রক্তে শুন্যতার পরিমাণ গেছে বেড়ে,
হে ত্রিকালদর্শী তুমি তো সব জানো,
কেবল কর্ণের কথা মনে পড়ে।
কর্ণের শেষ সম্বল ছিল জেদ,
গুরু অবহেলা পুঁজি করে সহস্র যোজন প্রতিরোধ ভেঙে ছিল।
বাসি মনরুটি ফুটিফাটা ,অগ্নিস্নান বারংবার,
নয় নরম অথবা সহজপাচ্য এবং সম্পুর্ন জীবানুমুক্ত।
সকাল সেতো প্রতিদিন আাসে ,পিন্ডদানে অন্তরগয়া,
অনবরত প্রতিষেধক ,তবু ঝরে,ঝরে পড়ে পুজরক্ত।
বুড়ো অন্ধ কাক সযতনে পালন করে দেহ পরানে,
রোগটির নাম অর্থহীন লড়াই কিংবা আদুরী মধুমেহ ।
ইতিউতি চোখ পিটপিট,সব সবই নিকষ কালো,
অন্তহীন খোঁজ, কোথায় মেলে আগলহীন শান্তি গেহ।
নিজের বলতে একটি ফুটিফাটা হৃদপিন্ড,দানে পাওয়া,অযত্নে প্ল্যটফর্মের ভাঙাবেন্চে,বেহিসাবের হিসেব,যোগ,বিয়োগ। অনুভূতিহীন দেখায় সকালটাই কেবল অবধ্য ,মিঠে।
তারিখগুলো পাল্টে যায়।
দাওয়া থেকে নেমে টলতে টলতে আলপথ,
এখানে কেউটের সাথে সহবাস।
কখনও বা মোরাম রাস্তায় বৃষ্টির হারিকিরি,
কখনও বা হারিকেনের টিমটিমে হাসি।
নিয়মিত খাচ্ছি হোঁচট।
ভুল সময়বেলা,
বেচার লেখা, ভাষা চচ্চড়ি।
বৃদ্ধ ভাবনাখেলা,
বলির রেখা, অতঃ হারিকিরি।
পথগুলো সব এসে জড়ো হয় ভাঙা জানালার ধারে, বিড়বিড়, বিহ্বল।
শব্দগুলো আপনা থেকে এসে বলে ,
আমাকে জায়গা দিতে হবে, নিয়ম মানেনা, অসংলগ্নতা প্রাণের লক্ষণ ।
মেঝেতে পড়ে লোকটা, মাথাটা কিন্তু এখনও উঁচু, বিসদৃশ হলেও ডুবে আছে আকন্ঠ প্রেমে, একলব্য।
অস্টিওপোরোসিস একেবারে জাপটে ধরেছে, চুমুক ভালোবাসায় বাকি জীবন।
মাথাটুকু থাক।
জলদুপুর ও ভাঙা রাত্রি
আকাশ আসে,
তারারা আসে,
এদিক ওদিক থেকে দুচারটে জোনাকিও,
আলো নিয়ে।
অন্ধকার বুকে কাঁপন ধরে,
জানালার পাশের নারিকেল গাছের চুল খোলা পাতাগুলোয় শিরশির।
তেলচিটে বালিশে মাথা রেখে এপাশ আর ওপাশ, লড়াই,
স্বপ্নসব এক এক করে ভেসে মরে,
শ্রান্ত বুদবুদের মতো জাগা আর মরা।
সময় পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যায়,
বসে ঘামে কালপুরুষ,
সকাল যেন আসতে ভোলে।
সঙ্গতিহীন।
রোজনামচায় দুপুর ক্লান্তি,
ঢোলকলমিতে সময় ফুলবসন্তের।
ওরা আমায় বেঁধে রেখেছে,
ট্রাপিজ না কুমিরডাঙা।
বামুনের ঘরে জন্ম,
ছেলেবেলার বাপের লাঠি আর ঠাকুরঘর শিখিয়েছিল তদ্ সবিতুবরেণ্যঙ,,
তা ব্যাটা যখন যাই করতে যায়,সুর্য্যি ঠাকুর দেয় ব্যাগরা।
তবু করে কম্মে দিন যায়, রাত্তিরবেলায় সব নজরদারি এড়িয়ে অন্ধকারের সাথে জড়াজড়ি, ল্যাপ্টালেপ্টি, যাপণ।
ঝোলা নিজে বয়ে নিয়ে চলি, যেখানে যা পাই,কলাটা, মুলোটা আর ভাগ্য কখনও সুপ্রসন্ন হলে, মূল্য ধরে ভালাবাসাটা।
চেষ্টায় থাকি দাও মারার, আসল সত্যিটা হলো তোমার দুর্বলতা ভাঙিয়ে আমার আয় আমি সঞ্জয়।
দিন চলে, সুয্যি ঠাকুর নিজেকে একটু মেঘে ঢাকো। আমি একটু করে কম্মে,,
ঠাকুর দালানে বসি, খেরোর খাতায় হিসেবনিকেশ, আগে পরে শুন্যময়।
বেণু আজকাল ভেড়া চরায়,
শহীদ মিনারের তলায়, এখানে জমে আছে সিমেন্ট,বালি, সবুজ ঘাসের শ্বাসরোধ, এখানে ভেড়া চরে।
বেণু আজকাল ভেড়াদের সাথে চরে,
একটা টুল জুটেছে,বসে মাঝে মাঝে,এদিক ওদিক তাকায়, হুস হাস আওয়াজ করে, নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে।
বেণু ভেড়াদের সাথে থাকে গভীর আলোচনায়।
এককালে বইটই পড়তো, এখন মোবাইল ফোনটাই চলে, ভেড়াদের রোগব্যারাম হলে ওষুধ দেয়,নিজেও খেয়ে নেয়।
বেণুর কেন জানি মনে হয়, সেও ধীরে ধীরে মানুষ থেকে ভেড়া তারপর শেষমেশ খচ্চর হয়ে যাচ্ছে।
মাঠ, ফুল , আকাশ,
স্বপ্নের উদ্ভাস,
লোকটা হতে চেয়েছিলো মানুষ।
আবেগ, অনুভব, অন্তরলোকন,
জীবনের উচ্ছাস,
লোকটা হতেই চেয়েছিলো মানুষ।
আশা, ভালোবাসা, নিবেদন,
হৃদয়ের নিঃশ্বাস,
লোকটা তো চেয়েছিলো মানুষ হতে।
সাপলুডো, গাব্বু , চোর পুলিশ,
মায়ার উপহাস,
লোক, তার কি মানুষ হবে কোন এক গহিন অন্ধকারে?
কোন এক দিন?
ডুবছে,
ছুঁড়ছে হৃদয়ের আর্তি,
খুঁজে ফিরছে,
খুঁটি,
ভালোবাসার,
ওতেই last curtain call .
হন্যমান।
অনেক কাল,
কোন ছায়ায় বসবাস?
মনে কি পড়ে?
মনের অনুরণন!
বৃষ্টি আসে,
চোখে বুকে মাখি,
কাল বা আজ,
হাঁফ ধরে।
হাতের ছোঁয়ায় পৃথিবীর কাঁপুনি থেমে যেতো, চলাচলের আকাশভেলা।
আজকাল শিরায় ধরে টান, হাঁটতে থাকি,চেনা অচেনা পথ।
বেনেবৌ গানে থাকে,গাছ মরে,গাছ লাগাই,নগ্নিত যাপণ।
পাতিহাঁসের পাড়াবদল,
আলোকস্তম্ভের মুচকিহাসি,
খোলা জানালা,
উড়োজাহাজের কাটাকুটি,
নীল আলো,
হাসনুহানায় ইতিহাস,
স্বপ্ন মরে।
উপরে উঠি,
নামি গহিনে,
সমানুপাতে।
একপা এগোতে পারিনি,
অশথতলায় বিনিপয়সার চক্কর,
পচা ড্রেনে মালামাল।
মাথায় পোকাদের কিলবিল,মরছি আর মরছি । হাই ওঠে,ঘুম আসেনা, একটু ঘুম দেবে?
সকাল থেকে রাত, এক পুর্ব নির্ধারিত নিয়মে চলি, ফিরি এবং মরতে থাকি।
আজকাল উপরে উঠতে গেলে কাঁপে পা এবং মন, মনে হয় ইনিংস শেষ হয়েছে, পালাতে হবে মুখ লুকিয়ে।
আবার বুক, সেও ধড়ফড়, কাউকে বলতে পারি না, আমি কি ভীতু হয়ে যাচ্ছি, এককোনে, গহিনে।
দিনরাত্রির কাব্য
পথ একলাই রোদ পোহায় আলসেমি গোটা শরীর জুড়ে।
গাছগুলো হেলেদুলে মাথা নামায়,যদি একটু গল্পগাছা।
বায়ু ফিসফিস করে অবিশ্বাসী অথচ অমোঘ মৃত্যুর বোল তোলে।
গলার মধ্যে ফাঁসটা হয়ে ওঠে আরও কঠিন, তীব্র শীতল।
উইঙ্কেলের ঘুম ভাঙে, চোখ খোলে , ভিজে যায় ফোঁটা ফোঁটা মৃত্যু বৃষ্টি জলে।
চোখ মেলে,বেনেবউ মুচকি হাসে,চিল শকুন আর্তনাদে আকাশ জুড়ে।
ভাবনাগুলো সব পচে মরে, শ্বাস তালাবন্দী,
দায়বদ্ধ চেতনা ,মানবতা জমে আস্তাকুঁড়ে সযতনে।
অপঘাতে মৃত্যু নাগরিক সমাজের ,ভাইরাস সে কান্না মোছে, দ্বিধা হীন।
সে ও সব্বাই আয়েস ভরে ঠান্ডা ঘরে অখন্ড অবসরে।
লেখনীতে অমর কাব্যগাথা, ইতিহাস অতীত খোলাখাতায়।
উৎসবের মৌতাত পলপল পেটপুরে, মুখোস খোলে মুখোসের সব আবরণ।
বসতবাড়ি আড়মোড়া ভাঙে ,সবই গত প্রায়, অন্তর্জলী অতল মহাসাগরে।
এক পা অন্য পা,পথের অনন্ত আকন্ঠ মদ্যপান একমুঠো ভাঙা চুড়ি,মহাকাল হাত বাঁধে,চোখও বাঁধে নাগরদোলার ছেড়া দড়ি দিয়ে,ডাকে অন্যভুবন।
দিকশুন্যপুরে একা উইঙ্কেল সব দ্বিধা ভুলে হাত ধরে পথের পায়ে পায়ে এগিয়ে যায়, বসত, জমিন,জীবন, মৃত্যু, মৃত্যু তো অন্য ভুবন।
হায়
যদি সত্যি সত্যি একটু পাগল হতে পারতেম। চলার পথে এই জনঅরন্যে কেবলই মুখোসগুলি হাঁটছে ,চলছে ,ফিরছে , অন্তহীন অক্লান্ত অভিনয় ।আমি আমি আমি শুধু আমি, আমার সুখ, আমার পরিবার ,ছোট সুখী পরিবার, আর.. আরে আর তো কিছুর দরকার নেই ভাই ।তোমাকে ঠকাতে পারলেই আরেকটু বেশী সুখ ।তোমাকে টেনে পিছনে ফেলে আমি আরেকটু এগোই্। নিজেরই বিজ্ঞাপন প্রতি পল, আমিই সবথেকে উপাদেয় , অতীত- বর্তমান -আগামী একটু কি অন্যরকম হতে পারেনা ?
