Thursday, February 27, 2025

 দোল তো কদমতলায় পুর্নচন্দ্রমায়


হঠাৎ কথাটা কানে ধাক্কা মারল সজোরে

“বোকা ,তুই আগে বুঝে আয়”,

কোথা থেকে ?

সারা দিন কাটে মানুষের মন খুঁজে অর্থহীন, 

কত যে মন কত তার রকমফের,

 ভাঙাগড়া,

পুতুলনাচের এই ইতি কথার শেষ যে শুরুতেই।

বুঝতে পারি কই ?


যে পথগুলো ক্লান্ত বিরক্ত,

 শুকিয়ে যায়,

মরামনটা ,

কত সহস্র বছর, সেই আদিকাল হতে,

একপা দুপা,

পৃথিবীকে করি অনন্তধর্ষিতা ,

দেবকন্যার রক্তেই আবির লাল,

সুন্দর হাসিমুখে ভরা বুকে,

এ বসন্তে 

পারিনা চাইনা অক্ষম সঙ্গমে, 

মাফ করবেন,

বোকাটা বুঝতেই পারেনা ।


মনন চিন্তন সভ্যতার পতন চলছে,

 রাত অন্ধকার,

সে তো জাগছেই, 

অন্দরমহলে, উন্মুক্ত প্রান্তরে ,

আসমান নামে এই বন্ধ্যা জমিনে, 

গোপন পাপ,

যদি পাপবোধ বেঁচে থাকে বারে বারে পচা ধাপার ডাস্টবিন এই পিচকারির ফাগধারায় ,

হোলি তো হ্যায় জরুর হ্যায়।

বোকা কিছুই বুঝিসনা। 


পুজো সেতো সুভোগে নিজেকেই,

 বিজ্ঞাপন সেতো আমারই ,

আমি বিনা কর্মে , 

চলনে বলনে লেখনে

গতি নাই, নাই । 

নিজেরই গান গাই যতক্ষন শ্বাস।

একটা কালো পর্দা কিনে দাও আকাশ ঢাকি,চাঁদ তুই কেন? বুঝতে পারিনা ।


চল বোকা মরে আর একবার জন্মাই বুঝেই আসি,

দেবকন্যা কিন্তু ইশ্বরকে সব সত্যি সত্যি বলে দেবে, 

তার আগে “বোকা আমি, আগেই বুঝে আসি”যদি পারি ।

Wednesday, February 26, 2025

 বসে পড়লাম,খোলা উঠোনে,মাটি তো অনেক যোজন দুর,পাথুরে আস্বাদ, সকালআলোর কর্মনাশা রং মিলান্তি।


বস্তা গমের,বাছতে থাকি নুড়িপাথর,অভাবঅনাহার,পাই যদি সুখরুটির উপকরণ,বসন্ত ফাগুনের একপশলা দিন।


আবহমান, আগুনগুলো বৃষ্টির মতো, সমাপতন কিয়েভ থেকে আমার আনন্দপুর,গা বাঁচিয়ে নিরাপদ রক্তপলাশ।


ভিখারিটার একটা পা কাটা, অবলীলায় উঠোন ডিঙিয়ে,হয়তো ওই দেশে মানুষ ভালোবাসার কাঁথা বোনে।


সজনে ফুলে রক্তের ছাপ, সহজ শিকার ,একের পর আরেক, ছন্দবদ্ধ কাব্যযাপন সাথে দু-একটি দীর্ঘশ্বাস।


নিরুপায় বিকেল আসে, আওয়াজ কমে ধীরলয়ে,কি যায় আসে, বেড়িয়ে পড়ি,প্রেমপলাশ কুড়াই,ভরে যায় শ্রান্ত আঁজলা।

