Thursday, December 31, 2020

 নতুন দিন,তারিখ,সময়,পল.কাল. বছর

দিকহারা অবক্ষয়ে হারায় শোভনসুন্দর,

অকারণে কুহকে এই ফিরে ফিরে দেখা।

নেশাতুরপ্রান চাওয়াপাওয়ার জীবনরেখা।


জীবন জাগুক  সুন্দর পৄথিবীর অলীক স্বপ্নে ,আর গারদ ভাঙার গানে , ঠিক তো ?

Wednesday, December 30, 2020

আমিই

 জীবন অবিরামে বয়ে চলে,

তবু একটা বোধ অনিমেষে...

এমন একটা  বৃক্ষ যার ছায়ায়

নীরবতার হয় জন্ম মাঝসমুদ্রে।

এমন সেই আকাশপাখি যার

উড়ান ছায়াময়তার রুগ্নপদ‍্যে।

সেই জীবন্ত প্রান অহরহ যার

জন্ম মৃত্যু উপত্যকায় নিঃশব্দে।

সেই প্রাপ্তি কামনায় ওই পাগল

শহরবাউল আজ ও মরে কেঁদে।

Thursday, December 24, 2020

ভাল্লাগে

 ভাল্লাগে তোমাকেই

উন্মুক্ত ক্রুশবিদ্ধ বায়ুতে অসহায় রক্তক্ষরণ, তবুও মৃত্যু নির্ভরশীল

এসে যায় একপলকেই কর্মকাবার । বাতাসী এসেছো, থাকো 

রক্তিম হৄদপিন্ড খুঁজবেনা আর

থাকোই আর খানিকক্ষন,সুন্দর হয়ে উঠছে পৃথিবী,

অভাব নেই,আবর্জনা পরিস্কার চলছে মহাভারতের কিংবা মানবযুগ 

সুচনার সময় কাল থেকেই।চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ছে অনাহারে ভারাক্রান্ত 

সুকান্তের দল, লক্ষ লক্ষ না তার

থেকেও বেশি খোলা আকাশ ঝরে পড়ছে আদুলগায় ।


প্রান্তরের গান সে তো কানামাছি খেলছে সারি সারি দেশলাই বাক্স কিংবা

নিশ্চিন্ত নিরাপদ দিনযাপনের স্বকীয় অহমিকায় ,যান্ত্রিক বাক্য ও সাহিত্যের

সদা আলাপচারিতায় । গানের সুরটি বেশ, বারবার ভরায় বিদগ্ধ মন,  

আলপথ কতদিন আশ্রয়হীন চওড়া পিচগলা রাস্তায়।

উলঙ্গ অট্টহাসি পুর্ণচন্দ্রও লজ্জায় ছেড়াশাড়িতে মুখঢাকে, 

আমার আলতো চুমু তোমাকেই,নিরাভরণ এই মরুভুমের চাঁদেলা

 অট্টহাসিতে ভেজা বোধহীনতার সুন্দরী পাহাড়গুহা ।

লেদমেশিনটা মাথার মধ্যমায় সগর্ব সচল উপস্থিতিতে মন্দ্রাক্রান্তা ।


রাজার রোগে নিরাভরণ বিষন্নআমোদে তুলসীপিদিম ।



Monday, December 21, 2020

 আকাশ ভরে কালপুরুষ,

চোখ দুটো ধুলোয় গড়ায় ।

মৄত্যু উপত্যকা জুড়ে এক এবং 

একমাত্র রবিঠাকুর,একান্ত ইশ্বর 

আর বোতলবন্দী একা কবন্ধ,

বাউল মনে বাউন্ডুলে গান গায় ।

Thursday, December 17, 2020

 রাত আঁধারে

শীত জাগছে মনে, ফুটপাথে,

খোলা আকাশের নীচে চিন্হিত সীমায় ।

অবনী কাঁপছে, দরজাটা কে ভাঙছে?

মৄত্যুহীন বুকটা জাগছে গন্ধে হাসনুহানায়।।

 রাত আঁধার জঙ্গলে ও  চিলেকোঠায়.......


আর তারই সাথে 

আবছা ভোরে

শীতকুয়াসায় হিমায়িত সততা ,বিশ্বাস, সুমন

রোদ উঠলেই শুরু সুবাসে ,সুভাসে বাস্পায়ন ।


বড়ো একপেশে ভয় কাঁপন ধরাচ্ছে ।


Monday, December 14, 2020

ইতি

 ইতি অন্যান্য


মরিচঝাপির  নয়া আবাদ  ফসল মরা ঘাস,

ঘোলাটে সন্ধ্যায় সেজে উঠেছে রিসর্ট, বাংলায় অনুবাদ করলে মনে হয় একটু নিরূদ্বেগ আশ্রয়ে নিজেকে বিপনণ।ভাঙা রাস্তায় চাঁদোয়া সাজিয়ে সর্বরোগ নিরাময়ের নিলামজারি।


মুঠো মুঠো পলির মাঝে ভাঙা নৌকায় আটকে আছে সবটুকু  আবেগ অনুভূতি এমনকি পাগল ভালোবাসাও

পুর্ণগাভি জোয়ারের অক্ষম অপেক্ষায়,সান্ধ‍্য জলসায় বাধ‍্যতামুলক অনাবৃত উপস্থিতি।


আমিটাকে , আমার সেই আমিটাকে রম‍্য সরোবরের পাশের মরা শিমুলগাছে ঝুলিয়ে রাখা , খোলা জানালা দিয়ে উঁকি মারে প্রেতাত্মা,জোনাক আলোয় স্বপ্ন সন্ধানী ভিজে কিশোরী শামুকমেঘ।

Sunday, December 6, 2020

প্রাণরে

 প্রাণ ফেরে মরে


যে দিন যায়,ক্ষয়ে কাঁদে ,ফিরে আসে না, 

সুখ কিংবা অসুখ পথ ভোলে কোথায় হারায় ।

বছর বছর ভেসেই যায় ক্ষ্যাপা দেয় ডুবসাতাঁর,

সেই যে  পাওয়া  ভরা জ্যোৎস্নায় পরশপাথর ।


সেই আশ্বিন কোথায় যে হারিয়ে গেলো……


মনোময় অন্ধকার আজ ছাতিম গন্ধে পাগল,

আপনভোলা পথ ছাড়ায় মায়া ইছামতী ডাকে

ভাটিয়ালী মায়াবন ।এখানেই সেই হারিয়ে যাওয়া

ইচ্ছেনদী?দাও দাওনা আমার সেই মুক্তধারা পরশপাথর ।


সেই বনফাগুন মনআগুন কে যে নিভিয়ে ভেজালো……….


কিশোরী প্রেম,কাঁপা হাত পড়তে দেওয়া,লেখাটা 

হয়েছে কেমন ? কাল বা পরের দিন অপেক্ষা অন্তহীন ।

অবসর যখন হলো, যে দিন যায় ফিরে আসেনা ।

যখন পড়া হলো. বোঝা গেলো, কোথায় কোথা যে সে ?


এতো জল কে যে অশ্রুনদী বানভাসি অকুলে হারালো…..


আকাশআয়নায় নিশির ডাক, উড়োপ্লেন গুলোর কাঁটাকুটি

মুখটাই অদেখা, তবুও হাঁটাচলা ,হাঁতরে জাগা রাতভোর

বিকলাঙ্গ মন এখনো আঁধারসুরা পানে খোঁজ কোথায় 

ঝুলিভরা পিতৄমুখে পুরাণ,উপনিষদ্,আর গোপন কিশোর শীতপ্রেম ।


দড়িতে ঝুলে মৄত প্রাণ কে যে কেন যে নামালো……..

 উঁকি আলো ধিকি ধিকি,বট পাকুরে স্থবির পারাপার।

বৃদ্ধ যৌবন শুক সন্ধ্যাতর্পণ,ইতিস্মৃতি তোমার আমার।

কেন আছেন স্যার?

 কেন আছেন স্যার?

এই প্রশ্নটা শুনেই ফেললাম।

যে কথাটা সবটুকু নিঃশ্বাসে, ভেঙে পড়া দুটো পায়, বুকের ডানদিকে জ্বলন্ত ব্যাথায়।

ক্লান্ত চৌপায়ায় নীল মশারীর জালে মরা হৃদপিন্ডটাকে আগাপাশতলা বেঁধে রেখে খোলা বা বন্ধ চোখে ঘোলাটে আকাশটাকে দেখতে দেখতে একই প্রশ্ন করে চলেছি।

এতটা পথ ,মোরাম,মেটে,তপ্ত পিচঢালা,অথবা ছায়া আবছায়া আল,একাই,






Sunday, November 29, 2020

মনপাগল

 পাগলমন

মনে শীত পড়ছে, দরজা জানলা বন্ধ কপাট সব,

রুদ্ধ আলো,শৄঙ্খলিত বাতাস, নীরব কান্না কলরব ।


কুয়াসা ঘিরে ধরে কালো চশমায় প্রেতের সারি,

জগদ্দলে শিলায়িত পুরুষ, বন্ধ্যা নিজঃশ্বলা নারী ।


ইচ্ছায় জাগেনা কলম, কি এক মেঘলা অলসতা,

সব ভুলিয়ে শ্মরণে আঁধারে হারায় বোবা কথা ।


বরফে সঙ্কুচিত হাত ও পায়ের আঙুল ,শুধু দরকার তো

দুমুঠো ভাতের স্বপ্নে একটু ছাদ, বাঁচা খামারে পশুর মতো ।


মরে বাঁচা না বেঁচে মরা, বাতাস এতো ভারী এতো বিস্বাদ,

কায়াহীন কাগতাড়ুয়া দাড়িয়ে একা চারধার শুধুই অনাবাদ ।


ভালোবাসা,আবেগ,অনুভুতি,চিন্তন সবই তো বন্ধক ।

মনটাকে কোথায় যে রাখলাম?হায় রে জীবনকুহক..

পাগলরে পাগলমন কোনগহনে  ?

Thursday, November 26, 2020

 চেষ্টা করেই চলি, বুনি শব্দ,শব্দব্যবসায়ীর থেকে,কবিশ্বরের থেকে,জমিনকবির থেকে দিনে দিনে কেবলই বাড়ে ধার।

আজ থেকে কাল,কাল থেকে পরশু,চলি হেঁটে,পা করে টলমল,পথ খেলে লুকোচুরি,অন্ধ অবসন্নতার চাদর খোঁজে বিপন্ন উষ্ণতার।

Wednesday, November 25, 2020

 আধফাটা চাঁদ,কিপটেমি করে অল্পকল্প  আলো ছড়াচ্ছে অসময়ে ফোঁটা হাসনুহানার বুকে।

আছি শুয়ে ভাঙা খাটিয়ায়,মরা আকাশের সাথে,বাতাস নিথর।

জানি, কঠিন তিতকুটে সত্যিটা , তবুও আলসে ভোর থেকে ন্যাড়া দুপুর, ঝিমিয়ে পড়া বিকেল থেকে উইধরা অবসন্ন রাত ,ভাবি হয়তো অন্যরকম কিছু হবে, তুমি সব ফেলে আসবে কাঠচাপা গন্ধ নিয়ে আর নিয়ে একমুঠো বনতুলসী হাসি।

জন্মের পর থেকেই একটু একটু করে মৃত্যু যাপন,কখন যে পুরোপুরি  হয়ে গেছি মরা বট, যতোই হাত বাড়াতে চাই, শূন্য,আশা শূন্য, ইচ্ছা শূন্য,এখন মন দিয়ে মাদুর বুনি, আমি তুমি যদি বসি কোনো দিন,যদি তুমি আসো কলমি সবুজ শাড়িতে ,পারি যদি গল্প জুড়তে মেঘরঙা।




Friday, November 20, 2020

 এখনও

পথে পথে কেবলই ছেড়া মুখোসের ছড়াছড়ি।

কত্তো ভালো তুমি ও আমি,বাকিটুকু কবুতরী।

মনে হয় ফিরে যাই, মৃত্যু তুমি এসো আমার সঙ্গমে,

তোমার সাথে গল্প জুড়ি, ভালোবাসি সুতীব্র আশ্লেষে।

 কারখানাটা ভালোই চলছে,

উৎপাদিত হচ্ছে আদর্শ স্বপ্ন, আবেগ, অনুভূতি এবং তথাকথিত ভালোবাসা।

সব ই সঠিক পরিমাপে ,যার যা প্রাপ্য, উল্লসিত গোটা জীবকুল।

কেবল কারাগারে অথবা মৃত্যু দুয়ারে কয়েকটি কীট।

মেকি শুভ কামনায় নিজ নিজ দিন অতিবাহন।

Thursday, November 19, 2020

 সকাল তোমায় খুঁজেছি আমি গোধূলি আলেয়ায় বারবার, সন্ধ্যায় আবার।

শব্দ হাতে নিয়ে আলো খুঁজেছি,শব্দ বুকে নিয়ে ভালোবাসা মুঠোয় ধরতে চেয়েছি।


Monday, November 16, 2020

 হাজারদুয়ারি মন অবিরাম 

কি যে খোঁজে কোনখানে ?

পরশপাথর না অরুপরতন,

নাকি নিজেকেই দেখা একান্ত গোপনে ।



 আঁধারে আগল খুলে সীমারেখা মুছে যায় ।

এদিক আর ওদিক উড়োজাহাজের লুকোচুরি

আকাশ জুড়ে ।কোথায় রাখি সুখ  অসুখ ?

এক ফুঃ মোমআলোও নিভে যায় ।


Sunday, November 15, 2020

 পড়ন্ত বিকেলে উঠোন জুড়ে হঠাৎ প্রজাপতি একলা

Tuesday, November 10, 2020

উত্তর

 রোবট গুলো ভিড় করে আছে প্রতিটি শুন‍্যশ্থান,

মনন নেই, চেতনা মরূভুমে, ভালো কি সেটাই তো অচিনপুর, ভালোবাসা ভোকাট্টা, কেবল ই নিজেকে দর্পণে দেখা।

কাগতাড়ুয়া তুমি তো পুড়ছো,ভিজছো, এতো আলোয় চোখ তো ঝাপসা,  

কফি হাউসটা তো ও বন্ধ‍্যা, 

তুমি চোখ বুজে জাগো কাছিম উন্মাদনায়,

শ্বার্থপর জীবন তো একটাই।

সাদাতে কালোতে বটের তলায় পড়ছে ঝরে ফ্যাকাসে পাতার দল।

ওরা সব্বাই চিৎকার করছে,হাসছে, কাঁদছে,মিশে মিলে চাইছে একাকার হতে।

কোথায়? কেন? জাগা অথবা একপশলা ঘুমিয়ে পড়া?

উত্তর মেলে না।


Sunday, November 8, 2020

 এলোকেশী মেঘ দুর্মদ , এসো সঙ্গমে আকুলি

এক কুন্তী নদীর বুকে।

প্রতিনিঃশ্বাসে ,ধুসরবর্নমালায় , আকাশ তুলি  নিরাশ্রয় ছবি আঁকে।

ভুলভুবনে বন্ধ্যামনে  ভিজি মরি

ছেঁড়া সুতো হৃদি হাজার দুয়ারী।

চলি,চলতেই থাকি, হঠাৎ করে বিকেলটা ফুরিয়েই যায়, একটানা অন্ধকার সঙ্গমে লিপ্ত হই,অল্পেতেই হাপিয়ে উঠি।

ওই দিকে তাসের আসরে ঝনঝন আওয়াজ,কি যে হচ্ছে?

 এই বাত্য বিষপ্রান,ঘৄনা,অবহেলা,আর অচেনা উপেক্ষায় উঠুক ভরে,

প্রতিনিঃশ্বাসে আগুনবর্নমালায় নেলপালিস লাল জাগুক তোমার নখরে।

         

Saturday, November 7, 2020

 আবছা ভোর,ভাঙছে অন্ধ ঘুম,জাগছে অন্ধমন,

পথ ডাকছে,অমৄতকুম্ভের খোঁজে অনন্তজীবন ।

Thursday, November 5, 2020

 ক্লান্ত শরীর, শৄঙ্খলিত মন তবু ,

তবু আলো হাসে নববেহাগে, নবআবেগে ।

কোথা সাঁই, মুর্শিদ ,ইশ্বর আমার

দাও ঠাঁই , জ্যোৎস্নাবনে অন্তর মম জাগে ।

Tuesday, November 3, 2020

 আঁধার ভুলে ঘাসের মাথায় জমছে শিশির মুক্তোকণা,

 হারিয়ে হাসি চোখের জলের ভিড় বন্যাচাঁদে ,

 এতো ভিজেও রাসের পথে কৄষ্ন না রাধে ।

প্রিয় সখা হে

 প্রিয়সখাহে

প্রিয়সখাহে তোর সাথেই গেছোপ্রেম, 

তোর কাছেই উজার আমিটুকু ।

বন্ধু কতদিন তোর সাথে অদেখা 

প্রিয়তম বন্ধু তুই যে আমার ।

বাবার হাত ধরে প্রথম পরিচয়,

বোধনের সন্ধ্যা পিদিমের আলোয়,

দুগ্গার চরণ এই ধুলিধরায় ।

চোখের জলের বাঁধ ভেঙে যায় বন্যাধারা

দিন পর দিন ভাসায় ,পালিয়ে হারায় ।

কত সাঁঝবেলায় তুই আমাকে বাঁচিয়ে তোর ছায়ায়,

তোর আলিঙ্গনের ফল্গুভালোবাসায়,কত গোপন কথা

তোর সাথেই ,সকাল আর এই শেষবেলায় রবির আলো

সেই কথা মনে করায়, কত অন্যায় কত ভুলে স্বীকারোক্তি ।

সেই মাঠ, আমের গাছ ,পুকুরে ঝাঁপ,শসার ক্ষেত ,দৌড় দৌড়

বন্ধু কতদিন তোর সাথে দেখা নেই ।

যখন তুই আমাকে পাশে রাখতিস ,অনন্ত অবসর

আজ আর ফুল ফোঁটেনা ,বুনো ঝোপ ,কোথায় কোথায়

বড়ো একা লাগে. তোকে ছুঁতে বড্ডো ইচ্ছা করে,

দেখতে মন লাগে পিদিমের আলোয় ধুপশিখায় ।

ভাঙাচোরা দুখরাশি এই দুর কংক্রিটে জঙ্গলে

ঘন্টার আওয়াজ কানে আসে ,ভাগ করে

সব তোর সাথে জীবনসখাহে,

কানে কানে,প্রিয়সখাহে আমার ভালোবাসা মন্দলাগার

ভালো থাকিস ভালোবেসে

আমার আপন একান্ত প্রেম শিশু ভোলার বেলেরগাছ ।

আজ এই পথভোলা বুড়ো বয়সেও তোকে…….

Sunday, November 1, 2020

 হাজার দুয়ার, কড়া নাড়া, সেই বুড়োটা,চেয়ার ফাঁকা,

ঝরা পাতা, কানা জেহাদ,এই ছেলেটা,আদর মাখা।

Friday, October 30, 2020

 বনকুসুমের গন্ধে পাগল উদার সকাল,

কৄষ্নকলি , ভুবনডাঙা ,দামোদর,মাঠ প্রান্তর ।

পেয়ে হারায় ,একলা কাঁদে উদাস বাউল খোঁজে 

রাঙাধুলোয় ,হলদে সবুজ সরষেক্ষেতে, পরশপাথর।

 

সাই

 গহিন গাঙ,ভাঙা তরী, অন্ধ আকাশ, কোথায় পার ?

একলা মাঝি ,উথাল পাথাল , নগ্ন অরূপ আঁধার।

চরৈবতি চরেবতি ,খুঁজে পাগল বাউল  মধুকর  ।

সাই দে চিত্তপালে অনন্তপরশ,জাগি জীবনভোর ।

  

Thursday, October 29, 2020

একটি কালো কবিতা

 একটি কালো কবিতা

পথচলতি পাগলা হাওয়ায় চিতি সাপেরও আড়মোড়া ভাঙে,

নীরবতার একটা কালো কবিতা অন্ধকারেই সাজায় অবনী ।

মৄত্যুতেও শুরু হয় এক নতুন ঝরঝরে অশ্রুত রাগবাহার।

ফোঁসফোসানী শুরু করে চিতি , শিকার অথবা নিজেই শিকারী ।


আমি কে ?এই আধাঁরে কেন ,কালোতেই তো প্রতিবিম্ব সুস্পষ্ট,

কৄষ্নসাগরে ঝাঁপ দেবার আগে অবনী আর কালোচিতি এক আত্মা ।

নিস্তব্দতার কবিতা , আখরমালা সাজে আপন সুরে ফিরে মৄত্যুগহ্বর ,

হেমলক তুই এতো তরল ,এতো তীব্র আবাহন ,বড়ো নিবিড় সুনিবিড় ।


তাপচুল্লীর দরজা খোলে ক্ষনিকতরে, চোখ ধাঁধিয়ে তীব্রছটায় সুতীব্র,

এতো শীতল আবাহন , কৄষ্নসার হরিণ এই তাপে পোড়ে না পুড়েই ছাই ।

দিকহারা নিকস মধুময় প্রেমে অপ্রেমে আস্টেপিস্টে জড়িয়ে আলিঙ্গনে আঁধার,

অবনী তার উদ্দাম আবেগে বন্ধ করে সব জানালা দরজা সব সব কপাট ।


জেল সেলুলার ,আবেগ অনুভুতি হাতে পায়ে লৌহশৄঙ্খলিত জীবনচেতনা,

কালাপানির ঘুম ভেঙেছে কালোমনে এদোল ওদোল চেনা মুখের ভীড় ।

মহামিছিলে এমন নোনাচোখ, প্রবাহমান কঙ্কালে টঙ্কারে মৄত্যুগীতিকা ।

চোখ বুজে আসে ,মধু আবেশে অন্ধকার তোকে জড়িয়ে মরে বেঁচে ডুব,

কৄষ্ন সমুদ্র মরণে ভেসে চলে জীবনভেলা  ।।

Friday, October 23, 2020

মা

 মাগো তুমি যে শুন্য বসন,  নিরাভরণ ,

আলোর বীনে,পথের ধুলায় তব চরণ


অভিমানী আকাশ বারিধারায় মনভার

আলো দাও মা ঘোচাও অন্তর আঁধার

Thursday, October 22, 2020

স্থবির

 স্থবির

আচ্ছা, কোন বাসে উঠি ,পৌছুতে হবে সঠিক ঠিকানায়

দাড়িয়ে আছি এক্সাইড মোড়, ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়েই

কত নম্বর বাস ,মনে আসছেনা কিছুতেই চেনাপথেই ভুলভুলাইয়া

আমি যে এখন কি করি, ওই পাগলটাও তো একটা পা তোলে

আর নামায় ,স্থবির একই জায়গায় ।

 

দক্ষিণেশ্বরে মাকে প্রনাম,শিবের মাথায় জল গঙ্গাস্নান শুদ্ধমন,

বেলুড়ে তুমি রাম তুমিই কৄষ্ন, মনপ্রাণ তোমা পানে ধায় ।

ফেরার পথে শ্যামবাজার গোলবাড়ি কষামাংস দুটো করে রুটি,

গৄহে পত্নি প্রেমে গদো গদো বাইরে মন এদিক ওদিক চায় ,

একই রুটিন মন ,স্থবির একই জায়গায় ।


ইঁদুর দৌড়, বাঁশে যতই তেল মাখানো থাক নবনব রুপে

ইশ্বরের নামে কত্তা ভজন টিকে তো থাকতে হবেই ।

হলদেটে শেষের কবিতা, ফেসবুক আর হোয়াট্স আপে 

অমর হয়ে যায় লেখনী রুপে কি-প্যাডের অক্ষরমালা ।

অচলায়তন ,স্থবির একই জায়গায় ।


কাজের মাসিটা বড়ো বেয়ারা, কামাই করলে চলে ?

