Thursday, February 29, 2024

 ঠিক মাঝরাতে কাম জাগে,ঘুম ভাঙে বাইকের তীব্র চাহিদার আওয়াজে,ট্রামলাইন আসে জাপটে ধরে,মদিয়কাল।

প্রেশক্রিপশনে   ডিউলক্সিটিন,  মাথার ভুলভুলাইয়া।অনন্য রায় এসে পাশে ঘাপটি মেরে বসে,একটু হু ইস! এটা কি? এরমাঝে সব চুপ,কাম জাগে।জল খাই,উঠি,৭বারের পেচ্ছাপ করে ফেলি।

আমি আর বত্রিশের অনন্য দরজা হাট করে খুলে এগিয়ে চলি আবহমান রেললাইনের অন্ধসড়কে। থমকে দাড়াই ল্যাম্পপোস্টের আলোয় উচ্চারণ করি সুমনের, কবি সুমনের দু চার লাইন।টুটি টিপে ধরলে শব্দ হয়না,নখ বসে যায়,৮নম্বর পেচ্ছাপ।

এখানে রাত গভীর হলে গোরুগুলো পায়চারি করে,ডাকে।অবারিত পাথুরে বিচরণভুমি, অন্ধকারের পথ আটকে দাড়ায় ধিকি আলো। সচেতন ভাবেই, বাংলাতেই মাথার ইচ্ছেপোকাগুলো হাত পা ছুড়তে থাকে।

ওরা তিনজন, শুকনো, নয়নতারার শিকড়ে জল ঢালি।উদোম গায়ে উদ্দাম নাচি,ল্যাম্পপোস্টের আলোয়,আমি ও ছায়া, কৌশিকী রাত।

জ্ঞান হারাই সবজেটে মৃত্যুর ইশারায় ,পথের বুকে। আঁধার যখন আলগা হয়,ঘুম ভাঙে।জানিনা কখন যে হয়ে গেছি একটি মরা মানুষ।চলছি,ফিরছি, আমার হৃদয়টা খুঁজে চলেছি,তোমরা কেউ যদি খুঁজে পাও,যদি!


Tuesday, February 27, 2024

 দোল তো কদমতলায় পুর্নচন্দ্রমায়


হঠাৎ কথাটা কানে ধাক্কা মারল সজোরে

“বোকা ,তুই আগে বুঝে আয়”,কোথা থেকে ?

সারা দিন কাটে মানুষের মন খুঁজে অর্থহীন, 

কত যে মন কত তার রকমফের ভাঙাগড়া,

পুতুলনাচের এই ইতি কথার শেষ যে শুরুতেই

বুঝতে পারি কই ?


যে পথগুলো ক্লান্ত বিরক্ত শুকিয়ে যায়,মরামনটা 

কত সহস্র বছর সেই আদিকাল হতে,একপা দুপা

পৄথিবীকে করি অনন্তধর্ষিতা ,দেবকন্যার রক্তেই

আবির লাল,সুন্দর হাসিমুখে ভরা বুকে,এবসন্তে 

পারিনা চাইনা অক্ষম সঙ্গমে মাফ করবেন

বোকাটা বুঝতেই পারেনা ।


মনন চিন্তন সভ্যতার পতন চলছে রাত অন্ধকার

সেতো জাগছেই, অন্দরমহলে উন্মুক্ত প্রান্তরে ,আসমান নামে এই বন্ধ্যা জমিনে, গোপন পাপ,যদি পাপবোধ বেঁচে থাকে বারে বারে পচা ধাপার ডাস্টবিন এই পিচকারির ফাগধারায় ,হোলি তো হ্যায় জরুর হ্যায়