সারাদিনের একই অভিনয়ের পুনঃ মন্চউপস্থাপন । নিজের ভুমিকা নিয়েই বড়ো চিন্তা ।সাঁঝবেলায় একান্ত আপন উঠান ডাকে অপার মধু সুরে ।আঁধার আকাশের সাথে গভীর গোপন ভালোবাসা, অশেষ কথামালা , রোহিনী, কৄত্তিকা, অনুরাধা, মৄগশিরা নেমে আসে রাত মজলিসে প্রেম বন্যাধারাস্নান । ভিজে যাই, সাথে চিরসখা রবিবাউল আমার ইশ্বর, জীবন এতো মধুর লাগে । সব পাওয়া না পাওয়া একাকার হয়ে যায় । দিনভোর যে মাধুকরী,রাতআঁধারে ঝোলা উপচে পড়ে ।রাতজোনাকআলোয় নিজের সব পাপ ধুয়ে যায় ।বেল জুই কামিনী আর হাসনুহানায় আমি মরে বেঁচে জাগি অপলকে।নিশি আকাশ জুড়ে আমার দুগ্গা হাসিমুখে ।
কখন যে ভোর হয়ে আসে ,জীবন বয়ে চলে, আজ আছি , কাল তো নেই ।
নীলকন্ঠ তুমি অচিন বোবা সবুজ বনে ,
করাত কলে এখন শুধুই ডানা কাটছেই।
উড়ে কি আর পারবে পৌছুতে তীরে রঙ্গিত,
হাজার হাজার মাইল হাঁটা ক্লান্ত নিশ্বাস।
বন্দী মন চায়ের কাপে খোঁজে রুঢ় উত্তাপ,
লিখতে পারিনা ,তবু দেওয়ালে কাটি কেবলই আকিবুকি।
অসহায় উদ্বাস্তু সময়কাল, ওরা গড়ে ওরাই মরে এই যুগ সেই যুগ , যুগান্তরে, আমরা মানুষ আকাশের নীল ছবি আঁকি।
(এই সাইবার দুনিয়ার অনেক অপছন্দের মধ্যেও এই মাধ্যমে অনেক শুকতারা দেখেছি , যারা আত্ম প্রচার চায়না, নিজের ঢাক না পেটালেও যাদের দিন চলে যায় এক অসহ্য অসহায় কষ্ট পায় অনুভবে। যখন জীবনবোধে আঘাত লাগে ,তখন বেদনবোধ তাদের সাথে ভাগ করে নিতে ইচ্ছা জাগে ।কোন জ্ঞ্যান বা নীতিকথা নয়, কোন তথাকথিত লাইকের কামনায় নয়, এই প্রলাপ আমার সেই সব অংশীদারদের কাছে একটু আত্মকথন মাত্র।)
একলহমায় সন্ধ্যা নামে,
বুকের মাঝে আগাছার দাপাদাপি।
একপশলায় বৃষ্টি থামে,
ভুল জামাটা পরার মাপামাপি।
মনের মধ্যে আগুন জ্বলতে থাকে, ভেঙে চুরে এক নতুন আকাশ গড়ার পিপাসা।
চোখে বড়ো ক্লান্তি,কাল লিখি!
সকালটা বড়ো মেঘলা,অনেকটা রোদ শ্রান্ত গোলাপের পাতার মতো, বাঁচার লড়াই।
কেঁচোর মতো যাপনে হাত, পা, হৃদয় বড়ো দুর্বল আর নড়বড়ে ।
ভালোবাসার দাবি জানাতে অপারগ, হারতে হারতে, ছাড়তে ছাড়তে, ভাসতে ভাসতে মাদুর দাওয়া কোথায় যে গেলো?
এখন চুপ থাকতে ভালো লাগে, একা কান্না ফিরে ফিরে আসে, কাল কোথায় থাকবো?
নিজেকে ঠকাতে ঠকাতে সকাল যায়, সন্ধ্যা নামে, সবুজ মরে,কেন স্পর্শে আজ ও রামকুমারীয় আগমনী ?
আমি কি ক্ষুধার্ত? কবে নাগিন লেকের কোলপাহাড়ে সুর্য ডুববে?
মেঘবেলা।
ইস্, হয়তো সব লন্ডভন্ড হয়ে যাবে, এখন একটু কাজে বসি, বেতনভুক কন্ঠিধারী!
কলম চলবে পরে, চুপিসারে।
সন্ধ্যা সাথে নিয়ে আসে আসমানী ক্লান্তি, কঠিন মেঝেতে মুখ গুঁজি।
আজ সকালে ভাবছিলাম
ইচ্ছে চড়ুই তুই দিলি উঁকি
আধো আলোয় ঝিকিমিকি।
আকাশে আজ পলাশবেলা
মন মাঝি চল ভাসাই বেলা।
শিউলি সকাল মুচকি হাসে
মুক্তধারা, পৃথি স্বেতউদ্ভাসে।
হলোনা, পারলাম না নিজেকে ঠকাতে।
একটা অবিশ্রান্ত আক্রান্ত বেদনা ঝরছে বিন্দু বিন্দু,
ভালো লাগেনা,ভাল্লাগে না, দরজা, জানালা বন্ধ হয়ে আসছে, অন্ধকার নামছে ,
পরিযায়ী রুটিগুলো এখনও লুট হয়নি,কেউ তো
পেতে পারে দুদিনের জীবন।
হে বিদগ্ধ সভ্যতা তুমি হাসছো ? একমুঠো মাটি দাও শুধু,একটু রোপণ করবো সবুজ, আমার একান্তই আমার,একটু পথ দাও চোখ বুজবো মাদুরদাওয়ার সোঁদা গন্ধে।
প্রনাম,স্মরণ, নিবেদন, আরও তারস্বরে, রথের চাকাও ঘুরবে, বাড়বে আরও বাড়বে মদের লাইন, অন্তহীন সুখী অবসরে শিল্পের নবজাগরণ। হে দেশ হচ্ছেতো জন নিয়ন্ত্রণ,বিষে মারো,উৎপাটনে অনাহারে মারো, আমি সুরে ধরি একটা নীলরঙা গান ।
কেউ একটা চাবুক দাও, আমাকে রক্তাক্ত করো,মারো মারো,সুধী সভ্য সমাজ, আর এক অবসরে তাকাও শহীদ মিনারের চুড়োয়,দেখো তো কোন কি তফাৎ আছে গোলগাল হৃষ্টপুষ্ট চাঁদ আর পরিযায়ী রূটিতে।
Don't worry, কাল তো নিরাপদ নতুন সকাল। রবি ঠাকুর ভালো থেকো হৃদে থেকো প্রতিপল,ভুল বুঝোনা, তুমি তো অন্তর্যামী। বাইশে শ্রাবণ সেও আসবে।
শুধু সেই বালিকা খুঁজেই চলবে তার গ্রামের রাঙামাটির পথ,আর কত দূর?
তুমি যাও
মৃত্যুময়তা আজ টপ টপ করে সকাল থেকেই,
পিছল করে দিচ্ছে জীবনের ট্রামলাইন।
বুড়ো শালিক আহামরি আনন্দে,এখন ও টিকে তো আছে,
দানাপানি জুটছে দুটো,চারটে বা একটা।
ঝড়ে কলাগাছের পাতাগুলো ফালা ফালা হয়েছে,
একটা ফ্যাৎ ফ্যাৎ আওয়াজ কখনও জোরে কখন ও বা ঘুমঘোরে।
মেঘলা মুখে ভোর, দুপুর বা বিকেল সব একাকার লাগে। সবাই কোথায় যে ঘাপটি মেরে বসে আছে, শব্দ মিলছে শবদেহে।
উৎসুক নদীমন , অন্ধকার আবহমান।হোলি খেলছি,রঙে সাজছি , কানাগলিতে ভাঙাচোরা বেন্চ, চলৎশক্তিহীন শায়িত বুদ্ধ, নিজেকেই ঠকানো হাতদুটো মুখ ঢাকছে ভাঙা জ্যোৎস্নায়।
চটজলদি জীবনদায়ী গান তারস্বরে, আরও একটু আমাকে বাঁচন বারি দাও, ঠোঁট লুকিয়ে জুঁই ছায়ায় একান্তই স্বার্থপর, প্রজাতিটির নাম হোমো স্যেপিয়েন্স।
আমরাও বাঁচি
রোদেলা বিকেল,অনেক অনেক পথ পেরিয়ে
গ্রাম ছাড়িয়ে দুচোখ ভরে তুই আকাশপানে।
পার হয়ে গেলো একটি দুটি কতক জীবন ,
তুই কি সেই আগের মতো আছিস, বহমান,
অনর্গল ।পায়ে হাতে ছুয়ে পাই তো শুধুই অশ্রুপাথর ।
তুই কি ওরে পাগলপারা ইছামতী ?