 কলকাতার ফুটপাথ ভিড় করে বেপথু রুদ্রপলাশ,


বিদ্রোহী,হে মানবী তুমি কথা কও,জ্বালাও ঝরাপাতা,এ দেশে জীবন চিতা সাজাও শিমুলের।


রুইতন কিংম্বা ইস্কাবন  যাই হও না তুমি দরকার তো শুধু এককাঠি দেশলাই। কুড়ুলটায় চকচকে ধার,মানুষ কাটা নিতান্তই কাজ এলেবেলে।


মলের ক্যাফেটেরিয়ার কৌচে বসে কফিতে চুম্বন দিতে দিতে প্রতিক্ষার কিছুটা সময়,আমি নবরুপে। মৃদু ভলিউমে বিঠোফেন বা সাম্যের গান।


সুর্য উত্তাপ দাও আগুন চাই ঝলসানো,নৌটঙ্কি বৃন্দাবনে,দোল খেলব কুতুবমিনারের মাথায়, অট্টহাসি ছড়িয়ে দেব গলিতে,মহল্লায় , ভালোবাসায়।


কথামানবমানবী ডুব দাও চৌরাসিয়ায়।

Tuesday, February 25, 2025

ফেলে এসেছি,আকল বাকল, কালো পাহাড়, তন্বী নদীটি, ঝরাপাতার খসখসে আওয়াজটা সে তো বটুয়ার মধ্যে রেখে এসেছি, এসেছি মোরাম লাল মনটা নীলকন্ঠ আকাশে উড়িয়ে দিয়ে। হড়হড়ে চালে হাঁটতে হাঁটতে শেষমেষ দড়কচা মারা শুকনো রাস্তায়।

প্রথম হাইটা তুলেই ফেলি।

এগোই অভ্যাস বসে, ওরা সবাই ঘিরে ধরে,এক পাও আর এগোনো যায়না। দাঁড়িয়ে পড়ি, মাথায় যে স্টোরেজ ক্যাপাসিটি তার মধ্যে রাখি, গুছিয়ে, যেটুকু রাখলে কষ্টটষ্ট বোধ কমে একটু গাঁজারে আমেজটা আসে।

তুলে ফেলি দ্বিতীয় হাইটা।

কথা প্রসঙ্গে বলে রাখি, আমার দম চার নম্বরেই সমাপ্ত, ঢং ঢং ঢং, বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজে আওয়াজটা ছিল অবশ্য অন্যরকম।

হ্যাঁ, যেকথা বলছিলাম,ওরা তো ধরলো ঘিরে, ধরলাম হাত, ফ্যাতাড়ু,ফুড়ফুড়, কালিম্পং পাহাড়ে আজকাল তীব্র জলাভাব।ঘুরি , হাঁসফাঁস লতানো বেড়ার গোলাপগুলো আটকে দেয়, ছড়ে যায়, রক্তের রং কালো, বার্ধক্যজনিত ও পাপ বৃদ্ধিজনিত কারনে।হুউস, মরা কালচে রাস্তায়......

তৃতীয় হাইটা  পারিনা ,আটকাতে।

সবাই ঘিরে ধরি,মেয়ে আমাদের দিঘল ঝিল, আমাদের ছেড়ে আসা আকল বাকল,আবেগ, যৌবন।হে অচিন নদীর সওদাগর,ভালোয় রেখো,আমানি পান্তা, কাঁচা লঙ্কায় থাকুক ভালোবাসা,যা আমরা রেখেছি, বাঁচিয়ে,আজো। আবার ও বা ,হয়তো বা দ্বিতীয় কালিম্পং।

