Sunday, September 29, 2024

 কোলাজ


পথে চলা। ঠিকানা খুঁজে ফেরা। রোজ আলো ফোটে। কোন সে আলো, সুমগ্ন অন্ধকারে?


চোখে পড়ে। লোকে পাগলী বলে। কিন্তু, রোজ সকালে গোটা দশেক খালিবোতল। টাইমকল। জীবন। তার আগেই পুবপানে তাকিয়ে অন্ধ চোখে সূর্য প্রণাম। কি যে বলে পাগলীটা!


এগিয়ে চলি। ছেলে দুটো — সকাল-সকাল মুখোমুখি। ফুটপাতে চিকেগোল্লা।আজকালপরশুর দিন কাহন। আমরাও চিকে আর গোল্লায়। 

ট্রামলাইন পার হই। হিন্দের দিক থেকে শ্যামবাজারের ট্রাম। আসেনা। খুঁজি। অভ্যাস জনিত দৃষ্টিবিভ্রম। একযৌবনে কোনো এক ট্রামডিপো। আলোকাল। ধূসর।

 লিফট ছাড়ি। ধাপে ধাপে আকাশ-বাড়ি। জানালা।খুলি। দিয়াউস আর কিউপিড এই রোদ্দুর ছুঁয়ে একসাথে জিপিও-এর গোম্বুজ মেদহীন মাথায় পিচ্ছিল চরাচর। উড়ে বেড়ায়৷ কাজ ভুলি। পেরিয়ে চলি চড়ুই-সময়। সান্ধ্যশালুক।

Saturday, September 28, 2024

 কোলাজ

পথে চলা

ঠিকানা খুঁজে ফেরা।

রোজ আলো ফোটে,

কোন সে আলো?

সুমগ্ন অন্ধকারে!

চোখে পড়ে,

লোকে পাগলী বলে 

কিন্তু রোজ সকালে গোটা দশেক খালিবোতল,

টাইমকল

জীবন।

তার আগেই পুবপানে তাকিয়ে অন্ধ চোখে সুর্য প্রনাম।

কি যে বলে পাগলীটা?

এগিয়ে চলি,

ছেলে দুটো 

সকাল সকাল মুখোমুখি 

ফুটপাতে চিকেগোল্লা

আজকাল পরশুর দিন কাহন

আমরাও চিকে আর গোল্লায়।

ট্রাম লাইন পার হই,

হিন্দের দিক থেকে শ্যামবাজারের ট্রাম  

আসেনা 

খুঁজি 

অভ্যাস জনিত দৃষ্টিবিভ্রম ।

একযৌবনে কোন এক ট্রামডিপো

আলোকাল।

সবুজ আজ ধুসর

লিফট ছাড়ি,

ধাপে ধাপে আকাশ বাড়ি 

জানালা খুলি

দিয়াউস আর কিউপিড এই রোদ্দুর ছুঁয়ে একসাথে জিপিও এর গোম্বুজ মেদহীন মাথায়,

পিচ্ছিল চরাচর

কাজ ভুলি

পেরিয়ে চলি

চড়ুই সময় 

শালুক সন্ধ্যা ।



Thursday, September 26, 2024

 মনে হচ্ছে তলিয়ে যাচ্ছি এক অতল গহ্বরে 

দিকশুন্যপুরে এতদিনের চলাচল 

কোন এক নিশার ডাক

Blind lane ends in a deep crater.

Wednesday, September 25, 2024

 জীবনের প্রায় ৫৫ টি বছর কাটিয়ে এসে মনের মধ্যে এক সুতীব্র মৃত্যু কামনা জেগে ওঠে।বারে বারে মনে হয় এতো আঘাত পেতে পেতে আমি বিষগ্রস্ত পঙ্গু এক কীটে পরিনত হয়েছি, পুঁজ ঝরে ঝরে পড়ছে দেহমন থেকে। ধাক্কা খেতে খেতে সরে এসেছি এক কোনে, সেখানেও অপমান আর উপেক্ষা,বুকটা এখন সবসময় ধড়ফড় করে, ভীষনভাবে মরে যেতে ইচ্ছে করে। কাজের মাঝে নিজেকে লুকিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করি,পারিনে।এক কালান্তক চক্রবুহে একবার এইপার আরবার ওই পার দৌড়ে বেড়াই, নিস্ফল, রক্ত ঝরে।

