Saturday, December 28, 2019


আবারও সেই দুগ্গা পথ

৭০বা ২০১৭,২০১৮ পার হয়ে সেই ২০১৯ ও তো পার হয়ে এলাম,উল্লাস ,নবজীবন, পানশালায় ট্রাফিক জ্যাম, এসো চিৎকারে চুম্বন করি আগুনে ছাই এই সভ্যতাকে, আমরাই তো সুশীলসমাজ।

কালো নিকষ অন্ধকার, মৃত্যু সাগর উথালপাথাল অমোঘ আশ্লেষে নগ্নিত লজ্জিত আলিঙ্গন।
আর কি বেশি দিন, না কয়েকদিনেই দুগ্গা তুমি,ফনিমনসার ক্লান্ত ফুল, আমার হাত পুড়ছে মন সেও তোমার স্মৃতি ছোঁয়ায়, এভাবেই তো শেষ হয়।

পাল্টাচ্ছি পোশাক, নিজেকেও সবার মতো করে ঘন শীতঘুম,হয়তো কোনদিন আর ভাঙবেনা, একা বাউল গান সেও ওই আকাশ কালপুরুষে।

যে পথে যাওয়ার ছিল, হলো না যাওয়া,অন্য গাড়ি, দাঁড়িয়ে আছি একা অক্ষম প্ল্যাটফর্ম।

শীতের ওম নিতে তুমি হয়তো খুব ব্যস্ত, তোমার তো আর গাড়ি ধরার তাড়া নেই, আর জানো আমি ও সব ভুলে প্ল্যাটফর্মে বসে একটা বিন্দাস সুর সাধার চেষ্টায় আছি,শালিকগুলো এদিক ওদিক,গানই গাইছে,ওরাও হয়তো আমার মতো অনিদ্রা রোগে ভোগে, জানিনা।

দুগ্গা পথ কোন বাঁকে, এলোমেলো পা,টলমল করে চিন্তন, একবার যদি পেতাম আঁজলা ভরে ঘুম, একসাথে মানুষ,পশু, প্রাণ ভরে নিকষ কালো আঁধার ভালোবাসায় ,হিম তো ঝরছেই, শীতার্ত জীবন যাপন।

অস্থির হাহাকারে  কখনো নেমে পড়ি আলপথে, কখনো বা ধানক্ষেতে, ধানকাটা শেষ, বদ্ধমূল পা করে রক্তাক্ত,বসে পড়ি নিথর চারিধার, দুরে আরো দুরে সরে যায় হলুদ সবুজ সরষে ক্ষেত,২০১৫ বা পেরিয়ে আসা অন্ধ অতীত গলা টিপে ধরে।

মাথার ভিতর বাউন্ডুলে পোকাগুলো জাল বোনে, ছিঁড়তে পরি কই, বোধ মরে, স্বপ্ন ঝরে, খুঁজেই ফিরি দুগ্গা তোমার পথ, নদী শ্মশান যাত্রায়, সাথে পাগল বাউল হরি, হে।

Sunday, December 15, 2019

বিলাসীবালা আমার কবিতা, তুমিও কি আজকাল  ছেড়ে যাও, যেথায় সন্ধ্যা নামে, হয় কাণাগলির শেষ ?

আগুন পাখি আমার হৃদয়, তুমি তো নীল চিতায় শুয়ে
শুনছো কেবল চৌরাসিয়ার বাঁশি,অন্তময় স্বপ্নবর্ষন।

জানো,আজ অনেক দিন পর একলা এক আকাশ অন্ধকারে চোখ ভিজিয়ে অনেক অনেক কাঁদলাম,
শাওন পাখি জড়িয়ে ধরল আমার বুড়োটে হাত, শিহরণ জাগলো আমার কবিতায়, আরো কান্না এলো আমার চোখে।

আমার চাতক চোখ হাতড়াতে রইল অক্ষরের পর অক্ষর, ভিজে ধুয়ে মুছে যে যায় জন্ম প্রতিক্ষার কবিতা।
আমি কি হয়ে গেলাম সবহারা নিরাভরণ বালুচর ?
উলঙ্গ একলা বাউল।

