Tuesday, December 31, 2024

 আবারও সেই দুগ্গা পথ


৭০বা ২০১৭,২০১৮,২০১৯ অথবা ২০২৪  ডিগবাজি খেতে খেতে সেই ২০২৪ ও তো আজ পার হয়ে এলাম, উল্লাসে ,নবজীবনে, পানশালায় ট্রাফিক জ্যামে, এসো চিৎকারে চুম্বন করি আগুনে ছাই এই সভ্যতাকে, আমরাই তো সুশীলসমাজ।


কালো নিকষ অন্ধকার, মৃত্যু সাগর উথালপাথাল অমোঘ আশ্লেষে নগ্নিত লজ্জিত আলিঙ্গন।


আর কি বেশি দিন, না কয়েকদিনেই দুগ্গা তুমি,ফনিমনসার ক্লান্ত ফুল, আমার হাত পুড়ছে মন সেও তোমার স্মৃতি ছোঁয়ায়, এভাবেই তো শেষ হয়।


পাল্টাচ্ছি পোশাক, নিজেকেও সবার মতো করে ঘন শীতঘুম,হয়তো কোনদিন আর ভাঙবেনা, একা বাউল গান সেও ওই আকাশ কালপুরুষে।


যে পথে যাওয়ার ছিল, হলো না যাওয়া,অন্য গাড়ি, দাঁড়িয়ে আছি একা অক্ষম প্ল্যাটফর্ম।


শীতের ওম নিতে তুমি হয়তো খুব ব্যস্ত, তোমার তো আর গাড়ি ধরার তাড়া নেই, আর জানো আমি ও সব ভুলে প্ল্যাটফর্মে বসে একটা বিন্দাস সুর সাধার চেষ্টায় আছি,শালিকগুলো এদিক ওদিক,গানই গাইছে,ওরাও হয়তো আমার মতো অনিদ্রা রোগে ভোগে, জানিনা।


দুগ্গা পথ কোন বাঁকে, এলোমেলো পা,টলমল করে চিন্তন, একবার যদি পেতাম আঁজলা ভরে ঘুম, একসাথে মানুষ,পশু, প্রাণ ভরে নিকষ কালো আঁধার ভালোবাসায় ,হিম তো ঝরছেই, শীতার্ত জীবন যাপন।


আমরাই সুধী সমাজ।

Monday, December 30, 2024

 নতুন দিন,তারিখ,সময়,পল.কাল. বছর

দিকহারা অবক্ষয়ে হারায় শোভনসুন্দর,

অকারণে কুহকে এই ফিরে ফিরে দেখা।

নেশাতুরপ্রান চাওয়াপাওয়ার জীবনরেখা।


জীবন জাগুক  সুন্দর পৄথিবীর অলীক স্বপ্নে ,আর গারদ ভাঙার গানে , ঠিক তো ?

 আগুন ,

আগুন শোনায় ঝরাপাতার ধিকি ধিকি পোড়া নিঃশ্বাস,

মাটি।

মাটি নিঃশর্ত আত্মসমর্পণে সঙ্কুচিত সৃষ্টির হীনমন্যতায় ব্যাস্ত আপন খেয়ালে।

আর আকাশ,

আকাশ এই তারা থেকে ওই তারায় রটিয়ে দেয় উত্তপ্ত কথা আর ব্যাথার বিচ্ছেদ আখ্যান।

মৌলিক,আদি অকৃত্রিম সময়যাপন ,

দিনজীবনে  রক্তবীজ স্বপ্নের জন্ম।

 জীবন অবিরামে বয়ে চলে,

তবু একটা বোধ অনিমেষে...


এমন একটা  বৃক্ষ যার ছায়ায়

নীরবতার হয় জন্ম মাঝসমুদ্রে।


এমন সেই আকাশপাখি যার

উড়ান ছায়াময়তার রুগ্নপদ‍্যে।


সেই জীবন্ত প্রান অহরহ যার

জন্ম মৃত্যু উপত্যকায় নিঃশব্দে।


সেই প্রাপ্তি কামনায় ওই পাগল

শহরবাউল আজ ও মরে কেঁদে।

Wednesday, December 25, 2024

 অন্ধকারের জন্য বরাদ্দ সময়, বাড়ছে,অনাড়ম্বরে।

আকাশ,সেও আজকাল বেশীর ভাগ সময়, ঝাপসা,তারদের রাখে আড়াল করে।

Tuesday, December 24, 2024

 ভাল্লাগে তোমাকেই

উন্মুক্ত, ক্রুশবিদ্ধ,

 বায়ুতে অসহায় রক্তক্ষরণ,

তবুও মৃত্যু নির্ভরশীল,এসে যায় একপলকেই কর্মকাবার । 

বাতাসী এসেছো, থাকো ,

রক্তিম হৄদপিন্ড খুঁজবেনা আর,

থাকোই আর খানিকক্ষন,সুন্দর হয়ে উঠছে পৃথিবী,অভাব নেই,আবর্জনা পরিস্কার চলছে মহাভারতের কিংবা মানবযুগ সুচনার সময় কাল থেকেই।

চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ছে অনাহারে ভারাক্রান্ত 

সুকান্তের দল, লক্ষ লক্ষ না তার থেকেও বেশি খোলা আকাশ ঝরে পড়ছে আদুলগায় ।

প্রান্তরের গান, সে তো কানামাছি খেলছে সারি সারি দেশলাই বাক্স কিংবা নিশ্চিন্ত নিরাপদ দিনযাপনের স্বকীয় অহমিকায় ,যান্ত্রিক বাক্য ও সাহিত্যের সদা আলাপচারিতায় । 

গানের সুরটি বেশ, বারবার ভরায় বিদগ্ধ মন,  আলপথ কতদিন আশ্রয়হীন? চওড়া পিচগলা রাস্তায়।

উলঙ্গ অট্টহাসি পুর্ণচন্দ্রও লজ্জায় ছেড়াশাড়িতে মুখঢাকে, আমার আলতো চুমু তোমাকেই,নিরাভরণ এই মরুভুমের চাঁদেলা

 অট্টহাসিতে ভেজা বোধহীনতার সুন্দরী পাহাড়গুহায় ।

লেদমেশিনটা মাথার মধ্যমায় সগর্ব সচল উপস্থিতিতে মন্দ্রাক্রান্তা ।


রাজার রোগে নিরাভরণ বিষন্নআমোদে তুলসীপিদিম ।

Sunday, December 22, 2024

 আমি জানি আমার লেখা মুল্য হীন, কিন্তু এটাই আমার খোলা জানালা। যতদিন বাঁচি,,,,

শীত নামছে,

  নামছে অনিবার্য রোগাটে হাড়জিরজিরে শীত।

মৃত্যুচাদর জড়িয়ে,

         হয়েছে সময় ছেড়ে যেতে হবে জীবন।

অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস,

 প্যারাগ্লাইডিঙে আকাশ ছোঁয়া সম্ভব যেটুকু। 

নিভে যাওয়া,

   আলপথ ধানখেত পেরিয়ে কান পাতা রেললাইনের ধুকপুক।

বিনিসুতোর সম্পর্ক,



    

 আকাশ ভরে কালপুরুষ,

চোখ দুটো ধুলোয় গড়ায় ।

মৄত্যু উপত্যকা জুড়ে এক এবং 

একমাত্র রবিঠাকুর,একান্ত ইশ্বর 

আর বোতলবন্দী এক কবন্ধ,

বাউল মনে বাউন্ডুলে গান গায় ।

Tuesday, December 17, 2024

 রাত আঁধারে

শীত জাগছে মনে, ফুটপাথে,

খোলা আকাশের নীচে চিন্হিত সীমায় ।

অবনী কাঁপছে, দরজাটা কে ভাঙছে?

মৄত্যুহীন বুকটা জাগছে গন্ধে হাসনুহানায়।।

 রাত আঁধার জঙ্গলে ও  চিলেকোঠায়.......


আর তারই সাথে 

আবছা ভোরে

শীতকুয়াসায় হিমায়িত সততা ,বিশ্বাস, সুমন

রোদ উঠলেই শুরু সুবাসে ,সুভাসে বাস্পায়ন ।

Monday, December 16, 2024

 একটি জীবন 


রাত গভীর 

এইপাড়া,ওইপাড়া, মরা মানুষ, নারী ও পুরুষ, পৃথিবী নামক গ্রহ।

ভার্চুয়াল পৃথিবী, মুক্তাঙ্গন,আবর্তাকার, পাঁচিল আরও উঁচু।

ভালোবাসা , বায়বীয় কল্পনা,আই প্যাড থেকে ধানের খেত ,অব্যাকারণ।

আবছায়া সকাল 

ঝরে,বিবর্ণ হৃদয়,প্রান্তসীমা,উঠোন জুড়ে, স্তব্ধ, একাকী চলাচল, মৃত বাতাস।

ফিসফিস, অনুরণন, নিঃশব্দের গান, শীতার্ত দুই চোখ, ভারাক্রান্ত সময়।

অপ্রাণ, নিয়মমাফিক, বাধ্যতামূলক কসরত, ধিকিধিকি, আগুন, একমুঠো।

ক্লান্ত সন্ধ্যা 

চরাচর, এবড়োখেবড়ো, ব্যর্থ পদাবলী, মাধুকরী,বক্সখাট,বন্দী , ভালোবাসা,গিটার।

কাছিম ঘর,সীমা, নুইয়ে পড়া, চাহিদা,নেভা জ্যোৎস্না, সম্পর্ক, আর্কাইভ।

নিরন্তর আশ্রয়, চিলেকোঠা স্বপ্ন, মৃত্যুর অবসন্নতা, আকন্ঠ কামনা, নিবৃত্তি।



 

Sunday, December 15, 2024

 জীবন চিরন্তনী

শুন্য দিয়ে শুরু শুধু নিরাভরনে,

আভরনে সাজানো জীবন যতনে ।

ঝরা পাতায় আবছা মায়ায় 

জলতুলিতে আঁচড় কাটি সাদা ক্যানভাস।


পুতুলের বিয়ে,প্রথম শাড়ি ,রবিঠাকুর মনে,

লুকিয়ে শরৎ মুখোপাধ্যায়, প্রেম হৃদয়কোনে।

একলা পাহাড় ভেঙ্গে স্বপ্নসিন্ধু

এতো আলো ,ভিজে সুরজমুখী পাগল বাতাস ।


মধুর জ্যোৎস্নাকুটির, শ্বামী আর সন্তানে 

আবেগে ভালোবাসায় অনুরাগে সযতনে ।

আধারে মিলায় কেন ছেড়ে যায়

ঘর, মুঠোয় হাত,কুসুম বন আর বিশ্বাস ।


মন পোড়ে কেবলই ফেরে পিছন পানে,

একে একে হারায় সব একান্ত গোপনে ।

জীবন মরণের সীমানা ছাড়ায়,আমার

ছোট্ট উঠোন,শাড়ি লালপাড়, একলা আকাশ ।


তবু আশা নারী আমি ,আমি ত্রিনয়নে

দহনে, পীড়নে ,বাঁচি রক্তবীজে, আত্মহননে ।

সব হারিয়েও জাগি নতুন ভোর 

একটাই তো হৃদয়,চাই বুকভরে একটু নিঃশ্বাস ।

 ইতি অন্যান্য


মরিচঝাপির  নয়া আবাদ ,

 ফসল মরা ঘাস,

ঘোলাটে সন্ধ্যায় সেজে উঠেছে রিসর্ট, 

বাংলায় অনুবাদ করলে মনে হয় একটু নিরূদ্বেগ আশ্রয়ে নিজেকে বিপনণ।

ভাঙা রাস্তায় চাঁদোয়া সাজিয়ে সর্বরোগ নিরাময়ের নিলামজারি।


মুঠো মুঠো পলির মাঝে ভাঙা নৌকায় আটকে আছে সবটুকু  আবেগ অনুভূতি,

 এমনকি পাগল ভালোবাসাও পুর্ণগাভি জোয়ারের অক্ষম অপেক্ষায়,

সান্ধ‍্য জলসায় বাধ‍্যতামুলক অনাবৃত উপস্থিতি।


আমিটাকে , আমার সেই আমিটাকে রম‍্য সরোবরের পাশের মরা শিমুলগাছে ঝুলিয়ে রাখা , 

খোলা জানালা দিয়ে উঁকি মারে প্রেতাত্মা,

জোনাক আলোয় স্বপ্ন সন্ধানী ভিজে কিশোরী শামুকমেঘ।

Saturday, December 14, 2024

                আবহমান 

সতীশ আচার্য্য

অদ্ভুতুরে এক আবর্ত ,

                 হাজার বছর, বেপথু চলাচল।

 জানি কি?

 কোনটা ঠিক বা বেঠিক?

কেন ঠিক,কেনই বা বেঠিক?

দাঁড়িয়ে সমাজ নামক বায়বীয় অনুশাসন,

 সামনে রেখে  নিয়মযাপন,

        খাড়া অজুহাত 

                       হয়েও বা যাচ্ছে

                                   সেটাই সঠিক ।


 মানুষটা,

  পড়াশোনা না করেই,

দেশি বিদেশি সাহিত্য, বিজ্ঞান বা আরো সব বিষয়, 

         না। 

 তবু বাগানে  পলাশ,জলশালুক।

 রেলগাড়ি এগিয়ে চলে, 

     পেরিয়ে যায় একটার পর একটা স্টেশন,

জানালার ওপাশে  কাশফুল আলতো হাওয়ায় শরীর হেলিয়ে দুলিয়ে ,

আদুরী কথা।

নেভা জ্যোৎস্নায় আকাশ থেকে নেমে আসা চেনা অচেনা তারার দল, 

আঁকে জীবন জলছবি,    

ঘুম ভাসে, আমোদিত ভালোবাসা,  ভিজে ভালোবাসা জাগে,সকাল হয়ে ।

মনের মাঝে একটা বোধ কড়া নাড়ে, অপরিমেয় অজানার মাঝে, 

সারাদিনের শেষে,

       পিদিম আলোয় , সবুজ বেলা,

 মাদুরে গা এলিয়ে গোবর লেপা মাটির দাওয়ায়  জীবনকে ফিরে দেখা।

তরতরিয়ে , একলা নীরব পাহাড়ের চূড়া,  নেই  পাখির কোলাহল, নীচে অথৈ সমুদ্র, অনবরত ধাক্কা দিয়ে ডাকে ,আয়,আয়।

ছুড়ে ফেলে দিই সব পুঁথি পড়া বিদ্যে। 

শূন্য হই, 

            হই সম্পুর্ন।

মানুষের গান, জ্বলে তুলসী পিদিম,কাল,আজ,আবহকাল।

Thursday, December 12, 2024

 বর্ণহীনতার চাদর মুচকি হেসে মেলে ধরে অলস গল্পগাথা।

মরা টেবিলে আলগোছে মুখ লুকায় শ্যাওলা ধরা নীল ব্যাথা।

তবুও মোহরিয়া গান থাকে ,জাগে , তোমার আমার হৃদয়ের কার্নিশে।

সান্ধ্য ভালোবাসার তারাদল ইতি উতি, দুরে সরে কাছে আসে।


 বারে বারে ফিরে দেখা, সেই পথ,সেই চলন।

আজ কোথায় কেন, প্রশ্ন উত্তরহীন, অথৈ পতন।

Wednesday, December 11, 2024

 অধৈর্য্য হৃদয়ের ধুকপুকানির মাঝে এলোচুলে আসে শীত।

নিভে আসা সকালের ছটফটানি কমে বাউন্ডুলে মনে সম্বিত।

উত্তাপহীন উত্তুরে হাওয়ার চোখে চোখ রেখে বেতাল হারমোনিয়াম।

ছন্দ ব্যাকারণ পাশে ঠেলে বুকের মাঝে অমোঘ খৈয়াম।

শীতার্ত সুরমা মৃত দুই চোখে।

Tuesday, December 10, 2024

 এতো সহজে ভরা মৃত্যময়  এই বধ্যভুমি

নিদ্রাহারা আঁধারে তীব্র আগুন জ্বলছে ,

তবুও পশুবনে সকাল কি একান্তই আবশ্যিক ?

এই রাত হোক দীর্ঘায়িত অন্ধত্বময়।

Monday, December 9, 2024

 হাঁটতে হাঁটতে পেরিয়ে এলাম ঘরের দরজা, চিনতে তো পারলাম না।আকন্ঠ ফিরতে চাওয়া।কোন দরজা দিয়ে যে এসেছিলাম,ঠাহর করতে পারিনে।

Saturday, December 7, 2024

 প্রাণ ফেরে মরে


যে দিন যায়,ক্ষয়ে কাঁদে ,ফিরে আসে না, 

সুখ কিংবা অসুখ পথ ভোলে কোথায় হারায় ।

বছর বছর ভেসেই যায় ক্ষ্যাপা দেয় ডুবসাতাঁর,

সেই যে  পাওয়া  ভরা জ্যোৎস্নায় পরশপাথর ।


সেই আশ্বিন কোথায় যে হারিয়ে গেলো……


মনোময় অন্ধকার আজ ছাতিম গন্ধে পাগল,

আপনভোলা পথ ছাড়ায় মায়া ইছামতী ডাকে

ভাটিয়ালী মায়াবন ।এখানেই সেই হারিয়ে যাওয়া

ইচ্ছেনদী?দাও দাওনা আমার সেই মুক্তধারা পরশপাথর ।


সেই বনফাগুন মনআগুন কে যে নিভিয়ে ভেজালো……….


কিশোরী প্রেম,কাঁপা হাত পড়তে দেওয়া,লেখাটা 

হয়েছে কেমন ? কাল বা পরের দিন অপেক্ষা অন্তহীন ।

অবসর যখন হলো, যে দিন যায় ফিরে আসেনা ।

যখন পড়া হলো. বোঝা গেলো, কোথায় কোথা যে সে ?


এতো জল কে যে অশ্রুনদী বানভাসি অকুলে হারালো…..


আকাশআয়নায় নিশির ডাক, উড়োপ্লেন গুলোর কাঁটাকুটি

মুখটাই অদেখা, তবুও হাঁটাচলা ,হাঁতরে জাগা রাতভোর

বিকলাঙ্গ মন এখনো আঁধারসুরা পানে খোঁজ কোথায় 

ঝুলিভরা পিতৄমুখে পুরাণ,উপনিষদ্,আর গোপন কিশোর শীতপ্রেম ।


দড়িতে ঝুলে মৄত প্রাণ কে যে কেন যে নামালো……..

Saturday, November 30, 2024

 পুঁজি একটি জীবন, 

একমুঠো সময়কাল।

সেই জন্মকাল থেকে আজ এই পড়ন্তবেলা, সময়ডায়রির প্রতি পাতায় কেবল কাটাকুটি খেলা।

উঁকি আলো ধিকি ধিকি,

বট পাকুরে স্থবির পারাপার।

বৃদ্ধ যৌবনের শুক সন্ধ্যাতর্পণ,

ইতিস্মৃতি তোমার আমার।

আঁকড়ে ধরে রাখা।

পিছু হটতে হটতে ক্লান্ত,পিঠ ঠেকে যায় 

বিবর্ণ হলদেটে মরা দেওয়ালে।

খোলস শামুকের, ঢুকতে ঢুকতে শেষ  প্রান্ত , 

ঠোঁট শুধু জীবনচোটই ছোঁয়ালে।


 দিন যায়,ক্ষয়ে কাঁদে ,ফিরে আসে না, 

সুখ কিংবা অসুখ পথ ভোলে,

 কোথায় হারায় ?

বছর বছর ভেসে যায় , ডুবসাতাঁর,  ভরা জ্যোৎস্নায় পরশপাথর ।

 আশ্বিন কোথায় ?

মনোময় অন্ধকার 

 ছাতিম গন্ধ পাগল,

আপনভোলা পথ,  মায়া ইছামতী ডাকে,

ভাটিয়ালী মায়াবন ।

ইচ্ছেনদী?