ফ্যাশান শো এর আরেন্জমেন্ট, সবাই কন্ট্রিবিউট করবে

অনাথ আশ্রমে দান,সাংবাদিক কুল কেউ বাদ পড়েনিতো ?

এর মাঝে আবার রান্না, দুর একটা ফোন ডোমিনোজ আর

সচিত্র স্ববিজ্ঞাপন , স্থবির একই জায়গায়


সময় অফুরান,

বলতে পারেন বাসের নম্বরটা ??

Tuesday, October 20, 2020

হাট

 কান্না কেঁপে কেঁপে যায় হাওয়া উথালপাথাল,

ভালোবাসায় জাগে ফিনিক্স তুই ভিজে সকাল ।

 বুকের মাঝে হাট বসেছে হরেকরকম বিকিকিনি,

হাকাহাকি ছুটোছুটি ,তারই মাঝে নীল ধুকপুকানি।

ফিরে ফেরা মেঘবালিকা

 ফিরে ফেরা মেঘবালিকা

হিজিবিজি সাদা পাতায় এতো আকিবুকি

ইচ্ছা বারুদগুলো নিভে যায় শহর বৄস্টিঘুম ভেঙেছে ।

মোম গলা আশাগুলো নিভে কাঁদে তীব্র হাওয়ায়,

বুকের আগলে সজোরে ধাক্কা মারে হৄদপিন্ড খুঁজে পাইনা ।

আধারে অঝোরে একলা একলাই ভিজি ,ব্যাঙগুলান 

শীতঘুমের প্রস্তুতি ছেড়ে আবার জাগে,কাকে ডাকে

দৌড়ে পালায় জ্বলন্ত ফানুসগুলো আকাশের 

এই কোন থেকে ওইধার, আমি ভিজি রাতচানে

চিনেআলোগুলো অনুভুতি হীন জ্বলে জ্বলতেই থাকে

বাজিগানে মদির নীরব অন্ধপেয়ালা খানখান,

ভালোবাসা মুখ ফিরিয়ে আগাছাভরা সাধের বাগান ।

বোঝা অবোঝা নাবোঝা গাথামালায়,চোখের জল

মেঘবালিকার ছোয়ায় হিমেল ছোয়ায় বরফ জমাট,

একলা ভিজি অথৈহৄদয় ভিজে আগুন হাহাকারে ।

Thursday, October 15, 2020

আশা

 মেঘ কাটে ,আলো হাসে,


আকাশ জুড়ে আহিরভৈরব।


মেঘবালিকা নীড়ে ফেরে,


ভেসে আসে পাখির কলরব।


আশা ,আনন্দ, ভালোবাসা,


জীবনের অন্তহীন অতুল বৈভব ।

Wednesday, October 14, 2020

কতটা

 কতটা নোয়ালে মাথা ধুলোয় মেশা যায়,

পোড়ালে নিজেকে কতটা সুমনে কবির হওয়া যায়

কতটা জীবন খোয়ালে হাসিতে অমলতাস

Tuesday, October 13, 2020

I shall explain

 It was 2015

Congrats ,Pinaki & Dipankar for getting the  Dakseva Award, Proud to be member of room no. 706


It is 2019


Congrats, Anup,for getting Dakseva Award,, অভিনন্দন, ডাকবিভাগের প্রতি অপরিসীম ভালোবাসার এক স্বীকৃতি।

Proud to have worked with you in room no 706 once upon a time.

Monday, October 12, 2020

কি‌ করি

 রাতভোর আধেক স্বপন ,অথৈ এক চিত্রশালা 

নতুন ভোর, পাখির ডাক ,পুব আকাশ রঙের মেলা।


Friday, October 9, 2020

কেন

 মেঘ কাটে ,আলো হাসে, 

আকাশ জুড়ে আহিরভৈরব।

মেঘবালিকা নীড়ে ফেরে,

ভেসে আসে পাখির কলরব।

আশা ,আনন্দ, ভালোবাসা,

জীবনের অন্তহীন অতুল বৈভব ।


Sunday, October 4, 2020

আকাশ

পারছিনা, ছুঁয়ে দেখতে তোমায়  আকাশ, অসহায় বিকেলের চৌকাঠে বৃহন্নলা সন্ধান।

তুমি এখন কোথায়? সাড়া যে পাইনে কত কত কাল,লুকিয়েছো হয়তো বা শহীদ মিনারের চিলতে বারান্দায় ‌নয়তো ইছামতীর নরম বুকে।

আমি কিন্তু ভাঙা চোখে এখন ও জেগে থাকি কচি নিমফুলের আলগা সবুজে,অসহায়তার শিউলি পথে।



Friday, October 2, 2020

চলো যাই

 পুজো পরিক্রমা 

বাবা কাশীনাথ,কদিন ভালোই কাটলো বল

সেই বাঘমুন্ডীর পাহাড় কোলে সবুজগ্রাম

মাকে ছেড়ে, শহরের মায়ের মন্ডপ ,

কাঁসিতে বোল তুই ভালোই তুললি বাপধন ।


বাবাগো আমাদের গ্রামে কেন শুধু পিদিম

বান ডাকে আলোর শুধু এই শহরভরে ?

মায়ের সাজের এতো বাহার, দেশগ্রামের

মাকে ,বাবা একটা নতুন শাড়ী কিনে দিস কিন্তু ।


৬৪ বছর,সেই কামারপুকুর,প্রতিবছর আসি ভাই

ব্যাগে খালি এক জলের বোতল, বছর পর বছর

আশ মেটেনা মাগো,তুই জোটাস খাবার,জায়গা শোবার

নবমীর রাতে মল্লিকবাড়ী,ওরা ভোগ ভালোই খাওয়ায় ভরপেট ।


অস্টমীর শেষে সন্ধিপুজা অসুরনিধন ,মহাপুজা

মাগো আমিও মা দোষ কোথায় একটা নয় ,

তেইশজন অসুর আমাকে শতছিন্ন করে সিদুঁরলাল

আমার মরাজীবন সিদুঁরখেলা আর হলোনা মাগো ।


মাকে মন্ডপে আনি আবার ভাসাই গঙ্গা অগভীর,

রোজগার ভালোই আঁধারে আলো কদিন ভালোই ।

শুধু মনকেমন, ছেলে সেই ক্যানিং নদীর ওপার

বড্ড কাঁদছিলো গো, আসছে বছর আবার এসো মা ।


রেশনে চাল ১০ টাকা কেজি, এবারে অনেকটা চলবে অনেকদিন ।

উছলে পড়া আনন্দ, মুঠো ভরা খুশি ,চাল একটু মোটা তবুও

আছড়ে পড়া জীবনে চারপাঁচদিন মায়ের আরাধনা, না ফোঁটা অতসী

আসছে বছর আবার ভরপেট আসিস কিন্তু দশভুজা মা


আমার দুগ্গা, তুই বছরভর পালিয়ে ফেরা, প্রতিদিন প্রতিভোর

মনপিদিম জ্বেলে জ্বলিস অমলধুলোয় ভালোবাসায় একা কান্নায়,

চোখের কোনের কালিতে , গোপন অপ্রকাশে শ্থবির নীরবতায়

জেগে ওঠ মা অসুরনিধনে বোকাস্বপ্নের নিত্য কল্পকল্পনায়  ।

Friday, September 25, 2020

কেমন আছো

 মা মাগো

ভাঙা চশমা ঝাপসা চোখ ,সব মানুষের মুখগুলো

 কেন যেন এক হয়ে যায়, নামগুলোও ভুলে যাই ।

এতো সু্ন্দর সুন্দর সব চলমান চিৎছবি ,খাই

আঁচার দিয়ে ছাতু , লেকরোডের বলরাম শেঠকে ভুলে

পেট আইঢাই করা অবাক অবাক জলপান ।

সমাপতন না মানবিক অধঃপতন জানো কি ?

কালোয়ারের দোকানে মা হংসেশ্বরীর পুজা,

লাইন দিয়ে অনাহার খিঁচুরীতে ভীড় থালাবাটির ।

সব মানুষের মুখগুলো কেন যেন এক হয়ে যায়,

পিজ্জার বাক্সোর সাথে একই ডাস্টবিনে 

এঁটো খিঁচুরীর থালা কৄষ্নকালো, একান্ত গোপনে ।


খয়েরী, কালো ,সাদা রেসের মাঠে দৌড়ঘোড়া

মুখগুলো কেন জানি সব এক, দড়ি দিয়ে বাঁধা

দৌড় দৌড় বাঁচা ,অক্ষম একটাই গুলি , 

নতুন আরেকটা,তোকেই নামাব নতুন রেস 

বাড়ি, গাড়ি, টাকা, কেনা প্রেম, হুইস্কি ,

রোদে পুড়ে একলা বড়ো ক্লান্ত রঙ পুড়ে যায়

আরেকটু ভানুমতীর পাহাড় দেখা ,আধাঁরে ঢাকা

একটুকরো স্বপ্ন, সাতসকালেই লম্বা লাইন.

যন্ত্রনিয়ন্ত্রিত জীবনজলেরও কিয়স্ক

জানলায় ফুলেল মাপসই ঢাকা আলো 

পাখাটা ঘুরছেই,মনগুলো সব এক হষে শোকগাঁথা 


আধাঁরনীল আকাশের একফালি চাঁদে,

তারাগুলো যেন একইরকম মিটমিট ।

অতীত, আজ, ভবিষ্যতের একসাথে পংক্তিভোজন ।

বুকের ডান বা মাঝঘেঁষে মিটিমিটি ব্যাথা,

অফিস টাইম একই ভিড় সব ট্রেন ওঠা দুস্কর,

আমার দুগ্গার একই একলা লড়াই, অনিমেষ, অফুরাণ

সব স্বপ্নগুলো মিলেমিশে একাকার আকাশের তারামালায়,

অন্তসলিলা, আবাহন, বোধণ, পুজন ,প্রতিপল জীবনভোর

ফুটপাথের ছেঁড়া দুগ্গা ,ইসরাত, লঙ্কেশ,মালালা,মহাস্বেতা,

ঝাপসা চোখে সব মুখই যেন আমার একান্ত আপনার দুগ্গার,

পুজোতো.. একটু মানুষ করো মা মাগো মৄণ্ময়ী নাকি চিণ্ময়ী ।

Sunday, September 20, 2020

পেসমেকার

 পেসমেকার

প্রতিদিন এই পথেই তো যেতো সেজেগুজে,

এখনো যায় কিন্তু বড়ো ক্লান্ত  পথচলা ।

সেই আগুন ছাই হয়ে ধিকি ধিকি শুধু পোড়ে মরে 

ছোট ছোট সুখগুলো ,যেন অসুখে বন্যাধারায় দিকহারা ।


ওই যে সুপুরীগাছের মাথায় একলা ফড়িংটা

ইতিউতি তাকায়,আমিও মনে গাছফড়িং

উড়ছি একলা ডানায়,দেশলাই কাঠির ফুস প্রাণ ,

আচ্ছা এই বছরদুই মেয়েটাকেও তো ছিড়ে ফেললো ।


শুধু বাঁচা আর একলা কেঁদে মরা আর নিজেকে 

প্রমান করার অন্তহীন অপচেষ্টা,পুরো ছেড়া তার

কেন মরার জন্য এতো বাঁচা, বোবা আর কালা

বোধ ভাসায় গঙ্গায়, কেউ তো ফেলেনা চোখের জল ।


কত শত বছরের পুরোনো উটির সেই  পামের সারি ,

তোমরা কি বৈঠকখানা বাজারের ওই মেয়েটার গন্ধ পাও ?

অনুভবে তার কান্না ,গান ,নিজের থেকে পালিয়ে ফেরা , 

দেখতে পাও নাকি তোমরাও একলাদলে অভিশাপের দৄঢ়মুল ?


হৄদপিন্ড গুলো তো স্হবির ,চলতে চায়না,জগদ্দল

পেসমেকার দরকার তো আমাদের সব্বার,আগুন 

ঘোলাটে আকাশ, নীল নেই ,সবুজ কোথায়.বড্ড শীত

কান্না জমাট  বন্ধ কপাট ,ঘড়ি টিকটিক, টিকটিক,থেমে থাকেনা


তাসের দেশ ,একই ছবি ফেরে ফিরে ঘুরে, অথৈ দামোদর ,

দিক হীন জীবনে চাওয়া পাওয়ার গুলিয়ে যাওয়া ছেড়া খাতা ।

দিন আর রাত চক্রাকার ,ভাঙা মন, পৄথিবী ঘুরছে ,

আমরা ঘুরছি জিতেই মরতে হবে ,ওই মেয়েটি আরও শ্থুলকায়া ।

কাঁদিস নে

 আগুন পাখি তোর ও একটু ইচ্ছে জাগে বৃষ্টি হতে, শালুক বনে স্বেতপদ্ম হয়ে ভরে তোল মনভুবন।  

পথ জুড়ে  দিকশুন্য ঝরা পাতার দল ,স্বপ্নগুলো  একে একে  আক্রান্ত  ঘূর্ণিঝড়ে।

বেঁচে ওঠ,সুরে ধর একতারা,মরণকে দুরে রাখি সরিয়ে তোর মাঝে দেখার এক আকাশ জোনাকসাধ।

ছোট ছোট ভালোবাসা মুঠোয় ড়রে কুলুঙ্গি সাজাই,পিদিম জ্বেলে বসি হিসেবে,শুন্যে সমাপন।

কাঁদিস নে, অস্তদিঘীতে অগাধ জল , পানসি বেয়ে চল এগিয়ে, দীপাবলির আঁধার গড়ে।

দুচোখে চৌরাসিয়া সানাই বাজাই,এই অন্ধ মরামানুষটা তোর সাথেই হলুদ সবুজ  বনে হারিয়ে  ফিরে পাই আমার চড়ুই ভালোবাসা।

কাঁদিস নে।




Thursday, September 17, 2020

মরচে

 জুতোটা ছিড়েছে ,জামাটাও,

ঘুণ সেতো চোখেও ঝাপটাচ্ছে।

মন তুই তবু এখনও জাগিস,

তাকালেই গরাদলোহায় মরচে।


প্রবেশ নিষেধ

 কাশের বনে আজ প্রবেশ অনধিকারে,

দুগ্গা তোমার চোখের ভাষা ভরা পাথারে।

Monday, September 14, 2020

ভালো আছি

 জীবন মৃত্যু সত্যিই কি পায়ের ভৃত্য ,

অবস্থা হে ভগবান, বেজায় সঙ্গীন।

চলছি, লিখছি আজকের পাঁচালী,

কাল কি আছে?ছোঁয়াচে  চলাচলি।


আছি ভালো।



Sunday, September 13, 2020

রাত

 রক্তচাঁদ

আমার রাত আকাশে রক্ত লাল আধখানা চাঁদ

আয় তোর সাথে প্রেমে অপ্রেমে হই আকুল ।

তুই আমাকে বড়ো করিস অশেষ, ছায়াময়ী 

আবেগের মোহর, রবিছ্ছায়ায় চোখে সুখপাখী ,

আদরে ভরে  বড়ো আপন ,স্বপ্নিল  চাঁদ তুই ।

 হৄদয় ভরে  মৄত্যুর সাথে জীবনের অমোঘ আলিঙ্গনে

পান করি আবেশে , মধুর বড়ো নীল এই মিলন ।

অসুরে জোড়ে,সুরে আপন মীড়ে , আমায় নিয়ে চাঁদ 

পাগলী তুই কুরচি ফুল ,আমার গালে কপাল ভরে এতো 

আদর এই ছুয়ে পাওয়া সব ভুলে কি পাগলামি ,

 প্রতি পলে অনেক  বয়সের রকমফেরে

আমাকে  নতুন করে এতো ভাবে চেনাও ,

ভালোবাসাও ভালোবাসাকে, এই ঝরা বেলায় নিসংকোচে,

রক্ত চাঁদে এতো গভীর নিবিঢ় কাছে পাওয়া,

সেই তালসারির আড়ালে লুকোচুরি ।

 চির আবেগ পাওয়া মজা কানানদী,

গান শোনায় তিরতির বন্যাপাগল হাসিতে ,

ভাঙা বাঁশির কান্নায় আকাশের তারাদের খুজে ফেরে ।

আধেক হাসি আর কান্না ভরা অকেজো বেকার মন ,

 অপ্রয়োজনীয় ভীড় বাড়ানো মানুষটিকে,

ও পাগলভোলা ও আমার আধখানা রক্তচাঁদ ।

সকাল যেন হারিয়ে পাই উদাস আাকুল

ভুবনডাঙার মাঠ ভরিয়ে পাগলপারা ,

ভাঙা উঠোনে তুলসী তলায় আলোপিদিমে,

নেশায় ভরা আমার আধার আলোয় হাসা

তুই অতসীপ্রেম ওরে আমার রক্তচাঁদ ।।


। আলোআধাঁরে সুসকালে অনন্ত জীবন ।

কুল

 রাত আধাঁর নীরবে একলা কাঁদে,

ভোরের আগমনীর বিষন্ন সংবাদে।

নবআশায় জাগে পাখী,ফোটে ফুল,

এই কুল ভাঙে ,গড়ে ওঠে ওই কুল।


     

Saturday, September 12, 2020

সেই দিন

 জীবনের আরেকটা পাতা ঝরার দিন এলো যে,

মন কাঁদে রোহিঙ্গা দেবশিশু কিছু কি খেয়েছিস ?

গাছের ফল পঁচা জল, পুলিসের মার,

এই আঙ্কা, অতীতও একদিন পালিয়ে পুড়েছিল ,

পোড়া ঘর,পোড়া বই বেঁচে শালগ্রাম,শ্মৄতি ,

ছোট্ট শহর, রেঙ্গুন, পিউ ,দিক হারানো আাখের খেত ।

বেঁচে মরে আছি ,তোর সাথে মিলি কোন অবসরে,

ভালো থাকরে ।

।।তবুও শুভসকাল ।।

কামনা

 শিমুল ওড়াও তোমার শ্বেত চেতনা, কতদিন যে দেখিনে, 

তুমি কতদূর, কোন সে অচীনপুর,পথ কোথায় কে জানে।

 কামনায় সুচেতনা

কানাগলি

 এইদিন সেইদিন, প্রতিদিন ,কুপির আলোয়

 ভাঙা বেন্চে মন পোড়ে, সোহাগী লালে চা,


উঠোনমাদুরে আকাশগাথা জোনাকতারায়

কানাগলি, তুমি,আমি,খয়ে খয়ে মরাখাচা।

আমি

 আজ কাল নিজেকে মনে হয় বড়ো অপ্রাসঙ্গিক, অতিরিক্ত। 

Friday, September 11, 2020

আজ

 আজ সকালে হঠাৎ মেঘবালিকা ডাকে,

আকাশ কাঁদে ঝর ঝর ঝর ঝর ।

এক বুক বেদন বাঁশি বয়ে হারায়,

ঘুম ভাঙে, জাগে মনপাগল সেই মধুকর ।

 

Monday, September 7, 2020

দুগ্গা

 মা গৌরী 

  

আছি অপার আয়োজনে, মা আসছেন করতে হবে আবাহন,

তুমি তো শিবের সাধিকে ,তোমার পুজা,

তোমাকে তোমারই শরণ্যে ত্রম্বকে গৌরী নারায়ণী নমস্তুতে ।

তবু শ্রাবন্তী  দুগ্গা হলিনা,চলে গেলি,গৌরী মা তোমাকেও আমরা

লঙ্কাসুরের দল কোন অথৈ জলে ভাসিয়ে দিলাম,পুজো তো

মাকে করতেই হবে, বিপুল বিপুল আয়োজনে মা তোমায়,

,কোটি টাকার সোনার শাড়ি পরাব মা,এসি গাড়িতে বসে সিরাজের

বিরিয়ানি আর গোলবাড়ির কসা মাংস খেতে খেতে তোমায় মা

প্রণামে ভরবো,ম্যাডক্স স্কোয়ারে ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলে তরল করে মা

তোমার কল্পচিত্র আঁকবো ,গৌরী মা তোমারই পুজায় আবাহনে

বিপুলা পৃথিবী, তোমায় সাজাব যতনে গৌরী মা ।

আসবি আর ভেসেই চলে যাবি গঙ্গায় বা কোন আরবসাগরে

আমরাই দেবো ভাসিয়ে চোখের জলে।

এই পৃথিবী, এই বিপুলা পৃথিবী ,সত্যিই  তুমি পৃথুলা ।।


Sunday, September 6, 2020

ভোর

 জীবন মানে একলা চলা,

মনরে তোর জানলা খোলা ।

একটু চলা একটু পাশে,

দিন ভরে যায় সেই সুবাসে।

মনপাগলের এই কথামালা,

দুখসাগরে সুখের ভেলা।

চল ভেসে পার অরুপ সাগর,

আবার সকাল নতুন ভোর।

চলরে জীবনপথে চল মধুকর,

অমৄতলোকে, যুগ থেকে যুগান্তর ।

।সব্বার একমুঠো সুখের কামনায় শুভসকাল ।

সুশান্ত প্রেম

 সুশান্তপ্রেম  হেসোনা

সুবোধদা, অন্ধ চোখেও জাগে ভালোবাসা,

মারণঝড়ে ভাঙেযখন জীবন গড়ার আশা।


মুক্তঅঙ্গন অযতন ভরে বুনোলতা আগাছায়,

বুলবুলি ও তুলতুলি , হেসেই মরে আদুল গায়।


আকাশ টা যখন নিরুদ্দেশে যায় হারিয়ে,

ভালোবাসাই দেয় নিসঙ্কোচ হাত বাড়িয়ে।


ভাঙাবাড়ি. ছাদ, কার্নিশ জুড়ে  নয়নতারা,

গঙ্গাফড়িং একলা অবুঝ ,ছৌ নাচের মহড়া।


দরজাগুলো সব বন্ধ যখন নিষেধ প্রবেশে,

তুমি ওগো স্বপ্ন ভালোবাসা দাড়াও হেসে।


মেঘবালিকা লুকিয়ে ভেজায়  শহিদমিনার,

বয়সের সমানুপাতে বাড়ে প্রেম পাজি নচ্ছার ।


দৄষ্টি যখন ঝাপসা এবং দুই পা ওহ টলমল,

পানকৌড়ি ভালোবাসা সত্যি  অথৈ অতল।


তেলিনিপাড়া ঘাটে ইলিশ কেন,কিসের লাফ?

