নতুন দিন,তারিখ,সময়,পল.কাল. বছর
দিকহারা অবক্ষয়ে হারায় শোভনসুন্দর,
অকারণে কুহকে এই ফিরে ফিরে দেখা।
নেশাতুরপ্রান চাওয়াপাওয়ার জীবনরেখা।
জীবন জাগুক সুন্দর পৄথিবীর অলীক স্বপ্নে ,আর গারদ ভাঙার গানে , ঠিক তো ?
পৌষালী রাতে শীত লুকোচুরি খেলে জারুলের পাতায়,
মিটিমিটি হাসে নিভে থাকা বেহিসাবি পথ।
অহেতুক রাত পেরিয়ে সকাল,
বারবার ফিরে যেতে চাই খেজুরের পাতায় কেঁপে কেঁপে ওঠা স্বপ্নের বসতবাসায়।
ফ্লাইওভারের নিচে ফাটল ধরা বেন্চে বসে থাকি,
এবং বা অফিসের চেয়ারে,
ফাইলের কানামাছি,
জানালায় নয়নতারা,
দ্রোহকাল।
ঘোলাটে মেঘের গম্ভীর ভ্রূকুটি,
নেই তোয়াক্কা,
একটা জীবনে পাওয়ার খোঁজে হারিয়েছি সব,
ইটেচাপা সাদাটে ঘাসের সাথে সহগল্পকথা,
মানুষ ভিন্নগ্রহী,
অবলম্বন ?
তেঁতুলের বনে তিরিতিরি ছায়া নামবে,
হয়তো বা এখনি,
কাল এই ভাঙা পথে অন্য কেউ,
কেউ কি মনে রাখবে?
ইতি অন্যান্য
মরিচঝাপির নয়া আবাদ ফসল মরা ঘাস,
ঘোলাটে সন্ধ্যায় সেজে উঠেছে রিসর্ট, বাংলায় অনুবাদ করলে মনে হয় একটু নিরূদ্বেগ আশ্রয়ে নিজেকে বিপনণ।ভাঙা রাস্তায় চাঁদোয়া সাজিয়ে সর্বরোগ নিরাময়ের নিলামজারি।
মুঠো মুঠো পলির মাঝে ভাঙা নৌকায় আটকে আছে সবটুকু আবেগ অনুভূতি এমনকি পাগল ভালোবাসাও
পুর্ণগাভি জোয়ারের অক্ষম অপেক্ষায়,সান্ধ্য জলসায় বাধ্যতামুলক অনাবৃত উপস্থিতি।
আমিটাকে , আমার সেই আমিটাকে রম্য সরোবরের পাশের মরা শিমুলগাছে ঝুলিয়ে রাখা , খোলা জানালা দিয়ে উঁকি মারে প্রেতাত্মা,জোনাক আলোয় স্বপ্ন সন্ধানী ভিজে কিশোরী শামুকমেঘ।
হৃদমাঝারে
একটি দুটি, হাজার হাজার,
সলতে পাকাই,পথের দিশা।
আজ কাল ,বছর বছর ,
এইতো জীবন,অমৃত পিপাসা।
সবুজ অবুঝ, কলম আখর,
আলো দেখাই, দুরে কুয়াশা।
কাঠের বেন্চ,আগামীর অন্তর
অনিমেষ দৃষ্টি,আলোর আশা।
আজ আমি,কাল অন্য কেউ,
তোরাই প্রাণ, ছাত্রদলের ঢেউ।
তোদের ভালোবাসা, এইটুকু মাধুকরী,
আর কিছু চাইনে,স্বপ্নের আকাশতরী।
এটি একটি অনুরোধের লেখা যা আগে করিনি।
প্রাণ ফেরে,
মরে।
যে দিন যায় ক্ষয়ে,
কাঁদে ,
ফিরে আসে না,
সুখ কিংবা অসুখ,
পথ ভোলে,
কোথায় হারায় !
বছর বছর ভেসেই যায় ,
ক্ষ্যাপা দেয় ডুবসাতাঁর,
সেই যে পাওয়া ভরা জ্যোৎস্নায় পরশপাথর ।
সেই আশ্বিন কোথায় যে হারিয়ে গেলো……
মনোময় অন্ধকার আজ ছাতিম গন্ধে পাগল,
আপনভোলা পথ ছাড়ায় ,
মায়া ইছামতী ডাকে
ভাটিয়ালী মায়াবন ।
এখানেই সেই হারিয়ে যাওয়াই ইচ্ছেনদী?
দাও, দাওনা আমার সেই মুক্তধারা পরশপাথর ।
সেই বনফাগুন মনআগুন কে যে নিভিয়ে ভেজালো……….
কিশোরী প্রেম,
কাঁপা হাত পড়তে দেওয়া,
লেখাটা হয়েছে কেমন ?
কাল বা পরের দিন অপেক্ষা অন্তহীন ।
অবসর যখন হলো..
যে দিন যায় ফিরে আসেনা ।
যখন পড়া হলো.
বোঝা গেলো,
কোথায়,
কোথা যে সে ?
এতো জল কে যে অশ্রুনদী বানভাসি অকুলে হারালো…..
আকাশআয়নায় নিশির ডাক,
উড়োপ্লেন গুলোর কাঁটাকুটি,
মুখটাই অদেখা,
তবুও হাঁটাচলা ,
হাঁতরে জাগা রাতভোর,
বিকলাঙ্গ মন এখনো আঁধারসুরা পানে খোঁজ,
কোথায় ঝুলিভরা পিতৄমুখে পুরাণ,উপনিষদ্,
আর গোপন কিশোর শীতপ্রেম ।
দড়িতে ঝুলে মৃত প্রাণ কে যে কেন যে নামালো……..
ক্যাথারিস
আমার একটা আকাশ ছিল,
নিজের হাতে সাজানো,
ছিল একটা আকাশভেলা,
ঘুরে বেড়াতাম,
এইখান,
ওইখান,
ছিল আমার একলা আকাশ।
ওই আকাশেই পুঁতে ছিলাম,
গাছ ভালোবাসার।
রোজদিন গাছটার গোড়ায় গোধূলি রঙিন জল দিতাম,
দিতাম আঁধাররঙা ,
বুকের গহীন খুড়ে তোলা আঁজলা ভরা গোপন উচ্ছাস।
সবে তখন ইস্কুল,
মনে একরাশ ভয়,
যদি কেউ জানতে পারে,
উপরে ফেলে দেয় একলা গাছ,
তখনো ঘুম ভেঙে বারবার উঠতাম জেগে।
ও তখন কষটা কুলের মৃদু উদ্ভাস,
ও তখন সারপেনটাইন লেন,
উঁকিঝুঁকি,
বন্ধতালার উষ্ণ নিঃশ্বাস,
মরল নীরব আবেগ,
অব্যক্ত,
পোড়া ছাই,
আকাশ কালো।
আকাশ ভেলাই সম্বল,
এই লাইব্রেরী থেকে ওই লাইব্রেরী,
বই চুরি,
খুঁজে ফেরা,
আকাশ ঝরা উল্কা,
একটু আগুন,
কৈশোর আর যৌবনের কাটাকুটি।
নিভৃতে ভগবান ভুত,
গ্রামের জামা ছেড়ে শহুরে শার্ট,
উপহাসে দিন,
পাগলমন
মনে শীত পড়ছে, দরজা জানলা বন্ধ কপাট সব,
রুদ্ধ আলো,শৄঙ্খলিত বাতাস, নীরব কান্না কলরব ।
কুয়াসা ঘিরে ধরে কালো চশমায় প্রেতের সারি,
জগদ্দলে শিলায়িত পুরুষ, বন্ধ্যা নিজঃশ্বলা নারী ।
ইচ্ছায় জাগেনা কলম, কি এক মেঘলা অলসতা,
সব ভুলিয়ে শ্মরণে আঁধারে হারায় বোবা কথা ।
বরফে সঙ্কুচিত হাত ও পায়ের আঙুল ,শুধু দরকার তো
দুমুঠো ভাতের স্বপ্নে একটু ছাদ, বাঁচা খামারে পশুর মতো ।
মরে বাঁচা না বেঁচে মরা, বাতাস এতো ভারী এতো বিস্বাদ,
কায়াহীন কাগতাড়ুয়া দাড়িয়ে একা চারধার শুধুই অনাবাদ ।
ভালোবাসা,আবেগ,অনুভুতি,চিন্তন সবই তো বন্ধক ।
মনটাকে কোথায় যে রাখলাম?হায় রে জীবনকুহক..
পাগলরে পাগলমন কোনগহনে ?
ভাঙছে দিন, ভাঙছে রাত,
আলোর খোঁজে তুমি আমি বন্ধু আমরা সব্বাই।
চলছি পথে, ফিরে দেখা
শীতের তাপ,ভিজে বর্ষা, আকাশ,পাহাড় ভোরাই।
স্কুল কলেজের কাঠের বেন্চ,
ক্লাইনোমিটার,পায়ে পায়ে অন্বেষনে পথের দিশাই।
স্বপ্ন স্মৃতি অগোছালো, তবু
প্রাণের ধারায় বারেবারে ফিরেফিরে মিলনমেলাই।
ভাঙছে জীবন তবু সবুজ মন,
আমরা,তুই,তোরায় পুনরাবর্তন।
প্রত্যেকটি অক্সিজেনকনা শরীরের মাঝে গুমরে জাগে অনর্থক।
নিয়মমতে চলি ফিরি,
দিনজুড়ে কাজগুলো সারি,
যন্ত্রের মতো করাতকলে বাজতে থাকে গান ঘ্যানঘেনে,
জানিনা কেন আজগুবি ছবিগুলো মনের মাঝে আঁকড়ে ধরি,
বোকাবোকা লেখাগুলো চিপকাই,
সুধীকবিগনের চোখ এড়িয়ে এই কাজটি করে চলি।
ভাগ্যিস!
আড়ালে আবডালে নিন্দেমন্দ বা সহজকথায় গালাগাল,
অনুভবে রাখি।
মরে বাঁচার মাদুরকাঠি জড়ো করি,
গাছটা গেছে মরে ,
তবু গোড়ায় ঢেলে যাই জল বছর বছর,
জাগতেও তো পারে।
কাল হয়তো সবজেটে সকাল,
ফিনিক্স আশা।
প্রিয়সখাহে
প্রিয়সখাহে তোর সাথেই গেছোপ্রেম,
তোর কাছেই উজার আমিটুকু ।
বন্ধু কতদিন তোর সাথে অদেখা
প্রিয়তম বন্ধু তুই যে আমার ।
বাবার হাত ধরে প্রথম পরিচয়,
বোধনের সন্ধ্যা পিদিমের আলোয়,
দুগ্গার চরণ এই ধুলিধরায় ।
চোখের জলের বাঁধ ভেঙে যায় বন্যাধারা
দিন পর দিন ভাসায় ,পালিয়ে হারায় ।
কত সাঁঝবেলায় তুই আমাকে বাঁচিয়ে তোর ছায়ায়,
তোর আলিঙ্গনের ফল্গুভালোবাসায়,কত গোপন কথা
তোর সাথেই ,সকাল আর এই শেষবেলায় রবির আলো
সেই কথা মনে করায়, কত অন্যায় কত ভুলে স্বীকারোক্তি ।
সেই মাঠ, আমের গাছ ,পুকুরে ঝাঁপ,শসার ক্ষেত ,দৌড় দৌড়
বন্ধু কতদিন তোর সাথে দেখা নেই ।
যখন তুই আমাকে পাশে রাখতিস ,অনন্ত অবসর
আজ আর ফুল ফোঁটেনা ,বুনো ঝোপ ,কোথায় কোথায়
বড়ো একা লাগে. তোকে ছুঁতে বড্ডো ইচ্ছা করে,
দেখতে মন লাগে পিদিমের আলোয় ধুপশিখায় ।
ভাঙাচোরা দুখরাশি এই দুর কংক্রিটে জঙ্গলে
ঘন্টার আওয়াজ কানে আসে ,ভাগ করে
সব তোর সাথে জীবনসখাহে,
কানে কানে,প্রিয়সখাহে আমার ভালোবাসা মন্দলাগার
ভালো থাকিস ভালোবেসে
আমার আপন একান্ত প্রেম শিশু ভোলার বেলেরগাছ ।
আজ এই পথভোলা বুড়ো বয়সেও তোকে…….
একটি কালো কবিতা
পথচলতি পাগলা হাওয়ায় চিতি সাপেরও আড়মোড়া ভাঙে,
নীরবতার একটা কালো কবিতা অন্ধকারেই সাজায় অবনী ।
মৄত্যুতেও শুরু হয় এক নতুন ঝরঝরে অশ্রুত রাগবাহার।
ফোঁসফোসানী শুরু করে চিতি , শিকার অথবা নিজেই শিকারী ।
আমি কে ?এই আধাঁরে কেন ,কালোতেই তো প্রতিবিম্ব সুস্পষ্ট,
কৄষ্নসাগরে ঝাঁপ দেবার আগে অবনী আর কালোচিতি এক আত্মা ।
নিস্তব্দতার কবিতা , আখরমালা সাজে আপন সুরে ফিরে মৄত্যুগহ্বর ,
হেমলক তুই এতো তরল ,এতো তীব্র আবাহন ,বড়ো নিবিড় সুনিবিড় ।
তাপচুল্লীর দরজা খোলে ক্ষনিকতরে, চোখ ধাঁধিয়ে তীব্রছটায় সুতীব্র,
এতো শীতল আবাহন , কৄষ্নসার হরিণ এই তাপে পোড়ে না পুড়েই ছাই ।
দিকহারা নিকস মধুময় প্রেমে অপ্রেমে আস্টেপিস্টে জড়িয়ে আলিঙ্গনে আঁধার,
অবনী তার উদ্দাম আবেগে বন্ধ করে সব জানালা দরজা সব সব কপাট ।
জেল সেলুলার ,আবেগ অনুভুতি হাতে পায়ে লৌহশৄঙ্খলিত জীবনচেতনা,
কালাপানির ঘুম ভেঙেছে কালোমনে এদোল ওদোল চেনা মুখের ভীড় ।
মহামিছিলে এমন নোনাচোখ, প্রবাহমান কঙ্কালে টঙ্কারে মৄত্যুগীতিকা ।
চোখ বুজে আসে ,মধু আবেশে অন্ধকার তোকে জড়িয়ে মরে বেঁচে ডুব,
কৄষ্ন সমুদ্র মরণে ভেসে চলে জীবনভেলা ।।
স্থবির
আচ্ছা, কোন বাসে উঠি ,পৌছুতে হবে সঠিক ঠিকানায়
দাড়িয়ে আছি এক্সাইড মোড়, ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়েই
কত নম্বর বাস ,মনে আসছেনা কিছুতেই চেনাপথেই ভুলভুলাইয়া
আমি যে এখন কি করি, ওই পাগলটাও তো একটা পা তোলে
আর নামায় ,স্থবির একই জায়গায় ।
দক্ষিণেশ্বরে মাকে প্রনাম,শিবের মাথায় জল গঙ্গাস্নান শুদ্ধমন,
বেলুড়ে তুমি রাম তুমিই কৄষ্ন, মনপ্রাণ তোমা পানে ধায় ।
ফেরার পথে শ্যামবাজার গোলবাড়ি কষামাংস দুটো করে রুটি,
গৄহে পত্নি প্রেমে গদো গদো বাইরে মন এদিক ওদিক চায় ,
একই রুটিন মন ,স্থবির একই জায়গায় ।
ইঁদুর দৌড়, বাঁশে যতই তেল মাখানো থাক নবনব রুপে
ইশ্বরের নামে কত্তা ভজন টিকে তো থাকতে হবেই ।
হলদেটে শেষের কবিতা, ফেসবুক আর হোয়াট্স আপে
অমর হয়ে যায় লেখনী রুপে কি-প্যাডের অক্ষরমালা ।
অচলায়তন ,স্থবির একই জায়গায় ।
কাজের মাসিটা বড়ো বেয়ারা, কামাই করলে চলে ?
ফ্যাশান শো এর আরেন্জমেন্ট, সবাই কন্ট্রিবিউট করবে
অনাথ আশ্রমে দান,সাংবাদিক কুল কেউ বাদ পড়েনিতো ?