 মুক্তধারা পরশপাথর ।

বনফাগুন ,মনআগুন ।

কিশোরী প্রেম,কাঁপা হাত পড়তে দেওয়া,লেখাটা হয়েছে কেমন ? 

কাল বা পরের দিন অপেক্ষা অন্তহীন ।

অবসর যখন হলো........

যখন পড়া হলো....... 

অশ্রুনদী বানভাসি ,অধরা মাধুরী।

আকাশআয়না, নিশির ডাক, উড়োপ্লেন গুলোর কাঁটাকুটি

মুখটাই অদেখা, তবুও হাঁটাচলা ,হাঁতড়ে

 জাগা রাতভোর,

বিকলাঙ্গ মন , আঁধারসুরা পান, খোঁজ কোথায় ?

ঝুলিভরা পিতৄমুখে পুরাণ,উপনিষদ্,আর গোপন কিশোর শীতপ্রেম ।

অন্তহীন ঝুমুর গান।

দড়িতে ঝুলে মৃত প্রাণ কে যে কেন যে নামালো……..

Friday, November 29, 2024

 পাগলমন

মনে শীত পড়ছে, দরজা জানলা বন্ধ কপাট সব,

রুদ্ধ আলো,শৄঙ্খলিত বাতাস, নীরব কান্না কলরব ।


কুয়াসা ঘিরে ধরে কালো চশমায় প্রেতের সারি,

জগদ্দলে শিলায়িত পুরুষ, বন্ধ্যা নিজঃশ্বলা নারী ।


ইচ্ছায় জাগেনা কলম, কি এক মেঘলা অলসতা,

সব ভুলিয়ে শ্মরণে আঁধারে হারায় বোবা কথা ।


বরফে সঙ্কুচিত হাত ও পায়ের আঙুল ,শুধু দরকার তো

দুমুঠো ভাতের স্বপ্নে একটু ছাদ, বাঁচা খামারে পশুর মতো ।


মরে বাঁচা না বেঁচে মরা, বাতাস এতো ভারী এতো বিস্বাদ,

কায়াহীন কাগতাড়ুয়া দাড়িয়ে একা চারধার শুধুই অনাবাদ ।


ভালোবাসা,আবেগ,অনুভুতি,চিন্তন সবই তো বন্ধক ।

মনটাকে কোথায় যে রাখলাম?হায় রে জীবনকুহক..

পাগলরে পাগলমন কোন গহনে  ?

Wednesday, November 27, 2024

 অবসন্ন সকাল,মন আরও অবসন্ন, খুঁজে ফেরে আলপথ, বসে নিষিক্ত আকাশ মিনারে।

ঘোলাটে শ্যাওলা বাসা বাধে ধাপে ধাপে ঝাঁঝরা হয়ে যাওয়া বুকের মাঝে, অবসন্ন।

পালাতে চাই। তীব্র নীল যন্ত্রণায় যতবার বাঁচতে চাই আঘাত আসে,নিদাঘ নিঃশ্বাস।

একটি মৃত্যুতে যৌবনের কি যায় আসে, তফাৎ যাও, হারিয়ে যাও,বেশ আছি দুষিত অবগাহন।

মরেও কি থামে চলাচল? ইচ্ছে কেন বাঁচে অন্ধকারের ভাঁজে ভাঁজে? আনন্দকালের আশায় আজ ভেসে যায় অমোঘ আত্মসমর্পণে।




Tuesday, November 26, 2024

 কিছুই তো হলো না ,

 জীবন ঝরে শুন‍্যতায়।

দিন রাত্রির কাব‍্যগাথা,

অর্থহীনে ছেঁড়া খাতায়।

রোজদিন ভাঙে ঘুম ,

অবুঝ ভোরের প্রতিক্ষায় ,

চলা ফেরা, 

ফিরে দেখা,

বেলা বয়ে যায়।

 হেমন্তের দরজা ভেঙে এসে বসে পাশে বৃত্তাকার অন্ধকার।

Thursday, November 21, 2024

 ঝিম ধরা হেমন্ত, বিষন্ন সকাল,খোলা জানালা,বসি চেয়ারে, কার্নিশ নয়নতারা দোলে।

বুজে আসে চোখ,রবি বাউলের গান,একলা চরাচর, ফিরে দেখা,ওপেন টি সত্যি না বায়োস্কোপ।

সে...…. ক্ষয়িষ্ণু স্মৃতি, নিরাপত্তা,রোগ ডিমেনশিয়া,সময় বের করে এসো,খেলি সাপলুডো।

টিক্ টিক্,সময়,ব্যস্ত ঘন্টাঘর, নিয়মমাফিক সকাল বা সন্ধ্যা,কাল অন্য চরাচর।

যাবো সব মুছে, অন্য ভুবন, নিয়ে যাবো বুকে  কেবল হেমন্ত আকাশ।

Tuesday, November 19, 2024

 আঁধারসুরা পানে পুরো পাগল, চলা পথে দিকহারা 

আলো নয়, সকাল নয় ,থাকো তুমি  আকাশতারা ।

চুপিচুপি মনজানলা খুলি, 

শুরু হোক না কথাকলি ।

ভাসিয়ে ভুলি লড়াই হারজিত. হাসি কান্না,হয়ে যাই আপনহারা 

আলো নয়, সকাল নয় ,আজ থাকো তুমিই জীবনের  নয়নতারা ।

আমার আকাশতারা।

Monday, November 18, 2024

কারখানাটা ভালোই চলছে,

উৎপাদিত হচ্ছে আদর্শ স্বপ্ন, আবেগ, অনুভূতি এবং তথাকথিত ভালোবাসা।

সবই সঠিক পরিমাপে ,যার যা প্রাপ্য, উল্লসিত গোটা জীবকুল।

কেবল কারাগারে অথবা মৃত্যু দুয়ারে কয়েকটি কীটের অনাবশ্যক আদিখ্যেতা।

মেকি শুভ কামনায় নিজ নিজ দিন আরামসে অতিবাহন।

মনকুষ্ঠ ভালবাসার,

নীল নগ্ন ছায়াময়তা ছিল, আছে ,থাকবে,

মুখোস স্বার্থপরতার, 

কবি পুর্ণিমার চাঁদে জীবনের ছবি আঁকবে।

আঁকবেই।

আর আমি, আমি বাপু নিজের মুখোশে পলেস্তারা লাগাতেই থাকবো।

কারখানার ভো কি আর বাজে?

নিঃশব্দ শব্দময়তা।

Sunday, November 17, 2024

 হাজার দুয়ারী মন,এইপথ সেইপথ  বানভাসি চলন,

ফিরে যে আসে ছায়াপথ ,নির্মোহে  পরমে নিবেদন।

 আঁধারে আগল খুলে সীমারেখা মুছে যায় ।

এদিক আর ওদিক উড়োজাহাজের লুকোচুরি

আকাশ জুড়ে ।কোথায় রাখি সুখ  অসুখ ?

এক ফুঃ মোমআলোও নিভে যায় ।

Saturday, November 16, 2024

 ক‍্যানেস্তারা বাজছেই সভ‍্য সুধী সমাজ উন্নততর,

একটু শীত ক্রীমের প্রতিক্ষায় ভোর থেকেই কালো চামচিকে এবং একটু বৃহদাকার বাদুরের দল।

সময় হয়েছে ,একজোট হও ঝরাপাতার দল,

আশু প্রয়োজন একটি দেশলাই কাঠি উত্তাপ,

সারপেনটাইন লেন,পথঢলতি অভ‍্যাস কাব‍্যবিলাস আব‍্যশিক ।

কিছু কি যায় আসে?

Friday, November 15, 2024

 কান্ড ঘটেছে বটে ,

প্ল্যাটফর্মে সেই মানুষটা,

                    একটু বুড়োটে,

                              শ্রান্ত মধুমেহী,

মনে এবং হৃদয়ের  প্রতিটি কোণে নীলের আধিক্যে ভোগে।

এখনও আছে দাঁড়িয়ে,

কত যে হাজার বছর।


আশে ও পাশে কাশের বন,

           তাকেও ছাড়িয়েছে,

দু চারটে কাশফুল আজ ও শীতেলা দরজায়।

রাসুরে চাঁদ ফুটি ফুটি ধরেছে বৃন্দগান।

এখনও দাড়িয়ে ,

এই লাইনে বহুদিন হলো ট্রেন ভুলেছে তার চলাচল।

দ্বিধান্বিত জ্যোৎস্না এখানে নামমাত্র দেখা দিয়ে এগিয়ে যায় একে একে সুখী ও ক্ষুধার্ত জানালায় ।


Tuesday, November 12, 2024

 কি চোখে দেখি? সাদা না কালো?

আলো আর অন্ধকার কোনটা প্রিয়?

ভালোবাসা কি স্থান পরিবর্তন করে?

পেয়ে না হারিয়ে হৃদয় হয় শান্ত?

সব ছাড়ার কি কোন বয়স আছে?

এক নারীর প্রতি বিশ্বস্ত থেকেও কি দ্বিতীয় নারীর প্রতি স্বার্থহীন ভালোবাসা থাকতে পারে?

Sunday, November 10, 2024

 রোবট গুলো ভিড় করে আছে প্রতিটি শুন‍্যশ্থান,

মনন নেই, চেতনা মরূভুমে, ভালো কি সেটাই তো অচিনপুর, ভালোবাসা ভোকাট্টা, কেবল ই নিজেকে দর্পণে দেখা।

কাগতাড়ুয়া তুমি তো পুড়ছো,ভিজছো, এতো আলোয় চোখ তো ঝাপসা,  

কফি হাউসটা তো ও বন্ধ‍্যা, 

তুমি চোখ বুজে জাগো কাছিম উন্মাদনায়,

শ্বার্থপর জীবন তো একটাই।


Thursday, November 7, 2024

 যখন ভালোবাসা নামে উদ্বাহু নিভে যাওয়া প্রান্তরে ,

 অমৃত আবাহনে স্তব্ধ সময় নীল যমুনার দু চোখ জুড়ে ।

ঝিরিঝিরি নারিকেল ভিজে পাতা একে চলে আদুরে ছায়াছবি,

তুমি আমি লুকোচুরি একাকী স্নানের ঘাটে জ্বলি আর নিভি। 


Monday, November 4, 2024

 আঁধার ভুলে ঘাসের মাথায় জমছে শিশির মুক্তোকণা,

 হারিয়ে হাসি চোখের জলের ভিড় বন্যাচাঁদে ,

 এতো ভিজেও রাসের পথে কৄষ্ন না রাধে ।

 প্রিয়সখাহে

প্রিয়সখাহে তোর সাথেই গেছোপ্রেম, 

তোর কাছেই উজার আমিটুকু ।

বন্ধু কতদিন তোর সাথে অদেখা 

প্রিয়তম বন্ধু তুই যে আমার ।

বাবার হাত ধরে প্রথম পরিচয়,

বোধনের সন্ধ্যা পিদিমের আলোয়,

দুগ্গার চরণ এই ধুলিধরায় ।

চোখের জলের বাঁধ ভেঙে যায় বন্যাধারা

দিন পর দিন ভাসায় ,পালিয়ে হারায় ।

কত সাঁঝবেলায় তুই আমাকে বাঁচিয়ে তোর ছায়ায়,

তোর আলিঙ্গনের ফল্গুভালোবাসায়,কত গোপন কথা

তোর সাথেই ,সকাল আর এই শেষবেলায় রবির আলো

সেই কথা মনে করায়, কত অন্যায় কত ভুলে স্বীকারোক্তি ।

সেই মাঠ, আমের গাছ ,পুকুরে ঝাঁপ,শসার ক্ষেত ,দৌড় দৌড়

বন্ধু কতদিন তোর সাথে দেখা নেই ।

যখন তুই আমাকে পাশে রাখতিস ,অনন্ত অবসর

আজ আর ফুল ফোঁটেনা ,বুনো ঝোপ ,কোথায় কোথায়

বড়ো একা লাগে. তোকে ছুঁতে বড্ডো ইচ্ছা করে,

দেখতে মন লাগে পিদিমের আলোয় ধুপশিখায় ।

ভাঙাচোরা দুখরাশি এই দুর কংক্রিটে জঙ্গলে

ঘন্টার আওয়াজ কানে আসে ,ভাগ করে

সব তোর সাথে জীবনসখাহে,

কানে কানে,প্রিয়সখাহে আমার ভালোবাসা মন্দলাগার

ভালো থাকিস ভালোবেসে

আমার আপন একান্ত প্রেম শিশু ভোলার বেলেরগাছ ।

আজ এই পথভোলা বুড়ো বয়সেও তোকে…….

Sunday, November 3, 2024

 পাঁচালী 

মৃত মানুষটার চলাফেরা আগোছালো,

চোখে প্রতিবিম্বের এলোপাথাড়ি চলন।


চলতে চলতে কেবলই পিছন ফিরে দেখা,এক অন্তহীন আবছায়া সামনে দাঁড়িয়ে বিদ্রুপের হাসি ছড়ায়।শুন্যর সাথে শুন্য যোগ করে যাপনবেলা অ-সমে এসে থামে।

অব্যক্ত মন কারাগার

                       কিসের খোঁজ,

জীবন শ্রোত অন্তহীন,

                            অবিরাম ।

জন অরন্য ,

                অহেতুক বিকিকিনি,

ঝরে যায় প্রত্যেকে,

                        বড় বেশী দাম।


তখন সেই ন্যাঙটো বেলা, বাড়ির পাশেই ধাইমার বাড়ি,নিকোনো দাওয়া, বাঁশের বেড়ার ঘেরাটোপে আমার দিনের অনেকটা কেটে যেতো। দুটি মৃত সন্তান যোগ করলে আমি নবম জন। ভিড়ের চাপে একপেশে সহবাস। হামাগুড়ি জীবন।

তখন এবং এখন।

ক্লান্ত শরীর, 

            শৄঙ্খলিত মন ।

দেখি,আদুরে রোদ্দুর, সন্ধ্যা নামতেই এসে বসে একলা শ্মশানমন্দিরের মরাচাতালে। সহযাত্রী।ঐ একজায়গাতে মনে হয় আমার মতো চরিত্রহীন মানুষটি একটু স্বাধীন স্বেচ্ছাচারের জায়গা খুঁজে পায়,নীল জ্যোৎস্না।কে যেন সব বাঁধন,আগল দেয় খুলে। শান্তিতে মরি। মৃত মানুষ।

সবার কাছে নিতান্তই অপ্রয়োজনীয় , শিশুকাল থেকে  কাউকেই তো খুশি করতে পারলাম না, আমার না পারা সক্ষমতা,দোষ, স্খলন সবার খাতায় কেবল আঁকিবুঁকি কেটে গেল।

উত্তুরে হাওয়ায় ক্লান্ত ভোরের এজমালি রেওয়াজ।

কলোসিয়াম ভরা দৃষ্টি, দুই টলোমলো পা ভেজে নিষিদ্ধ পল্লীর কেনা বীর্য পতনে।

ওরা দেখছে, হাসছে, সশব্দে।

ঘেন্না নিজেকে, খড়ের চালা ভেজে,পচে,কেন্নো ঝরে টুপটুপ, দাওয়া জুড়ে এখন রূদ্রপলাশ।

উত্তাপহীন সমুদ্রে উথাল পাথালের আনাগোনা। আমার থাকা বা না থাকা পৃথিবীর ঘূর্ণনকে কোনভাবে প্রভাবিত করে না। বৃত্ত বাইরে গেলে ভুলে যায় বৃত্ত গ্রামের বাসিন্দারা, তবু মৃতচলন।

আবছা  উদাম আকাশ, 

বাতাস কাঁপছে  শীতেলা কান্নায়,,

আমি কেন, কোথায় ,

হৃদমাঝারে পানকৌড়ি আদুল গায়।

প্রাইমারীর টালির চাল টিপ টিপ ভিজে বেন্চ,মরা তো প্রতি নিঃশ্বাসে, এরপর আর তো প্রথম বা দ্বিতীয় হওয়া, হলো না কোন জীবন পরীক্ষায়। মাস্টার্সে পন্চম, ওইটুকুই। Obviously স্বপ্নসন্ধানে আমি ভোরের পাখি। আর কিছু পারি বা না পারি।

অ-বোঝা , 

অনিমেষ আকাঙ্ক্ষা,

আকাশ মিনারের খোলা জানালায় নিঃশ্বাস।

নিজের মতো ভাবার স্বাধীনতা নিয়ে গলাকাটা মুরগির মতো কাটিয়ে দেবো মৃতজীবন, কাটিয়ে দেবো, বাঁচিয়ে রাখবো হাজার বছর ভালোবাসার চোখদুটো আমার নাভি কেন্দ্র।নিরাপদ কুঠিবাড়ির বসবাস আমার নয়।

দাঁড়িয়ে আছি একা প্ল্যাটফর্মে,ট্রেন ওড়ায় ধুলো,মুখ ঢাকি তেলচিটে বালিশে।

ঢোল কলমী বনে নিরুদ্বেগ বেহুলা গাঁথে মালা। 

সন্ধ্যা আর সকাল মুখোমুখি।



Thursday, October 31, 2024

 শৃঙ্খলিত জীবন,

 অন্ধ আবর্তে খুঁজে মরা

ভুলের বোঝা,

বেলাশেষে গোধুলিবেলা,

  হল  সময়,

খেলাঘরের দুয়ার খোলে, 

অমোঘ আহ্বান আকাশ হবার।


করার ছিল কতকিছু,

দীর্ণ সন্তাপ।

আপনবৃত্তে রাজাসাজা, 

অলসবিলাসে  জুড়ায় পরাণ ,

পল,ক্ষন অব্যয়,

অখন্ড অবসর,

সময়ের ডাক,

 জীবন গারদের বাঁধ ভাঙার।

পৃথিবী সুখে থেকো,

শুভকামনায়  চলমান মৃত কীট।

 বনকুসুমের গন্ধে পাগল উদার সকাল,

কৄষ্নকলি , ভুবনডাঙা ,দামোদর,মাঠ প্রান্তর ।

পেয়ে হারায় ,একলা কাঁদে উদাস বাউল খোঁজে 

রাঙাধুলোয় ,হলদে সবুজ সরষেক্ষেতে, পরশপাথর।

 

Tuesday, October 29, 2024

 গহিন গাঙ,ভাঙা তরী,কোথাষ পার ?

