পথের ধুলায় জীবনের গা ঘেঁষাঘেঁষি।চলার শুরুতেই শেষের আনাগোনা। মানুষ মানুষকে হাসায়, কাঁদায়, ভালোবাসায়।
সমের তল ছেড়ে কয়েকদিন আশ্রয় নিলেম আকাশের কাছাকাছি, হিমালয়ের কোলে।মন ভিজিয়ে এক অদ্ভুত একাকিত্বের গান শুনতে থাকলাম।
শঙ্করাচার্যের মন্দির,চশমে শাহি,পরিমহল,নিশাত গার্ডেন,হর গার্ডেন, শালিমার গার্ডেন,মিনি জু,সারিকা মন্দির,ডাল লেক,অ্যাপ্রিকট গার্ডেন,মানসবাল, খীরভবানি সতীপীঠ ,সোনমার্গ,গুলমার্গ,
শঙ্করাচার্যের মন্দির
খুব সকালে ঘুমন্ত শ্রীনগর শহরে পা রাখলাম। প্রথমে সত্যম শিবম সুন্দরমের পথে। জীবনের আলোর খোঁজে।সিড়ি দিয়ে উপরে ওঠার আগে সিকিউরিটি চেক, সবাইকে ছেড়ে আর্মি অফিসার গল্প জুড়লেন। ২২ আর ২৪ এর দুরত্ব বেশি নয়।অবাক হলেন আমার সাহস দেখে। যার বুদ্ধি কম সেই তো চলে সহজিয়া পথে। উঁচু খাড়া সিড়ি পেরিয়ে শঙ্করাচার্যের অতি ক্ষুদ্র উপাসনা স্থল। মহাশিবলিঙ্গের আর্শীবাদ ঝরে পড়ে গোটা ভুস্বর্গ জুড়ে।গোটা শহর, পাহাড়, নদী,অমোঘ ডাক।
চশমে শাহি
পহেলগাও
রোদে পিঠ পুড়িয়ে বসে আছি লিডার নদীর শীতল জলে পা ডুবিয়ে। আমার যত পাপ, অন্ধকার ধুয়ে নিয়ে যাচ্ছে বহমান শ্রোতধারা। সময় এখানে নদীর বুকে এলোমেলো পাথরের বুকে মুখ লুকিয়ে অচল,নিথর।
এখানে দুপুরের উষ্ণতা এসে থামে সন্ধ্যার শীতলতায়, অতি দ্রুত।
বোঝা অবোঝার সীমারেখা মুছে যায় দেওদারের সুনিবিড় হাওয়ায়,
ভালোবাসা জাগে একা কান্নায়।
রাত পাহাড়ায় পিরপান্জালের বরফের চাদর, আমি মৃত্যুকে বুকে মুখে দুই হাতে জড়াই, জাগি।
No comments:
Post a Comment