের গন্ধে আমোদিত পাগলমন।একলা টলোমলো পায়ে যে মাধুকরীর শুরু আজও নব নব পথে মানবসাগরে বহমান তৄষ্না নিবারণের অন্তহীন আকাঙ্খায় বহমান ।আজ নীড়ে ফেরার গান,ঝরা পাতার গান মনকে বড়ো ভিজিয়ে দিচ্ছে,কাঁদিয়ে দিচ্ছে ।জীবনভোর কিসের খোঁজ,কেন যে এই পথ চলা ? নিজেকে চিনতে চিনতেই তো প্রদীপের তেল শেষ হয়ে যায় ।এতো মায়া এই ভুবনজুড়ে। মানুষতো একে একে সব্বাইকে ছেড়ে কেবল নিজের জন্যই বাঁচে ।ছোট আর কিশোরবেলায় এমনকি কিছুটা বড়োবেলায়ও তো মায়ের গন্ধ ছাড়া তো ঘুম আসতো না  । এখন কিন্তু দিব্যি টিকে আছি ।সেই সব সাথী যাদের ছেড়ে দিন কাটতো না সময়ের বাদলধারায় তাদের ছেড়ে পথ এগিয়েই চলেছে ।দুটো ভাতের দানার জন্য কি অর্থহীন কুৎসিত লড়াই । আজ আছি কাল নেই তবু তবুও ।জান্তব লালসা কত ফুল যে অকালে ঝরায় । কোন প্রাণ যে ফেরাতে পারিনা, এতো এতো অসহায় ।  সততা ,ভালোবাসা ঝরে পড়ে,আঁধারে হারায় । যে মায়ামৃদঙ্গ মন মাতাল করে দেয় সেই সুরও কোন সুদুরে কোন অস্তাচলে মিলায় ।তবুও যে পথে হাজার বছর আগে কোনো পাগল হেঁটেছিল আজ হাঁটে এই শহর বাউল ,একলা হাতে একা একতারা, কোন্ সুরে যে বাজে ।কাল হাঁটবে অন্য কেউ ।জীবনে কত পাপ, কত অন্যায়,কত ভুল এ জীবনে একটা ভালোমানুষ হওয়া হলোনা। কোনও কোনও পল আসে , যখন ফিরে দেখা ছাড়া কিছুই করার থাকেনা ।তবু স্বপ্ন মন ইচ্ছে ডানায় ভর করে ইতিউতি কেবলই ঘোরে সে কোন মধুমরীচিকায়।

সবেরই তো একটা বিরতি বা অন্ত আছে । আজ চৈত্রশেষে এই “WALL” এ নিজের ঢাক নিজে পেটানোর জন্য একটু মাফ চেয়ে নেওয়া। নতুন বাংলা বছরে সব্বাই ভালো থাকুন ।এই ভিজে অন্ধকারে আপনারা সবাই জেগে একটু ঘরে ঘরে দুর্গাদের আপনকথামালায় বাঁচতে দিন । অহেতুক লড়াই বন্ধ হোক, একবার অন্তত মানুষ  হওয়ার। চেষ্টা করি। ঘরে ঘরে অপু দুর্গারা প্রস্ফুটিত হোক,বিকশিত হোক । সব অন্ধকার কেটে যাক, জেগে উঠুক নব প্রাণ। আমি একটু আমার দুগ্গার পুজোর মন্ত্রোউচ্চারনে নিজেকে ভেজাই ।

সওদাগর নাও ভাসাও , ওই কুল যে ডাকে ।

 ।।শুভ নববর্ষ।।

Saturday, April 12, 2025

 লোকচক্ষুর আড়ালে বৃষ্টির কোন বিরাম নেই।অবাক হবার কিছু নেই। টোকা মাথায় ওরা হাঁটুজল ভেঙে এগিয়ে আসছে।থপথপ না দ্রিম দ্রিম, শব্দগুলো ধাক্কা মারছে, শিরা ছিঁড়ে যাচ্ছে, পালানোর পথ নেই।

অচিন আজ সকালে বেশ কিছু গালাগাল চুপচাপ হজম করলো ।আজকাল একটা হালছাড়া হতাশাবোধ মাথার চুল থেকে মধ্যভাগের যৌনাঙ্গ পার করে পায়ের নোখ পর্যন্ত নেত্য করে। ক্যালেন্ডারের দিনগুলোর কাটাকুটি খেলা‌

লিখি কেন? আগে তো লিখতাম না, এখন মনে হয় কেউ হয়তো কোনদিন, তখন আমি থাকবোনা, এই লেখা পড়ে, একবারের জন্য  হলেও আকাশের কোনে খুঁজবে কালপুরুষ ।