Saturday, November 30, 2019

আজকাল গ্রাস করে এক অনিবার ক্লান্ত অসহায়তা,
হাঁটতে হাঁটতে হোঁচট খাই, খুঁজে বেড়াই তোর হাত।

মনে অবোধ ঘোড়াটা খোঁজে রেসের মাঠের সবুজ মাদুর, ধাক্কা দেয় দেউলপুরের বুড়ো শিব এলোমেলো।

মুদির দোকানে আলগা হাওয়ায়  হিসেবের খাতায় উল্টো পাতায় পড়ে একদোয়াত সাদা কালি ,সাদা।

সারেঙ বাজায় ঘন্টা ,আকাশ ওঠে কেঁপে শীতের আর্ত চিৎকারে, বৃহন্নলার দল গানে জোরদার,আদুল ঝুমুর।

কাঁপন ধরে,ঝুর ঝর করে ভাঙে হৃদি নদীর পাড়,জীবন  অথৈ অতীতগর্ভে,স্থবির পাগল কোথা অমৃত কলস।

শুন্য, কোথায় তোর একলা দুটি হাত,
একটু ছোঁয়ায় মরি।

Thursday, November 21, 2019

ইট বলো, লোহা বলো, সুকঠিন,
কারাগার আমার, আমি কারিগর।

গলি বলো,পথ বলো, দিশাহীন,
ভেঙে রোদনপ্রান্তর,শুন্য স্বপ্নঘর।

মন বলো, মাঝি বলো,নগ্নদিন,
সমুদ্র কুয়াশাপাথার, হৃদিনির্ঝর।

দিন বলো,রাত বলো, সাথীহীন,
উন্মুক্ত জীবনদুয়ার,বোবাঅন্তর।

Friday, November 15, 2019

একা কি?
আর একা নই আমি,এখন আমি তোমার অপ্রেমকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে দিব্যি আছি, বাঁচা মরা ও
গুরুত্বহীন,অপ্রেমের নরম আলতো হাতের ওম নিতে নিতে।

যত দিন চোখে জাগবে তোমার চালতা ফুলের আলতো হাসি,আমি সারাদিনের লড়াইয়ে এবং অসহনীয় ক্লান্তি কে হৃদয়ের কোণে কোণে,তখন ও নয়নের তারায় তুমি, তুমি ই থাকবে অপ্রেমেই ,একা নই।

টুকরো টুকরো ছোট ছোট পৃথিবীর চারপাশে কেবল বার্লিন ওয়াল, আমি জেগে রাতের সাথে সঙ্গমে, স্বপ্নেও তোমার ঘৃণা অবহেলা নিয়ে ভেসে রইব লখিন্দরের ভেলায়, একবুক জোনাক আলোয়।


সকাল চুপিসারে দারাস সাপের মতো আসবে,তখন ও আমি ঘুমবিবাগী,আমি অন্ধ আকন্ঠ আশ্লেষে আমার বিশ্বাসকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে তোমার অপ্রেমকে আমার প্রেমে গোগ্রাসে মরণকে আবাহন করব,এসো মৃত্যু,এসো প্রাণ আমায় সাথী করো।
তুমি থেকো, অনেক যোজন দুরে , যদি পারো রোদঢভেজা ঢিলেকোঠায়, তোমার এলোচুলের বন্যায় আমি অনন্ত প্লাবিত হবো এইটার,অন্যকারো, এই পৃথিবীর জীবনকালে।।