এর মাঝে আবার রান্না, দুর একটা ফোন ডোমিনোজ আর
সচিত্র স্ববিজ্ঞাপন , স্থবির একই জায়গায়
সময় অফুরান,
বলতে পারেন বাসের নম্বরটা ??
চোখের আলোয় ঝাপসা দুপুর,
হেঁটে ফেরা পুরোনো গিটার,
তার ভুলেছে ছোঁয়ার আঙুল,
ভাঙা জঙ্গলে বারবার আবেশে তোমার দুটি হাত।
নিঃশ্বাসে নীল ভিজে চিঠি,
ভালো থাকা অন্য ধরিত্রী,
পথ চলতি সাতে সুর,
ঘুমে জাগি আরবার আশ্লেষে তোমার দুই চোখ।
পাতা ওড়া ঝরা দিন,
একান্ত লুকানো মনের খাতা,
অষ্টমে সাথী তেলচিটে বিলাস,
শব্দের দহনে ওড়াছাই নিঃশর্ত রক্ত ক্ষরণ।
ফিরে ফেরা মেঘবালিকা
হিজিবিজি সাদা পাতায় এতো আকিবুকি
ইচ্ছা বারুদগুলো নিভে যায় শহর বৄস্টিঘুম ভেঙেছে ।
মোম গলা আশাগুলো নিভে কাঁদে তীব্র হাওয়ায়,
বুকের আগলে সজোরে ধাক্কা মারে হৄদপিন্ড খুঁজে পাইনা ।
আধারে অঝোরে একলা একলাই ভিজি ,ব্যাঙগুলান
শীতঘুমের প্রস্তুতি ছেড়ে আবার জাগে,কাকে ডাকে
দৌড়ে পালায় জ্বলন্ত ফানুসগুলো আকাশের
এই কোন থেকে ওইধার, আমি ভিজি রাতচানে
চিনেআলোগুলো অনুভুতি হীন জ্বলে জ্বলতেই থাকে
বাজিগানে মদির নীরব অন্ধপেয়ালা খানখান,
ভালোবাসা মুখ ফিরিয়ে আগাছাভরা সাধের বাগান ।
বোঝা অবোঝা নাবোঝা গাথামালায়,চোখের জল
মেঘবালিকার ছোয়ায় হিমেল ছোয়ায় বরফ জমাট,
একলা ভিজি অথৈহৄদয় ভিজে আগুন হাহাকারে ।
ধীরে ধীরে আরও একায় একাকার।
তবু আধপোড়া আমের পাতার মতো আদুলে পোড়ে।
মোরাম লালে মেশে ফাটাপায়ের নেভা রক্তের লাল,
চলতে থাকে,পা মেলায় বুড়ো পৃথিবীর সাথে তালেতালে।
মজাপুকুর ভরে হিলহিলে হোগলা আর বেওয়ারিশ বনকাশে।পোয়াতি হাঁস ঠিকানা খুঁজে পায় পাঁকে ভরা ক্লান্ত নর্দমায়। তবু লোকটা চলে।
হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসার সন্ধানে কখনও নীলমাধব ভবন কখনও বা কুলচাঁদ দত্তের দখলি ঘরের ইটের পাঁজর।
থমকে থেমে কর্পোরেশনের টাইমকলে তেষ্টা মেটানোর আঁজলা হাতের আঙ্গুল ভাঙে।মোটামোটা ফাইলের পাতা ভরে ভিজে একপেশে ভালোবাসার গল্পগাঁথায়।
টলমলে পা, আঁকড়ে ধরে দুপুরমনির ঝরাফুল। জানালা খোলে, জড়িয়ে ধরে কালচে বাতাস। অপেক্ষায় থাকে একপলকে মাটি ছোঁওয়া।
পাগলের এই পথচলা,
গভীর গহিন অরণ্যে নিজেকে হারিয়ে ফেলা, টুকরো টুকরো করে ভেঙে চুর চুর করা।
আপনাকে বিজ্ঞাপিত করা,
নকল বুঁদির গড়ের ভুল রাজা সাজা,
এই যুদ্ধে ক্লান্তিকর বিরতি।
আকাশ মিনারে সাময়িক ভুলবসবাস
অন্তরকথন, খুঁজে ফেরা শিউলি দুগ্গা ,
সেই স্বপ্ন প্রতি রক্তকণিকায়।
ঝরাপথে তোমার ছোঁয়া পলপল,
আধো যতনে তালাবন্দী,
অমৃত দুগ্গা ভালো বাসা।
তুমি অনন্ত,অন্ধ আলোয়,
টুকরো টুকরো করি ভাঙি আপনাকে,
সমর্পণে অঝোর কান্নাধারায় ।
জাগো,জাগো দুগ্গা।
দিক্ হারানো সবুজ তেপান্তর ,
দিদার কাছে ঠাকুরমায়ের ঝুলি।
কেড়ে নিলাম গাছ ,পাখি ,আকাশ, মাটি,
শুধু ভুলভুলাইয়া, ধরিসনা রঙ তুলি।
শিমুলতলায় গুলতি গুলি, লুকোচুরি, গাছের ঝোপ
চু কিতকিত,কুমিরডাঙা , ওপেন টি বায়োস্কোপ ।
বড় ভার ইস্কুলের পড়া সেইতাসের দেশ,
বন্ধ গরাদ কাঁদে, পালায় কিসের উদ্দেশ ।
।।সবই কেড়ে নিলাম,
রাত আধাঁরে কান্না, ওই বালক ভোলানাথ
তবুও বাসযোগ্য পৄথিবীর বোকা স্বপ্নে পাগল মধুকর।।
পুজো পরিক্রমা
বাবা কাশীনাথ,কদিন ভালোই কাটলো বল
সেই বাঘমুন্ডীর পাহাড় কোলে সবুজগ্রাম
মাকে ছেড়ে, শহরের মায়ের মন্ডপ ,
কাঁসিতে বোল তুই ভালোই তুললি বাপধন ।
বাবাগো আমাদের গ্রামে কেন শুধু পিদিম
বান ডাকে আলোর শুধু এই শহরভরে ?
মায়ের সাজের এতো বাহার, দেশগ্রামের
মাকে ,বাবা একটা নতুন শাড়ী কিনে দিস কিন্তু ।
৬৪ বছর,সেই কামারপুকুর,প্রতিবছর আসি ভাই
ব্যাগে খালি এক জলের বোতল, বছর পর বছর
আশ মেটেনা মাগো,তুই জোটাস খাবার,জায়গা শোবার
নবমীর রাতে মল্লিকবাড়ী,ওরা ভোগ ভালোই খাওয়ায় ভরপেট ।
অস্টমীর শেষে সন্ধিপুজা অসুরনিধন ,মহাপুজা
মাগো আমিও মা দোষ কোথায় একটা নয় ,
তেইশজন অসুর আমাকে শতছিন্ন করে সিদুঁরলাল
আমার মরাজীবন সিদুঁরখেলা আর হলোনা মাগো ।
মাকে মন্ডপে আনি আবার ভাসাই গঙ্গা অগভীর,
রোজগার ভালোই আঁধারে আলো কদিন ভালোই ।
শুধু মনকেমন, ছেলে সেই ক্যানিং নদীর ওপার
বড্ড কাঁদছিলো গো, আসছে বছর আবার এসো মা ।
রেশনে চাল ১০ টাকা কেজি, এবারে অনেকটা চলবে অনেকদিন ।
উছলে পড়া আনন্দ, মুঠো ভরা খুশি ,চাল একটু মোটা তবুও
আছড়ে পড়া জীবনে চারপাঁচদিন মায়ের আরাধনা, না ফোঁটা অতসী
আসছে বছর আবার ভরপেট আসিস কিন্তু দশভুজা মা
আমার দুগ্গা, তুই বছরভর পালিয়ে ফেরা, প্রতিদিন প্রতিভোর
মনপিদিম জ্বেলে জ্বলিস অমলধুলোয় ভালোবাসায় একা কান্নায়,
চোখের কোনের কালিতে , গোপন অপ্রকাশে শ্থবির নীরবতায়
জেগে ওঠ মা অসুরনিধনে বোকাস্বপ্নের নিত্য কল্পকল্পনায় ।
মা মাগো
ভাঙা চশমা ঝাপসা চোখ ,সব মানুষের মুখগুলো
কেন যেন এক হয়ে যায়, নামগুলোও ভুলে যাই ।
এতো সু্ন্দর সুন্দর সব চলমান চিৎছবি ,খাই
আঁচার দিয়ে ছাতু , লেকরোডের বলরাম শেঠকে ভুলে
পেট আইঢাই করা অবাক অবাক জলপান ।
সমাপতন না মানবিক অধঃপতন জানো কি ?
কালোয়ারের দোকানে মা হংসেশ্বরীর পুজা,
লাইন দিয়ে অনাহার খিঁচুরীতে ভীড় থালাবাটির ।
সব মানুষের মুখগুলো কেন যেন এক হয়ে যায়,
পিজ্জার বাক্সোর সাথে একই ডাস্টবিনে
এঁটো খিঁচুরীর থালা কৄষ্নকালো, একান্ত গোপনে ।
খয়েরী, কালো ,সাদা রেসের মাঠে দৌড়ঘোড়া
মুখগুলো কেন জানি সব এক, দড়ি দিয়ে বাঁধা
দৌড় দৌড় বাঁচা ,অক্ষম একটাই গুলি ,
নতুন আরেকটা,তোকেই নামাব নতুন রেস
বাড়ি, গাড়ি, টাকা, কেনা প্রেম, হুইস্কি ,
রোদে পুড়ে একলা বড়ো ক্লান্ত রঙ পুড়ে যায়
আরেকটু ভানুমতীর পাহাড় দেখা ,আধাঁরে ঢাকা
একটুকরো স্বপ্ন, সাতসকালেই লম্বা লাইন.
যন্ত্রনিয়ন্ত্রিত জীবনজলেরও কিয়স্ক
জানলায় ফুলেল মাপসই ঢাকা আলো
পাখাটা ঘুরছেই,মনগুলো সব এক হষে শোকগাঁথা
আধাঁরনীল আকাশের একফালি চাঁদে,
তারাগুলো যেন একইরকম মিটমিট ।
অতীত, আজ, ভবিষ্যতের একসাথে পংক্তিভোজন ।
বুকের ডান বা মাঝঘেঁষে মিটিমিটি ব্যাথা,
অফিস টাইম একই ভিড় সব ট্রেন ওঠা দুস্কর,
আমার দুগ্গার একই একলা লড়াই, অনিমেষ, অফুরাণ
সব স্বপ্নগুলো মিলেমিশে একাকার আকাশের তারামালায়,
অন্তসলিলা, আবাহন, বোধণ, পুজন ,প্রতিপল জীবনভোর
ফুটপাথের ছেঁড়া দুগ্গা ,ইসরাত, লঙ্কেশ,মালালা,মহাস্বেতা,
ঝাপসা চোখে সব মুখই যেন আমার একান্ত আপনার দুগ্গার,
পুজোতো.. একটু মানুষ করো মা মাগো মৄণ্ময়ী নাকি চিণ্ময়ী ।
কবির ভাষায় জনম যায় শান্তি মেলেনা । অমৄতকুম্ভের অনন্ত খোঁজ । আমার লেখার অনেকটাই হয়তো দুঃখবিলাস । এই মাধ্যমটি আমার কাছে একটি খোলাজানালা । আবেগ অনুভুতির ভাগিদার খোঁজার হয়ত অকারণ প্রয়াস । নিজের মনে একটি বোধ ,বোধ জাগানোর অক্ষম আকুতি । বেশীর ভাগ নদীতো দুঃখ বয়ে নিয়ে চলে । হয়তো এই লেখা অনেকের কাছে বিরক্তি ,হাসি বা করুণার উদ্রেক করে । আজ সকালে একটা মন্তব্য মুছতে গিয়ে মনটা এতো বেদনায় ভরে গেলো আবার সকালেই পাওয়া আমার এক দাদার ভাব প্রকাশে যেন শান্তিবারি ছড়িয়ে ভাসালো । দয়া করে এই পাগলকে খোলা জানালা দিয়ে তার নিজের অবুঝ সবুজ আকাশটাকে নিজের ঝাপসা চোখে ভাঙা চশমার ফাঁক দিয়ে একটু দেখতে দেবেন ।
কবির ভাষায় জনম যায় শান্তি মেলেনা । অমৄতকুম্ভের অনন্ত খোঁজ । আমার লেখার অনেকটাই হয়তো দুঃখবিলাস । এই মাধ্যমটি আমার কাছে একটি খোলাজানালা । আবেগ অনুভুতির ভাগিদার খোঁজার হয়ত অকারণ প্রয়াস । নিজের মনে একটি বোধ ,বোধ জাগানোর অক্ষম আকুতি । বেশীর ভাগ নদীতো দুঃখ বয়ে নিয়ে চলে । হয়তো এই লেখা অনেকের কাছে বিরক্তি ,হাসি বা করুণার উদ্রেক করে , এই পাগল খোলা জানালা দিয়ে তার নিজের অবুঝ সবুজ আকাশটাকে নিজের ঝাপসা চোখে ভাঙা চশমার ফাঁক দিয়ে একটু দেখার অক্ষম প্রচেষ্টায় জীবন ভর।
ওরে আমার দুঃখ নদী,তোর বুকেতেই আকাশ ভেলা,
ভালোবাসার ভরাজোয়ার,বেদন রঙ্গন, আলো আধেলা।
জীবন সেতো খড়িমাটি, মুছে লেখা,লিখেই মুছে ফেলা।
নদীরে কবে যে হবে ,হবেরে তোর আমার মিলনমেলা।
পেসমেকার
প্রতিদিন এই পথেই তো যেতো সেজেগুজে,
এখনো যায় কিন্তু বড়ো ক্লান্ত পথচলা ।
সেই আগুন ছাই হয়ে ধিকি ধিকি শুধু পোড়ে মরে
ছোট ছোট সুখগুলো ,যেন অসুখে বন্যাধারায় দিকহারা ।
ওই যে সুপুরীগাছের মাথায় একলা ফড়িংটা
ইতিউতি তাকায়,আমিও মনে গাছফড়িং
উড়ছি একলা ডানায়,দেশলাই কাঠির ফুস প্রাণ ,
আচ্ছা এই বছরদুই মেয়েটাকেও তো ছিড়ে ফেললো ।
শুধু বাঁচা আর একলা কেঁদে মরা আর নিজেকে
প্রমান করার অন্তহীন অপচেষ্টা,পুরো ছেড়া তার
কেন মরার জন্য এতো বাঁচা, বোবা আর কালা
বোধ ভাসায় গঙ্গায়, কেউ তো ফেলেনা চোখের জল ।
কত শত বছরের পুরোনো উটির সেই পামের সারি ,
তোমরা কি বৈঠকখানা বাজারের ওই মেয়েটার গন্ধ পাও ?
অনুভবে তার কান্না ,গান ,নিজের থেকে পালিয়ে ফেরা ,
দেখতে পাও নাকি তোমরাও একলাদলে অভিশাপের দৄঢ়মুল ?