একলা মাঝি ,উথাল পাথাল অরুপআধার ।

চরৈবতি চরেবতি ,খুঁজে পাগল দীন মধুকর  ।

সাই দে চিত্তপালে অনন্তপরশ,জাগা জীবনভর ।

      

 একটি কালো কবিতা

পথচলতি পাগলা হাওয়ায় চিতি সাপেরও আড়মোড়া ভাঙে,

নীরবতার একটা কালো কবিতা অন্ধকারেই সাজায় অবনী ।

মৄত্যুতেও শুরু হয় এক নতুন ঝরঝরে অশ্রুত রাগবাহার।

ফোঁসফোসানী শুরু করে চিতি , শিকার অথবা নিজেই শিকারী ।


আমি কে ?এই আধাঁরে কেন ,কালোতেই তো প্রতিবিম্ব সুস্পষ্ট,

কৄষ্নসাগরে ঝাঁপ দেবার আগে অবনী আর কালোচিতি এক আত্মা ।

নিস্তব্দতার কবিতা , আখরমালা সাজে আপন সুরে ফিরে মৄত্যুগহ্বর ,

হেমলক তুই এতো তরল ,এতো তীব্র আবাহন ,বড়ো নিবিড় সুনিবিড় ।


তাপচুল্লীর দরজা খোলে ক্ষনিকতরে, চোখ ধাঁধিয়ে তীব্রছটায় সুতীব্র,

এতো শীতল আবাহন , কৄষ্নসার হরিণ এই তাপে পোড়ে না পুড়েই ছাই ।

দিকহারা নিকস মধুময় প্রেমে অপ্রেমে আস্টেপিস্টে জড়িয়ে আলিঙ্গনে আঁধার,

অবনী তার উদ্দাম আবেগে বন্ধ করে সব জানালা দরজা সব সব কপাট ।


জেল সেলুলার ,আবেগ অনুভুতি হাতে পায়ে লৌহশৄঙ্খলিত জীবনচেতনা,

কালাপানির ঘুম ভেঙেছে কালোমনে এদোল ওদোল চেনা মুখের ভীড় ।

মহামিছিলে এমন নোনাচোখ, প্রবাহমান কঙ্কালে টঙ্কারে মৄত্যুগীতিকা ।

চোখ বুজে আসে ,মধু আবেশে অন্ধকার তোকে জড়িয়ে মরে বেঁচে ডুব,

কৄষ্ন সমুদ্র মরণে ভেসে চলে জীবনভেলা  ।।

Sunday, October 27, 2024

 প্রভাতরবির অমল আলো

জীবনকোপাই ঝিকমিক

নতুন করে জেগে বাঁচা,

হোক না মনস্বপ্ন অলীক ।

Wednesday, October 23, 2024

এতো বৃষ্টির মাঝে চোখ হয়ে যায় ঝাপসা, তবু প্যান্টের দুই পকেট ভর্তি স্বপ্নে,

আছি বেশ।

কাজ ছেড়ে দেখি আকাশের বুকের দুরূ দুরূ, আচম্বিত আশঙ্কায়,

সকালের শেষ।

দৌড়ে গিয়ে চেয়ারে বসি একা , চোখের সামনে, শুন্যের উঁকি ঝুঁকি খোলা জানালা,

দুপুরের শ্লেষ।


Tuesday, October 22, 2024

 স্থবির

আচ্ছা, কোন বাসে উঠি ,পৌছুতে হবে সঠিক ঠিকানায়

দাড়িয়ে আছি এক্সাইড মোড়, ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়েই

কত নম্বর বাস ,মনে আসছেনা কিছুতেই চেনাপথেই ভুলভুলাইয়া

আমি যে এখন কি করি, ওই পাগলটাও তো একটা পা তোলে

আর নামায় ,স্থবির একই জায়গায় ।

 

দক্ষিণেশ্বরে মাকে প্রনাম,শিবের মাথায় জল গঙ্গাস্নান শুদ্ধমন,

বেলুড়ে তুমি রাম তুমিই কৄষ্ন, মনপ্রাণ তোমা পানে ধায় ।

ফেরার পথে শ্যামবাজার গোলবাড়ি কষামাংস দুটো করে রুটি,

গৄহে পত্নি প্রেমে গদো গদো বাইরে মন এদিক ওদিক চায় ,

একই রুটিন মন ,স্থবির একই জায়গায় ।


ইঁদুর দৌড়, বাঁশে যতই তেল মাখানো থাক নবনব রুপে

ইশ্বরের নামে কত্তা ভজন টিকে তো থাকতে হবেই ।

হলদেটে শেষের কবিতা, ফেসবুক আর হোয়াট্স আপে 

অমর হয়ে যায় লেখনী রুপে কি-প্যাডের অক্ষরমালা ।

অচলায়তন ,স্থবির একই জায়গায় ।


কাজের মাসিটা বড়ো বেয়ারা, কামাই করলে চলে ?

ফ্যাশান শো এর আরেন্জমেন্ট, সবাই কন্ট্রিবিউট করবে

অনাথ আশ্রমে দান,সাংবাদিক কুল কেউ বাদ পড়েনিতো ?

এর মাঝে আবার রান্না, দুর একটা ফোন ডোমিনোজ আর

সচিত্র স্ববিজ্ঞাপন , স্থবির একই জায়গায়


সময় অফুরান,

বলতে পারেন বাসের নম্বরটা ??

Monday, October 21, 2024

 মাদমোয়াজেল,

মাদমোয়াজেল আপনি মনে হয় এখন স্বামী, সন্তান প্রতিপালনে দিয়েছেন মন এবং হৃদয়।

মাঝে মাঝে হোটেলে খাওয়া দাওয়া, শীততাপনিয়ন্ত্রিত ঘোরাফেরা, পোশাক আশাক, গয়না ভারী‌।

আমি অবশ্য পিচগলা পিচ্ছিল রাস্তা বেয়ে চলেছি ছায়াময় এবং উলঙ্গ মৃত্যু উপত্যকায়।

হেমন্তের আবছায়া সকালে আলপথ আর কালকেউটে আলিঙ্গন ছেড়ে পায়চারি কঙক্রিটের আলগা ছাদে। মৃতপ্রায় তারাদের ফিসফিসিয়ে বলে, ছেড়ে যাও,দুরে যাও,যাও মরে।

কাস্তেটা হারিয়ে গেছে,অনেককাল হাতছাড়া।

অনাবশ্যক জীবনে আকাশ মিনাkরে, চেয়ার টেবিল আর কাগজের ভীড়, হৃদয়টাও প্রাণহীন, ঠিক যেমন গঙ্গায় ভেসে চলা ক্লান্তি হীন পেটফাঁপা গোশাবক।সঙ্গী দলের কচুরিপানা।

মেঘের দেশ থেকে তুমি এলে, এবড়োখেবড়ো ফুটপাতে ধরলাম ডানহাত। তোমার। ওটাই তো দিয়েছিলে। বাড়িয়ে।

মাঝে আসে সুদীর্ঘ অনুভূতিহীন শীত। স্বপ্ন সন্ধানী জীবন নিতান্তই স্বার্থ রক্ষায় অপারগ।

তুমি এখন আরও বাস্তব সুন্দর। মগ্ন ট্রাপিজ খেলা, দীর্ঘতাময়। দেখি। কতো যে কথা বলি নির্লিপ্ত না বলায়।

এগিয়ে যাই। একলব্য উপত্যকা।আরেক জীবন। বাড়াও হাত। ঢোল কলমী সারি পাশে রেখে এগিয়ে চলি ছাতারের কিচিরমিচির সম্মোহনের আবেশে।দাওয়ায় বাঁশ খুঁটিতে গা এলিয়ে ভিজতে হবে আমোদিত রোদ্দুরে।

মাদমোয়াজেল,ডান হাতটা।



Sunday, October 20, 2024

 এরপর , 

তুমি যখন খুঁজবে আকাশ,মাটি,

কালঢিপি,আমাকে ডেকো।

এরপর , 

তুমি যখন দিকভ্রান্ত, খুঁজবে অবলম্বন, আমাকে রেখো।

এরপর,

তুমি যখন অসহায়,

গাইবে একলা গান,

ভালোবাসা মেখো।

এরপর,

সবাই যখন দুরে,

বুকের মাঝে নারিকেল পাতা ঝিরিঝিরি,

কান্না মেখো।

ভালোয় থেকো।

Saturday, October 19, 2024

 ফিরে ফেরা মেঘবালিকা

হিজিবিজি সাদা পাতায় এতো আকিবুকি

ইচ্ছা বারুদগুলো নিভে যায় ,

শহর তোমার বৃস্টিঘুম ভেঙেছে ?

মোম গলা আশাগুলো নিভে কাঁদে তীব্র হাওয়ায়,

বুকের আগলে সজোরে ধাক্কা মারে, হৃদপিন্ড খুঁজে পাইনা ।

আঁধারে ,অঝোরে, একলা একলাই ভিজি। ব্যাঙগুলান শীতঘুমের প্রস্তুতি ছেড়ে আবার জাগে,কাকে ডাকে?

দৌড়ে পালায় জ্বলন্ত ফানুসগুলো, আকাশের এই কোন থেকে ওইধার, আমি ভিজি রাতচানে।

চিনেআলোগুলো অনুভুতি হীন জ্বলে, জ্বলতেই থাকে

বাজিগানে মদির, নীরব অন্ধপেয়ালা খানখান,

ভালোবাসা মুখ ফিরিয়ে, আগাছাভরা সাধের বাগান ।

বোঝা,অবোঝা,নাবোঝা,গাথামালায় চোখের জল।

মেঘবালিকার ছোয়ায়, হিমেল হাওয়ায় বরফ জমাট।

একলা ভিজি,

 অথৈ হৃদয় ভেজে, আগুন হাহাকারে ।


 যায় ভেসে যায় বুকের ভার,

পাথর চাপা যত বেদন,

অঝোর তোমার করুনাধারা ।

একলা অন্ধকার তুমি,

সব ছাড়িয়ে দিক হারিয়ে

সিক্ত জীবন বাঁধন হারা ।

মন ভিজে,চোখ ভিজে,

আকাশ জুড়ে একি খেলা ,

কেমন রুপ, অরুপ পাগলপারা ।

Wednesday, October 16, 2024

  তুমিও 

ছাতিমতলায় অবিরাম ঝরে পড়ছে ছাতিম ফুল, বৃষ্টির সবুজ ধারা।

পাশ কাটিয়ে এগিয়ে চলছি স্বার্থপর কঙক্রিট পথে, আগুন সিক্ত টিমটিমে।

রোজ দিন এক পথেই হাঁটি। খুঁজে ফিরি।পাইনে। ভুলে গেছি কিসের খোঁজে চলা।

ধাক্কা খাই গোটা পথে।চলি। মাথা নিচু। আকাশের সাথে অদেখা বহুদিন।

পঞ্চাশ পেরোনো দীর্ঘশ্বাস। তুমিও আসবে।আজ না হয় অন্যদিন। নগ্ন উপত্যকায়।

Monday, October 14, 2024

 শৃঙ্খলিত জীবন, খুঁজে মরা ঝরা ফুলে, 

ভুলের বোঝা,বেলাশেষে এই গোধুলিবেলা। 


হল তো সময় খেলাঘরের দুয়ার খোলার,

রাগ বিলাবলের ভ্রান্তিবিলাসে পরাণমেলা ।

Saturday, October 12, 2024

 শিউলি ভালোবাসা এলোমেলো উঠোন জুড়ে,

শুভকামনা আর আত্মশুদ্ধির শপথ ঝরে।

শুভ বিজয়া দশমী।

The affection of Siuli throughout this wounded sphere,

Best wishes and oath for purgation of ourselves there and here .

Best wishes,Suvo Vijaya dashami.

 পাগল এই পথচলা, 

গভীর গহিন অরণ্য। নিজেকে হারিয়ে ফেলা। টুকরো টুকরো । ভেঙে চুর চুর ।

 বিজ্ঞাপিত।নকল বুঁদির গড়। ভুল রাজা সাজা,

 যুদ্ধের ক্লান্তিকর বিরতি।


আকাশ মিনার।সাময়িক ভুলবসবাস।ফিরেআসা। অন্তরকথন। খুঁজে ফেরা। শিউলি ।দুগ্গা ।

স্বপ্ন প্রতি রক্তকণিকায়।

ঝরাপথ।  ছোঁয়া পলপল। আধো যতনে তালাবন্দী,

অমৃত দুগ্গা ভালো বাসা।

অনন্ত । অন্ধ আলো।  সমর্পণ।

দুগ্গ গাঁথা।

Thursday, October 10, 2024

অফিস ছেড়ে বেরিয়ে ছিলাম আজ মানুষ দেখতে।

মানুষ পরিচয়ে অপরিচয়ে এই আরশিনগরে।

আজো মনে পড়ে সেই মানুষটিকে ,যার সাথে দেখা হয়েছিল শ্রী ভুমি থেকে উল্টোডাঙা যাওয়ার বাসে, প্রতি পুজোয় একা একা কলকাতা আসেন দুগ্গা দর্শনে,কোন এক মন্ডপে রাত কাটানো,অন্য মাধুকরী। যদি আবার দেখা পেতেম।

ভিড় যখন বাড়ে, দৌড়ে যাই এই শ্মশান থেকে অন্য শ্মশান, বটের ছায়া,ভাঙা শিবমন্দির, শুধু যাওয়া আর আসা,মন ভিজে যায়।বেশ খানিকটা সময় কাটিয়ে নেমে আসি পথে।

ফুটপাতে ছোট প্লাস্টিকের ছাউনী, আলো আঁধার,বাপুজী কেক, কয়েকটি বিস্কুটের ব্যোয়াম,কোন এক মা চায়ের দোকান খুলে বসে আছে। বিক্রি বাটা নেই, পুজোয় চা! আশা মরিচীকা।

হাঁটতে থাকি,ওটাই আমার সম্বল।ঘোলের দোকান,একটা গ্লাস, দুটো স্ট্র, কিশোর ভালোবাসা, নিখাদ! যদি থাকে।

এগিয়ে চলি, বুড়ি বসে আছে, চুপচাপ, প্লাস্টিকের প্যাকেটে মুড়ি, সাদা।চোখ যে কিসের খোঁজে?

এগিয়ে চলি, রোদ্দুর হাসছে।





Sunday, October 6, 2024

 তখন

সিগারেট। ধোঁয়া। ফুটপাত। পিঠের তিল, হাঁটু ছোয়া বা কুঞ্চিত কেশ। হাতুড়ে পাহাড়।।গ্লোব বা নিউ এম্পায়ার। কমপক্ষে বিজলীবালা।

এখন

প্রেশার, সুগার অথবা নড়বড়ে পা এবং স্ফীত কোমর বন্ধন। আমেরিকা বা , হায়দ্রাবাদ। নেক্সট জেনারেশন।

কাঁপা কাঁপা ।পার পঞ্চাশটি বছর।এক পাঁচমিশালি সম্মেলন।

ফিরে দেখা।



Friday, October 4, 2024

 জ্বর

কানুর আজকাল আসে। 

জ্বর ।একবার দুবার নয় ।বারবার।দিনে রাতে।একলা এবং অন্য সাথে।

জ্বর এলেই এক হতাশ স্বপ্ন দৃশ্যমান হয় তার দুই চোখে। পুনরাবৃত্তি। মৃত্যুজনিত ইচ্ছা হয় তীব্র থেকে তীব্রতর।

কানুর চারপাশে যখন ভিড় করে মুখোশগুলো, দুটো হাতে গলা টিপে ধরে। নিজের। চোখদুটো ঝুলে পড়ে।রক্ত ঝরে।

চিকিৎসা অথবা জীবন দাহ। প্রয়োজন। ঘুমটা নিয়ম করে আসে সকাল আলো ফুটলে। অন্ধ শান্তি। টলমলে পথে অনাবশ্যক আর্তনাদ।

উত্তাপ বাড়লে একটাই  স্বপ্ন বারবার দেখে।কানু। জেগে বা ঘুমিয়ে। চিৎকার করতে চায়।গলা দিয়ে কোন আওয়াজ বের হয়না।

পাহাড়ের কোল।সারি সারি ছাউনী। শুকনো শালপাতার আচ্ছাদন। শব্দহীন, কর্কশ বাইক উল্লাস। নারী ও পুরুষ দুইএর প্রয়োজন।রিপুদমন।অস্থির কান্না, বাধ্যতামূলক বশ্যতা। স্বপ্ন।

কালো গ্রাফাইটের উন্মুক্ত গহিন আহ্বান। অসহায় তক্তোপোশ। দরকার আশু চিকিৎসা।

জ্বর কাটেনা। ফিরে ফিরে আসে।




Wednesday, October 2, 2024

 আনন্দী

মনে হয়,না মনে হওয়ার কি আছে, নিশ্চিত ভাবে সুপরিকল্পিত আলো আছে আনন্দীছায়ায়।

কৈশোর কিভাবে যে বয়ে গেল?

আনন্দী স্কুল থেকে আধা কলেজ পর্যন্ত ভালো বেসেছিল কাউকে পাগলের মতো,সেও,তার চলায়,বলায়, হাসি কান্নায়,হৃদয়ের আলো ছায়ায়।এখন অবশ্য অন্য আলো।

বিচ্ছেদটা হয়েছিল কোনো এক হালকা সকালে, নিশ্চয়ই কোনো সুত্র মেনে, প্রচলিত সুত্র। মাঝে মাঝে আলগোছে মনে পড়ে, তাহলে ও মানিয়ে নিয়েছে শহুরে আবহাওয়ায়। ভবিষ্যতের ডাক।

দিন আর রাত নির্দিষ্ট নিয়মে খত লিখে চলে, ব্যাতিক্রম কেবল চিন্তায়। কিছু কিছু পাগলের পাগলামির মাধ্যমে। বাদবাকি জীবন মানে ছোট,বড়, ছোটখাটো ভালোবাসা হয়তো বা বিচ্ছেদ, বিয়ে, সন্তান, বড়ো করা, বুড়ি হওয়া। সুখী জীবন যাপন।

মাঝে কোন অঘটন, সেটা হতেই পারে, দুটো বড়ো দুঃখ একজোট হতেই পারে, ঘটতে পারে চলমান হাত ও হাতের মিলমিশ এবং ছোঁয়াচে সন্ধ্যা। হয়তো কিছু না ঘটে চলতে পারে জীইইবন। কোন ছবি?

আনন্দী জানে।

শেষটা কি হবে বেজায় ধন্দ, সবকটি চরিত্র আপ্রাণ চেষ্টায় মুখোসের কারসাজি দেখাতে। কোথাকার চরিত্র কোথায় যে আশ্রয় নেয়?

একাঙ্ক পথ নাটিকা।

Tuesday, October 1, 2024

 পুজো পরিক্রমা 

বাবা কাশীনাথ,কদিন ভালোই কাটলো বল

সেই বাঘমুন্ডীর পাহাড় কোলে সবুজগ্রাম

মাকে ছেড়ে, শহরের মায়ের মন্ডপ ,

কাঁসিতে বোল তুই ভালোই তুললি বাপধন ।


বাবাগো আমাদের গ্রামে কেন শুধু পিদিম

বান ডাকে আলোর শুধু এই শহরভরে ?

মায়ের সাজের এতো বাহার, দেশগ্রামের

মাকে ,বাবা একটা নতুন শাড়ী কিনে দিস কিন্তু ।


৬৪ বছর,সেই কামারপুকুর,প্রতিবছর আসি ভাই

ব্যাগে খালি এক জলের বোতল, বছর পর বছর

আশ মেটেনা মাগো,তুই জোটাস খাবার,জায়গা শোবার

নবমীর রাতে মল্লিকবাড়ী,ওরা ভোগ ভালোই খাওয়ায় ভরপেট ।


অস্টমীর শেষে সন্ধিপুজা অসুরনিধন ,মহাপুজা

মাগো আমিও মা দোষ কোথায় একটা নয় ,

তেইশজন অসুর আমাকে শতছিন্ন করে সিদুঁরলাল

আমার মরাজীবন সিদুঁরখেলা আর হলোনা মাগো ।


মাকে মন্ডপে আনি আবার ভাসাই গঙ্গা অগভীর,

রোজগার ভালোই আঁধারে আলো কদিন ভালোই ।

শুধু মনকেমন, ছেলে সেই ক্যানিং নদীর ওপার

বড্ড কাঁদছিলো গো, আসছে বছর আবার এসো মা ।


রেশনে চাল ১০ টাকা কেজি, এবারে অনেকটা চলবে অনেকদিন ।

উছলে পড়া আনন্দ, মুঠো ভরা খুশি ,চাল একটু মোটা তবুও

আছড়ে পড়া জীবনে চারপাঁচদিন মায়ের আরাধনা, না ফোঁটা অতসী

আসছে বছর আবার ভরপেট আসিস কিন্তু দশভুজা মা


আমার দুগ্গা, তুই বছরভর পালিয়ে ফেরা, প্রতিদিন প্রতিভোর

মনপিদিম জ্বেলে জ্বলিস অমলধুলোয় ভালোবাসায় একা কান্নায়,

চোখের কোনের কালিতে , গোপন অপ্রকাশে শ্থবির নীরবতায়

জেগে ওঠ মা অসুরনিধনে বোকাস্বপ্নের নিত্য কল্পকল্পনায়  ।

Sunday, September 29, 2024

 কোলাজ


পথে চলা। ঠিকানা খুঁজে ফেরা। রোজ আলো ফোটে। কোন সে আলো, সুমগ্ন অন্ধকারে?


