ঝরা পাতায় পথের ধুলায় , তবু নতুন করে ভাবি,
আঁকি আলো ,আশা আর ভালোবাসার জলছবি ।
আকাশ খুঁজি উদাসীন সবুজে,নিঃশ্বাসে কানামাছি,
বন্দীবৃত্তে আলগাবাতাস, তুমি আছো, আমি আছি।
মাঝরাত বৄষ্টি অঝোর, ভিজেই আজ এই সকাল
ঘরে ঘরে দুগ্গা চোখে তোর এতো নোনতা জল ।
পুরুষকার ,গ্রামে নগরে প্রান্তরে আমরা তালিবান,
কেবল নাটক, আছে মুখোস সব্বাই ভরা জঙ্গল ।
ক্লান্তি চোখে ,মনহারেমে দেহজুড়ে মৄত্যুমিছিল,
প্রান কোথায় ? যে দিকে তাকাই শুধুই ফসিল ।
II মায়ের পুজো নাকি নয় বেশি দুর ,
প্রভু,দাও নতুন সকাল সু-ভোর II
ইসরাত
রাত আঁধারে সাঁঝবেলায় ফুটলো ক্যাকটাসে ফুল সাদা ,
এতো সাদা এতো আলো ,রুপসাগরে মা তুমি ।
বেতো ঘোড়াটা তাই দেখি গড়িয়াহাটে ব্রিজের নীচে
বসে দাড়িয়ে বোড়ে দিয়েই রাজাকে করছে মাত ।
ইসরাত তুমি কেমন করে নাড়িয়ে কাঁপিয়ে দিলে,
জগদ্দল পাথরটা ,ভাঙাচোরা দুঃখগুলো,প্রতিদিনের মৄত্যুগুলো,
মায়ের আবাহনে কি সুরে তুমি ভরিয়ে নিলে ।
কৌশিকিতে রাত সবুজ অবুঝ জোয়ারে ভাঙলে অচলায়তন ।
রেসের মাঠে আজ তো মখমলে ঘাসের আদুরে চাদর,
মনখোলা বাণভাসি দেবশিশু যখন মাকে মায়ায় ভরে বাঁধছে,
বুড়ো পেটমোটা মনিটারে লেখাগুলো যখন একেবারেই ঝাপসা,
অন্ধকার মন এই ভাঙা মসজিদের দালানে দাড়িয়ে,
অন্ধকার মন তোকে তালাক,তালাক,তালাক ।
এক্রোপলিস মল থেকে উদয়ন
এক্রোপলিস সামনে বট,
অদ্ভুতুরে এক চিত্রপট ।
রঙবেরঙের মোহিনী মায়া
মনের কি আছে ছায়া ?
আকাশ ঝরে ঝিরি ঝিরি,
পথ যে এগোয় তারাতারি ।
উল্টোদিকে চিনি কম
ফুটপাথেই পুরি ,আলুর দম ।
ভিজেই বসে সবুজ পাখি
ভাঙা ফোনেই ছবি আঁকি ।
একলা পথে বন্ধ খাম,
কিইবা আছে কোন সে নাম ।
সেকেন্ড ওয়াইফ দাড়িয়ে ডাকে
বিরিয়ানির গন্ধ নাকে ।
ঝোপের মাঝেই নয়নতারা,
কোন সে ডাক আকুলকরা ।
মুখ ঢেকে দেয় ধুসর ধোঁয়া
রমনী তুমি কি সে কায়া।
ভালোবাসার ব্যাকআপ,
মাথায় আসে প্রচুর চাপ ।
হঠাৎ পথে সোমেশদাদা,
কবিতা আমার ঘুমিয়ে কাদা ।