মনে হয় এতদিন যা করেছি ,সব ভুল।এই সমাজে আমি একান্তই অনুপযুক্ত।সব ছেড়ে যদি কোন পাহাড়ে বা জঙ্গলে একটু আশ্রয় পেতাম।বা এমন কোন দ্বীপ যেখানে কেবল শিলারাশি আর কিছু নীরব বৃক্ষ। এইখানেই বাকিটা সময়, আত্মহত্যা মনে হয় আমার দ্বারা হয়ে উঠবে না।

 বাঁচি বা মরি

আমি স্থির, আমার বৃত্তাকার ঘুর্ণন।

একটুকরো জীবন।

 চলে গেছো, 

আমি কিন্তু বেঁচে আছি তোমাকেই ছুঁয়ে।

গাইতে পারি নে সহজিয়া গান 

আরও আঁকড়ে ধরি শক্ত করে 

তুমি তো অন্য দরিয়ায়।

ভুলে আছো,

আমি কিন্তু জেগে আছি তোমাকেই নিয়ে।

বাইতে পারি নে অন্য সাম্পান

আরও নীরবে মরি রিক্ত আখরে

তুমি তো অন্য ছায়ায়।

প্রজ্জ্বলে আছো,

আমি কিন্তু জেগে আছি তোমাকেই নিয়ে।

দাঁড়িয়ে আছি 

একা প্ল্যাটফর্ম জড়িয়ে ধরছে 

ট্রেনগুলোর সচকিত চলাচল

দাঁড়িয়ে আছি মৃত্যুর আহ্বানে

বয়ে যায় গোনাগুনতি সময়।

ওই পারে অবলীলায় আলোয় ফেরা,আর এই পারে কর্দমাক্ত ও অগ্রদানী জীবন।

বাকি যে কদিন 

চলতে থাকবে প্রদক্ষিণ 

আমার নিজের তৈরি কক্ষপথে 

মালিকানা আমার 

একান্তে 

আবহমানে।

পারবনা ছাড়তে 

আমার বেওয়ারিশ ভালোবাসা।


 অনেক দিন পর বাবুদের বড়ো বাড়ি ছেড়ে নামলাম পথের ধুলায়, সবুজ মায়ায়। ঝিরঝির বৃষ্টি ধারায় আর চোখের জলে ভিজতে থাকলাম।। ফিরে দেখা স্মৃতি সরনী দিয়ে। বুকের মধ্যে জমে দেখা বেদনা,অভিমান কাঁপন ধরিয়ে ডেকে আনছিল অমোঘ মৃত্যু, আমি মরতে থাকলাম।

Monday, September 23, 2024

 Intention কথার অর্থ কি?

প্রশ্নটা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে,

পোকামাকড়ের বংশ বৃদ্ধি চক্রবৃদ্ধি হারে।

উদ্দেশ্য বা ইচ্ছা

তফাৎ আমার কাছে অনেক 

উদ্দেশ্য যদি থাকতো ,ফোটাতাম না নয়নতারা।

অতিবাহিত করতাম লম্পট জীবন।

মৃত্যু হয়েছে অনেক আগেই কোন শেষ দুপুরে

বাকি নিবন্ধন।

বলতে বাধা নেই এই শুয়োরের বাচ্চা আমিটা হেরে গিয়েছি

মরে গিয়েছি।

এখন মৃত মানুষ চলে ফেরে

বুঝতে চেষ্টা করে 

এক বুক অপ্রয়োজনীয়তা

নিজের।

হাস্যকর।

করতে চেয়েছি কি কোন উদ্দেশ্য সাধন?

বলে রাখা ভালো 

আমার 

Obviously কারুর পাশে চলার যোগ্যতা!