বোকা কিছুই বুঝিসনা। 


পুজো সেতো সুভোগে নিজেকেই, বিজ্ঞাপন সেতো

আমারই ,আমি বিনা কর্মে , চলনে বলনে লেখনে

গতি নাই নাই শুধু নিজেরই গান গাই যতক্ষন শ্বাস

একটা কালো পর্দা কিনে দাও আকাশ ঢাকি,চাঁদ তুই কেন? বুঝতে পারিনা ।


চল বোকা মরে আর একবার জন্মাই বুঝেই আসি,

দেবকন্যা কিন্তু ইশ্বরকে সব সত্যি সত্যি বলে দেবে, 

তার আগে “বোকা আমি, আগেই বুঝে আসি”যদি পারি ।

Monday, February 26, 2024

  অপাপবিদ্ধ অন্ধকার,

রেয়াত করিনি,তোমাকেও করেছি অপবিত্র।

দিনে দিনে বেড়ে ওঠা রক্তবীজ ঘুণপোকার দল ছড়িয়েছে তার যৌন উত্তেজনা গোটা শরীরে , বিরামহীন,

 কামড়ে কামড়ে জাগিয়েছে কেবল যৌন আগুন,

পুড়ছি। 

দহনবেলা।

সবকিছু ঢেকে রাখি,যখন আলো ফোটে,যে ভদ্রলোকের পোশাকটা পড়ে ফেলি, আদতে সেটি আমার নয়, আমার আসলে মনেই নেই আসল হকদারের নাম। ভুলে যাই সব।

আমি লোকটি মোটেও সহজ সরল পথে চলি না,হাঁটতে হাঁটতে একটু আড়াল পেলেই  করি পাপপিত্ত নিঃসরণ, উলঙ্গ আচমন।পাগল হয়ে আছি, ইচ্ছে করে ঝরা পাতা হয়ে উড়ে যেতে,হুসস‌!

এইভাবেই দিন চলে,রাত ও।

ভীড় জমছে।

নিরাভরণ,সবাই হাত পা ছুড়ছে এদিকে,ওদিকেও,একে অন্যকে কামড়াছে,খিমছে বের করছে অনুভূতিগুলো। আমি মরে যাচ্ছি।

আমি নিশ্চিত এই প্রলাপ কেউ জানবেনা,শুনবেওনা।আদ্যন্ত বরাহপ্রজাতির এই মানুষটি খালি সুযোগ খোঁজে,

তুমি কাছে এসোনা, পোকাগুলো কিলবিল ।

আলোক বিন্দু সব দুরে সরতে সরতে মনে হয় আকাশে পালিয়েছে।

তারা।

চিলেকোঠার ছাদে পায়চারি,

স্বপ্নচারী,

লালসা।

বৃত্তের পথ ছেড়ে কবিতা, অপমৃত্যু।

আমার ঘুণপোকা,

আদুরী, হাতে রাখতে পারা হাত, কি যে বিষম কঠিন।

তুই এখন অন্য আকাশ,

আমি শালা, বেওয়ারিশ,

অভিযোজন, আগাপাশতলা শয়তান,আমিই,

নিত্যকর্মে পান্ডুকথা।




 কলকাতার ফুটপাথ ভিড় করে বেপথু রুদ্রপলাশ,


বিদ্রোহী,হে মানবী তুমি কথা কও,জ্বালাও ঝরাপাতা,এ দেশে জীবন চিতা সাজাও শিমুলের।


রুইতন কিংম্বা ইস্কাবন  যাই হও না তুমি দরকার তো শুধু এককাঠি দেশলাই। কুড়ুলটায় চকচকে ধার,মানুষ কাটা নিতান্তই কাজ এলেবেলে।


মলের ক্যাফেটেরিয়ার কৌচে বসে কফিতে চুম্বন দিতে দিতে প্রতিক্ষার কিছুটা সময়,আমি নবরুপে। মৃদু ভলিউমে বিঠোফেন বা সাম্যের গান।


সুর্য উত্তাপ দাও আগুন চাই ঝলসানো,নৌটঙ্কি বৃন্দাবনে,দোল খেলব কুতুবমিনারের মাথায়, অট্টহাসি ছড়িয়ে দেব গলিতে,মহল্লায় , ভালোবাসায়।