আমার বাইশে শ্রাবন আমি একান্ত অন্তরালে একলা কাটাতে চেয়েছি , চেয়েছি আমার একলা চোখের জলে আমার বেদনা ,ব্যাথা , আমার অসম্পুর্নতাকে নিজের সাথে ভাগ করে নিতে।এই নিতান্ত অকর্মন্য অতিরিক্ত মানুষটা অনবরত ঘুরে বেড়ায় আপন খেয়ালে ,মাধুকরীতে দিন কাটায়, কিসের যে খোঁজ নিজেই তো জানেনা । তবু চরৈবতি ।
এই বাইশে শ্রাবনে আমার যত পাপ যত অন্যায় যত ভুল সবটুকুর জন্য সবার কাছে আমার মাথা নত করে দাও হে । সব্বাই যদি আমার কালো ভুলে সাদাটুকু, যদি কিছু থাকে ,মনে রেখো, তাহলেই আমার মানবজনম সার্থক ্।
এই বছর এই দিন টা আমার দুখের ঝুলি ভরে দিয়েছে , আমি পরিপুর্ন । এই দিনে আমার মেঘদুত কে দিলাম আমার খুব কাছের আমার একলা আপনার দুগ্গাকে অন্জলি শিউলি ফুলে।দুগ্গা ভালো থেকো।
আর
সব্বাইকে বাঁধি মিলাই আপন সুরে
স্বপ্নে কল্পে থেকো কাছে ,নয়কো দুরে ।
আপন খেয়ালে গাই যে আমার গান,
আহা মরনরে তুহু মম শ্যাম সমান ।
সতীশ
তৃষ্ণা জীয়নকাঠি ,
যখন ঠিকানা আশ্রয় হারায় টুকরো টুকরো ক্লান্ত চোখের অনিমেষে।
পথবিলাসে স্থবির শালুক ফিরে চায় এক পশলা পাড়ি দেবযানে।
অসহায় পিদিম কেঁপে ওঠে নিমগ্ন কামনায়।
রাতচাদরে সকাল ঢেকে রাখি , তৃষ্ণা লবনাক্ত।
যে স্বপ্নগুলো রুয়েছিলাম পা ডুবিয়ে ভেজা বুকে,
আজ ডাকে নতুন করে ছিন্নমূল আধো আলোকে।
মনে হয় হয়তো বছর হাজার,
যে পথে হেটেছিলাম,
যে বটের ছায়ে
হয়েছিলাম শীতল সেই তো এই
আবার ফিরে এলাম ।
আবার যেন সকাল হলাম।
চিলেকোঠার মেঝেতে মুখ লুকিয়ে যদি পাওয়া যায় মাটীর একমুঠো সোঁদা ঘ্রাণ ।
সেই কত যুগ ধরেে শবর।
বৃষ্টি যদি আকশের মায়া কাটিয়ে ফেরে বুড়ো বটের শিকড় সঙ্গমের মুক্তপথে,যদি।
দিনভর একটা ভোতা ছুরি দিয়ে গরাদের জঙ ঝরানোর কাজে ব্যস্ত ছিলেম,না, সুন্দর ধপধপে সাদা পাঞ্জাবি পরে পতাকা তোলায়,লবন্চুস বিতরণে কেউ আমাকে ডাকেনি,বাতানুকুল ঘরে বসে দুলাইন বা চারলাইন কবিকথা লেখার অবসর পাইনি, গরাদের তালাটাতো খুলছেই না।
সকালেই মানুর সাথে দেখা হয়েছিল,বছর পাঁচেক বয়স, চটপটি,মার সাথেই বেরোয়,রোজ সকালে, আমাদের পাকা বাড়ির পাশেই বস্তিতে ওদের বসত।