গুনীজন সুধীমন, ভালোবাসায় সবটাই মাফ।


https://satishacharya2018.blogspot.com

Saturday, September 5, 2020

কে

 পাগলমন মরেও চায় বাঁচতে,

হারায় তবু চায় ফিরে পেতে।

পদ্মপাতায় টলমল,

আশাটুকুই  সম্বল।

কড়া নাড়ি

মাধুকরী।

দৃষ্টি

বৃষ্টি।

সে,
কে?
!
?


Tuesday, September 1, 2020

তুমি

 ঝরা পাতায় পথের ধুলায় , তবু নতুন করে ভাবি,

আঁকি আলো ,আশা আর ভালোবাসার জলছবি ।

আকাশ খুঁজি উদাসীন সবুজে,নিঃশ্বাসে কানামাছি,

বন্দীবৃত্তে আলগাবাতাস, তুমি আছো, আমি আছি।

লুকিয়েই থাকি, সবকিছু শুকিয়ে যায়,রোজদিন একপথে তাই আর আসি, ভেঙেচুরে ফেলে ,হ্যা নিজেকেই ভেঙে একটা গোলাপী চিতা সাজাবো, তুলে আনবো হলুদ সবুজ সব বুনো ফুল,মালা গাঁথবো,একটু ঘুমিয়ে নেবো।

তারপর


Monday, August 31, 2020

সীমা

 সময় যে তুই কোথায় পালাস,কোন আকাশের নিরুদ্দেশে,

আমায় বুঝি গেছিস ভুলে ,সকাল বলে একটু হেসে ।

দুপুর ডাকে ,বিকেল ডাকে ,অঝোর সুরে অবুঝ ধারায়, 

পাগল বাঁধা শীত আর তাপনিয়ন্ত্রিত ঘরের মায়ায় ।

সন্ধ্যা অকপট বলে একটু মিলি আয় আঁধার সাগরে,

ক্লান্ত আমি ,শ্রান্ত আমি ,দৌড়ে ফিরি আপণ নীড়ে ।

জীবন খাতায় আজ দিনশেষের প্রান্তসীমায় 

Sunday, August 30, 2020

আশা

 মা তুমি, তুমি মা ,অপমান আর বর্জনের নিত্য পাওয়া নিয়েও

এনেছো আমায় এই বিপুলা ধরণী মাঝে অপার মায়ায় ।

জাগো অন্তরে জাগো ,দুর করো মা মনের আধার, 

আলো দাও ,সকাল হোক পাখির ডাকে সবুজ পাতায় ।

 ।।অন্ধ এই চিত্ত জাগরনের আশায় ।।

Thursday, August 27, 2020

সকাল

 ভুল মানুষের অরণ্য,আকাশমন তুই মেঘলা ,

কায়া যায় ভিজে বারিধারায় , কিন্তু ছায়া ।

অন্তর ভরে এতো কালি ,বৄষ্টি আয় এক পশলা ,

ভিজে যাক,সিক্ত হোক,রিক্ত হোক এ গান গাওয়া ।

 

যেতেই হবে

 একাই বসে থাকি, সকাল দুপুর রাত, আসবে কি তুমি?

আমি আর একা প্ল্যাটফর্ম।

তফাৎ যাও ডাক ভাসে,সরতে সরতে শামুকের খোলায়

অসহায় ভাঙা হৃদয়,চিতা তো সাজানোই,ও কুলের নীলমাধব ডাকে,কাল তুমি কি মনে রাখবে? 

Tuesday, August 25, 2020

অবিরাম

 এক মুঠো অভিমান, বুক ভরা বেদনা,

তবু বাঁচি পলে পলে একটাই জীবন ।

ঝাপসা চোখ,ক্লান্তি অমোঘ,কিসের খোঁজ,

পথ কোথায় ওরে আমার পাগল মন ।

অবিরাম লড়াই মনজঙ্গলে ,দুঃখনদে,

আলো খুজি নতুন ভোরে নিয়ত ,অনুক্ষন ।

 ।।সুপ্রভাত ।।

Saturday, August 22, 2020

একা

 মানব সাগরে জীবন যখন একেবারেই একা,

বেদন, রোদন , ভেঙে চুরে যাওয়া ,দুখপাখী করে দেখা ।

তবু নিয়ত আধার শেষে সকাল খোঁজে নতুন আলো ।

প্রাণসখা হে জাগাও অন্তর ঘোচাও আমার সকল কালো ।

 ।। সুদিন সারাদিন ।।

আকন্ঠ

 মনে হয়না একপাও  ঢোলকলমী সবুজ ঠেলে পেরেছি এগোতে,

পদ্মপাতার একপশলা,

আজ ও কেবল নোনাকান্নার আশ্বাস, ভেসে ওঠে বারবার পানকৌড়ি মন।

সেই আকাশটাকে টেনেহিঁচড়ে আদুল উঠোনে নিয়ে জোর করে বসিয়ে রাখা।

বদ্যিপুকুরে জল মরারক্তের চেয়েও কালো নিকষ,

এইখানেই পদ্মগোখরো বাসা বাঁধে, ভালোবাসে পালানভরা নীলাক্ত দুধে।

ঝরে পড়া বয়স্ক পাতা আর ঘাসফড়িং এর গল্প যায় ভেঙে।

জলছবি সেই তুমিই কড়া চুরুটের ভাঙা ধোঁয়ায়,জোনাক আলোর অনবরত ভিজে উঁকি ঝুঁকি।

 ভাঙা খাটিয়ায় বসে তবু মালকোষ, কার্নিশে ফুটছে নয়নতারা।

জীবন রে

 দেব - ব্রতকথা

আজ বাইশে অগাস্ট। পড়ার টেবিলে সারাটা বছর অক্লান্ত দাঁড়িয়ে থাকা কোনো এক ছবি ছাপিয়ে আরও ছবিদের পুনঃ প্রকাশদিন । ছবি মানে দৃশ্য , মানে সেপিয়া স্মৃতিবৃষ্টি । নস্টালজিয়া। যেমন- রাত সাড়ে তিনটের নিশুত প্রহর - রাসবিহারী এভেন্যুয়ের এক অপ্রশস্ত সবুজ শেওলা গলির শেষে ঘুপচি ঘর - টেবিলের ওপর ওষুধের শিশি সরানোর শিরশিরানি - হামানদিস্তায় পান চেঁচার অস্ফুট শব্দ  – নিস্তব্ধতা-প্রস্ফুটনের আগের মুহূর্ত - মালতীলতার হুলুস্থুলু - হারমোনিয়ামের ঝংকার - হৃদ মাঝারে সুর আগুনে রবি তপস্যা - নিরাশার সমুদ্র ছেড়ে পালতোলা পাখা - গ্রন্ডিগ মেশিনের মহাকাল স্পুল ঘুরছেন - দেবব্রত বিশ্বাস গাইছেন - চারা গাছ পুঁতছেন - রেকর্ড করছেন - যত্নে জল দিচ্ছেন - ভবিষ্যৎ গড়ছেন। যেমন ছাতা মাথায় ওই জীবন সায়াহ্নে পৌঁছানো অবসরি লোকটা : আহা কি নিষ্ঠায়, বিশ্বাসে গড়া - গাঁথনি , ঢালাই ভিজিয়ে দিচ্ছেন জলে। উত্তরাধিকারীরা - অনুসূয়া ,দীপকেরা থাকবে , বাঁচবে , বিপন্ন বিস্ময়ে খুঁজে পাবে আরো কিছু প্রাণের আরাম ছাতিম বিরাম আরও কিছু শিল্পী শ্রী দেবব্রত বিশ্বাসের গান। প্রতিবাদের স্লোগান !

'এক হাতে ওর কৃপাণ আছে, আর - এক হাতে হার/ও যে ভেঙেছে তোর দ্বার। / আসে নি ও ভিক্ষা নিতে , না না না- লড়াই করে নেবে জিতে / পরানটি তোমার ।

'কি বললেন - স্লোগান'?

'প্রতিবাদের স্লোগান। ওঁর একেকটি গান একেকটি প্রতিবাদের ভাষা , একেকটি প্রতিবাদের আগুন। নেমেসিস্। পঁচা ফুচকা , ডিজাইনার পাঞ্জাবি, জাবর কাটা , কবিগুরু সংস্কৃতির বিরুদ্ধে বারুদে ইস্তাহার।'

বলতে বলতে , মঞ্চ জুড়ে শত সূর্যের আচমকা ফেড ইন। বিরাট ওয়াইড এঙ্গেলে অনেক গুলো দেবব্রতর গুরুগম্ভীর, শতদল অনুভবে প্রস্ফুটিত কোরাস। ভালোবাসা,সূর্য আর তারাদের নাচিয়ে তোলার অনুরণ।

' না না না না না, মানব না , মানব না।'

'নবজীবনের গান।'

'দারুন অগ্নিবাণ ।'

'বটুকবাবুর স্মৃতিচারণ, 'লিখন সমগ্র - ১ ' :

একদিন দেখলাম মৃত্যু - অমৃতের সন্তানরা মরছে , যেন পোকামাকড়। মা মরে পড়ে আছে। তার স্তন ধরে অবোধ ক্ষুধার্ত শিশু টানাটানি করছে আর হেঁচকি তুলে কাঁদছে। এর প্রচন্ড অভিঘাত আমার গোটা অস্তিত্বকে কাঁপিয়ে দিলো। আমি চিৎকার করে বলে উঠলাম - না , না , না। অস্থির পায়ে দৌড়তে দৌড়তে হেঁটে চলেছি আর মনে মনে বলছি - উই ওন্ট আলাউ পিপল টু ডাই। মানুষের তৈরী এই দুর্ভিক্ষ মানব না , প্রতিরোধ করবো , উত্তীর্ণ হবো। হাত মুঠি করে আবার বলে উঠলাম - না না না। এই হলো শুরু। জর্জের ট্রায়াঙ্গুলার পার্কের বাড়িতে হারমোনিয়াম আর ধার করা কাগজ নিয়ে বসে গেলাম। সুর আর কথা , মনের বেদনা ও যন্ত্রণার রুদ্ধ উৎসমুখ থেকে ঝর্ণার মতো বেরিয়ে এলো।‘

রাজার দরবার থেকে দরবারী কানাড়া নেমে এলো মানুষের দরবারে। শুরু হলো নবজীবনের গান। । মানুষের জীবন-সংঘর্ষের পাশাপাশি দাঁড়িয়ে ,গামছা বেঁধে গলায় হারমোনিয়াম ঝুলিয়ে সহযাত্রী ,সংগ্রামী শিল্পী দেবব্রত বিশ্বাসের গান। প্রতিবাদের স্লোগান।

এস মুক্ত করো , মুক্ত অন্ধকারের এই দ্বার/ এস শিল্পী , এস বিশ্বকর্মা , এস স্রষ্টা ,/ রূপ-রস-মন্ত্রদ্রষ্টা। / ছিন্ন করো, ছিন্ন করো বন্ধনের এই অন্ধকার।

১৯৪৩- ৪৪ সাল। 'পথে পথে মৃত্যুর শঙ্কা '। বাঙালির সাংকৃতিক ছাদ ফুটো করে রবীন্দ্রনাথ চলে গেছেন। হেমন্ত মুখার্জি প্রথম গান রেকর্ড করছেন।রংপুরের শিল্পী বিনয় রায় গাইছেন - তোমার কাস্তেটারে / জোরে দিও শান / কৃষাণ ভাইরে। 'সোনার তরী' নয় 'মধুবংশীর গলি'র' পাণ্ডুলিপি , প্রত্যয়ের দ্বীপ জ্বেলে শম্ভূ স্বরে উচ্চারিত হচ্ছে হাঠে -মাঠে শত-সহস্র রাজনৈতিক সভায়। সঙ্গী বলতে - কবি এবং রবিন মজুমদার। বিজন ভট্টাচার্য ,ভারতীয় ভাষায় প্রথম গণনাটক 'নবান্ন' লিখছেন। এবং দেবব্রত বিশ্বাস , রবীন্দ্রনাথের গানের বিকৃত খোকন মার্কা গা এলানো , ধরো ধরো ভাব ঘুচিয়ে বাংলাদেশের মাঠে ঘাটে ছড়িয়ে দিচ্ছেন তার দৃপ্ত সারাৎসার। সংকোচের বিহ্বলতা নিজেরে  অপমান।

১৯৪৩- ৪৪ সাল। উপদ্রুত রাস্তায় নামলো মোহিত ব্যানার্জির উত্তাল বাংলা তর্জমা 'জাগো জাগো জাগো সর্বহারা'। বেরুলো পার্টির সাংস্কৃতিক ফ্রান্টের প্রধান ফর্মুলেটার সাধারণ সম্পাদক পি সি জোশির ফরমান : নিজেকে সশস্ত্র করো। ভোঁতা বেয়োনেট বা ভাঙা ব্যারেলে কি কাজ হবে ?' উচ্চারিত হলো পার্টির নির্দেশ - শিল্পীদের অলরাউন্ডার হতে হবে। নাচ -গান - বাজনা - আবৃত্তি - অভিনয় , সবই কিছু কিছু শিখে রাখতে হবে , যাতে কোনো একজনের অভাবে কাজ না-ঠেকে যায়, এবং সমগ্রতার সাধক , অর্থাৎ পুরো মানুষ এবং পুরো শিল্পী। হরিন চট্টোপাধ্যায় , বিনয় রায়ের নেতৃত্বে তৈরী হলো দল ' ভয়েস অফ বেঙ্গল ।' কলকাতা , দিল্লি , লাহোর , মুম্বাই ঘুরে তোলা হলো ১,২৫,০০০ টাকা দুর্ভিক্ষ পীড়িতের জন্য। শুধু রবীন্দ্রনাথ নয় তৃপ্তি, শম্ভূ, বিজন , বটুক , প্রেম ধাওয়ান,শান্তি বর্ধন , রবিশঙ্করের হাত ধরে আসমুদ্র হিমাচল পরিচিত হলো বাঙালির সৃষ্টিশীল সৃজনশীলতার সংগে। আর আদিষ্ট দেবব্রত বিশ্বাস ? তিনি প্রতিজ্ঞ মন রাখলেন  জায়গায় জায়গায় গিয়ে গান শেখাবার অভিযানে : হাওড়া ময়দানে রেলশ্রমিকদের , চাপদানি চটকল - মজুরদের , কালীঘাট ট্রাম শ্রমিকদের।

কথাগুলো বলতে বলতে আলেয়া সিনেমার পিছনের বাড়ির একতলায় , খালেদ চৌধুরীর চোখ ঝাপসা হয়ে এলো। শরীর খারাপ ডায়ালিসিস চলছে। শেষ বয়েসে আবেগের তালা চাবিগুলো কোথায় যে হারায়ে কে জানে !

অনুসূয়া অশীতিপর শিল্পীর সংগে কটা পছন্দসই ছবি তুলে , তাঁকে প্রণাম করে বেরিয়ে পড়লো। য়ুনিভার্সিটির ইলেকশন আসন্ন। কিন্তু কোর কমিটির মিটিঙে সে আজ যাবে না। বাড়ি ফিরে এলো। আয়নার সামনে বসে সিগারেট ধরিয়ে দেখলো তুমুল বৃষ্টি এলো বলে । পাশের বাড়ির মাসিমা শাঁখ বাজাচ্ছেন। জানলাগুলো খোলা দরকার।

'কি রে , কি হলো ?'

'কিছু না। '

'তাহলে।'

'ভাবছি।আমরা রবীন্দ্রনাথ শরৎচন্দ্র ধুয়ে আচমন করি কিন্তু এই আধুনিক ভারতীয় সংস্কৃতি , এই আজকের গান,নাটক,চলচিত্র এর ওপর ওই দামাল সময়ের, ওই গণনাট্য সংঘের সংগ্রামী শিল্পীদের প্রভাব কতটা গভীর , কতটা সুদূরপ্রসারী , সেটাই ভাবছি। আমরা এর কতটুকু জানি , কিংবা কতটুকু জানানো হয়েছে। নাকি এটাই ফ্যাক্ট যে নেতৃত্ব খুব সচেতন ভাবে নিজের মুখোশ ঢাকতে এইসব গুলিয়ে দিয়েছে। কোনটা ? কেন এই পর্বের ইতিহাস লেখা হয় নি ? বিশ্লেষণ করা হয়নি? ভারতীয় কম্যুনিস্ট পার্টির জীবনে তো সেই এক বার এবং দুর্ভাগ্যবশত শেষবার ধলেশ্বরী মাতলার ঢল নেমেছিল। তারপর থেকে তো সাম্যবাদী বৃন্দাবনে শুক সারির গপ্পো ম্রিয়মান। 'পটলডাঙার পাঁচালি' মুখ থুবড়ে পড়েছে 'পরমপুরুষ শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ'র চরণে।

আগামী প্রজন্ম কি শুধু দেবব্রত বিশ্বাস ক'বার কটা রসাত্মক বাঙাল ভাষায় রসিকতা করলো , মন্জুশ্রী চাকীকে মোটর সাইকেলে নিয়ে কোন কোন গলিতে ঘুরলো , ঘরের কোন দেয়ালে ম্যাডাম শ্রীমতি মিত্রের ছবি টাঙানো আছে , বঙ্গসংস্কৃতি সম্মেলনে কেমন করে সুবিনয় রায়কে বললো  - আমার হাতের লাঠিটাও অনেকের থিক্যা বেশি মেসকুলিন , শুধু এইসব দেবব্রত -প্রশস্তির ,মিথরঞ্জক পরচর্চার , হুজুগে আদিখ্যেতার নিরিখেই স্রষ্টার সৃষ্টির বিশ্লেষণ করে চলবে ? এসব করে আমরা তো আমাদেরই ঠকাচ্ছি, চেতনাকে অপমান করছি।

' আম কাসুন্দি নাটকও লিখছি '

'প্রগতির নামে রোদ্দুর রায়ের মতো সাংস্কৃতিক অভিশাপ কে বুকে পিঠে লালন করছি'।

'আজও তো স্টেশনে দুধের শিশু মায়ের মৃতদেহ টেনে নিয়ে যায়। আমরা সেদিনের সেই প্রত্যয় নিয়ে কেন লিখতে পারছি না - না না না/ মানব না মানব না। কোটি মৃত্যুৱে কিনে নেবো প্রাণপনে / ভয়ের রাজ্যে থাকবো না।'

'দায়ী কারা ?'

'নেতৃত্বে যারা। '

'আর আমাদের মতো শুয়ারের বাচ্চারা ?'

'সত্যকে জেনে,সত্যকে বুঝে,তবু মিথ্যেকে বিশ্বাস করি , যারা ।'

অনুসূয়া, দীপকদের মতো জর্জ বিশ্বাসও বুঝেছিলেন। তাই হেমাঙ্গ বিশ্বাস কে এক লম্বা চিঠিতে লিখলেন - গণ নাট্য আন্দোলনের ভিড়ে ছিলাম অনেক ব্যাপারে বিশ্বাস করে। ভেবেছিলাম গণ চেতনায় দেশকে উদ্বুদ্ধ করে দেশে বিপ্লব আনবো। কিন্তু বহু বছর পরে দেখলাম, গ্রাম গঞ্জে , হাটে-মাঠে , গান গেয়ে , 'শহীদের ডাক' দেখিয়ে আধ ইঞ্চিও প্রবেশ করতে পারি নাই। সুতরাং -জনগণ যেখানে ছিল সেখানেই আছে। খামোখা ভুল পথে গিয়ে পড়েছিলাম। নিজের ভুল স্বীকার করছি। আমাগো দ্যাশের লেনিনগুলি সত্যই সব ফলস।একদা আনন্দ নিকেতন এখন ধান্দা নিকেতনে পরিণত হয়েছে।'

সেই শুরু : বাংলা শিল্প সংস্কৃতির অন্তর্জলি যাত্রার ; 'বৈশাখী ঝড়' তুলে পার্টির ছাদনাতলায় শিল্পবাজারের কায়েমী স্বার্থ গড়ে তোলবার প্রচেষ্টার ; জানলা খুলে পর্দা সরিয়ে প্রশ্ন করবার :

হরপ্রসাদ: রাইত কত হলো ? উত্তর মেলে ন। চালাও আমি পিছনেই আছি। কাল সকালে গ্রামবাসীরা হতবাক হয় দেখবে জোড়া মৃতদেহ ঝুলছে।

ঈশ্বর: হরপ্রসাদ তুমি ?