 ছিলনা ,

     আমার জীবৎকালে 

                     জোড়াতালির কাল,অকাল।

মরা মানুষটা  পুড়তে থাকে,

নির্বিকার চারিধার 

পৃথিবী ঘুরতে থাকে

বৃষ্টি ঝরতে থাকে,

চরিত্ররা সেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে।

আর মরা মানুষটা 

মরলেও চোখ এখনও বেঁচে আছে

গড়াচ্ছে

হোঁচট খাচ্ছে

 রক্ত ঝরছে 

আমিটা 

ঘাপটি মেরে বসে আছি প্ল্যাটফর্মের এক কোনে 

এখনও 

জানি না কিসের অপেক্ষায়।

সমাধান নেই কোনো সুত্রে

অঙ্ক মেলেনা।

মুক্তি খোঁজে মরা জীবন।

মরা বুকে কেবল হাপরের ধড়ফড়।



Sunday, September 22, 2024

 চেষ্টা করছি ভার্চুয়াল দুনিয়া থেকে সরিয়ে রাখতে নিজেকে। আমি না থাকলেও সুর্য উঠবে, পৃথিবী ঘুরে চলবে আপন কক্ষপথে।

Thursday, September 19, 2024

 ফুরিয়ে যাওয়া রোজ সকাল মনে করিয়ে দেয়।

মনে করিয়ে দেয় 

সংসার যাপন 

সন্তান,বড়ো করা

অসংখ্য ফাঁকফোকর

পিছনে ফেলে আসা নির্বাপিত জীবন।

সকালেই ঘুম আসে ফুটপাতে আলগোছে ভিজে থাকা লোকটির বুকের মাঝে,

আশ্রয়হীন।

জন্মদিনটা তো অনেক আগেই মুছে গেছে,

এখন প্রস্তুতি, আয়োজন মৃত্যুউৎসবের।

গুছিয়ে রাখছি নিভৃত আঘাত, যন্ত্রণা, কান্না 

বেলুনে ফু দিয়ে ঢুকিয়ে রাখছি

  সবটুকু।

হোক উৎসবপালন।

আজদিন 

কালদিন।

তোমাদের থেকে কেবল চেয়েই গেলাম অনেক আরো অনেক।

হয়েছে সময়  

থামবার।

ভুল স্বপ্ন গলা টিপে মারার।

চলতে থাকি,

কতজনই এই পথে আসে যায় 

পথের অ্যালঝাইমার্স।

বুকের মাঝে জোর হাপরের ফোঁস ফোঁসানি

মাঝদুপুরে নগ্ননৃত্যে

বিব্রত হৃদয় মরা শামুকের খোলসে (কাজের অছিলায় এবং আবরণে) লুকায় নিজেকে

কাজের অছিলায় ।

            মাথার শিরাগুলো ছেড়ে 

                     গোপন রক্ত ঝরে।

কেউ বসে থাকে কি?

কারুর জন্য!

চিতার কাঠ কেটে চলেছি একের পর এক, দিনের পর দিন।

হেরো মানুষ

ভাসিয়ে নেওয়ার বেনোজল আসবে আগামী কাল।

পলি পরবে নতুন করে।


Wednesday, September 18, 2024

  মাফ 

জং ধরে গেছে সবকটা অনু আর পরমাণুতে,

পারছিনা

        আকন্ঠ উদাসীন।

কিছুতেই ছিটকিনিটা খুলছেনা ,

কেন যে?

জানলার ওধারে ওরা ডাকছে ,

একজোট

 মাৎস্যন্যায়

কেন যে এমন হয় ?

সব থামে নির্বিকল্প  স্থবিরতায় ।


আয়নার সামনে,

 মানুষবেচার হাটে অথবা সময়ের  কাঠগড়ায়,কিংবা  অবোধ হৃদকালকুঠুরীতে,

রাতআলোর অস্পষ্টতায় ,

বুড়োটে ছানিধরা চোখে 

চারিপাশে অগুনতি মুখোশের ভিড়ে

 এক আঁজলা সুখের খোঁজে

 মনটা কোথায়? 

কোনো ডাস্টবিনে নাকি  মরা আদিগঙ্গায়? এক আবর্তে ঘুরপাক।


স্বাধীন ভারত ১৫ই আগষ্ট,১,২,,,৭৭,

একটু দমদার সেলিব্রেসান বা মহা উৎসব ।

বিজ্ঞাপনের চিৎকারটা এতোটাই ,

 দিনের পর দিন যা ঘটে চলেছে

অভিনয় খোলতাই হচ্ছেনা

প্রম্পটারটা যে কোথায়  ? 