জন্মের পর মাটির দাওয়ায় তক্তার ঘেরা দেওয়ালে একবার এদিক আবার ওদিক,গড়াতাম , কাঁদতাম,হাসতাম, সীমানা পুনর্নির্ধারিত। আজ ও শিকলে বাঁধা,দেখা যায়না, চিৎকার করে কাঁদি, শোনা যায়না।

এমন এমন দিন আসে যে দিন মাথার মধ্যেকার পোকাগুলোও কোমায় চলে যায়,কোন ভাবনা আসেনা,মনে হয় মৃত্যুর পুর্ব মুহুর্ত।


সকাল খুঁজে পাইনে, কেমন যেন মেঘলা মুখভার, অভিমানে ভরা। এই পৃথিবীর বিরুদ্ধে আমার সব অভিমান, সব অভিযোগ। ভিড়ের মাঝে একলা চলি, খুঁজে ফিরি সেই ডানহাত। নব কৈশোরের দুচোখে এখনও ভালোবাসা দেখি, হৃদয় কাঁদে।

Thursday, April 10, 2025

 কমের বেশি আর বেশির কম


এখন যতই ছোট হওয়া,

নিয়ম মেনে দাড়টি বাওয়া।


আগের পাতার আলগা স্মৃতি,

আগলে রাখি লাভের ক্ষতি।


লাথি ঝাঁটা কিলের ঘুষি,

জোটে যাহা তাতেই খুশি।


ফুটছে ফুল আপন মনে,

টেবিল পাথরের মধ্যিখানে।


এখন তখন কবিতা লিখি,

কমফোর্ট জোনে দুঃখ মাখি।


ঠিকের ভুল,ভুলের ঠিক,

মজা মরুতে হারাই দিক।


আছি আমি,তুমিও আছো,

রুমাল সাদা চোখটি মুছো।


আইকম বাইকম ভো ভো,

তুমি , তুমি,আইভান হো?










Tuesday, April 8, 2025

 জিনে কে লিয়ে জড়ুড়ৎ হ্যায় হিম্মৎ কি,মরনেকে লিয়ে কৌই এক বাহানা।


চলনেকে লিয়ে জড়ুড়ৎ হ্যায় রাস্তে কি, গিরনেকে লিয়ে না কোই নজরানা।


পাগলী তুই এলোমেলো, আকাশগঙ্গায় ভৈরবী,


ডুবছি .কাঁদছি অমৃতসুখে ,ভিজে হৃদিজলছবি।


জাগছি  . গলছি ,হারিয়ে যাচ্ছে আমার সবই।


“The winds blow…


The lightning’s fall


The space overflows.


আবর্ত আগুপিছু,

জ্যোৎস্না খেলা করে ক্লান্ত মাঠে,

গাব্বুখেলায় ফিকে হয় লাল স্বপ্ন,সবকটা জানালায় শিক আঁকড়ে ধরা মনকোলাজ। মৃতদেহটি আবেগহীন চোখদুটো মুঠিহাতে ধরে, এগিয়ে চলে এক পা,দুইপা,

 দিনে আর রাতে,

মুখ আর মুখোশের বেলাগাম প্রেমগাথা।

Sunday, April 6, 2025

 হেরে মুখ গুঁজি

                    মেঝে লালচে কঠিন 

                             জমাট অক্সিজেন বুকে।

Saturday, April 5, 2025

 নিরাপত্তার ছাতিমছায়ায় ডানহাতি চিত্রপট,

কীটগ্রস্ত কাঠবেন্চে বিশ্রামের নদীতট।

Thursday, April 3, 2025

যদিও আমাকে এক গুণীজন এই  'যদিও' শব্দ দিয়ে কোন বাক্য শুরু করতে নিষেধ করেছিলেন, কিন্তু নিতান্ত উপায়হীনতায় এই লিখন।

টুকরো টুকরো অসমাপিকা ক্রিয়া দিয়ে অর্ধশতাধিক বছর পার করে বেকুব খালাসের প্রতিক্ষায়।

ঝিমুনি ভাব মাঝে মাঝে বুকে, পিঠে, দুচোখে জানান দিয়ে বলে, ' আমি আছি,থাকবো, জাঁকিয়ে বসবো প্রতিটি রক্ত কনিকায়, ইচ্ছে নদী মরুক।'

দিন গুজরান কিল, চড়, লাথি খেয়ে, মুখোশে নির্বিকার।

অসমাপিকার চাহিদা। ভালোবাসি বুক জুড়ে মরে যাওয়ার ইচ্ছাকে জারন করতে।

অসহায়তার অবলম্বন খুঁজি। প্রবল ইচ্ছা হয় টইটম্বুর নেশায়  চোবাতে, নিজেকে। 

বরাহের নান্দনিক গান, আমি, কি যে করি?

রোবোটিক জীবন।