হৄদপিন্ড গুলো তো স্হবির ,চলতে চায়না,জগদ্দল
পেসমেকার দরকার তো আমাদের সব্বার,আগুন
ঘোলাটে আকাশ, নীল নেই ,সবুজ কোথায়.বড্ড শীত
কান্না জমাট বন্ধ কপাট ,ঘড়ি টিকটিক, টিকটিক,থেমে থাকেনা
তাসের দেশ ,একই ছবি ফেরে ফিরে ঘুরে, অথৈ দামোদর ,
দিক হীন জীবনে চাওয়া পাওয়ার গুলিয়ে যাওয়া ছেড়া খাতা ।
দিন আর রাত চক্রাকার ,ভাঙা মন, পৄথিবী ঘুরছে ,
আমরা ঘুরছি জিতেই মরতে হবে ,ওই মেয়েটি আরও শ্থুলকায়া ।
চালচিত্র
হরেক রকম চেষ্টা,হুজুগ ও বলা যায়,
অবশেষের মাঝে বেঁচে ওঠা ফিনিক্স।
সামুদ্রিক খেয়ালে দ্বীপদুটির মাঝের সাঁকো,
থিতু হতে চেষ্টা করে অগোছালো উনিশে ছবি।
সারাবেলা শ্থিরবৃত্তে হাতুড়ি,
ভাঙা লালসুড়কি মন।
ব্যাকারণের মায়া কাটিয়ে বেড়ে ওঠা ঘা দগদগে,
মৃত আত্মাকে না দেখার ভান করে বেয়াদব রোয়াকি।
ঘোড়দৌড়ের প্রস্তুতি,
আবার কালকের সকাল।
পিছলে যায় নিঃশ্বাস গড়ের মাঠের ভিজে সবুজ ঘাসে,
দুমড়েমুচড়ে বসে থাকা সাম্যবাদের ভাঙা চেয়ারে।
অবিন্যস্ত একালসারিতা,
সজনেপাতার ভীরু কাঁপুনি।
কাঠের বেন্চে গা এলিয়ে ঘুমজড়ানো একতারা,
বিদ্রুপভরা অসুরহাসিতে হাবিজাবি চিন্তার কোলাজ।
অজীর্ণ যৌনআন্দোলন,
নির্মোহ নীতিধারীরা শীৎকারে।
গলিপথের কালচে ল্যাম্প দিনরাত জেগে রিমঝিম কাঁদে,
ভাড়াটিয়া চলাচলে উষ্নতা খোঁজে শেওলাধরা কলপাড়।
ভীজছে জীবনদাহি স্তূপীকৃত নিমের কাঠ।
হরেক রকম চেষ্টা,হুজুগ ও বলা যায়,
অবশেষের মাঝে বেঁচে ওঠা ফিনিক্স।
সামুদ্রিক খেয়ালে দ্বীপদুটির মাঝের সাঁকো,
থিতু হতে চেষ্টা করে অগোছালো উনিশে ছবি।
সারাবেলা শ্থিরবৃত্তে হাতুড়ি,
ভাঙছে লালসুড়কি মন।
ব্যাকারণের মায়া কাটিয়ে বেড়ে ওঠা ঘা দগদগে,
মৃত আত্মাকে না দেখার ভান করে রোয়াকি বেপরোয়া।
ঘোড়দৌড়ের প্রস্তুতি,
আবার কালকের সকাল।
রক্তচাঁদ
আমার রাত আকাশে রক্ত লাল আধখানা চাঁদ
আয় তোর সাথে প্রেমে অপ্রেমে হই আকুল ।
তুই আমাকে বড়ো করিস অশেষ, ছায়াময়ী
আবেগের মোহর, রবিছ্ছায়ায় চোখে সুখপাখী ,
আদরে ভরে বড়ো আপন ,স্বপ্নিল চাঁদ তুই ।
হৄদয় ভরে মৄত্যুর সাথে জীবনের অমোঘ আলিঙ্গনে
পান করি আবেশে , মধুর বড়ো নীল এই মিলন ।
অসুরে জোড়ে,সুরে আপন মীড়ে , আমায় নিয়ে চাঁদ
পাগলী তুই কুরচি ফুল ,আমার গালে কপাল ভরে এতো
আদর এই ছুয়ে পাওয়া সব ভুলে কি পাগলামি ,
প্রতি পলে অনেক বয়সের রকমফেরে
আমাকে নতুন করে এতো ভাবে চেনাও ,
ভালোবাসাও ভালোবাসাকে, এই ঝরা বেলায় নিসংকোচে,
রক্ত চাঁদে এতো গভীর নিবিঢ় কাছে পাওয়া,
সেই তালসারির আড়ালে লুকোচুরি ।
চির আবেগ পাওয়া মজা কানানদী,
গান শোনায় তিরতির বন্যাপাগল হাসিতে ,
ভাঙা বাঁশির কান্নায় আকাশের তারাদের খুজে ফেরে ।
আধেক হাসি আর কান্না ভরা অকেজো বেকার মন ,
অপ্রয়োজনীয় ভীড় বাড়ানো মানুষটিকে,
ও পাগলভোলা ও আমার আধখানা রক্তচাঁদ ।
সকাল যেন হারিয়ে পাই উদাস আাকুল
ভুবনডাঙার মাঠ ভরিয়ে পাগলপারা ,
ভাঙা উঠোনে তুলসী তলায় আলোপিদিমে,
নেশায় ভরা আমার আধার আলোয় হাসা
তুই অতসীপ্রেম ওরে আমার রক্তচাঁদ ।।
মা গৌরী
আছি অপার আয়োজনে, মা আসছেন করতে হবে আবাহন,
তুমি তো শিবের সাধিকে ,তোমার পুজা,
তোমাকে তোমারই শরণ্যে ত্রম্বকে গৌরী নারায়ণী নমস্তুতে ।
তবু শ্রাবন্তী দুগ্গা হলিনা,চলে গেলি,গৌরী মা তোমাকেও আমরা
লঙ্কাসুরের দল কোন অথৈ জলে ভাসিয়ে দিলাম,পুজো তো
মাকে করতেই হবে, বিপুল বিপুল আয়োজনে মা তোমায়,
,কোটি টাকার সোনার শাড়ি পরাব মা,এসি গাড়িতে বসে সিরাজের
বিরিয়ানি আর গোলবাড়ির কসা মাংস খেতে খেতে তোমায় মা
প্রণামে ভরবো,ম্যাডক্স স্কোয়ারে ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলে তরল করে মা
তোমার কল্পচিত্র আঁকবো ,গৌরী মা তোমারই পুজায় আবাহনে
বিপুলা পৃথিবী, তোমায় সাজাব যতনে গৌরী মা ।
আসবি আর ভেসেই চলে যাবি গঙ্গায় বা কোন আরবসাগরে
আমরাই দেবো ভাসিয়ে চোখের জলে।
এই পৃথিবী, এই বিপুলা পৃথিবী ,সত্যিই তুমি পৃথুলা ।।
সুশান্তপ্রেম হেসোনা
সুবোধদা, অন্ধ চোখেও জাগে ভালোবাসা,
মারণঝড়ে ভাঙেযখন জীবন গড়ার আশা।
মুক্তঅঙ্গন অযতন ভরে বুনোলতা আগাছায়,
বুলবুলি ও তুলতুলি , হেসেই মরে আদুল গায়।
আকাশ টা যখন নিরুদ্দেশে যায় হারিয়ে,
ভালোবাসাই দেয় নিসঙ্কোচ হাত বাড়িয়ে।
ভাঙাবাড়ি. ছাদ, কার্নিশ জুড়ে নয়নতারা,
গঙ্গাফড়িং একলা অবুঝ ,ছৌ নাচের মহড়া।
দরজাগুলো সব বন্ধ যখন নিষেধ প্রবেশে,
তুমি ওগো স্বপ্ন ভালোবাসা দাড়াও হেসে।
মেঘবালিকা লুকিয়ে ভেজায় শহিদমিনার,
বয়সের সমানুপাতে বাড়ে প্রেম পাজি নচ্ছার ।
দৄষ্টি যখন ঝাপসা এবং দুই পা ওহ টলমল,
পানকৌড়ি ভালোবাসা সত্যি অথৈ অতল।
তেলিনিপাড়া ঘাটে ইলিশ কেন,কিসের লাফ?
গুনীজন সুধীমন, ভালোবাসায় সবটাই মাফ।
https://satishacharya2018.blogspot.com
একটা অদ্ভুতুরে আবর্তে আমাদের চলাচল।কেউ জানিনা কোনটা ঠিক বা বেঠিক,কেন ঠিক,কেনই বা বেঠিক। একটি সমাজ নামক বায়বীয় অনুশাসনকে সামনে রেখে আমরা যে কাজটি করি বা যা যা আমাদের দ্বারা হয়ে যায় সেটিকেই সঠিক প্রমান করার চেষ্টা করে যাই।
যে মানুষটি একবিন্দু পড়াশোনা করে নি, দেশি বিদেশি সাহিত্য, বিজ্ঞান বা আরো সব বিষয়ে কিছুই পড়েনি,শেখেনি তার জীবনবোধ কি কোন অসাধারণ জ্ঞানী বোদ্ধার থেকে কোন অংশে কম,প্রশ্ন থেকেই যায়।
আজকের এই দিনে যখন রেলগাড়ি এগিয়ে চলে, পেরিয়ে যায় একটার পর একটা স্টেশন,জানালার ওপাশে ঔ কাশফুল আলতো হাওয়ায় শরীর হেলিয়ে দুলিয়ে যে কথা বলে ,তা বোঝার জন্য কোন পুঁথি পড়ার তো প্রয়োজন পড়েনা।
এতো যত্ন দিয়ে দিনের পর দিন কতো যে বই পড়া তাওতো যাই ভুলে,নেভা জ্যোৎস্নায় আকাশ থেকে নেমে আসা চেনা অচেনা তারার দল যখন গল্প শোনায়, ঘুম পাড়িয়ে দেয় তখন যে আমোদিত ভালোবাসায় ভিজে যাই,সেই ভিজে ভালোবাসা সকাল হয়ে জাগে।
মনের মাঝে একটা বোধ কড়া নাড়ে, অপরিমেয় অজানার মাঝে সারাদিনের শেষে পিদিম আলোয় সেই সবুজ বেলার মাদুরে গা এলিয়ে গোবর লেপা মাটির দাওয়ায় জীবনকে ফিরে দেখি।
তরতরিয়ে উঠে যাই একলা নীরব পাহাড়ের চূড়ায়, যেখানে নেই কোন পাখির কোলাহল, নীচে অথৈ সমুদ্র অনবরত ধাক্কা দিয়ে ডাকে ,আয়,আয়।ছুড়ে ফেলে দিই সব পুঁথি পড়া বিদ্যে। শুন্য হই,হই সম্পুর্ন।
ইসরাত
রাত আঁধারে সাঁঝবেলায় ফুটলো ক্যাকটাসে ফুল সাদা ,
এতো সাদা এতো আলো ,রুপসাগরে মা তুমি ।
বেতো ঘোড়াটা তাই দেখি গড়িয়াহাটে ব্রিজের নীচে
বসে দাড়িয়ে বোড়ে দিয়েই রাজাকে করছে মাত ।
ইসরাত তুমি কেমন করে নাড়িয়ে কাঁপিয়ে দিলে,
জগদ্দল পাথরটা ,ভাঙাচোরা দুঃখগুলো,প্রতিদিনের মৄত্যুগুলো,
মায়ের আবাহনে কি সুরে তুমি ভরিয়ে নিলে ।
কৌশিকিতে রাত সবুজ অবুঝ জোয়ারে ভাঙলে অচলায়তন ।
রেসের মাঠে আজ তো মখমলে ঘাসের আদুরে চাদর,
মনখোলা বাণভাসি দেবশিশু যখন মাকে মায়ায় ভরে বাঁধছে,
বুড়ো পেটমোটা মনিটারে লেখাগুলো যখন একেবারেই ঝাপসা,
অন্ধকার মন এই ভাঙা মসজিদের দালানে দাড়িয়ে,
অন্ধকার মন তোকে তালাক,তালাক,তালাক ।
এক্রোপলিস মল থেকে উদয়ন
এক্রোপলিস, সামনে বট,
অদ্ভুতুরে চিলতে চিত্রপট ।
রঙবেরঙের মোহিনী মায়া
মনের কি আছে যে ছায়া ?
আকাশ ঝরে ঝিরি ঝিরি,
পথ যে এগোয় তারাতারি ।
উল্টোদিকে ডাকে চিনি কম
ফুটপাথেই পুরি ,আলুর দম ।
ভিজেই দিনশেষে সবুজ পাখি
ভাঙা ফোনেই জলছবি আঁকি ।
একলা পথে বন্ধ বেপথু খাম,
কিইবা আছে কোন সে নাম ।
সেকেন্ড ওয়াইফ দাড়িয়ে ডাকে
বিরিয়ানির গন্ধ মিলছে নাকে ।
ঝোপের মাঝেই হাসে নয়নতারা,
কোন সে ডাক, হৃদি আকুলকরা ।
মুখ ঢেকে দেয় ধুসর ইচ্ছে ধোঁয়া
রমনী তুমি কি সে নিঝুম কায়া।
ভালোবাসার বেকুব ব্যাকআপ,
মাথায় ভিড়ে জমে বালুচর চাপ ।
হঠাৎ পথে কাঁধেহাত,সোমেশদাদা,
কবিতা আমার একা ঘুমিয়ে কাদা ।
আমার বাইশে শ্রাবন আমি একান্ত অন্তরালে একলা কাটাতে চেয়েছি , চেয়েছি আমার একলা চোখের জলে আমার বেদনা ,ব্যাথা , আমার অসম্পুর্নতাকে নিজের সাথে ভাগ করে নিতে।এই নিতান্ত অকর্মন্য অতিরিক্ত মানুষটা অনবরত ঘুরে বেড়ায় আপন খেয়ালে ,মাধুকরীতে দিন কাটায়, কিসের যে খোঁজ নিজেই তো জানেনা । তবু চরৈবতি ।
এই বাইশে শ্রাবনে আমার যত পাপ যত অন্যায় যত ভুল সবটুকুর জন্য সবার কাছে আমার মাথা নত করে দাও হে । সব্বাই যদি আমার কালো ভুলে সাদাটুকু, যদি কিছু থাকে ,মনে রেখো, তাহলেই আমার মানবজনম সার্থক ্।
এই বছর এই দিন টা আমার দুখের ঝুলি ভরে দিয়েছে , আমি পরিপুর্ন । এই দিনে আমার মেঘদুত কে দিলাম আমার খুব কাছের আমার একলা আপনার দুগ্গাকে অন্জলি শিউলি ফুলে।দুগ্গা ভালো থেকো।
আর
সব্বাইকে বাঁধি মিলাই আপন সুরে
স্বপ্নে কল্পে থেকো কাছে ,নয়কো দুরে ।
আপন খেয়ালে গাই যে আমার গান,
আহা মরনরে তুহু মম শ্যাম সমান ।
সতীশ,satishacharya2018.blogspot.com
মাফ
জং ধরে গেছে সবকটা অনু আর পরমাণুতে,পারছিনা,আকন্ঠ উদাসীন।
কিছুতেই ছিটকিনিটা খুলছেনা ,কেন যে?
জানলার ওধারে ওরা ডাকছে ,একজোট, মাৎস্যন্যায়,কেন যে এমন হয় ?
সব থামে নির্বিকল্প স্থবিরতায় ।
আয়নার সামনে, মানুষবেচার হাটে অথবা সময়ের কাঠগড়ায়,কিংবা অবোধ হৃদকালকুঠুরীতে,
রাতআলোর অস্পষ্টতায় ,বুড়োটে ছানিধরা চোখে, চারিপাশে অগুনতি মুখোশের ভিড়ে,এক আঁজলা সুখের খোঁজে মনটা কোথায় কোন ডাস্টবিনে নাকি মরা আদিগঙ্গায়? এক আবর্তে ঘুরপাক।
স্বাধীন ভারত ১৫ই আগষ্ট,১,২,৭৫
একটু দমদার সেলিব্রেসান বা মহা উৎসব ।
বিজ্ঞাপনের চিৎকারটা এতোটাই , দিনের পর দিন যা ঘটে চলেছে,অভিনয় খোলতাই হচ্ছেনা,প্রম্পটারটা যে কোথায় ? বোকা চড়ুইটা ভিজেই চলেছে,একের পর এক নিম্নচাপ।
কেরোসিন লন্ঠন বা হ্যাজাক জ্বালাও, জংটাও যদি হয় পুড়ে ছাই। নাভির মতো স্বপ্ন ও কি পোড়ে না?
টিকিটের লাইনে সেই ছেড়া মেয়েটা, কোলে শিশু কান্নাভেজা মোনালিসা,কোথায় নয়াবসত ? কোন স্টেশন?
