অনেক দিন পর, একটা বিকেল, সুর্যের, আলোর, জীবনের।
দোপাটি তিনতলার কার্নিশে, আর মানুষটা মেটামরফোসড, কখনও আরশোলা, কখনও টিকটিকি, আর বেশিক্ষন সুড়সুড়ি পিঁপড়ে।
জানি, বূঝি, চুপচাপ বসে থাকি, শালা পিওর নিরাপদ ধান্দাবাজি।
বাড়ি থাক, গাড়ি থাক, সুন্দরী স্ত্রী, আদর্শ সন্তান, অনেক অনেক টাকা, রেস্তোরাঁ, ঘোরাঘুরি, ভদকা।
একদিন পাতা ঝরে।
অনেকটা আরশোলা যাপন, জাল ছড়াই, জড়াই, লালা ঝরে, সোনালী স্বপ্ন।
এপিঠ ওপিঠ তক্তোপোষ।
বইটই পড়ি, চেষ্টা করি আঁতলামি করার।
মাস গেলে মোটা মাইনের সুখী জীবনই লেখার অনুপ্রেরণা।
নর্দমার শেওলা ধরা দেওয়ালে সহজ টিকটিকিয় চলন, শব্দই ভাঙি, এটাই বিপ্লব।
দেওয়াল জুড়ে প্রেম ছড়াই।
মোটামুটি সময় কেটে যায়।
কমা থেকে আস্ত ধীরে দাঁড়িতে দাঁড়াই।
কারণে অকারণে শুয়োরজনিত পেচ্ছাপের সাথে শুক্র পথ খোঁজে।
বাকিটুকু পিঁপড়ে হয়ে সূরসুর করে নিরাপদ গর্তে।
সন্ধ্যা ছবি আঁকে।
রুইতন চিড়িতন জড়াজড়ি করে যৌবন আনে।
ইচ্ছে বোলতার মধু বৃষ্টি।
চেয়ার।
বোলতা?
পিঁপড়ে?
টিকটিকি?
পোকাটা মরে।
শান্তি,শালা শান্তি।
মরে মানুষের চেহারা ধরে। যেমন ল্যাঙটোবেলা বা টি টোয়েন্টির লাস্ট বল।
No comments:
Post a Comment