টুপিটা খুলি, চতুর্থ হাইইই....…


Sunday, February 23, 2025

অমৃত কুম্ভের সন্ধানে আলোর খোঁজ।  মধুকরের কালপুরুষ হয়ে কেঁদে ফেরা । আঁধার আকাশ বড়ো আপণ করে নেয় । না বলা কত কথা আগল খুলে একলা বলা । নিজের পাপ, অন্যায় ,অক্ষমতার একান্ত স্বীকারোক্তি ।  ধুইয়ে দাও,সিক্ত করো.রিক্ত করো,আমাকে সুতীব্র বেদনা দাও ।আঘাতে আঘাতে আমাকে রক্তাক্ত করো । রক্তের রঙ যে এতো কালো । মায়ের বুকের ওম নিয়ে চির নিদ্রায় অনন্ত স্বপণে সব কুড়ির ফুল হয়ে ওঠা দেখার বড়ো সাধ ।  সৌমসুন্দর অন্ধকার  আবৃত করো।পরম প্রিয়া পূজ্যা দুর্গা, আমার ভালোবাসা, আমার দুগ্গা হয়ে আমাকে তোমাতে চির রুদ্ধ করো। তোমাতেই আমার পুজা , কালপুরুষের আত্মনিবেদন। পৄথিবী ফুটে উঠুক বহ্মকমলে। সব বন্ধন ছিড়ে অন্তর গ্লানি মুছিয়ে দাও, চির অন্ধকার দেখার অনিমেষ নয়ন দাও কৃষ্নময় পাপবিদ্ধ এই কালপুরুষকে ।

Saturday, February 22, 2025

 অমৄত কুম্ভের সন্ধানে আলোর খোঁজে এই মধুকরের কালপুরুষ হয়ে কেঁদে ফেরা হে পিতা । আঁধার আকাশ বড়ো আপণ করে নেয় । না বলা কত কথা আগল খুলে একলা বলা । নিজের পাপ, অন্যায় ,অক্ষমতার একান্ত স্বীকারোক্তি । প্রভু করুণাধারায় আমাকে ধুইয়ে দাও,সিক্ত করো.রিক্ত করো,আমাকে সুতীব্র বেদনা দাও ।আঘাতে আঘাতে আমাকে রক্তাক্ত করো । রক্তের রঙ যে এতো কালো ।মায়ের বুকের ওম নিয়ে চিরনিদ্রায় অনন্ত স্বপণে সব কুড়ির ফুল হয়ে ওঠা দেখার বড়ো সাধ হে জীবনবল্লভ ।এই সৌমসুন্দর অন্ধকার আমায় আবৄত করো।পরমপ্রিয়া পুজ্যা দুর্গা আমার ভালোবাসা আমার দুগ্গা হয়ে আমাকে তোমাতে চিররুদ্ধ করো। তোমাতেই আমার পুজা  এই কালপুরুষের আত্মনিবেদন। পৄথিবী ফুটে উঠুক বহ্মকমলে।সব বন্ধন ছিড়ে অন্তরগ্লানি মুছিয়ে দাও, চিরঅন্ধকার দেখার অনিমেষ নয়ন দাও কৄষ্নময় পাপবিদ্ধ এই কালপুরুষকে, নাথ হে ।

Friday, February 21, 2025

  হৃদি ভেসে ভাসায়


তোমায়   পাগলামি,

আমি ভেলায় ভাসলাম ,ডুবলাম,

ডুবসাঁতারে,

আকাশগঙ্গায়, 

দুচোখে জ্বালিয়ে দিলেম পিদিম।


কিশোর চোখ,

ইশারায় আজও এই নীলনদী,

পথের হোঁচটে ,

জীবনের কোন আবছা আলোয়,

পাগল হাসিতে, কানে কানে।


ঘামে ভেজা শিমুল পলাশে,

 রাতভোর জেগে,  

পদাবলীর ঝরঝর ঝরে পড়া শুকতারায়,

সুর্যমুখীর সুখবসন্তবিলাপে,

মরলাম।


তুমি ,হাসিতে হাজারদুয়ারী,

 এখনও,

 কালাহান্ডির কন্দমুলের ঝলসানিতে,

 একান্ত তপ্ত উত্তাপে,

নির্জনতম তীব্র তৃষায়।


 হাসছ?