বোকা চড়ুইটা ভিজেই চলেছে,একের পর এক নিম্নচাপ।


কেরোসিন লন্ঠন বা হ্যাজাক জ্বালাও, জংটাও যদি হয় পুড়ে ছাই। 

নাভির মতো স্বপ্ন ও কি পোড়ে না?

টিকিটের লাইনে সেই ছেড়া মেয়েটা

কোলে শিশু কান্নাভেজা মোনালিসা

কোথায় নয়াবসত ? 

কোন স্টেশন?

পালিয়ে যাওয়া শেষশ্রাবণ ,

৭৭ বছর পেরিয়ে এলাম, 

জমিয়ে পালন

এতো আলো

 জমজমাট

 দেশ স্বাধীন ।

দ্বেষও স্বাধীন, তুমি আশাবরী আর একান্তই আমি বেসুরো বক।

Tuesday, September 17, 2024

 কাশের বনে আজতো হায় প্রবেশ অনধিকারে,

দুগ্গা তোমার চোখের ভাষা দিশাহারা মরূসাগরে।

আঁধার নামে ধীরে , ক্লান্ত নদী তবু সাজ  রঙিন,

কুলায় ফেরা চর্তুদ্দোলায় পাখিরে এদেশ অচিন।

 ছেড়ে ভিড়ে যায় মেশে,

আক্রান্ত নিরুপায় বৃদ্ধশব।

উদাসপুরে আলোর মেলা,

শালুকবনে উপহাসের কলরব।

 আকাশপথে চলনকথন,গল্পকথায় মনগাছগাছালি

 মেঘবালিকা নয়নতারায়,  হৃদিবেসাতির পদাবলী।

Monday, September 16, 2024

  পদ্মপাতায় চলন ধীরে

               শামুক মন গুটি গুটি।

আকাশ পথে দিশাহারা 

               শুভ্রবকের ডানা দুটি।

আজকের দিনে মেঘলা আকাশ তার জানালা দিয়েছে খুলে,আলোর উঁকিঝুঁকি। আমার মতো অনেক মানুষের হৃদয়ে এক অসহায়তার কানাকানি।

অনেক অনেক ভাবনার মাঝে নিজস্ব যুক্তিযুক্ত চিন্তা সব জট পাকিয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রযন্ত্র, রাজনৈতিক সুবিধাকাঙ্ক্ষির দল সবকিছু দিচ্ছে গুলিয়ে।

মূল অসহায়তা হল, আজ পর্যন্ত আমাদের  তিলোত্তমার 'খুন ও ধর্ষণ' কিংবা 'ধর্ষণ ও খুন'-এর সঠিক কার্য-কারণ জানা গেল না। রাষ্ট্রযন্ত্র সুনিশ্চিত ভাবে তথ্য-লোপাট এবং তথ্য-গোপনের কাজ পরিকল্পিত ভাবে করেছে। তদন্তকারীদের যথাযথভাবে কারা এই কাজ করেছিল, তা চিন্তিত করে সবাইকে — তা সে যে পদেই থাকুন না কেন— বিচারের মধ্যে আনতে হবে।

যেখানে তথ্যপ্রমাণ লোপাট স্পষ্ট যেখানে statement and examination is to be specific and well planned. আমরা যেকোনো মানুষ আমাদের প্রবৃত্তি দোষে নিজেকে বিকিয়ে দিই। সবাইকে, বিশেষ করে যারা তদন্ত করছেন, তাদের কে দায়বদ্ধ থাকতে হবে। সাধারণ বুদ্ধিতে মনে হয়, মৃত্যুর দিন সকাল থেকে পরের দিন দাহ পর্যন্ত যে যে ব্যক্তি ওই বিল্ডিং এ গেছিলেন এবং দাহ সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করেছিলেন, তাদের সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনতে হবে। তিলোত্তমার মা এবং মায়ের বক্তব্য আগে গ্রহণ করে সেটাকেই অন্যদের examination করা‌ দরকার। মূল অভিযুক্তকে দিয়ে the crime sequence is to be recreated with a priority. ঘটনার দিনের preparation of duty schedule থেকে প্রতি মিনিটের ঘটনাবলী নির্ণয় করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট প্রত্যেককে examination and if needed confrontal examination প্রয়োজন সঠিক তথ্য উদ্ধার করতে। কঠিন হলেও যেখানে তথ্যপ্রমাণ লোপাট হয়েছে, সেখানে এই witness and concerned persons are to be examined repeatedly without any bias and outside influence.