হরপ্রসাদ: না। আমার প্রেতাত্মা। হেরে গেছি আমি। সর্বশান্ত। নড়ি , চড়ি , আছি ! বাজে পোড়া তালগাছ। প্রতিবাদ করেছিলাম। কার প্রতিবাদ ? কিসের প্রতিবাদ ? এখন হয়ে গেসে , একটা দেয়ালে দাম কইরা ধাক্কা খাইয়া একটা যাঁতাকলে অন্ধ হইয়া আষ্টেপৃষ্টে আটকাইয়া আছি। --- আসল কথা কি জানো ভাইডি ও প্রতিবাদই করো আর ল্যাজ গুটাইয়া পলাইয়া যাও কিছুতেই কিছু যায় আসেনা।সব লোপাট। আমরা সব নিরালম্ব, বায়ুভূত। আমরা মিটে গেছি।

হরপ্রসাদ মাস্টারের মতো বাজেপোড়া তাল গাছদের মধ্যে ছিলেন , দেবব্রত বিশ্বাস , জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র , মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় , বিজন ভট্টাচার্য , শম্ভূ মিত্র , ঋত্বিক ঘটক , কেয়া চক্রবর্তী ।বুর্জোয়া প্রগতিশীল শিল্প 'কল্লোল' , 'অগ্রণী কিন্তু অধার্মিক' এঁদের নির্মম ভাবে একা করে দিয়েছিলো। এঁরা একটাই প্রশ্ন শেষ অবধি ফেরি করে বেরিয়েছেন : কেমন সুন্দরভাবে জীবনটা শুরু করেছিলাম। এই ভাবে শেষ হওয়াটা কি উচিত ? এ প্রশ্নের জবাব কে দেবে ? কোন রুদ্ধসঙ্গীতের নাট্যকার ? কলুষিত সংস্কৃতির উঠোনে পুঁজির কৌশলী দাপটে আমরা দিশেহারা।

হায় কমরেড ! আজ রেড রোডে তুমি শুধু মুখোশ পরে সঙ্গীহীন নিষ্ক্রিয় প্রতিবাদের প্ল্যাকার্ড বয় ! হুনুমানের ছুঁড়ে ফেলা কলার ছীলায় দৈনিক পিছলে আবোলতাবোল ছড়া| কোনো 'ব্যারিকেড' গড়ে তোলার ক্ষমতা শেষ। সময়ের হাতে দ্বান্দ্বিক উপহাসের ভাঙা পাত্র |

কমরেড দাসগুপ্ত , ১৯৮২ সালে , ডিসেম্বর মাসে ছ দিন পরে আপনার মৃতদেহ যে শহর থেকে আনা হয়েছিল সেই রাজধানী বেজিঙে পঞ্চাশের দশকের গোড়ায় একদা কমরেড , দেবব্রত বিশ্বাস, কমরেড চু এন লাইয়ের বাড়িতে ফরাশ পেতে , খাতা পেন্সিল নিয়ে দু ঘন্টার ওপর রবীন্দ্রনাথ , সুকান্ত , নজরুল সংগীত শুনিয়ে এবং বুঝিয়ে এসেছিলেন। খবরটা নিশ্চই আপনার জানা ছিল। যেমন জানা ছিল আপনারা দুজনেই হাঁপানি রুগী , এবং ১৯৮০ সালে , ১৮'ই অগাস্টের সেই মহাপ্রয়াণের দিন , শিল্পীর মৃতদেহ নিয়ে যাবার জন্য আলিমুদ্দীনের কাছে বার বার বরফের জন্য দরবার করতে হয়েছিল। প্রথাগত বাম ডিগবাজি।

কমরেড আপনাদের এই উদ্ভট ট্রেডিশন বজায় ছিল ২০০৩ সালেও - সুভাষ কবি যে ৮'ওই জুলাই মারা গিয়েছিলেন। সততার অপ্রতিরোধ্য তাগিদ থাকলে বোধহয় এদেশে তালেবরা কমরেড হওয়া যায় না কিংবা হয়তো কিছুই হয়ে ওঠা যায় না। একে একে তাদের বুকে গোলাপের ক্ষতচিহ্ন নিয়ে চলে যেতে হয় আগুনের ঘরে।

জর্জ বিশ্বাসও জানতেন তাঁর এই ভবিতব্যের কথা। তবু তাঁর প্রতিজ্ঞ ইচ্ছা ছিল- মরণ হতে যেন জাগি গানের সুরে;যেমন ছিল রবীন্দ্রনাথের - এই কথাটি মনে রেখো , আমি যে গান গেয়েছিলেম। জর্জ বিশ্বাস আর তার রবীন্দ্রগান, হাবা কুমোর আর তার প্রতিমা ভাস্কর্য : দুজনের ক্ষেত্রেই ছিল , খ্যাপার চলতে চলতে  খুঁজে পাওয়া সৃষ্টির পরশপাথর। সে মুক্তকচ্ছ হয়ে লেজ কাটারা শিল্পবোধের অভাবের তাড়নায় যতই বাজারে লিখুক ' কার গান ? কার সুর ?' কিংবা ' রবীন্দ্রনাথ 'স্টিম রোলার' চালানোয়ে আপত্তি করেছিলেন , বস্তুটা বাস্তবিক কি , সেটা দেখে বা শুনে যাননি। আরও দুঃখ হয় , যখন তন্নিষ্ঠ যথার্থ কোনো রবীন্দ্র অনুরাগী শিল্পীকে চালকের আসনে দেখি', সে যতই মিউজিক বোর্ড ব্যক্তি- স্বার্থ রক্ষার নীতির কুয়ো তলায় ঘুরপাক খেয়ে , জানলাবন্ধ জারজ অগভীরতায় আটকে অপবাদ দিয়ে থাকুক , ' বেড়াল দুধ খেয়েছে, ভাঁড় ভেঙেছে , মুখ মুছেছে কাঁথাতে।'

কোনো আর্ট কলেজ নয় গঙ্গাপাড়ে এঁটেল মাটিতে হাত ডুবিয়ে হাবা কুমোর প্রথম গণেশ গড়তে শিখেছিলেন। কোনো বিতানে নয় জর্জ বিশ্বাস বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়া মাঝি মাল্লাদের সংগে চিৎকার করে ,ক্ষেত মজুর আর ভিখিরিদের সংগে গলা মিলিয়ে প্রথম গান গেয়েছিলেন। চাকরি করতে করতে ফিরে গেছেন সেই অন্ধ ভিখিরির কাছে , আবার আবার করে শুনেছেন - ওই নাম জপ বান্দা , আল্লাহর কালাম , লা লা ইল্লিল্লাহ তোর নাম। হাবা চাক ছেড়ে মাঝে মাঝে চলে যেতেন নিশিকান্তর মনোহারি দোকানে। অবাক হয়ে দেখতেন নানা রঙের পুতুলরা কিরকম কাঁচের বাক্সে হাসি খুশি দাঁড়িয়ে আছে। ওদিকে সাহা এন্ড কোম্পানির সাইকেলের দোকানে কলের গান চলতো আর সেখানে কিশোর গানখ্যাপা জর্জও আঙুরবালা , ইন্দুবালা নানারকম দেবীদের এবং কে মল্লিকের গানে সুরসিঞ্চিত হয়ে উঠতেন। গানের সঙ্গে আরো একটা যোগ ছিল: সে যখন দেবেন্দ্র ও অবলা বিশ্বাস দুজন বসতেন দু মেয়ে আর ছেলেকে নিয়ে সন্ধ্যা বেলায় দৈনিক উপাসনায়। জর্জের কাছে সেই আধ্যাত্মিক সুরের ব্রাহ্ম বন্ধন ওনার ভাষায় 'মানে একদম অত্যন্ত বোরিং ছিল ; ওই মা'ই গান করতেন সঙ্গে সঙ্গে আমি আর আমার দুই বোন কিছুক্ষন ব্যা ব্যা করতাম শেষ হলে পালিয়ে যাইতাম।' হাবা কুমোর জাতে সাঁওতাল ছিলেন। শেষ দিন পর্যন্ত হাঁড়িয়া খেতেন আর স্বকীয় দেশজ ঢঙে বাক্যালাপ করতেন। পুরস্কার বিতরণের ধোপ দুরস্ত মঞ্চে সবাইকার পাশে ,গালে খোঁচা খোঁচা দাড়ি এলোমেলো চুল ,বসতেন লুঙ্গি আর ফতুয়া পড়ে। আর সঙ্গে এক জোড়া আলাদা চোখ-কৌটোয় ভরে রাখতেন দিগন্তজোড়া চাহনি । জর্জ বিশ্বাস- আপনিও শেষ দিন পর্যন্ত জিভে জড়িয়ে রেখেছিলেন শিকড় শব্দ ব্রহ্ম, আপনিও এক মুখ দাড়ি গেরুয়া লুঙ্গি ফতুয়া হাতে লাঠি নিয়ে উঠেছিলেন সম্বর্ধনা মঞ্চে , আলোকিত প্রেক্ষাগৃহে মরা মনের ডালে ডালে তালে তালে নাচিয়ে ছিলেন সুরের আগুন । সে যেন ছিল ওই হাবা কুমোরের খোড়ো চালের নিচে প্রতিমার চক্ষুদানের প্রহরের মতো : যখন অনুভবের চোখ পেয়ে , চোখ ছাপিয়ে দৃষ্টি পেয়ে প্রতিমার অঙ্গে অঙ্গে জ্বলে উঠতো শত শত আলোর ঝলকানি; যখন অনুভবের আততিতে রবিব্রত কণ্ঠে রবীন্দ্রসংগীতের কথা , সুর ,লয়, তান, মাত্রা,ভাব,অনুভব বিধৃত হতো সুরের বিমূর্ততায়।

অনুসূয়ার বারান্দার আকাশে বৃষ্টি থেমে গেছে। মুখে এসে পড়েছে মেঘ ছেঁড়া আলো। চুল উড়ছে ভিজে বিলিকাটা হাওয়ায়। শ্যাওলা বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে জল। পাশে দীপক। দু হাতের তেলয়ে ফোস্কা। শক্ত করে কিছু ধরবার ক্ষমতা নেই। ডাক্তার অপেক্ষা করতে বলেছে।

অনুসূয়া: জানিস জর্জ বিশ্বাসকে মাঝে মাঝে মনে হয়ে ঋত্বিকের অযান্ত্রিক ছবির বিমল। অপরাহত তবু রবীন্দ্রনাথকে ছাড়েননি। ওনাকে বন্দুকে ভরে গেরিলার মতো ক্ষিপ্র ,দুর্বার গতিতে , সংস্কৃতির ঢাল বেয়ে নেমে এসেছেন, নরক-কলকাতার জন চেতনার মধ্যে। হি ক্র্যাশড ইন্টু আওয়ার কনশাসনেস উইথ রবীন্দ্রনাথ।

দীপক: মধ্যবিত্তের হৃদি - রাজপথে একের পর এক বোমা বর্ষণ। আকাশ ভরা সূর্য তারা , যে রাতে মোর দুয়ারগুলি , কেন চেয়ে আছো গো মা। মস্তিষ্ক ফাটানো - দুম !দুম!দুম!

অনুসূয়া: সংস্কৃতির সদ্য আগাছা শ্রীল রোদ্দুর রায়েরা শুনুন , আপনারা যাঁরা গলা ভারী করে মস্তিষ্কবিহীন দেবব্রত বিশ্বাস হতে চান তাঁরা শুনুন , আপনারা যাঁরা মাথায় গামছা বেঁধে রবীন্দ্রসংগীতকে নিয়ে নানা রকম আলতা আদুরী মিউজিক আরেঞ্জমেন্ট করে ওয়াই এস মুলকি-জর্জদা কম্বো করতে চান তাঁরা শুনুন, এই ঋষিজ শিল্পীর একটা নির্দিষ্ট দ্বান্দ্বিক সচেতন দৃষ্টিকোণ ছিল এবং আজও কালপটে ভীষণরকম আছে। সেখানে মধ্যবিত্তের মানসপট এফোঁড় ওফোঁড় করে জগদ্দল,বিমল,ঋত্বিক ,দেবব্রত,বিজন,শম্ভূ,জ্যোতিরিন্দ্র'রা আছড়ে পরার চরম মুহূর্তে বেজে ওঠে , অবরোহনের পর আরোহনের মঙ্গল শঙ্খ। সেখানে সজ্ঞান চৈতন্যে শিল্পী গেয়ে ওঠেন - যে রাতে মোর দুয়ারগুলি ভাঙলো ঝড়ে, জানি নাই তো তুমি এলে আমার দ্বারে। সেখানে মাথার হিসেবে কান শোনে , গলায় সর্গম খেলে।

দীপক: আপামর গিলেকরা শান্তিনিকেতনী বৈয়াকরণিকদের চরম অস্বস্তিতে ফেলে কাউন্টার- ন্যারেটিভ , ' মাউন্টবেটন সাহেব ও , তোমার সাধের বেটন কার হাতে থুইয়া গেলা ও ' , রেনোয়া'র 'দ্য রিভার' ছবিতে গাওয়া ভাটিয়ালি দিয়ে উপচানো লিপস্টিক পারফিউম জামদানি রবীন্দ্রসভা শুরু হয়। কিংবা লেনিন জন্ম শতবার্ষিকীতে যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে মঞ্চে উঠে চলতি - পেত্রোগ্রাদ থেকে ভোলগার তীর থেকে কমরেড লেনিনের আহ্বান , না গেয়ে , গায়ে আমার পুলক লাগে চোখে ঘনায়ে ঘোর গেয়ে ছড়িয়ে দিলেন চুম্বনে চুম্বনে শত হৃদয়ে তন্ত্রীতে রবীন্দ্র বারুদ ডোর।

সত্যই জর্জ বিশ্বাস বঙ্গবাসীকে বেঁধেছিলেন রবীন্দ্র বারুদ ডোরে। জনৈক নন্দদুলালের মতো বেলোতে হাওয়া মেরে কম্পাসের কাঁটার মতো মাথা দুলিয়ে লবঙ্গ ভালোবাসার আদুরী গোলাপ নয় , ওনার ' ভালোবেসে সখি নিভৃতে যতনে' পরিবেশনে , ঠাসা ভালোবাসার হৃদয় তছনচি বারুদ।

আমি কোনো মধ্যমেধা পুষ্ট মেরুকরণ করে মোহনবাগান ইস্টবেঙ্গল খেলতে চাইছিনা তবু এখানে ইতিহাসের পাতা পাল্টে উপযুক্ত ঘটনার একটা প্রেক্ষিতপূর্ণ দৃষ্টান্ত দিতেই হচ্ছে। বিশ্বভারতী আশ্রমের ভেকধারী সর্বজ্ঞরা যখন জেনেছিলেন শ্রীমতি সুচিত্রা মিত্র ,সলিল চৌধুরীর 'সেই মেয়ে ' গান টি গেয়েছেন , তখন তাঁরা শিল্পীর সামনে উক্ত গানের রেকর্ড লাথি মেরে ভেঙে , চূড়ান্ত শর্ত দিয়েছিলেন। ১৯৫০ সালে শিল্পী শ্রীমতি মিত্র আপোষ করেছিলেন। সাহস করে আর ফিরে যাননি কোনো সলিলসঙ্গীতে। দেবব্রত বিশ্বাস , বাংলার পল রবসন , কিন্তু সেই ছাতিমতলার স্বৈরতন্ত্রের মুখে তুড়ি মেরে গেয়ে গেছেন ' তোমরা যা বোলো তাই বলো' আবার 'যদি কিছু আমারে সুধাও ' কিংবা ' অবাক পৃথিবী ।' বারবার বলে গেছেন - কার কথা মেনে নোবো ? রবীন্দ্রনাথ - না , যাঁরা নতুন নিয়মগুলি করেছেন , তাঁদের ? আমাদের মাতামহীর আমলের জীর্ণ কাঁথা দিয়ে ঘিরে রেখে এবং পলতেয় করে ফোঁটা ফোঁটা নিয়মের বিধান খাইয়ে রবীন্দ্রসংগীতকে টিকিয়ে রাখা যাবে এমন কথা রবীন্দ্রনাথ নিজে কি ভাবতে বা বলতে পেরেছিলেন কোনোদিন?

অনুসূয়া: এই শোন আজ বাইশ। যাবি?

দীপক: কোথায় ?

অনুসূয়া: জর্জ বিশ্বাসের বাড়ি।

দীপক: ফিশ এন চিপস আর দার্জিলিং টি।

অনুসূয়া: জানিস উনি খাওয়াতে বেশ ভালোবাসতেন। রান্নাটাও যুৎসই করতেন। মাংস আর খিচুড়ি রান্না করতে করতে বলতেন - দ্যাখেন , মুরগির নিজস্ব একটা ফ্লেভার আছে। রসুন না দেওনের মতো, জল কম , হলুদ কম। দেখতে হইবো কষতে কষতে যেন সিদ্ধ হইয়া যায়।

দীপক: চল। খিদেও পেয়েছে।

তারপর ওরা দুজন পৌঁছে গেলো রাসবিহারী রোডের ট্রায়াঙ্গুলার পার্ক। একটু এগুলেই , সেদিনের সেই শ্যাওলা সবুজ গলির গায়ে আজ নতুন রঙের প্রলেপ , ঝলমলে আলো ; সেই ঘুপচি ঘর শীততাপ নিয়ন্ত্রিত , পাশাপাশি মাদুর কার্পেট ; কাঁচের দরজা ঠেলে , সেই লাল সিমেন্টের সিঁড়ি বেয়ে ওরা উঠে গেলো দোতলায়। কোথাও তেল চিটচিটে বিছানা নেই , লুঙ্গি নেই , খয়ের রঙের দাঁত নেই , 'ব্রোভোন' কোম্পানির ইনহেলার নেই ; সূক্ষ্ম শরীরী তাঁকে , ওরা দেখতে পেলো - গলা ছুঁয়ে নেমে আসছে মেঘ , হৃদয় ডুব দিয়েছে মানস সরোবরে , সুরলোকে বসে গাইছেন - রূপসাগরে ডুব দিয়েছি অরূপ রতন আশা করি ।

ওদের কথা শেষ। আমারও। রবীন্দ্র সায়রে হোক আবার দেবব্রত সিনান।

© দেবাশীষ গোস্বামী


Friday, August 21, 2020

আদুরী

 শরৎ সাজে গাছের পাতায়,

ফুলের মায়ায় পাখির গানে ।

আকাশ সাজে মধুর আলোয়,

প্রভু ধায় যেন মন তোমা পানে ।

 ।।শুভ সকাল ।।

Thursday, August 20, 2020

Second wife

 এক্রোপলিস মল থেকে উদয়ন


এক্রোপলিস সামনে বট,

অদ্ভুতুরে এক চিত্রপট ।

রঙবেরঙের মোহিনী মায়া 

মনের কি আছে ছায়া ?

আকাশ ঝরে ঝিরি ঝিরি,

পথ যে এগোয় তারাতারি ।

উল্টোদিকে চিনি কম

ফুটপাথেই পুরি ,আলুর দম ।

ভিজেই বসে সবুজ পাখি

ভাঙা ফোনেই ছবি আঁকি ।

একলা পথে বন্ধ খাম,

কিইবা আছে কোন সে নাম ।

সেকেন্ড ওয়াইফ দাড়িয়ে ডাকে

বিরিয়ানির গন্ধ নাকে ।

ঝোপের মাঝেই নয়নতারা,

কোন সে ডাক আকুলকরা ।

মুখ ঢেকে দেয় ধুসর ধোঁয়া

রমনী তুমি কি সে কায়া।

ভালোবাসার ব্যাকআপ,

মাথায় আসে প্রচুর চাপ ।

হঠাৎ পথে সোমেশদাদা,

কবিতা আমার ঘুমিয়ে কাদা ।


।।কাল সকালে পথে হেটে যেতে যেতে একটু পাগলামি ভাগ করে নিলাম ।।

ভোর

 এই সকালে আকাশ অকপট,

ফুলে ফুলে নিবিঢ় তুমি ঈশ্বর ।

সত্য হই ,অপার হই,সুন্দর হই,

এলো যে নতুন ভোর ।।

Wednesday, August 19, 2020

বাইশে

 আমার বাইশে শ্রাবন আমি একান্ত অন্তরালে একলা কাটাতে চেয়েছি , চেয়েছি আমার একলা চোখের জলে আমার বেদনা ,ব্যাথা , আমার অসম্পুর্নতাকে নিজের  সাথে ভাগ করে নিতে।এই  নিতান্ত অকর্মন্য অতিরিক্ত মানুষটা অনবরত ঘুরে বেড়ায় আপন খেয়ালে ,মাধুকরীতে  দিন কাটায়, কিসের যে খোঁজ নিজেই তো জানেনা । তবু চরৈবতি ।


এই বাইশে শ্রাবনে আমার যত পাপ যত অন্যায় যত ভুল সবটুকুর জন্য সবার কাছে আমার মাথা নত করে দাও হে । সব্বাই যদি আমার কালো ভুলে সাদাটুকু, যদি কিছু থাকে ,মনে রেখো, তাহলেই আমার মানবজনম সার্থক ্।


এই বছর এই দিন টা আমার দুখের ঝুলি ভরে দিয়েছে , আমি পরিপুর্ন । এই দিনে আমার মেঘদুত কে দিলাম আমার খুব কাছের আমার একলা আপনার  দুগ্গাকে অন্জলি শিউলি ফুলে।দুগ্গা ভালো থেকো।


                    আর


   সব্বাইকে বাঁধি মিলাই আপন সুরে


  স্বপ্নে কল্পে থেকো কাছে ,নয়কো দুরে ।


  আপন খেয়ালে গাই যে আমার গান,


  আহা  মরনরে তুহু মম শ্যাম সমান ।


সতীশ,satishacharya2018.blogspot.com

Sunday, August 16, 2020

আলো

 প্রতিদিন মরা,প্রতিদিন বাঁচা,

জীবনের এই বন্ধনডোর ।

আঁধার শেষে আলো ফুটুক

হোক আমাদের মনের ভোর ।

।।সুমনে সারাদিন ।।

Wednesday, August 12, 2020

ডাক

 ভোরের ডাক ওই শোনা যায়,

জীবন খোঁজে নতুন আশা আর আলো ।

অনন্তআলোক পথ ওই দেখা যায়,

পাগলমন তোমার অন্তরনয়ন খোলো ।


Monday, August 10, 2020

দুগ্গা

 শ্রাবন্তী ,তুই কেন দুগ্গা হলিনা ।

আমরা তো ক্লীব, তাদের কাছেই,

তুই তাদের কাছেই হেরে গেলি 

একলা লড়াই জিততে পারলিনা ।


আমরা তো মুখোশ পরে ঘুরে ফিরি,

সু কথার বন্যা ভাসাই,

ভালো মানুষের নাটক করি ,নাটকটা

তুই তুইরে কেন ধরতে পারলিনা।


এতো বড়ো খোলা আকাশ,

আদিম এই জঙ্গল,এই ঘন জঙ্গল

ছেড়ে তোর ডানা মেলে কেন

কেন রে তুই উড়ে গেলিনা ?