Thursday, October 31, 2019

                  ভালোবাসা
তুমি হয়তো,হয়তো কি সত্যি সত্যি আমাকে পাগল বলবে, কিন্তু  জানো আমি ভালোবাসার মানেটা বুঝে গেছি।
তুমি হয়তো বলবে ন্যাকামি, বস্তাপচা প্যানপ্যানানি, বুড়োর ভিমরতি, কিন্তু জানো ভালোবাসা কখনও বুড়ো হয়না।
জানো আমার এক খুব কাছের কবি,যার সাথে আমি দিনরাত একলা বকবক করি, সব্বাইকে লুকিয়ে,তিনি বলেছিলেন না পাওয়াতেই ভালোবাসা হয় পরিপূর্ণ মধুময়।
তোমার মনে আছে ? আমি তোমাকে ফিসফিস করে বলেছিলাম,দেহ নয় দেহ নয় , তোমার একপশলা হাসিতে ,সে আমার জন্য নাই হোক,আমি আমিই পারি মরতে,এই মরতে চাওয়াটাই  তো ভালোবাসা,আমি প্রতি পল ভালোবাসায় মরি।
জানো, যখন তোমার সাথে এক ইছামতী কথা বলতে আমি চাতক হই, তুমি তখন আপণ আত্মবিলাসে, স্টেশন পর স্টেশন চলে যায় আমি থাকি অগ্নি দ্গ্ধ, তবু ও যখন রাগ হয়না, অবহেলার যন্ত্রণাকেই  বড় ভালোলাগে,সেটাই সেটাই ভালোবাসা।

যখন একা একলাই আধো বোঝা চোখে এক পরশ বয়ে যায়, চেতনায় সবহারানোর সুর তাল সারিতে জাগায় কম্পন তখনই  তো তুমি আমি ভালোবাসার বসবাস।

Tuesday, October 29, 2019

একটি কালো কবিতা
পথচলতি পাগলা হাওয়ায় চিতি সাপেরও আড়মোড়া ভাঙে,
নীরবতার একটা কালো কবিতা অন্ধকারেই সাজায় অবনী ।
মৄত্যুতেও শুরু হয় এক নতুন ঝরঝরে অশ্রুত রাগবাহার।
ফোঁসফোসানী শুরু করে চিতি , শিকার অথবা নিজেই শিকারী ।

আমি কে ?এই আধাঁরে কেন ,কালোতেই তো প্রতিবিম্ব সুস্পষ্ট,
কৄষ্নসাগরে ঝাঁপ দেবার আগে অবনী আর কালোচিতি এক আত্মা ।
নিস্তব্দতার কবিতা , আখরমালা সাজে আপন সুরে ফিরে মৄত্যুগহ্বর ,
হেমলক তুই এতো তরল ,এতো তীব্র আবাহন ,বড়ো নিবিড় সুনিবিড় ।

তাপচুল্লীর দরজা খোলে ক্ষনিকতরে, চোখ ধাঁধিয়ে তীব্রছটায় সুতীব্র,
এতো শীতল আবাহন , কৄষ্নসার হরিণ এই তাপে পোড়ে না পুড়েই ছাই ।
দিকহারা নিকস মধুময় প্রেমে অপ্রেমে আস্টেপিস্টে জড়িয়ে আলিঙ্গনে আঁধার,
অবনী তার উদ্দাম আবেগে বন্ধ করে সব জানালা দরজা সব সব কপাট ।

জেল সেলুলার ,আবেগ অনুভুতি হাতে পায়ে লৌহশৄঙ্খলিত জীবনচেতনা,
কালাপানির ঘুম ভেঙেছে কালোমনে এদোল ওদোল চেনা মুখের ভীড় ।
মহামিছিলে এমন নোনাচোখ, প্রবাহমান কঙ্কালে টঙ্কারে মৄত্যুগীতিকা ।
চোখ বুজে আসে ,মধু আবেশে অন্ধকার তোকে জড়িয়ে মরে বেঁচে ডুব,
কৄষ্ন সমুদ্র মরণে ভেসে চলে জীবনভেলা  ।।

Friday, October 18, 2019

ঘোলাটে আধেলা চাঁদ রে চলছেই বাউলানী  প্লাবন,
অগোছালো বনে বনে একটা কথাই ঝড় হয়ে ঘোরে আর ফেরে, আসমানী আঁচলে কান্না ভিজে রোদ পোহায়।
আলো সকাল হয়ে হাসে, আদুরী আঁধার লুকোচুরি ঐ তালসারি,পথ দেয় মখমলে ধুলোমাখা জীবনের আশা।
উদ্গত বেলাভূমে শুধাই  দুগ্গা তুমি কেমন আছো আমাকে ছেড়ে,কেমন কেমন আছো?