চাঁদেলা সাঁঝবেলা ফিসফিস কানে কানে, দে দৌড়
দে দৌড়,একটুখানি অন্য ভুবনে আপন সুরে ,সব
হারিয়ে বকুলব্যাথা,কুল যে ভাঙে উথাল ঢেউ কৃষ্নকলি ।
ওই যে হোথায় ঔ সুদূরে বৄষ্টি রাঙা স্বপ্ন চর আবছা
নিথর, সব ভেসে যায়, তবু জাগতে চায় সবুজ হাওয়ায় ।
তুমি নয় তো সেই বিদ্যাধরী ?
একেলা আকাশ,ছোট্ট ডিঙি, ঠায় দাড়িয়ে,কিসের খোঁজ?
আঁধার নামে,ওকুল কাঁদে,নাও ভাসায়ে ভাসা মন ।
বৈঠা হাতে ,সে হাত কাঁপে, অথৈ মাঝে ভাটিয়ালি,
খোঁজের খোঁজ, চোখের জল, ডুব সাঁতারে অমুল্যধন ।
এত শিকলেও বাঁধন টুটে আপন ধারায় অগাধ অশেষ
মরেও বাঁচিস ,অমৃতপানে শীর্ণ কোপাই ।
সরস্বতী জেগে ওঠ ,কানা নদী বয়ে চল আপন সুরে
জ্যোৎস্না ধারায় নেচে নেচে গেয়ে চল নিজের সুরে
নদী তুই জাগ , বেঁচে থাক আপন ধারায় মরিসনা ,
দিন কাল সময় বর্তমানে ভবিষ্যতে মেলে ধর ইচ্ছেডানা ,
নদী তোর অবলম্বনে আমরাও বাঁচি ।
পাহাড়িয়া লিডার বয়ে চলে আপন খেয়ালে, চুমু দেয়,আদর করে খামখেয়ালি পাথরে,
চির,পাইন আর উইলো কান্ড দেখে আর একে অন্যের গা ছুঁয়ে বলে,পাগল তুই থাম।
কোনদিন কোনখানে হয়তো বা কোপাই,বিদ্যেধরী, সরস্বতী,ইচ্ছামতী মিলে যাবে পাহাড়িয়া লিডারে,আগল খুলে নামবে বেলোয়ারী সন্ধ্যা, জীবন জেগে থাকবে অনিমেষ।
পুড়ছে জীবন, পুড়ছে ভেজা কান্না
অন্ধ আকাশজুড়ে স্বপ্নদহন, আকাশহোলি খেলছি।বুলডোজার পথ গুলো দুমড়ে মুচড়ে,
ইচ্ছেগুলো মারছি।
কানামাছি ভোঁ ভোঁ, আজ আমি ,কাল
তুমি,ঝরাপাতায় দাবানল,জ্বলছি।
গ্যাঙর গ্যাঙ নিশির ডাকে মুখোশগুলো ছিড়ছি।
সাপলুডো যে খেলাটা এতদিন ...এখন খামারবাড়ি
খড়বিচালি নিয়মমতো খাচ্ছি।
কামারশালায় হাপর ছেড়া,মরাপাথরেই কাস্তে আমি গড়ছি।
মিডাস রাজা তোমার ছোঁয়ায় নতুন ধরা গড়ছি।
পরিযায়ী ঠোঁট, কোথায় তুমি, আমি ঐ আকাশে আগুন হয়ে উড়ছি আর পুড়ছি।
নতুন ধরা গড়ছি।
পথের ধুলায় জীবনের গা ঘেঁষাঘেঁষি।চলার শুরুতেই শেষের আনাগোনা। মানুষ মানুষকে হাসায়, কাঁদায়, ভালোবাসায়।
সমের তল ছেড়ে কয়েকদিন আশ্রয় নিলেম আকাশের কাছাকাছি, হিমালয়ের কোলে।মন ভিজিয়ে এক অদ্ভুত একাকিত্বের গান শুনতে থাকলাম।
শঙ্করাচার্যের মন্দির,চশমে শাহি,পরিমহল,নিশাত গার্ডেন,হর গার্ডেন, শালিমার গার্ডেন,মিনি জু,সারিকা মন্দির,ডাল লেক,অ্যাপ্রিকট গার্ডেন,মানসবাল, খীরভবানি সতীপীঠ ,সোনমার্গ,গুলমার্গ,
শঙ্করাচার্যের মন্দির
খুব সকালে ঘুমন্ত শ্রীনগর শহরে পা রাখলাম। প্রথমে সত্যম শিবম সুন্দরমের পথে। জীবনের আলোর খোঁজে।সিড়ি দিয়ে উপরে ওঠার আগে সিকিউরিটি চেক, সবাইকে ছেড়ে আর্মি অফিসার গল্প জুড়লেন। ২২ আর ২৪ এর দুরত্ব বেশি নয়।অবাক হলেন আমার সাহস দেখে। যার বুদ্ধি কম সেই তো চলে সহজিয়া পথে। উঁচু খাড়া সিড়ি পেরিয়ে শঙ্করাচার্যের অতি ক্ষুদ্র উপাসনা স্থল। মহাশিবলিঙ্গের আর্শীবাদ ঝরে পড়ে গোটা ভুস্বর্গ জুড়ে।গোটা শহর, পাহাড়, নদী,অমোঘ ডাক।
চশমে শাহি
পহেলগাও
রোদে পিঠ পুড়িয়ে বসে আছি লিডার নদীর শীতল জলে পা ডুবিয়ে। আমার যত পাপ, অন্ধকার ধুয়ে নিয়ে যাচ্ছে বহমান শ্রোতধারা। সময় এখানে নদীর বুকে এলোমেলো পাথরের বুকে মুখ লুকিয়ে অচল,নিথর।
এখানে দুপুরের উষ্ণতা এসে থামে সন্ধ্যার শীতলতায়, অতি দ্রুত।
বোঝা অবোঝার সীমারেখা মুছে যায় দেওদারের সুনিবিড় হাওয়ায়,
ভালোবাসা জাগে একা কান্নায়।
রাত পাহাড়ায় পিরপান্জালের বরফের চাদর, আমি মৃত্যুকে বুকে মুখে দুই হাতে জড়াই, জাগি।
কালো পুরুষ
টায়ারটাকে মারছি, মারছি লাঠি দিয়ে,
ঘুরছে একটি জীবন।
টলমলে পায়ে হেঁটে চলেছি অলজ্জার নেভাগেরামে আর মরাকাটা লাশঘরে ওরা ধেনোতে ডুবছে।
ফৎফৎ পাতলুন, গিঁটে বাঁধা সঙ্গম,
সঙ্গে বেঁধেছি ক্ষরণ।
সব মুখগুলো একে অন্যের সাথে মিলে মিশে পুড়ে মরা ঘাসে পিতাম্বরী যৌবন খোঁজে।
অবিন্যস্ত চাকা, আদুরী ট্রেন্চ মারিয়ানা,
যোনি গহ্বরে মরণ।
হস্তমৈথুনে ভেজা বিছানায় উপুড় মুখে
এপাশ ওপাশ কেন্নোগুলো মত্ত হয় উদ্ধত সার্বজনীন চুমুতে।
এলোমেলো শ্বাস, ল্যাঙটা দাঁড়িয়ে একা,
উত্তুঙ্গ স্তনে দহন।
বেওয়ারিশ মানুষটা পিচ রাস্তায় চিকেগোল্লা খেলা ছেড়ে দৌড়ে উঠে পড়ে রোজদিনের চেনা কম্পার্টমেন্টে।
আজ চৈতি হাওয়ায় আমার জানালায় নিমফুল তার শাখায় শাখায় হেসে হেসে ভালোবেসে ফিসফিস করে জানান দিয়ে যাচ্ছে নতুনের আগমনী গান । লেবু ফুলের গন্ধে আমোদিত পাগলমন।একলা টলোমলো পায়ে যে মাধুকরীর শুরু আজও নব নব পথে মানবসাগরে বহমান তৄষ্না নিবারণের অন্তহীন আকাঙ্খায় বহমান ।আজ নীড়ে ফেরার গান,ঝরা পাতার গান মনকে বড়ো ভিজিয়ে দিচ্ছে,কাঁদিয়ে দিচ্ছে ।জীবনভোর কিসের খোঁজ,কেন যে এই পথ চলা ? নিজেকে চিনতে চিনতেই তো প্রদীপের তেল শেষ হয়ে যায় ।এতো মায়া এই ভুবনজুড়ে। মানুষতো একে একে সব্বাইকে ছেড়ে কেবল নিজের জন্যই বাঁচে ।ছোট আর কিশোরবেলায় এমনকি কিছুটা বড়োবেলায়ও তো মায়ের গন্ধ ছাড়া তো ঘুম আসতো না । এখন কিন্তু দিব্যি টিকে আছি ।সেই সব সাথী যাদের ছেড়ে দিন কাটতো না সময়ের বাদলধারায় তাদের ছেড়ে পথ এগিয়েই চলেছে ।দুটো ভাতের দানার জন্য কি অর্থহীন কুৎসিত লড়াই । আজ আছি কাল নেই তবু তবুও ।জান্তব লালসা কত ফুল যে অকালে ঝরায় । কোন প্রাণ যে ফেরাতে পারিনা, এতো এতো অসহায় । সততা ,ভালোবাসা ঝরে পড়ে,আঁধারে হারায় । যে মায়ামৃদঙ্গ মন মাতাল করে দেয় সেই সুরও কোন সুদুরে কোন অস্তাচলে মিলায় ।তবুও যে পথে হাজার বছর আগে কোনো পাগল হেঁটেছিল আজ হাঁটে এই শহর বাউল ,একলা হাতে একা একতারা, কোন্ সুরে যে বাজে ।কাল হাঁটবে অন্য কেউ ।জীবনে কত পাপ, কত অন্যায়,কত ভুল এ জীবনে একটা ভালোমানুষ হওয়া হলোনা। কোনও কোনও পল আসে , যখন ফিরে দেখা ছাড়া কিছুই করার থাকেনা ।তবু স্বপ্ন মন ইচ্ছে ডানায় ভর করে ইতিউতি কেবলই ঘোরে সে কোন মধুমরীচিকায়।
সবেরই তো একটা বিরতি বা অন্ত আছে । আজ চৈত্রশেষে এই “WALL” এ নিজের ঢাক নিজে পেটানোর জন্য একটু মাফ চেয়ে নেওয়া। নতুন বাংলা বছরে সব্বাই ভালো থাকুন ।এই ভিজে অন্ধকারে আপনারা সবাই জেগে একটু ঘরে ঘরে দুর্গাদের আপনকথামালায় বাঁচতে দিন । অহেতুক লড়াই বন্ধ হোক, একবার অন্তত মানুষ হওয়ার। চেষ্টা করি। ঘরে ঘরে অপু দুর্গারা প্রস্ফুটিত হোক,বিকশিত হোক । সব অন্ধকার কেটে যাক, জেগে উঠুক নব প্রাণ। আমি একটু আমার দুগ্গার পুজোর মন্ত্রোউচ্চারনে নিজেকে ভেজাই ।
সওদাগর নাও ভাসাও , ওই কুল যে ডাকে ।
।।শুভ নববর্ষ।।
লোকচক্ষুর আড়ালে বৃষ্টির কোন বিরাম নেই।অবাক হবার কিছু নেই। টোকা মাথায় ওরা হাঁটুজল ভেঙে এগিয়ে আসছে।থপথপ না দ্রিম দ্রিম, শব্দগুলো ধাক্কা মারছে, শিরা ছিঁড়ে যাচ্ছে, পালানোর পথ নেই।