পালিয়ে যাওয়া শেষশ্রাবণ ,৭৫ বছর পেরিয়ে এলাম, জমিয়ে পালন,এতো আলো, জমজমাট, দেশ স্বাধীন ।দ্বেষও স্বাধীন, তুমি আশাবরী আর একান্তই আমি বেসুরো বক।
শ্রাবন্তী ,তুই কেন দুগ্গা হলিনা ।
আমরা তো ক্লীব, তাদের কাছেই,
তুই তাদের কাছেই হেরে গেলি
একলা লড়াই জিততে পারলিনা ।
আমরা তো মুখোশ পরে ঘুরে ফিরি,
সু কথার বন্যা ভাসাই,
ভালো মানুষের নাটক করি ,নাটকটা
তুই তুইরে কেন ধরতে পারলিনা।
এতো বড়ো খোলা আকাশ,
আদিম এই জঙ্গল,এই ঘন জঙ্গল
ছেড়ে তোর ডানা মেলে কেন
কেন রে তুই উড়ে গেলিনা ?
তুই ভালো ছিলিনা,
গুমরে গুমরে কাঁদছিলি
কেন কাঁদলি,কেন কাঁদলি?
কঠিন হয়ে খাঁচা কেন ভাঙতে পারলিনা ??
দুগ্গা দুগ্গারে...
ekta metho manush,otath keutake bollo, ei fanushe chorbi onek onek uchute akashe urte parbi,koto kichu dekhte parbi ,se beta chasa bollo kono dorkar nei hal chosi ,gaa er pothe ghure berai,golpo kori,dukkho,sukh bhag kore madhukori kori jibon kate anonde,eito besh,kintu porom mongalmoy er icchai take jor kore fanushe chorie dilo,sabeki rajbarir pujoy fanush oranor moto ghotona arki,kodin beta chasa moner anonde ghure beray akashe ,nicher monushgulo choto bindur moto lage,kauke chena jaina,sobbai koto dure ,kauke choa jaina,kintu fanushe tar besidin jaiga holona, onno swajonra take ektu kom chailo,othoba jaiga kom porlo,dhup kore porlo se ek jongole,ekhon pothe pothe ghure beray se, khoje purono juridar der,gramer bhanga barir uthone madur pete gaan gai,chobi dekhe ,chesta kore jibonke notun kore jante pagol,pagol jibon
হারিয়েছে কচিপায়ে আলপথ ,
গাঢ় আলিঙ্গনে মরুভূমি।
কাস্তেটা খোঁজে মরা ঘাস আর বেসামাল ভালোবাসা।
হাওয়াই উড়ান,
নিশির ডাক,
ষষ্ঠীর লুঠের বাতাসা বেওয়ারিশ,
শুধু হাতগুলো মেকি আন্দোলনে,
বিন্দু বিন্দু জনঅরণ্য।
উচ্চতাজনিত অক্সিজেনের অভাবে প্রানদৌবল্য।
ফানুসভেলায় ভীড়, ঠাসাঠাসি,
দু একটি পতন।
শাওন
ওরা,
বসে আছে,
এখানে,
ওইখানে,
চারিধারে,
দ্বিতীয়া রাতের আঁধার জেগে আছে অনিমেষ,
চোখগুলো দল বেঁধে জ্বলছে মৃতপ্রায় জোনাকির দহন মেখে।
আর
মধ্যিখানে ঘুনধরা কাঠের টুলটা,
আদিকাল থেকে,
বসে আছি,
টুলটাতে,
নদীর ছোঁয়া পাওয়া যায়না।
একের পর এক প্রশ্ন,
উত্তর নেই বুকের কুলুঙ্গিতে,
পাপী মন।
ওরা উঠে দাঁড়িয়ে পড়ছে একের পর এক,
মিহি সুর করে ওরা জীবনমুখী কবিতা করছে উচ্চারণ।
টুলে বসা লোকটা বেশ অনেকখানি বধির,
রিনরিনে শব্দে ওরা কি বলে চলেছে?
বোঝার চেষ্টা,
সব একরকম মনে হয়।
অনন্যোপায়,
টুল ছেড়ে,
রাস্তা দিয়ে হাঁটতে থাকি,
ঝিরি ঝিরি মেঘগলা জল ঝরতে থাকে।
আমি একা নই,
ফুটপাতে শুয়ে থাকা ওই বুড়োটে লোকটাও,
ভিজে যাচ্ছে একটু একটু করে,
ঘুমিয়েই থাকে,
হয়তো বা সেও দেখছে স্বপ্ন,
একা সীমাহীন সবুজে ,
গাছগাছালির মাঝে,
রবি ঠাকুর ফিসফিসিয়ে কি যেন বলে চলেছেন!
দাড়িয়ে আছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে,
ওতোটা উঁচুতে।
ওরা, আমি,
কাকতালীয় দোষে এক আবর্তে,
ভাঙাদেউলে মহাকাল,
পিদিমের আলো ছড়িয়ে পড়ছে দেউল থেকে খোলা সবুজ মাঠে ,
ঘুম ভাঙছে,
ভালোবাসার,
যুক্তি তক্কো,
নদীর বাঁক ছুঁয়ে যায় আলতো ঠোঁট।
চেয়ে নিই হাতদুটো,
মুঠোয় ধরি ,
রবি বাউল গাইছেন উন্মুক্ত ,
আকন্ঠ জীবনের গান,
হেঁটে চলি, দুজনে,
নন্দিন হাসে খিলখিলিয়ে,
আকাশ সাজে,
রক্তকরবী আলো,
ওরা সব একসাথে হাত পা ছুড়ে করছে চিৎকার,
টুলটা কেঁপে কেঁপে ওঠে,
ঘুনপোকাদের মহাভোজ।
একা আঁধার,
ঘুম নেই।
পৃথিবীর গর্ভাবস্থা।
দুগ্গা রাতে
এক পশলা শ্রাবণ ভিজিয়ে দেয় ভালোবাসার মাধুকরী।চলার পথে কুড়িয়ে নেওয়া আলোগুলি ভরে দেয় ঝোলা। দুগ্গা রাতে ক্লান্ত জোছনা আলোয় তক্তোপোসে বসে দেখি ঝোলা উপছে টুকরো টুকরো আলোগুলি হাসছে খিলখিলিয়ে,যেন পদ্মবনে টলটলে মুক্তোধারা।সব হিসেব মেলে গরমিলে।রবিপ্লাবনে ভেসে যায় সবটুকু বেদনভার।মিলে মিশে একাকার। এইভাবেই তো উত্তরণে এক জীবন থেকে অন্যজীবন, মৃত্যু হীন।
একলা পথে
আমার একলা বাইশ একচিলতে ভেজা শ্রাবন,
মরণবানে অট্টহেসে অকুলহারা জীবন প্লাবণ।
পরাণ নাচে,ডাক ইশারায় হৃদিবাউল উথালঝরে,
চলার পথে , দিনেরাতে রবির আলো সকলজুড়ে।
নয়নতারায় আপণসুরে বাজে কৃষ্নায় নীরবগান,
ইছামতী বাইতে ডাকে উদাস জলে মন সাম্পান।
চুপকথাতেই সবকথা,তোমায় থাকি হৃদি আধার,
শামুকখোলায় অনিমেষ,মনদিঘীতেই সব উজাড়।
পলাশবনে আগুন নামে,নয়নধারায় ভানুপদাবলী,
সোনাঝুরির ভাঙামেলা, খুঁজে ফেরা অন্ধরঙতুলি।
রহো সাথে
বারবার আকন্ঠ শ্নান ভিজে রিক্ত শিক্ত পানকৌড়ি বাইশে শ্রাবন,
সেই কোন চাঁদ জোছনার মিলন মেলায় খোলা আধেক উঠানে জল ছলছল,
ফিরে ফিরে আাসা, টলমলে শুরু আবার সেই শ্খলিত পদশ্খলন, জলেই ছবি ।
এতো এতো মানুষের ভিড়ে , একটা বোধ কেবলই দেয় ঝাঁকুনি ,তফাৎ যাও,
এই জীবন , এই সমাজ, নিতান্তই বেমানান ,একলা ভিজে পথ করে ইশারা,
এ পথ, সেই পথ , অন্য পথ, অনেক অনেক দুরের বল্লভপুর ,তান্ডবে মালকোষ ।
দিনে দিনে অপরিচয়ের আভরন শৄঙ্খলাকারে আষ্টেপিষ্টে সোহাগগলা দিন পরের দিন,
বিন্দু বিন্দু স্তুপাকৄত শেষ চিঠি, জীবন আর মরণের তীব্র নরম মোমগলা প্রেম,
মনে পড়া, ভুলে যাওয়া অপরিমেয় শুন্যে অর্থহীনতায় শ্রাবন জাগে রাতের পর রাত ।
আটপৌরে আবছা আকাশ , সুর্যাস্তের পর সুর্যাস্ত, শ্যামসুন্দর আপন হোরিখেলায়
ছাতিমের সবকটা ডাল করাতকলে কাটা, সবুজ ঘুমায়, ভাঙা কাপের তিতকুটে
স্বাদে তবুও জাগে রডোডেনড্রন আর পাগলী রঙনে তবুও আমি ,আমার বাইশে শ্রাবন ।
চিরসখা, আমার সবখানে, চিরস্নানে . বন্দরের গান
আমার মরন আমার জীবন ,আমার বাইশে সাম্পাণ ...
শুভলক্ষী মনে রেখো
জীবন তো এক ছোট নদী
চলতে পথে মাধুকরী,
পরাণ ভরে সাগরপানে চাওয়া ।
আকাশ কেমন ময়লা রঙা,
তারই মাঝে ভালোবাসাকে
এতো আর কতো ভালোবাসা ।
বাতাস কেমন মুখভার তবু
নীল দিনে অন্য মনে,
বেদনে রোদনে এই শ্রাবণ
শুকায় ,আবার পরাণও জুড়ায়।
সবুজ পাতায় বৄষ্টিকণায় ,
মন হারায় হয়তো বা
কন্যামায়ের চাওয়া পাওয়ায় ,
ভালোবাসা মেলে ভালোবাসায় ।
চলতে চলতে জীবনভোর
মেলে মন পিতার স্নেহে মায়ের মায়ায়
স্নিগ্ধ শীতল কোন ছাওয়ায়
মেলে যেখানে পথ মেলে আকাশে
সে কোন পাগল পথ হারায়
তার তারই দুগ্গায় ।
কঠিন কথায় আঘাতে বেদনভারেও
জীবন জাগে নতুন করে
পথে প্রান্তরে নগরে কুটিরে
ভালোবাসার ভালোবাসায়
শুভলক্ষী তুমি না ভুলে
বুঝো কিন্তু অপার মায়ায়।
রাত গহিন ,মোহন বাশি বাজে,
রুপে অরুপে কৄষ্নকলি জাগে ।
নয়নে মগনে সঘনে সলাজে,
ভুবন উথালে মধুবন্তী বেহাগে।
জীয়নকাঠির কঠিনে সহজে,
প্রানে অপ্রানে, অনন্ত আবেগে ।
আবেশে আলোতে শ্রাবণ অবুঝে
নতুনে জাগরনে আশায় সোহাগে,
পরশে আকুলে অমৃতঅনন্ত মাঝে
মরনমাঝারে জীবন দহন ত্যাগে।
ঝরে অঝোরে অঙ্কুরে সবুজে
মরণ মাঝারে তবু নবপ্রাণ জাগে
।তারারা ডাকে চাঁদেলা আঁধারে
মেঘেলা আকাশ ভোরের মধুরে ।
বিজন ঘরে একলা ঝিঁঝিপোকার গান সব নীরবতা কোন সুরে মিলিয়ে দেয় । পথ চলতে চলতে এতো মানুষের সাথে আধো পরিচয় , সু আর কু অভিনয় । কত চেনা পথ বড়ো অচেনা বলে মনে হয় আবার অচেনা পথে হাঁটতে হাঁটতে মনে হয় এই পথে তো কত বার এসেছি বসেছি শীতল ছায়ায় অপার মায়ায় । অবিরাম বারিধারায় প্রভু সব কালিমা মলিনতা ধুইয়ে দাও ।ছোট ছোট স্বপ্নেই তো জীবনের মালাগাঁথা,হাসিকান্নায় জীবনের কোলাজ ।ভুবনডাঙার মাঠে একলা শুয়ে আকাশ দেখা , একান্ত গোপন হৄদয়ের আশা ভালোবাসা দুঃখ বেদনা আকাশেই বিলিয়ে দেওয়া , আরো আরো বেঁচে থাকার , যে দিন যায় ফিরে পাবার কি আকুল আকুতি । বেলাশেষে গোধুলিবেলায় সময় তো হলো খেলাঘরের দুয়ার খোলার ।কতকিছু যা করার ছিল তা না করার অলসবিলাস ।মনে হয় এতো পথ পার হয়ে এসেও নবআনন্দে এই তো সবে শুরু পথচলা ।রাগ বিলাবলে কে যে নিখিল ভুবন ভরায় ।।
দিন পর দিন যায়,পাখি কুলায় ফেরে। আঁধার ধীরে অধীরে আকাশ থেকে নেমে আসে ভাঙা দাওয়ায়। মুখোশ সব চারিদিকে উন্মাদ নৃত্যগ্রস্ত। নিরাপত্তাহীনতায় মুখোশের দল। আকাশকুঠিতে সাপলূডোর খেলা। দাওয়ায় গল্প জুড়তে আসে সোঁদা মাটি আর সবুজ হাসনুহানা। শত আঘাতেও জীবনের ভালোবাসায় অমৃত মধুকর।দুরের চাঁদ গহিন দিঘির হৃদমাঝারে আঁকে মনছবি।জোনাক আলোয় জারূল গাছে চড়ুইবাসায় দীপাবলি।মধুময়, অন্ধকারে আলো জাগে।চোখের জল মুছে যায় বারিধারায়।মাদুরে গা এলিয়ে দেয় স্নিগ্ধ মধুকর।বাউলবনে আলো আরো আলো। সাই গানে নিদ্রা জাগে। অনিমেষ শুভ্র পথ অনন্ত। আমোদিত শাওনে সত্য জাগরূক অমলে বিমলে রূদ্ররথে।
অমর্ত্য স্বপ্ন।
হৃদি ভিজে যায়
কান্নাগুলো আস্টেপিস্টে বাঁধে ,চলৎশক্তিহীন,
অন্যায় গুলো তান্ডবনৄত্যে, ভীষ্ম শরসজ্জ্যায়,
পৄথিবীটা এতটাই লবণাক্ত, লোহিতসাগর পায়ের তলায় ।
ত্রিমাত্রিক চরিত্রগুলি এত নীরব বেদনাহত, অক্ষম
জীবন তবু ধুকপুক, হৃদয় কি চোখের জলে ভেজে,
ইন্দ্রিয় সবকটা একসাথে একসুরে সান্ধ্যকালীন কোমায় ।
অব্যক্ত বর্ণমালা, জাগতিক চলাফেরায় যান্ত্রিক পুনরাবৄত্তি,
চিত্রসৄষ্টিকল্প তো অপরিপুর্ন, বাধ্যতামুলক গণনা পাতা
ঝরায় ।মৄত্যু তিলে তিলে আজ অথবা কাল অনন্ত প্রতিক্ষায় ।
অনুভুতি সব আবদ্ধ কফিনে,চক্রব্যুহে আবদ্ধ অশ্বথ্থামা
আর শরসজ্জায়িত ভীষ্ম একাকার ।কিছুই কি করার নেই ?