আজ একটু আগেই বেরিয়েছে,বাবুর বাড়িতে সবার ছুটি, ভালো খাওয়া দাওয়া,মাকে একটু না অনেকটা গতর খাটাতে হবে,ওই বাড়ির মালকিন, সোফায় পা দোলাতে দোলাতে কালকেই বলছিল,মানু শুনেছিল।
মানু বলছিল, ফেরার পথে আজ এই দিনটায় ওর অনেক মজা,বাবুর বাড়িতে অনেক খাবার , রাস্তায় যেখানে পতাকা ওড়ে সেখানেই মিঠাই, লবন্চুস,মজাই অনেক।
ওর আকাশে নীল আকাশে পতপত পতাকা , ঘুড়ি,ওর ভালো লাগে, ওখানে বাপটাকে খোঁজে,পথেও,ওর এখনো মনে আছে ,বাপটা ওর ,মাটাকে লাথি মেরে,বছর তিনেক আগে কোথায় ? মনে আছে।
মাটির সোঁদা গন্ধ কি পাওয়া যাবে পাকা মেঝেতে,জ্যোৎস্না কি গল্প করতে নামবে হাজার লোকের ভিড়ে রেল কামরায়,এখন শহর গ্রাম হাজার মানুষের ভিড় প্ল্যাটফর্মেই তো , এখানে পা রেখেই তো একমুঠো ভাতের খোঁজ।
হে কবি,তোমায় কি নদী ফুলহার কোনদিন আদরে ভরিয়েছে? উঁচু বাঁধে খোলা আকাশ তলায় বসে লিখেছ মানুর হারিয়ে যাওয়া বাবার ইতিহাস তোমার শ্বাধীন লেখনীতে?
মাফটাই কোরো,এই পশুখামারের জঙ ধরা গরাদের আড়ালে থাকা মাটীর সোঁদা গন্ধ খুঁজে ফেরা পাগলটাকে,
সেলুলার জেলের সেই পাগলটাকেও মাফ কোরো ,যে আজো গাঁথে রক্তের করবী।
কালাপানির এলোচুলে যদি ফিরে পাই সেই নাও, একদিন মানুর হাত ধরে যদি ফিরিয়ে দিতে পারি ওর বাপের ঘেমো হৃদয় ,এই ৭৫ বছর বয়সেও খুঁজি গরাদভাঙা সেই জীবন নাও, যেখানে তুমিি,আমি,সে,তারা একসাথে ,এক ছায়ায়,খিদে একথালায়।
স্বপ্ন, কবিতা নয়, বিশ্বাসরেখা একচিলতে।
মাফ
জং ধরে গেছে পারছিনা,
কিছুতেই ছিটকিনি টা ,কেন যে...,
জানলার ওধারে ওরা ডাকছে তো
কেন যে এমন হয় ?সব থামে স্থবিরতায় ।
আয়নার সামনে অথবা কাঠগড়ায়,
কিংবা জেলের অবোধ কালকুঠুরীতে,
রাতআলোর অস্পষ্টতায় ,বুড়োটে চোখে
মনটাতো কোথায় কোন ডাস্টবিনে বা আদিগঙ্গায়?
স্বাধীন ভারত ১৫ই আগষ্ট,
একটু সেলিব্রেসান বা কোন উৎসব ।
বিজ্ঞাপনের চিৎকারটা এতোটাই অ সুর
অভিনয় খোলতাই হচ্ছেনা,প্রম্পটারটা যে কোথায় ?
কেরোসিন জ্বালায়,জংটাও....