দ্বিতীয়তঃ মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান। কেবলমাত্র জৈবিক চাহিদার কারণে নাকি কোনো অন্তর্নিহিত গোপন-রহস্য-প্রকাশ আটকানোর জন্য এই খুন, এই রহস্য উদঘাটন করতে গেলে কে বা কে কে খুনের জন্য দায়ী সেটা আগে বের করতে হবে। সাধারণ দৃষ্টিতে একজন MD student হাসপাতালে নীতি নির্ধারণ বা দৈনন্দিন কাজে involved না থাকাটাই স্বাভাবিক। Circumstance  and evidence দুটো থেকেই সিদ্ধান্তে আসতে হবে। এই কাজটি অত্যন্ত কঠিন এবং সময়সাপেক্ষ।

তৃতীয়তঃ নিরাপত্তা। প্রতিটি হাসপাতালের প্রতিটি অংশ সিসিটিভি কভারেজ এর আয়ত্তাধীন করতে হবে, পাশাপাশি নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়মিত পরিবর্তন আবশ্যক। রাত বাড়লে রোগীর আত্মীয়রাও অনেক সময় নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। অনেক সময় বিনা কারণে ডাক্তারদেরও লাঞ্ছিত হতে হয়। জানি না এই সরকার বা অন্য কোনো সরকার কিভাবে সমাজকে নিরাপদ করতে পারবে!

চতুর্থতঃ দুর্নীতি। প্রতিটি কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের দপ্তরে যোগ্যতার পরিক্ষা থেকেই নিয়োগ, পোস্টিং, ট্রান্সফার এবং খরচের ক্ষেত্রে দুর্নীতি সর্বগ্রাসী। আমরা কতজন এই চক্রবুহ এর বাইরে নিজেকে রাখতে পারি এই প্রশ্নের উত্তর আমাদের নিজেদেরকেই দিতে হবে । compromise ছেড়ে কজন আর লড়াই করতে পারে। মুখোশ পরে, অভিনয় ছেড়ে, আমরা ক'জন নিজেকে সৎ রাখতে পারি সত্যি কথা সত্যি বলতে পারি — এর উত্তর আমাদের কাছেই লুকিয়ে আছে।