কথামানবমানবী ডুব দাও চৌরাসিয়ায়।

 বসে পড়লাম,খোলা উঠোনে,মাটি তো অনেক যোজন দুর,পাথুরে আস্বাদ, সকালআলোর কর্মনাশা রং মিলান্তি।


বস্তা গমের,বাছতে থাকি নুড়িপাথর,অভাবঅনাহার,পাই যদি সুখরুটির উপকরণ,বসন্ত ফাগুনের একপশলা দিন।


আবহমান, আগুনগুলো বৃষ্টির মতো, সমাপতন কিয়েভ থেকে আমার আনন্দপুর,গা বাঁচিয়ে নিরাপদ রক্তপলাশ।


ভিখারিটার একটা পা কাটা, অবলীলায় উঠোন ডিঙিয়ে,হয়তো ওই দেশে মানুষ ভালোবাসার কাঁথা বোনে।


সজনে ফুলে রক্তের ছাপ, সহজ শিকার ,একের পর আরেক, ছন্দবদ্ধ কাব্যযাপন সাথে দু-একটি দীর্ঘশ্বাস।


নিরুপায় বিকেল আসে, আওয়াজ কমে ধীরলয়ে,কি যায় আসে, বেড়িয়ে পড়ি,প্রেমপলাশ কুড়াই,ভরে যায় শ্রান্ত আঁজলা।