হয়তো তুমি পরিপূর্ণ আকাশ হয়ে পালনে আছো তারা দলকে,আছো হয়তো আপন বেলাভূমে নদীর ছোঁয়াচ এড়িয়ে,তবু কখনও কি পড়ে না মনে? যদি উজাড় করতে পারতাম তোমাতে আকন্দরাশি, যদি।

বয়ে বয়ে যায় সিঁদুর রঙা গোধূলি আলো, তুমি আমি খন্ডিত আকাশ,আজ না হয় অন্যলোকে হবেই একাকার,এখন তুমি থেকো বনবিলাসী।




Tuesday, October 8, 2019

সেই মানুষটা বছর ৬৪,আজ হয়তো ভার আর ও বছর দুয়েকের,
খুঁজলাম অনেক ঘুমের ফাঁকে ফাঁকে।শালুক জলে ভিজলাম, তুলসীতলায় ছড়িয়ে দিলাম উন্মুক্ত হৃদয়,
পথগুলো হিংসুটে আকাশ থেকে পেড়ে পেড়ে খুঁজে ও পেলাম কই ।
থামলাম না, সেই মানুষটা আর এই মানুষটা একদিন হয়তো একদিন পাগলা ছাতিমফুলের গন্ধে মাতোয়ারা হয়ে আকন্ঠ মহুয়ায়  আঁধার পরাণ ডুবিয়ে, দু চোখ বুজে পাবে তার দুগ্গা কে।
পাশে এসে দাঁড়ালেই বাতাস যাবে থেমে, আমি কলারভেলার ঝলাৎ ঝলাৎ ধুকপুকানি নিঃশ্বাসে নেব, তোমার দুগালে  একটি বার দেখবো আপনাকে।

Sunday, September 29, 2019

It was 28.09.2015
'Released from Darbhanga PTC Jail on 28th now  transferred to RO( Office of the Postmaster General,South Bengal Region)
 correction centre'

Gone are the days..
ইচ্ছে তুই পাগলা শালুক আয় না মিলি পাহাড় হই,
কান্না ওরে মেঘবিলাসী, আকাশ হারায় নিরুদ্দেশেই।

মনডাকবাক্সে চিঠির পাহাড়  পারিস কি তুই পড়তে?
জোনাকআলোয় হাসি রিনিঝিনি এখনও এক চিলতে।

দাঁড়িয়ে ভাসি ,অভ্যাসে  কু ঝিক ঝিক রেলের গাড়ি,
দৌড়ে খুঁজি,এই কামরা ঐ কামরা দিলি কোথায় পাড়ি?

পথভুলি জলতুলি ,নারী ওগো তুমি নদী নীল নয়নতারা,
আমি মরি ,ঝরে আশাবরী, মাধুকরী, একলা দিশাহারা।


Thursday, September 26, 2019

ভাঙায় গড়ায় ইচ্ছে চিলেকোঠা,
পাখি যে তোর উড়ান ডানাকাটা।

ঝড়বৃষ্টি জলরঙেতো আঁকিবুঁকি,
শুন্যছবি শুন্যচোখ তাকিয়ে থাকি।

Wednesday, September 25, 2019

মা মাগো
ভাঙা চশমা ঝাপসা চোখ ,সব মানুষের মুখগুলো
 কেন যেন এক হয়ে যায়, নামগুলোও ভুলে যাই ।
এতো সু্ন্দর সুন্দর সব চলমান চিৎছবি ,খাই
আঁচার দিয়ে ছাতু , লেকরোডের বলরাম শেঠকে ভুলে
পেট আইঢাই করা অবাক অবাক জলপান ।
সমাপতন না মানবিক অধঃপতন জানো কি ?
কালোয়ারের দোকানে মা হংসেশ্বরীর পুজা,
লাইন দিয়ে অনাহার খিঁচুরীতে ভীড় থালাবাটির ।
সব মানুষের মুখগুলো কেন যেন এক হয়ে যায়,
পিজ্জার বাক্সোর সাথে একই ডাস্টবিনে
এঁটো খিঁচুরীর থালা কৄষ্নকালো, একান্ত গোপনে ।