অচিন আজ সকালে বেশ কিছু গালাগাল চুপচাপ হজম করলো ।আজকাল একটা হালছাড়া হতাশাবোধ মাথার চুল থেকে মধ্যভাগের যৌনাঙ্গ পার করে পায়ের নোখ পর্যন্ত নেত্য করে। ক্যালেন্ডারের দিনগুলোর কাটাকুটি খেলা
লিখি কেন? আগে তো লিখতাম না, এখন মনে হয় কেউ হয়তো কোনদিন, তখন আমি থাকবোনা, এই লেখা পড়ে, একবারের জন্য হলেও আকাশের কোনে খুঁজবে কালপুরুষ ।
জন্মের পর মাটির দাওয়ায় তক্তার ঘেরা দেওয়ালে একবার এদিক আবার ওদিক,গড়াতাম , কাঁদতাম,হাসতাম, সীমানা পুনর্নির্ধারিত। আজ ও শিকলে বাঁধা,দেখা যায়না, চিৎকার করে কাঁদি, শোনা যায়না।
এমন এমন দিন আসে যে দিন মাথার মধ্যেকার পোকাগুলোও কোমায় চলে যায়,কোন ভাবনা আসেনা,মনে হয় মৃত্যুর পুর্ব মুহুর্ত।
সকাল খুঁজে পাইনে, কেমন যেন মেঘলা মুখভার, অভিমানে ভরা। এই পৃথিবীর বিরুদ্ধে আমার সব অভিমান, সব অভিযোগ। ভিড়ের মাঝে একলা চলি, খুঁজে ফিরি সেই ডানহাত। নব কৈশোরের দুচোখে এখনও ভালোবাসা দেখি, হৃদয় কাঁদে।
কমের বেশি আর বেশির কম
এখন যতই ছোট হওয়া,
নিয়ম মেনে দাড়টি বাওয়া।
আগের পাতার আলগা স্মৃতি,
আগলে রাখি লাভের ক্ষতি।
লাথি ঝাঁটা কিলের ঘুষি,
জোটে যাহা তাতেই খুশি।
ফুটছে ফুল আপন মনে,
টেবিল পাথরের মধ্যিখানে।
এখন তখন কবিতা লিখি,
কমফোর্ট জোনে দুঃখ মাখি।
ঠিকের ভুল,ভুলের ঠিক,
মজা মরুতে হারাই দিক।
আছি আমি,তুমিও আছো,
রুমাল সাদা চোখটি মুছো।
আইকম বাইকম ভো ভো,
তুমি , তুমি,আইভান হো?
জিনে কে লিয়ে জড়ুড়ৎ হ্যায় হিম্মৎ কি,মরনেকে লিয়ে কৌই এক বাহানা।
চলনেকে লিয়ে জড়ুড়ৎ হ্যায় রাস্তে কি, গিরনেকে লিয়ে না কোই নজরানা।
পাগলী তুই এলোমেলো, আকাশগঙ্গায় ভৈরবী,
ডুবছি .কাঁদছি অমৃতসুখে ,ভিজে হৃদিজলছবি।
জাগছি . গলছি ,হারিয়ে যাচ্ছে আমার সবই।
“The winds blow…
The lightning’s fall
The space overflows.
আবর্ত আগুপিছু,
জ্যোৎস্না খেলা করে ক্লান্ত মাঠে,
গাব্বুখেলায় ফিকে হয় লাল স্বপ্ন,সবকটা জানালায় শিক আঁকড়ে ধরা মনকোলাজ। মৃতদেহটি আবেগহীন চোখদুটো মুঠিহাতে ধরে, এগিয়ে চলে এক পা,দুইপা,
দিনে আর রাতে,
মুখ আর মুখোশের বেলাগাম প্রেমগাথা।
যদিও আমাকে এক গুণীজন এই 'যদিও' শব্দ দিয়ে কোন বাক্য শুরু করতে নিষেধ করেছিলেন, কিন্তু নিতান্ত উপায়হীনতায় এই লিখন।
টুকরো টুকরো অসমাপিকা ক্রিয়া দিয়ে অর্ধশতাধিক বছর পার করে বেকুব খালাসের প্রতিক্ষায়।
ঝিমুনি ভাব মাঝে মাঝে বুকে, পিঠে, দুচোখে জানান দিয়ে বলে, ' আমি আছি,থাকবো, জাঁকিয়ে বসবো প্রতিটি রক্ত কনিকায়, ইচ্ছে নদী মরুক।'
দিন গুজরান কিল, চড়, লাথি খেয়ে, মুখোশে নির্বিকার।
অসমাপিকার চাহিদা। ভালোবাসি বুক জুড়ে মরে যাওয়ার ইচ্ছাকে জারন করতে।
অসহায়তার অবলম্বন খুঁজি। প্রবল ইচ্ছা হয় টইটম্বুর নেশায় চোবাতে, নিজেকে।
বরাহের নান্দনিক গান, আমি, কি যে করি?
রোবোটিক জীবন।
ইচ্ছে চড়ুই সেদিন
রোদ দুপুরে উঠান ভরে
ছোট্ট চড়ুই কান্না জোরে,
সব কেড়েছে ঐ ছাতারে।
আকাশ ছোঁয়া, উপায় নেই
দিচ্ছে উড়ান চিল শালিকেই,
ঘরের কোণেই লুকিয়ে রই ।
আদুরী পুকুর ভরা , ডুব সাঁতার,
মাছরাঙা আছে ঐ চৌকিদার,
অভ্যাসে তাই বাধ্য অনাহার।
কাব্যে আমার ভারি মজা
পোষাক ছেঁড়া,রাজা সাজা,
মাদল ওরে জোরসে বাজা।
আঁধার নামে চুপে আলগোছে,
চড়ুই সবজান্তা সবই বোঝে,
সাপলুডো জীবন তাতেই মজে।
ইচ্ছে চড়ুই বেশ কিছু দিন পর
ইচ্ছে চড়ুই ক্লান্তি পোষে,
অসহায় বোধে আকাশ ভাসে,
রোদ্দুর বেয়াক্কেলে মুচকি হাসে।
রোজনামচায় জাগে সন্ধ্যা সকাল,
চলতি পথে জাগছে দেওয়াল,
উপায়হীনে শরীরবনে জমে জন্জাল।
দিনের শেষে সন্ধ্যা নামে,
ক্লান্ত চড়ুই একলা থামে,
পিদিম আলো তৃতীয় যামে।
ভাবতে বসে হিসেব নিকেষ,
চৈতি হাওয়ার আলতো রেশ,
মরা সবুজে বছর শেষ।
উথাল পাথাল হৃদয় ঝড়,
চুপের কথায় স্তব্ধ চর,
কালের ডাকে নতুন বছর।
আজ
ভাঙা কার্নিশে চোখের জল,
শেষের শুরু নদীর ছল,
ভাব বিলাসে বোধ অতল।
আপন মুঠোয় এক পৃথিবী,
কাড়বি কে? নিজের ছবি,
কষ্টে কল্প নয়কো আজগুবি।
কাল দিন , আলোর আঁধার,
থাকবো না ,মন কারাগার,
ভুলবে সবাই, দিনের ওপার।
ইচ্ছে করে,
তোমায় আমি, এক বুক ইষ্টিকুটুম ভালোবাসি,
ভরা আকাশ, তারই মাঝে একটু পাশাপাশি ।
কালের খাতা,হলুদ ঝড়ে বেহিসাবে মনমরা,
বেতাল সুর,দিন অন্তরে আগলছেঁড়া কড়ানাড়া।
ইচ্ছে করে,
ভিজে ফাগুন,জ্বালাই চৈতি আগুন একপেয়ালা,
উজান বুক,কলকলানি ঝড়ে পাগলি ভেলা।
কাছের দুর,মনঝিম লেখঅলেখে স্মৃতির গাঁথা,
উলঙ্গ আলো, আদুলছন্দে যতি মাত্রার কথকতা।
ইচ্ছে করে,
মাঝ দরিয়া,সব হারিয়ে হাতের ছোঁয়া,
স্বপ্ন ফানুস, ব্যর্থ পথে চিতার ধোঁয়া।
রক্ত জমাট , চটজলদি শামুকখেলায় জল তরঙ্গ,
একলা হুতাশ,দহন বেলায় পুড়ছে সর্বাঙ্গ।
ইচ্ছে মরে,
পথের বাঁকে ভেজা চোখে দিক নিশানা,
সিঁড়ির ধাপে শ্যাওলা বন, গল্প শোনা।
বোজা চোখে নিমেষ জুড়ে স্বপ্ন মরে,
মরে বাঁচি, বেঁচে মরি, জীবন শীতকাতুরে।
মাধুকরী করে যে পাগল সেতো চাওয়া পাওয়ার হিসেব করেনা । ঝোলা তার ভরে দেয় কতভাবে কতজনে। পাগলভোলা চলে আপন খেয়ালে । ভবসাগরে কত মণিমাণিক্য শেয নেই পথচলার ,পথভোলার ।
একলা সাম্পাণ এগিয়ে চলে,মনে ভয়, ওদের চলার পথে বিঘ্ন হয়ে দাঁড়ানোর ভয়, বেহিসাবি কিছু চেয়ে ফেলার ভয়,উপহাসিত হবার ভয়।পাশ কাটিয়ে চলতে চলতে চোখ ভিজে যায় নোনা জলে।ওই পার নয় বেশি দুর।
এক জীবনে কত যে চাওয়া। অব্যক্ত আশা নিরাশা শব্দের আকারে সেজেগুজে পাশাপাশি এসে বসে। বড়োই আগোছালো।কিছু চুপকথা গহীন খোঁজে,দেয় অন্তডুব।ওইপারের মহীরুহে আশ্রয় নেয় হাজার হাজার না বলা পথভোলা ছায়াময় কবিতা।
অমৃতময় ইচ্ছে কবিতা,ওই পারে,সাম্পান তিরতির।
একটি ছাপোষা জীবন।
চরৈবতি।
বসন্তের আলতো হাওয়া,
পথ করে নেয় মৃত্যু বনের ঝরা পাতায়।
সবুজ থেকে আরো কালো,
রক্ত ঝরতে থাকে, উলঙ্গ পাতা,তার হৃদয়।
আবিরে মেশানো রঙ আত্মপ্রকাশ করে,
লালে ভেজা তরল বা বায়ুতে।
মাঠকড়াই আজ প্যাকেট বন্দী ও দুর্লভ।
খুঁজি অন্তহীন সঙ্গম মৃত্যু বনের জলন্ত অন্ধকারে,
স্তনবৃন্তে অমোঘ ভুলভুলাইয়া,
আজ ও।
পিছনে ফিরি,
ভালোবাসা ও উত্তেজনার কামড়াকামড়ি,
পাপ দগ্ধ আকাঙ্খা।
এও একপ্রকারের যাপন
মেঘলা আলোয় বাসা বোনে মৌটুসী,
জানালা খুলে চোখে মুখে বৃষ্টি মাখি,মাখি নীরবতার গান।
স্বপ্নময় মৃত্যুর অনিবার্য হাতছানি সরিয়ে রেখে সারা রাতের জমে থাকা যৌন উত্তেজনার গায়ে জল ঢালি, ধুয়ে মুছে সাফ।
ভেঙে যায় চৌকাঠ, পথ দেয় টিটকারী, চোখ বুজে ঈশ্বরের কাছে কামনা করি নিমজ্জন। উপহাসের হাসি কানে আসে। কোথা থেকে?