সুখ অসুখের গভীর আলোকমালায় তোমায় যে গান,

শুনছ  তো স্টেশন ভীড়েও 

বুড়োকুলীর ভাঙামাথায়,

বোবা কান্নায় বেহাগে ।

 তোমাকেই ভালেবেসে,

এই মনপান্থনিবাসে প্রিয় আঁধার, 

আবেশে আকন্ঠে হৃদি ভেসে ভাসায়,

ভালোবেসে ভালোবাসায়,

আলোখেলায় বা সাঁঝবেলায়,

মৃত্যুপ্রতিক্ষায় ।


আজকের দিনে ভাষা , ভালোবাসা, জীবন, পথচলা সব একাকার হয়ে যায়।

Thursday, February 20, 2025

 হৃদি ভেসে ভাসায়


নীরা তোমায় সুনীলে পাগলে যে পাগলামি

আমিও সেই ভেলায় ভাসলাম ডুবসাঁতারে

আকাশগঙ্গায় দুচোখে।


কিশোর চোখ ইশারায় আজও এই নীলনদী

পথের হোঁচটে , জীবনের কোন আবছা আলোয়

পাগলহাসিতে কানে কানে।


ঘামে ভেজা শিমুল পলাশে রাতভোর জেগে  

যে পদাবলী ঝরঝর ঝরে পড়া শুকতারায়

সুর্যমুখীর সুখবসন্তবিলাপে।


তোমার হাসিতে হাজারদুয়ারী এখনও কালাহান্ডির

কন্দমুলের ঝলসানিতে একান্ত তপ্ত উত্তাপে আহা.

নির্জনতম তীব্র তৄষায়।


তুমি হাসছ?

সুখ অসুখের গভীর আলোকমালায় তোমায় যে গান,

শুনছ  তো স্টেশন ভীড়েও বুড়োকুলীর ভাঙামাথায়

বোবা কান্নায় বেহাগে ।

নীরা তোমাকেই ভালেবেসে,এই মনপান্থনিবাসে 

প্রিয় আঁধার আবেশে আকন্ঠে হৃদি ভেসে ভাসায়,

ভালোবেসে ভালোবাসায়,

আলোখেলায় বা সাঁঝবেলায়,মৃত্যুপ্রতিক্ষায় ।


আজকের দিনে ভাষা , ভালোবাসা, জীবন, পথচলা সব একাকার হয়ে যায়।

Tuesday, February 18, 2025

 অন্ধকার নামে তো খুব কাছেই

অন্তর আবরণে অনুভব শিরশির।

তপ্ত মরাফাগুনেও শীতের পরশ

শহরবাউলমন   অনিমেষ অস্থির।

Sunday, February 16, 2025

 খুঁজছো? সেই ভোরের আলো ফোটার পর থেকে, এখনতো বেলা এলো পড়ে । হাতে পায়ে জমলো ধুলো, মলিন হলো মুখ, নিঃশ্বাস হলো দীর্ঘতর।

 খুঁজেই চলেছো মরা আলের পথে,ঘাড় বেঁকিয়ে মুচকি হাসির কুলের ছায়ায়,স্কুল কলেজের বেঞ্চে, শ্রীহরির কচুরির টেবিলে, কলেজ স্ট্রিটের বই এর জানালায় অথবা অফিসের চেয়ারে আর শেষের সমে নদীর বাঁকে।

দেখো,ওই বুড়োটে মানুষটা সেও কি যেন খুঁজছে জীবনের ডাস্টবিনে ‌।মনে হয় ভুল করে ফেলে আসা কোন কিছু নয়তো যা হারিয়ে ফেলেছে জেনে বা না বুঝে।