তুই ভালো ছিলিনা,

গুমরে গুমরে কাঁদছিলি

কেন কাঁদলি,কেন কাঁদলি?

কঠিন হয়ে খাঁচা কেন ভাঙতে পারলিনা ??

দুগ্গা দুগ্গারে...

Urankhatola

 ekta metho manush,otath keutake bollo, ei fanushe chorbi onek onek uchute akashe urte parbi,koto kichu dekhte parbi ,se beta chasa bollo kono dorkar nei hal chosi ,gaa er pothe ghure berai,golpo kori,dukkho,sukh bhag kore madhukori kori jibon kate anonde,eito besh,kintu porom mongalmoy er icchai take jor kore fanushe  chorie dilo,sabeki rajbarir pujoy fanush oranor moto ghotona  arki,kodin beta chasa moner anonde ghure beray akashe ,nicher monushgulo choto bindur moto lage,kauke chena jaina,sobbai koto dure ,kauke choa jaina,kintu fanushe tar besidin jaiga holona,  onno swajonra take  ektu kom chailo,othoba jaiga kom porlo,dhup kore porlo se ek jongole,ekhon pothe pothe ghure beray se, khoje purono juridar der,gramer bhanga barir uthone madur pete gaan gai,chobi dekhe ,chesta kore jibonke notun kore jante pagol,pagol jibon

জীবন

 জীবন সে তো লুকোছুপি,দিন রাত,যাওয়া আর আসা,

ঝরঝর একটু পথচলা, হাসি কান্নায় অভিমানী ভালবাসা।

Tuesday, August 4, 2020

মনে তো রেখো

শুভলক্ষী মনে রেখো
জীবন তো এক ছোট নদী
চলতে পথে মাধুকরী,
পরাণ ভরে সাগরপানে চাওয়া ।
আকাশ কেমন ময়লা রঙা,
 তারই মাঝে ভালোবাসাকে
 এতো আর কতো ভালোবাসা । 
বাতাস কেমন মুখভার তবু 
 নীল দিনে অন্য মনে,
বেদনে রোদনে এই শ্রাবণ
 শুকায় ,আবার পরাণও জুড়ায়। 
 সবুজ পাতায় বৄষ্টিকণায় ,
মন হারায় হয়তো বা 
কন্যামায়ের চাওয়া পাওয়ায় ,
ভালোবাসা মেলে ভালোবাসায় । 
চলতে চলতে জীবনভোর 
মেলে মন পিতার স্নেহে মায়ের মায়ায়
স্নিগ্ধ শীতল কোন ছাওয়ায় 
মেলে যেখানে পথ মেলে আকাশে
  সে কোন পাগল পথ হারায়
 তার তারই দুগ্গায় । 
কঠিন কথায় আঘাতে বেদনভারেও 
জীবন জাগে নতুন করে 
পথে প্রান্তরে নগরে কুটিরে
ভালোবাসার ভালোবাসায় 
শুভলক্ষী তুমি না ভুলে
  বুঝো কিন্তু অপার মায়ায়।

Monday, August 3, 2020

লিখবো কোন অন্যদিনে

লিখবো কোন অন্যদিনে

তুমি বলেছিলে, তুমিই তো বলেছিলে
আমাকে নিয়ে একটা কবিতা লিখো,লিখোই,
লিখো কিন্তু , শুধুই একান্ত তোমার আমার,
শুধু তোমার আমার ভালোবাসার 
ভরা শাওন ভরন্ত আষার ।

দুঃখ নয়, বেদন সে তো নয়ই, আঘাত
নয়, নয় কান্নাধারা. কেবল কম্পিত হাসনুহানায় 
ঝিরি ঝিরি হৄদয়ের গান, দুয়ে মিলে বসন্তরাগ,
যে যাই বলুক , অসীমে মিলাক সীমার রেখা,
সম্পু্র্না  আকাশ, অমৄত আধার ।

হলো যেটা,যখনই লিখতে যাই, টুকরো টুকরো মধু 
হাসিগুলো,ছোট্ট ছোট্ট তোমার রিনি ঝিনি কথাগুলো,
তোমার পাগলপারা এলোচুলের দুষ্টুমি সব টুকু,
তোমার গায়ের আগোছালো গন্ধের আকুলতায় ,উন্মনে আমি 
সব ভুলি,কিভাবে সাজাই,সব একাকার।

একটা কোলাজে সাজানোর, একই তারে বাঁধার চেষ্টাতেই
বেলা  যায় বয়ে, লেখনী খেলে লুকোচুরি , পালিয়ে বেড়ায় ,
দুই হাতে বুকের মাঝে যখনই আঁকড়ে  ধরতে চাই ,ঠিক সেই
বেলাতেই দিন পর দিন , যুগ থেকে যুগান্তর , সব ভুলে যাই,
তোমাতেই ,অথৈ দুই আঁখি তোমার।

তবু আমি চেষ্টাতেই আছি , বসে কিংবা দাড়িয়ে তোমার খুব খুব
কাছে থেকে , সব টুকু তোমাকে নিয়ে , আমাদের এক্কেবারে অন্য
ব্যাকারনের ভালো টুকু বাসার,  প্রেমের কবিতাটা লিখবোই , কোন এক 
উজানে একলা আমোদিত ভালোবাসায় ,চুইয়ে পড়া পড়ন্তবেলায়, পড়ো অবশ্যই
আমার অদৄশ্যময়তায়,মনে গেঁথো আমার কথা রাখার ..... 
 ভালোই তো বাসি ভালোবেসে।

Wednesday, July 29, 2020

বিজন ঘরে একলা ঝিঁঝিপোকার গান সব নীরবতা কোন সুরে মিলিয়ে দেয় । পথ চলতে চলতে এতো মানুষের সাথে আধো পরিচয় , সু আর কু অভিনয় । কত চেনা পথ বড়ো অচেনা বলে মনে হয় আবার অচেনা পথে হাঁটতে হাঁটতে মনে হয় এই পথে তো  কত বার এসেছি বসেছি শীতল ছায়ায় অপার মায়ায় । অবিরাম বারিধারায় প্রভু সব কালিমা মলিনতা ধুইয়ে দাও ।ছোট ছোট স্বপ্নেই তো জীবনের মালাগাঁথা,হাসিকান্নায় জীবনের কোলাজ ।ভুবনডাঙার মাঠে একলা শুয়ে আকাশ দেখা , একান্ত গোপন হৄদয়ের আশা ভালোবাসা দুঃখ বেদনা আকাশেই বিলিয়ে দেওয়া , আরো আরো বেঁচে থাকার , যে দিন যায় ফিরে পাবার কি আকুল আকুতি । বেলাশেষে গোধুলিবেলায় সময় তো হলো খেলাঘরের দুয়ার খোলার ।কতকিছু যা করার ছিল তা না করার অলসবিলাস ।মনে হয় এতো পথ পার হয়ে এসেও নবআনন্দে এই তো সবে শুরু পথচলা ।রাগ বিলাবলে কে যে নিখিল ভুবন ভরায়  ।।
হৄদি ভিজে যায়
কান্নাগুলো আস্টেপিস্টে বাঁধে ,চলৎশক্তিহীন,
অন্যায় গুলো তান্ডবনৄত্যে, ভীষ্ম শরসজ্জ্যায়,
পৄথিবীটা এতটাই লবণাক্ত, লোহিতসাগর পায়ের তলায় ।


ত্রিমাত্রিক চরিত্রগুলি এত নীরব বেদনাহত, অক্ষম
জীবন তবু ধুকপুক, হৄদয় কি চোখের জলে ভেজে,
ইন্দ্রিয় সবকটা একসাথে  একসুরে সান্ধ্যকালীন কোমায় ।

অব্যক্ত বর্ণমালা, জাগতিক চলাফেরায় যান্ত্রিক পুনরাবৄত্তি,
চিত্রসৄষ্টিকল্প তো অপরিপুর্ন, বাধ্যতামুলক গণনা পাতা
ঝরায় ।মৄত্যু তিলে তিলে আজ অথবা কাল অনন্ত প্রতিক্ষায় ।

অনুভুতি সব আবদ্ধ কফিনে,চক্রব্যুহে আবদ্ধ অশ্বথ্থামা
আর শরসজ্জায়িত ভীষ্ম একাকার ।কিছুই কি করার নেই ?
বোবা কান্না গুমরে কাঁদে, সুরহীন অসীম একাকী  মন্দিরায় ।

জীবন আর মরন  তীব্র আলিঙ্গনে , টুকরো আকাশটা ছোট
হতে হতে জরাগ্রস্ত বিন্দুসীমা । ভুলভুলাইয়া জাগে অট্টহেসে,
ভালোবাসা তবু জাগে বেলাশেষে, তুমি, তোমায় , আকাশগঙ্গায় ।

Tuesday, July 28, 2020

নয়নতারা
নয়নতারা নয়নতারা নয়নেরই তারা
তুমি তো অঝোর শ্রাবন ভালোবাসার প্লাবনধারা ।
কচি ঘাস সবুজ মুক্তোকণায় ভেজা ,
নয় প্রকাশে , অনুভবে ,নয় কলরবে
স্বপনে মধুভাসে নীরবে
জীবনে প্রতি পলে তুমি নীরা ।।
তুমি কোপাই আর তুমিই তো জলঢাকা
আজ উথালপাথাল আজ বেনিয়ম বাঁধনছেড়া
আপন ভুলে চিকমিক উথাল পাথাল  সবুজতারা
চোখের কোনে  ক্লান্তিকলস তবু লড়াই জীবনভোর 
দুগ্গা দুগ্গা তুমি তো দশভুজাই রাগ নটভৈরব ।
আপন ভুলে দুয়ার খুলে অবোধ অবনী পাগল
মনে তার শক্তিকবি কাঁদে, জাগায় সুবোধ
জাগে সুনীল, শঙ্খ বাজে
পাহাড় দিয়ে নদী কেনাই তবে হলো পাকা
নিয়নের আলোয় নয় কেরোসিনের ল্যাম্পে
অবুঝ সবুজ সবুজ ছবিই আঁকা ।

Sunday, July 26, 2020

অথৈ অতলে  দিন পর দিন  কেবলই তলিয়ে যাওয়া,
শুধু হেরে যাওয়া, মরনসাগরে  জীবনতরী বাওয়া ।
কেন বারবার  তবু কামনা ফেরার অবুঝ  মন বিহ্বল ,
ডোবে নাও,অক্ষম অব্যক্ত বন্যাধারায় আঁখি ছলছল।

।হায় মনমাঝি ,ডোবারই বাজি,হেরেই হারতে রাজি ।

Saturday, July 25, 2020

বাঁচি বা মরি কি আসে যায় , ক্ষতি কি তাতে ,
পৄথিবী  ক্লান্তিহীন , ঘুর্ণায়মান আপণ কক্ষপথে।
প্রশ্নের উত্তর মেলেনা, সাদাটে খালি সেই খাতা ,
অক্ষরগুলির উকিঝুকি ,অনর্থক চলমান স্তব্ধতা।
   
     সকাল কি যায় না আসে নিশা অবশেষে ?
নিরাপত্তাহীনতায় ল্যম্পপোস্ট আলো ক্ষয়মান,
কোথা মেলে আবরিত এক আশ্রয়নিথয়,
আনন্দ , বেদনা ,অপমান, একান্ত অহ্কার
,সবটুকু হারাই এসো প্রিয় হে কৄষ্নগহ্বর।

        । সকাল ও আসে রুটিনমাফিক।

Friday, July 24, 2020

একটুকরো আকাশ, দুগ্গা তুমি থাকো , জাগো, তোমাতেই বেঁচে থাকা ,
অলীক তবু জুই স্বপ্নে শিউলি কল্পে কাছে ভাসো, ফিনিক্সের নবউড়ান ,
পত্রলেখা তোমারই লেখনীমায়ায়,,,,,
।।হৄদি ভিজে যায় আধারআকুলতায়।।
একতারা, তারটি তোমার কেন যায় ছিড়ে বারবার  ফিরে ফিরে  ?
জীবন ভর এত পাপ, এত পদশ্খলন নিজেরে লুকাই কোন গভীরে ।
পরমপ্রিয় প্রভু হে  রহো সাথে.........

Wednesday, July 22, 2020

একটু ভালো লাগা অনেকটা মন্দ লাগা নিয়ে এই জীবন ।সুখমন্দাকিনীর খোঁজে ছুটে চলা ।জীবনের আনন্দ হতাশার গোলকধাঁধায় ভালোবাসায় মায়ায় বিরাগে অনুরাগে মালা গাঁথা ।আকাশের অশ্রুধারায় হৄদয়কাননে প্রাণ ফেরে নব নব রুপে ।বারিধারায় নবসবুজে কৄষ্ণকলি জেগে ওঠে ।ও চাঁদ তুমি মেঘের আড়াল ঠেলে সরিয়ে একটু হাসোতো ।সব কালিমা ভুলে একটু জাগি অনেকটা বাঁচি । পান্চজন্য মৄত্যু নিনাদে নয় জীবনের জয়গানে নিজেকে এই মানবসাগরকে মন্দ্রিত করো ।

Tuesday, July 21, 2020

আকাশ জুড়ে আগুন জ্বলে ,অথৈ সাগর মুচকি হাসে আজ এই বেলাশেষে,
বায়ুবনে জাগছে ঝড়,স্বপ্ননীড় কাঁপছে থরথর কি জানি কোন তরাসে ।।


নিভছে দিন,ঝরছে রাত, কান্নাগুলো একা একাই নিশুতি অন্ধকারে করছে জলখেলা, আমি যত্ন করে এ আকাশ ও আকাশ থেকে লুকিয়ে পাওয়া টুকরো টুকরো ভালোবাসাগুলো বুকের কোনে ,বনে সাজিয়ে রাখছি।
কাল রাত গহিনে চুপে চুপে বৄষ্টি হেসেছিলো,
আকাশ জুড়ে অপরুপে মধুর নিকষ কালো ।
গলে গলে কান্নাগুলো ভাসলো উড়ানভেলায়.
উঠোন  ভরলো জুই, বেলি আর হাসনুহানায় ।
বৄষ্টি তুই আবার এলি ,দিনভোর ও আঁধাররাতে,
থাক কাছে,প্রানের মাঝে,ভিজি আয় দুজনাতে ।
      ।ভেজা ভুবনে রাতের আলো ।

Sunday, July 19, 2020

মেঘমলহার
অবনীর আজ রাগ মেঘমলহার
যে গাছে সে জল দিয়েছিলো ,খুব খুব ভালোবেসেছিলো
সেই চাঁপায় দুটো শ্বেত শুভ্র ফুল ,সুবাসে মাতাল অবনী ।
সুমনে ধারাস্নানে সিক্ত দেহ মন, এতো পাওয়ায়ও  কেন রিক্ত  ।
স্বপনেই তো জীবন ।
দিবসান্তে ঘন আধাঁরে রবি কিরণ হয় একাকার
চায়ের দোকানে পেটরোগা বাচ্চা কুকুরের দল
বাঁচার লড়াই একটা বিস্কুট কিংবা দুটো
জানলাগুলোতো  বাইরে থেকে আটকে দিচ্ছে ওরা কারা
এই আঁধারে একটু আলো দাও ।
জলছবি, সবুজ আকাশ, তুলি আর ক্যানভাস
মন ভাসে দিন আসে রাত শেষে
জুঁইও ফুটেছে কত শত , বৄষ্টি অঝোরে ঝরে ঝরে
আকাশ আর মেঘবালিকার চিরন্তন প্রেমগাথা
কাছে কতো তবু কতো দূরে ।
তোমরা একটু দরজা খুলতে দাও , দাও একমুঠো আকাশ
একটু বাঁচতে দাও অবনীকে,
একটাইতো জীবন , বাঁচিয়ে ভাসাও ।।

Sunday, July 12, 2020

আলেয়ায় অন্যকাল
বাত্যমন একান্ত নির্জন, পাগল চিন্তন ,সুরে স্থবিরতা, পথ কিন্তু বৄত্তাকার ,
আপাদমস্তক মহাপ্লাবন,শঙ্খচিল,তটরেখা স্ত্রৈন উত্তাপে পায় শীতলতা ।
কফিনবন্দী গোলাপগুলো নিরুদ্দেশে কাঁটাগুলোর সাথে ঝগড়ার ব্যস্ততা,
শামুকজীবন উকিঝুকি ,বারবার ফিরে চাওয়া, অনন্ত লাল রক্ত রডোডেনড্রন ।

লেদমেশিন একই যান্ত্রিক ঘট্ঘট, অবদমনে  সুতীব্র অনাহার, তবুও কম্পমান
হৄদয়পিন্ড, অগ্রদানে মাথার ভিতর কেন্নো খোঁজ  চোরাগলি অনিমন্ত্রিত স্বপ্নসন্ধান
না স্বপ্নদহন. ধীর অথচ সুনিশ্চিত হেমলকে কালপুরুষের ছিন্ন কোমরবন্ধন.
স্মৄতিভষ্ট্র ধাপসিড়ি, দুর্বোধ্য বাক্যবিন্যাসে মোমজোছনায় চুম্বিত বিচ্ছিন্ন স্পর্শ অতল ।

সুদীর্ঘ অপরিচিত সহযাত্রিক অন্তপথ দিখন্ডিত,নিঝুমপাতার নৌকা নিতান্ত অপ্রয়োজনীয়
বিদায় সম্ভাসন ,মনহনণে নিঃশব্দ পুনরাবৄত্ত পরলৌকিক ক্রন্দিত উৎসব উদযাপনের
দীর্ঘ প্রস্তুতি, তবু বাধ্যতামুলক জীবনযাপন ।তবু রোদ্দুর আমোদিত সেই একই চেয়ারে
দৄষ্টি পুবে ও অন্য পশ্চিমে , জোনাকআলোয়  পুনঃশ্চ শেষরজনীর মহড়ার রুটিনমাফিক
যবনিকাপতন।
তবু একটি জীবন বাঁচা ।

Sunday, July 5, 2020

অধরা মাধুরী

মৃত্যুই একমাত্র অব্যয়, অনন্ত দাঁড়িয়ে যেন তালসারি।
মাথার মধ্যে আশাহীন ইষ্টুকুটুম বাসা বাঁধে।হচ্ছে না হবেও না,কলার ভেলা অথৈ জলে হারায় লখিন্দর।
আকাশের নীলে আকাশের বাসায় ভুল তারা
ইচ্ছেমন মন্দাকিনীর খোঁজে আকাশগঙ্গায় দেয়
ডুবসাতার ।
আর মৃত্যু মন দিয়ে বাসন মাজে ,ঘর সাফ করে,
বন্ধ করে খোলা জানালা উড়ে না যায়
 বন আর মনপাখি।
অচিনপুরের সবুজপাখি  দিক ভেসে হারায় অঝোর ধারায়
আগুনপাহাড় জ্বলে পোড়ায় পাতা ,পাইনবন, অন্ধমন খোঁজে মানসসরোবরে
বহ্মকমল ।
কি করে যে অবনী ভুলভুলাইয়ায় ঘুরে মরে
দরজাগুলো দমাস্ করে বন্ধ হয়ে যায় আলো আধারে কাঁদায় নিকসকালো
জীবনরেখা ।
তবু জীবন হাসে ।
রাত যায় দিন আসে ।
অধরা মাধুরী ।।

Thursday, July 2, 2020

অভ্যাসের দাসত্ব কিংবা  অভাবে ভেঙে জমা কান্নাপাহাড়,
উপায়ান্তরের বাধ্যত্ব অথবা আধারে রচিত নবসুরসম্ভার।
     

Wednesday, July 1, 2020

একটি সুখী গোলগাল নিরুত্তাপ জীবনকবিতা

ভাবনাবিলাস-
হাসনুহানার গন্ধটা যেন প্রবল থেকে হয় প্রবলতর,
যেন মৄত্যুর আগে পুরোটাই ভিজতে পারি
ইশ্বর আমাকে একটু সময় দিও ,শেষবারের জন্য
শুয়ে বা বসে কফি খেতে খেতে একবার ভুলে যাওয়াটুকু
যা হয়তো হয়েছে এতটা বেশী বাঁচার জন্য,মনে করার প্রচেষ্টা ।

ভুলভুলাইয়া-
একটু ঢুকু ঢুকু একটু ওয়াইন,
আমি তো শিওর আগাগোড়াই সোয়াইন ।
চোখে হ্যারিকেন জ্বলে,নয়নতারা আধাঁর চিরে
ভেঙচি কাটে,  একলা ফ্যাতারু ফ্যাত ফ্যাত উড়ে
ভুল মানুষের অরণ্য ,ওই পৄথিবী ।

ভাবনাবিলাস-
খোলা আকাশের নীচে হলে মন্দ হয়না, উত্তাপটা তো থাকবে,
যতটুকু পারবো চোখ মেলে ,দুগ্গা তোমার আলোয় যবনিকা পতন
টলমলে পায়ে যে স্বপ্নের খোঁজে অন্তরক্ষরণ, তারই বাস্তবের বোধন
হাজার বা লক্ষ হয়তো আরো অনেক বছরের আদিম জীবনপথে
চেনা অচেনা পাওয়া বা বেশী পাওয়ার আবহমান ফল্গুধারায় ।

