ইতিউতি
সন্ধ্যেবেলা বেরিয়েছিলাম,বাজারের ব্যাগটা ছিল হাতে। এখানে ওখানে কানাগলি ,মরাগলি,আবছা কানে সরস্বতীবীণার কাঁপাকাঁপি।এরই মাঝে মনটা চা চা করছিল, দোকানগুলো খোলেনি বুড়োটে অন্ধকারে,ফিরে এলাম তক্তপোষের চটজলদি ঠিকানায়।
নিরাপদ।
এই যে আমার ভালোমানুষী মুখোস, কিন্তু আদতে বুকের মাঝে একটা ভালুকের বসবাস, চলে,ফেরে, ওই কারনেই মনে হয় এই তক্তপোষ, মশারীর বেড়া তোমার জন্য নিরাপদ। ভালুকটা সবসময় ছটফট করে, আঁচড়ানোর জন্য,কামড়ানোর জন্য।
খিদে।
খিদে হরেকরকম,মনে হয় একটু আধটু জ্ঞান হবার পর থেকে খিদে তার ডালপালা ছড়িয়ে হয়ে উঠেছে মহীরুহ। খিদে কি জন্য বুঝিনে , মিলেমিশে একাকার। অস্থিরতা পা থেকে মাথা পর্যন্ত করে নিরাপদ চলাচল।প্রায়শ বুকের মাঝে বৃষ্টি নামে।
পিছুটান
সুর্য যখন ডোবে , কাঁপতে থাকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন নারকেল পাতা,ঘরছাড়ার গান। গোধূলি আলোর আমোদিত স্পর্শে এখনও প্রেম জাগে।একটাই জীবন। ব্যাথাকথা এইজন্মে হাতে রাখে হাত, ভেঙে যায় ব্যাকারণীয় লক্ষণরেখা,স্বপ্ন দেখা ,মাথা এলিয়ে তেলচিটে বালিশে।
রাত নিবিড়।
No comments:
Post a Comment