হরিণ এবং আমিটা
সবুজ মাঠ, একটুকরো,
চারিদিকে গভীর গভীরতর পরিখা।
এপার থেকে দুই শ্রান্ত চোখ
দেখি সবুজ হরিণের দৌড়,
এদিকে ওদিকে
মাঠজুড়ে অসহায় আঁকিবুঁকি।
হরিণ
সে মাঝে মাঝে জিড়োয়,
গাছের তলায়
সব্বাইকে লুকিয়ে
আবার ছুটে চলে।
হরিণটা খুব ভালো রুটি সেঁকতে পারে,সেই কিশোরী বেলা থেকে
রোজ রাতে
বেলতে হয়, সেঁকতেও হয় একা হাতে
পেট ভরে!
পরিখার এই ধারেও গন্ধটা ভেসে আসে
আঁধার জুড়ে
ফুলেফেঁপে ওঠা রুটির নিরুপায় গন্ধ।
চলতে থাকি,
খাই হোঁচট
দুঃখ ঝরে
মৃত্যুহীন দুই চোখ সন্ধান করতে থাকে
একমুঠো বাঁচা।
বিপন্ন আলো সবুজে করে চলাফেরা।
আঁকড়ে ধরে নিভে জাগা
জল দেয়া, বড়ো করার আকন্ঠ লড়াই
শিশু হরিণ।
দুই চোখ ভরে দেখি।
আগে হরিণটা এই কোন,ওইকোন
ছুটে বেড়াতো।
চিৎকার করে হো হো হেসে বলে চলতো নিরাভরণ বিশ্বাসের কথা,
চাটাই পেতে গল্প জুড়তো আশ্বিনে বা অকেজো বৈশাখে
রুটি ও বেলতো
ছোট ও গোল।
এখন
স্বজন
সবাই আজ মরা ভেড়ার লোমের সুপুরু চাদর জড়িয়ে বেঠোফেনে মন দিয়েছে
ফিসফিস ফিসফিস।
হরিণের বুকেও হাঁপ ধরে
আর আসেনা উদয় শংকর ভরাবাদরে।
কালরোগ ছড়িয়ে পড়ে
পরিখার দুইপারে।
চোখ জুড়িয়ে আসে নিরন্ন কার্বন ডাই অক্সাইডের আধিক্যে
মৃত নিঃশ্বাস।
No comments:
Post a Comment