একটু দু চোখ মেলে তাকাও,দেখো ওরা,ওরা ,ওই ওরা, সব্বাই খুঁজে চলেছে।

একা নয়, সম্মেলনে অনিমেষ আমি, তুমি,তোমরা এবং আমরা।

খোঁজ।

ভালোবাসা।

হয়তো হৃদয়ে, হয়তো বা গোপন গভীরে।

বেঁচে থাকা।



Saturday, February 15, 2025

 জলতুলিতে মনছবি আঁকি মগ্ন আকাশ জুড়ে,

দুগ্গা শুধু তোকেই দেখি কাছে দুরে হৃদঅন্তরে।

শিউলি ছোয়া দিস যে তুই এখনো এই শহরবনে,

তোকেই পুজি সাজাই কল্পে পলাশ রক্ত চন্দনে।


অন্ধপথ ।  মুক্ত অঙ্গন থমকে দাঁড়ায় ক্লান্ত গরাদের অথৈ অন্যমনস্কতায়। তুমি,আমি, উদ্দেশ্য হীন জীবন, মরূদ্যানের  অভাবযাপন। মন মরীচিকা । শীতার্ত কাব্যায়ন।

Thursday, February 13, 2025

 চলা শুরু শিশু ভোলানাথে একা উজানশ্রোতে,

অথৈ গহনে মাধুকরী না বিকিকিনি, খুঁজে ফেরা ।

আলোতে আঁধার,আধাঁরে আলো, প্রেম ন হন্যতে 

যুগ,সময়.কাল,ফিরে ফিরে দেখা বাসন্তী ধ্রুবতারা। 


সত্য শিবসুন্দরে নাথ হে তুমি যে ঔ আকাশরথে,

উষা জাগে নবরবি কিরণে সে কোন্ মন মধুবন্তী রাগে।

শেষ নেই পথের,বন্ধনহারা বয়ে চলা,রহো রহো সাথে,

তব ভালোবাসায় এই পান্থ হৃদমাঝারে যেন জীবন জাগে।

Monday, February 10, 2025

 এক  মঞ্চ, আমরা কুশীলব,

যবনিকাপতন স্তব্ধ কলরব।

তবু প্রতিদিন কিসের খোঁজ,

দিন পর দিন প্রতি রোজ।

সুরে অসুরে এই মালা গাঁথা,

প্রেম অপ্রেমে ছোট কথকতা।

যুগ  যুগ ঋদ্ধিতে দিন জাগে,

রাতও হাসে অমিয় বেহাগে।

 ৮ দশমিক ৫ পল,


দ্বিতীয় যাম দীর্ঘায়িত,


কঠিন পাচ্য।


উচিতার্থে নির্বাপন।

Sunday, February 9, 2025

 বোকা চলনে কিছুক্ষণ,কিভাবে হওয়া যায় একটি যত্নবান পুরুষ?বটতলায় পুঁথি লিখন।এখন অবশ্য ওখানে ঘুনপোকার দল খেলা করে।সকালের সুর্য থেকে নাঙটো রাত অবধি বক্সখাট থেকে কুম্ভকর্ণ ঘুমে থাকা গিটারটাকে পৃথিবীর আলো দেখানোর চেষ্টায় আছি, নাকডাকার মধ্যে ও একটা রিদম আছে। সকাল হলেই দৌড়তে হবে,৫ কিলোমিটার।এখন আর জেগে থাকা অনুচিত।

আধো অন্ধকার,আজান ঠিক সময়মতো নাড়া দেয়, দুরত্ব।একে একে বন্ধন ছিড়ে এগিয়ে যায় পথ, বন,দহিত  চিন্তন।আগুন তবু জ্বলতেই থাকে ধিকি ধিকি। স্তব্ধ বাতাস ডাকে, আমন্ত্রণ আঁকড়ে  ঝরা পাতা সঙ্গ নেয়। উড়ান অনিশ্চিতে।নেড়া ধানের মাঠে ইতিউতি উকি মারে কাঁটা খেজুর।বসত কোথায়? তালসারি মৃদু হেসে বলে ওঠে,ওরে সবুজ তুই জাগ নয়নতারায়।

