ফেলে এসেছি,আকল বাকল, কালো পাহাড়, তন্বী নদীটি, ঝরাপাতার খসখসে আওয়াজটা সে তো বটুয়ার মধ্যে রেখে এসেছি, এসেছি মোরাম লাল মনটা নীলকন্ঠ আকাশে উড়িয়ে দিয়ে। হড়হড়ে চালে হাঁটতে হাঁটতে শেষমেষ দড়কচা মারা শুকনো রাস্তায়।
প্রথম হাইটা তুলেই ফেলি।
এগোই অভ্যাস বসে, ওরা সবাই ঘিরে ধরে,এক পাও আর এগোনো যায়না। দাঁড়িয়ে পড়ি, মাথায় যে স্টোরেজ ক্যাপাসিটি তার মধ্যে রাখি, গুছিয়ে, যেটুকু রাখলে কষ্টটষ্ট বোধ কমে একটু গাঁজারে আমেজটা আসে।
তুলে ফেলি দ্বিতীয় হাইটা।
কথা প্রসঙ্গে বলে রাখি, আমার দম চার নম্বরেই সমাপ্ত, ঢং ঢং ঢং, বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজে আওয়াজটা ছিল অবশ্য অন্যরকম।
হ্যাঁ, যেকথা বলছিলাম,ওরা তো ধরলো ঘিরে, ধরলাম হাত, ফ্যাতাড়ু,ফুড়ফুড়, কালিম্পং পাহাড়ে আজকাল তীব্র জলাভাব।ঘুরি , হাঁসফাঁস লতানো বেড়ার গোলাপগুলো আটকে দেয়, ছড়ে যায়, রক্তের রং কালো, বার্ধক্যজনিত ও পাপ বৃদ্ধিজনিত কারনে।হুউস, মরা কালচে রাস্তায়......
তৃতীয় হাইটা পারিনা ,আটকাতে।
সবাই ঘিরে ধরি,মেয়ে আমাদের দিঘল ঝিল, আমাদের ছেড়ে আসা আকল বাকল,আবেগ, যৌবন।হে অচিন নদীর সওদাগর,ভালোয় রেখো,আমানি পান্তা, কাঁচা লঙ্কায় থাকুক ভালোবাসা,যা আমরা রেখেছি, বাঁচিয়ে,আজো। আবার ও বা ,হয়তো বা দ্বিতীয় কালিম্পং।
টুপিটা খুলি, চতুর্থ হাইইই....…
No comments:
Post a Comment