চোখে পড়ে। লোকে পাগলী বলে। কিন্তু, রোজ সকালে গোটা দশেক খালিবোতল। টাইমকল। জীবন। তার আগেই পুবপানে তাকিয়ে অন্ধ চোখে সূর্য প্রণাম। কি যে বলে পাগলীটা!


এগিয়ে চলি। ছেলে দুটো — সকাল-সকাল মুখোমুখি। ফুটপাতে চিকেগোল্লা।আজকালপরশুর দিন কাহন। আমরাও চিকে আর গোল্লায়। 

ট্রামলাইন পার হই। হিন্দের দিক থেকে শ্যামবাজারের ট্রাম। আসেনা। খুঁজি। অভ্যাস জনিত দৃষ্টিবিভ্রম। একযৌবনে কোনো এক ট্রামডিপো। আলোকাল। ধূসর।

 লিফট ছাড়ি। ধাপে ধাপে আকাশ-বাড়ি। জানালা।খুলি। দিয়াউস আর কিউপিড এই রোদ্দুর ছুঁয়ে একসাথে জিপিও-এর গোম্বুজ মেদহীন মাথায় পিচ্ছিল চরাচর। উড়ে বেড়ায়৷ কাজ ভুলি। পেরিয়ে চলি চড়ুই-সময়। সান্ধ্যশালুক।

Saturday, September 28, 2024

 কোলাজ

পথে চলা

ঠিকানা খুঁজে ফেরা।

রোজ আলো ফোটে,

কোন সে আলো?

সুমগ্ন অন্ধকারে!

চোখে পড়ে,

লোকে পাগলী বলে 

কিন্তু রোজ সকালে গোটা দশেক খালিবোতল,

টাইমকল

জীবন।

তার আগেই পুবপানে তাকিয়ে অন্ধ চোখে সুর্য প্রনাম।

কি যে বলে পাগলীটা?

এগিয়ে চলি,

ছেলে দুটো 

সকাল সকাল মুখোমুখি 

ফুটপাতে চিকেগোল্লা

আজকাল পরশুর দিন কাহন

আমরাও চিকে আর গোল্লায়।

ট্রাম লাইন পার হই,

হিন্দের দিক থেকে শ্যামবাজারের ট্রাম  

আসেনা 

খুঁজি 

অভ্যাস জনিত দৃষ্টিবিভ্রম ।

একযৌবনে কোন এক ট্রামডিপো

আলোকাল।

সবুজ আজ ধুসর

লিফট ছাড়ি,

ধাপে ধাপে আকাশ বাড়ি 

জানালা খুলি

দিয়াউস আর কিউপিড এই রোদ্দুর ছুঁয়ে একসাথে জিপিও এর গোম্বুজ মেদহীন মাথায়,

পিচ্ছিল চরাচর

কাজ ভুলি

পেরিয়ে চলি

চড়ুই সময় 

শালুক সন্ধ্যা ।



Thursday, September 26, 2024

 মনে হচ্ছে তলিয়ে যাচ্ছি এক অতল গহ্বরে 

দিকশুন্যপুরে এতদিনের চলাচল 

কোন এক নিশার ডাক

Blind lane ends in a deep crater.

Wednesday, September 25, 2024

 জীবনের প্রায় ৫৫ টি বছর কাটিয়ে এসে মনের মধ্যে এক সুতীব্র মৃত্যু কামনা জেগে ওঠে।বারে বারে মনে হয় এতো আঘাত পেতে পেতে আমি বিষগ্রস্ত পঙ্গু এক কীটে পরিনত হয়েছি, পুঁজ ঝরে ঝরে পড়ছে দেহমন থেকে। ধাক্কা খেতে খেতে সরে এসেছি এক কোনে, সেখানেও অপমান আর উপেক্ষা,বুকটা এখন সবসময় ধড়ফড় করে, ভীষনভাবে মরে যেতে ইচ্ছে করে। কাজের মাঝে নিজেকে লুকিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করি,পারিনে।এক কালান্তক চক্রবুহে একবার এইপার আরবার ওই পার দৌড়ে বেড়াই, নিস্ফল, রক্ত ঝরে।

মনে হয় এতদিন যা করেছি ,সব ভুল।এই সমাজে আমি একান্তই অনুপযুক্ত।সব ছেড়ে যদি কোন পাহাড়ে বা জঙ্গলে একটু আশ্রয় পেতাম।বা এমন কোন দ্বীপ যেখানে কেবল শিলারাশি আর কিছু নীরব বৃক্ষ। এইখানেই বাকিটা সময়, আত্মহত্যা মনে হয় আমার দ্বারা হয়ে উঠবে না।

 বাঁচি বা মরি

আমি স্থির, আমার বৃত্তাকার ঘুর্ণন।

একটুকরো জীবন।

 চলে গেছো, 

আমি কিন্তু বেঁচে আছি তোমাকেই ছুঁয়ে।

গাইতে পারি নে সহজিয়া গান 

আরও আঁকড়ে ধরি শক্ত করে 

তুমি তো অন্য দরিয়ায়।

ভুলে আছো,

আমি কিন্তু জেগে আছি তোমাকেই নিয়ে।

বাইতে পারি নে অন্য সাম্পান

আরও নীরবে মরি রিক্ত আখরে

তুমি তো অন্য ছায়ায়।

প্রজ্জ্বলে আছো,

আমি কিন্তু জেগে আছি তোমাকেই নিয়ে।

দাঁড়িয়ে আছি 

একা প্ল্যাটফর্ম জড়িয়ে ধরছে 

ট্রেনগুলোর সচকিত চলাচল

দাঁড়িয়ে আছি মৃত্যুর আহ্বানে

বয়ে যায় গোনাগুনতি সময়।

ওই পারে অবলীলায় আলোয় ফেরা,আর এই পারে কর্দমাক্ত ও অগ্রদানী জীবন।

বাকি যে কদিন 

চলতে থাকবে প্রদক্ষিণ 

আমার নিজের তৈরি কক্ষপথে 

মালিকানা আমার 

একান্তে 

আবহমানে।

পারবনা ছাড়তে 

আমার বেওয়ারিশ ভালোবাসা।


 অনেক দিন পর বাবুদের বড়ো বাড়ি ছেড়ে নামলাম পথের ধুলায়, সবুজ মায়ায়। ঝিরঝির বৃষ্টি ধারায় আর চোখের জলে ভিজতে থাকলাম।। ফিরে দেখা স্মৃতি সরনী দিয়ে। বুকের মধ্যে জমে দেখা বেদনা,অভিমান কাঁপন ধরিয়ে ডেকে আনছিল অমোঘ মৃত্যু, আমি মরতে থাকলাম।

Monday, September 23, 2024

 Intention কথার অর্থ কি?

প্রশ্নটা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে,

পোকামাকড়ের বংশ বৃদ্ধি চক্রবৃদ্ধি হারে।

উদ্দেশ্য বা ইচ্ছা

তফাৎ আমার কাছে অনেক 

উদ্দেশ্য যদি থাকতো ,ফোটাতাম না নয়নতারা।

অতিবাহিত করতাম লম্পট জীবন।

মৃত্যু হয়েছে অনেক আগেই কোন শেষ দুপুরে

বাকি নিবন্ধন।

বলতে বাধা নেই এই শুয়োরের বাচ্চা আমিটা হেরে গিয়েছি

মরে গিয়েছি।

এখন মৃত মানুষ চলে ফেরে

বুঝতে চেষ্টা করে 

এক বুক অপ্রয়োজনীয়তা

নিজের।

হাস্যকর।

করতে চেয়েছি কি কোন উদ্দেশ্য সাধন?

বলে রাখা ভালো 

আমার 

Obviously কারুর পাশে চলার যোগ্যতা!

 ছিলনা ,

     আমার জীবৎকালে 

                     জোড়াতালির কাল,অকাল।

মরা মানুষটা  পুড়তে থাকে,

নির্বিকার চারিধার 

পৃথিবী ঘুরতে থাকে

বৃষ্টি ঝরতে থাকে,

চরিত্ররা সেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে।

আর মরা মানুষটা 

মরলেও চোখ এখনও বেঁচে আছে

গড়াচ্ছে

হোঁচট খাচ্ছে

 রক্ত ঝরছে 

আমিটা 

ঘাপটি মেরে বসে আছি প্ল্যাটফর্মের এক কোনে 

এখনও 

জানি না কিসের অপেক্ষায়।

সমাধান নেই কোনো সুত্রে

অঙ্ক মেলেনা।

মুক্তি খোঁজে মরা জীবন।

মরা বুকে কেবল হাপরের ধড়ফড়।



Sunday, September 22, 2024

 চেষ্টা করছি ভার্চুয়াল দুনিয়া থেকে সরিয়ে রাখতে নিজেকে। আমি না থাকলেও সুর্য উঠবে, পৃথিবী ঘুরে চলবে আপন কক্ষপথে।

Thursday, September 19, 2024

 ফুরিয়ে যাওয়া রোজ সকাল মনে করিয়ে দেয়।

মনে করিয়ে দেয় 

সংসার যাপন 

সন্তান,বড়ো করা

অসংখ্য ফাঁকফোকর

পিছনে ফেলে আসা নির্বাপিত জীবন।

সকালেই ঘুম আসে ফুটপাতে আলগোছে ভিজে থাকা লোকটির বুকের মাঝে,

আশ্রয়হীন।

জন্মদিনটা তো অনেক আগেই মুছে গেছে,

এখন প্রস্তুতি, আয়োজন মৃত্যুউৎসবের।

গুছিয়ে রাখছি নিভৃত আঘাত, যন্ত্রণা, কান্না 

বেলুনে ফু দিয়ে ঢুকিয়ে রাখছি

  সবটুকু।

হোক উৎসবপালন।

আজদিন 

কালদিন।

তোমাদের থেকে কেবল চেয়েই গেলাম অনেক আরো অনেক।

হয়েছে সময়  

থামবার।

ভুল স্বপ্ন গলা টিপে মারার।

চলতে থাকি,

কতজনই এই পথে আসে যায় 

পথের অ্যালঝাইমার্স।

বুকের মাঝে জোর হাপরের ফোঁস ফোঁসানি

মাঝদুপুরে নগ্ননৃত্যে

বিব্রত হৃদয় মরা শামুকের খোলসে (কাজের অছিলায় এবং আবরণে) লুকায় নিজেকে

কাজের অছিলায় ।

            মাথার শিরাগুলো ছেড়ে 

                     গোপন রক্ত ঝরে।

কেউ বসে থাকে কি?

কারুর জন্য!

চিতার কাঠ কেটে চলেছি একের পর এক, দিনের পর দিন।

হেরো মানুষ

ভাসিয়ে নেওয়ার বেনোজল আসবে আগামী কাল।

পলি পরবে নতুন করে।


Wednesday, September 18, 2024

  মাফ 

জং ধরে গেছে সবকটা অনু আর পরমাণুতে,

পারছিনা

        আকন্ঠ উদাসীন।

কিছুতেই ছিটকিনিটা খুলছেনা ,

কেন যে?

জানলার ওধারে ওরা ডাকছে ,

একজোট

 মাৎস্যন্যায়

কেন যে এমন হয় ?

সব থামে নির্বিকল্প  স্থবিরতায় ।


আয়নার সামনে,

 মানুষবেচার হাটে অথবা সময়ের  কাঠগড়ায়,কিংবা  অবোধ হৃদকালকুঠুরীতে,

রাতআলোর অস্পষ্টতায় ,

বুড়োটে ছানিধরা চোখে 

চারিপাশে অগুনতি মুখোশের ভিড়ে

 এক আঁজলা সুখের খোঁজে

 মনটা কোথায়? 

কোনো ডাস্টবিনে নাকি  মরা আদিগঙ্গায়? এক আবর্তে ঘুরপাক।


স্বাধীন ভারত ১৫ই আগষ্ট,১,২,,,৭৭,

একটু দমদার সেলিব্রেসান বা মহা উৎসব ।

বিজ্ঞাপনের চিৎকারটা এতোটাই ,

 দিনের পর দিন যা ঘটে চলেছে

অভিনয় খোলতাই হচ্ছেনা

প্রম্পটারটা যে কোথায়  ? 

বোকা চড়ুইটা ভিজেই চলেছে,একের পর এক নিম্নচাপ।


কেরোসিন লন্ঠন বা হ্যাজাক জ্বালাও, জংটাও যদি হয় পুড়ে ছাই। 

নাভির মতো স্বপ্ন ও কি পোড়ে না?

টিকিটের লাইনে সেই ছেড়া মেয়েটা

কোলে শিশু কান্নাভেজা মোনালিসা

কোথায় নয়াবসত ? 

কোন স্টেশন?

পালিয়ে যাওয়া শেষশ্রাবণ ,

৭৭ বছর পেরিয়ে এলাম, 

জমিয়ে পালন

এতো আলো

 জমজমাট

 দেশ স্বাধীন ।

দ্বেষও স্বাধীন, তুমি আশাবরী আর একান্তই আমি বেসুরো বক।

Tuesday, September 17, 2024

 কাশের বনে আজতো হায় প্রবেশ অনধিকারে,

দুগ্গা তোমার চোখের ভাষা দিশাহারা মরূসাগরে।

আঁধার নামে ধীরে , ক্লান্ত নদী তবু সাজ  রঙিন,

কুলায় ফেরা চর্তুদ্দোলায় পাখিরে এদেশ অচিন।

 ছেড়ে ভিড়ে যায় মেশে,

আক্রান্ত নিরুপায় বৃদ্ধশব।

উদাসপুরে আলোর মেলা,

শালুকবনে উপহাসের কলরব।

 আকাশপথে চলনকথন,গল্পকথায় মনগাছগাছালি

 মেঘবালিকা নয়নতারায়,  হৃদিবেসাতির পদাবলী।

Monday, September 16, 2024

  পদ্মপাতায় চলন ধীরে

               শামুক মন গুটি গুটি।

আকাশ পথে দিশাহারা 

               শুভ্রবকের ডানা দুটি।

আজকের দিনে মেঘলা আকাশ তার জানালা দিয়েছে খুলে,আলোর উঁকিঝুঁকি। আমার মতো অনেক মানুষের হৃদয়ে এক অসহায়তার কানাকানি।

অনেক অনেক ভাবনার মাঝে নিজস্ব যুক্তিযুক্ত চিন্তা সব জট পাকিয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রযন্ত্র, রাজনৈতিক সুবিধাকাঙ্ক্ষির দল সবকিছু দিচ্ছে গুলিয়ে।

মূল অসহায়তা হল, আজ পর্যন্ত আমাদের  তিলোত্তমার 'খুন ও ধর্ষণ' কিংবা 'ধর্ষণ ও খুন'-এর সঠিক কার্য-কারণ জানা গেল না। রাষ্ট্রযন্ত্র সুনিশ্চিত ভাবে তথ্য-লোপাট এবং তথ্য-গোপনের কাজ পরিকল্পিত ভাবে করেছে। তদন্তকারীদের যথাযথভাবে কারা এই কাজ করেছিল, তা চিন্তিত করে সবাইকে — তা সে যে পদেই থাকুন না কেন— বিচারের মধ্যে আনতে হবে।

যেখানে তথ্যপ্রমাণ লোপাট স্পষ্ট যেখানে statement and examination is to be specific and well planned. আমরা যেকোনো মানুষ আমাদের প্রবৃত্তি দোষে নিজেকে বিকিয়ে দিই। সবাইকে, বিশেষ করে যারা তদন্ত করছেন, তাদের কে দায়বদ্ধ থাকতে হবে। সাধারণ বুদ্ধিতে মনে হয়, মৃত্যুর দিন সকাল থেকে পরের দিন দাহ পর্যন্ত যে যে ব্যক্তি ওই বিল্ডিং এ গেছিলেন এবং দাহ সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করেছিলেন, তাদের সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনতে হবে। তিলোত্তমার মা এবং মায়ের বক্তব্য আগে গ্রহণ করে সেটাকেই অন্যদের examination করা‌ দরকার। মূল অভিযুক্তকে দিয়ে the crime sequence is to be recreated with a priority. ঘটনার দিনের preparation of duty schedule থেকে প্রতি মিনিটের ঘটনাবলী নির্ণয় করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট প্রত্যেককে examination and if needed confrontal examination প্রয়োজন সঠিক তথ্য উদ্ধার করতে। কঠিন হলেও যেখানে তথ্যপ্রমাণ লোপাট হয়েছে, সেখানে এই witness and concerned persons are to be examined repeatedly without any bias and outside influence.

দ্বিতীয়তঃ মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান। কেবলমাত্র জৈবিক চাহিদার কারণে নাকি কোনো অন্তর্নিহিত গোপন-রহস্য-প্রকাশ আটকানোর জন্য এই খুন, এই রহস্য উদঘাটন করতে গেলে কে বা কে কে খুনের জন্য দায়ী সেটা আগে বের করতে হবে। সাধারণ দৃষ্টিতে একজন MD student হাসপাতালে নীতি নির্ধারণ বা দৈনন্দিন কাজে involved না থাকাটাই স্বাভাবিক। Circumstance  and evidence দুটো থেকেই সিদ্ধান্তে আসতে হবে। এই কাজটি অত্যন্ত কঠিন এবং সময়সাপেক্ষ।

তৃতীয়তঃ নিরাপত্তা। প্রতিটি হাসপাতালের প্রতিটি অংশ সিসিটিভি কভারেজ এর আয়ত্তাধীন করতে হবে, পাশাপাশি নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়মিত পরিবর্তন আবশ্যক। রাত বাড়লে রোগীর আত্মীয়রাও অনেক সময় নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। অনেক সময় বিনা কারণে ডাক্তারদেরও লাঞ্ছিত হতে হয়। জানি না এই সরকার বা অন্য কোনো সরকার কিভাবে সমাজকে নিরাপদ করতে পারবে!

চতুর্থতঃ দুর্নীতি। প্রতিটি কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের দপ্তরে যোগ্যতার পরিক্ষা থেকেই নিয়োগ, পোস্টিং, ট্রান্সফার এবং খরচের ক্ষেত্রে দুর্নীতি সর্বগ্রাসী। আমরা কতজন এই চক্রবুহ এর বাইরে নিজেকে রাখতে পারি এই প্রশ্নের উত্তর আমাদের নিজেদেরকেই দিতে হবে । compromise ছেড়ে কজন আর লড়াই করতে পারে। মুখোশ পরে, অভিনয় ছেড়ে, আমরা ক'জন নিজেকে সৎ রাখতে পারি সত্যি কথা সত্যি বলতে পারি — এর উত্তর আমাদের কাছেই লুকিয়ে আছে।

পঞ্চমত,  virtual world এ আমাদের চলাচল এবং মুখোশের মেলামেলি।


 পদ্মপাতায় চলন ধীরে

               শামুক মন গুটি গুটি।

আকাশ পথে দিশাহারা 

               শুভ্রবকের ডানা দুটি।

Saturday, September 14, 2024

 ঘোলাটে এক একটা সময় আসে যখন ভাবনা সব কোথায় হারায়।

শুন্যতা অন্তহীন।

চলি ফিরি নিজেকে লুকিয়ে রাখি কাজের ভিড়ে পাহাড় চুড়ায়।

অসহায়তা নিশিদিন।


Friday, September 13, 2024

 রক্তচাঁদ

আমার রাত আকাশে রক্ত লাল আধখানা চাঁদ

আয় তোর সাথে প্রেমে অপ্রেমে হই আকুল ।

তুই আমাকে বড়ো করিস অশেষ, ছায়াময়ী 

আবেগের মোহর, রবিছ্ছায়ায় চোখে সুখপাখী ,

আদরে ভরে  বড়ো আপন ,স্বপ্নিল  চাঁদ তুই ।

 হৄদয় ভরে  মৄত্যুর সাথে জীবনের অমোঘ আলিঙ্গনে

পান করি আবেশে , মধুর বড়ো নীল এই মিলন ।

অসুরে জোড়ে,সুরে আপন মীড়ে , আমায় নিয়ে চাঁদ 

পাগলী তুই কুরচি ফুল ,আমার গালে কপাল ভরে এতো 

আদর এই ছুয়ে পাওয়া সব ভুলে কি পাগলামি ,

 প্রতি পলে অনেক  বয়সের রকমফেরে

আমাকে  নতুন করে এতো ভাবে চেনাও ,

ভালোবাসাও ভালোবাসাকে, এই ঝরা বেলায় নিসংকোচে,

রক্ত চাঁদে এতো গভীর নিবিঢ় কাছে পাওয়া,

সেই তালসারির আড়ালে লুকোচুরি ।

 চির আবেগ পাওয়া মজা কানানদী,

গান শোনায় তিরতির বন্যাপাগল হাসিতে ,

ভাঙা বাঁশির কান্নায় আকাশের তারাদের খুজে ফেরে ।

আধেক হাসি আর কান্না ভরা অকেজো বেকার মন ,

 অপ্রয়োজনীয় ভীড় বাড়ানো মানুষটিকে,

ও পাগলভোলা ও আমার আধখানা রক্তচাঁদ ।

সকাল যেন হারিয়ে পাই উদাস আাকুল

ভুবনডাঙার মাঠ ভরিয়ে পাগলপারা ,

ভাঙা উঠোনে তুলসী তলায় আলোপিদিমে,

নেশায় ভরা আমার আধার আলোয় হাসা

তুই অতসীপ্রেম ওরে আমার রক্তচাঁদ ।

যাওয়া আসায় হিসাবে লেনাদেনা,

জীবনপুরে আমি তুমির আনাগোনা।

ভালোয় থেকে কাটানো চাই রোজদিন,

একটাই জীবনতুলি হোক ছবি রঙিন।

Thursday, September 12, 2024

 শঙ্খচিলের ক্লান্ত ডানা, আকাশ কাঁদে বিচ্ছেদে,

দিকহারা সব ঝরাপাতা,পথই সাথী আর্তনাদে।

 জীবনের আরেকটা পাতা ঝরার দিন এলো যে,

মন কাঁদে রোহিঙ্গা দেবশিশু কিছু কি খেয়েছিস ?