খয়েরী, কালো ,সাদা রেসের মাঠে দৌড়ঘোড়া
মুখগুলো কেন জানি সব এক, দড়ি দিয়ে বাঁধা
দৌড় দৌড় বাঁচা ,অক্ষম একটাই গুলি ,
নতুন আরেকটা,তোকেই নামাব নতুন রেস
বাড়ি, গাড়ি, টাকা, কেনা প্রেম, হুইস্কি ,
রোদে পুড়ে একলা বড়ো ক্লান্ত রঙ পুড়ে যায়
আরেকটু ভানুমতীর পাহাড় দেখা ,আধাঁরে ঢাকা
একটুকরো স্বপ্ন, সাতসকালেই লম্বা লাইন.
যন্ত্রনিয়ন্ত্রিত জীবনজলেরও কিয়স্ক
জানলায় ফুলেল মাপসই ঢাকা আলো
পাখাটা ঘুরছেই,মনগুলো সব এক হষে শোকগাঁথা

আধাঁরনীল আকাশের একফালি চাঁদে,
তারাগুলো যেন একইরকম মিটমিট ।
অতীত, আজ, ভবিষ্যতের একসাথে পংক্তিভোজন ।
বুকের ডান বা মাঝঘেঁষে মিটিমিটি ব্যাথা,
অফিস টাইম একই ভিড় সব ট্রেন ওঠা দুস্কর,
আমার দুগ্গার একই একলা লড়াই, অনিমেষ, অফুরাণ
সব স্বপ্নগুলো মিলেমিশে একাকার আকাশের তারামালায়,
অন্তসলিলা, আবাহন, বোধণ, পুজন ,প্রতিপল জীবনভোর
ফুটপাথের ছেঁড়া দুগ্গা ,ইসরাত, লঙ্কেশ,মালালা,মহাস্বেতা,
ঝাপসা চোখে সব মুখই যেন আমার একান্ত আপনার দুগ্গার,
পুজোতো.. একটু মানুষ করো মা মাগো মৄণ্ময়ী নাকি চিণ্ময়ী ।

Friday, September 20, 2019

পেসমেকার
প্রতিদিন এই পথেই তো যেতো সেজেগুজে,
এখনো যায় কিন্তু বড়ো ক্লান্ত  পথচলা ।
সেই আগুন ছাই হয়ে ধিকি ধিকি শুধু পোড়ে মরে
ছোট ছোট সুখগুলো ,যেন অসুখে বন্যাধারায় দিকহারা ।

ওই যে সুপুরীগাছের মাথায় একলা ফড়িংটা
ইতিউতি তাকায়,আমিও মনে গাছফড়িং
উড়ছি একলা ডানায়,দেশলাই কাঠির ফুস প্রাণ ,
আচ্ছা এই বছরদুই মেয়েটাকেও তো ছিড়ে ফেললো ।

শুধু বাঁচা আর একলা কেঁদে মরা আর নিজেকে
প্রমান করার অন্তহীন অপচেষ্টা,পুরো ছেড়া তার
কেন মরার জন্য এতো বাঁচা, বোবা আর কালা
বোধ ভাসায় গঙ্গায়, কেউ তো ফেলেনা চোখের জল ।

কত শত বছরের পুরোনো উটির সেই  পামের সারি ,
তোমরা কি বৈঠকখানা বাজারের ওই মেয়েটার গন্ধ পাও ?
অনুভবে তার কান্না ,গান ,নিজের থেকে পালিয়ে ফেরা ,
দেখতে পাও নাকি তোমরাও একলাদলে অভিশাপের দৄঢ়মুল ?