ভুলভুলাইয়া-
একলা পানকৌড়ি , সশ্তার চোলাই গহিন গঙ্গায়
ডুব, ইতি উতি তাকায়, কি যে খুঁজে ফেরে,
পুরো পাঁকে ডুবসাঁতার , কাঁনাগলি,
যেদিকেই যাই ,পাতার পর পাতা ওল্টাই
ছানি দুটি চোখেই  শুধু লুকোচুরি ।

ভাবনাবিলাস-
দামোদর এপার ভাঙে গড়ে ওই পার ,কান্না গভীরতা বাড়ায়.
হন্যমান কালবেলা আগুন হয়ে জ্বলতে চায় দাসত্ব ভালোবাসার ।
চিতাটা যদি নদীপারেই সেজে ওঠে,শুয়ে জিরিয়ে নিয়ে
নদীর আলিঙ্গনে .ভাঙা হাটে সশ্তার বিকিকিনী ,অফুরাণ অবসর,
ভাটিয়ালী গানে তাল মদিরা কাল অন্য কেউ।

ভুলভুলাইয়া-
উজবুক জীবনে কিছুই তো ঠিক করে করতে অক্ষম,
ভদকায় ভরে মাঝবয়স নিশিকুটুম নিঘুম ।
ভন্ডামি ছাড়, তোর নেশা ভোর এক লহমায় ।
এতো ভিজেও গোটা মাতাল হতে পারলি কই?
খুঁজে ফেরা অমলতাসে সোনার রথ।

ভাবনাবিলাস-
সকাল থেকে রাতশেষ আমি জ্বলব, জ্বলে পুড়ে
মরবে আমার যত পাপ , সমস্ত ক্লীব নিঃশ্বাস, সময়
তো লাগবেই, পাপনাভিমুল কিছুতেই তো ছাই হতে চায় না।
ঝিনুকরঙা বায়বীয় আদুরে ছোয়ায় যন্ত্রনা মুলাধার সহ হবে
উৎপাটিত, উড়ব এদিক ওদিক অন্যভুবন ।

ভুলভুলাইয়া-
ভিখীরির বাচ্চা একটু টাকা ওড়া, হুইস্কিটা জম্পেস
সেই  ঝড়ে পড়া আাঁচলের মতো,
একঝটকায় ফুরতি কমপ্লিট ,পিচরাস্তায় গলাগলি,কিলবিল ,
পা দুটো এতো কাঁপে কেন রে ,হাতে ধর।
মনপাগল দারুবষ্হ্ম তরলতর।

ভাবনাবিলাস-
শেষ আবরণ টুকুও দান করে বা করতে বাধ্য হয়ে
রবিবাউল তোর গানে আমার চোখে দিস একটুকু
কান্না, চৌরাসিয়ার বাঁশীতে কানে অন্তত একবার
রাগ মধুবন্তী, চাওয়ার তো শেষ অথৈ সামুদ্রিক বনলতায় ।
পিদিমের শেষ , তৈলাক্ত দপ্ করে নিভে জাগা।

ভুলভুলাইয়া-
আহাম্মক, নাটক তোর মনে নেই যেন ?
ঘর অন্ধকার, ছায়াছবি ঘরঘর ঘরঘর,
বিয়ারের বোতল নিমেষে একশেষ
চুঁবিয়ে ভেজা আকন্ঠ সাগরসঙ্গম ।
দেওয়াল পলেস্তরা খসে পড়ে কাছাকাছি ।

ভাবনাবিলাস-
নরম মোম সবুজ এবরোখেবরো আলপথে
তোকে ছুয়ে আমি একবার কেবল একবারের জন্য
ঝিমধরা ক্যানভাস হবো । কারা সব পাশ দিয়ে
অথবা মাড়িয়ে দিয়ে এগিয়ে চলবে, নব জন্মাধার
হৄদয় নামক কল্পনাটি চলৎশক্তিহীন ।

ভুলভুলাইয়া-
জিন সুন্দরী  আমার,নেশা জমছে কই?
আহাম্মক, স্বপ্নটাইতো একলা জানলা ।
নরম শিমুল, চক্রব্যুহ,  তুলিকার উড্ডয়ন ,
একটু নেশা চড়াও নইলে বিষ দংশন ,
হিমশৈলচুড়া উত্তাপে গলনপিয়াসী ।

ভাবনাবিলাস-
আমার নদীটা.একান্তই আপনার সেই তো 
আজও বাঁচিয়ে রেখেছে,   শুকনো বুড়ো পাহাড়টাকে ।
তপ্ত দাবদাহ, বনতুলসীও শুকিয়ে মরে ।
আকাশটাই শুধু মাঝেমাঝে নেমে আসে, দুদন্ড দু এক কথার আদানপ্রদান এবং
নদী হাজার ঝড় ঝাপটা সামলেও কখন যে ভিজিয়ে দেয় শীতল মায়ায়।

ভুলভুলাইয়া-
রামেই ওং শান্তি নম শিবায়,
ডুবে মর ,তাতেই সব মুস্কিল আসান ।
জীবনটাতো মরুভুমি বানিয়ে পুরো বেকার,
তার কাটা সেতারটাও তো অসুরে ছাড়লি ।
ঘুরে মরিস্ জাকারিয়া স্ট্রীটের নিঝুম বারবেলায় ।

ভাবনাবিলাস-
নর্দমার পচা কালো জলে কেন্নোর মত কিলবিলিয়ে এগিয়ে চলা,
মাড়িয়ে দিলে বৄত্তাকার, একান্ত সংকুচিত, তবু টিকে থাকার এক অপরিমেয়
অক্ষম প্রচেষ্টা। কিছুই সম্ভব নয়, নিজের সাথে নদীর তীব্র মিলে যাওয়া ব্যতিরেকে,
বোধ সেও তো আর কোন ভাবে কাজ করেনা ,চলতে চলতে এক ঝিমুনি জেগে
ওঠে, আঙুলগুলো সব থেতলে গেছে, কেন্নোর রক্ত  কি ফিকে লাল ?

ভুলভুলাইয়া-
ব্র্যান্ডি খা থুড়ি পান কর,কোডারমায় পালা
শালা নক্শাল,বিপ্লব সব কোন নদ্দমায় চটকাচটকি ।
ভুত নেই ,ভবিষ্যত নেই ,বোকা গরুর গাড়ির হেডলাইট,
তল্পি গোটা ,গলায় বিষ ঢাল, মর ,মর, মরে বাঁচ,  ।
আধো কুয়াশাতেই একটু লুকানো চুম্বন ।

ভুলভুলাইয়া ও  ভাবনাবিলাস-
দেখা হয়ে গেলো ,একটি দরজা মুখোমুখি দুজনায়
শক্তির খালি উদার গলায় রবিঠাকুরের মরণরে তুহু মম..
দামোদর এগিয়ে আসে,আকাশ চুপ, দুগ্গা দেবী না মানবী ?
তোমার চালিতে যদি একটু জায়গা , মরুভুমিতেও ঝরণাধারা,
অসম্ভবে ইলেকট্রিক শক্ ,অস্তমিত নেশা, যে চন্দনগাছটা ছোটবেলায়
নিজ হাতে রোপন ,তারই কাঠ, রক্ত ঝরছেই, ছায়াদুটি একাকার,
স্বপ্ন,সুচনা, মুচকি হাসে মৄত্যু, আশ্রয়হীন, কাঠের বেন্চিটাও ভাঙছে।
শির শির দখিনা হাওয়া, চিতায় শুয়ে বসে জীবনের গান, অমৄত
আমৄত্যু ভালোবাসা, তমসো মা ... কফি এককাপ এবং এবং একটি অর্থহীন
ক্যকটাসের নীলাভ সহমরণ বেপথু হাসনুহানায় ।

Wednesday, June 24, 2020

আবদ্ধ চোখ,সারি সারি দৄশ্যপট ভাসে আপন খেয়ালে,
ভারাক্রান্ত একটু আলো, আঁধারে অন্ধকার ডানা মেলে।

ঝড়ে শ্রান্ত বটে অকবি বাসা বাঁধে কৃষ্ননগ্ন কোলাহলে,
সাথে একমুঠো শ্বেত আকাশ, নয়নতারা রূদ্ধ আগলে।

বাত্য ভালোবাসা গাঙচিল পৃথিবীর ঠোক্কর খায় জলে লবনফেনায়, নষ্ট হতেই থাকে আজ আর কাল সকালে।

সময় মরতেই থাকে,আলো আশা স্মৃতি ছেঁড়া আঁচলে
পদ্যকথা কাঙাল চোখে,তবু ফুল ফোটে শেষ বিকেলে।

Saturday, June 20, 2020

বাসি মনরুটি ফুটিফাটা ,অগ্নিস্নান  বারংবার,
হয় না নরম সহজপাচ্য,তৎসহ সম্পুর্ন জীবানুমুক্ত।
সকাল সেতো প্রতিদিন আাসে ,পিন্ডদানে অন্তরগয়া,
অনবরত প্রতিষেধক তবু ঝরে,ঝরে পড়ে পুজরক্ত।
বুড়ো অন্ধ কাক সযতনে পালন করে  দেহ পরানে,
রোগটির নাম অর্থহীন লড়াই কিংবা আদুরী মধুমেহ ।
ইতিউতি চোখ পিটপিট,সব সবই  নিকষ কালো,
অন্তহীন খোঁজ, কোথায় মেলে আগলহীন শান্তি গেহ।
 ।সকালটাই কেবল অবধ্য
অমৄত কুম্ভের সন্ধানে আলোর খোজে এই মাধুকরী ।যত ভালো লাগাতে আধারকে নিভিয়ে আলোকময় হয়ে ওঠা ।মনে আসে সেই ছেলেটিকে সে স্নাতকোত্তর বিদ্যাভাস করার পরেও বাধ্য হয় হকারি করতে কিন্তু ফিরে আসে করে অধ্যাপনা, ছোট্ট হয়ে মেয়ের সাথে বাংলার পাখি চেনে চেনায় আদিঅন্তহীন ইতিহাস ।মন ভরে যায় । সেই মেয়েটি যে বিচ্ছিন্ন হয়েও তীব্র আবেগে ভালোবাসায় ফিরে পায় প্রিয়জনকে ।চিত্ত বিকশিত করে দয়াময় ।সেই পাগল যে জীবন দিয়ে সব ভুলে রবিঠাকুরে নিজেকে করে বিমোহন ।আর সেই মেয়েটি যে কত বড়ো আমলা তবু সে গোপালপ্রিয়া ।মধুময় এ জীবন । সেই পাগল যে কিনা সারা দুনিয়া ঘুরেও ফেরে , বাগবাজারের বাড়ির মেঝেতে শুয়ে শীতল হয় ।ভবসাগরে এতো শান্তি । পথ এগিয়ে চলে ।ঔ যে দুহিতা যে সন্তানের দুরে থাকার বেদনা ভোলে অসহায়  কত জীবনের আলোকবত্তিকা হয়ে উঠে ।মহামানবসাগর ।বিপুলাপৄথিবীতে ওই দেবী যে তার সৄষ্টিকে মনের মতো অপরূপ করে গোটা জীবনভোর জবাব দেয় বিশ্বাসহীনতার । এই জীবনে না পাওয়ার মাঝেও এতো এতো পাওয়া. ঝোলা যে ভরে উপচে ওঠে প্রভু ।

Thursday, June 18, 2020

বাউল একাদশী

কত দশক পারাপার,
কোথায় এসে ভিজে ইচ্ছেসব গোল পাকাচ্ছে,
মন্দ বারাণসী?

সাক্ষী পেটমোটা চাঁদ ,
 রোজদিনই তো ভেজাভিজি আষাঢ় ও বেঁচে,
খুকখুক কাশি।

মিঠা ঝুটা পদাবলী,
কানে কানে এই সত‍্যিটাই চিৎকারে বা নীরবে,
নিজেকেই ভালোবাসি।

ভয় হয় মানতে তবু,
অকারণ ঝরা রোদে পুড়ছে,শিকলগুলো গাইছে,
দর্পণে মুচকি হাসি।

হাতল ভাঙা চায়ের কাপ,
ছেঁড়া থলে কাছে কাছে অবিরাম ঘুর ঘুর চক্কর,
চলাটাই বাণভাসি।

দেয়ালগুলো ভাঙা চুরমার,
আধখানা চাঁদে আঁধার, দর্পন  অবয়বহীন প্রতিকৃতি,
তেলচিটে বালিশ উদাসী।

চোখ অস্পষ্ট কায়াহীন
এলোমেলো ওড়ে ভোকাট্টা,লাটাই ঠোঁটে গাঙচিল,
যাই নাহলে এইবার আসি?

যাই।

Monday, June 15, 2020

জোনাকি
আশাগুলো কি আসে যায়ও কি
কত পিদিম তো ইচ্ছেনদীতে ভাসে
আলো আঁধারে কেউটে তার এলেবেলে বিষ ছড়ায় ।
বোকা ভবঘুরের সকাল বিকেল আর সবুজ রাত আকাশটাকে
সবুজ দুব্বোতে ভরিয়ে পাকদন্ডিতে পথ হারায় ।
কোঁচকায় চামড়া, শিরা ফুলে ওঠে,কালো সাদা ছবিটা
আরো কি নীল ?
কেরোসিনের ল্যাম্প জ্বলে নিভতে চায় ,
ফাঁদটা পাতাই তো আছে,সব মুখগুলো এক হয়ে যায় ।
জোনাকি হয়ে জীবনটা  জ্বলে নিভেও জ্বলে ।

ঝাপসা দুপুর আদুর গায়ে অবোধ ছেলে
হঠাৎ শিরশির করে কাঁদে দুখি মন ,
জোয়ারে ছোট ছোট ঝিনুক পরাণ
ভেসে যায় ধরে হারায় একমুঠো সুখ ।

Sunday, June 14, 2020

নিকষ কালো অন্ধকার বনভূমি,গাছে গাছে গালে গালে মৃত্যু বাসা বেঁধেছে।
আকাশের এই কোন থেকে ঐ কোন, নয়নতারা আকাশ জুড়ে  কান্না করে মধ্যমে।

Saturday, June 6, 2020

পারছি কই

কেউ কি পারো,যদি পাও, দাও না আমায় একমুঠো অন্য ধরার খোঁজ,
যাই না চলে সব ছাড়িয়ে,ভুলভুলাইয়া, যে পথে যাই রোজের পরে রোজ।
নব্য যুবক আমায় বলে হে জরাশক্ত অন্য কিছু দেখো ,অন্য কিছু ভাবো,
মাঝ বয়েসে কাঁপ ধরিয়ে জীবন বলে তোমায় আমি অন্য ভুবন দেবো ।
চালসে চোখ,সেই যে কবে ছেড়ে এলাম আরশিনগর,  ভুবনডাঙার মাঠ,
 সেই পলাশবন ,সাহেববাগান ,লুকিয়ে চুরি , বাঁশীর সুর , বন্ধ আজ কপাট।
দে দৌড় দৌড়,মাঠ পেরিয়ে,গ্রাম ছাড়িয়ে ,শসার ক্ষেত,রেললাইনে কানপাতা,
কিশোর প্রেম পাঁকা কুলে,কুন্দফুলে স্বপ্নময় কতই যে আবেশ মনমালা গাঁথা।
স্কুল পালিয়ে, এদিক ওদিক ইচ্ছে পাগলামি, বায়োস্কোপের পর্দায় উকিঝুকি,
বাবার   গল্পগাথা,গুরুর শাসন,এখন তো জলতুলিতে শুধু সাদা ছবিই আঁকি।
সব পেরিয়ে মনসবুজ ,দিনেরশেষে নীর ভালবাসা অপার , মায়ের বুকে ঘুম,
কোথায় সেই প্রানের পরশ, শুন্য সবই, অন্ধ কলম ,রাত একা বড়োই নিঝুম ।
নিকষ কালো অন্ধকারে এখন শুধুই আঁধার কামনা, আঁধারমৄত্যু ভালোবাসি,
ডুবেই যাই বন্যাধারায়, প্রানের পরে কি যে হাতরাই ,জীবনটাই বানভাসি ।
মুখোস পরি , চলি ফিরি,  চিন্তন সে তো মৄত, রঙ্গমন্চে কেবলই  মিথ্যা অভিনয়,
কি পাইনি তারই হিসাব,সবই গরমিল ,অঙ্ক মেলেনা কেন যে ,শবদেহ  গদ্যময়।
নব্য যুবা প্রশ্ন তোমার , খোঁজ অন্তহীন, অচীন পাখী কোন গহিনে ,উত্তর অজানা,
ইতিকথা ঝরাপাতায়,ঘুরেই ফিরি ,কোথায় যে পাই হায় সেই সকালের ইচ্ছে ডানা।
জীবন পোড়ে ছাই হয়ে যায় উধাও আকাশনীল,নিরুদ্দেশে সুজনস্বজন  স্বপ্ন হৄদয়পুর,
পথ দেখাও দাও না দিশা, ভাবনা এখন বিগত যৌবন, সেই মধুপুর কোন সে সুদুর।
 নব্য যুবা কঠিন প্রশ্ন তোমার....
চলছি মৄতপ্রান বইছি দায়ভার

Friday, June 5, 2020

কেড়ে নিচ্ছে আমার চোখ, বাউল গান, অগোছালো চলা,আর স্বপ্ন জীবন অথবা জীবনের স্বপ্ন দম আটকে আসা আসমানি চোখ।

চোখের ভাঙা জ্যোৎস্নায় খুঁজছি পাগলের মতো আমার সেই একলা জানালা, খুঁজেই চলছি আকাশ মেঘে আমার নিভে আসা মেঘবালিকা।

মেঘবালিকার আলতো হাতের এক পশলা ছোঁয়া, পাহারাদারের তারস্বরে  কালো চিৎকারে মরে মাথার মধ্যেকার সব স্নায়ু, ধমনী শিরা।

শিরায় নাচে কৃষ্নভ্রম,কলম হারায় লেখার অবকাশ, ভাবনাগুলো কেন্নোর মত কিলবিল করে ওঠে, অন্ধকার মৃত্যু তোমাকেই সঙ্গমকামনা।

Tuesday, June 2, 2020

সেই পুরোনো পথ । আবার সেই পথে মধুকর ।চলে থামা , থেমে খোজা ।
কত অচেনার ভিড়ে কিছু পুরোনো মুখ ।
ঝুলি ভরে ভালোবাসা কুড়িয়ে আবার এগিয়ে চলা । অতৃপ্ত নয়নে জীবনকে অনুভব করা ।
আমাকে প্রভু দ্বিতীয় জীবন দাও ।এতো ছোটো এক জীবন ,শুরুতেইতো শেষের বীণ বাজায়।

Monday, June 1, 2020

স্বপন নিতান্তই অলীক তবু এই জীবনেই জ্বলে,
রাতের আঁধার সেও ভোরাই আলোতেই মেলে।

অথৈসাগর নাও ভাঙে, সম্বল তুমি হে পরমপ্রিয়,
পোড়ে সবই,নাথ তব প্রেমে মানব ভুবন ভরিও।
মেঘবালিকা এলেই যখন দুখের পাথার দাও গলিয়ে,
সুখের চাদর গায়ে মেখে একফালি রাত যাই ঘুমিয়ে।

আদুরী আঁধারে প্রানে সুরে ভাবে গলাগলি,
লক্ষণ কেবল আঁকে বক্ররৈখিক চন্চলতা।
আলো খেলে লুকোচুরি,খন্ড খন্ড পদাবলী,
ঘাসফুল আর মেঘেলা আকাশে চুপকথা।
       

Saturday, May 30, 2020

পড়্ন্ত বিকেল মুখ লুকায় কচলানো চোখে
আপেক্ষিক জীবন অনবরত পন্চভুতের জানালায় উঁকি ঝুঁকি।
ইতিউতি ফিরে ফিরে জাগি ,ঝাপসা নয়ন,কেমনে ফিরি কুলায় ?
ভাঙা হাট,দিকশুন্যপুর,সুরে সাধি শিবরন্জনী , শ্রীদুর্গা সহায় ।
                            
এলো বেলা,মিলি খেলা,আগুন মন মরে ও বাঁচে,
ভাঙা সিড়ি,

Perhaps the World Ends Here

BY JOY HARJO
The world begins at a kitchen table. No matter what, we must eat to live.

The gifts of earth are brought and prepared, set on the table. So it has been since creation, and it will go on.

We chase chickens or dogs away from it. Babies teethe at the corners. They scrape their knees under it.

It is here that children are given instructions on what it means to be human. We make men at it, we make women.

At this table we gossip, recall enemies and the ghosts of lovers.

Our dreams drink coffee with us as they put their arms around our children. They laugh with us at our poor falling-down selves and as we put ourselves back together once again at the table.

This table has been a house in the rain, an umbrella in the sun.

Wars have begun and ended at this table. It is a place to hide in the shadow of terror. A place to celebrate the terrible victory.

We have given birth on this table, and have prepared our parents for burial here.

At this table we sing with joy, with sorrow. We pray of suffering and remorse. We give thanks.

Perhaps the world will end at the kitchen table, while we are laughing and crying, eating of the last sweet bite.