পঞ্চমত,  virtual world এ আমাদের চলাচল এবং মুখোশের মেলামেলি।


 পদ্মপাতায় চলন ধীরে

               শামুক মন গুটি গুটি।

আকাশ পথে দিশাহারা 

               শুভ্রবকের ডানা দুটি।

Saturday, September 14, 2024

 ঘোলাটে এক একটা সময় আসে যখন ভাবনা সব কোথায় হারায়।

শুন্যতা অন্তহীন।

চলি ফিরি নিজেকে লুকিয়ে রাখি কাজের ভিড়ে পাহাড় চুড়ায়।

অসহায়তা নিশিদিন।


Friday, September 13, 2024

 রক্তচাঁদ

আমার রাত আকাশে রক্ত লাল আধখানা চাঁদ

আয় তোর সাথে প্রেমে অপ্রেমে হই আকুল ।

তুই আমাকে বড়ো করিস অশেষ, ছায়াময়ী 

আবেগের মোহর, রবিছ্ছায়ায় চোখে সুখপাখী ,

আদরে ভরে  বড়ো আপন ,স্বপ্নিল  চাঁদ তুই ।

 হৄদয় ভরে  মৄত্যুর সাথে জীবনের অমোঘ আলিঙ্গনে

পান করি আবেশে , মধুর বড়ো নীল এই মিলন ।

অসুরে জোড়ে,সুরে আপন মীড়ে , আমায় নিয়ে চাঁদ 

পাগলী তুই কুরচি ফুল ,আমার গালে কপাল ভরে এতো 

আদর এই ছুয়ে পাওয়া সব ভুলে কি পাগলামি ,

 প্রতি পলে অনেক  বয়সের রকমফেরে

আমাকে  নতুন করে এতো ভাবে চেনাও ,

ভালোবাসাও ভালোবাসাকে, এই ঝরা বেলায় নিসংকোচে,

রক্ত চাঁদে এতো গভীর নিবিঢ় কাছে পাওয়া,

সেই তালসারির আড়ালে লুকোচুরি ।

 চির আবেগ পাওয়া মজা কানানদী,

গান শোনায় তিরতির বন্যাপাগল হাসিতে ,

ভাঙা বাঁশির কান্নায় আকাশের তারাদের খুজে ফেরে ।

আধেক হাসি আর কান্না ভরা অকেজো বেকার মন ,

 অপ্রয়োজনীয় ভীড় বাড়ানো মানুষটিকে,

ও পাগলভোলা ও আমার আধখানা রক্তচাঁদ ।

সকাল যেন হারিয়ে পাই উদাস আাকুল

ভুবনডাঙার মাঠ ভরিয়ে পাগলপারা ,

ভাঙা উঠোনে তুলসী তলায় আলোপিদিমে,

নেশায় ভরা আমার আধার আলোয় হাসা

তুই অতসীপ্রেম ওরে আমার রক্তচাঁদ ।

যাওয়া আসায় হিসাবে লেনাদেনা,

জীবনপুরে আমি তুমির আনাগোনা।

ভালোয় থেকে কাটানো চাই রোজদিন,

একটাই জীবনতুলি হোক ছবি রঙিন।

Thursday, September 12, 2024

 শঙ্খচিলের ক্লান্ত ডানা, আকাশ কাঁদে বিচ্ছেদে,

দিকহারা সব ঝরাপাতা,পথই সাথী আর্তনাদে।

 জীবনের আরেকটা পাতা ঝরার দিন এলো যে,

মন কাঁদে রোহিঙ্গা দেবশিশু কিছু কি খেয়েছিস ?

গাছের ফল পঁচা জল, পুলিসের মার,

এই আঙ্কা, অতীতও একদিন পালিয়ে পুড়েছিল ,

পোড়া ঘর,পোড়া বই বেঁচে শালগ্রাম,শ্মৄতি ,

ছোট্ট শহর, রেঙ্গুন, পিউ ,দিক হারানো আাখের খেত ।

বেঁচে মরে আছি ,তোর সাথে মিলি কোন অবসরে,

ভালো থাকরে ।


Wednesday, September 11, 2024

 রাত আধাঁর নীরবে একলা কাঁদে,

ভোরের আগমনীর বিষন্ন সংবাদে।

নবআশায় জাগে পাখী,ফোটে ফুল,

এই কুল ভাঙে ,গড়ে ওঠে ওই কুল।

 আজ সকালে হঠাৎ মেঘবালিকা ডাকে,

আকাশ কাঁদে ঝর ঝর ঝর ঝর ।

এক বুক বেদন বাঁশি বয়ে হারায়,

ঘুম ভাঙে, জাগে মনপাগল সেই মধুকর ।

 

Monday, September 9, 2024

 হরিণ এবং আমিটা 


সবুজ মাঠ, একটুকরো,

চারিদিকে গভীর গভীরতর পরিখা।

এপার থেকে দুই শ্রান্ত চোখ

             দেখি সবুজ হরিণের দৌড়, 

এদিকে ওদিকে 

             মাঠজুড়ে অসহায় আঁকিবুঁকি।

হরিণ

সে মাঝে মাঝে জিড়োয়,

গাছের তলায় 

 সব্বাইকে লুকিয়ে 

            আবার ছুটে চলে।

হরিণটা খুব ভালো রুটি সেঁকতে পারে,সেই কিশোরী বেলা থেকে

                         রোজ রাতে

 বেলতে হয়, সেঁকতেও হয় একা হাতে

                                        পেট ভরে!