বোবা কান্না গুমরে কাঁদে, সুরহীন অসীম একাকী মন্দিরায় ।
জীবন আর মরন তীব্র আলিঙ্গনে , টুকরো আকাশটা ছোট
হতে হতে জরাগ্রস্ত বিন্দুসীমা । ভুলভুলাইয়া জাগে অট্টহেসে,
ভালোবাসা তবু জাগে বেলাশেষে, তুমি, তোমায় , আকাশগঙ্গায় ।
চলার পথে একাকী অনুভবই অবলম্বন,চড়াই উতরাই পেরিয়ে এক অন্তহীন খোঁজ,সচল,সজীব অভিনয়, সংশোধন এর কোন সুযোগ নেই,মনে যা আসে তা নীরবে নিজেকে বলা, নিজের দেওয়ালে ছবি আঁকা। কোন ব্যাকারণ মানার প্রয়োজন বোধ করিনা,অনুভব ও তো পরিবর্তনশীল। এইভাবেই এই পৃথিবীর ক্যানভাসে তুমি আমি সব্বাই এঁকে চলেছি ,সম্বল মন তুলি।
কাল হয়তো ,হয়তো কেন, নিশ্চিতভাবেই অন্য আঁকিয়ে সাজাবে দেওয়াল।
যখন বৃষ্টি নামে,ছবিও তো মুছে যায়।
জীবন মাধুকরী।
নয়নতারা
নয়নতারা নয়নতারা নয়নেরই তারা
তুমি তো অঝোর শ্রাবন ভালোবাসার প্লাবনধারা ।
কচি ঘাস সবুজ মুক্তোকণায় ভেজা ,
নয় প্রকাশে , অনুভবে ,নয় কলরবে
স্বপনে মধুভাসে নীরবে
জীবনে প্রতি পলে তুমি নীরা ।।
তুমি কোপাই আর তুমিই তো জলঢাকা
আজ উথালপাথাল আজ বেনিয়ম বাঁধনছেড়া
আপন ভুলে চিকমিক উথাল পাথাল সবুজতারা
চোখের কোনে ক্লান্তিকলস তবু লড়াই জীবনভোর
দুগ্গা দুগ্গা তুমি তো দশভুজাই রাগ নটভৈরব ।
আপন ভুলে দুয়ার খুলে অবোধ অবনী পাগল
মনে তার শক্তিকবি কাঁদে, জাগায় সুবোধ
জাগে সুনীল, শঙ্খ বাজে
পাহাড় দিয়ে নদী কেনাই তবে হলো পাকা
নিয়নের আলোয় নয় কেরোসিনের ল্যাম্পে
অবুঝ সবুজ সবুজ ছবিই আঁকা ।
ওরা,
বসে আছে,
এখানে,
ওইখানে,
চারিধারে,
দ্বিতীয়া রাতের আঁধার জেগে আছে অনিমেষ,
চোখগুলো দল বেঁধে জ্বলছে মৃতপ্রায় জোনাকির দহন মেখে।
আর
মধ্যিখানে ঘুনধরা কাঠের টুলটা,
আদিকাল থেকে,
বসে আছি,
টুলটাতে,
নদীর ছোঁয়া পাওয়া যায়না।
ওরা উঠে দাঁড়িয়ে পড়ছে একের পর এক,
মিহি সুর করে ওরা জীবনমুখী কবিতা করছে উচ্চারণ।
টুলে বসা লোকটা বেশ অনেকখানি বধির,
রিনরিনে শব্দে ওরা কি বলে চলেছে?
বোঝার চেষ্টা,
সব একরকম মনে হয়।
অথৈ অতলে দিন পর দিন কেবলই তলিয়ে যাওয়া,
শুধু হেরে যাওয়া, মরনসাগরে জীবনতরী বাওয়া ।
কেন বারবার তবু কামনা ফেরার ,অবুঝ মন বিহ্বল ,
ডোবে নাও,অক্ষম অব্যক্ত বন্যাধারায় আঁখি ছলছল।
চোখ তবু বেঁচে, কেঁপে কেঁপে ওঠে অনুভবে অমলতাস।
মরি বার বার নিমজ্জনে লাজহীন ঘোলাটে বিষনিশ্বাস।
।হায় মনমাঝি ,ডোবারই বাজি,হেরেই হারতে রাজি ।
মেঘমল্হার
অবনীর আজ রাগ মেঘমল্হার
যে গাছে সে জল দিয়েছিলো ,খুব খুব ভালোবেসেছিলো
সেই চাঁপায় দুটো শ্বেত শুভ্র ফুল ,সুবাসে মাতাল অবনী ।
সুমনে ধারাস্নানে সিক্ত দেহ মন,
এতো পাওয়ায়ও কেন রিক্ত ?
স্বপনেই তো জীবন ।
দিবসান্তে ঘন আধাঁরে রবি কিরণ হয় একাকার ,
চায়ের দোকানে পেটরোগা বাচ্চা কুকুরের দল,
বাঁচার লড়াই,
একটা বিস্কুট কিংবা দুটো,
জানলাগুলো বাইরে থেকে আটকে দিচ্ছে ,ওরা কারা?
এই আঁধারে একটু আলো দাও ।
জলছবি, সবুজ আকাশ,
তুলি আর ক্যানভাস,
মন ভাসে দিন আসে রাত শেষে।
জুঁইও ফুটেছে কত শত ,
বৄষ্টি অঝোরে ঝরে পড়ে,
আকাশ আর মেঘবালিকার চিরন্তন প্রেমগাথা ,
কাছে কতো তবু কতো দূরে ।
তোমরা একটু দরজা খুলতে দাও ,
দাও একমুঠো আকাশ,
একটু বাঁচতে দাও অবনীকে,
একটাইতো জীবন , বাঁচিয়ে ভাসাও ।।
মুক্ত অঙ্গনটি ঘিরে গড়ে উঠছে পাঁচিল,
দীর্ঘতর থেকে আরেকটু দীর্ঘায়িত,
বিছুটি আর চাঁপার চুপকথা।
ওইখানেই কাগতাড়ুয়ার সমাধিস্থ করার আয়োজন মোটামুটি পন্জীকৄত ।
কফিন বন্দী করা হইতেছে উড়িবার কল্পডানা ,
ভাসিবার মনপাখা ইত্যাদি ,
আাকাশ ভুমিশয্যায় ,
ক্লান্ত হতোদ্যম ,
তবু অবুঝ আশা বৄষ্টি পড়ে একটু যদি ।
মৃত্যুউপত্যকায় ছোট ছোট হৃদপিন্ডগুলির সমাবেশ দুরত্ব মেনে।
নীল সকালটায় জীবনের অমৃত সোয়াদ।
ফ্যাতারুরা আকাশ বনে ,
উড়তেই থাকে,
মোটামুটি চারিপাশ একগুঁয়ে কচুরিপানায় গেছে ভরে,
পা ফেলার জায়গা নেই।
কে কোথায় যে দাঁড়াবে?
স্বপ্নের কালঘুম শেষে আশাগুলো পথের মিছিলের গোলকধাঁধায়।
সমাজের মালিকানা স্বত্ব কার এই চিন্তায় মাথা হচ্ছে আরও সাদা।
আপসের ছানি জমে দুই চোখে।
মুক্ত অঙ্গনের ধারাবাহিক বিবর্তন,
বেঁচে আছে আজও।
সীমাহীন টুকরো টুকরো হতাশাগুলো বন্দি,
একটাই ফ্রেম।
সহনশীলতার পরীক্ষা চলতেই থাকে,
তীব্র কামনায় সব ভেঙেচুরে আকাশের এক একটি কোণে,
ভয়কাতুরে দৃষ্টি।
পায়ের কাছে অনুভবের আর্তচিৎকার।
লোহার গরাদের ফাঁক দিয়ে ভিজে জুই আর বেল ভালোবাসার গন্ধ বয়ে নিয়ে আসে ,
গভীরতর অন্ধকার,
একটাই জীবন,
এই ভুবনের ওপারে,
কালপুরুষ ও নারী,
অমোঘ পৃথিবী,
হাতেই হাত।
বোমারু বিমান রওনা দেয়,
চুরমার ছায়া ও প্রতিবিম্ব।
মুক্ত অঙ্গনটি ঘিরে গড়ে উঠছে পাঁচিল,দীর্ঘতর থেকে আরেকটু দীর্ঘায়িত, বিছুটি আর চাঁপার চুপকথা।
ওইখানেই কাগতাড়ুয়ার সমাধিস্থ করার আয়োজন মোটামুটি পন্জীকৄত ।
কফিন বন্দী করা হইতেছে উড়িবার কল্পডানা ,ভাসিবার মনপাখা ইত্যাদি ,
আাকাশ ভুমিশয্যায় ক্লান্ত হতোদ্যম , তবু অবুঝ আশা বৄষ্টি পড়ে একটু যদি ।
মৃত্যুউপত্যকায় ছোট ছোট হৃদপিন্ডগুলির সমাবেশ দুরত্ব মেনে।নীল সকালটায় জীবনের অমৃত সোয়াদ।
ফ্যাতারুরা আকাশ বনে , উড়তেই থাকে, মোটামুটি চারিপাশ একগুঁয়ে কচুরিপানায় গেছে ভরে,পা ফেলার জায়গা নেই।
কে কোথায় যে দাঁড়াবে? স্বপ্নের কালঘুম শেষে আশাগুলো পথের মিছিলের গোলকধাঁধায়।
সমাজের মালিকানা স্বত্ব কার এই চিন্তায় মাথা হচ্ছে আরও সাদা।আপসের ছানি জমে দুই চোখে।
I've had my share of necessary losses,
Of dreams I know no longer can come true.
I'm done now with the whys and the becauses.
It's time to make things good, not just make do.
It's time to stop complaining and pursue
The pleasures of an ordinary life.
I used to rail against my compromises.
I yearned for the wild music, the swift race.
But happiness arrived in new disguises:
Sun lighting a child's hair. A friend's embrace.
Slow dancing in a safe and quiet place.
The pleasures of an ordinary life.
I'll have no trumpets, triumphs, trails of glory.
It seems the woman I've turned out to be
Is not the heroine of some grand story.
But I have learned to find the poetry
In what my hands can touch, my eyes can see.
The pleasures of an ordinary life.
Young fantasies of magic and of mystery
Are over. But they really can't compete
With all we've built together: A long history.
Connections that help render us complete.
Ties that hold and heal us. And the sweet,
Sweet pleasures of an ordinary life.
The Pleasures Of Ordinary Life
Judith Viorst
বৃত্ত সম্পুর্নপ্রায়,
কত পথ যে হেঁটে এলাম!
আলপথে চলতে চলতে দেখতাম কালো স্বপ্ন,
পিচঢালা রাস্তায় চলার।
অনুভূতিহীন চোখ দিয়ে জানিনা কেন জল ঝরতে থাকে,
বেকুব চোখ।
In a dark time, the eye begins to see,
I meet my shadow in the deepening shade;
I hear my echo in the echoing wood--
A lord of nature weeping to a tree.
I live between the heron and the wren,
Beasts of the hill and serpents of the den.
What's madness but nobility of soul
At odds with circumstance? The day's on fire!
I know the purity of pure despair,
My shadow pinned against a sweating wall.
That place among the rocks--is it a cave,
Or a winding path? The edge is what I have.
A steady storm of correspondences!
A night flowing with birds, a ragged moon,
And in broad day the midnight come again!
A man goes far to find out what he is--
Death of the self in a long, tearless night,
All natural shapes blazing unnatural light.
Dark, dark my light, and darker my desire.
My soul, like some heat-maddened summer fly,
Keeps buzzing at the sill. Which I is I?
A fallen man, I climb out of my fear.
The mind enters itself, and God the mind,
And one is One, free in the tearing wind.
Theodore Roethke
চলেছি হেঁটে,
এতো বছর ধরে,এতোটা পথ,
চলেইছি, কখনও মোরাম,
কখনও বা আলপথ,
কখনও পিচঢালা রাস্তায়।
আলেয়ায় অন্যকাল
বাত্যমন একান্ত নির্জন, পাগল চিন্তন ,সুরে স্থবিরতা, পথ কিন্তু বৄত্তাকার ,
আপাদমস্তক মহাপ্লাবন,শঙ্খচিল,তটরেখা স্ত্রৈন উত্তাপে পায় শীতলতা ।
কফিনবন্দী গোলাপগুলো নিরুদ্দেশে কাঁটাগুলোর সাথে ঝগড়ার ব্যস্ততা,
শামুকজীবন উকিঝুকি ,বারবার ফিরে চাওয়া, অনন্ত লাল রক্ত রডোডেনড্রন ।
লেদমেশিন একই যান্ত্রিক ঘট্ঘট, অবদমনে সুতীব্র অনাহার, তবুও কম্পমান
হৄদয়পিন্ড, অগ্রদানে মাথার ভিতর কেন্নো খোঁজ চোরাগলি অনিমন্ত্রিত স্বপ্নসন্ধান
না স্বপ্নদহন. ধীর অথচ সুনিশ্চিত হেমলকে কালপুরুষের ছিন্ন কোমরবন্ধন.
স্মৄতিভষ্ট্র ধাপসিড়ি, দুর্বোধ্য বাক্যবিন্যাসে মোমজোছনায় চুম্বিত বিচ্ছিন্ন স্পর্শ অতল ।
সুদীর্ঘ অপরিচিত সহযাত্রিক অন্তপথ দিখন্ডিত,নিঝুমপাতার নৌকা নিতান্ত অপ্রয়োজনীয়
বিদায় সম্ভাসন ,মনহনণে নিঃশব্দ পুনরাবৄত্ত পরলৌকিক ক্রন্দিত উৎসব উদযাপনের
দীর্ঘ প্রস্তুতি, তবু বাধ্যতামুলক জীবনযাপন ।তবু রোদ্দুর আমোদিত সেই একই চেয়ারে
দৄষ্টি পুবে ও অন্য পশ্চিমে , জোনাকআলোয় পুনঃশ্চ শেষরজনীর মহড়ার রুটিনমাফিক
যবনিকাপতন।
তবু একটি জীবন বাঁচা ।
একটু ভালো লাগা অনেকটা মন্দ লাগা নিয়ে এই জীবন ।সুখমন্দাকিনীর খোঁজে ছুটে চলা ।জীবনের আনন্দ হতাশার গোলকধাঁধায় ভালোবাসায় মায়ায় বিরাগে অনুরাগে মালা গাঁথা ।আকাশের অশ্রুধারায় হৄদয়কাননে প্রাণ ফেরে নব নব রুপে ।বারিধারায় নবসবুজে কৄষ্ণকলি জেগে ওঠে ।ও চাঁদ তুমি মেঘের আড়াল ঠেলে সরিয়ে একটু হাসোতো ।সব কালিমা ভুলে একটু জাগি অনেকটা বাঁচি । পান্চজন্য মৄত্যু নিনাদে নয় জীবনের জয়গানে নিজেকে এই মানবসাগরকে মন্দ্রিত করো ।
কালপুরুষেও উথাল পাথাল ঢেউ ,জীবনের রঙ কাছিম ঘোলাটে.
বিষ নিঃশ্বাস, জোনাকিও আলো হারায়. পাতা ঝরে শুকনো বটে।
মুখোশ গোটা দেহ মুখে ছাড়িসনা ,আকড়ে ধর জোরে শক্ত করে,
নবজীবন , রুপান্তরিত স্বপ্ন , জাগুক আপন পথে শুদ্ধ সত্য অন্তরে।
যদি পারিস চোখটাকেও কর আবরিত.
দৄষ্টি অভিশাপ. কান্না অতীব লবনাক্ত।
মঙ্গল শঙ্খে অমৄতপ্রান হাসে.
কালপুরুষ শামুক খোলসে।
ধৄতরাষ্টীয় জীবন,
অক্ষম অন্তরদহন।
ধারাশ্নান,
মৄতপ্রাণ।
I went many years,
But at last came a knock,
And I thought of the door
With no lock to lock.
I blew out the light,
I tip-toed the floor,
And raised both hands
In prayer to the door.
But the knock came again
My window was wide;
I climbed on the sill
And descended outside.
Back over the sill
I bade a "Come in"
To whoever the knock
At the door may have been.
So at a knock
I emptied my cage
To hide in the world
And alter with age.