খুঁজি।
পোয়াতি স্বামী পরিত্যক্তা বিড়ালটা একটানা সুরে খাওয়ার চাইতে থাকে, বসেই থাকে ভাঙা চৌকাঠে। পাঁচ টাকা দামের হরলিক্স বিস্কুট। পাল্টায় নি তার আর এই অধমের বাজার দর ।
কাঁচের ব্যোয়ামগুলোর মধ্যে থেকে একটা মোটামুটি ফিটফাট সচ্চরিত্র মুখোশ পড়ে ফেলি।বেশ্যাগলি পাশ কাটিয়ে এগিয়ে চলি। ওখানে সামিয়ানা।
ভাবনাগুলোর বুড়োটে চেহারা ফুটে ওঠে। টানা রিক্সায় টুং টুং টুং টুং.. নিত্যকর্ম। বারোয়ারী যাপন।
সন্ধ্যা নামে কফি হাউসের সিড়িতে। দুষিত চরিত্র।
ভাবছি,
এটাই চেয়েছিলাম,আমি?
একটা সময় ছিল যখন সকাল আর বিকাল ছড়াতো আলো, সাইকেলের প্যাডেলে পা দিয়ে দৌড়োতাম।
ভাবতাম ওদের মতো ,কেউ, আমাকেও হয়তো ভালো বাসবে, সিনেমা,ফুচকা, পাশাপাশি হাঁটতে গিয়ে একটু রিনরিণে ছোয়া।
কল্পনায় ভেজাতাম তক্তোপোষ, বেসুরো গলায় গাইতাম গান,গিটার ও কিনেছিলাম একটা , টুংটাং।
কিন্তু হলো যেটা,কোন ও ভাবেই হলো না, সেটা হলো প্রেম। নিরামিষী সরসত্তী পুজোয় কেটে যেতো বছর,পরের বছর।
হাসুলী বাঁক থেকে নভোকভীয় লোলিতা ,বাদ যেতো না কোনকিছু। উত্তেজিত করতো সুনীলের কবিতা।
মাঝে মাঝে ছবির রং হয়ে যেতো নীল।
ভাবছি,
পৌঁছাতে চেয়েছিলাম কোন উজানে ? আজ কোথায়?
আমি হাবুল, আমার ভালো নাম ঋভু,বয়স ১৩, যদিও সবাই আমাকে ৮-৯ বছরের ছেলে বলে ভুল করে। ছোটখাটো চেহারা নিয়ে হেলতে দুলতে এগিয়ে চলি।
সবাই আমাকে হাবাগোবা বলে অবহেলা করে আর আমি আমার মগজাস্ত্র খাটাতে থাকি। আমি যে কতখানি বুদ্ধি ধরি সেটা তো কাউকে বুঝতে দেওয়া চলবে না।
আগে আমরা বহরমপুরে থাকতাম। কখনও কখনও দাদু আমাকে গড়িয়া নিয়ে আসতো, এখন তো আমরা গড়িয়াতে পাকাপাকি চলে এসেছি।
দোল তো কদমতলায় পুর্নচন্দ্রমায়
হঠাৎ কথাটা কানে ধাক্কা মারল সজোরে
“বোকা ,তুই আগে বুঝে আয়”,
কোথা থেকে ?
সারা দিন কাটে মানুষের মন খুঁজে অর্থহীন,
কত যে মন কত তার রকমফের,
ভাঙাগড়া,
পুতুলনাচের এই ইতি কথার শেষ যে শুরুতেই।
বুঝতে পারি কই ?
যে পথগুলো ক্লান্ত বিরক্ত,
শুকিয়ে যায়,
মরামনটা ,
কত সহস্র বছর, সেই আদিকাল হতে,
একপা দুপা,
পৃথিবীকে করি অনন্তধর্ষিতা ,
দেবকন্যার রক্তেই আবির লাল,
সুন্দর হাসিমুখে ভরা বুকে,
এ বসন্তে
পারিনা চাইনা অক্ষম সঙ্গমে,
মাফ করবেন,
বোকাটা বুঝতেই পারেনা ।
মনন চিন্তন সভ্যতার পতন চলছে,
রাত অন্ধকার,
সে তো জাগছেই,
অন্দরমহলে, উন্মুক্ত প্রান্তরে ,
আসমান নামে এই বন্ধ্যা জমিনে,
গোপন পাপ,
যদি পাপবোধ বেঁচে থাকে বারে বারে পচা ধাপার ডাস্টবিন এই পিচকারির ফাগধারায় ,
হোলি তো হ্যায় জরুর হ্যায়।
বোকা কিছুই বুঝিসনা।
পুজো সেতো সুভোগে নিজেকেই,
বিজ্ঞাপন সেতো আমারই ,
আমি বিনা কর্মে ,
চলনে বলনে লেখনে
গতি নাই, নাই ।
নিজেরই গান গাই যতক্ষন শ্বাস।
একটা কালো পর্দা কিনে দাও আকাশ ঢাকি,চাঁদ তুই কেন? বুঝতে পারিনা ।
চল বোকা মরে আর একবার জন্মাই বুঝেই আসি,
দেবকন্যা কিন্তু ইশ্বরকে সব সত্যি সত্যি বলে দেবে,
তার আগে “বোকা আমি, আগেই বুঝে আসি”যদি পারি ।
বসে পড়লাম,খোলা উঠোনে,মাটি তো অনেক যোজন দুর,পাথুরে আস্বাদ, সকালআলোর কর্মনাশা রং মিলান্তি।
বস্তা গমের,বাছতে থাকি নুড়িপাথর,অভাবঅনাহার,পাই যদি সুখরুটির উপকরণ,বসন্ত ফাগুনের একপশলা দিন।
আবহমান, আগুনগুলো বৃষ্টির মতো, সমাপতন কিয়েভ থেকে আমার আনন্দপুর,গা বাঁচিয়ে নিরাপদ রক্তপলাশ।
ভিখারিটার একটা পা কাটা, অবলীলায় উঠোন ডিঙিয়ে,হয়তো ওই দেশে মানুষ ভালোবাসার কাঁথা বোনে।
সজনে ফুলে রক্তের ছাপ, সহজ শিকার ,একের পর আরেক, ছন্দবদ্ধ কাব্যযাপন সাথে দু-একটি দীর্ঘশ্বাস।
নিরুপায় বিকেল আসে, আওয়াজ কমে ধীরলয়ে,কি যায় আসে, বেড়িয়ে পড়ি,প্রেমপলাশ কুড়াই,ভরে যায় শ্রান্ত আঁজলা।
কলকাতার ফুটপাথ ভিড় করে বেপথু রুদ্রপলাশ,
বিদ্রোহী,হে মানবী তুমি কথা কও,জ্বালাও ঝরাপাতা,এ দেশে জীবন চিতা সাজাও শিমুলের।
রুইতন কিংম্বা ইস্কাবন যাই হও না তুমি দরকার তো শুধু এককাঠি দেশলাই। কুড়ুলটায় চকচকে ধার,মানুষ কাটা নিতান্তই কাজ এলেবেলে।
মলের ক্যাফেটেরিয়ার কৌচে বসে কফিতে চুম্বন দিতে দিতে প্রতিক্ষার কিছুটা সময়,আমি নবরুপে। মৃদু ভলিউমে বিঠোফেন বা সাম্যের গান।
সুর্য উত্তাপ দাও আগুন চাই ঝলসানো,নৌটঙ্কি বৃন্দাবনে,দোল খেলব কুতুবমিনারের মাথায়, অট্টহাসি ছড়িয়ে দেব গলিতে,মহল্লায় , ভালোবাসায়।
কথামানবমানবী ডুব দাও চৌরাসিয়ায়।
ফেলে এসেছি,আকল বাকল, কালো পাহাড়, তন্বী নদীটি, ঝরাপাতার খসখসে আওয়াজটা সে তো বটুয়ার মধ্যে রেখে এসেছি, এসেছি মোরাম লাল মনটা নীলকন্ঠ আকাশে উড়িয়ে দিয়ে। হড়হড়ে চালে হাঁটতে হাঁটতে শেষমেষ দড়কচা মারা শুকনো রাস্তায়।
প্রথম হাইটা তুলেই ফেলি।
এগোই অভ্যাস বসে, ওরা সবাই ঘিরে ধরে,এক পাও আর এগোনো যায়না। দাঁড়িয়ে পড়ি, মাথায় যে স্টোরেজ ক্যাপাসিটি তার মধ্যে রাখি, গুছিয়ে, যেটুকু রাখলে কষ্টটষ্ট বোধ কমে একটু গাঁজারে আমেজটা আসে।
তুলে ফেলি দ্বিতীয় হাইটা।
কথা প্রসঙ্গে বলে রাখি, আমার দম চার নম্বরেই সমাপ্ত, ঢং ঢং ঢং, বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজে আওয়াজটা ছিল অবশ্য অন্যরকম।
হ্যাঁ, যেকথা বলছিলাম,ওরা তো ধরলো ঘিরে, ধরলাম হাত, ফ্যাতাড়ু,ফুড়ফুড়, কালিম্পং পাহাড়ে আজকাল তীব্র জলাভাব।ঘুরি , হাঁসফাঁস লতানো বেড়ার গোলাপগুলো আটকে দেয়, ছড়ে যায়, রক্তের রং কালো, বার্ধক্যজনিত ও পাপ বৃদ্ধিজনিত কারনে।হুউস, মরা কালচে রাস্তায়......