পরিখার এই ধারেও গন্ধটা ভেসে আসে 

আঁধার জুড়ে 

     ফুলেফেঁপে ওঠা  রুটির  নিরুপায় গন্ধ।

চলতে থাকি,

 খাই হোঁচট

 দুঃখ ঝরে

মৃত্যুহীন দুই  চোখ সন্ধান করতে থাকে 

একমুঠো বাঁচা।

 বিপন্ন আলো সবুজে করে চলাফেরা।

আঁকড়ে ধরে নিভে জাগা

       জল দেয়া, বড়ো করার আকন্ঠ লড়াই 

শিশু হরিণ।

দুই চোখ ভরে দেখি।

আগে হরিণটা এই কোন,ওইকোন

ছুটে বেড়াতো।

                   চিৎকার করে হো হো হেসে বলে চলতো নিরাভরণ বিশ্বাসের কথা,

চাটাই পেতে গল্প জুড়তো আশ্বিনে বা অকেজো বৈশাখে 

                     রুটি ও বেলতো

                              ছোট ও গোল।

এখন

স্বজন 

সবাই আজ মরা ভেড়ার লোমের সুপুরু চাদর জড়িয়ে বেঠোফেনে মন দিয়েছে

                              ফিসফিস ফিসফিস।

হরিণের বুকেও হাঁপ ধরে 

 আর আসেনা উদয় শংকর         ভরাবাদরে।

কালরোগ ছড়িয়ে পড়ে 

               পরিখার দুইপারে।

চোখ জুড়িয়ে আসে নিরন্ন কার্বন ডাই অক্সাইডের আধিক্যে

                         মৃত নিঃশ্বাস।



Sunday, September 8, 2024

 এই পথ, ওই পথ , কোথায়  যে হারায়  

হৃদয়ডাঙার মাঠ, তার অবুঝ সবুজ ঘাস ।

বেলা বয়ে যায়,রও অধরা নাথ তুমি হে,

তোমার পরশ, আকুল,ব‍্যাকুল অমলতাস।

 মা গৌরী 

  

আছি অপার আয়োজনে, মা আসছেন করতে হবে আবাহন,

তুমি তো শিবের সাধিকে ,তোমার পুজা,

তোমাকে তোমারই শরণ্যে ত্রম্বকে গৌরী নারায়ণী নমস্তুতে ।

তবু শ্রাবন্তী  দুগ্গা হলিনা,চলে গেলি,গৌরী মা তোমাকেও আমরা

লঙ্কাসুরের দল কোন অথৈ জলে ভাসিয়ে দিলাম,পুজো তো

মাকে করতেই হবে, বিপুল বিপুল আয়োজনে মা তোমায়,

,কোটি টাকার সোনার শাড়ি পরাব মা,এসি গাড়িতে বসে সিরাজের

বিরিয়ানি আর গোলবাড়ির কসা মাংস খেতে খেতে তোমায় মা

প্রণামে ভরবো,ম্যাডক্স স্কোয়ারে ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলে তরল করে মা