Robert Frost
ঘাসফুলগুলো,
মিষ্টি মিষ্টি হাসছিল,
এলিয়ে দিচ্ছিল আলগোছে স্বপ্ন
মুক্ত অঙ্গনে।
ইচ্ছে চড়ুই আর বুলবুলি,
বুকের মাঝে গান।
বসেছিলাম,
আকাশ আর মাটির প্রেমগাথা।
আকাশ একদিন ঢাকলো কালো মেঘে,
দুইচোখের অশেষ তৃষ্না,
মেঘবালিকা,
বুঝিনি,সে এসেছে,
বসেছে পাশে,
বাড়িয়ে দিয়েছে দুই হাত,
বুঝিনি,
আত্মহত্যা,
অঙ্গন ঘিরে পাচিল,
আরও আরও উঁচু,
আকাশ ছোঁয়া,
শিকল মেঘবালিকার হাতে পায়ে,
পাঁচিল জুড়ে নয়নতারা,
নয়নতারায় মেঘবালিকা।
দলবল নিয়ে রাখাল,
ঢাকতে থাকে আকাশের মুখ,
গোটা আকাশ।
কালোয় সবুজ,
সবুজে কালো,
একাকার।
এদিক,এদিক,
কেবল চলি,
পাইনে খুঁজে,
ঘাসফুল বুকে,
জানালা নেই,
নেই দরজা,
ঘুলঘুলি,তাও নেই,
নিঃশ্বাসের মৃত্যু।
অধরা মাধুরী
আকাশের নীলে,
আকাশের বাসায় ভুল তারা,
ইচ্ছেমন মন্দাকিনীর খোজে,
আকাশগঙ্গায় দেয় ডুবসাতার ।
পাঁচু মন দিয়ে বাসন মাজে ,
ঘর সাফ করে,
বন্ধ করে খোলা জানালা,
উড়ে না যায়ব ন আর মনপাখি।
অচিনপুরের সবুজপাখি দিক ভেসে হারায় অঝোর ধারায়,
আগুনপাহাড় জ্বলে,
পোড়ায় পাতা ,
পাইনবন,
অন্ধমন খোঁজে মানসসরোবরে বহ্মকমল ।
কি করে যে অবনী?
ভুলভুলাইয়ায় ঘুরে মরে।
দরজাগুলো দমাস্ করে বন্ধ হয়ে যায় ,
আলোআধারে কাঁদায়,
নিকসকালো জীবনরেখা ।
তবু জীবন হাসে ।
রাত যায় দিন আসে ।
অধরা মাধুরী ।।
It was a long time ago.
I have almost forgotten my dream.
But it was there then,
In front of me,
Bright like a sun—
My dream.
And then the wall rose,
Rose slowly,
Slowly,
Between me and my dream.
Rose until it touched the sky—
The wall.
Shadow.
I am black.
I lie down in the shadow.
No longer the light of my dream before me,
Above me.
Only the thick wall.
Only the shadow.
My hands!
My dark hands!
Break through the wall!
Find my dream!
Help me to shatter this darkness,
To smash this night,
To break this shadow
Into a thousand lights of sun,
Into a thousand whirling dreams
Of sun!
Langston Hughes
দিন, বছর, অনেক যুগ,
বুনতেছিলাম স্বপ্নের শীতলপাটি।
ছোট, বড়ো,সোদা সব স্বপ্ন,
আজো যেখানেই যাই,শীতল ছোঁয়া।
বলতে পারিনি, কাউকেই,
ঘুমিয়ে পড়ি, আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে, বুকের মাঝে।
বুঝিনি,
যত্নে রাখা শীতলপাটিতেও ঘুনপোকা,
মরতেই থাকে,
স্বপ্নগুলো,
বলতে পারিনা।
কাউকেই।
এইটাই, জীবন,
আলপথ আজ পিচঢালা,
মরা,
কেউটের দল মঙ্গলগ্রহে,
নিরাপদ।
বার্ধক্যজনিত স্বাভাবিক নিয়মে শীতলপাটি আজ ফুটিফাটা,
ঝরছে, মরছে,
স্পর্ধা,
স্বপ্ন,
একটার পর এক,
স্বপ্নের দল।
চোখের জল,
চড়ুইভাতি,
ফল্গূনদী,
একলা চর,
ব্যাথা চিনচিনে,
গোলাপবনে দাবানল।
স্বপ্ন,
শীতলপাটি,
এখানে গ্রীস্মকাল।
একটি সুখী গোলগাল নিরুত্তাপ জীবনকবিতা
ভাবনাবিলাস-
হাসনুহানার গন্ধটা যেন প্রবল থেকে হয় প্রবলতর,
যেন মৄত্যুর আগে পুরোটাই ভিজতে পারি
ইশ্বর আমাকে একটু সময় দিও ,শেষবারের জন্য
শুয়ে বা বসে কফি খেতে খেতে একবার ভুলে যাওয়াটুকু
যা হয়তো হয়েছে এতটা বেশী বাঁচার জন্য,মনে করার প্রচেষ্টা ।
ভুলভুলাইয়া-
একটু ঢুকু ঢুকু একটু ওয়াইন,
আমি তো শিওর আগাগোড়াই সোয়াইন ।
চোখে হ্যারিকেন জ্বলে,নয়নতারা আধাঁর চিরে
ভেঙচি কাটে, একলা ফ্যাতারু ফ্যাত ফ্যাত উড়ে
ভুল মানুষের অরণ্য ,ওই পৄথিবী ।
ভাবনাবিলাস-
খোলা আকাশের নীচে হলে মন্দ হয়না, উত্তাপটা তো থাকবে,
যতটুকু পারবো চোখ মেলে ,দুগ্গা তোমার আলোয় যবনিকা পতন
টলমলে পায়ে যে স্বপ্নের খোঁজে অন্তরক্ষরণ, তারই বাস্তবের বোধন
হাজার বা লক্ষ হয়তো আরো অনেক বছরের আদিম জীবনপথে
চেনা অচেনা পাওয়া বা বেশী পাওয়ার আবহমান ফল্গুধারায় ।
ভুলভুলাইয়া-
একলা পানকৌড়ি , সশ্তার চোলাই গহিন গঙ্গায়
ডুব, ইতি উতি তাকায়, কি যে খুঁজে ফেরে,
পুরো পাঁকে ডুবসাঁতার , কাঁনাগলি,
যেদিকেই যাই ,পাতার পর পাতা ওল্টাই
ছানি দুটি চোখেই শুধু লুকোচুরি ।
ভাবনাবিলাস-
দামোদর এপার ভাঙে গড়ে ওই পার ,কান্না গভীরতা বাড়ায়.
হন্যমান কালবেলা আগুন হয়ে জ্বলতে চায় দাসত্ব ভালোবাসার ।
চিতাটা যদি নদীপারেই সেজে ওঠে,শুয়ে জিরিয়ে নিয়ে
নদীর আলিঙ্গনে .ভাঙা হাটে সশ্তার বিকিকিনী ,অফুরাণ অবসর,
ভাটিয়ালী গানে তাল মদিরা কাল অন্য কেউ।
ভুলভুলাইয়া-
উজবুক জীবনে কিছুই তো ঠিক করে করতে অক্ষম,
ভদকায় ভরে মাঝবয়স নিশিকুটুম নিঘুম ।
ভন্ডামি ছাড়, তোর নেশা ভোর এক লহমায় ।
এতো ভিজেও গোটা মাতাল হতে পারলি কই?
খুঁজে ফেরা অমলতাসে সোনার রথ।
ভাবনাবিলাস-
সকাল থেকে রাতশেষ আমি জ্বলব, জ্বলে পুড়ে
মরবে আমার যত পাপ , সমস্ত ক্লীব নিঃশ্বাস, সময়
তো লাগবেই, পাপনাভিমুল কিছুতেই তো ছাই হতে চায় না।
ঝিনুকরঙা বায়বীয় আদুরে ছোয়ায় যন্ত্রনা মুলাধার সহ হবে
উৎপাটিত, উড়ব এদিক ওদিক অন্যভুবন ।
ভুলভুলাইয়া-
ভিখীরির বাচ্চা একটু টাকা ওড়া, হুইস্কিটা জম্পেস
সেই ঝড়ে পড়া আাঁচলের মতো,
একঝটকায় ফুরতি কমপ্লিট ,পিচরাস্তায় গলাগলি,কিলবিল ,
পা দুটো এতো কাঁপে কেন রে ,হাতে ধর।
মনপাগল দারুবষ্হ্ম তরলতর।
ভাবনাবিলাস-
শেষ আবরণ টুকুও দান করে বা করতে বাধ্য হয়ে
রবিবাউল তোর গানে আমার চোখে দিস একটুকু
কান্না, চৌরাসিয়ার বাঁশীতে কানে অন্তত একবার
রাগ মধুবন্তী, চাওয়ার তো শেষ অথৈ সামুদ্রিক বনলতায় ।
পিদিমের শেষ , তৈলাক্ত দপ্ করে নিভে জাগা।
ভুলভুলাইয়া-
আহাম্মক, নাটক তোর মনে নেই যেন ?
ঘর অন্ধকার, ছায়াছবি ঘরঘর ঘরঘর,
বিয়ারের বোতল নিমেষে একশেষ
চুঁবিয়ে ভেজা আকন্ঠ সাগরসঙ্গম ।
দেওয়াল পলেস্তরা খসে পড়ে কাছাকাছি ।
ভাবনাবিলাস-
নরম মোম সবুজ এবরোখেবরো আলপথে
তোকে ছুয়ে আমি একবার কেবল একবারের জন্য
ঝিমধরা ক্যানভাস হবো । কারা সব পাশ দিয়ে
অথবা মাড়িয়ে দিয়ে এগিয়ে চলবে, নব জন্মাধার
হৄদয় নামক কল্পনাটি চলৎশক্তিহীন ।
ভুলভুলাইয়া-
জিন সুন্দরী আমার,নেশা জমছে কই?
আহাম্মক, স্বপ্নটাইতো একলা জানলা ।
নরম শিমুল, চক্রব্যুহ, তুলিকার উড্ডয়ন ,
একটু নেশা চড়াও নইলে বিষ দংশন ,
হিমশৈলচুড়া উত্তাপে গলনপিয়াসী ।
ভাবনাবিলাস-
আমার নদীটা.একান্তই আপনার সেই তো
আজও বাঁচিয়ে রেখেছে, শুকনো বুড়ো পাহাড়টাকে ।
তপ্ত দাবদাহ, বনতুলসীও শুকিয়ে মরে ।
আকাশটাই শুধু মাঝেমাঝে নেমে আসে, দুদন্ড দু এক কথার আদানপ্রদান এবং
নদী হাজার ঝড় ঝাপটা সামলেও কখন যে ভিজিয়ে দেয় শীতল মায়ায়।
ভুলভুলাইয়া-
রামেই ওং শান্তি নম শিবায়,
ডুবে মর ,তাতেই সব মুস্কিল আসান ।
জীবনটাতো মরুভুমি বানিয়ে পুরো বেকার,
তার কাটা সেতারটাও তো অসুরে ছাড়লি ।
ঘুরে মরিস্ জাকারিয়া স্ট্রীটের নিঝুম বারবেলায় ।
ভাবনাবিলাস-
নর্দমার পচা কালো জলে কেন্নোর মত কিলবিলিয়ে এগিয়ে চলা,
মাড়িয়ে দিলে বৄত্তাকার, একান্ত সংকুচিত, তবু টিকে থাকার এক অপরিমেয়
অক্ষম প্রচেষ্টা। কিছুই সম্ভব নয়, নিজের সাথে নদীর তীব্র মিলে যাওয়া ব্যতিরেকে,
বোধ সেও তো আর কোন ভাবে কাজ করেনা ,চলতে চলতে এক ঝিমুনি জেগে
ওঠে, আঙুলগুলো সব থেতলে গেছে, কেন্নোর রক্ত কি ফিকে লাল ?
ভুলভুলাইয়া-
ব্র্যান্ডি খা থুড়ি পান কর,কোডারমায় পালা
শালা নক্শাল,বিপ্লব সব কোন নদ্দমায় চটকাচটকি ।
ভুত নেই ,ভবিষ্যত নেই ,বোকা গরুর গাড়ির হেডলাইট,
তল্পি গোটা ,গলায় বিষ ঢাল, মর ,মর, মরে বাঁচ, ।
আধো কুয়াশাতেই একটু লুকানো চুম্বন ।
ভুলভুলাইয়া ও ভাবনাবিলাস-
দেখা হয়ে গেলো ,একটি দরজা মুখোমুখি দুজনায়
শক্তির খালি উদার গলায় রবিঠাকুরের মরণরে তুহু মম..
দামোদর এগিয়ে আসে,আকাশ চুপ, দুগ্গা দেবী না মানবী ?
তোমার চালিতে যদি একটু জায়গা , মরুভুমিতেও ঝরণাধারা,
অসম্ভবে ইলেকট্রিক শক্ ,অস্তমিত নেশা, যে চন্দনগাছটা ছোটবেলায়
নিজ হাতে রোপন ,তারই কাঠ, রক্ত ঝরছেই, ছায়াদুটি একাকার,
স্বপ্ন,সুচনা, মুচকি হাসে মৄত্যু, আশ্রয়হীন, কাঠের বেন্চিটাও ভাঙছে।
শির শির দখিনা হাওয়া, চিতায় শুয়ে বসে জীবনের গান, অমৄত
আমৄত্যু ভালোবাসা, তমসো মা ... কফি এককাপ এবং এবং একটি অর্থহীন
ক্যকটাসের নীলাভ সহমরণ বেপথু হাসনুহানায় ।
তুমি কি কোনদিন ভিজেছিলে?
সেই সবুজে কাদায় মাখামাখি,আমগাছটা দুই হাত বাড়িয়ে আকাশের দিকে,গলেছো বাতাসের বুকে?তুমি তখন কৈশোর ।
বৃষ্টি কখনো তোমায় ভাসিয়েছিলো ?
যখন খোলা জানালা, রেলগাড়ি,দিকশুন্যপুর,নেমে পড়া,প্ল্যাটফর্ম, শেড? নেই,বুক ভরে আকুতির বৃষ্টি, তুমি হয়তো যৌবন।
কখনো তোমার চোখের জল মিশেছিল মেঘের হৃদয়ে?
নয়নতারার পাপড়িগুলো মুছিয়ে দিচ্ছিল দুইচোখ,হাতের মুঠোয় হাত, বাসার খোঁজ,দুপা পিছিয়ে পাপ আর অপাপ,লোকে কি বলে?
কখনো হয়েছিলে বৃষ্টিতে একবুক?
তুমি আর আমি,গড়ের মাঠ, ঘোড়াগুলি ভিজছিলো, গাছগুলোও, উড়োজাহাজের কাটাকুটি খেলা,নগ্নসঙ্গম,অমৃতমৃত্যু,নিরাভরণ।
ধুসর বরিষণ।
পাগলটা একাই, হাঁটছিলো ভাবছিলো, আরও পাগল হচ্ছিলো,একলা রাস্তায়, রাস্তাতেই ঘুমিয়ে পড়লো, ধীরে ধীরে ওকে ভিজিয়ে দিলো একবৃষ্টি।ওর ঘুম কিন্তু ভাঙলো না।
বাসি মনরুটি ফুটিফাটা ,
অগ্নিস্নান বারংবার,
নয় নরম অথবা সহজপাচ্য বা সম্পুর্ন জীবানুমুক্ত।
সকাল সেতো প্রতিদিন আাসে ,
পিন্ডদানে অন্তরগয়া,
অনবরত প্রতিষেধক ,
তবু ঝরে,ঝরে পড়ে পুজরক্ত।
বুড়ো অন্ধ কাক সযতনে পালন করে দেহ পরানে,
রোগটির নাম অর্থহীন লড়াই কিংবা আদুরী মধুমেহ ।
ইতিউতি চোখ পিটপিট,
সব সবই নিকষ কালো,
অন্তহীন খোঁজ,
কোথায় মেলে আগলহীন শান্তি গেহ।
নিজের বলতে একটি ফুটিফাটা হৃদপিন্ড,
দানে পাওয়া,
অযত্নে প্ল্যটফর্মের ভাঙাবেন্চে,
বেহিসাবের হিসেব,যোগ,বিয়োগ।
নয়নতারায় ভালোবাসা বাসা বাঁধে,ব্যাতিক্রমে,অনিয়মে।
পথ অনুভূতিহীন অবধ্য ।
অমৄত কুম্ভের সন্ধানে আলোর খোজে এই মাধুকরী ।যত ভালো লাগাতে আঁধারকে নিভিয়ে আলোকময় হয়ে ওঠা ।মনে আসে সেই ছেলেটিকে সে স্নাতকোত্তর বিদ্যাভাস করার পরেও বাধ্য হয় হকারি করতে কিন্তু ফিরে আসে অসম্ভব মেধা আর মনের জোরে,করে অধ্যাপনা, ছোট্ট হয়ে মেয়ের সাথে বাংলার পাখি চেনে চেনায় আদিঅন্তহীন ইতিহাস ।মন ভরে যায় । সেই মেয়েটি যে বিচ্ছিন্ন হয়েও তীব্র আবেগে ভালোবাসায় ফিরে পায় প্রিয়জনকে ।চিত্ত বিকশিত করে দয়াময় ।সেই পাগল যে জীবন দিয়ে সব ভুলে রবিঠাকুরে নিজেকে করে বিমোহন ।আর সেই মেয়েটি যে কত বড়ো আমলা তবু সে গোপালপ্রিয়া ।মধুময় এ জীবন । সেই পাগল যে কিনা সারা দুনিয়া ঘুরেও ফেরে , বাগবাজারের বাড়ির মেঝেতে শুয়ে শীতল হয় ।ভবসাগরে এতো শান্তি । পথ এগিয়ে চলে ।ঔ যে দুহিতা যে সন্তানের দুরে থাকার বেদনা ভোলে অসহায় কত জীবনের আলোকবত্তিকা হয়ে উঠে ।মহামানবসাগর ।বিপুলাপৄথিবীতে ওই দেবী যে তার সৄষ্টিকে মনের মতো অপরূপ করে গোটা জীবনভোর জবাব দেয় বিশ্বাসহীনতার । এই জীবনে না পাওয়ার মাঝেও এতো এতো পাওয়া. ঝোলা যে ভরে উপচে ওঠে প্রভু ।
বাসি মনরুটি ফুটিফাটা ,অগ্নিস্নান বারংবার,
নয় নরম অথবা সহজপাচ্য এবং সম্পুর্ন জীবানুমুক্ত।
সকাল সেতো প্রতিদিন আাসে ,পিন্ডদানে অন্তরগয়া,
অনবরত প্রতিষেধক ,তবু ঝরে,ঝরে পড়ে পুজরক্ত।
বুড়ো অন্ধ কাক সযতনে পালন করে দেহ পরানে,
রোগটির নাম অর্থহীন লড়াই কিংবা আদুরী মধুমেহ ।
ইতিউতি চোখ পিটপিট,সব সবই নিকষ কালো,
অন্তহীন খোঁজ, কোথায় মেলে আগলহীন শান্তি গেহ।
নিজের বলতে একটি ফুটিফাটা হৃদপিন্ড,দানে পাওয়া,অযত্নে প্ল্যটফর্মের ভাঙাবেন্চে,বেহিসাবের হিসেব,যোগ,বিয়োগ। অনুভূতিহীন দেখায় সকালটাই কেবল অবধ্য ,মিঠে।
বাউল একাদশী
কত দশক পারাপার,
কোথায় এসে ভিজে ইচ্ছেসব গোল পাকাচ্ছে,
মন্দ বারাণসী?