গাছের ফল পঁচা জল, পুলিসের মার,

এই আঙ্কা, অতীতও একদিন পালিয়ে পুড়েছিল ,

পোড়া ঘর,পোড়া বই বেঁচে শালগ্রাম,শ্মৄতি ,

ছোট্ট শহর, রেঙ্গুন, পিউ ,দিক হারানো আাখের খেত ।

বেঁচে মরে আছি ,তোর সাথে মিলি কোন অবসরে,

ভালো থাকরে ।


Wednesday, September 11, 2024

 রাত আধাঁর নীরবে একলা কাঁদে,

ভোরের আগমনীর বিষন্ন সংবাদে।

নবআশায় জাগে পাখী,ফোটে ফুল,

এই কুল ভাঙে ,গড়ে ওঠে ওই কুল।

 আজ সকালে হঠাৎ মেঘবালিকা ডাকে,

আকাশ কাঁদে ঝর ঝর ঝর ঝর ।

এক বুক বেদন বাঁশি বয়ে হারায়,

ঘুম ভাঙে, জাগে মনপাগল সেই মধুকর ।

 

Monday, September 9, 2024

 হরিণ এবং আমিটা 


সবুজ মাঠ, একটুকরো,

চারিদিকে গভীর গভীরতর পরিখা।

এপার থেকে দুই শ্রান্ত চোখ

             দেখি সবুজ হরিণের দৌড়, 

এদিকে ওদিকে 

             মাঠজুড়ে অসহায় আঁকিবুঁকি।

হরিণ

সে মাঝে মাঝে জিড়োয়,

গাছের তলায় 

 সব্বাইকে লুকিয়ে 

            আবার ছুটে চলে।

হরিণটা খুব ভালো রুটি সেঁকতে পারে,সেই কিশোরী বেলা থেকে

                         রোজ রাতে

 বেলতে হয়, সেঁকতেও হয় একা হাতে

                                        পেট ভরে!

পরিখার এই ধারেও গন্ধটা ভেসে আসে 

আঁধার জুড়ে 

     ফুলেফেঁপে ওঠা  রুটির  নিরুপায় গন্ধ।

চলতে থাকি,

 খাই হোঁচট

 দুঃখ ঝরে

মৃত্যুহীন দুই  চোখ সন্ধান করতে থাকে 

একমুঠো বাঁচা।

 বিপন্ন আলো সবুজে করে চলাফেরা।

আঁকড়ে ধরে নিভে জাগা

       জল দেয়া, বড়ো করার আকন্ঠ লড়াই 

শিশু হরিণ।

দুই চোখ ভরে দেখি।

আগে হরিণটা এই কোন,ওইকোন

ছুটে বেড়াতো।

                   চিৎকার করে হো হো হেসে বলে চলতো নিরাভরণ বিশ্বাসের কথা,

চাটাই পেতে গল্প জুড়তো আশ্বিনে বা অকেজো বৈশাখে 

                     রুটি ও বেলতো

                              ছোট ও গোল।

এখন

স্বজন 

সবাই আজ মরা ভেড়ার লোমের সুপুরু চাদর জড়িয়ে বেঠোফেনে মন দিয়েছে

                              ফিসফিস ফিসফিস।

হরিণের বুকেও হাঁপ ধরে 

 আর আসেনা উদয় শংকর         ভরাবাদরে।

কালরোগ ছড়িয়ে পড়ে 

               পরিখার দুইপারে।

চোখ জুড়িয়ে আসে নিরন্ন কার্বন ডাই অক্সাইডের আধিক্যে

                         মৃত নিঃশ্বাস।



Sunday, September 8, 2024

 এই পথ, ওই পথ , কোথায়  যে হারায়  

হৃদয়ডাঙার মাঠ, তার অবুঝ সবুজ ঘাস ।

বেলা বয়ে যায়,রও অধরা নাথ তুমি হে,

তোমার পরশ, আকুল,ব‍্যাকুল অমলতাস।

 মা গৌরী 

  

আছি অপার আয়োজনে, মা আসছেন করতে হবে আবাহন,

তুমি তো শিবের সাধিকে ,তোমার পুজা,

তোমাকে তোমারই শরণ্যে ত্রম্বকে গৌরী নারায়ণী নমস্তুতে ।

তবু শ্রাবন্তী  দুগ্গা হলিনা,চলে গেলি,গৌরী মা তোমাকেও আমরা

লঙ্কাসুরের দল কোন অথৈ জলে ভাসিয়ে দিলাম,পুজো তো

মাকে করতেই হবে, বিপুল বিপুল আয়োজনে মা তোমায়,

,কোটি টাকার সোনার শাড়ি পরাব মা,এসি গাড়িতে বসে সিরাজের

বিরিয়ানি আর গোলবাড়ির কসা মাংস খেতে খেতে তোমায় মা

প্রণামে ভরবো,ম্যাডক্স স্কোয়ারে ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলে তরল করে মা

তোমার কল্পচিত্র আঁকবো ,গৌরী মা তোমারই পুজায় আবাহনে

বিপুলা পৃথিবী, তোমায় সাজাব যতনে গৌরী মা ।

আসবি আর ভেসেই চলে যাবি গঙ্গায় বা কোন আরবসাগরে

আমরাই দেবো ভাসিয়ে চোখের জলে।

এই পৃথিবী, এই বিপুলা পৃথিবী ,সত্যিই  তুমি পৃথুলা ।।


।এই সকালটা শুধু মা গৌরী তোমার জন্য ।

Saturday, September 7, 2024

 রাগ মরে, আবেগ , অনুভূতি, ভালোবাসা সহযাত্রী,

মরন মিছিল , কি জানি কি লাভ,অবশ পুর্ন বিরতি।


সবুজে স্বপ্নদহন,মরচেধরা একা চিন্তন,অন্ধসারথি,

মেঘ, বৃষ্টি, আলো আঁধার, মহাশুন্য পথে চরৈবতি।

 জীবন মানে একলা চলা,

মনরে তোর জানলা খোলা ।

একটু চলা একটু পাশে,

দিন ভরে যায় সেই সুবাসে।

মনপাগলের এই কথামালা,

দুখসাগরে সুখের ভেলা।

চল ভেসে পার অরুপ সাগর,

আবার সকাল নতুন ভোর।

চলরে জীবনপথে চল মধুকর,

অমৄতলোকে, যুগ থেকে যুগান্তর ।


Thursday, September 5, 2024

 সুশান্তপ্রেম  হেসোনা

সুবোধদা, অন্ধ চোখেও জাগে ভালোবাসা,

মারণঝড়ে ভাঙেযখন জীবন গড়ার আশা।


মুক্তঅঙ্গন অযতন ভরে বুনোলতা আগাছায়,

বুলবুলি ও তুলতুলি , হেসেই মরে আদুল গায়।


আকাশ টা যখন নিরুদ্দেশে যায় হারিয়ে,

ভালোবাসাই দেয় নিসঙ্কোচ হাত বাড়িয়ে।


ভাঙাবাড়ি. ছাদ, কার্নিশ জুড়ে  নয়নতারা,

গঙ্গাফড়িং একলা অবুঝ ,ছৌ নাচের মহড়া।


দরজাগুলো সব বন্ধ যখন নিষেধ প্রবেশে,

তুমি ওগো স্বপ্ন ভালোবাসা দাড়াও হেসে।


মেঘবালিকা লুকিয়ে ভেজায়  শহিদমিনার,

বয়সের সমানুপাতে বাড়ে প্রেম পাজি নচ্ছার ।


দৄষ্টি যখন ঝাপসা এবং দুই পা ওহ টলমল,

পানকৌড়ি ভালোবাসা সত্যি  অথৈ অতল।


তেলিনিপাড়া ঘাটে ইলিশ কেন,কিসের লাফ?

গুনীজন সুধীমন, ভালোবাসায় সবটাই মাফ।


https://satishacharya2018.blogspot.com

 পাগলমন মরেও চায় বাঁচতে,

হারায় তবু চায় ফিরে পেতে।

 আরেকটু বাঁচি বাঁচার আনন্দে,

তোমার মধুহাসিতে, মধুর ছন্দে ।

নিজের সুরে আপন মায়ায় , 

বনপলাশের স্বপ্নছায়ায় ,

জ্যোৎস্নাবনে আকাশতারায়,

ভোরের আলোয় এই ধরায় ।

আরেকটু বাঁচি....

Wednesday, September 4, 2024

 এক টুকরো খোলা আকাশ আর এক ফালি উঠোন

দিয়েছো আমায় তুমি দয়াময় , তোমার করুণা অপার ।

আাকাশে চাঁদ হাসে ,নীলে মেলে কাছে আসে সবুজ গাছ,

উঠোনে পাখি ডাকে, গান শোনায়,কেড়ে নেয় মনের ভার ।


 

 বিচ্ছেদে মাতৃজঠর ,

 ছিন্নমূল প্রাণ,

সম্বল টুকরো খোলা আকাশ আর  চিলতেভর শ্রাবণ উঠোন।

নয়নতারায় ধিকিধিকি পিদিম জ্বলে আর নেভে,

পথ ইছামতী ,

বিনিসুতো মনঘুড়ি,

কান্না  সঙ্গোপন।

Tuesday, September 3, 2024

 রাত অসীম অগাধ, দিনের প্রতিক্ষায়,

পথ অফুরান , জীবন ভরা তোমার মায়ায়,

নেই কোন চাওয়া, কোন প্রত্যাশা বা শোক হতাশায়,

প্রভু তুমি আছো ,কাটে যেন তোমারি প্রেমে ভালোবাসায় ।

 ছায়া আবছায়া  নীল উদভ্রান্ত আধো আঁধারে,

এই আকাশের নীচে নিজেকে চেনা ।

আরশিনগরে এই অবসরে দেখা ফিরে ফিরে

দিন পর দিন, ভাঙাচোরা মন আয়না ।

Monday, September 2, 2024

 ব্যাস্ত সকাল, শ্রান্ত দুপুর ,বিকেল জুড়ে মেঘবালিকা 

মন ভেজে আকাশ জুড়ে,হাসিকান্নায় জীবন দেখা ।

Sunday, September 1, 2024

 ঝরা পাতায় পথের ধুলায় , তবু নতুন করে ভাবি,

আঁকি আলো ,আশা আর ভালোবাসার জলছবি ।

আকাশ খুঁজি উদাসীন সবুজে,নিঃশ্বাসে কানামাছি,

বন্দীবৃত্তে আলগাবাতাস, তুমি আছো, আমি আছি।

Saturday, August 31, 2024

 বৃষ্টি,

থেমে গেছে 

            বেশ কয়েক দিন 

                        শুকনো খটখটে চলাচল।

দুজনে এখন বসে থাকি, 

                                  মুখোমুখি ।

নিরাপদ চাদর গায়ে জড়িয়ে ওদের পায়ের শব্দ।

একটা দীর্ঘশ্বাস 

             চলাচলে 

              এই দেওয়াল থেকে ওই দেওয়াল।

রোজ দিন 

       নিয়ম মাফিক 

           আলোছায়া দুলকি চালে 

                                দীর্ঘতর  বসে থাকা।

সময় বয়ে যায় দিনের পরে অন্য দিন,

                           থাকে না থেমে।

দেওয়াল গুলো হয় অদৃশ্য,

                   জাগে উন্মুক্ত প্রান্তর

একে একে ওরা দাঁড়ায়, 

দ্রৌপদী থেকে আজকের অনামিকা

                         বৃত্ত পথ 

     সংখ্যায় বাড়তে থাকে

                   একটাই মুখ, বাড়ে সংখ্যা।

নামের রকমফের।

পুনরাবৃত্তির দীর্ঘশ্বাস।

শকুনের দল গোটা আকাশ জুড়ে,

পুজ রক্ত

           আমার

                       তোমার

                                 সমাজের।

অসহায় হৃদয়জুড়ে সচকিত চোখের জল।

দ্রিম দ্রিম দ্রিম,,,,




          


Friday, August 30, 2024

 সময় যে তুই কোথায় পালাস,কোন আকাশের নিরুদ্দেশে,

আমায় বুঝি গেছিস ভুলে ,সকাল বলে একটু হেসে ।

দুপুর ডাকে ,বিকেল ডাকে ,অঝোর সুরে অবুঝ ধারায়, 

পাগল বাঁধা শীত আর তাপনিয়ন্ত্রিত ঘরের মায়ায় ।

সন্ধ্যা অকপট বলে একটু মিলি আয় আঁধার সাগরে,

ক্লান্ত আমি ,শ্রান্ত আমি ,দৌড়ে ফিরি আপণ নীড়ে ।

Thursday, August 29, 2024

  অদ্ভুতুরে এক আবর্ত 

                          আমাদের চলাচল।

 জানি কি

 কোনটা ঠিক বা বেঠিক?

কেন ঠিক,কেনই বা বেঠিক?

দাঁড়িয়ে সমাজ নামক বায়বীয় অনুশাসন,

 সামনে রেখে  কাজ করছি,

        খাড়া অজুহাত 

                       হয়েও বা যাচ্ছে

                                   সেটাই সঠিক ।


যে মানুষটি একবিন্দু পড়াশোনা করে নি, দেশি বিদেশি সাহিত্য, বিজ্ঞান বা আরো সব বিষয়ে কিছুই পড়েনি,শেখেনি তার জীবনবোধ কি কোন অসাধারণ জ্ঞানী বোদ্ধার থেকে কোন অংশে কম,প্রশ্ন থেকেই যায়।


 আজকের এই দিনে যখন রেলগাড়ি এগিয়ে চলে, পেরিয়ে যায় একটার পর একটা স্টেশন,জানালার ওপাশে ঔ কাশফুল আলতো হাওয়ায় শরীর হেলিয়ে দুলিয়ে যে কথা বলে ,তা বোঝার জন্য  কোন পুঁথি পড়ার তো প্রয়োজন পড়েনা।


এতো যত্ন দিয়ে দিনের পর দিন কতো যে বই পড়া তাওতো যাই ভুলে,নেভা জ্যোৎস্নায় আকাশ থেকে নেমে আসা চেনা অচেনা তারার দল যখন গল্প শোনায়, ঘুম পাড়িয়ে দেয় তখন যে আমোদিত ভালোবাসায় ভিজে যাই,সেই ভিজে ভালোবাসা সকাল হয়ে জাগে।


মনের মাঝে একটা বোধ কড়া নাড়ে, অপরিমেয় অজানার মাঝে সারাদিনের শেষে পিদিম আলোয় সেই সবুজ বেলার মাদুরে গা এলিয়ে গোবর লেপা মাটির দাওয়ায়  জীবনকে ফিরে দেখি।


তরতরিয়ে উঠে যাই একলা নীরব পাহাড়ের চূড়ায়, যেখানে নেই কোন পাখির কোলাহল, নীচে অথৈ সমুদ্র অনবরত ধাক্কা দিয়ে ডাকে ,আয়,আয়।ছুড়ে ফেলে দিই সব পুঁথি পড়া বিদ্যে। শুন্য হই,হই সম্পুর্ন।

 একটা অদ্ভুতুরে আবর্তে আমাদের চলাচল।কেউ জানিনা কোনটা ঠিক বা বেঠিক,কেন ঠিক,কেনই বা বেঠিক। একটি সমাজ নামক বায়বীয় অনুশাসনকে সামনে রেখে  আমরা যে কাজটি করি বা যা যা আমাদের দ্বারা হয়ে যায় সেটিকেই সঠিক প্রমান করার চেষ্টা করে যাই।


যে মানুষটি একবিন্দু পড়াশোনা করে নি, দেশি বিদেশি সাহিত্য, বিজ্ঞান বা আরো সব বিষয়ে কিছুই পড়েনি,শেখেনি তার জীবনবোধ কি কোন অসাধারণ জ্ঞানী বোদ্ধার থেকে কোন অংশে কম,প্রশ্ন থেকেই যায়।


 আজকের এই দিনে যখন রেলগাড়ি এগিয়ে চলে, পেরিয়ে যায় একটার পর একটা স্টেশন,জানালার ওপাশে ঔ কাশফুল আলতো হাওয়ায় শরীর হেলিয়ে দুলিয়ে যে কথা বলে ,তা বোঝার জন্য  কোন পুঁথি পড়ার তো প্রয়োজন পড়েনা।


এতো যত্ন দিয়ে দিনের পর দিন কতো যে বই পড়া তাওতো যাই ভুলে,নেভা জ্যোৎস্নায় আকাশ থেকে নেমে আসা চেনা অচেনা তারার দল যখন গল্প শোনায়, ঘুম পাড়িয়ে দেয় তখন যে আমোদিত ভালোবাসায় ভিজে যাই,সেই ভিজে ভালোবাসা সকাল হয়ে জাগে।


মনের মাঝে একটা বোধ কড়া নাড়ে, অপরিমেয় অজানার মাঝে সারাদিনের শেষে পিদিম আলোয় সেই সবুজ বেলার মাদুরে গা এলিয়ে গোবর লেপা মাটির দাওয়ায়  জীবনকে ফিরে দেখি।


তরতরিয়ে উঠে যাই একলা নীরব পাহাড়ের চূড়ায়, যেখানে নেই কোন পাখির কোলাহল, নীচে অথৈ সমুদ্র অনবরত ধাক্কা দিয়ে ডাকে ,আয়,আয়।ছুড়ে ফেলে দিই সব পুঁথি পড়া বিদ্যে। শুন্য হই,হই সম্পুর্ন।

 চলছি চল ,গঙ্গা অতল এই শহরপথে,

ক্লান্ত মন, জীবন দহন, ফিরি কুলাতে।

 মা তুমি, তুমি মা ,অপমান আর বর্জনের নিত্য পাওয়া নিয়েও

এনেছো আমায় এই বিপুলা ধরণী মাঝে অপার মায়ায় ।

জাগো অন্তরে জাগো ,দুর করো মা মনের আধার, 

আলো দাও ,সকাল হোক পাখির ডাকে সবুজ পাতায় ।

 ।।অন্ধ এই চিত্ত জাগরনের আশায় ।।

Wednesday, August 28, 2024

 মাঝরাত বৄষ্টি অঝোর, ভিজেই আজ এই সকাল

ঘরে ঘরে দুগ্গা চোখে তোর এতো নোনতা জল ।

পুরুষকার ,গ্রামে নগরে প্রান্তরে আমরা তালিবান,

কেবল নাটক, আছে মুখোস সব্বাই ভরা জঙ্গল ।

ক্লান্তি চোখে ,মনহারেমে দেহজুড়ে মৄত্যুমিছিল,

প্রান কোথায় ? যে দিকে তাকাই শুধুই ফসিল ।


 ভুল মানুষের অরণ্য,আকাশমন আজ সে মেঘলা ,

কায়া যায় ভিজে বারিধারায় , কিন্তু অদৃশ্য ছায়া ?