Sunday, February 25, 2024

 অন্ধকার,

তোমাকেও করেছি অপবিত্র।

ঘুণপোকার দল গোটা শরীরে কামড়ে কামড়ে জাগিয়েছে কেবল লালসার আগুন,

পুড়ছি। 

যে ভদ্রলোকের পোশাকটা পড়ে আছি, আদতে সেটি আমার নয়,

উলঙ্গ আচমন।

ভীড় জমেছে।

নিরাভরণ,সবাই হাত পা ছুড়ছে এদিকে,ওদিকেও,

একে অন্যকে কামড়াছে,খিমছে বের করছে অনুভূতিগুলো।

আমি নিশ্চিত এই প্রলাপ কেউ জানবেনা,শুনবেওনা।

আদ্যন্ত শুয়োর এই মানুষটি খালি সুযোগ খোঁজে,

তুমি কাছে এসোনা, পোকাগুলো কিলবিল ।

আলোক বিন্দু সব দুরে সরতে সরতে মনে হয় আকাশে পালিয়েছে।

তারা।

চিলেকোঠার ছাদে পায়চারি,

স্বপ্নচারী,

লালসা।

বৃত্তের পথ ছেড়ে কবিতা, অপমৃত্যু।

আমার ঘুণপোকা,

আদুরি।

তুই এখন অন্য আকাশ,

আমি শালা, বেওয়ারিশ,

অভিযোজন, আগাপাশতলা শয়তান,

আমিই,

নিত্যকর্ম,

পান্ডুকথা।




Saturday, February 24, 2024

 মশারির মাঝে নিঝুম নিরাপত্তা,

চাঁদের সাথে উহাদের কথা।


নয়নতারায় আজ বাস্তু বিলাস,

পায়ের চাপে মরছে ঘাস।


ইচ্ছানদে ডুবচোখ আঁধার খুজি,

আলপথে মুক্তিফুল শেষের পুজি।




 অমৄত কুম্ভের সন্ধানে আলোর খোঁজে এই মধুকরের কালপুরুষ হয়ে কেঁদে ফেরা হে পিতা । আঁধার আকাশ বড়ো আপণ করে নেয় । না বলা কত কথা আগল খুলে একলা বলা । নিজের পাপ, অন্যায় ,অক্ষমতার একান্ত স্বীকারোক্তি । প্রভু করুণাধারায় আমাকে ধুইয়ে দাও,সিক্ত করো.রিক্ত করো,আমাকে সুতীব্র বেদনা দাও ।আঘাতে আঘাতে আমাকে রক্তাক্ত করো । রক্তের রঙ যে এতো কালো ।মায়ের বুকের ওম নিয়ে চিরনিদ্রায় অনন্ত স্বপণে সব কুড়ির ফুল হয়ে ওঠা দেখার বড়ো সাধ হে জীবনবল্লভ ।এই সৌমসুন্দর অন্ধকার আমায় আবৄত করো।পরমপ্রিয়া পুজ্যা দুর্গা আমার ভালোবাসা আমার দুগ্গা হয়ে আমাকে তোমাতে চিররুদ্ধ করো। তোমাতেই আমার পুজা  এই কালপুরুষের আত্মনিবেদন। পৄথিবী ফুটে উঠুক বহ্মকমলে।সব বন্ধন ছিড়ে অন্তরগ্লানি মুছিয়ে দাও, চিরঅন্ধকার দেখার অনিমেষ নয়ন দাও কৄষ্নময় পাপবিদ্ধ এই কালপুরুষকে, ছুটির ঘন্টা শুনতে দাও নাথ হে ।

Monday, February 19, 2024

একেকটা সময় মনের মাঝে অচিন অনুভবের জন্ম হয়। এতো মানুষের ভিড়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলি।ভাঙা ডিঙি থেকে জল তুলে ফেলতে ফেলতে বোধের ও আসে ক্লান্তি। দিকভ্রান্ত ঘুঘু রোদে পুড়তে পুড়তে অনুরণনে অদ্ভুত দিশাহীনতার কথা ব্যক্ত করে।খোলা জানালা দিয়ে উঁকি মারে কেবল ইট,কাঠ আর পাথুরে দীর্ঘায়িত অবয়ব, ইচ্ছে চড়ুই এর দেখা মেলে না। 

রোজনামচায়  কালবেলার প্রান্তরে রোদনগাথা মায়ের ভাষাতেই আন্দোলিত হয়, গান ধরে।

'সব অনুভব যে উড়াণ জোটায়,

 ছেঁড়া পাতায়,মরা হাওয়া,

রক্ত ঝরে যে হৃদয় শাখায় ,

শিরা উপশিরায়, জীবন বাওয়া।'


 রবি বাউলের তাসের দেশের রূইতন,চিরীতন,ইস্কাবন আর আজকের আমি তুমি।চলি বলি, লুকিয়ে ছবিও আঁকি।অন্তরাম পাঠশালা,শিখি কত যে কিছু।প্রশ্ন নিষেধ।নিজে বারবার নিজের কানটা কষে মুলি।  আরামকেদারা এসে সোহাগ করে।রেলগাড়ির বসা বেন্চের চারনম্বরী যাত্রী,এই গেরাম থেকে ওই গেরাম,হড়কে এগোই। আমোদিত হাততালি  খাসা লেখা।বস্তা ভর্তি পুঁথি,গুজি মূখে ,জমা হয় কোন এক জায়গায়,ফুলে ফেঁপে ওঠে।আলো ভরা বর্ধিতমান মধুজীবন।


সকালের ঘুম ভাঙ্গবে?

Thursday, February 15, 2024

 জলতুলিতে মনছবি আঁকি মগ্ন আকাশ জুড়ে,

দুগ্গা শুধু তোকেই দেখি কাছে দুরে হৃদঅন্তরে।

শিউলি ছোয়া দিস যে তুই এখনো এই শহরবনে,

তোকেই পুজি সাজাই কল্পে পলাশ রক্ত চন্দনে।


অন্ধপথ ।  মুক্ত অঙ্গন থমকে দাঁড়ায় ক্লান্ত গরাদের অথৈ অন্যমনস্কতায়। তুমি,আমি, উদ্দেশ্য হীন জীবন, মরূদ্যানের  অভাবযাপন। মন মরীচিকা । শীতার্ত কাব্যায়ন।