হৄদপিন্ড গুলো তো স্হবির ,চলতে চায়না,জগদ্দল
পেসমেকার দরকার তো আমাদের সব্বার,আগুন
ঘোলাটে আকাশ, নীল নেই ,সবুজ কোথায়.বড্ড শীত
কান্না জমাট  বন্ধ কপাট ,ঘড়ি টিকটিক, টিকটিক,থেমে থাকেনা

তাসের দেশ ,একই ছবি ফেরে ফিরে ঘুরে, অথৈ দামোদর ,
দিক হীন জীবনে চাওয়া পাওয়ার গুলিয়ে যাওয়া ছেড়া খাতা ।
দিন আর রাত চক্রাকার ,ভাঙা মন, পৄথিবী ঘুরছে ,
আমরা ঘুরছি জিতেই মরতে হবে ,ওই মেয়েটি আরও শ্থুলকায়া ।

Saturday, September 14, 2019

কিছু নেই, কিচ্ছুটি নেই,মায়ামরিচিকা,মিছে অবলম্বন,
বৃহন্নলা ছৌ নাচে, উল্টেপাল্টে জীবন চলে নিরূদ্দেশে।

তুলসীবনে মাতালহাতি কাঁদছে একা মরনপথে আমন্ত্রন,
বন্দী তুই মনেরসুখে, দুগ্গা আজ ভুবনহারা এলোকেশে।

অসীম আমার স্পর্ধা ভাড়ার,ভালোবাসার দিন জাগরণ,
বুকের মাঝে হাপর চলে,পাই যে কোথায় কোন অশেষে।

Friday, September 13, 2019

রক্তচাঁদ
আমার রাত আকাশে রক্ত লাল আধখানা চাঁদ
আয় তোর সাথে প্রেমে অপ্রেমে হই আকুল ।
তুই আমাকে বড়ো করিস অশেষ, ছায়াময়ী
আবেগের মোহর, রবিছ্ছায়ায় চোখে সুখপাখী ,
আদরে ভরে  বড়ো আপন ,স্বপ্নিল  চাঁদ তুই ।
 হৄদয় ভরে  মৄত্যুর সাথে জীবনের অমোঘ আলিঙ্গনে
পান করি আবেশে , মধুর বড়ো নীল এই মিলন ।
অসুরে জোড়ে,সুরে আপন মীড়ে , আমায় নিয়ে চাঁদ
পাগলী তুই কুরচি ফুল ,আমার গালে কপাল ভরে এতো
আদর এই ছুয়ে পাওয়া সব ভুলে কি পাগলামি ,
 প্রতি পলে অনেক  বয়সের রকমফেরে
আমাকে  নতুন করে এতো ভাবে চেনাও ,
ভালোবাসাও ভালোবাসাকে, এই ঝরা বেলায় নিসংকোচে,
রক্ত চাঁদে এতো গভীর নিবিঢ় কাছে পাওয়া,
সেই তালসারির আড়ালে লুকোচুরি ।
 চির আবেগ পাওয়া মজা কানানদী,
গান শোনায় তিরতির বন্যাপাগল হাসিতে ,
ভাঙা বাঁশির কান্নায় আকাশের তারাদের খুজে ফেরে ।
আধেক হাসি আর কান্না ভরা অকেজো বেকার মন ,
 অপ্রয়োজনীয় ভীড় বাড়ানো মানুষটিকে,
ও পাগলভোলা ও আমার আধখানা রক্তচাঁদ ।
সকাল যেন হারিয়ে পাই উদাস আাকুল
ভুবনডাঙার মাঠ ভরিয়ে পাগলপারা ,
ভাঙা উঠোনে তুলসী তলায় আলোপিদিমে,
নেশায় ভরা আমার আধার আলোয় হাসা
তুই অতসীপ্রেম ওরে আমার রক্তচাঁদ ।।

Sunday, September 1, 2019

বীজ,সেতো পুঁতে ছিলে চুপে চুপে নীরব অজান্তে,
গাছ ভালোবাসার আজ বৃদ্ধ প্রাচীন, বেঁচে আজ ও হাজার কুঠারাঘাতে,কান্ডে, পাতায়,শিরায় উপশিরায়।