তোমার কল্পচিত্র আঁকবো ,গৌরী মা তোমারই পুজায় আবাহনে

বিপুলা পৃথিবী, তোমায় সাজাব যতনে গৌরী মা ।

আসবি আর ভেসেই চলে যাবি গঙ্গায় বা কোন আরবসাগরে

আমরাই দেবো ভাসিয়ে চোখের জলে।

এই পৃথিবী, এই বিপুলা পৃথিবী ,সত্যিই  তুমি পৃথুলা ।।


।এই সকালটা শুধু মা গৌরী তোমার জন্য ।

Saturday, September 7, 2024

 রাগ মরে, আবেগ , অনুভূতি, ভালোবাসা সহযাত্রী,

মরন মিছিল , কি জানি কি লাভ,অবশ পুর্ন বিরতি।


সবুজে স্বপ্নদহন,মরচেধরা একা চিন্তন,অন্ধসারথি,

মেঘ, বৃষ্টি, আলো আঁধার, মহাশুন্য পথে চরৈবতি।

 জীবন মানে একলা চলা,

মনরে তোর জানলা খোলা ।

একটু চলা একটু পাশে,

দিন ভরে যায় সেই সুবাসে।

মনপাগলের এই কথামালা,

দুখসাগরে সুখের ভেলা।

চল ভেসে পার অরুপ সাগর,

আবার সকাল নতুন ভোর।

চলরে জীবনপথে চল মধুকর,

অমৄতলোকে, যুগ থেকে যুগান্তর ।


Thursday, September 5, 2024

 সুশান্তপ্রেম  হেসোনা

সুবোধদা, অন্ধ চোখেও জাগে ভালোবাসা,

মারণঝড়ে ভাঙেযখন জীবন গড়ার আশা।


মুক্তঅঙ্গন অযতন ভরে বুনোলতা আগাছায়,

বুলবুলি ও তুলতুলি , হেসেই মরে আদুল গায়।


আকাশ টা যখন নিরুদ্দেশে যায় হারিয়ে,

ভালোবাসাই দেয় নিসঙ্কোচ হাত বাড়িয়ে।


ভাঙাবাড়ি. ছাদ, কার্নিশ জুড়ে  নয়নতারা,

গঙ্গাফড়িং একলা অবুঝ ,ছৌ নাচের মহড়া।


দরজাগুলো সব বন্ধ যখন নিষেধ প্রবেশে,

তুমি ওগো স্বপ্ন ভালোবাসা দাড়াও হেসে।


মেঘবালিকা লুকিয়ে ভেজায়  শহিদমিনার,

বয়সের সমানুপাতে বাড়ে প্রেম পাজি নচ্ছার ।


দৄষ্টি যখন ঝাপসা এবং দুই পা ওহ টলমল,

পানকৌড়ি ভালোবাসা সত্যি  অথৈ অতল।


তেলিনিপাড়া ঘাটে ইলিশ কেন,কিসের লাফ?

গুনীজন সুধীমন, ভালোবাসায় সবটাই মাফ।


https://satishacharya2018.blogspot.com

 পাগলমন মরেও চায় বাঁচতে,

হারায় তবু চায় ফিরে পেতে।

 আরেকটু বাঁচি বাঁচার আনন্দে,

তোমার মধুহাসিতে, মধুর ছন্দে ।

নিজের সুরে আপন মায়ায় , 

বনপলাশের স্বপ্নছায়ায় ,

জ্যোৎস্নাবনে আকাশতারায়,

ভোরের আলোয় এই ধরায় ।

আরেকটু বাঁচি....

Wednesday, September 4, 2024

 এক টুকরো খোলা আকাশ আর এক ফালি উঠোন

দিয়েছো আমায় তুমি দয়াময় , তোমার করুণা অপার ।

আাকাশে চাঁদ হাসে ,নীলে মেলে কাছে আসে সবুজ গাছ,

উঠোনে পাখি ডাকে, গান শোনায়,কেড়ে নেয় মনের ভার ।


 

 বিচ্ছেদে মাতৃজঠর ,

 ছিন্নমূল প্রাণ,

সম্বল টুকরো খোলা আকাশ আর  চিলতেভর শ্রাবণ উঠোন।

নয়নতারায় ধিকিধিকি পিদিম জ্বলে আর নেভে,

পথ ইছামতী ,

বিনিসুতো মনঘুড়ি,

কান্না  সঙ্গোপন।

Tuesday, September 3, 2024

 রাত অসীম অগাধ, দিনের প্রতিক্ষায়,

পথ অফুরান , জীবন ভরা তোমার মায়ায়,

নেই কোন চাওয়া, কোন প্রত্যাশা বা শোক হতাশায়,

প্রভু তুমি আছো ,কাটে যেন তোমারি প্রেমে ভালোবাসায় ।

 ছায়া আবছায়া  নীল উদভ্রান্ত আধো আঁধারে,

এই আকাশের নীচে নিজেকে চেনা ।

আরশিনগরে এই অবসরে দেখা ফিরে ফিরে

দিন পর দিন, ভাঙাচোরা মন আয়না ।

Monday, September 2, 2024

 ব্যাস্ত সকাল, শ্রান্ত দুপুর ,বিকেল জুড়ে মেঘবালিকা 

মন ভেজে আকাশ জুড়ে,হাসিকান্নায় জীবন দেখা ।

Sunday, September 1, 2024

 ঝরা পাতায় পথের ধুলায় , তবু নতুন করে ভাবি,

আঁকি আলো ,আশা আর ভালোবাসার জলছবি ।

আকাশ খুঁজি উদাসীন সবুজে,নিঃশ্বাসে কানামাছি,

বন্দীবৃত্তে আলগাবাতাস, তুমি আছো, আমি আছি।