Wednesday, February 14, 2024

ইতিউতি 

 সন্ধ্যেবেলা বেরিয়েছিলাম,বাজারের ব্যাগটা ছিল হাতে। এখানে ওখানে কানাগলি ,মরাগলি,আবছা কানে সরস্বতীবীণার কাঁপাকাঁপি।এরই মাঝে মনটা চা চা করছিল, দোকানগুলো খোলেনি বুড়োটে অন্ধকারে,ফিরে এলাম তক্তপোষের চটজলদি ঠিকানায়।

নিরাপদ।

এই যে আমার ভালোমানুষী মুখোস, কিন্তু আদতে বুকের মাঝে একটা ভালুকের বসবাস, চলে,ফেরে, ওই কারনেই মনে হয় এই তক্তপোষ, মশারীর বেড়া তোমার জন্য নিরাপদ।  ভালুকটা সবসময় ছটফট করে, আঁচড়ানোর জন্য,কামড়ানোর জন্য।

খিদে।

খিদে হরেকরকম,মনে হয় একটু আধটু জ্ঞান হবার পর থেকে খিদে তার ডালপালা ছড়িয়ে হয়ে উঠেছে মহীরুহ। খিদে কি জন্য বুঝিনে , মিলেমিশে একাকার। অস্থিরতা পা থেকে মাথা পর্যন্ত করে নিরাপদ চলাচল।প্রায়শ বুকের মাঝে বৃষ্টি নামে।

পিছুটান

সুর্য যখন ডোবে , কাঁপতে থাকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন নারকেল পাতা‌,ঘরছাড়ার গান। গোধূলি আলোর আমোদিত স্পর্শে এখনও প্রেম জাগে।একটাই জীবন। ব্যাথাকথা এইজন্মে হাতে রাখে হাত, ভেঙে যায় ব্যাকারণীয় লক্ষণরেখা,স্বপ্ন দেখা ,মাথা এলিয়ে তেলচিটে বালিশে।

রাত নিবিড়।

 





Monday, February 12, 2024

  একে একে বন্ধন ছেড়ে,

 যায় পথ এগিয়ে উদাসগহনে, 

বন দহিত , চিন্তন সাথী।

আগুন তবু জ্বলতেই থাকে ধিকি ধিকি।

 স্তব্ধ বাতাস ডাকে, 

আমন্ত্রণ আঁকড়ে   সঙ্গ নেয় বেসামাল ঝরা পাতা ,

উড়ান অনিশ্চিতে।

নেড়া ধানের মাঠে ইতিউতি উকি মারে কাঁটা খেজুর।বসত কোথায়? 