তৃতীয় হাইটা পারিনা ,আটকাতে।
সবাই ঘিরে ধরি,মেয়ে আমাদের দিঘল ঝিল, আমাদের ছেড়ে আসা আকল বাকল,আবেগ, যৌবন।হে অচিন নদীর সওদাগর,ভালোয় রেখো,আমানি পান্তা, কাঁচা লঙ্কায় থাকুক ভালোবাসা,যা আমরা রেখেছি, বাঁচিয়ে,আজো। আবার ও বা ,হয়তো বা দ্বিতীয় কালিম্পং।
টুপিটা খুলি, চতুর্থ হাইইই....…
অমৃত কুম্ভের সন্ধানে আলোর খোঁজ। মধুকরের কালপুরুষ হয়ে কেঁদে ফেরা । আঁধার আকাশ বড়ো আপণ করে নেয় । না বলা কত কথা আগল খুলে একলা বলা । নিজের পাপ, অন্যায় ,অক্ষমতার একান্ত স্বীকারোক্তি । ধুইয়ে দাও,সিক্ত করো.রিক্ত করো,আমাকে সুতীব্র বেদনা দাও ।আঘাতে আঘাতে আমাকে রক্তাক্ত করো । রক্তের রঙ যে এতো কালো । মায়ের বুকের ওম নিয়ে চির নিদ্রায় অনন্ত স্বপণে সব কুড়ির ফুল হয়ে ওঠা দেখার বড়ো সাধ । সৌমসুন্দর অন্ধকার আবৃত করো।পরম প্রিয়া পূজ্যা দুর্গা, আমার ভালোবাসা, আমার দুগ্গা হয়ে আমাকে তোমাতে চির রুদ্ধ করো। তোমাতেই আমার পুজা , কালপুরুষের আত্মনিবেদন। পৄথিবী ফুটে উঠুক বহ্মকমলে। সব বন্ধন ছিড়ে অন্তর গ্লানি মুছিয়ে দাও, চির অন্ধকার দেখার অনিমেষ নয়ন দাও কৃষ্নময় পাপবিদ্ধ এই কালপুরুষকে ।
অমৄত কুম্ভের সন্ধানে আলোর খোঁজে এই মধুকরের কালপুরুষ হয়ে কেঁদে ফেরা হে পিতা । আঁধার আকাশ বড়ো আপণ করে নেয় । না বলা কত কথা আগল খুলে একলা বলা । নিজের পাপ, অন্যায় ,অক্ষমতার একান্ত স্বীকারোক্তি । প্রভু করুণাধারায় আমাকে ধুইয়ে দাও,সিক্ত করো.রিক্ত করো,আমাকে সুতীব্র বেদনা দাও ।আঘাতে আঘাতে আমাকে রক্তাক্ত করো । রক্তের রঙ যে এতো কালো ।মায়ের বুকের ওম নিয়ে চিরনিদ্রায় অনন্ত স্বপণে সব কুড়ির ফুল হয়ে ওঠা দেখার বড়ো সাধ হে জীবনবল্লভ ।এই সৌমসুন্দর অন্ধকার আমায় আবৄত করো।পরমপ্রিয়া পুজ্যা দুর্গা আমার ভালোবাসা আমার দুগ্গা হয়ে আমাকে তোমাতে চিররুদ্ধ করো। তোমাতেই আমার পুজা এই কালপুরুষের আত্মনিবেদন। পৄথিবী ফুটে উঠুক বহ্মকমলে।সব বন্ধন ছিড়ে অন্তরগ্লানি মুছিয়ে দাও, চিরঅন্ধকার দেখার অনিমেষ নয়ন দাও কৄষ্নময় পাপবিদ্ধ এই কালপুরুষকে, নাথ হে ।
হৃদি ভেসে ভাসায়
তোমায় পাগলামি,
আমি ভেলায় ভাসলাম ,ডুবলাম,
ডুবসাঁতারে,
আকাশগঙ্গায়,
দুচোখে জ্বালিয়ে দিলেম পিদিম।
কিশোর চোখ,
ইশারায় আজও এই নীলনদী,
পথের হোঁচটে ,
জীবনের কোন আবছা আলোয়,
পাগল হাসিতে, কানে কানে।
ঘামে ভেজা শিমুল পলাশে,
রাতভোর জেগে,
পদাবলীর ঝরঝর ঝরে পড়া শুকতারায়,
সুর্যমুখীর সুখবসন্তবিলাপে,
মরলাম।
তুমি ,হাসিতে হাজারদুয়ারী,
এখনও,
কালাহান্ডির কন্দমুলের ঝলসানিতে,
একান্ত তপ্ত উত্তাপে,
নির্জনতম তীব্র তৃষায়।
হাসছ?
সুখ অসুখের গভীর আলোকমালায় তোমায় যে গান,
শুনছ তো স্টেশন ভীড়েও
বুড়োকুলীর ভাঙামাথায়,
বোবা কান্নায় বেহাগে ।
তোমাকেই ভালেবেসে,
এই মনপান্থনিবাসে প্রিয় আঁধার,
আবেশে আকন্ঠে হৃদি ভেসে ভাসায়,
ভালোবেসে ভালোবাসায়,
আলোখেলায় বা সাঁঝবেলায়,
মৃত্যুপ্রতিক্ষায় ।
আজকের দিনে ভাষা , ভালোবাসা, জীবন, পথচলা সব একাকার হয়ে যায়।
হৃদি ভেসে ভাসায়
নীরা তোমায় সুনীলে পাগলে যে পাগলামি
আমিও সেই ভেলায় ভাসলাম ডুবসাঁতারে
আকাশগঙ্গায় দুচোখে।
কিশোর চোখ ইশারায় আজও এই নীলনদী
পথের হোঁচটে , জীবনের কোন আবছা আলোয়
পাগলহাসিতে কানে কানে।
ঘামে ভেজা শিমুল পলাশে রাতভোর জেগে
যে পদাবলী ঝরঝর ঝরে পড়া শুকতারায়
সুর্যমুখীর সুখবসন্তবিলাপে।
তোমার হাসিতে হাজারদুয়ারী এখনও কালাহান্ডির
কন্দমুলের ঝলসানিতে একান্ত তপ্ত উত্তাপে আহা.
নির্জনতম তীব্র তৄষায়।
তুমি হাসছ?