টিকিটের লাইনে সেই ছেড়া মেয়েটা,
তার কোলে শিশু কান্নাভেজা মোনালিসা ।
পালিয়ে যাওয়া শেষশ্রাবণ জমিয়ে পালন দেশ স্বাধীন ।।
আজকের কর্ণ কোন শহর অরণ্য নিবাসী তা কেই বা বলতে পারে?এক নিমগ্ন একাকী জীবন। সুতপুত্র পরিচয়েই তাকে কালাতিপাত করতে হয় বিপরীত সব চরিত্রদের সান্নিধ্যে।অবহেলা আর বঞ্চনা তার অলঙ্কার আর নিজের অহঙ্কার।
কোন চরিত্র ও তার জীবন স্মৃতিরেখা এতো নগন্য ও সামান্য যে এই মহাবিশ্বে কালমন্ডলে তাকে চিহ্নিত করা নিতান্তই অসম্ভব। তবুও চরিত্ররা আপ্রাণ চেষ্টা করে বেঁচে থাকতে, লড়াই চালিয়ে যেতে। সেই লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন কর্ণ এই জীবন এবং অন্য জীবনে ও। যে দান এবং সেবা ছিল তার ব্রত সে ও কি ছিল ত্রুটি মুক্ত।যে জল তিনি দান করেন নি তাই তাকে পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে পক্ষ কাল ধরে সমর্পণ করে তর্পণে নিজেকে বিধৌত করতে হয়েছিল।
আমাদের এই কলুষিত জীবন,কোন অন্ধ আলোয় দিশা খুঁজে পাবে কে জানে? নিজেকে, সমাজকে ঠকিয়ে কোন নবারূনে আমরা পথের শেষ ল্যাম্পপোস্টের আলোতে নিজেকে খুঁজে পাব কে জানে? কেড়ে নিয়ে আপণ ঝোলা ভরার শেষ হয়তো সত্যি ই নেই।
তবু স্বপ্ন দেখা,যদি সব হারিয়ে,কোপাই তোমায় মেখে সাম্যনগরের ভুবনডাঙা ছাড়িয়ে কালোর দোকানে এককাপ মুক্তি চায়ে চিৎকার করে বলতে পারতাম এই কালো পৃথিবী আমি চাইনা, চাই একচিলতে আমোদিত রোদ্দুর ভাগ করে তুমি আমি সব্বাই ফিরে দেখতে আপন আপন জীবন স্মৃতি রেখা,সেও একচিলতে।
মেঠো গেরামের দিন রাত।আলপথ, কাদাফুটবল, গভীর সাহেবদের ভুতবাগান, গহিন দিঘির জলে চাঁদের ডুব সাঁতার, ভোকাট্টা ইচ্ছেঘুড়ি।দিন তো বয়ে যায়,শহর ডাকে। শহর বনে আলোর আঁধার। মেঠো মানুষ একলা শাওন,নীরব ছেড়াখাতা।পথভোলা।মাধুকরীর ভাগিদাররা নিরূদ্দেশ। হরেকরকম মুখোসে ঢেকে আছে উদার আক্রান্ত আকাশ। কয়েকটি মুখোস বলল চল তোকে ফানুসে চড়িয়ে দেখাবো আকাশ ওপারের আরশিনগর। লোভ সামলানো গেল কই। অদ্ভুতুড়ে তাসের দেশ।রুইতন,চিড়িতন,ইস্কাবন যা মনে ভাবে বলে তার বিপরীত,এটাই সে আকাশদেশের নিয়ম, পাগল হাসি গেল মুছে,দিন বয়েই যায়। দমবন্ধ ইছামতী।
হায়,এ দিন ও হঠাৎ অবশেষে। মন অপসন্দ,দে ধাক্কা,মেঠো মানুষ ধরাতলে,গেরামের মানুষজন সেই পাগলকে অবিশ্বাসে দেখে। ব্যাটা পাগল নিজের সাথেই বকবক করে,তার হাসিভরা মাধুকরীর ঝোলা খুঁজে বেড়ায়। ভাঙা বেন্চের মাটির খুড়িতে একচিলতে উষ্নতা ।
আজকাল মুনিষের কাজ, চারিদিকে উঁচু উঁচু দেওয়াল,এই মানুষ খামারে একমাত্র মুনিষ।পথ কি বেঁচে আছে,কাল কোথায় কে জানে?