কতদিন পরে দেখা ,মনে পড়ে আমাদের সেই সখ্যতা ।মন উজাড় করে সুখদুখ ভাগ করে নেওয়া । ছোট ছোট আশা আনন্দ হতাশা বেদনার মালা দিয়ে ভেসে থাকা ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়া ।মানবসাগরের ভিড়ে বেচেঁ থাকার মানে খোঁজা ।কলকল কত কথা কত গানে বয়ে চলা । একা পথে নাওএর তিরতির পথচলা  ।গঙ্গা তুমি শুকিয়ে যেওনা ।চাঁদেরনগরে তোমার আমার যে মধুরমিলন জীবন সেই আবেগে আমাকে রিক্ত করো সিক্ত করো ।

Friday, May 29, 2020

জীবন পোড়ে ,চিৎআগুন জ্বলে,ছাই হয়ে কাঁদে বেপথু হৄদয়পুর.
তবু  অমৄতের জাতক শহরবাউল বাঁচে,তুমি রহো কোন সুদুর।
অনিমেষ অবিরাম চলে ফেরা কি মোহে ,পরশপাথর খুজেই ফিরি ,
ঝোলা ভরে যায় তব করুনায়,ধন্য আমার এই মনমধু মাধুকরী ।
 শুভ সন্ধ্যা

Wednesday, May 20, 2020

আছো তো
দাড়াস্ সাপটা একটু একটু করে বুড়ো হচ্ছে,
এখন আর নড়তে চড়তে বিশেষ ইচ্ছে জাগেনা ।
কেউ কিছু বলতে এলেই ভাল্লাগেনা একদম,
চুপ চুপ কেবল একলা ঘুম ,মেঘলা মন।

আবার দিন পর দিন দাবদাহ যেভাবে বেড়েই
চলেছে.গাছ ছেড়ে পাতা শুকায়, জমে পাহাড়
ধুলিধরায় ,জমছেই,ঔ পাতার নীচে এতো শীতলতা,
এতোটা আবডাল ,অদৄশ্যমান,বড্ডো একান্ত ।

টুকরো টুকরো স্বপ্ন মালা গুলো চাঁপার ঝোপে
মরা কাকের সাথে গলাগলি, বড়ো আবছা ।
সব চরিত্র মন্চহীন, পিচগলা পথে শ্থবির চলন,
হৄদপিন্ড কুড়ে পেট ফোলায় ঘুনপোকা, ছিদ্র বৄহদাকার ।

সাপটা পাতার ফাঁক দিয়ে বের করে একটু মুখ
দুরে কাগতাড়ুয়াটা একলা হাসছে হি হি,
কানে আসে আলুথালু মাঝবয়েসী ক্ষেমঙ্করীর বিড়বিড়,
রাতে নিকষেই তো আসাযাওয়া, আজ দুপুরেও কালবেলা।

আবার ফিরে শীতঘুম  ভরা গ্রীষ্মে , আলপথে সোনাব্যাঙ,
অল্পচোখের কল্পকান্না,মায়া মরীচিকা, শুকিয়ে ঘাস হলুদ।
বাতরোগের চিকিৎসে নেই, মুখ গুলো এতো অচেনা, গ্রাম
পুড়ছে,সাথে ঘাস, পাতা, কুন্দফুল, ফুটে ফাটা আকন্ঠ পুকুর ।

বেতো সাপ, দেখ , আগুন রে আগুনে হলুদ সবুজ একাকার,
বুড়ো বটেও উলঙ্গ হাত ,পা, দহনকামনায় উত্তপ্ত ছিন্নমুল
দেহআগার ।চিল শকুনের ভাবনায় ঝলসানো মাংসের
আবাহনে জীবনে মরণে সাপ নামক কেঁচোর ভীরু নগ্ন প্রস্থান ।

Tuesday, May 19, 2020

হঠাৎ কথাটা কান ভেজালো,' সুখ সে তো অলীকই হয়'।
 মনে পড়লো,
বোগেনভেলিয়া,সাহেব বাগান,
পিট্টুখেলা, বিনুনিতে হঠাৎ টান।

গাছের কুল,আধো কাঁটার খোঁচা,
আঁজলা ভরি, তোকে দিয়ে বাঁচা।

সাপলুডো,খেলায় আকাশ মাটি,
ফিরে দেখা,ঘুনধরা ভাঙা খুঁটি।





Sunday, May 17, 2020

দিনরাত্রির কাব্য

পথ একলাই রোদ  পোহায় আলসেমি  গোটা শরীর জুড়ে।

গাছগুলো হেলেদুলে মাথা নামায়,যদি একটু গল্পগাছা।

বায়ু ফিসফিস করে অবিশ্বাসী অথচ অমোঘ মৃত্যুর বোল তোলে।

গলার মধ্যে ফাঁসটা হয়ে ওঠে আরও কঠিন, তীব্র শীতল।

উইঙ্কেলের ঘুম ভাঙে, চোখ খোলে , ভিজে যায় ফোঁটা ফোঁটা মৃত্যু বৃষ্টি জলে।

 চোখ মেলে,বেনেবউ  মুচকি হাসে,চিল শকুন আর্তনাদে আকাশ জুড়ে।

ভাবনাগুলো সব পচে মরে, শ্বাস তালাবন্দী,
দায়বদ্ধ চেতনা ,মানবতা জমে আস্তাকুঁড়ে সযতনে।

অপঘাতে মৃত্যু  নাগরিক সমাজের ,ভাইরাস সে কান্না মোছে, দ্বিধা হীন।
সে  ও সব্বাই আয়েস ভরে ঠান্ডা ঘরে অখন্ড অবসরে।

লেখনীতে অমর কাব‍্যগাথা, ইতিহাস অতীত  খোলাখাতায়।

উৎসবের মৌতাত পলপল পেটপুরে, মুখোস খোলে মুখোসের সব আবরণ।

বসতবাড়ি আড়মোড়া ভাঙে ,সবই গত প্রায়, অন্তর্জলী অতল মহাসাগরে।

এক পা অন্য পা,পথের অনন্ত আকন্ঠ মদ্যপান একমুঠো ভাঙা চুড়ি,মহাকাল হাত বাঁধে,চোখও বাঁধে নাগরদোলার ছেড়া দড়ি দিয়ে,ডাকে অন্যভুবন।

দিকশুন্যপুরে একা উইঙ্কেল সব দ্বিধা ভুলে হাত ধরে পথের পায়ে পায়ে এগিয়ে যায়, বসত, জমিন,জীবন, মৃত্যু, মৃত্যু তো অন্য ভুবন।

হায়

যদি সত্যি সত্যি একটু পাগল হতে পারতেম। চলার পথে এই জনঅরন্যে কেবলই মুখোসগুলি হাঁটছে ,চলছে ,ফিরছে  , অন্তহীন অক্লান্ত অভিনয় ।আমি আমি আমি শুধু আমি, আমার সুখ, আমার পরিবার ,ছোট সুখী পরিবার, আর.. আরে আর তো কিছুর দরকার নেই ভাই ।তোমাকে ঠকাতে পারলেই আরেকটু বেশী সুখ ।তোমাকে টেনে পিছনে ফেলে আমি আরেকটু এগোই্। নিজেরই বিজ্ঞাপন প্রতি পল, আমিই সবথেকে উপাদেয় , অতীত- বর্তমান -আগামী  একটু কি অন্যরকম হতে পারেনা ?
সারাদিনের একই অভিনয়ের পুনঃ মন্চউপস্থাপন । নিজের ভুমিকা নিয়েই বড়ো চিন্তা ।সাঁঝবেলায় একান্ত আপন উঠান ডাকে অপার মধু সুরে ।আঁধার আকাশের সাথে গভীর গোপন ভালোবাসা, অশেষ কথামালা , রোহিনী, কৄত্তিকা, অনুরাধা, মৄগশিরা নেমে আসে রাত মজলিসে প্রেম বন্যাধারাস্নান । ভিজে যাই, সাথে চিরসখা রবিবাউল আমার ইশ্বর, জীবন এতো মধুর লাগে । সব পাওয়া না পাওয়া একাকার হয়ে যায় । দিনভোর যে মাধুকরী,রাতআঁধারে ঝোলা উপচে পড়ে ।রাতজোনাকআলোয় নিজের সব পাপ ধুয়ে যায় ।বেল জুই কামিনী আর হাসনুহানায় আমি মরে বেঁচে জাগি অপলকে।নিশি আকাশ জুড়ে আমার দুগ্গা হাসিমুখে ।
কখন যে ভোর হয়ে আসে ,জীবন বয়ে চলে, আজ আছি , কাল তো নেই ।

নীলকন্ঠ তুমি অচিন  বোবা সবুজ বনে ,
করাত কলে এখন শুধুই ডানা কাটছেই।
উড়ে কি আর পারবে পৌছুতে তীরে রঙ্গিত,
হাজার হাজার মাইল হাঁটা ক্লান্ত নিশ্বাস।
বন্দী মন চায়ের কাপে খোঁজে রুঢ় উত্তাপ,
লিখতে পারিনা ,তবু দেওয়ালে কাটি  কেবলই আকিবুকি।

অসহায় উদ্বাস্তু সময়কাল, ওরা গড়ে ওরাই মরে এই যুগ সেই যুগ , যুগান্তরে, আমরা মানুষ আকাশের নীল ছবি আঁকি।

Sunday, May 10, 2020

পথ একলাই রোদ  পোহায় আলসেমি  গোটা শরীর জুড়ে।
গাছগুলো হেলেদুলে মাথা নামায়,যদি একটু গল্পগাছা।
বায়ু ফিসফিস করে অবিশ্বাসী অথচ অমোঘ মৃত্যুর বোল তোলে।
গলার মধ্যে ফাঁসটা হয়ে ওঠে আরও কঠিন, তীব্র শীতল।
উইঙ্কেলের ঘুম ভাঙে, চোখ খোলে , ভিজে যায় ফোঁটা ফোঁটা মৃত্যু বৃষ্টি জলে।

 চোখ মেলে,বেনেবউ  মুচকি হাসে,চিল শকুন আর্তনাদে আকাশ জুড়ে।
ভাবনাগুলো সব পচে মরে, শ্বাস তালাবন্দী,
দায়বদ্ধ চেতনা ,মানবতা জমে আস্তাকুঁড়ে সযতনে।
অপঘাতে মৃত্যু  নাগরিক সমাজের ,ভাইরাস সে কান্না মোছে, দ্বিধা হীন।
সে  ও সব্বাই আয়েস ভরে ঠান্ডা ঘরে অখন্ড অবসরে।
লেখনীতে অমর কাব‍্যগাথা, ইতিহাস অতীত  খোলাখাতায়।
উৎসবের মৌতাত পলপল পেটপুরে, মুখোস খোলে মুখোসের সব আবরণ।

বসতবাড়ি আড়মোড়া ভাঙে ,সবই গত প্রায়, অন্তর্জলী অতল মহাসাগরে।

এক পা অন্য পা,পথের অনন্ত আকন্ঠ মদ্যপান একমুঠো ভাঙা চুড়ি,মহাকাল হাত বাঁধে,চোখও বাঁধে নাগরদোলার ছেড়া দড়ি দিয়ে,ডাকে অন্যভুবন

দিকশুন্যপুরে একা উইঙ্কেল সব দ্বিধা ভুলে হাত ধরে পথের পায়ে পায়ে এগিয়ে যায়, বসত, জমিন,জীবন, মৃত্যু, মৃত্যু তো অন্য ভুবন।

Wednesday, April 22, 2020


একলা আঁধার আকাশ জুড়ে নাথ হে তুমি,
কত কথা কানে কানে উন্মুক্ত হৄদিবাতায়ন ।
মুখোশ টেনে ছিড়ি,প্রিয়তম তোমারেই নমি,
উতল হাওয়া,অধরা অশেষ, অনিমেষ নয়ন।

আজ  ছাদে বসে তারা গুনতে গুনতে সত্যকামের চোখ দুটো অসীম ক্লান্তিতে জুড়ে আসছে,কোন কিছুতেই আর কিছু যায় আসেনা।
দিন রাত্রির কাব্যের আর অন্ত বলে কিছু নেই ।মাথার মধ্যে পোকাগুলো সব কিলবিল করে,ওরা বেরিয়ে আসতে যায়, তীব্র জ্বালা, পুড়ছে। খুব অবাক হয় সে ,কেন আর কিভাবে সে আছে, বেঁচে আছে?


সেই চন্ডিতলায় ফিরে যায়,আলপথ দিয়ে দৌড়ে দৌড়ে ,আছে সেই বটগাছ এখনও আছে,সেই পুকুর। কত ডোর বটগাছটাকে জড়িয়ে আছে,সত্য ও বেঁধেছিল। কিছু চেয়ে। যে দেবতার থানে সে শুয়ে শুয়ে দিনে দুপুরে কত  কিছু ভাবতো,স্বপ্ন দেখতো, সেটাকে একবার ছুঁয়ে দেখলো, এখনও সেই একই অনুভূতি,সেই আদরের ছোঁয়া।চোখ বুজে শুয়ে পড়লো, বুকটা ধড়ফড় করছে,কেন যেন দমটা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, আরও আরও নিজেকে মিশিয়ে দিল ভাঙাচোরা দেবতার আবছা লাল রঙা থানে। এক অদ্ভুত আবেশ। কল্পমায়ায় চলতে শুরু করে।
লাল মোরামের পথ বিকেলের আগুন লালে মিলতে চায় আকাশের সীমায় । পলক পড়েনা ।রাধাচূড়ার মোহমায়া রক্তচুড়ায় ।ঠাকুরথানে বসে দেখে আর শুনে আকুল হয় উদাস বাউলের গানে ।মরণরে তুহু মম শ্যাম সমান । কেন এই গান ?  দিনের শেষে অচিন সবুজ পাখি বাড়ি ফেরার চাওয়ায় হারায় গহিন গহনে ।

আর ওদিকে
আবছা আকাশ  একা তালগাছটা দাড়িয়ে আছে ।পাতা ঝরছে । কয়েকটা বাবুই এর বাসা দুলছে ঝুলছে ।পাখিগুলো যে কোথায় উড়ে গেলো । ভেজা মনে দাওয়ায় শুয়ে আকাশপানে তাকিয়ে আছে পাগল ।ঘুম নেই চোখে । শুকতারার সাথে একটু যে অসুখের গান গাথবে তার জো নেই ।মেঘের চাদরে শুকতারার মন ঢেকে গেছে ।কুড়ের চালে খড়পোকাগুলো শিরশিরানি ধরিয়ে দিয়েছে ।জীবনটা কোথায় যে লুকোলো ।অবনীর বড়ো ভয় এই রাতেই জলে ভেজায় বেল জুই। শুকিয়ে না যায় । অবনী অন্ধকারের যে একটা নিজের গন্ধ আছে তাতে নিজেকে ডুবিয়ে দেয়।জনগহনের সবুজে কত অবুঝ মন।কথার মালা এতো নীরবে সরব ।পাগল সেই ভিড় ঠেলে মরা ন্যাড়া ফ্যাকাশে গাছটার তলায় বসে বসে একলা ভাবে ।তুলসীর মঞ্চটা কোথায় যে হারিয়ে গেলো ,ভাঙ্গা প্রদীপটা পড়েই আছে ।কতদিন দেখেনি পিদিমের আলোয় মায়ের ভালোবাসা ।চলতে শুরু করে অচেনা পথে ।এলোমেলো ঘুমে আকাশের কোলে গাছের সার ।

অন্যদিকে
নীরা অখন্ড অবসরে একমনে সেই নীলাম্বরী শাড়িটা কাঁচি দিয়ে কাটছে। ওইটা দিয়ে একটা চুড়িদার বানাবে, মাথায় একটা ভালো আইডিয়া এসেছে।
ঠিক এই সময়ে হঠাৎ উল্টো দিকের  ফ্ল্যাটের জানালা পেরিয়ে বেসুরো চিৎকার ভেসে আসে।

'মৃত্যুময়তা আজ  টপ টপ করে সকাল থেকেই,
পিছল করে দিচ্ছে জীবনের ট্রামলাইন।
বুড়ো শালিক আহামরি আনন্দে,এখন ও টিকে তো আছে,
দানাপানি জুটছে দুটো,চারটে বা একটা।
ঝড়ে কলাগাছের পাতাগুলো ফালা ফালা হয়েছে,
একটা ফ্যাৎ ফ্যাৎ আওয়াজ কখনও জোরে কখন ও বা
ঘুমঘোরে।
মেঘলা মুখে  ভোর, দুপুর বা বিকেল সব একাকার লাগে। সবাই কোথায় যে ঘাপটি মেরে বসে আছে, শব্দ মিলছে শবদেহে।
উৎসুক নদীমন , অন্ধকার আবহমান।'

দুস্ , জানালাটা  বন্ধ করে দেয় নীরা,  এই সকালেই।  মোবাইলে হাত চলে যায়।








Wednesday, April 15, 2020

সুমনে

একটি বা অনেক  টুকরো টুকরো নিরাপদ,নিরুপদ্রব খাঁচা, স্বপ্নময়, আলগোছে আদরে।

একটি বৃত্তের সাথে আরো কোন বৃত্ত অথবা বৃত্তগুলির চুড়ান্ত অকৃতজ্ঞ সঙ্গম, মৃত্যু বা মুক্তি হাতের মুঠোয়।

অন্ধকার এক জানালা থেকে আরেক জানালা বাতাসের জমাট গাঁথুনি,রাগ বিলাবল আগুনে ভালোবাসা।

একদল গৃহপালিত কুকুরের সমবেত গণসঙ্গীতে শান্তি নামে এলোচুলে, দিন রাত্রির তফাৎ মুছে যায়।

সকাল হয়।


Sunday, April 12, 2020

অব্যক্ত কথামালা

সুর্য মধ্যগগনে স্থিত, আরেকটু সঠিকভাবে
বলতে গেলে মনে হয় হেলছে পশ্চিমপানে ।
উন্মুক্ত প্রান্তর, একলা দাড়িয়ে চারিদিক শুন্য
কোথাও কোনোখানে কেউ নেই,আকাশটাও
বড়ো একলা ।

মেঘ নেই ,বাতাস বড়ো শুকনো ,সবইতো দহিত
ঝলসে পুড়ে খাক হয়ে যাচ্ছে ।একলাই দাড়িয়ে
নির্জনতম কান্নাগুলো শুধুই বাস্পায়িত, সেই
মেঠো মন আগুন হাওয়ায়  সেই পাহাড়ের খোঁজে
আগলখোলা ।

সেই ন্যাংটা ছেলেটা টলোমলো পায়ে সেই গাছটা
খুঁজছিল, যেটা সে নিজের হাতে লাগিয়েছিল ,যাতে
আবার টলোমলো পায়ে একটু আরাম করে যখন  চিতায়
শুতে যাবে তখন যেন কাঠের অভাব না হয় একেবারেই
উড়ানখাটোলা ।

সব শীতলতাই তো একটু আমোদিত রোদ্দুর ফিরে ফিরে
চায়,কিন্তু  যে একলা দাড়িয়ে অন্তহীন উন্মুক্ত প্রান্তরে ,
 জেগে আছেতো ? খানিক আগে তো পালিয়ে মহুয়াবনে
আজলা ভরে মহুয়াফুল গন্ধে আস্বাদনে, ফিরতে তো হবেই
অণ্নিমধুশালা ।

চিল শকুনের দল উড়ছে ,ঠুকরে খাচ্ছে সততা,বিশ্বাস,
তীব্র দাবদাহে পবিত্র প্রত্যাশাহীন নীরব অনুভুতি গুলো
আড়াল খুঁজছে,তীব্রতর না মনে হয় তীব্রতম না পাওয়ার
অনন্ত কাব্যবিলাস। একলাই দাড়িয়ে পথভ্রষ্ট কেউ নেই ,
অব্যক্ত কথামালা ।

Thursday, April 9, 2020

বিশ্বাস, রাখি সযতনে,
 আধারে আলো তুমি পারিজাত।
যেও না থেকো কাছে,
হৃদি মাঝে আসুক না যত আঘাত।

Wednesday, April 8, 2020

পাগলী তুই এলোমেলো, আকাশগঙ্গায় ভৈরবী,
ডুবছি .কাঁদছি অমৄতসুখে ,ভিজে হৄদিজলছবি।
জাগছি  . গলছি ,হারিয়ে যাচ্ছে আমার সবই,
“The winds blow…
The lightning’s fall
The space overflows,
 এতো অস্থির হৃদি মন,সব এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে,পাগল হারাচ্ছে জীবন।

Tuesday, April 7, 2020

রাতসোহাগ
মৃত্যুকে রাখি ঢেকে , মদির আবছায়ায়,

  মায়া মরিচীকা,  ছেড়াজীবনের চাঁদর,

টুকরো টুকরো কাপড়ে মোড়া গড়াভাঙায়

রঙিন বেপথু আলখাল্লা , কেমন ওস্তাগর?