সুখ অসুখের গভীর আলোকমালায় তোমায় যে গান,
শুনছ তো স্টেশন ভীড়েও বুড়োকুলীর ভাঙামাথায়
বোবা কান্নায় বেহাগে ।
নীরা তোমাকেই ভালেবেসে,এই মনপান্থনিবাসে
প্রিয় আঁধার আবেশে আকন্ঠে হৃদি ভেসে ভাসায়,
ভালোবেসে ভালোবাসায়,
আলোখেলায় বা সাঁঝবেলায়,মৃত্যুপ্রতিক্ষায় ।
আজকের দিনে ভাষা , ভালোবাসা, জীবন, পথচলা সব একাকার হয়ে যায়।
খুঁজছো? সেই ভোরের আলো ফোটার পর থেকে, এখনতো বেলা এলো পড়ে । হাতে পায়ে জমলো ধুলো, মলিন হলো মুখ, নিঃশ্বাস হলো দীর্ঘতর।
খুঁজেই চলেছো মরা আলের পথে,ঘাড় বেঁকিয়ে মুচকি হাসির কুলের ছায়ায়,স্কুল কলেজের বেঞ্চে, শ্রীহরির কচুরির টেবিলে, কলেজ স্ট্রিটের বই এর জানালায় অথবা অফিসের চেয়ারে আর শেষের সমে নদীর বাঁকে।
দেখো,ওই বুড়োটে মানুষটা সেও কি যেন খুঁজছে জীবনের ডাস্টবিনে ।মনে হয় ভুল করে ফেলে আসা কোন কিছু নয়তো যা হারিয়ে ফেলেছে জেনে বা না বুঝে।
একটু দু চোখ মেলে তাকাও,দেখো ওরা,ওরা ,ওই ওরা, সব্বাই খুঁজে চলেছে।
একা নয়, সম্মেলনে অনিমেষ আমি, তুমি,তোমরা এবং আমরা।
খোঁজ।
ভালোবাসা।
হয়তো হৃদয়ে, হয়তো বা গোপন গভীরে।
বেঁচে থাকা।
জলতুলিতে মনছবি আঁকি মগ্ন আকাশ জুড়ে,
দুগ্গা শুধু তোকেই দেখি কাছে দুরে হৃদঅন্তরে।
শিউলি ছোয়া দিস যে তুই এখনো এই শহরবনে,
তোকেই পুজি সাজাই কল্পে পলাশ রক্ত চন্দনে।
অন্ধপথ । মুক্ত অঙ্গন থমকে দাঁড়ায় ক্লান্ত গরাদের অথৈ অন্যমনস্কতায়। তুমি,আমি, উদ্দেশ্য হীন জীবন, মরূদ্যানের অভাবযাপন। মন মরীচিকা । শীতার্ত কাব্যায়ন।
চলা শুরু শিশু ভোলানাথে একা উজানশ্রোতে,
অথৈ গহনে মাধুকরী না বিকিকিনি, খুঁজে ফেরা ।
আলোতে আঁধার,আধাঁরে আলো, প্রেম ন হন্যতে
যুগ,সময়.কাল,ফিরে ফিরে দেখা বাসন্তী ধ্রুবতারা।
সত্য শিবসুন্দরে নাথ হে তুমি যে ঔ আকাশরথে,
উষা জাগে নবরবি কিরণে সে কোন্ মন মধুবন্তী রাগে।
শেষ নেই পথের,বন্ধনহারা বয়ে চলা,রহো রহো সাথে,
তব ভালোবাসায় এই পান্থ হৃদমাঝারে যেন জীবন জাগে।
বোকা চলনে কিছুক্ষণ,কিভাবে হওয়া যায় একটি যত্নবান পুরুষ?বটতলায় পুঁথি লিখন।এখন অবশ্য ওখানে ঘুনপোকার দল খেলা করে।সকালের সুর্য থেকে নাঙটো রাত অবধি বক্সখাট থেকে কুম্ভকর্ণ ঘুমে থাকা গিটারটাকে পৃথিবীর আলো দেখানোর চেষ্টায় আছি, নাকডাকার মধ্যে ও একটা রিদম আছে। সকাল হলেই দৌড়তে হবে,৫ কিলোমিটার।এখন আর জেগে থাকা অনুচিত।
আধো অন্ধকার,আজান ঠিক সময়মতো নাড়া দেয়, দুরত্ব।একে একে বন্ধন ছিড়ে এগিয়ে যায় পথ, বন,দহিত চিন্তন।আগুন তবু জ্বলতেই থাকে ধিকি ধিকি। স্তব্ধ বাতাস ডাকে, আমন্ত্রণ আঁকড়ে ঝরা পাতা সঙ্গ নেয়। উড়ান অনিশ্চিতে।নেড়া ধানের মাঠে ইতিউতি উকি মারে কাঁটা খেজুর।বসত কোথায়? তালসারি মৃদু হেসে বলে ওঠে,ওরে সবুজ তুই জাগ নয়নতারায়।
কুয়াশা নেমে আসে মরাদিঘীর ঘোলাজলে। পানকৌড়ির জলডুব সাঁতার, বৃত্ত আবৃত।বুলবুলি ঝাপসা চোখ কচলাতে থাকে।পথের লাল মোরাম এখনও গভীর ঘুমে।শালমহুলের ফিসফিস, গুনগুন। আঁধার আলোর বেহিসাবি মিলন।পরশু,কাল আর আজ।শালিক,চড়ুই বিচ্ছিন্ন বসবাস।
সকালের ঘুম ভাঙ্গে।
সমে জাগে চরাচর। জেগে ওঠা বালুচরের আঁকে বাঁকে মায়ামৃদঙ্গের জলছবি।
অমৃত আলোয় আলোকময় ইচ্ছেপাহাড়।টেনে নিয়ে যায়, ধাক্কা খাই, পাঁচিল, চিৎকার করে উঠি,দু চারটে গাছপাখি চোখ কচলাতে কচলাতে দেখার চেষ্টা করে,কি এমন ঘটে গেল। রোগা পানা নারী, আস্তাকুড়ে কুকুরের দলের সাথে কি যেন ব্যাগে ভরতে থাকে।দিনের রসদ!
তুলতুলি
বুলবুলি তুই ভুল ভুলালি,
বাসন্তীকা মনের ক্ষেতে।
ছোট্ট পায়ে আদুল গায়ে,
সজনে সবুজ দিনে রাতে।
পাগলী হাসি বৃষ্টি বাঁশি,
ভুবন ভরে আলতো হাতে।
হৃদয় দোলে গোলাপ গালে,
মধুর পরশ তোর ছোঁয়াতে ।
পাগল বাউল বড়োই আকুল,
জাগে কান্না হাসি স্বপনেতে।
পেতেম যদি ইচ্ছে নদী,
লুকোচুরি তোতে আমাতে।
আলো ছায়া আবছা মায়া,
আয় না এই জীবন জুড়াতে।
হোক না স্বপন তবুও শাওন,
মায়ামৃদঙ্গে পাড়ি যে দুগ্গাপথে।
দৌড়ে চলেছি,শিরায় ধরছে টান, পা টেনে টেনে চলছি, আবার দৌড়, রক্ত ঝরছে ,সব বন্ধন ছেড়ে পথ খুঁজে ফেরা। চলতে চলতে আবার দেখি ফিরে এসেছি সেই ন্যাড়া পুরোনো পলেস্তারা ঝরা নাটমন্দিরে। এককোণে বসে আছেন জুবুথুবু জগুবাবু। ইতস্তত করি,,,তারপর দাওয়াতে বাঁশের খুঁটিতে হেলান দিয়ে জিরোই। হাঁফ ধরে গেছে, চিনচিনে ব্যাথা বুকের এককোণে।
আকালের অক্সিজেন।
ছোট্ট জীবন কখন আগুন উড়ান নতুন আলোয়,
পথের ধুলায় তোমার মায়ায় ওই হোথা অবশেষ।
দুঃখ,আঘাত,বেদনা,ভালোবাসা,অমৄতময় প্রেম
প্রাননাথহে শহরবাউল চেয়ে রয় অন্ধ অনিমেষ।
যাহা দাও কুড়াই এ দুহাতে ,ভরি হৃদয় অন্জলী,
সুরে বাঁধি ছেড়া তারে জীবনমরণের কথাকলি।
ঘুরে মরি কালকুট যে প্রান, অমৃতকুম্ভের সন্ধানে
নাও বেয়ে চলা,পলপল,থামা কোন্ সে উজানে?
অনুভব পায়ের চাপে মরে,সময় দেয় উপহাস।
এগিয়ে চলে ফেরিওয়ালা, মাঘের শেষে দিন পাতা ঝরার।
ঝোলাতে কুড়িয়ে নেওয়া, পাতার রং ধুসর, জীবনের রং সে ধুসরতর।
ক্রিস ক্রস লেনে সাপ খেলা, ডমরু তালে হিস হিসিয়ে নেতিয়ে পড়া।
ভুল ট্রামলাইনে আজ পিচের প্রলেপ, মরে যাওয়া শব্দের ঘড়ঘড়।
অহেতুক চলাচল,বৃত্তপথ।
ওদের খোলা আকাশ,এলো পা।
আজ নয় অন্য কাল,
হয়তো আবার কোন আল্হাদী সকাল নিয়ে আসবে শিউলি ভোর।
থাকা না থাকা নিতান্তই আপেক্ষিক।
জীবনের গন্ধ ভেসে আসছে dump yard এর এক কোন থেকে।
পেটা পরোটা থেকে যেমনটি বেরোয়, যখন উত্তপ্ত কড়াই থেকে তুলে চড় থাপ্পরে।
কাঠের মাচায় বসে দখলদারির সকাল।
শকুনের দল কোন এক কারণে কমছে ধীরে , রিপ্লেসমেন্ট,আমি রা!
বাজারের ব্যাগ,মুখোসের রকমফের।
জীবন, একাকে ভাঙা,বলা,লেখা, চিৎকার,মেলা,জগায় খিচুড়ি।
চুপ, বেয়াদপ !