অন্তর ভরে এতো কালি ,বৄষ্টি আয় দুইএক পশলা ,

ভিজে যাক,সিক্ত হোক,রিক্ত হোক  নিভে যাওয়া। ।


  

 স্বপ্নময়  একটু সবুজ,একটু মুক্তির পথবাউলানী,

 আলগা বেড়ী,তরী বাঁধন হারা,অভ্যাসে দিন গুনি।

 ভুল মানুষের অরণ্য,আকাশমন তুই মেঘলা ,

কায়া যায় ভিজে বারিধারায় , কিন্তু ছায়া ।

অন্তর ভরে এতো কালি ,বৄষ্টি আয় এক পশলা ,

ভিজে যাক,সিক্ত হোক,রিক্ত হোক এ গান গাওয়া ।

 

 ওরে পাগলেরা কেন তোরা ঘুমে অচেতন,

বয়ে  যায় অবহেলে জীবনবেলা, দিনক্ষণ।

Tuesday, August 27, 2024

 প্ল্যাটফর্ম 

এসেই গেছি ,

বেশ খানিকটা আগে 

               থাকবো অপেক্ষায় 

অনেক পথ এখনো চলা বাকি।

বসে বসে দেখবো 

     একটার পর একটা ট্রেনের থামা,চলা

                 ওরা উঠবে,নামবে

অপেক্ষা করবো,

           এক চিলতে ফাঁকা শুন্য স্থানে,

সরব 

      নীরব  

              মায়া মৃদঙ্গ।

আগেই এসেছি,

               সমাপনে প্রাত্যাহিক নিত্যকর্ম 

                                  থেকে যাবো।

একদিন তোমার ও সব কাজ হবে সারা,

               অপ্রয়োজনীয় অতিরিক্ততা,

স্লথ পায়ে আসবে, একসাথে সুর্য স্নান।

                        

                    আমাকে বাঁচতে হবেই একটা হাতেহাত সকালের নীলকন্ঠ কামনায়।

 বিপুলা ধরণী ,আলো আঁধারের জীবনপথে,তোমার ছোয়া পথের বাঁকে,

অপার মায়ায়,স্নিগ্ধ ভালোবাসায় ,মাটির ধুলায়,পাখির ডাকে ।

তোমার ছোয়া উদার আকাশে,মধুর সুবাসে, গাছের সবুজে ,ফুলে ফুলে,

তবুও কেন যে মিছেই কাঁদাই,সব হারাই ,হারাই আপন ভুলে ।

Sunday, August 25, 2024

 মাথায় অনেক কিছু পোকার মত কিলবিল করছে।এই সভ্য সমাজে মানুষটা বড়ো বেমানান, সত্যি বললেই ঘৃনা,চোখের কালো 

 ছায়া আবছায়ায় প্রতিবিম্বে মরে বাঁচা,মায়ামৃদঙ্গ,

মন মরিচীকায় অন্বেষণে অচলায়তন, কৃষ্ণতরঙ্গ।

Friday, August 23, 2024

 ইসরাত

রাত আঁধারে সাঁঝবেলায় ফুটলো ক্যাকটাসে ফুল সাদা ,

এতো সাদা এতো আলো ,রুপসাগরে মা তুমি ।

বেতো ঘোড়াটা তাই দেখি গড়িয়াহাটে ব্রিজের নীচে 

বসে দাড়িয়ে বোড়ে দিয়েই রাজাকে করছে মাত ।


ইসরাত তুমি কেমন করে নাড়িয়ে কাঁপিয়ে দিলে,

জগদ্দল পাথরটা ,ভাঙাচোরা দুঃখগুলো,প্রতিদিনের মৄত্যুগুলো,

মায়ের আবাহনে কি সুরে তুমি ভরিয়ে নিলে ।

কৌশিকিতে রাত সবুজ অবুঝ জোয়ারে ভাঙলে অচলায়তন ।


রেসের মাঠে আজ তো মখমলে ঘাসের আদুরে চাদর,

মনখোলা বাণভাসি দেবশিশু যখন মাকে মায়ায় ভরে বাঁধছে,

বুড়ো পেটমোটা মনিটারে লেখাগুলো যখন একেবারেই ঝাপসা,

অন্ধকার মন এই ভাঙা মসজিদের দালানে দাড়িয়ে,

 অন্ধকার মন তোকে তালাক,তালাক,তালাক ।


ধুয়ে যাচ্ছে 

                স্বপ্নময় যাপন 

                                     বেশ কিছু,

অসহায় স্খলন 

                      বেপথু চলন 

                                        পিছু পিছু।

Thursday, August 22, 2024

 শরৎ সাজে গাছের পাতায়,

ফুলের মায়ায় পাখির গানে ।

আকাশ সাজে মধুর আলোয়,

প্রভু ধায় যেন মন তোমা পানে ।

 

 নীলার্ত হৃদিলেখ আঁকে কৃষ্ণাকাশ আর অনন্তসাগরের সঙ্গমকথা,

দেউল ভাঙে ,পিদিম নেভে একে একে , সাক্ষী অক্ষম আদুরী স্থবিরতা।

Tuesday, August 20, 2024

 এই সকালে আকাশ অকপট,

ফুলে ফুলে নিবিড় তুমি ঈশ্বর ।

সত্য হই ,অপার হই,সুন্দর হই,

এলো যে নতুন ভোর ।।

 এক্রোপলিস মল থেকে উদয়ন


এক্রোপলিস সামনে বট,

অদ্ভুতুরে এক চিত্রপট ।

রঙবেরঙের মোহিনী মায়া 

মনের কি আছে ছায়া ?

আকাশ ঝরে ঝিরি ঝিরি,

পথ যে এগোয় তারাতারি ।

উল্টোদিকে চিনি কম

ফুটপাথেই পুরি ,আলুর দম ।

ভিজেই বসে সবুজ পাখি

ভাঙা ফোনেই ছবি আঁকি ।

একলা পথে বন্ধ খাম,

কিইবা আছে কোন সে নাম ।

সেকেন্ড ওয়াইফ দাড়িয়ে ডাকে

বিরিয়ানির গন্ধ নাকে ।

ঝোপের মাঝেই নয়নতারা,

কোন সে ডাক আকুলকরা ।

মুখ ঢেকে দেয় ধুসর ধোঁয়া

রমনী তুমি কি সে কায়া।

ভালোবাসার ব্যাকআপ,

মাথায় আসে প্রচুর চাপ ।

হঠাৎ পথে সোমেশদাদা,

কবিতা আমার ঘুমিয়ে কাদা ।

Sunday, August 18, 2024

তিলে তিলে মরতে মরতে এখন  মমি হয়ে আছি,

          গায়ে, গোটা দেহে কিসের প্রলেপ,

                           নিজস্ব কিছু ?          

                                         অনুভুতি হীন।

বসে আছি 

               বারান্দায়,                

                বৃষ্টি চলছে ঘ্যানঘ্যানে শব্দে।


মরা মানুষের চোখে রাস্তার ঘোলা জলের বিবস্ত্র স্খলন।

     ল্যাম্পপোস্টে পাশ করার সহজ উপায়।

এক জীবন

                 মৃত্যু 

    মমি,

          লাফ জোড়পায়ে

                            জল ছলছল 

                                   জল ফড়িং 

                                              উড়বে ?

অনুভুতি হীন 

                    অপলক

                              বারান্দায় 

                                       ঘোলা জল।


 

Saturday, August 17, 2024

 যে  স্বপ্নগুলো রুয়েছিলাম পা ডুবিয়ে ভেজা বুকে,

আজ ডাকে নতুন করে ছিন্নমূল আধো আলোকে।


মনে হয় হয়তো বছর হাজার,

যে পথে হেটেছিলাম,

যে সুন্দরের ছায়ে

হয়েছিলাম শীতল সেই তো এই

আবার ফিরে এলাম ।

আবার যেন সকাল হলাম।

 যেও না তুমি অঝোর শ্রাবণ,

হৃদমাঝারে থাকো ।

অমৃত পথভোলা এই মধুকর

সঙ্গে তোমার রাখো ।


Thursday, August 15, 2024

 হাজিপুরে জ্বলে না সন্ধ্যা প্রদীপ, হয়তো বাজেনা শাখ।

মুক্ত অঙ্গনে ভাঙে মন,কেউ শোনেনা অথৈ গহিনের ডাক।

 প্রতিদিন মরা,প্রতিদিন বাঁচা,

জীবনের এই বন্ধনডোর ।

আঁধার শেষে আলো ফুটুক

হোক আমাদের মনের ভোর ।


Wednesday, August 14, 2024

 মাফ 

জং ধরে গেছে সবকটা অনু আর পরমাণুতে,পারছিনা,আকন্ঠ উদাসীন।

কিছুতেই ছিটকিনিটা খুলছেনা ,কেন যে?

জানলার ওধারে ওরা ডাকছে ,একজোট, মাৎস্যন্যায়,কেন যে এমন হয় ?

সব থামে নির্বিকল্প  স্থবিরতায় ।


আয়নার সামনে, মানুষবেচার হাটে অথবা সময়ের  কাঠগড়ায়,কিংবা  অবোধ হৃদকালকুঠুরীতে,

রাতআলোর অস্পষ্টতায় ,বুড়োটে ছানিধরা চোখে, চারিপাশে অগুনতি মুখোশের ভিড়ে,এক আঁজলা সুখের খোঁজে মনটা কোথায় কোন ডাস্টবিনে নাকি  মরা আদিগঙ্গায়? এক আবর্তে ঘুরপাক।


স্বাধীন ভারত ১৫ই আগষ্ট,১,২,৭৫,,,

একটু দমদার সেলিব্রেসান বা মহা উৎসব ।

বিজ্ঞাপনের চিৎকারটা এতোটাই , দিনের পর দিন যা ঘটে চলেছে,অভিনয় খোলতাই হচ্ছেনা,প্রম্পটারটা যে কোথায়  ? বোকা চড়ুইটা ভিজেই চলেছে,একের পর এক নিম্নচাপ।


কেরোসিন লন্ঠন বা হ্যাজাক জ্বালাও, জংটাও যদি হয় পুড়ে ছাই। নাভির মতো স্বপ্ন ও কি পোড়ে না?

টিকিটের লাইনে সেই ছেড়া মেয়েটা, কোলে শিশু কান্নাভেজা মোনালিসা,কোথায় নয়াবসত ? কোন স্টেশন?

পালিয়ে যাওয়া শেষশ্রাবণ ,৭৫ বছর পেরিয়ে এলাম, জমিয়ে পালন,এতো আলো, জমজমাট, দেশ স্বাধীন ।দ্বেষও স্বাধীন, তুমি আশাবরী আর একান্তই আমি বেসুরো বক।

Tuesday, August 13, 2024

 পথ চলেছে আপন  খেয়াল,

মুক্তাঙ্গনে উঠেছে দীর্ঘ দেয়াল।

হঠাৎ দেখা বটের ছায়ে,

ইতিউতি রঙমিলান্তি ডাইনে বায়ে।

মুখোস খুলে দুএক কথা

শিকল বাঁধা সামাল ব্যাথা।

চলতে হবে অন্য ভোর,

অন্য সকাল, সকাল তোর।

হয়তো আবার অন্য দিন,

বটের ছায়ে নিদ্রা হীন।

অমোঘ চক্র,পথের ডাক,

থেমেই চলা ,যাওয়াই যাক।

Monday, August 12, 2024

 ভোরের ডাক ওই শোনা যায়,

জীবন খোঁজে নতুন আশা আর আলো ।

অনন্তআলোক পথ ওই দেখা যায়,

পাগলমন তোমার অন্তরনয়ন খোলো ।

Sunday, August 11, 2024

 ওই শোনা যায় ওই যে হোথায় বন্দরের গান,

সওদাগর নাও ভাসাও জাগুক অমৃত প্রাণ।

Saturday, August 10, 2024

 শ্রাবন্তী ,তুই কেন দুগ্গা হলিনা ।

আমরা তো ক্লীব, তাদের কাছেই,

তুই তাদের কাছেই হেরে গেলি 

একলা লড়াই জিততে পারলিনা ।


আমরা তো মুখোশ পরে ঘুরে ফিরি,

সু কথার বন্যা ভাসাই,

ভালো মানুষের নাটক করি ,নাটকটা

তুই তুইরে কেন ধরতে পারলিনা।


এতো বড়ো খোলা আকাশ,

আদিম এই জঙ্গল,এই ঘন জঙ্গল

ছেড়ে তোর ডানা মেলে কেন

কেন রে তুই উড়ে গেলিনা ?


তুই ভালো ছিলিনা,

গুমরে গুমরে কাঁদছিলি

কেন কাঁদলি,কেন কাঁদলি?

কঠিন হয়ে খাঁচা কেন ভাঙতে পারলিনা ??

দুগ্গা দুগ্গারে...

Thursday, August 8, 2024

 ভরা বাদরে অঝোর ধারায়,

এই পৃথিবীর অপার মায়ায় ।

মন কেমন করা বাইশে শ্রাবণ,

প্রভু তোমায় আমায় মধুমিলন 

মাধুকরীতেই পথ চলা ,

বড় সুধাময় এই মানবমেলা । 


সতীশ আপ্লুত এতো ভালোবাসায়

  শাওন

ওরা

 বসে আছে

এখানে।


ওইখানে

চারিধারে

               দ্বিতীয়া রাতের আঁধার

                           জেগে আছে অনিমেষ।


চোখগুলো দল বেঁধে জ্বলছে মৃতপ্রায় জোনাকির দহন মেখে।


আর


মধ্যিখানে

 ঘুনধরা কাঠের টুলটা,

আদিকাল থেকে

                         বসে আছি

টুলটাতে,

 নদীর ছোঁয়া পাওয়া যায়না।


একের পর এক প্রশ্ন,

উত্তর নেই বুকের কুলুঙ্গিতে,

পাপী মন।


ওরা উঠে দাঁড়িয়ে পড়ছে একের পর এক,


মিহি সুর করে ওরা জীবনমুখী কবিতা করছে উচ্চারণ।


টুলে বসা লোকটা  বেশ অনেকখানি বধির,


রিনরিনে শব্দে ওরা কি বলে চলেছে?


বোঝার চেষ্টা

                 সব একরকম মনে হয়।


অনন্যোপায়

টুল ছেড়ে

রাস্তা দিয়ে হাঁটতে থাকি,

ঝিরি ঝিরি মেঘগলা জল ঝরতে থাকে।


আমি একা নই,

ফুটপাতে শুয়ে থাকা ওই বুড়োটে লোকটাও,

ভিজে যাচ্ছে একটু একটু করে

ঘুমিয়েই থাকে,

হয়তো বা সেও দেখছে স্বপ্ন,

একা 

        সীমাহীন  সবুজে 

                          গাছগাছালির মাঝে,


 রবি ঠাকুর ফিসফিসিয়ে কি যেন বলে চলেছেন!


দাড়িয়ে আছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে,


ওতোটা উঁচুতে।


ওরা, আমি, 


কাকতালীয় দোষে এক আবর্তে

ভাঙাদেউলে মহাকাল,


পিদিমের আলো ছড়িয়ে পড়ছে দেউল থেকে খোলা সবুজ মাঠে ,


ঘুম ভাঙছে

                ভালোবাসার,

যুক্তি তক্কো

         নদীর বাঁক ছুঁয়ে যায় আলতো ঠোঁট।


চেয়ে নিই হাতদুটো,

                          মুঠোয় ধরি ।


রবি বাউল গাইছেন

উন্মুক্ত 

আকন্ঠ 

জীবনের গান।


হেঁটে চলি, দুজনে,

নন্দিন হাসে খিলখিলিয়ে,

আকাশ সাজে

 রক্তকরবী আলো।


ওরা সব একসাথে হাত পা ছুড়ে করছে চিৎকার,

টুলটা কেঁপে কেঁপে ওঠে

ঘুনপোকাদের মহাভোজ।


একা আঁধার

             ঘুম নেই।

পৃথিবীর গর্ভাবস্থা।


 খান তিনেক,

নিমগাছ বাড়ছে 

তরতরিয়ে।

মাটি আছে 

               আছে জল ।

বুড়োচ্ছি

জোগাড়ের কাঠকুঠো

নেই কিছু পাওয়ার।

নিমসুখে এখন পড়ন্তবেলা।




Tuesday, August 6, 2024

 দুগ্গা রাতে

এক পশলা শ্রাবণ ভিজিয়ে দেয়  ভালোবাসার মাধুকরী।চলার পথে কুড়িয়ে নেওয়া আলোগুলি ভরে দেয় ঝোলা। দুগ্গা রাতে ক্লান্ত জোছনা আলোয় তক্তোপোসে বসে দেখি ঝোলা উপছে  টুকরো টুকরো আলোগুলি হাসছে খিলখিলিয়ে,যেন পদ্মবনে টলটলে মুক্তোধারা।সব হিসেব মেলে গরমিলে।রবিপ্লাবনে ভেসে যায় সবটুকু বেদনভার।মিলে মিশে একাকার। এইভাবেই তো উত্তরণে এক জীবন থেকে অন্যজীবন, মৃত্যু হীন। 


              একলা পথে


আমার একলা বাইশ একচিলতে ভেজা শ্রাবন,

মরণবানে অট্টহেসে অকুলহারা জীবন প্লাবণ।


পরাণ নাচে,ডাক ইশারায় হৃদিবাউল উথালঝরে,

চলার পথে , দিনেরাতে রবির আলো সকলজুড়ে।


নয়নতারায় আপণসুরে বাজে কৃষ্নায় নীরবগান,

ইছামতী বাইতে ডাকে উদাস জলে মন সাম্পান।


চুপকথাতেই সবকথা,তোমায় থাকি হৃদি আধার,

শামুকখোলায় অনিমেষ,মনদিঘীতেই সব উজাড়।


পলাশবনে আগুন নামে,নয়নধারায় ভানুপদাবলী,

সোনাঝুরির ভাঙামেলা, খুঁজে ফেরা অন্ধরঙতুলি।


        রহো সাথে


বারবার  আকন্ঠ শ্নান ভিজে রিক্ত শিক্ত পানকৌড়ি বাইশে শ্রাবন,


সেই কোন চাঁদ জোছনার মিলন মেলায় খোলা আধেক উঠানে জল ছলছল,


ফিরে ফিরে আাসা, টলমলে শুরু আবার সেই শ্খলিত পদশ্খলন, জলেই ছবি ।


এতো এতো মানুষের ভিড়ে , একটা বোধ কেবলই দেয় ঝাঁকুনি ,তফাৎ যাও, 


এই জীবন , এই সমাজ, নিতান্তই বেমানান ,একলা ভিজে পথ করে ইশারা, 


এ পথ, সেই পথ , অন্য পথ, অনেক অনেক দুরের বল্লভপুর ,তান্ডবে মালকোষ ।


দিনে দিনে অপরিচয়ের আভরন শৄঙ্খলাকারে আষ্টেপিষ্টে সোহাগগলা দিন পরের দিন,


বিন্দু বিন্দু স্তুপাকৄত শেষ চিঠি, জীবন আর মরণের তীব্র নরম মোমগলা প্রেম,


মনে পড়া, ভুলে যাওয়া অপরিমেয় শুন্যে অর্থহীনতায় শ্রাবন জাগে রাতের পর রাত ।


আটপৌরে আবছা আকাশ , সুর্যাস্তের পর সুর্যাস্ত, শ্যামসুন্দর আপন হোরিখেলায়


ছাতিমের সবকটা ডাল করাতকলে কাটা, সবুজ ঘুমায়, ভাঙা কাপের তিতকুটে


স্বাদে তবুও জাগে রডোডেনড্রন আর পাগলী রঙনে তবুও আমি ,আমার বাইশে শ্রাবন ।


চিরসখা, আমার সবখানে, চিরস্নানে . বন্দরের গান

আমার মরন আমার জীবন ,আমার বাইশে সাম্পাণ  ...