তালসারি মৃদু হেসে বলে ওঠে,ওরে সবুজ তুই জাগ নয়নতারায়।

সবুজ জাগে প্ল্যাটফর্মের পানের পিকমাখা বেন্চে,

 কুয়াশা নেমে আসে মরাদিঘীর ঘোলাজলে।

 পানকৌড়ির জলডুব সাঁতার, বৃত্ত আবৃত।

পেটে খিদে,বুলবুলি ঝাপসা চোখ কচলাতে থাকে,

পথের লাল মোরাম এখনও গভীর ঘুমে।

শালমহুলের ফিসফিস, গুনগুন। 

আঁধার আর  আলোর বেহিসাবি মিলন।

পরশু,কাল এবং আজ।

শালিক,চড়ুই বিচ্ছিন্ন বসবাস।

সকালের ঘুম ভাঙ্গে।

সমে জাগে চরাচর।

 জেগে ওঠা বালুচরের আঁকে বাঁকে মায়ামৃদঙ্গের জলছবি।

অমৃত আলোয় আলোকময় ইচ্ছেপাহাড়।

পুনঃ আচমন।

Sunday, February 11, 2024

 একে একে বন্ধন ছিড়ে এগিয়ে যায় পথ, বন,দহিত  চিন্তন।আগুন তবু জ্বলতেই থাকে ধিকি ধিকি। স্তব্ধ বাতাস ডাকে, আমন্ত্রণ আঁকড়ে  ঝরা পাতা সঙ্গ নেয়। উড়ান অনিশ্চিতে।নেড়া ধানের মাঠে ইতিউতি উকি মারে কাঁটা খেজুর।বসত কোথায়? তালসারি মৃদু হেসে বলে ওঠে,ওরে সবুজ তুই জাগ নয়নতারায়। কুয়াশা নেমে আসে মরাদিঘীর ঘোলাজলে। পানকৌড়ির জলডুব সাঁতার, বৃত্ত আবৃত।বুলবুলি ঝাপসা চোখ কচলাতে থাকে।পথের লাল মোরাম এখনও গভীর ঘুমে।শালমহুলের ফিসফিস, গুনগুন। আঁধার আলোর বেহিসাবি মিলন।পরশু,কাল আর আজ।শালিক,চড়ুই বিচ্ছিন্ন বসবাস।

সকালের ঘুম ভাঙ্গে।

সমে জাগে চরাচর। জেগে ওঠা বালুচরের আঁকে বাঁকে মায়ামৃদঙ্গের জলছবি।

অমৃত আলোয় আলোকময় ইচ্ছেপাহাড়।

Saturday, February 10, 2024

 এক  মঞ্চ, আমরা কুশীলব,

যবনিকাপতন স্তব্ধ কলরব।

তবু প্রতিদিন কিসের খোঁজ,

দিন পর দিন প্রতি রোজ।

সুরে অসুরে এই মালা গাঁথা,

প্রেম অপ্রেমে ছোট কথকতা।

যুগ  যুগ ঋদ্ধিতে দিন জাগে,

রাতও হাসে অমিয় বেহাগে।

Wednesday, February 7, 2024

 আদুল হাট,ঘুমজাগানি,

আগলখোলা ,লক্ষী রাতে।


জল ছলছল, চোখজ্বলুনি,

কান্নাবেলা ,আলগা শ্রোতে।


হাতের হাত, শিরশিরানি,

দায়েরদোলা, হৃদয় সাথে।


পথের গান,মনভোলানি,

ভাঙামেলা, ফেরার পথে।




 তুলতুলি


বুলবুলি তুই ভুল ভুলালি

বাসন্তীকা মনের ক্ষেতে।


ছোট্ট পায়ে আদুল গায়ে

সজনে সবুজ দিনে রাতে।


পাগলী হাসি বৃষ্টি বাঁশি

ভুবন ভরে আলতো হাতে।


হৃদয় দোলে গোলাপ গালে

মধুর পরশ তোর ছোঁয়াতে ।


 পাগল বাউল বড়োই আকুল

জাগে   কান্না হাসি স্বপনেতে।


পেতেম যদি  ইচ্ছে নদী

লুকোচুরি তোতে আমাতে।


আলো ছায়া আবছা মায়া

আয় না এই জীবন জুড়াতে।


হোক না স্বপন তবুও শাওন

মায়ামৃদঙ্গে পাড়ি যে দুগ্গাপথে।

Monday, February 5, 2024

 ক দিন মাথার মধ্যে পোকাগুলো কিলবিল করছে,এত কিছু আসছে স্থির থাকতে পারছিনা। ব্যকারণ ভেঙে গভীর গোপন কামনা প্রকাশিত হবার আতঙ্ক। মুখোশের আড়ালে পচা ঘা,সারে না। অব্যক্ত যন্ত্রনা।

Thursday, February 1, 2024

 মৃত মানুষটা হাঁটতে থাকে,

আলপথ,পিচপথ,নালা নদী, জানালা,

জানালা দিয়ে উঁকি মেরে কি যেন খুঁজতে থাকে,

খোঁজ যে কিসের  সেটাই বোঝে না,

না বোঝা তো আজন্ম,

জন্মানোই যে বাড়তি ,