পদ্মপাতায় চলন ধীরে
শামুক মন গুটি গুটি।
আকাশ পথে দিশাহারা
শুভ্রবকের ডানা দুটি।
আজকের দিনে মেঘলা আকাশ তার জানালা দিয়েছে খুলে,আলোর উঁকিঝুঁকি। আমার মতো অনেক মানুষের হৃদয়ে এক অসহায়তার কানাকানি।
অনেক অনেক ভাবনার মাঝে নিজস্ব যুক্তিযুক্ত চিন্তা সব জট পাকিয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রযন্ত্র, রাজনৈতিক সুবিধাকাঙ্ক্ষির দল সবকিছু দিচ্ছে গুলিয়ে।
মূল অসহায়তা হল, আজ পর্যন্ত আমাদের তিলোত্তমার 'খুন ও ধর্ষণ' কিংবা 'ধর্ষণ ও খুন'-এর সঠিক কার্য-কারণ জানা গেল না। রাষ্ট্রযন্ত্র সুনিশ্চিত ভাবে তথ্য-লোপাট এবং তথ্য-গোপনের কাজ পরিকল্পিত ভাবে করেছে। তদন্তকারীদের যথাযথভাবে কারা এই কাজ করেছিল, তা চিন্তিত করে সবাইকে — তা সে যে পদেই থাকুন না কেন— বিচারের মধ্যে আনতে হবে।
যেখানে তথ্যপ্রমাণ লোপাট স্পষ্ট যেখানে statement and examination is to be specific and well planned. আমরা যেকোনো মানুষ আমাদের প্রবৃত্তি দোষে নিজেকে বিকিয়ে দিই। সবাইকে, বিশেষ করে যারা তদন্ত করছেন, তাদের কে দায়বদ্ধ থাকতে হবে। সাধারণ বুদ্ধিতে মনে হয়, মৃত্যুর দিন সকাল থেকে পরের দিন দাহ পর্যন্ত যে যে ব্যক্তি ওই বিল্ডিং এ গেছিলেন এবং দাহ সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করেছিলেন, তাদের সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনতে হবে। তিলোত্তমার মা এবং মায়ের বক্তব্য আগে গ্রহণ করে সেটাকেই অন্যদের examination করা দরকার। মূল অভিযুক্তকে দিয়ে the crime sequence is to be recreated with a priority. ঘটনার দিনের preparation of duty schedule থেকে প্রতি মিনিটের ঘটনাবলী নির্ণয় করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট প্রত্যেককে examination and if needed confrontal examination প্রয়োজন সঠিক তথ্য উদ্ধার করতে। কঠিন হলেও যেখানে তথ্যপ্রমাণ লোপাট হয়েছে, সেখানে এই witness and concerned persons are to be examined repeatedly without any bias and outside influence.
দ্বিতীয়তঃ মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান। কেবলমাত্র জৈবিক চাহিদার কারণে নাকি কোনো অন্তর্নিহিত গোপন-রহস্য-প্রকাশ আটকানোর জন্য এই খুন, এই রহস্য উদঘাটন করতে গেলে কে বা কে কে খুনের জন্য দায়ী সেটা আগে বের করতে হবে। সাধারণ দৃষ্টিতে একজন MD student হাসপাতালে নীতি নির্ধারণ বা দৈনন্দিন কাজে involved না থাকাটাই স্বাভাবিক। Circumstance and evidence দুটো থেকেই সিদ্ধান্তে আসতে হবে। এই কাজটি অত্যন্ত কঠিন এবং সময়সাপেক্ষ।
তৃতীয়তঃ নিরাপত্তা। প্রতিটি হাসপাতালের প্রতিটি অংশ সিসিটিভি কভারেজ এর আয়ত্তাধীন করতে হবে, পাশাপাশি নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়মিত পরিবর্তন আবশ্যক। রাত বাড়লে রোগীর আত্মীয়রাও অনেক সময় নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। অনেক সময় বিনা কারণে ডাক্তারদেরও লাঞ্ছিত হতে হয়। জানি না এই সরকার বা অন্য কোনো সরকার কিভাবে সমাজকে নিরাপদ করতে পারবে!
চতুর্থতঃ দুর্নীতি। প্রতিটি কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের দপ্তরে যোগ্যতার পরিক্ষা থেকেই নিয়োগ, পোস্টিং, ট্রান্সফার এবং খরচের ক্ষেত্রে দুর্নীতি সর্বগ্রাসী। আমরা কতজন এই চক্রবুহ এর বাইরে নিজেকে রাখতে পারি এই প্রশ্নের উত্তর আমাদের নিজেদেরকেই দিতে হবে । compromise ছেড়ে কজন আর লড়াই করতে পারে। মুখোশ পরে, অভিনয় ছেড়ে, আমরা ক'জন নিজেকে সৎ রাখতে পারি সত্যি কথা সত্যি বলতে পারি — এর উত্তর আমাদের কাছেই লুকিয়ে আছে।
পঞ্চমত, virtual world এ আমাদের চলাচল এবং মুখোশের মেলামেলি।
No comments:
Post a Comment