কত দিন কত বছর যে লাগে মৃত্যুর খুন

লাশকাটা ঘরে ,পোড়া স্বপ্ন আর ক্লান্ত স্বাধীনতা।

দম দেওয়া পুতুল বন্ধ শ্বাস,চলে ফেরে,ভাসে,

আরামকেদারায় চুমুকে অনাহারের ছেঁড়া খাতা।

বিপন্ন বিপ্লবআগুন মহাসিন্ধুর গভীরে অতলে,

দীর্ঘায়ু কাপুরুষে জাগে ক্লীব সুশীতল কামনা।

এলো ধানমাঠে সুযৌবন আড়মোড়া ভাঙে

এটো চা,ভাগে বিড়ি,পুড়ছে মুখোশ , কালোকান্না।

চাইনা চাইনা,ভরপেট ঘুম চাই উদোম বটতলায়
অবসন্ন একলা চড়াই উৎরাই।

Monday, April 6, 2020

আগুনের একেবারে মাঝখানে  এসে দাড়ালে
আর আগুন লাগে না ।
মাঝসমুদ্রে জল খেলা করে
ঢেউ পাগলামো ভোলে মাঝিকে ছাড়েনা  ।

Saturday, April 4, 2020

আমার উঠোন ভরে আঁধার ঝরে পড়ে অন্তরে,
সুখতারা তুই আয়রে কাছে থাকিসনা ঔ সুদুরে ।
মনের মেলায় মায়ার খেলায় পরাণভরে গল্প করি,
হৄদকাননে মধুপবনে বেয়েই চলি অমৃত স্বপনতরী।

জ্যেৎস্না কাঁদে,বন্যা হাসে ,জলঙ্গী চুলে কৃষ্ন ভারে,
দীর্ঘ রাত আমলকী বনে এক আঁধার নামে চুপিসারে।
  
পাখি ডাকুক, ফুল ফুটুক,ওরে আমার
মোমজোছনা থাকো তুমি আরেকটু কাছে।
কানে কানে আপন মনে এই পাগলের
অনেককথা  বেদনব‍্যাথা বলার আছে।


Friday, April 3, 2020


একলা আধার আকাশ জুড়ে নাথ হে তুমি,
কত কথা কানে কানে উন্মুক্ত হৄদিবাতায়ন ।
মুখোশ টেনে ছিড়ি,প্রিয়তম তোমারেই নমি,
উতল হাওয়া,অধরা অশেষ, অনিমেষ নয়ন।

আজ একলা ছাদে বসে তারা গুনতে গুনতে সত্যকামের চোখ দুটো অসীম ক্লান্তিতে জুড়ে আসছে,কোন কিছুতেই আর কিছু যায় আসেনা।
দিন রাত্রির কাব্যের আর অন্ত বলে কিছু নেই।


মনপাগলের  বিচার চলছে। তার পরিনাম ঠিকঠাক । শুধু হেমলক কখন কিভাবে দেওয়া হবে সেটা অনেক ভেবে ঠিক করতে হবে । কিন্ত  পাগলতো কথা শোনেনা । হেমলক আর অমৃতের তফাৎ বোঝেনা । জীবন বড়ো সুন্দর তার কাছে ফুল যে ফুটছে পাখি যে গাইছে। পাগলমন   চলে অন্নপূর্ণার মন্ডপে পুজো হচেছ যেথায় মায়ের । বিচারে তার কি আসে যায়।

পদ্মদিঘীর গহিন টানে মন জাগে সে কোন ভোরে,
অমলতাসে মিলতে চায়, পরাণ কান্দে  মেঘমল্লারে ।
           


দরজা, জানালাগুলো সব ভেঙ্গেচুরে দেওয়ার ঢেকে দিচ্ছে সবটুকু আকাশ। শ্রাবণ একলাই ভিজছে আজ এই পড়ন্তবেলায়। সারাজীবন আকাশ থেকেই ঝরে ঝরে পড়তেই থাকলো।

আজ উদয়বেলায় পাগল মনভরে গল্পমেলায় ভরে ছিল করবীতে অতসীতো কতদিন আসেনা ।কতযে কথামালা । হাসনুহানা মত্ত হলো তালভঙ্গতায় ।নীরব ভোরের ঘুম ভাঙ্গিয়ে পাগলের কানে এলো ঢাকের আওয়াজ ।চড়কের ঝাপ শুরুর সুর ।আজ রাজা হবে ফকির ফকির রাজা ।জীবনের আরেকটা পাতা ঝরার দিন এলো যে ।মাধুকরীতে আজ সারা দিন কাটে মানুষের মন খুজে কত যে মন কত তার রকমফের ।মনপাগল দিনের বিদায়ে যখন আকাশের তারাদের খুজতে বসে ভরাচাদ,পুণি্মায় ভরাযৌবনের গানে তাকে ভিজিয়ে দেয় ভরিয়ে দেয় জীবন এতো যাতনাবিধুর । পাগল আরো পাগলামিতে নিজেকে ভরিয়ে তোলে ।মনপাখি ভোলে তার উড়ান ।

পথের শেষ কোথায় ,পাগল মন কেইবা জানে,
উজানে না ভাটায় , নাও ভাসাই  কোন পানে।
শ্রাবণ হঠাৎ যেন স্বপ্ন ভেঙে চোখ মেলে।

কালচক্র অনন্ত অব্যয়,দিন আসে দিন যায়
জীবন জুড়ে যত অনুভব মেশে ঝরাপাতায়।

প্রখর তপনতাপে মনন চিন্তন সহজিয়ার মেঠো সুর কোথায় যে ভেসে যায় ।নিজেকে আলোকেরবৃত্তে ধরে রাখার কি কঠিন সংগ্রাম । পলাশ শিমুল করবী আর তো চোখে পড়েনা । সবাইতো মুখোসের আড়ালে।একটু যদি বাউল মন অসুর থেকে সুরে ছাতিমের আদরে একটু শীতলপাটির কোমল ছোয়ায় নিজেকে ভেজাতে পারতো ।

Thursday, April 2, 2020

বসত
অনেক সাধে গড়েছি ঘর আপনার
এক দেওয়ালে ইচ্ছানদী,আরেকধারে
ছোট্ট আকাশ,স্বপ্ন পাহাড় অন্যপানে,
বাকিটাতো দরজা জানালা মিলেমিশে
সব একাকার ।

মনভেলাতে ভেসে বেড়াই,হেথায় হোথায়
যেথায় খুশি ।আপন সুরে আপন
ভোরে নিজেই কাঁদি, ইচ্ছে হলে খানিক
হাসি ।আঘাত,বেদনা,যাতনা সবইতো
অরুপ অলংকার ।

ঘরের মাঝে গহিনবন সে মায়াকানন,
আশাতরু যে গল্পগাথে অতসীতে আর
মাধবীলতায়।স্বপনমুলে ,সুখশাখে ওই
আলোছায়ায় আঁধারতলে বাজাই
বাঁশী চৌরাসিয়ার ।

সবুজ সুরে গাই যে গান নীরার
কথায়,নয়নতারায় ।দুগ্গা আরাধনা ,
উপাসনায় আহা পরম ভালোবাসায়।
শিউলিপ্রেম আবিরে ,দখিনা সমীরে
খোলা হৄদয়দুয়ার ।

বাউলানী ঐ মাধুকরীর মোমজোছনা
লুকিয়ে রাখি অন্তরগৄহকোণে।পথ চলি
দিক ভুলি তবু নীরে ফিরি ।মেঘবালিকা
চিত্ত ভেজায় চুপকথায়,শহরবাউল একাই
আকুল ছিন্নতার ।

Tuesday, March 31, 2020

আগুনগুলান ভিজছে,ঘুম ভাঙছে সবুজ,
মন তুই কাঁদিস কেনে ,কেন এতো অবুঝ।

আজ আছি ,আগামীকাল হয়তো নেই,
ও আসছে, ডাকছে যাবে জীবন থেমেই।

অনিবার্য মোহন মরণ আজ সহজপাঠ,
আগল ভাঙে, ভেসে যায় ক্লান্ত চৌকাঠ।

ছোট ছোট প্রেম হৃদয় ছেড়ে ফুসফুসে,
শুন্যপথ ভরে আজ  রিক্ত শিমুলপলাশে।



Monday, March 30, 2020

পথ চলা পাগল পথভোলার । গহিন বনপথ ছাড়িয়ে জনবনে এই মানবসাগরে ।তার মনে পড়ে এতো এই বসন্তে দূগ্গার আবাহন ।যেদিকে তাকায় দূগ্গা নব নব রুপে ।জগতে সমাজে একলা লড়াই । আনত হয় পাগল । জীবন দিয়ে আলো দিয়ে করুণাধারায়  নতুন করে গ্রামের নাটমন্দিরে ফেরে জীবনের জয়গান গেয়ে ।মরণ নেই জীবনই মরণ অমৃতমন্থনে নীলকন্ঠ হয়ে ওঠা ।আমরা তো অমৃতস্য পুত্র ।
ইচ্ছে চড়ুই

রোদ  দুপুরে  উঠান ভরে
ছোট্ট  চড়ুই কান্না জোরে,
সব কেড়েছে ঐ ছাতারে।

আকাশ ছোঁয়া, উপায় নেই
দিচ্ছে উড়ান চিল শালিকেই,
ঘরের কোণেই   লুকিয়ে  রই ।

মাঝ পুকুর ভরা , ডুব সাঁতার
মাছরাঙা আছে ঐ চৌকিদার,
অভ‍্যাসে তাই  বাধ‍্য অনাহার।

কাব‍্যে আমার ভারি মজা
পোষাক ছেঁড়া,রাজা সাজা,
মাদল ওরে জোরসে বাজা।

আঁধার নামে চুপে আলগোছে,
চড়ুই  সবজান্তা  সবই বোঝে,
সাপলুডো জীবন তাতেই মজে।

Sunday, March 29, 2020

পলাশ,শিমুল, শিউলি,হাসনুহানা,আকাশ,পাখি,
আলের পথ,কথার কলি, সুখী কলম, আঁকিবুঁকি।
দ্রিদিম দ্রিদিম হাপর টান, কলম তুমি থেকো সুখী,
এক এক তারে মরচে ধরে,বানের জলে থাকাথাকি।

সকাল রোদের মায়ায়,স্বপ্ন মনে
অন্ধ আশা,ফুল ফুটেছে শীৎকারে ।

ভরা রাতের আলোয়, ক্লান্ত দিনে
পাগল মাদল,মাতাল আদুল ভীড়ে।

নিঝুম নদীর  ছায়ায় , বৃন্দ গানে
জলের ছবি, ভুলভুলাইয়া বৃষ্টি ঝরে । 

আকাশ  শব্দে হারায়, চন্দ্র বনে
বৃহন্নলা,মুহ‍্যমান রূগ্ন বোধের ভারে।

অঙ্গন মুক্তি হারায়, বধির কানে
নীলকন্ঠ, শুন্য আবর্তনে চক্রাকারে।

ইচ্ছে চড়ুই দরজায়, চিল শকুনে
মিলন, বন্ধ খামে জীবন ফুৎকারে।


Thursday, March 26, 2020

মরণরে
গোধুলির আগুন লালে লাল মোরামের
পাগল পথ মিলতে চায় আকাশের সীমায়,
উদাস বাউলের গানে আকাশ বাতাস সবখানে,
মরণরে তুহু মম শ্যাম সমান, উন্মনরক্ত্চুড়ায় ।

নীরা কিম্তু বলেছিল “আমার জন্য একটা
প্রেমের কবিতা লিখো” কিন্তু বৄষ্টি তুই
কেন আমার সাথে ভিজলিনা ? কেন
আমার অতলে গাভী হয়ে কাঁদলিনা ?

হয়তো বৃষ্টি নামবে অঝোরে পাগল করা
বেহুলা নদীর পারে একা একা ঝরা পাতা,
আগুনটা চিতার,জ্বলছে,পুড়ছে উড়ছে মন।
বৃষ্টি নামলেও চিতাটা মোম জোছনায় ভাসবে ।

নীরা তুমি বলেছ “একদিন আমি হবে আর
আমি তোমার বিবস্ত্র ক্যানভাস তুলিনয়ন”
গোটা চব্বিশটা ঘন্টা কৄষ্ন গহ্বরে দুঃসহ
নিদারুন একান্ত রক্তকরবী  মেঘমল্লারে।

দিনের শেষে অচিন সবুজ পাখি বাড়ি
ফেরার চাওয়ায় হারায় গহিন গহনে
ঝরা পাতা ফুরফুর উড়ানে, চিতায় না
মোম জোছনায় এই পড়ন্ত বেলায় অন্ধমিলন ।
লাগছে বেশ,একা তো নই,
সব্বাইকে এক একটা দ্বীপ দেওয়া হয়েছে।
মুক্ত অঙ্গন আজ প্রচন্ড দাবদাহে চৌচির ফেটে টুকরো টুকরো ।একটা করে আরশি ও দেওয়া হয়েছে , উদ্দেশ্য আত্মদর্শন।

অগ্নিহোত্রী প্রাণ ,মরা কাঠ কই,
জঙ্গলে যেতে তো হবে, সাথে একটা কুঠার আবশ্যক, ইশ্বর তুমি তো ভুলে গেছো দিতে। কত কিছু যে কাটতে হবে,ঝুড়ি ভরে আনতে হবে অহঙ্কার, হিংসা, মিথ্যা, সবেরই দাবদহন।

আকাশ খেলছে, উড়ছে চিতা খই,
ডাক পড়বে একে একে অথবা একসাথেই অনেকে,









Thursday, March 19, 2020

ভিজে রোদে আলো হাসছে,
চুপি চুপি কান্নাগুলো  কপালে ঘাম হয়ে জমছে,
পাগল বাউল খুঁজে ফিরছে জীবনের মানে।

ভাঙা মানুষ পথে হাঁটছে,
একা একা স্বপ্নগুলো মরাগাঙে চিল হয়ে উড়ছে।
কালের পুরুষ আঁধারে হারাচ্ছে অন্ধ উজানে।

দ্বীপ খন্ড খন্ড জল জমছে,
প্রাচীর বড়ো আরো বড়ো , আকাশ বাতাস ঢাকছে।
আলো গুলো ইতিউতি  শেষ হচ্ছে জোনাক জীবনে।



Thursday, March 5, 2020

বসন্ত বিষন্নতায় ভিজছে

 যখন মাঝগঙ্গায়,বড়ো ভয় হয় এই বুঝি হৃদয়খানি ভেসে যায় ডুবে যায় অতল মায়ায়।
ছলাৎ ছলাৎ আওয়াজ থামে, সব যে পথ  গলে কান্না বরফ, শেষের বাঁশী কোন কামনায়।

পথ চলতে চলতে একটা সময় আসে তখন সব দরজা রূদ্ধ হয়ে যায়,দিকহারা গান ভরিয়ে দেয় ভুবনডাঙা।
একলা দাঁড়িয়ে থাকি ইস্টিশনগুলোর মাঝখানে,
এঁকেবেঁকে হেলেদুলে রেললাইন মুচকি হাসে।

রোদ্দুর আশ্লেষে জড়িয়ে ধরে বিদ্রুপ ভরে তাকায়, বুকের মাঝখানটায়,দগদগে ঘা পোড়ে,আমি চিৎকার করে উল্লাসে  কেঁদে উঠি,অসম্পুর্ণ জীবনের সমাপ্তির নীলকন্ঠ কামনায়।

Wednesday, February 26, 2020

কলকাতার ফুটপাথ ভিড় করে বেপথু রুদ্রপলাশ,
বিদ্রোহী,হে মানবী তুমি কথা কও,জ্বালাও ঝরাপাতা,এ দেশে জীবন চিতা সাজাও শিমুলের।

রুইতন কিংম্বা ইস্কাবন  যাই হও না তুমি দরকার তো শুধু এককাঠি দেশলাই। কুড়ুলটায় চকচকে ধার,মানুষ কাটা নিতান্তই কাজ এলেবেলে।

মলের ক্যাফেটেরিয়ার কৌচে বসে কফিতে চুম্বন দিতে দিতে প্রতিক্ষার কিছুটা সময়,আমি নবরুপে। মৃদু ভলিউমে বিঠোফেন বা সাম্যের গান।

সুর্য উত্তাপ দাও আগুন চাই ঝলসানো,নৌটঙ্কি বৃন্দাবনে,দোল খেলব কুতুবমিনারের মাথায়, অট্টহাসি ছড়িয়ে দেব গলিতে,মহল্লায় , ভালোবাসায়।

কথামানবমানবী ডুব দাও চৌরাসিয়ায়।


Tuesday, February 25, 2020

তুমি কেন কবিতা লেখো ?
নিশ্চয়ই লুকিয়ে লুকিয়ে তথাকথিত অবৈধ প্রেম করো,না হলে হঠাৎ এই শেষ বয়সে এতো কবিতা কেন? আর কেই বা নেড়ে চেড়ে দেখবে যতোসব অখাদ্য, কুখাদ্য। লক্ষ লক্ষ কিলবিল বাঙালি কবি।

আচ্ছা বলো ,আজ তুমি কাউকে নিজের সব সবটুকু কি উজাড় করে বলতে পারো?
অনুচ্চারিত আবেগ,অনুভব সেতো থেকেই যায় মন সাগরেরর অতলে, নিভৃতে। স্বপ্ন না দেখে বাঁচি কেমনে। কাউকে তো বিরক্ত করা নয়,ব্যাসাল্ট বা গ্রানাইট পাথর জীবন আমার,লিখি লুকিয়ে, তুমি চিন্তা কোরোনা,যাবার আগে সব সব মুছে দিয়ে যাব।


Tuesday, February 4, 2020




নীরা
সেদিন আকাশে এদিক ওদিক এলোমেলো মেঘবালিকা, ভাসছিলো,খেলছিলো,হাসছিলো সরষে রঙে রঙিন।
তোকে আমি ভিজিয়ে কাঁদলাম,রাতভর একটা কথাই শুধোলাম,' কে ,কে তোমার মনমেঘবালিকা?'
বুনেছিলাম নক্সী কাঁথা একমুঠো অলীক স্বপ্ন দিয়ে অনেক অনেক যত্নে, সিঁদুর আলোয়,এমন ও তো ঘটে।

সারা রাত ভর দুচোখের আকুল ধারায় মুছে যায় আখর এর পরের আখর,নগ্ন ভালোবাসা ।সব ছেড়ে চেয়েছিলাম তোমাকেই  সব ব্যকারণ ভুলে,আকুল গঙ্গা ধারায় সব আগল খুলে তুলসী তলায় পিদিম জ্বেলে বসেছিলাম তোমার তোমারই জন্যে।
এলেনা ‌।
শিকল এলো, আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধল আমার হাত ,পা,মন আর হৃদয়টাও,আমি হলাম স্বেচ্ছা বন্দী ।

ভালোবাসলাম শিকলটাকেই, জীবন তো ইছামতি।

অবনী

হঠাৎ অনেক অনেকদিন পর বদ্ধ ঘর উঠলো কেঁপে,
কে নাড়লো কড়া?
তুমি ভালোবাসা এলে,দমকা হাওয়ার মতো, আমার কান্না এলো গলার কাছে,চোখ বুজে আমি দেখলাম আলো আমার হৃদয় জুড়ে, পাশে দাঁড়ালে আমি সেই লেবুফুলের গন্ধে স্নান করলাম অনেক অনেক দিনের পর।
এতো দিন যে কথা বলবো বলে আমার বুকের মাঝখানে সেই টিনের বাক্সে জমিয়ে রেখেছিলাম, খুলতে গেলাম ভুলে,সময় বয়ে গেল আনমনে, হলো না বলা।
জানিনা,এই সন্ধ্যা জীবনে আর কখনো অনুপ্রেমের কুল ভাসিয়ে আসবে না নাআসবে  কলমিফুলেল আমার ভালোবাসা।

পলে পলে আমার একলা দরজা খেয়ে ভুরিভোজে উইকালবেলা,মনটাও মরছে গোধূলি নয়নজলে,আছো কোন আত্রেয়ী নদীর বুকে কোন সাম্পানে, নদীর ও তো মরণ  জাগে।
প্রাণপণে চিৎকার করে খুলতে চাই দরজা,সব নিয়ম চুরমার করে তোকে চাই কিন্তু অসহায় কালবেলা,
কিচ্ছুটি পারিনা

কেবল ভালবাসা জেগে থাকে  বিচ্ছিন্ন দ্বীপে, মৃত্যু হীন।

অবনী আর নীরা

মুখোমুখি, নদীর বাঁক, ছলছলাৎ অপলক ভালোবাসা।
স্পর্শ হীন,বর্ণময়, পৃথিবীর আদি থেকে অন্তে প্রেম নিদ্রাহীন।

Tuesday, January 21, 2020

এবার আমায় যেতেই হবে নদীর ওপার পাগলীগণ্জ ,
অনেক পথের শেষে ক্লান্ত ধুলা মেখে উজাড় করা আকাশ আলোয় দেখতে হবে এই অনুভুতি হীন চির যৌবনা পৃথিবী, ওপার থেকে ওপার থেকেই।
সময়কে বকেঝকে দেব থামিয়ে,আমি অখন্ড অবসরে।

তোদের জন্য রেখে যাব একমুঠো আলুথালু ফাগূন হাওয়া, যদি পারিস খুলিস বন্ধ জানালা ও হাওয়া তোর শীতকাতুরে চোখে বুলিয়ে দেবে একমুঠো আদর।
যদি কখনও পিছনপানে একটু তাকাস দেখবি এই বুড়োটা ক্লান্ত বটের ছায়ায় বসে দেখছে তোদের স্বপ্ন।

দৌড়তে দৌড়তে যখন থামবি কোন পিজ্জা হাটে ,অনুভবে আমি তাদের জন্য ধরে থাকব আমার মায়ের  ভালোবাসায় গড়া পাটিসাপটা, তোরা যে খেতে বড় চাইতিস।ভাঙা ঘরটার দেওয়ালে হেলান দিয়ে ,যদি আসিস,শুনতে পাবি আমার বেসুরে রবিঠাকুরের গান‌।




Monday, January 20, 2020

আজও
হলুদ সবুজ সরসে খেতে খুঁজি আলো,
কিশোর মন,বাসন্তীপ্রেম ,মাঠেরধুলো।
অমৃতস্য পুত্র আমি খুজে ফিরি সেইমায়ের কোল,
বাবার উপাসনা গান,আকাশময় দে দোল দোল।

নিঠুর দেবতা, সেই তো মোছে  আঁধার নয়নতারায়,
নবরুপে মানবজমিন উদ্ভাসে মেলে আকাশগঙ্গায়।
 জীবন জাগে আনন্দে আবেগে ভালবেসে,
  তির তির মনতিস্তায় হেসে, ভেসে ভেসে।
     

Thursday, January 16, 2020

ঢোখে এখনো কেন ঢোলকলমি ফুল, বয়স তো নদী সরস্বতী , খুঁজে কি পাও?
আগুন কেন মরা চিতায় ধিকিধিকি, জলে তো জীবন উথালপাথাল,ভাঙা যে নাও।
উদাস পথ মাতাল নেশায় আকাশ তারায় বসত খোঁজ
বটের ছায়ে কি গান গাও?
ভাঙা বাঁশী অবুঝ সুর যাচ্ছে যাক সব হারাক শুন্য বায়ু
হলুদ সবুজ মন মেলাও।
আজ নয়তো হাজার বছর,জেনো থাকব আমি রইবে তুমি যতই ওগো দুরে যাও।

অমৃত প্রাণ।

Wednesday, January 8, 2020

কুলভাঙা ঢেউ  ময়নাডাঙায় এসেছে গো,
 মানুষ গুলান গান ধরেছে ভাঙা গলায়।

এই ঘর ওই ঘর কাঁপন জাগছে বুকে গো,
চাদর আরও কয়েকখান এই আদুলগায়।

ওগো আমার অষ্মিতা তুমি আজ বৃহন্নলা
 দিকহারা নিরূদ্দেশে ,ব্যর্থজীবন ভেসে যায়।

সারা হলো না কিছুই ,পালা হলো যে শেষ,
হে পরম প্রিয় এসো গো উদাস অন্তবেলায়।