আড়মোড়া ভেঙে সংস্কৃতি জাগছে ।
অবধ্য
মৄত্যু উপত্যকায় মহামিছিলে সামিল সব্বাই,
একের পর এক তালসারি ,একলা বট পা টলমল।
ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরিতে পিদিম জ্বলে লেলিহান,পথ
খোঁজে লাভাশ্রোত,তোমায় অমোঘ প্রেমআলিঙ্গন ।
ভালোবাসাপাতাগুলান বট ছেড়ে ধুলিমায়ায়।
আকাশঘরে ন্যাড়া লাভাস্নান, অনিবার অপলক
সময় কোন জ্যোৎস্নাবনে শীতকালীন রাগজলসায়।
অক্ষমকান্না তীব্রউত্তাপে পুড়ে ছাই নিরালম্ব বট,
যক্ষারোগও মুক্তি পায় আদিম লালসায় সুনিবিঢ়।
মাথাবটে তারাগুলোর ঝরে পড়া আঁধার উল্কাপাত,
কতশত বছর রবিবাউল গানভেলায় নদীউড়ান।
বটের শিরা উপশিরায় সুতীব্র মাইগ্রেণ অপেক্ষায়
মদির অমর মরন। মরু দুগ্গাঝড়ে বিদায় শীতলতা।
লাভা বন্যাপ্লাবন আত্মা জাগে কোথাও নবরুপে ।
দহিত সময়কাল, রিক্ত উদ্বাস্তু পথ,
মৃত্যু অমৃতময়, আকন্ঠ লড়াইশপথ।
আকন্ঠ তৃষ্ণা, কানাগলি, কারাগার,
হিমায়িত মন, চতুদেওয়াল রূদ্ধদ্বার।
বন্ধ্যাচর, ইচ্ছে নৌকো সাগরলোহিতে,
পিছু হটছি,হারছি,ভাসছি করালশ্রোতে।
আজ,কাল গত বা আগামী কৃষ্ণসঙ্গম,
ধুকপুক অন্ধবুক,জীবনগাড়ি ঝমঝম্।
উন্মাদ দুটি চোখ, আগুন উত্তাপ খোঁজ,
নিশ্চিত বন গহণ,দুখের নিভৃত বোঝ।
ঝরতি মেলা পিদিম মনোহারী ,ক্লান্ত রথ,
চরৈবতি,জীয়নবাতি,আকন্ঠ লড়াইশপথ।
লড়াইশপথ।
ভাঙা দুচারটে অগোছালো স্বপ্ন।
আগে পরে সাজানো অসংলগ্ন শব্দ, মনে হলো,বা! আমি ও অন্য অনেকের মতো কবি, হ্যাঁ কবি।
এটা বলা যায় নেশা, নিজেকে এলিট সমাজের সদস্য মনে করা,আসলে মালটা ভুষি।
ওরা একটু পিঠ চাপড়ে,বেশ,বেশ।
জীবনের ক্লাউন।ব্যাকারণ না শিখে বাক্য রচনা।লবন্চুস, ডায়াবেটিকের লাগে ভালো।
একটা কবিতার বই 'একলা রাতে দুগ্গা পথে',মলাট ছবি, স্বপ্নের সহজাত মৃত্যু।
পুরোনো,সেকেলে।
যা কিছু দেওয়াল জুড়ে,দেওয়ালের পলেস্তারা ঝরে,মরে।
এই আছি বেশ।
পাগলের রকমফের।
জীবন যেখানে নিয়ে যেতে চায়,চাই কি?
আজ চোখ বুজি,কাল ভাবা যাবে, অন্ধকারের ডাক।
কালো চলাচল।
পূবপারের ত্রয়োদশী চাঁদ ডাকে,মনে মনে।
পশ্চিম বাগানের ডুবতে যাওয়া রবির মনে এক অদ্ভুতুড়ে অস্থিরতা,অনেকটা যৌবনকালের ফিঙে পাখি ।
মৌরিফুল দুলতে চলতে মুচকি হাসে,পৌষ হেঁকে বলে,যাই গো যাই।
গোমড়া মুখো আকাশ বলে,এ কি অনাচার?এখন তো বাপু চোখ কান খুলে বান্দোয়ান বা জয়পুরের জঙ্গলে কাঠ আর শুকনো শাল পাতা বস্তাবন্দি করার সময়।
বেলা যে পড়ে এলো,বেচারা বুঝতে নারে।
ভাঙা চাঁদা দিয়ে ত্রিভুজের কোণ মাপার চেষ্টায় ব্যস্ত হয়, বিদ্রুপের গান ধরে বসন্তবৌরি।
কি যে হচ্ছে, কেনই বা হচ্ছে , ইচ্ছে চড়ুই এর কিচ্ছুটি যায় আসে না, ফুটপাতের ছেড়া পলিথিনের ছাওয়া ছেড়ে নেমে আসে,বড়রাস্তায়।
এপার,ওপার ,
শতেক যোজন,
হোক্ না।
মিলনযাপন।
সতীশ আচার্য্য
ইস্টিশন মা
প্রতিদিনই দেখা হয়,যখন দৌড়,
যদি পালায় সোনারপুর লোকাল।
পাগলিটা পয়সা নেয়না, দেখতে
পেলেই এককাপ চায়ের সওয়াল।
পাগলের সংজ্ঞা সেটা কি তোমার জানা ?
এতো নোংরা ছেড়া ছবি তবু
যখন চায়ের কাপটা ধরাই,
মা মা গন্ধটা এতো মিঠে
শরীর জুড়াই মন,বুক ভরাই ।
পাগলের মতো আছে কি তোমার ইচ্ছেডানা ?
নিমতলায় কেনা সশ্তায় কোট,
শীতলতা প্রতিরোধক,পুরো কালো।
উস্কো খুস্কো পাকা বেশী কাঁচা কম
মুখ ঢাকে মুখোশে এতো আলো ।
পাগলের কি তোমার মুখোসের দরকার পড়েনা ?
দেওয়ার আগেই পাগলীর হাতে
গরম চা দিয়েছে আজ অন্য কেউ।
আমায় বলে তুই হয়েছিস পুরো ভদ্রলোক,
মুখভরা তার অমলিন হাসির ঢেউ।
পাগলীরে কেন তোর মতো রে হাসতে পারিনা ?
ঘরভোলা ঘর হারায় দিন দিন,
অনিমেষ অহরহ অবুঝ শীতলতা ।
অসীমে অক্লান্ত চলন, দেশ অচীন,
মৌডুংড়ী ইচ্ছে বসত চুপ চুপকথা।
পাগলীমা কেন রে বল্ পালিয়ে হারাই উথালকান্না ?
তোর কোলেই আমি ঝাপাই করিসনে করিসনে মানা।
অনুভব একা জাগে। তক্তপোষে হৃদস্পন্দন অভ্যাসজনিত আড়মোড়া ভাঙে। টুকরো টুকরো অচেতনতার মাঝখানে অনিবার্য শুন্যস্থান পুরণ। খাজাঞ্চিমন ছেঁড়া খাতায় হিসেবনিকেশ করে চলে।হিসেব মেলেনা।
কমফোর্ট জোনে নদীর কলকল,ছলছলানি অসহায়।উদ্বাস্তু শিবিরে ভিড় বাড়ে। একে একে চায়ের বেন্চের ভিড় কমতে থাকে, নিরাপত্তা কমে, আলো কমে, ভালো কমে। নিস্তরঙ্গ মৃত মানুষের যাতায়াত বৃদ্ধি পায়।
পিচগলা রাস্তায় লেপ্টে থাকে বাঁধনছেড়া হৃদয়। দুরে সরে যায় ছায়া।উত্তাপ বাড়ে। অবলম্বনহীন। সেই দুটি হাত এসে থামে হাতের উপর। শীতল আচ্ছাদন।প্রাণ ধিকি ধিকি মরেও বাঁচতেই থাকে।
অনন্ত জীবন প্রবাহে প্রতিটি একলা মানুষ খুঁজে ফেরে , আপন নক্সী কাঁথা মেলে রৌদ্রের ওম নিতে। সেই কারণেই অতি দুঃসাহসে এই প্রলাপগাথা।
পৌষালী মন গা এলিয়ে আলগোছে মাদুরছোয়ায়।
শীত আসি আসি করেও বসে থাকে রোদমাখা ভাঙা বেন্চে।
আলতো চুমুকে জীবনের চু কিতকিত।
আঁকে বাঁকে মোরাম লালপথ, অভ্যাসের রোজকার চলাচল।
আগুন পাখি খুঁটে খুঁটে খায় রেশনের মরা চাল।
ফিরতে চাই পুকুর ধারে ভারাক্রান্ত জামরুল তলায় একটি বার।
সারি সারি মৃত স্বপ্ন পার হয়ে, ঝাপসা চোখে একটি বার আলের পথে।
এই জীবনে রিক্ত ঘুঘুর তরল চোখ, আলো নেভে, কালো চাদর নিই দেহ জুড়ে।
চিঠি
নৌকার হাল গেছে হারিয়ে, নদীর ও এখন গ্রীষ্মকাল।
শুয়ে আছি, কোথাও পৌঁছনোর কোন তাড়া নেই।
ভেসে চলেছি বৃত্ত ছাড়িয়ে, চোখ জুড়ে ঘুম এক আকাশ।
তুমি চেষ্টা করছো, ঘরবাড়ি জানালা দরজা মুছে ঝকঝকে।
কথা বলা,গত সনের ধান রোয়ার সময় থেকেই সে তো বন্ধ।
কাল হঠাৎ মুখোমুখি, দেখলাম তোমার আহত নাকে বিন্দু বিন্দু ব্যথা।
ডাকবাক্স ওরা তুলে নিয়ে গেছে, একটু যে জানবো!
আছো কেমন?
অন্য যাপনের সময়।
আমি অবশ্য নয়নতারা কার্নিশ থেকে এনে আমার যে কাজের টেবিল, রেখেছি ওখানে, দুচোখ ভরে দেখি আর খুলে রাখি জানালা।
ইচ্ছে চড়ুই যদি আসে।
বেসাতি মৃত্যুর,
স্বপ্ন,
সত্য মরে,
কুড়াই অক্লেশে,
ভরে ঝুড়ি,
পথে পথে সে পথ হোক লালমাটির বা পাথুরে,
চলতেই থাকি,
হেকে চলি,
নেবে গো আজকের বাস্তব, মরা,শুকিয়ে যাওয়া মানবতা।
সুধীসমাজ,
কবির দল,
কত সুকথা অনবদ্য প্রকাশে,
শীতেও চলে জীবনের বিশ্লেষণ কফির কাপে আর মৃত সত্যস্বপ্ন চলতে থাকে জীবনের কাঁধে চেপে,
কালাহান্ডি থেকে জলপাইগুড়ি মসৃণ রাস্তা।
সকাল হয়,
রোদ ওঠে,
নবারুণ আলো জাগে না,
মরচে ধরা কোদাল,বেলচা, তীব্র কালো নিঃশর্ত সুবাস, এখানে ওখানে ফেলে যাওয়া সাপের খোলস,
একটু অক্সিজেন,
বুলডোজারের নিদারুণ আবশ্যকতা।
হতাশ নিঃশ্বাস কাজে লেগে পড়ে,
নিরর্থক জীবনের ছবি আঁকে,বীজ বোনে বোকাটে আশার,
মানুষের ভিড়,
অনুভবগুলোকে কেটে করে টুকরো টুকরো , কান্নাগুলোকে দেয় অন্তের উষ্ণতা।
মন্দিরের ঘন্টা বেজে ওঠে সঠিক সময়ে।
কার কি এসে যায়?
রুটিন মাফিক পৃথিবী ঘুরতে থাকে।
Contrdiction and confusion walk together hand in hand.
satishacharya2018.blogspot.com