সাক্ষী পেটমোটা চাঁদ ,
রোজদিনই তো ভেজাভিজি আষাঢ় ও বেঁচে,
খুকখুক কাশি।
মিঠা ঝুটা পদাবলী,
কানে কানে এই সত্যিটাই চিৎকারে বা নীরবে,
নিজেকেই ভালোবাসি।
ভয় হয় মানতে তবু,
অকারণ ঝরা রোদে পুড়ছে,শিকলগুলো গাইছে,
দর্পণে মুচকি হাসি।
হাতল ভাঙা চায়ের কাপ,
ছেঁড়া থলে কাছে কাছে অবিরাম ঘুর ঘুর চক্কর,
চলাটাই বাণভাসি।
দেয়ালগুলো ভাঙা চুরমার,
আধখানা চাঁদে আঁধার, দর্পন অবয়বহীন প্রতিকৃতি,
তেলচিটে বালিশ উদাসী।
চোখ অস্পষ্ট কায়াহীন
এলোমেলো ওড়ে ভোকাট্টা,লাটাই ঠোঁটে গাঙচিল,
যাই নাহলে এইবার আসি?
যাই।
জোনাকি
আশাগুলো কি আসে যায়ও কি
কত পিদিম তো ইচ্ছেনদীতে ভাসে
আলো আঁধারে কেউটে তার এলেবেলে বিষ ছড়ায় ।
বোকা ভবঘুরের সকাল বিকেল আর সবুজ রাত আকাশটাকে
সবুজ দুব্বোতে ভরিয়ে পাকদন্ডিতে পথ হারায় ।
কোঁচকায় চামড়া, শিরা ফুলে ওঠে,কালো সাদা ছবিটা
আরো কি নীল ?
কেরোসিনের ল্যাম্প জ্বলে নিভতে চায় ,
ফাঁদটা পাতাই তো আছে,সব মুখগুলো এক হয়ে যায় ।
জোনাকি হয়ে জীবনটা জ্বলে নিভেও জ্বলে ।
ঝাপসা দুপুর আদুর গায়ে অবোধ ছেলে
হঠাৎ শিরশির করে কাঁদে দুখি মন ,
জোয়ারে ছোট ছোট ঝিনুক পরাণ
ভেসে যায় ধরে হারায় একমুঠো সুখ ।
ইতিউতি ঘুম যায় আর আসে,
ভাঙে, পড়ে যখন আকাশ কোনে আধখানা চাঁদ আর বেহিসেবী তারা ব্যস্ত হয় গহিন আলাপে।
দুচারটে বেয়াক্কেলে কাক আর উলটপালট কথামালা, যাকে আমিই কেবল কবিতা বলে মানি, ইশারায় ডাকে।
বুকের একলাকোনে যে অনুভব রোজদিন জমা হয় ছায়াঢাকা রোদ্দুরে, খুঁজে পায় খোলা উঠোন।
নিজের আয়নায় নিজেকে দেখতে দেখতে রাত হয় আরও গভীর,নারিকেলপাতার রিনিঝিনি দোলায় কি গান যে জমা হয় স্মৃতির ডাস্টবিনে।
সকাল হয় উন্মুক্ত সবুজ মাঠের অন্তবৃত্তে।কেউ কেউ মুছে যায়।
মন রাখা থাকে তালাবন্ধ,অকারনের ঝাপসা চোখ।
পারছি কই
কেউ কি পারো,যদি পাও, দাও না আমায় একমুঠো অন্য ধরার খোঁজ,
যাই না চলে সব ছাড়িয়ে,ভুলভুলাইয়া, যে পথে যাই রোজের পরে রোজ।
নব্য যুবক আমায় বলে হে জরাশক্ত অন্য কিছু দেখো ,অন্য কিছু ভাবো,
মাঝ বয়েসে কাঁপ ধরিয়ে জীবন বলে তোমায় আমি অন্য ভুবন দেবো ।
চালসে চোখ,সেই যে কবে ছেড়ে এলাম আরশিনগর, ভুবনডাঙার মাঠ,
সেই পলাশবন ,সাহেববাগান ,লুকিয়ে চুরি , বাঁশীর সুর , বন্ধ আজ কপাট।
দে দৌড় দৌড়,মাঠ পেরিয়ে,গ্রাম ছাড়িয়ে ,শসার ক্ষেত,রেললাইনে কানপাতা,
কিশোর প্রেম পাঁকা কুলে,কুন্দফুলে স্বপ্নময় কতই যে আবেশ মনমালা গাঁথা।
স্কুল পালিয়ে, এদিক ওদিক ইচ্ছে পাগলামি, বায়োস্কোপের পর্দায় উকিঝুকি,
বাবার গল্পগাথা,গুরুর শাসন,এখন তো জলতুলিতে শুধু সাদা ছবিই আঁকি।
সব পেরিয়ে মনসবুজ ,দিনেরশেষে নীর ভালবাসা অপার , মায়ের বুকে ঘুম,
কোথায় সেই প্রানের পরশ, শুন্য সবই, অন্ধ কলম ,রাত একা বড়োই নিঝুম ।
নিকষ কালো অন্ধকারে এখন শুধুই আঁধার কামনা, আঁধারমৄত্যু ভালোবাসি,
ডুবেই যাই বন্যাধারায়, প্রানের পরে কি যে হাতরাই ,জীবনটাই বানভাসি ।
মুখোস পরি , চলি ফিরি, চিন্তন সে তো মৄত, রঙ্গমন্চে কেবলই মিথ্যা অভিনয়,
কি পাইনি তারই হিসাব,সবই গরমিল ,অঙ্ক মেলেনা কেন যে ,শবদেহ গদ্যময়।
নব্য যুবা প্রশ্ন তোমার , খোঁজ অন্তহীন, অচীন পাখী কোন গহিনে ,উত্তর অজানা,
ইতিকথা ঝরাপাতায়,ঘুরেই ফিরি ,কোথায় যে পাই হায় সেই সকালের ইচ্ছে ডানা।
জীবন পোড়ে ছাই হয়ে যায় উধাও আকাশনীল,নিরুদ্দেশে সুজনস্বজন স্বপ্ন হৄদয়পুর,
পথ দেখাও দাও না দিশা, ভাবনা এখন বিগত যৌবন, সেই মধুপুর কোন সে সুদুর।
নব্য যুবা কঠিন প্রশ্ন তোমার....
চলছি মৄতপ্রান বইছি দায়ভার
কতদিন পরে দেখা ,মনে পড়ে আমাদের সেই সখ্যতা ।মন উজাড় করে সুখদুখ ভাগ করে নেওয়া । ছোট ছোট আশা আনন্দ হতাশা বেদনার মালা দিয়ে ভেসে থাকা ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়া ।মানবসাগরের ভিড়ে বেচেঁ থাকার মানে খোঁজা ।কলকল কত কথা কত গানে বয়ে চলা । একা পথে নাওএর তিরতির পথচলা ।গঙ্গা তুমি শুকিয়ে যেওনা ।চাঁদেরনগরে তোমার আমার যে মধুরমিলন জীবন সেই আবেগে আমাকে রিক্ত করো সিক্ত করো ।
এতো কাছে, কিন্তু যোজন দুরের গান।
নিজের মতো ভাবি সকাল থেকে রাত,পরের সকাল।
একটা কেন সবসময় তাড়া করতে থাকে ।
মাথার মধ্যে ঘুনপোকাগুলো এদিক থেকে ওদিক ,
উদ্দাম আস্ফালন।
সময় যে ফুরিয়ে আসছে।
বাড়িয়ে আছি ভাঙা হাত,শেয বলে কি কিছু আছে?
বয়স বাড়ে, এখনও মরেনা ভালোবাসা, এখনও বেঁচে থাকি, খুঁজি ভালোবাসার পাহাড়।
জীবনের মৃত্যু হয় না, জেগে থাকে ভালোবাসার তৃষা,যুগ কাল, সময়ের পাঁচিল ছাড়িয়ে।
মুক্ত অঙ্গনে।
আছো তো
দাড়াস্ সাপটা একটু একটু করে বুড়ো হচ্ছে,
এখন আর নড়তে চড়তে বিশেষ ইচ্ছে জাগেনা ।
কেউ কিছু বলতে এলেই ভাল্লাগেনা একদম,
চুপ চুপ কেবল একলা ঘুম ,মেঘলা মন।
আবার দিন পর দিন দাবদাহ যেভাবে বেড়েই
চলেছে.গাছ ছেড়ে পাতা শুকায়, জমে পাহাড়
ধুলিধরায় ,জমছেই,ঔ পাতার নীচে এতো শীতলতা,
এতোটা আবডাল ,অদৄশ্যমান,বড্ডো একান্ত ।
টুকরো টুকরো স্বপ্ন মালা গুলো চাঁপার ঝোপে
মরা কাকের সাথে গলাগলি, বড়ো আবছা ।
সব চরিত্র মন্চহীন, পিচগলা পথে শ্থবির চলন,
হৄদপিন্ড কুড়ে পেট ফোলায় ঘুনপোকা, ছিদ্র বৄহদাকার ।
সাপটা পাতার ফাঁক দিয়ে বের করে একটু মুখ
দুরে কাগতাড়ুয়াটা একলা হাসছে হি হি,
কানে আসে আলুথালু মাঝবয়েসী ক্ষেমঙ্করীর বিড়বিড়,
রাতে নিকষেই তো আসাযাওয়া, আজ দুপুরেও কালবেলা।
আবার ফিরে শীতঘুম ভরা গ্রীষ্মে , আলপথে সোনাব্যাঙ,
অল্পচোখের কল্পকান্না,মায়া মরীচিকা, শুকিয়ে ঘাস হলুদ।
বাতরোগের চিকিৎসে নেই, মুখ গুলো এতো অচেনা, গ্রাম
পুড়ছে,সাথে ঘাস, পাতা, কুন্দফুল, ফুটে ফাটা আকন্ঠ পুকুর ।
বেতো সাপ, দেখ , আগুন রে আগুনে হলুদ সবুজ একাকার,
বুড়ো বটেও উলঙ্গ হাত ,পা, দহনকামনায় উত্তপ্ত ছিন্নমুল
দেহআগার ।চিল শকুনের ভাবনায় ঝলসানো মাংসের
আবাহনে জীবনে মরণে সাপ নামক কেঁচোর ভীরু নগ্ন প্রস্থান ।
দিনরাত্রির কাব্য
পথ একলাই রোদ পোহায় আলসেমি গোটা শরীর জুড়ে।
গাছগুলো হেলেদুলে মাথা নামায়,যদি একটু গল্পগাছা।
বায়ু ফিসফিস করে অবিশ্বাসী অথচ অমোঘ মৃত্যুর বোল তোলে।
গলার মধ্যে ফাঁসটা হয়ে ওঠে আরও কঠিন, তীব্র শীতল।
উইঙ্কেলের ঘুম ভাঙে, চোখ খোলে , ভিজে যায় ফোঁটা ফোঁটা মৃত্যু বৃষ্টি জলে।
চোখ মেলে,বেনেবউ মুচকি হাসে,চিল শকুন আর্তনাদে আকাশ জুড়ে।
ভাবনাগুলো সব পচে মরে, শ্বাস তালাবন্দী,
দায়বদ্ধ চেতনা ,মানবতা জমে আস্তাকুঁড়ে সযতনে।
অপঘাতে মৃত্যু নাগরিক সমাজের ,ভাইরাস সে কান্না মোছে, দ্বিধা হীন।
সে ও সব্বাই আয়েস ভরে ঠান্ডা ঘরে অখন্ড অবসরে।
লেখনীতে অমর কাব্যগাথা, ইতিহাস অতীত খোলাখাতায়।
উৎসবের মৌতাত পলপল পেটপুরে, মুখোস খোলে মুখোসের সব আবরণ।
বসতবাড়ি আড়মোড়া ভাঙে ,সবই গত প্রায়, অন্তর্জলী অতল মহাসাগরে।
এক পা অন্য পা,পথের অনন্ত আকন্ঠ মদ্যপান একমুঠো ভাঙা চুড়ি,মহাকাল হাত বাঁধে,চোখও বাঁধে নাগরদোলার ছেড়া দড়ি দিয়ে,ডাকে অন্যভুবন।
দিকশুন্যপুরে একা উইঙ্কেল সব দ্বিধা ভুলে হাত ধরে পথের পায়ে পায়ে এগিয়ে যায়, বসত, জমিন,জীবন, মৃত্যু, মৃত্যু তো অন্য ভুবন।
হায়
যদি সত্যি সত্যি একটু পাগল হতে পারতেম। চলার পথে এই জনঅরন্যে কেবলই মুখোসগুলি হাঁটছে ,চলছে ,ফিরছে , অন্তহীন অক্লান্ত অভিনয় ।আমি আমি আমি শুধু আমি, আমার সুখ, আমার পরিবার ,ছোট সুখী পরিবার, আর.. আরে আর তো কিছুর দরকার নেই ভাই ।তোমাকে ঠকাতে পারলেই আরেকটু বেশী সুখ ।তোমাকে টেনে পিছনে ফেলে আমি আরেকটু এগোই্। নিজেরই বিজ্ঞাপন প্রতি পল, আমিই সবথেকে উপাদেয় , অতীত- বর্তমান -আগামী একটু কি অন্যরকম হতে পারেনা ?