Sunday, August 4, 2024

 শুভলক্ষী মনে রেখো

জীবন তো এক ছোট নদী

চলতে পথে মাধুকরী,

পরাণ ভরে সাগরপানে চাওয়া ।

আকাশ কেমন ময়লা রঙা,

 তারই মাঝে ভালোবাসাকে

 এতো আর কতো ভালোবাসা । 

বাতাস কেমন মুখভার তবু 

 নীল দিনে অন্য মনে,

বেদনে রোদনে এই শ্রাবণ

 শুকায় ,আবার পরাণও জুড়ায়। 

 সবুজ পাতায় বৄষ্টিকণায় ,

মন হারায় হয়তো বা 

কন্যামায়ের চাওয়া পাওয়ায় ,

ভালোবাসা মেলে ভালোবাসায় । 

চলতে চলতে জীবনভোর 

মেলে মন পিতার স্নেহে মায়ের মায়ায়

স্নিগ্ধ শীতল কোন ছাওয়ায় 

মেলে যেখানে পথ মেলে আকাশে

  সে কোন পাগল পথ হারায়

 তার তারই দুগ্গায় । 

কঠিন কথায় আঘাতে বেদনভারেও 

জীবন জাগে নতুন করে 

পথে প্রান্তরে নগরে কুটিরে

ভালোবাসার ভালোবাসায় 

শুভলক্ষী তুমি না ভুলে

  বুঝো কিন্তু অপার মায়ায়।

Friday, August 2, 2024

 লিখবো কোন অন্যদিনে


তুমি বলেছিলে, তুমিই তো বলেছিলে

আমাকে নিয়ে একটা কবিতা লিখো,লিখোই,

লিখো কিন্তু , শুধুই একান্ত তোমার আমার,

শুধু তোমার আমার ভালোবাসার 

ভরা শাওন ভরন্ত আষার ।


দুঃখ নয়, বেদন সে তো নয়ই, আঘাত

নয়, নয় কান্নাধারা. কেবল কম্পিত হাসনুহানায় 

ঝিরি ঝিরি হৄদয়ের গান, দুয়ে মিলে বসন্তরাগ,

যে যাই বলুক , অসীমে মিলাক সীমার রেখা,

সম্পু্র্না  আকাশ, অমৄত আধার ।


হলো যেটা,যখনই লিখতে যাই, টুকরো টুকরো মধু 

হাসিগুলো,ছোট্ট ছোট্ট তোমার রিনি ঝিনি কথাগুলো,

তোমার পাগলপারা এলোচুলের দুষ্টুমি সব টুকু,

তোমার গায়ের আগোছালো গন্ধের আকুলতায় ,উন্মনে আমি 

সব ভুলি,কিভাবে সাজাই,সব একাকার।


একটা কোলাজে সাজানোর, একই তারে বাঁধার চেষ্টাতেই

বেলা  যায় বয়ে, লেখনী খেলে লুকোচুরি , পালিয়ে বেড়ায় ,

দুই হাতে বুকের মাঝে যখনই আঁকড়ে  ধরতে চাই ,ঠিক সেই

বেলাতেই দিন পর দিন , যুগ থেকে যুগান্তর , সব ভুলে যাই,

তোমাতেই ,অথৈ দুই আঁখি তোমার।


তবু আমি চেষ্টাতেই আছি , বসে কিংবা দাড়িয়ে তোমার খুব খুব

কাছে থেকে , সব টুকু তোমাকে নিয়ে , আমাদের এক্কেবারে অন্য

ব্যাকারনের ভালো টুকু বাসার,  প্রেমের কবিতাটা লিখবোই , কোন এক 

উজানে একলা আমোদিত ভালোবাসায় ,চুইয়ে পড়া পড়ন্তবেলায়, পড়ো অবশ্যই

আমার অদৄশ্যময়তায়,মনে গেঁথো আমার কথা রাখার ..... 

 ভালোই তো বাসি ভালোবেসে।

Thursday, August 1, 2024

 নিশীথে গহিনে, ,মোহনবাশি বাজে,

রুপে  অরুপে, কৄষ্নকলি জাগে ।

 নয়নে মগনে,  সঘনে সলাজে,

 ভুবন  উথালে, মধুবন্তী বেহাগে।

 জীয়নে মরণে,  কঠিনে সহজে,

 প্রানে অপ্রানে, অনন্ত আবেগে ।

                       মোহনবাশি বাজে।


 আবেশে আলোতে ,শ্রাবণ অবুঝে,

 নতুনে জাগরনে, আশায় সোহাগে,

 পরশে আকুলে , অমৃতঅনন্ত মাঝে

  নির্জনে প্লাবনে,জীবনদহন ত্যাগে।

 ঝরে অঝোরে, অঙ্কুরে  সবুজে

  মরণমাঝারে অব্যয়ে, নবপ্রাণ জাগে।

                             অমৃতঅনন্ত মাঝে।

   


।তারারা ডাকে চাঁদেলা আঁধারে

মেঘেলা আকাশ ভোরের মধুরে ।

Tuesday, July 30, 2024

 ঠিকানা?

হেঁটে চলি,

ঘর খুঁজে ফিরি,

               জন্মকাল থেকে।

দমকা হাওয়া,

বন্ধ নিঃশ্বাস জানালা খোঁজে,

ফাঁক বুঝে

            একটু নিজেকে ভালোবাসা।

ফুটপাত ভাঙাচোরা, 

                হাঁটি 

                   হাতের মুঠোয় ভালোটূকু বাসা।

ছুঁয়ে থাকি

               জীবন স্বপ্নীল।

আলো?

ভাল্লাগেনা,

নীরব অন্ধকারের সাথে সহবাস, 

                            এলোমেলো শতরন্চি।

মরি,

     সকাল বা বুড়োবেলা

                    ছুঁয়ে থাকা দ্রাঘিমা রেখা,

রেললাইন বরাবর হাঁটতে থাকি,

                     প্লাটফর্মে শ্রান্ত রেলগাড়ি।

হাই ওঠে একটানা।

   নিরুপায় লাইন ধারে কম খরচে VAT69.

জল জমে 

            ফুসফুসে ও পিচ রাস্তায়।

মানুষের ভিড়ে জীবন উল্লাস।








Monday, July 29, 2024

 বিজন ঘরে একলা ঝিঁঝিপোকার গান সব নীরবতা কোন সুরে মিলিয়ে দেয় । পথ চলতে চলতে এতো মানুষের সাথে আধো পরিচয় , সু আর কু অভিনয় । কত চেনা পথ বড়ো অচেনা বলে মনে হয় আবার অচেনা পথে হাঁটতে হাঁটতে মনে হয় এই পথে তো  কত বার এসেছি বসেছি শীতল ছায়ায় অপার মায়ায় । অবিরাম বারিধারায় প্রভু সব কালিমা মলিনতা ধুইয়ে দাও ।ছোট ছোট স্বপ্নেই তো জীবনের মালাগাঁথা,হাসিকান্নায় জীবনের কোলাজ ।ভুবনডাঙার মাঠে একলা শুয়ে আকাশ দেখা , একান্ত গোপন হৄদয়ের আশা ভালোবাসা দুঃখ বেদনা আকাশেই বিলিয়ে দেওয়া , আরো আরো বেঁচে থাকার , যে দিন যায় ফিরে পাবার কি আকুল আকুতি । বেলাশেষে গোধুলিবেলায় সময় তো হলো খেলাঘরের দুয়ার খোলার ।কতকিছু যা করার ছিল তা না করার অলসবিলাস ।মনে হয় এতো পথ পার হয়ে এসেও নবআনন্দে এই তো সবে শুরু পথচলা ।রাগ বিলাবলে কে যে নিখিল ভুবন ভরায়  ।।

 দিন পর দিন যায়,পাখি কুলায় ফেরে। আঁধার ধীরে অধীরে আকাশ থেকে নেমে আসে ভাঙা দাওয়ায়। মুখোশ সব চারিদিকে উন্মাদ নৃত্যগ্রস্ত। নিরাপত্তাহীনতায় মুখোশের দল। আকাশকুঠিতে সাপলূডোর খেলা। দাওয়ায় গল্প জুড়তে আসে সোঁদা মাটি আর সবুজ হাসনুহানা। শত আঘাতেও জীবনের ভালোবাসায় অমৃত মধুকর।দুরের চাঁদ গহিন দিঘির হৃদমাঝারে আঁকে মনছবি।জোনাক আলোয় জারূল গাছে চড়ুইবাসায় দীপাবলি।মধুময়, অন্ধকারে আলো জাগে।চোখের জল মুছে যায় বারিধারায়।মাদুরে গা এলিয়ে দেয় স্নিগ্ধ মধুকর।বাউলবনে আলো আরো আলো। সাই গানে নিদ্রা জাগে। অনিমেষ শুভ্র পথ অনন্ত। আমোদিত শাওনে সত্য জাগরূক অমলে বিমলে  রূদ্ররথে।

অমর্ত্য স্বপ্ন।

Sunday, July 28, 2024

 হৃদি ভিজে যায়

কান্নাগুলো আস্টেপিস্টে বাঁধে ,চলৎশক্তিহীন,

অন্যায় গুলো তান্ডবনৄত্যে, ভীষ্ম শরসজ্জ্যায়,

পৄথিবীটা এতটাই লবণাক্ত, লোহিতসাগর পায়ের তলায় ।


 

ত্রিমাত্রিক চরিত্রগুলি এত নীরব বেদনাহত, অক্ষম

জীবন তবু ধুকপুক, হৄদয় কি চোখের জলে ভেজে,

ইন্দ্রিয় সবকটা একসাথে  একসুরে সান্ধ্যকালীন কোমায় ।


অব্যক্ত বর্ণমালা, জাগতিক চলাফেরায় যান্ত্রিক পুনরাবৄত্তি,

চিত্রসৄষ্টিকল্প তো অপরিপুর্ন, বাধ্যতামুলক গণনা পাতা

ঝরায় ।মৄত্যু তিলে তিলে আজ অথবা কাল অনন্ত প্রতিক্ষায় ।


অনুভুতি সব আবদ্ধ কফিনে,চক্রব্যুহে আবদ্ধ অশ্বথ্থামা

আর শরসজ্জায়িত ভীষ্ম একাকার ।কিছুই কি করার নেই ?

বোবা কান্না গুমরে কাঁদে, সুরহীন অসীম একাকী  মন্দিরায় ।


জীবন আর মরন  তীব্র আলিঙ্গনে , টুকরো আকাশটা ছোট

হতে হতে জরাগ্রস্ত বিন্দুসীমা । ভুলভুলাইয়া জাগে অট্টহেসে,

ভালোবাসা তবু জাগে বেলাশেষে, তুমি, তোমায় , আকাশগঙ্গায় ।

Saturday, July 27, 2024

 নয়নতারা

নয়নতারা নয়নতারা নয়নেরই তারা

তুমি তো অঝোর শ্রাবন ভালোবাসার প্লাবনধারা ।

কচি ঘাস সবুজ মুক্তোকণায় ভেজা ,

নয় প্রকাশে , অনুভবে ,নয় কলরবে

স্বপনে মধুভাসে নীরবে

জীবনে প্রতি পলে তুমি নীরা ।।

তুমি কোপাই আর তুমিই তো জলঢাকা

আজ উথালপাথাল আজ বেনিয়ম বাঁধনছেড়া

আপন ভুলে চিকমিক উথাল পাথাল  সবুজতারা

চোখের কোনে  ক্লান্তিকলস তবু লড়াই জীবনভোর  

দুগ্গা দুগ্গা তুমি তো দশভুজাই রাগ নটভৈরব ।

আপন ভুলে দুয়ার খুলে অবোধ অবনী পাগল

মনে তার শক্তিকবি কাঁদে, জাগায় সুবোধ

জাগে সুনীল, শঙ্খ বাজে

পাহাড় দিয়ে নদী কেনাই তবে হলো পাকা

নিয়নের আলোয় নয় কেরোসিনের ল্যাম্পে

অবুঝ সবুজ সবুজ ছবিই আঁকা ।

 চলার পথে একাকী অনুভবই অবলম্বন,চড়াই উতরাই পেরিয়ে এক অন্তহীন খোঁজ।ষড় রিপুর দাপাদাপি। সচল,সজীব অভিনয়, সংশোধন এর কোন সুযোগ নেই।

মনে যা আসে তা নীরবে নিজেকে বলা, নিজের দেওয়ালে ছবি আঁকা। কোন ব্যাকারণ মানার প্রয়োজন বোধ করিনা,অনুভব ও তো পরিবর্তনশীল। এইভাবেই এই পৃথিবীর ক্যানভাসে তুমি আমি সব্বাই এঁকে চলেছি ,সম্বল মন তুলি আর একফালি এবরোখেবরো ভাঙা দেওয়াল।

কাল হয়তো ,হয়তো কেন, নিশ্চিতভাবেই অন্য আঁকিয়ে সাজাবে দেওয়াল।

যখন বৃষ্টি নামে,ছবিও তো মুছে যায়।

জীবন মাধুকরী।

 পুড়ছি,

ল্যাঙটা ছেলের উদোম স্বপ্ন

                        সবুজ আকাশ 

                                  নিদাগ নিঃশ্বাস 

                                                 পুড়ছে।

       

 ডুবছি,

আলগোছে আঁকড়ে জীবন ভেলা

                                     ইঁদুর দৌড়

                                         জেতার চোখ    

                                                    ডুবছে।

                           

মরছি,

অধীর অতল একমুঠো অক্সিজেন 

                             নিরুদ্বেগ মঞ্চায়ন 

                                পানকৌড়ি সাপলুডো

                                                     মরছে।

দিনান্ত,  

 আলোসকাল অসময়ে গোছায় বাক্সপ্যটরা

                                      ভীরু পাতাজল

                                        রাখালিয়া বাঁশী 

                                              দিনান্তে।

১২ ফুটি অসম লড়াই।


 অথৈ অতলে  দিন পর দিন  কেবলই তলিয়ে যাওয়া,

শুধু হেরে যাওয়া, মরনসাগরে  জীবনতরী বাওয়া ।

কেন বারবার  তবু কামনা ফেরার ,অবুঝ  মন বিহ্বল ,

ডোবে নাও,অক্ষম অব্যক্ত বন্যাধারায় আঁখি ছলছল।

চোখ তবু বেঁচে, কেঁপে কেঁপে ওঠে অনুভবে অমলতাস।

মরি বার বার নিমজ্জনে লাজহীন ঘোলাটে বিষনিশ্বাস।


।হায় মনমাঝি ,ডোবারই বাজি,হেরেই হারতে রাজি ।

Friday, July 26, 2024

 রুটিন মাফিক যাই,আসি,

চা পান 

          দাঁড়িয়ে 

                     ফুটপাতে।

নিয়ম মতে ডুবি, ভাসি ,

ক্লান্তি ভরি

               অক্লেশে 

                           রোজবেলাতে।

 বাঁচি বা মরি কি আসে যায় , ক্ষতি কি তাতে , 

পৃথিবী  ক্লান্তিহীন , ঘুর্ণায়মান আপণ কক্ষপথে।

প্রশ্নের উত্তর মেলেনা, সাদাটে খালি সেই খাতা ,

অক্ষরগুলির উকিঝুকি ,অনর্থক চলমান স্তব্ধতা।

    

সকাল কি যায় না আসে নিশা অবশেষে ?

 অথৈ অতলে  দিন পর দিন  কেবলই তলিয়ে যাওয়া,

শুধু হেরে যাওয়া, মরনসাগরে  জীবনতরী বাওয়া ।

কেন বারবার  তবু কামনা ফেরার ,অবুঝ  মন বিহ্বল ,

ডোবে নাও,অক্ষম অব্যক্ত বন্যাধারায় আঁখি ছলছল।

চোখ তবু বেঁচে, কেঁপে কেঁপে ওঠে অনুভবে অমলতাস।

মরি বার বার নিমজ্জনে লাজহীন ঘোলাটে বিষনিশ্বাস।


।হায় মনমাঝি ,ডোবারই বাজি,হেরেই হারতে রাজি ।

Monday, July 22, 2024

 ভরা বৃষ্টি, মাঝে মাঝে থমকে দাঁড়িয়ে পড়ছে।

ফাঁকফোকর খুঁজে চলা।

ছাতা ,

        চাইনে।

ভিজতো বড়ো ভালো লাগে।


দুদিন ধরে পুড়ছি,

                         বৃষ্টি নেই,

                        একপশলাতেই মন ভেজে ।

থমথমে মুখ 

                      নক্সী গাঁথায় লুকোচ্ছে কান্না।


বসে আছি টেবিল জুড়ে কাজ নিয়ে,

সকাল জুড়ে,

করছি না, কোথায় হাত দুটো?