পথ সেতো আজ আকাশগঙ্গায়,আর একটি জীবনের
আদিম কামনা,গাছ ভরে কেবলই নয়নতারা,শুকায়
একে একে, প্ল্যাটফর্ম মেলে বৃক্ষ মুলের উদগ্র জঠরে।

একা বলি,একা চলি, এলোমেলো পাগলামি, জঙ্গলে ঘুরি ফিরি, কানে কেবলই ভেসে আসে, তফাৎ যাও,যাও নির্বাসনে, সন্ধ্যা নামে নিকষ কালো জীবন তলার মাঠে।

নীল বিষ, আকাশ ভরে,হৃদয় ও, তুমি আমার ভালোবাসার গাছ , তোমার বুকের ওম নিতে নিতে আমি তোমায় কান্না জলে ভেজাই, তুমি আছো,আমিও আছি শত যোজন দুরে, মেঘলা নির্বাসনে।

Saturday, August 24, 2019

জায়গা খালি করছি, কেটে সাফ করে ফেলছি মনজঙ্গল,কুড়িয়ে আনছি টুকরো টুকরো টাটকা পাথর,
চলতে ফিরতে, কেঁদে হাসতে হাসতে বুকের মাঝে গড়ছি একটা পাহাড়।
গড়তে হবে পাহাড়, শক্ত পোক্ত,যখন আমি থাকবো না পাহাড় যেন একটু বেঁচে থাকে।
দিন গুলো যখন মরবে রাতে,মরচে ধরা ভালোবাসা, পাহাড়, ও যেন  পাহাড়  ঢাকে।
অনুভুতি গুলো সব ছুড়ে ফেলছি , জঙ্গল চারিদিক, পাখিরা ডাকে না,কলম আর লেখনে মিলনবিচ্ছেদ।
বন্দী থেকে বন্দীতর উজানী গান,পাথরই চলেছি কুড়িয়ে,পাহাড় গড়ছি।
মৃত্যু তুমি যখন আমাকে চিরবন্ধনে বাঁধবে,যখন আমি থাকবো না,শীর্ণকায়া কর্ণফুলী জেগে উঠো, ভিজিয়ে দিলো আমার পাহাড়, কালপুরুষের নীল চোখে পাহাড় কোলে দেখবো প্রস্ফুটিত দুগ্গা নয়নতারা,কত কতদিন যে দেখিনি, আমাকে মৃত করো ও আমার মরচে ধরা রক্তাক্ত ভালো বাসা।।

Friday, August 16, 2019

ইচ্ছে শেষের পাগলা শ্রাবণ, দুঃখরা পথ ভোলে,
ঝড় তুই হঠাৎ ভালোবাসা আমায় গেলি ফেলে।

ডাইরীর পাতা ভিজে মুছে যায়,তেষ্টা প্ল‍্যাটফর্ম,
হাসি উল্লাসী কান্নারা ভিড় করে, বৃষ্টির ঝমঝম।

দরজারা সব থাপ্পড় মারে,ব‍্যথারা ভুলভুলাইয়া,
জানি তুই আছিস সাথে , জীবনটা মাঝদরিয়া।

বলব না মনকথা,ডেকে যাব পলপল নিঃশব্দে,
ঝরাপাতার নীরব গান,ভাসে অক্ষম নীলনদে।

কালাপানি,এই সুন্দর সমাজ সভ্যতা নির্বাসনে,
গাছ,ফুল, পাখি সাথে থেকো একান্ত অভিমানে।