মরণ রে তুহু মম শ্যাম ,মম সাই ,আমার মুর্শিদ,মরা মানুষটি খুঁজে ফেরে হারানো ঝোলা মাধুকরী।
পাগল জীবন।।
শ্রাবন্তী ,তুই কেন দুগ্গা হলিনা ।
আমরা তো ক্লীব, তাদের কাছেই,
তুই তাদের কাছেই হেরে গেলি
একলা লড়াই জিততে পারলিনা ।
আমরা তো মুখোশ পরে ঘুরে ফিরি,
সু কথার বন্যা ভাসাই,
ভালো মানুষের নাটক করি ,নাটকটা
তুই তুইরে কেন ধরতে পারলিনা।
এতো বড়ো খোলা আকাশ,
আদিম এই জঙ্গল,এই ঘন জঙ্গল
ছেড়ে তোর ডানা মেলে কেন
কেন রে তুই উড়ে গেলিনা ?
তুই ভালো ছিলিনা,
গুমরে গুমরে কাঁদছিলি
কেন কাঁদলি,কেন কাঁদলি?
কঠিন হয়ে খাঁচা কেন ভাঙতে পারলিনা ??
দুগ্গা দুগ্গারে...
ekta metho manush,otath keutake bollo, ei fanushe chorbi onek onek uchute akashe urte parbi,koto kichu dekhte parbi ,se beta chasa bollo kono dorkar nei hal chosi ,gaa er pothe ghure berai,golpo kori,dukkho,sukh bhag kore madhukori kori jibon kate anonde,eito besh,kintu porom mongalmoy er icchai take jor kore fanushe chorie dilo,sabeki rajbarir pujoy fanush oranor moto ghotona arki,kodin beta chasa moner anonde ghure beray akashe ,nicher monushgulo choto bindur moto lage,kauke chena jaina,sobbai koto dure ,kauke choa jaina,kintu fanushe tar besidin jaiga holona, onno swajonra take ektu kom chailo,othoba jaiga kom porlo,dhup kore porlo se ek jongole,ekhon pothe pothe ghure beray se, khoje purono juridar der,gramer bhanga barir uthone madur pete gaan gai,chobi dekhe ,chesta kore jibonke notun kore jante pagol,pagol jibon
জীবনভর মরণের পুজা ,মরণেই প্রাণের ভালোবাসা,
এক এক পায়ে হাজার হাজার বছর , ক্লান্তিহীন চলা চেনা অচেনা মোরাম পথ।
জোনাক আলোয় নগর থেকে গ্রাম, সবটুকু অসম্পুর্নতা,নিজেকে চেনা গহিন অথৈ ছেড়া খাতায় , অতীত থেকে বর্তমানে ,বটের ছায়ায় কুন্দগহনে।
অমলতাস নিদ্রাহীন,চিরসখা শিউলি ভোরে,হাসনুহানা রাতে,অন্তদহন, আগল খোলা রিক্তকাহন, রোদনসিক্ত স্মৃতি রেখা, ডাক ইশারা।
ভোকাট্টা ইচ্ছেঘুড়ি আকাশ জুড়ে রবিরথ, তোমার সাথে মাধুকরী,স্তব্ধ গানে বন্যাঘাত পরের পর নিরন্তর। অনুভবের ছিন্নমূল,ভুবনডাঙা আজ সবুজপ্রান্তর।
কোন বেসাতি? নদীও মরে, সওদাগরের নাও সে নিরূদ্দেশে, একলা শ্রাবণ বাইশে নয় সব নিমেষে ,বৃত্তপথে আবার ফেরা ,তোমার ছায়ায়, তোমার আলোয় আঁধার জাগা।