Saturday, July 20, 2024

 মেঘমলহার

অবনীর আজ রাগ মেঘমলহার

যে গাছে সে জল দিয়েছিলো ,খুব খুব ভালোবেসেছিলো

সেই চাঁপায় দুটো শ্বেত শুভ্র ফুল ,সুবাসে মাতাল অবনী ।

সুমনে ধারাস্নানে সিক্ত দেহ মন, এতো পাওয়ায়ও  কেন রিক্ত  ।

স্বপনেই তো জীবন ।

দিবসান্তে ঘন আধাঁরে রবি কিরণ হয় একাকার 

চায়ের দোকানে পেটরোগা বাচ্চা কুকুরের দল

বাঁচার লড়াই একটা বিস্কুট কিংবা দুটো

জানলাগুলোতো  বাইরে থেকে আটকে দিচ্ছে ওরা কারা

এই আঁধারে একটু আলো দাও ।

জলছবি, সবুজ আকাশ, তুলি আর ক্যানভাস

মন ভাসে দিন আসে রাত শেষে

জুঁইও ফুটেছে কত শত , বৄষ্টি অঝোরে ঝরে ঝরে

আকাশ আর মেঘবালিকার চিরন্তন প্রেমগাথা 

কাছে কতো তবু কতো দূরে ।

তোমরা একটু দরজা খুলতে দাও , দাও একমুঠো আকাশ

একটু বাঁচতে দাও অবনীকে,

একটাইতো জীবন , বাঁচিয়ে ভাসাও ।।

Friday, July 19, 2024

 ঘুমোতে চাইছিলাম, ব্লাড সুগার জনিত ক্লান্তি ।

একে একে ছবিগুলো ভেসে আসছিলো।

ঘুলঘুলি থেকে লাফিয়ে এলো , 

 হৃষ্টপুষ্ট  সাপটি 

         ঠিক মুখের সামনে, 

                                     বিষদাঁত, 

নির্লিপ্ত অন্ধকার।

চুম্বন,

পায়ের চুল থেকে নখ,বিষ,বিষ,

নীল নগ্নজীবন।

সারি সারি প্রেত,

চলেছি অনেকে, একসাথে, একা,

দুরে ।

নির্দায় অচেনা গাছ, 

বাতাস, আকাশ।

এতো সীমাহীন অসহায়তা।

চলে গেল,  ওরা,

অপ্রয়োজনের বাঁধা দড়ি,

                         সম্পর্ক।

ঘোড়াটা একলা, সবুজ খাচ্ছে, ছাদজুড়ে।

শব্দহীন।

সরে যাচ্ছে,

                বাড়ি,

                        বসত, জীবন।

সবুজ খাচ্ছে।

ওখানে অতৃপ্ত উল্লাস, ওখানে আগুন।

দাবানল,

পুরোনো ছেড়া পর্দায় পৎপৎ স্মৃতি,

অশালীন হাওয়া,

ডিঙি জুড়ে হতাশ উত্তেজনা ,

রামধনুর ঘুম ভাঙে

                          উথালপাথাল ভালোবাসা।

Script writer সাজায় ঘর,

ভেসে ভেসে যায়,

কচুরিপানার জড়ানো স্বপ্নশব,

গন্ধহীন।





Thursday, July 18, 2024

 মুক্ত অঙ্গনটি ঘিরে গড়ে উঠছে পাঁচিল

 দীর্ঘতর থেকে আরেকটু দীর্ঘায়িত,

ওইখানেই কাগতাড়ুয়ার সমাধিস্থ করার

 আয়োজন মোটামুটি পন্জীকৄত ।

কফিন বন্দী করা হইতেছে উড়িবার কল্পডানা ,ভাসিবার মনপাখা ইত্যাদি ,

আাকাশ  ভুমিশয্যায়  ক্লান্ত হতোদ্যম , 

তবু অবুঝ আশা বৄষ্টি পড়ে একটু যদি । 

মৃত্যুউপত্যকায়  ছোট ছোট হৃদপিন্ডগুলির সমাবেশ দুরত্ব মেনে।

নীল সকালটায় জীবন জাগুক অমৃত আনন্ত

ফ্যাতারুরা আকাশ বনে।


জীবন জাগুক ভয়হীনে, শুভ্রমনে।

 মুক্ত অঙ্গনটি ঘিরে গড়ে উঠছে পাঁচিল,

দীর্ঘতর থেকে আরেকটু দীর্ঘায়িত, 

বিছুটি আর চাঁপার চুপকথা।


ওইখানেই কাগতাড়ুয়ার সমাধিস্থ করার আয়োজন মোটামুটি পন্জীকৄত ।


কফিন বন্দী করা হইতেছে উড়িবার কল্পডানা ,

ভাসিবার মনপাখা ইত্যাদি ,


আাকাশ  ভুমিশয্যায় ,

 ক্লান্ত হতোদ্যম , 

তবু অবুঝ আশা বৄষ্টি পড়ে একটু যদি । 


মৃত্যুউপত্যকায়  ছোট ছোট হৃদপিন্ডগুলির সমাবেশ দুরত্ব মেনে।

নীল সকালটায় জীবনের অমৃত সোয়াদ।


ফ্যাতারুরা আকাশ বনে , 

উড়তেই থাকে, 

মোটামুটি চারিপাশ একগুঁয়ে কচুরিপানায় গেছে ভরে,

পা ফেলার জায়গা নেই।


কে কোথায় যে দাঁড়াবে?

 স্বপ্নের কালঘুম শেষে আশাগুলো পথের মিছিলের গোলকধাঁধায়।


সমাজের মালিকানা স্বত্ব কার এই চিন্তায় মাথা হচ্ছে আরও সাদা।

আপসের ছানি জমে দুই চোখে।

Wednesday, July 17, 2024

 দ্রিম, দ্রিম, দ্রিম,

বাজতেই থাকে,

আর্তনাদ।

হাত,পা ছুড়ি, এগিয়ে যাই, পিছনে তাকাই,

চারিদিকে আকাশ ছোঁয়া পাঁচিল,

আ-বৃত্ত পথ।

আকাশ থেকে ঝরে পড়ছে, 

আগুন, 

চোখের জল, 

যন্ত্রণা,

মুঠো মুঠো দিশাহীন পথচলা।

তুমি ভিজছো,

আমিও ভিজছি ,

ধাক্কা মেরে চলেছি,

সন্দিহান হৃদয়ে।

ফুড়িয়ে আসছে সময়,

আকাশ ছোঁয়া হাজার বছরের বুড়ো গাছগুলো,

গায়ে গা লাগিয়ে বিদ্রুপ।

ফ্যাৎ ফ্যাৎ,সাই সাই,

পাঁচিল আরও বাড়ে, 

দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে ,

সব দলছুট, বৃষ্টি ঝরতে থাকে।

কিসের অদৃশ্যমান খোঁজ,

নিজেকে ভাঙচুর, 

তবু স্বপ্ন দেখি, 

দুচোখ অনিমেষ।

দ্রিম দ্রিম দ্রিম।

লবণাক্ত জলে ডুব দেয় মুক্ত অঙ্গন।

তুমি জাগো,

আমি জাগি, 

নিঝুম দিন ।

অস্থির শ্রাবণ।



Sunday, July 14, 2024

 উপহাস,সে তো করতেই পারো,

আমি লিখে যাব,

হোক না monotonous,boring.

অহরহ অস্থিরতা,না পারা।

লিখে রাখব,

চলে যাবার আগে মুছে দেব,

শুন্য চালি।

 আমার তোমার ঘরের বাড়ি,

জাগছে রাজা,তার নজরদারি।


ভাঙছে রথ,চলার পথ ,উল্লাস,

নেভে আগুন,মনফাগুন, উদ্ভাস।


অন্ধ বন, বিভীষণ, আলগোছে,

বড্ড সুখ,মুখোস মুখ, ছোঁয়াচে।


বিলাসী বালা,গোরের মালা,ভাসে,

কানামাছি, মরে বাঁচি,রাজা হাসে।


হাজার হাত,একসাথ,ভাতের দানা,

কাব্যি লিখি,কত শিখি,রাজঘরানা।


জয় হোক।

কার?

Saturday, July 13, 2024

 আকাশ জুড়ে আগুন জ্বলে ,

অথৈ সাগর মুচকি হাসে,

আজ এই বেলাশেষে,

বায়ুবনে জাগছে ঝড়,

স্বপ্ননীড় কাঁপছে থরথর,

 কি জানি কোন তরাসে !

Thursday, July 11, 2024

 আলেয়ায় অন্যকাল

বাত্যমন একান্ত নির্জন, পাগল চিন্তন ,সুরে স্থবিরতা, পথ কিন্তু বৄত্তাকার ,

আপাদমস্তক মহাপ্লাবন,শঙ্খচিল,তটরেখা স্ত্রৈন উত্তাপে পায় শীতলতা ।

কফিনবন্দী গোলাপগুলো নিরুদ্দেশে কাঁটাগুলোর সাথে ঝগড়ার ব্যস্ততা,

শামুকজীবন উকিঝুকি ,বারবার ফিরে চাওয়া, অনন্ত লাল রক্ত রডোডেনড্রন ।


লেদমেশিন একই যান্ত্রিক ঘট্ঘট, অবদমনে  সুতীব্র অনাহার, তবুও কম্পমান

হৄদয়পিন্ড, অগ্রদানে মাথার ভিতর কেন্নো খোঁজ  চোরাগলি অনিমন্ত্রিত স্বপ্নসন্ধান

না স্বপ্নদহন. ধীর অথচ সুনিশ্চিত হেমলকে কালপুরুষের ছিন্ন কোমরবন্ধন.

স্মৄতিভষ্ট্র ধাপসিড়ি, দুর্বোধ্য বাক্যবিন্যাসে মোমজোছনায় চুম্বিত বিচ্ছিন্ন স্পর্শ অতল ।


সুদীর্ঘ অপরিচিত সহযাত্রিক অন্তপথ দিখন্ডিত,নিঝুমপাতার নৌকা নিতান্ত অপ্রয়োজনীয়

বিদায় সম্ভাসন ,মনহনণে নিঃশব্দ পুনরাবৄত্ত পরলৌকিক ক্রন্দিত উৎসব উদযাপনের

দীর্ঘ প্রস্তুতি, তবু বাধ্যতামুলক জীবনযাপন ।তবু রোদ্দুর আমোদিত সেই একই চেয়ারে

দৄষ্টি পুবে ও অন্য পশ্চিমে , জোনাকআলোয়  পুনঃশ্চ শেষরজনীর মহড়ার রুটিনমাফিক 

যবনিকাপতন।

তবু একটি জীবন বাঁচা ।

 ভোরাই আঁধার, 

লাঠির ঠক্ঠক,

রাতপ্রহরীর বাঁশী ,

নিশির ডাক,

 তফাৎ যাও, তফাৎ ষাও,

অনেক তো হলো, 

দিনাবসানে ডাকে অসীম ,

কোন অকুল?

অনটনে আশাপাখি,

মধু সওদাগর নাও ভাসাও।

 আলেয়ায় অন্যকাল

বাত্যমন একান্ত নির্জন, পাগল চিন্তন ,সুরে স্থবিরতা, পথ কিন্তু বৄত্তাকার ,

আপাদমস্তক মহাপ্লাবন,শঙ্খচিল,তটরেখা স্ত্রৈন উত্তাপে পায় শীতলতা ।

কফিনবন্দী গোলাপগুলো নিরুদ্দেশে কাঁটাগুলোর সাথে ঝগড়ার ব্যস্ততা,

শামুকজীবন উকিঝুকি ,বারবার ফিরে চাওয়া, অনন্ত লাল রক্ত রডোডেনড্রন ।


লেদমেশিন একই যান্ত্রিক ঘট্ঘট, অবদমনে  সুতীব্র অনাহার, তবুও কম্পমান

হৄদয়পিন্ড, অগ্রদানে মাথার ভিতর কেন্নো খোঁজ  চোরাগলি অনিমন্ত্রিত স্বপ্নসন্ধান

না স্বপ্নদহন. ধীর অথচ সুনিশ্চিত হেমলকে কালপুরুষের ছিন্ন কোমরবন্ধন.

স্মৄতিভষ্ট্র ধাপসিড়ি, দুর্বোধ্য বাক্যবিন্যাসে মোমজোছনায় চুম্বিত বিচ্ছিন্ন স্পর্শ অতল ।


সুদীর্ঘ অপরিচিত সহযাত্রিক অন্তপথ দিখন্ডিত,নিঝুমপাতার নৌকা নিতান্ত অপ্রয়োজনীয়

বিদায় সম্ভাসন ,মনহনণে নিঃশব্দ পুনরাবৄত্ত পরলৌকিক ক্রন্দিত উৎসব উদযাপনের

দীর্ঘ প্রস্তুতি, তবু বাধ্যতামুলক জীবনযাপন ।তবু রোদ্দুর আমোদিত সেই একই চেয়ারে

দৄষ্টি পুবে ও অন্য পশ্চিমে , জোনাকআলোয়  পুনঃশ্চ শেষরজনীর মহড়ার রুটিনমাফিক 

যবনিকাপতন।

তবু একটি জীবন বাঁচা ।

Wednesday, July 10, 2024

 একতারা, তারটি তোমার কেন যায় ছিড়ে বারবার  ফিরে ফিরে  ?

জীবনভর এত পাপ, এত পদশ্খলন নিজেরে লুকাই কোন গভীরে ।

পরমপ্রিয় প্রভু হে  রহো সাথে.........

 একটুকরো আকাশ, দুগ্গা তুমি থাকো , জাগো, তোমাতেই বেঁচে থাকা ,

অলীক তবু জুই স্বপ্নে শিউলি কল্পে কাছে ভাসো, ফিনিক্সের নবউড়ান ,

পত্রলেখা তোমারই লেখনীমায়ায়,,,,,

।।হৄদি ভিজে যায় আধারআকুলতায়।।

 একটু ভালো লাগা অনেকটা মন্দ লাগা নিয়ে এই জীবন ।সুখমন্দাকিনীর খোঁজে ছুটে চলা ।জীবনের আনন্দ হতাশার গোলকধাঁধায় ,ভালোবাসায় ,মায়ায়, বিরাগে, অনুরাগে মালা গাঁথা ।আকাশের অশ্রুধারায় হৃদয়কাননে প্রাণ ফেরে নব নব রুপে ।বারিধারায় নবসবুজে কৄষ্ণকলি জেগে ওঠে ।ও চাঁদ তুমি মেঘের আড়াল ঠেলে সরিয়ে একটু হাসোতো ।সব কালিমা ভুলে একটু জাগি অনেকটা বাঁচি । পান্চজন্য মৄত্যু নিনাদে নয় জীবনের জয়গানে নিজেকে এই মানবসাগরকে মন্দ্রিত করো । সকাল এসো।

Tuesday, July 9, 2024

 লবনাক্ত জলঢেউ সামুদ্রিক, 

তটভুমিতে ঠাঁই খুঁজে ফেরে যুগযুগান্তর ।

মেলেনা,

 কেন চেষ্টা অবিরাম,

কিসের খোঁজ?

 অমৃত কুম্ভ না পরশপাথর ?

মনমরীচিকা,

 চোখ ভিজে যায়……

রাত স্বপ্ন আর রোদ্দুর হোঁচটের সোঁদা গন্ধে খোলা জানালা।

Monday, July 8, 2024

 বৃষ্টি তার ডিউটি সেরে ফেলে, রোয়াকে বসে, মৌতাত চা পানে,

ভিজে বাতাস  গা মুখ মোছে,

মন দেয় বৈকালিক নাম গানে।


আমি তুমি চলার পথে, এখানে, ওখানে।

 হৃদয় ভরে  মৄত্যুর সাথে জীবনের অমোঘ আলিঙ্গনে,

পান করি আবেশে , মধুর বড়ো নীল এই  দিনযাপন ।

   দিনরাতের সীমারেখা মুছে যায়।

 কালপুরুষেও উথাল পাথাল ঢেউ ,জীবনের রঙ কাছিম ঘোলাটে.

বিষ নিঃশ্বাস, জোনাকিও আলো হারায়. পাতা ঝরে শুকনো বটে।

মুখোশ গোটা দেহ মুখে ছাড়িসনা ,আকড়ে ধর জোরে শক্ত করে,

নবজীবন , রুপান্তরিত স্বপ্ন , জাগুক আপন পথে শুদ্ধ সত্য অন্তরে।

            যদি পারিস চোখটাকেও কর আবরিত. 

             দৄষ্টি  অভিশাপ. কান্না অতীব লবনাক্ত।

                     মঙ্গল শঙ্খে অমৄতপ্রান হাসে.

                     কালপুরুষ শামুক খোলসে।

                         ধৄতরাষ্টীয় জীবন,

                         অক্ষম অন্তরদহন।

                             ধারাশ্নান,

                             মৄতপ্রাণ।

Sunday, July 7, 2024

 কাল হঠাৎ এলো বুলবুলের ভাঙাগান রাতসকালে।

 কোন এক দিন ছিল,

 সকালে ভরা,

বাঙ্ময় সকাল।

কবিতা ছিল,

প্রেম ছিল, 

জীবন আলো ছায়াময়।


আকাশ নীল অথবা ঘোলাটে,

 মরিচিকায়,

 মেঘবালিকার উথাল দূই হাত

ভিড় কাটিয়ে পথের চলাচল।

সংখ্যা ৩৪,৪৫ বা ৫২,

এগিয়ে চলে অস্বীকারে, 

ঘুম ভাঙ্গার ২০১৫,১৬ এবং শ্রাবণ।

যেতে হবে তো একা।


চেনা ঘর,

 হারিয়ে যায়,

কড়া নাড়তে থাকি,

আনমনা বৃষ্টি,

শব্দহীন,

পাপবিদ্ধ,

একা।

রক্তের মাঝে এখন ভালোবাসা মুচকি হেসে স্থির,

মরেনি,

পারাপারের গান,

ছলাত ছলাত ,

আগুন জ্বলে।





Saturday, July 6, 2024

 নিরাপত্তাহীনতায় ল্যাম্পপোস্ট,

 আলো ক্ষয়মান,

ফোঁটা ফোঁটা ভিজে যাওয়া,

রুটিন মাফিক সকাল,

নিভে চাওয়া আবরিত এক আশ্রয়,

 নিথর ।


আনন্দ ,

 বেদনা ,

অপমান, 

একান্ত অহঙ্কার, 

সবটুকু ভেসে  যায়,

কামনায়  একান্ত আপণ কৄষ্নগহ্বর।

 একলা পায়ে চলন,

ভিজে গাছসব এসে দাঁড়ায় পাশে,

গড়ে ওঠে রুদ্র পথ।


অবয়বে আমি তুমি জীবন,

কোলাজে টুকরো টুকরো পাঠশালা,

এক পেয়ালা চুমুকে নিঃশ্ব রথ।


মধুপুর।

Wednesday, July 3, 2024

 থাকে থাকে সারি সারি দুঃখ, আঘাত, বেদনা,একটু যন্ত্রনা ইত্যাদি ইত্যাদি

আরো আছে দু এক টুকরো ভালোবসা বা সুখ জীবনগৄহে,তিরতির হৄদয়নদী ।

 ।।রাতপাখি এসো গানে ভাসি।।

 ভগ্নপ্রান মনদালান,বার্ধ্ক্যজনিত স্মৄতিবিভ্রম,চেনা পথ এত নীরব অচেনা,

দিন আকাশেপানে দৄষ্টি খোজে বাতিঘর,চলৎশক্প্তিহীন প্রভু তোমা বিনা ।

        

 অধরা মাধুরী


আকাশের নীলে আকাশের বাসায় ভুল তারা

ইচ্ছেমন মন্দাকিনীর খোজে আকাশগঙ্গায় দেয় 

ডুবসাতার ।

আর পাঁচু মন দিয়ে বাসন মাজে ,ঘর সাফ করে, 

বন্ধ করে খোলা জানালা উড়ে না যায়

 বন আর মনপাখি।

অচিনপুরের সবুজপাখি  দিক ভেসে হারায় অঝোর ধারায়

আগুনপাহাড় জ্বলে পোড়ায় পাতা ,পাইনবন, অন্ধমন খোঁজে মানসসরোবরে

বহ্মকমল ।

কি করে যে অবনী ভুলভুলাইয়ায় ঘুরে মরে

দরজাগুলো দমাস্ করে বন্ধ হয়ে যায় আলোআধারে কাঁদায় নিকসকালো

জীবনরেখা ।

তবু জীবন হাসে ।

রাত যায় দিন আসে ।

অধরা মাধুরী ।।

Monday, July 1, 2024

 অভ্যাসের দাসত্ব কিংবা  অভাবে ভেঙে জমা কান্নাপাহাড়,

উপায়ান্তরের বাধ্যত্ব অথবা আঁধারে রচিত নবসুরসম্ভার।


রাতবেহাগে টুপটাপ সকালের ভিজে নিঃশ্বাস।

কাল সব যাবে মুছে, চিলেকোঠায় নীল উল্লাস।

Sunday, June 30, 2024


স্বপ্ননীল


দিন, 

বছর,

 অনেক অনেক যুগ,

বুনতেছিলাম স্বপ্নের শীতলপাটি।

ছোট, বড়ো,সোদা সব স্বপ্ন,

আজো যেখানেই  যাই,শীতল ছোঁয়া।

বলতে পারিনি, 

কাউকেই,

ঘুমিয়ে পড়ি,

 আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে, 

বুকের মাঝে।


বুঝিনি,

যত্নে রাখা শীতলপাটিতেও ঘুনপোকা,

মরতেই থাকে,

স্বপ্নগুলো,

বলতে পারিনা।


কাউকেই।


এইটাই, জীবন,

আলপথ আজ পিচঢালা,

মরা,

কেউটের দল মঙ্গলগ্রহে,

নিরাপদ।


বার্ধক্যজনিত স্বাভাবিক নিয়মে শীতলপাটি আজ ফুটিফাটা,

ঝরছে,

 মরছে,

স্পর্ধা,

স্বপ্ন,

একটার পর এক,

স্বপ্নের দল।


চোখের জল,

চড়ুইভাতি,

ফল্গূনদী, 

একলা চর,

ব্যাথা চিনচিনে,

গোলাপবনে দাবানল।


স্বপ্ন,

শীতলপাটি,

ঘুণপোকা,

এখানে গ্রীস্মকাল।