 কুয়াশা নেমে আসে মরাদিঘীর ঘোলাজলে। পানকৌড়ির জলডুব সাঁতার, বৃত্ত আবৃত।বুলবুলি ঝাপসা চোখ কচলাতে থাকে।পথের লাল মোরাম এখনও গভীর ঘুমে।শালমহুলের ফিসফিস, গুনগুন। আঁধার আলোর বেহিসাবি মিলন।পরশু,কাল আর আজ।শালিক,চড়ুই বিচ্ছিন্ন বসবাস।

সকালের ঘুম ভাঙ্গে।

সমে জাগে চরাচর। জেগে ওঠা বালুচরের আঁকে বাঁকে মায়ামৃদঙ্গের জলছবি।

অমৃত আলোয় আলোকময় ইচ্ছেপাহাড়।টেনে নিয়ে যায়, ধাক্কা খাই, পাঁচিল, চিৎকার করে উঠি,দু চারটে গাছপাখি চোখ কচলাতে কচলাতে দেখার চেষ্টা করে,কি এমন ঘটে গেল। রোগা পানা নারী, আস্তাকুড়ে কুকুরের দলের সাথে কি যেন ব্যাগে ভরতে থাকে।দিনের রসদ!

 একলা পায়ে আদুল গায়ে উজানী একপশলা আকাশ মেঘে ভিজি,

উদাস বনে মগ্ন মনে আপন ভুলি ,ভুবনডাঙায় আপনি  রঙ বিরঙ্গি সাজি।

Friday, February 7, 2025

 তুলতুলি


বুলবুলি তুই ভুল ভুলালি,

বাসন্তীকা মনের ক্ষেতে।


ছোট্ট পায়ে আদুল গায়ে,

সজনে সবুজ দিনে রাতে।


পাগলী হাসি বৃষ্টি বাঁশি,

ভুবন ভরে আলতো হাতে।


হৃদয় দোলে গোলাপ গালে,

মধুর পরশ তোর ছোঁয়াতে ।


 পাগল বাউল বড়োই আকুল,

জাগে   কান্না হাসি স্বপনেতে।


পেতেম যদি  ইচ্ছে নদী,

লুকোচুরি তোতে আমাতে।


আলো ছায়া আবছা মায়া,

আয় না এই জীবন জুড়াতে।


হোক না স্বপন তবুও শাওন,

মায়ামৃদঙ্গে পাড়ি যে দুগ্গাপথে।

Wednesday, February 5, 2025

 দৌড়ে চলেছি,শিরায় ধরছে টান, পা টেনে টেনে চলছি, আবার দৌড়, রক্ত ঝরছে ,সব বন্ধন ছেড়ে পথ খুঁজে ফেরা। চলতে চলতে আবার দেখি ফিরে এসেছি সেই ন্যাড়া পুরোনো পলেস্তারা ঝরা নাটমন্দিরে। এককোণে বসে আছেন জুবুথুবু জগুবাবু। ইতস্তত করি,,,তারপর দাওয়াতে বাঁশের খুঁটিতে হেলান দিয়ে জিরোই। হাঁফ ধরে গেছে, চিনচিনে ব্যাথা বুকের এককোণে।

আকালের অক্সিজেন।

 ছোট্ট জীবন কখন  আগুন উড়ান নতুন আলোয়,

পথের ধুলায় তোমার মায়ায় ওই হোথা অবশেষ।

দুঃখ,আঘাত,বেদনা,ভালোবাসা,অমৄতময় প্রেম

প্রাননাথহে শহরবাউল চেয়ে রয় অন্ধ অনিমেষ।


যাহা দাও কুড়াই এ দুহাতে ,ভরি হৃদয় অন্জলী,

সুরে বাঁধি ছেড়া তারে জীবনমরণের কথাকলি।

ঘুরে মরি কালকুট যে প্রান, অমৃতকুম্ভের সন্ধানে

নাও বেয়ে চলা,পলপল,থামা  কোন্ সে উজানে?