শুভলক্ষী মনে রেখো
জীবন তো এক ছোট নদী
চলতে পথে মাধুকরী,
পরাণ ভরে সাগরপানে চাওয়া ।
আকাশ কেমন ময়লা রঙা,
তারই মাঝে ভালোবাসাকে
এতো আর কতো ভালোবাসা ।
বাতাস কেমন মুখভার তবু
নীল দিনে অন্য মনে,
বেদনে রোদনে এই শ্রাবণ
শুকায় ,আবার পরাণও জুড়ায়।
সবুজ পাতায় বৄষ্টিকণায় ,
মন হারায় হয়তো বা
কন্যামায়ের চাওয়া পাওয়ায় ,
ভালোবাসা মেলে ভালোবাসায় ।
চলতে চলতে জীবনভোর
মেলে মন পিতার স্নেহে মায়ের মায়ায়
স্নিগ্ধ শীতল কোন ছাওয়ায়
মেলে যেখানে পথ মেলে আকাশে
সে কোন পাগল পথ হারায়
তার তারই দুগ্গায় ।
কঠিন কথায় আঘাতে বেদনভারেও
জীবন জাগে নতুন করে
পথে প্রান্তরে নগরে কুটিরে
ভালোবাসার ভালোবাসায়
শুভলক্ষী তুমি না ভুলে
বুঝো কিন্তু অপার মায়ায়।
একটি মরা মানুষের মৃত্যু
দিন যায়, আসে দিন, অনুভূতিগুলো একে একে মরেই যায়, দুরে আরও দুরে সরে যায় জীবন, নিঃশ্বাস।
মানতেই হয়,যতোই চেষ্টা করা হোকনা মরা শালিকের সাথে মানুষটাকে,মরা মানুষটাকে ভিজতে হয় হিংসুটে বৃস্টিতে বাসা নেই,লাথিটা খেয়ে যেতেই হয়।
কাক,চিলে ঠোকরায়,ব্যাথা মরা মানুষের থাকতে নেই।
চোখ ভরে জলে।
পরে বাকি টা
সময় এগিয়ে চলে অনিমেষে।যে আলপথে দৌড় শুরু তার যবনিকা পতন কোথায় কখন সে তো সাই জানে।আজ তো হাঁটা কঠিন কঠোর প্রানহীন পথে। সেই টলমলে পা আজো টলমল।যে রেললাইনে কান পেতে কোন সুদুরের স্পন্দন শুনতে পেতুম আজ সেই জীবনরেখা কেন যেন দুরে সরে সরে যায়। বৃষ্টি ঝরঝর গহিন দিঘির কৃষ্নজলের সুরলহরী আজ লুকোচুরি খেলে।আঘাত পরে আসে আঘাত,পচন তো তোমার আমার সবার মাঝে। বিশ্বাসের কাঁপন কেন যেন অট্টহাসে এই নগর থেকে অন্য নগরে ঘুরে বেড়ায়।তবু সত্য আশায় অমৃতমধুময় জীবন জেগে থাকে।কান্নাধারা মাটির দাওয়ার মাদুর থেকে আজ আশ্রয় পায় কঙক্রিটের মেঝেতে। তবু হার না মানা অদম্য নিঃশ্বাস বেঁচে থাকে নতুন সভ্যতার স্বপ্নকল্পে,এই জীবন না হয় অন্য জীবন, আমোদিত রোদ্দুরে একদিন সেইদিন তুমি আমি আমরা দেখবো সুর্যভরা একান্ত অমল আকাশ।
সু আকাশ।
লিখবো কোন অন্যদিনে
তুমি বলেছিলে, তুমিই তো বলেছিলে
আমাকে নিয়ে একটা কবিতা লিখো,লিখোই,
লিখো কিন্তু , শুধুই একান্ত তোমার আমার,
শুধু তোমার আমার ভালোবাসার
ভরা শাওন ভরন্ত আষার ।
দুঃখ নয়, বেদন সে তো নয়ই, আঘাত
নয়, নয় কান্নাধারা. কেবল কম্পিত হাসনুহানায়
ঝিরি ঝিরি হৄদয়ের গান, দুয়ে মিলে বসন্তরাগ,