সারাদিনের একই অভিনয়ের পুনঃ মন্চউপস্থাপন । নিজের ভুমিকা নিয়েই বড়ো চিন্তা ।সাঁঝবেলায় একান্ত আপন উঠান ডাকে অপার মধু সুরে ।আঁধার আকাশের সাথে গভীর গোপন ভালোবাসা, অশেষ কথামালা , রোহিনী, কৄত্তিকা, অনুরাধা, মৄগশিরা নেমে আসে রাত মজলিসে প্রেম বন্যাধারাস্নান । ভিজে যাই, সাথে চিরসখা রবিবাউল আমার ইশ্বর, জীবন এতো মধুর লাগে । সব পাওয়া না পাওয়া একাকার হয়ে যায় । দিনভোর যে মাধুকরী,রাতআঁধারে ঝোলা উপচে পড়ে ।রাতজোনাকআলোয় নিজের সব পাপ ধুয়ে যায় ।বেল জুই কামিনী আর হাসনুহানায় আমি মরে বেঁচে জাগি অপলকে।নিশি আকাশ জুড়ে আমার দুগ্গা হাসিমুখে ।
কখন যে ভোর হয়ে আসে ,জীবন বয়ে চলে, আজ আছি , কাল তো নেই ।
নীলকন্ঠ তুমি অচিন বোবা সবুজ বনে ,
করাত কলে এখন শুধুই ডানা কাটছেই।
উড়ে কি আর পারবে পৌছুতে তীরে রঙ্গিত,
হাজার হাজার মাইল হাঁটা ক্লান্ত নিশ্বাস।
বন্দী মন চায়ের কাপে খোঁজে রুঢ় উত্তাপ,
লিখতে পারিনা ,তবু দেওয়ালে কাটি কেবলই আকিবুকি।
অসহায় উদ্বাস্তু সময়কাল, ওরা গড়ে ওরাই মরে এই যুগ সেই যুগ , যুগান্তরে, আমরা মানুষ আকাশের নীল ছবি আঁকি।
(এই সাইবার দুনিয়ার অনেক অপছন্দের মধ্যেও এই মাধ্যমে অনেক শুকতারা দেখেছি , যারা আত্ম প্রচার চায়না, নিজের ঢাক না পেটালেও যাদের দিন চলে যায় এক অসহ্য অসহায় কষ্ট পায় অনুভবে। যখন জীবনবোধে আঘাত লাগে ,তখন বেদনবোধ তাদের সাথে ভাগ করে নিতে ইচ্ছা জাগে ।কোন জ্ঞ্যান বা নীতিকথা নয়, কোন তথাকথিত লাইকের কামনায় নয়, এই প্রলাপ আমার সেই সব অংশীদারদের কাছে একটু আত্মকথন মাত্র।)
দিনরাত্রির কাব্য
যদি সত্যি সত্যি একটু পাগল হতে পারতেম। চলার পথে এই জনঅরন্যে কেবলই মুখোসগুলি হাঁটছে ,চলছে ,ফিরছে , অন্তহীন অক্লান্ত অভিনয় ।আমি আমি আমি শুধু আমি, আমার সুখ, আমার পরিবার ,ছোট সুখী পরিবার, আর.. আরে আর তো কিছুর দরকার নেই ভাই ।তোমাকে ঠকাতে পারলেই আরেকটু বেশী সুখ ।তোমাকে টেনে পিছনে ফেলে আমি আরেকটু এগোই্। নিজেরই বিজ্ঞাপন প্রতি পল, আমিই সবথেকে উপাদেয় , অতীত- বর্তমান -আগামী একটু কি অন্যরকম হতে পারেনা ?
সারাদিনের একই অভিনয়ের পুনঃ মন্চউপস্থাপন । নিজের ভুমিকা নিয়েই বড়ো চিন্তা ।সাঁঝবেলায় একান্ত আপন উঠান ডাকে অপার মধু সুরে ।আঁধার আকাশের সাথে গভীর গোপন ভালোবাসা, অশেষ কথামালা , রোহিনী, কৄত্তিকা, অনুরাধা, মৄগশিরা নেমে আসে রাত মজলিসে প্রেম বন্যাধারাস্নান । ভিজে যাই, সাথে চিরসখা রবিবাউল আমার ইশ্বর, জীবন এতো মধুর লাগে । সব পাওয়া না পাওয়া একাকার হয়ে যায় । দিনভোর যে মাধুকরী,রাতআঁধারে ঝোলা উপচে পড়ে ।রাতজোনাকআলোয় নিজের সব পাপ ধুয়ে যায় ।বেল জুই কামিনী আর হাসনুহানায় আমি মরে বেঁচে জাগি অপলকে।নিশি আকাশ জুড়ে আমার দুগ্গা হাসিমুখে ।
কখন যে ভোর হয়ে আসে ,জীবন বয়ে চলে, আজ আছি , কাল তো নেই ।নাথ হে আবার ফিরে ডেকো তোমামাঝে , ভুলোনা , ভুলোনা , ভুলোনা .......
নীলকন্ঠ তুমি অচিন বোবা সবুজ বনে ,
করাত কলে এখন শুধুই ডানা কাটছেই।
উড়ে কি আর পারবে পৌছুতে তীরে রঙ্গিত,
হাজার হাজার মাইল হাঁটা ক্লান্ত নিশ্বাস।
বন্দী মন চায়ের কাপে খোঁজে রুঢ় উত্তাপ,
লিখতে পারিনা ,তবু দেওয়ালে কাটি কেবলই আকিবুকি।
(এই সাইবার দুনিয়ার অনেক অপছন্দের মধ্যেও এই মাধ্যমে অনেক বন্ধু পেয়েছি , যারা আত্ম প্রচার চায়না, নিজের ঢাক না পেটালেও যাদের দিন চলে যায়। যখন জীবনবোধে আঘাত লাগে ,তখন বেদনবোধ তাদের সাথে ভাগ করে নিতে ইচ্ছা জাগে ।কোন জ্ঞ্যান বা নীতিকথা নয়, কোন তথাকথিত লাইকের কামনায় নয়, এই প্রলাপ আমার সেই সব অংশীদারদের কাছে একটু আত্মকথন মাত্র।)
জাগো নবারুণ,চোখ মেলে দেখো একবার,
আজ চিল ,শকুনও আর্তনাদে আকাশ জুড়ে।
ভাবনাগুলো সব পচে মরছে, শ্বাস তালাবন্দী,
দায়বদ্ধ চেতনা ,মানবতা জমছে আস্তাকুঁড়ে।
অপঘাতে মৃত্যু নাগরিক সমাজের, দ্বিধা হীন
তুমি ,আমি ও সব্বাই আয়েস ভরে ঠান্ডা ঘরে।
লিখছি অমর কাব্যগাথা, ইতিহাস অতীত আজ পথধুলায়, উৎসবের মৌতাত পলপল পেটপুরে।
নবারুণ তুমি জাগাও, আড়মোড়া অন্তত ভাঙি,
সবই গত প্রায়, অন্তর্জলী অতল মহাসাগরে।
গাছে এক শালিক আর তার চারটি ছানা ।ঝড়ে ভাঙ্গা বাসা নতুন করে গড়ে তোলা । কি মমতা আর ভালোবাসা ।প্রতিদিন প্রতি পল ।পাগল মা খোজে আকাশের তারায় , গাছের নবসবুজ পাতায় , কাটা ধানের সোনায়,ঐ শালিকের ভালোবাসায় । মনেরতো ছবি আকা যায়না ।এতো ছোট জীবন তাও মা কোথায় লুকিয়ে ফেরে ।ঐ আকাশের তারায় ,এই ধরণীর ধুলিকণায় ।ঠাকুরমার ঝুলি খুলে সোনার কাঠি দিয়ে জাগাও মা সব পাগলের তুমি ঘুম ভাঙ্গাও ।একটু গল্পে ভুলি কল্পে চলি ।
এই মানবসাগর ।কত মন, কত যাওয়া আর আসা ।কত জন্ম আর ভেসে যাওয়া ।দুই নিরাসক্ত বুড়ো । সবার মাঝে থেকেও কত অন্য ভুবনপুরে ।সব দিয়েও এতো ফিরে পাওয়া তাদের।জ্যোৎস্না আলোয় জগৎ সিক্ত নিত্যদিন ।পাগল অবাক হয়ে ভাবে এই বিপূলা পৃথিবীতে এই তাসের দেশে মনের জানালা খোলা মানা,আলোতে আধাঁরে মুখোশের আবডালেই মিছেই জীবনের মিছে জয়গান গাওয়া । হাসিতে ভরে যায় দুই বুড়োর মুখ,কোপাইতে জল কোথায় ?পরিনিরবাণ নয় নবজন্মে আলোকিত করো । আলো দাও আরো আরো আলো ।পাগলকে আরো পাগল করো করুণাময় ।
আজ সকালে ভাবছিলাম
ইচ্ছে চড়ুই তুই দিলি উঁকি
আধো আলোয় ঝিকিমিকি।
আকাশে আজ পলাশবেলা
মন মাঝি চল ভাসাই বেলা।
শিউলি সকাল মুচকি হাসে
মুক্তধারা, পৃথি স্বেতউদ্ভাসে।
হলোনা, পারলাম না নিজেকে ঠকাতে।
একটা অবিশ্রান্ত আক্রান্ত বেদনা ঝরছে বিন্দু বিন্দু,
ভালো লাগেনা,ভাল্লাগে না, দরজা, জানালা বন্ধ হয়ে আসছে, অন্ধকার নামছে ,
পরিযায়ী রুটিগুলো এখনও লুট হয়নি,কেউ তো
পেতে পারে দুদিনের জীবন।
হে বিদগ্ধ সভ্যতা তুমি হাসছো ? একমুঠো মাটি দাও শুধু,একটু রোপণ করবো সবুজ, আমার একান্তই আমার,একটু পথ দাও চোখ বুজবো মাদুরদাওয়ার সোঁদা গন্ধে।
প্রনাম,স্মরণ, নিবেদন, আরও তারস্বরে, রথের চাকাও ঘুরবে, বাড়বে আরও বাড়বে মদের লাইন, অন্তহীন সুখী অবসরে শিল্পের নবজাগরণ। হে দেশ হচ্ছেতো জন নিয়ন্ত্রণ,বিষে মারো,উৎপাটনে অনাহারে মারো, আমি সুরে ধরি একটা নীলরঙা গান ।
কেউ একটা চাবুক দাও, আমাকে রক্তাক্ত করো,মারো মারো,সুধী সভ্য সমাজ, আর এক অবসরে তাকাও শহীদ মিনারের চুড়োয়,দেখো তো কোন কি তফাৎ আছে গোলগাল হৃষ্টপুষ্ট চাঁদ আর পরিযায়ী রূটিতে।
Don't worry, কাল তো নিরাপদ নতুন সকাল। রবি ঠাকুর ভালো থেকো হৃদে থেকো প্রতিপল,ভুল বুঝোনা, তুমি তো অন্তর্যামী। বাইশে শ্রাবণ সেও আসবে।
শুধু সেই বালক খুঁজেই চলবে তার গ্রামের রাঙামাটির পথ,আর কত দূর?
তুমি যাও
মৃত্যুময়তা আজ টপ টপ করে সকাল থেকেই,
পিছল করে দিচ্ছে জীবনের ট্রামলাইন।
বুড়ো শালিক আহামরি আনন্দে,এখন ও টিকে তো আছে,
দানাপানি জুটছে দুটো,চারটে বা একটা।
ঝড়ে কলাগাছের পাতাগুলো ফালা ফালা হয়েছে,
একটা ফ্যাৎ ফ্যাৎ আওয়াজ কখনও জোরে কখন ও বা ঘুমঘোরে।
মেঘলা মুখে ভোর, দুপুর বা বিকেল সব একাকার লাগে। সবাই কোথায় যে ঘাপটি মেরে বসে আছে, শব্দ মিলছে শবদেহে।
উৎসুক নদীমন , অন্ধকার আবহমান।হোলি খেলছি,রঙে সাজছি , কানাগলিতে ভাঙাচোরা বেন্চ, চলৎশক্তিহীন শায়িত বুদ্ধ, নিজেকেই ঠকানো হাতদুটো মুখ ঢাকছে ভাঙা জ্যোৎস্নায়।
চটজলদি জীবনদায়ী গান তারস্বরে, আরও একটু আমাকে বাঁচন বারি দাও, ঠোঁট লুকিয়ে জুঁই ছায়ায় একান্তই স্বার্থপর, প্রজাতিটির নাম হোমো স্যেপিয়েন্স।
ভালো মেখো
বৈশাখী বনে মনপলাশিতে তির তির শির শির
ভেসে বেড়ায়,দুচোখ ভেজায় পাতা ঝরার গান ।
সকলি হারায় , দেবালয় ভাঙে সাথে ভঙ্গুর বন্ধন
অন্তর কুঠুরীতে ,তবু হৄদয় বলে ভালো থেকো ।
পাতা খুলে যায় , পরতে পরতে জাগে এক দুই
কোন সে যুগান্তর ।
আরশি আঁধারে নিজেই অনভি্প্রেত।
রোদনে বসন্তবিলাপ.খুকুমনির তরলআলতায় রঙিন গোধুলি আলোয় পদাবলীতে মধুবন্তী সুরে সেধো ।
একলা নিশি নিকষ সুতীব্র আলিঙ্গনে একাকার,
প্রভাত আর সাঁঝবেলার রুপকথার তৄপ্ত সঙ্গম।
পুর্নচন্দ্রের বন্যা ধারায় উপচে পাগল দশ্বাসমেধ ঘাট,
ভাটার টানেও আরতি স্তবে গাঙ্গেয় মননে জেগো ।
বাসাবাড়ির পলেস্তারায় খসে খসে পড়ে অসংযমী
ক্লান্ত সম্ভোগের আর্তিআাকুলতা,বাঁশী ভেঙ্গে বাজে।
ফেলে আসা মনে রক্তকরবীবনে গহনে নন্দিনের
ক্ষ্যাপা খোঁজা।
স্বপ্নের পুনঃজন্মকালে সাথেই রেখো ।
আগুনপাখি জ্যোৎস্না অঝোরে আবেগ হয়ে ঝরে.
শতেক ইচ্ছা নামাবলী গায় টালমাটাল শালুকমন
আগল খোলে ।বেদনে অন্তর সাজায় বলে অসংলগ্নতায়।
ভালো থেকো ,ভালোই থেকো .ভালোতে ভালো মেখো।
হে অনন্ত জীবন তোমাকে প্রনাম।
আমরাও বাঁচি
রোদেলা বিকেল,অনেক অনেক পথ পেরিয়ে
গ্রাম ছাড়িয়ে দুচোখ ভরে তুই আকাশপানে।
পার হয়ে গেলো একটি দুটি কতক জীবন ,
তুই কি সেই আগের মতো আছিস, বহমান,
অনর্গল ।পায়ে হাতে ছুয়ে পাই তো শুধুই অশ্রুপাথর ।
তুই কি ওরে পাগলপারা ইছামতী ?
চাঁদেলা সাঁঝবেলা ফিসফিস কানে কানে, দে দৌড়
দে দৌড়,একটুখানি অন্য ভুবনে আপন সুরে ,সব
হারিয়ে বকুলব্যাথা,কুল যে ভাঙে উথাল ঢেউ কষ্নকলি ।
ওই যে হোথায় ঔ সুদূরে বৄষ্টি রাঙা স্বপ্ন চর আবছা
নিথর, সব ভেসে যায়, তবু জাগতে চায় পাইন হাওয়ায় ।
তুমি নয় তো সেই বিদ্যাধরী ?
একেলা আকাশ,ছোট্ট ডিঙি, ঠায় দাড়িয়ে,কিসের খোঁজ?
আঁধার নামে,ওকুল কাঁদে,নাও ভাসায়ে ভাসা মন ।
বৈঠা হাতে ,সে হাত কাঁপে, অথৈ মাঝে ভাটিয়ালি,
খোঁজের খোঁজ, চোখের জল, ডুব সাঁতারে অমুল্যধন ।
এত শিকলেও বাঁধন টুটে আপন ধারায় অগাধ অশেষ
মরেও বাঁচিস ,অমৄতপানে শীর্ণ কোপাই ।
সরস্বতী জেগে ওঠ ,কানা নদী বয়ে চল আপন সুরে
জ্যোৎস্না ধারায় নেচে নেচে গেয়ে চল নিজের সুরে
নদী তুই জাগ , বেঁচে থাক আপন ধারায় মরিসনা ,
দিন কাল সময় বর্তমানে ভবিষ্যতে মেলে ধর ইচ্ছেডানা ,
নদী তোর অবলম্বনে আমরাও বাঁচি ।