যে যাই বলুক , অসীমে মিলাক সীমার রেখা,
সম্পু্র্না আকাশ, অমৄত আধার ।
হলো যেটা,যখনই লিখতে যাই, টুকরো টুকরো মধু
হাসিগুলো,ছোট্ট ছোট্ট তোমার রিনি ঝিনি কথাগুলো,
তোমার পাগলপারা এলোচুলের দুষ্টুমি সব টুকু,
তোমার গায়ের আগোছালো গন্ধের আকুলতায় ,উন্মনে আমি
সব ভুলি,কিভাবে সাজাই,সব একাকার।
একটা কোলাজে সাজানোর, একই তারে বাঁধার চেষ্টাতেই
বেলা যায় বয়ে, লেখনী খেলে লুকোচুরি , পালিয়ে বেড়ায় ,
দুই হাতে বুকের মাঝে যখনই আঁকড়ে ধরতে চাই ,ঠিক সেই
বেলাতেই দিন পর দিন , যুগ থেকে যুগান্তর , সব ভুলে যাই,
তোমাতেই ,অথৈ দুই আঁখি তোমার।
তবু আমি চেষ্টাতেই আছি , বসে কিংবা দাড়িয়ে তোমার খুব খুব
কাছে থেকে , সব টুকু তোমাকে নিয়ে , আমাদের এক্কেবারে অন্য
ব্যাকারনের ভালো টুকু বাসার, প্রেমের কবিতাটা লিখবোই , কোন এক
উজানে একলা আমোদিত ভালোবাসায় ,চুইয়ে পড়া পড়ন্তবেলায়, পড়ো অবশ্যই
আমার অদৄশ্যময়তায়,মনে গেঁথো আমার কথা রাখার .....
ভালোই তো বাসি ভালোবেসে।
রাত গহিন ,মোহন বাশি বাজে,
রুপে অরুপে কৄষ্নকলি জাগে ।
নয়নে মগনে সঘনে সলাজে,
ভুবন উথালে মধুবন্তী বেহাগে।
জীয়নকাঠির কঠিনে সহজে,
প্রানে অপ্রানে, অনন্ত আবেগে ।
আবেশে আলোতে শ্রাবণ অবুঝে
নতুনে জাগরনে আশায় সোহাগে,
পরশে আকুলে অমৃতঅনন্ত মাঝে
মরনমাঝারে জীবন দহন ত্যাগে।
ঝরে অঝোরে অঙ্কুরে সবুজে
মরণ মাঝারে তবু নবপ্রাণ জাগে
।তারারা ডাকে চাঁদেলা আঁধারে
মেঘেলা আকাশ ভোরের মধুরে ।
জীবনে প্রথম আলো থেকে আজো নিরাপত্তাহীনতা,
আমি আমরা, চাওয়ায় লাল,কালো, হলদেটে ছাতা।
বাঁশীওয়ালার চৌরাসিয়া মনন,কলমের আঁকিবুঁকি,
প্লাবন আকন্ঠ আলিঙ্গনে,হতাশ আলোর টুকিটাকি।
সরে সরে যায় ঢোলকলমি ফুলেল রিক্ত বেড়াজাল,
জেগে তৃষ্ণা, অসহায় পিদিম সলতের উথালপাথাল।
তবু
ছেড়াখাতা,হিজল ,চন্দন নয় নগরবন, হাতে রাখো হাত,
দেউলে জাগুক ঘন্টাধ্বনি,হলদেসবুজ প্রানের সুপ্রভাত।
বাড়াও হাত ,চলি পথ শিউলিঝরা ,জোনাকরঙিন ,
যেটুকু সময় ,আলোছায়াময পাগল আসমান জমিন।
বৃষ্টি নামে,নামেই, ভিজিয়ে দেয় ,হৃদয়,জারূল বন,
ফিরে পাই সেই অবুঝ ,সবুজ মাঠ,দৌড় ,দৌড় অন্য পৃথিবী।
সেইকালে আমি তুই, তুমি আর একপেট খিদে , পেটে,চোখে আর এক আকাশ মনে।
অস্থিরতা কেবল তাড়া করে ফিরছে রোজ, প্রতিদিন সবকটা মুহূর্তে।
সবটাই কি আমি ভুল, বেমানান , এতটা সময় পার করেও।
জানিনা।
তুমি পারবে এর দিতে উত্তর?
রাখলাম প্রশ্নটা।