Friday, August 9, 2019

ekta metho manush,otath keutake bollo, ei fanushe chorbi onek onek uchute akashe urte parbi,koto kichu dekhte parbi ,se beta chasa bollo kono dorkar nei hal chosi ,gaa er pothe ghure berai,golpo kori,dukkho,sukh bhag kore madhukori kori jibon kate anonde,eito besh,kintu porom mongalmoy er icchai take jor kore fanushe  chorie dilo,sabeki rajbarir pujoy fanush oranor moto ghotona  arki,kodin beta chasa moner anonde ghure beray akashe ,nicher monushgulo choto bindur moto lage,kauke chena jaina,sobbai koto dure ,kauke choa jaina,kintu fanushe tar besidin jaiga holona,  onno swajonra take  ektu kom chailo,othoba jaiga kom porlo,dhup kore porlo se ek jongole,ekhon pothe pothe ghure beray se, khoje purono juridar der,gramer bhanga barir uthone madur pete gaan gai,chobi dekhe ,chesta kore jibonke notun kore jante pagol,pagol jibon

ফিরে ফিরে আসে
পাগল রে পথভোলা, খুঁজে ফিরিস পরশপাথর,
কান্না গলে নিঝূম ক্লান্ত সাগরজলে ,ভাঙা ঘর।

চির নির্বাসনে আমার সমস্ত চেতনা,আমি ভিজছি গলছি, পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া অনুভুতি সব আজ ভেসে যায় ধুলিগঙ্গায়।

বারে বারে আঘাতে ভরে যায় দগ্ধ হৃদিধার ,কান্নার ও মেলেনা একটু অবসর,জ্বলে ওঠার অক্ষম চেষ্টা নিভে যায়,তবু তবুও এই নিবিড় নিশিথে কেন যে আছি?

ভালো থেকো,ভুলে থেকে ও  দুগ্গা ,প্রেম আমার,  আমার সুতীব্র নীলকন্ঠ যন্ত্রণায় আমি দেখতে চাই তোমার একপশলা মহাশ্বেতা সুখ।

কতদিন যে দেখিনে তোমায়,হায় পরাধীন শৃঙ্খলিত জীবন আমার,একটিবার আমায় তোমার কোলে মাথা রেখে শেষ ঘুমটা আমায় ঘুমোতে দাও,আর আমি জাগতে চাই নে।

আমার ইছামতী, আমার বিদ্যাধরী আমি তোমার কাছে একটি বারের তরে মত্ত দামোদর হয়ে মরতে চাই।মরতেই তো চাই,দাও দাও দাও আমায় তোমার শেষপরশিত নির্লজ্জ মৃত্যু।

ও আমার নয়নতারা ভালোই থেকো।

Tuesday, August 6, 2019

চোখ মেলে দেখি চোখ ছলছল আকাশ সঙ্গমে আলুথালু এ মেঘ ও মেঘ,বাইশে শ্রাবণ তোকে আমি বড্ডো বুকে ধরি।

Saturday, July 27, 2019

বৃষ্টি আসুক বেঁচে থাকুক সততা বিশ্বাসের গাছ,
তুমি আমি সবার ভালোবাসার আনাচকানাচ।

কথাগুলো তো স্বপ্নই, আসলে তো মরা বিধ‍্যেধরী আর ও মরবে,আর সেই খানেই গড়ে উঠবে বুভুক্ষু জনপদ।

প্রতি দিন এখন ঝরে পড়ি,গলে যাই ,হই অবয়বহীন,
লেখা আর আসেনা, অনিমেষ মৃত্যু প্রতিক্ষা অন্তহীন।

দুর বহুদুর একাকী ক্লান্ত নির্বাসন, ভালোবাসা মরে অহরহ,তবু বেঁচে  থাকে,রক্তবীজ জীবন অমৃত কলসে।

Monday, July 22, 2019

কান্না রোদে, ভাঙা রাতে দুচোখে তুই নয়নতারা,
গলার ফাঁস যখন কষে আদর ভরে,শহরবাউল
তোরেই খোঁজে, কোন  আকাশে দিস্ নে ধরা।

ক্লান্ত পায়ে হাঁটতে হাঁটতে  শুধু  পশ্চিমে এগিয়ে চলি,ওদিকেই পৃথিবীর শেষ ল‍্যম্পপোষ্ট,ওকে জড়িয়ে একটু ঘুমোব, আজকাল গাছ, মাটি আর পাখির সাথে গল্প করি অন্তহীনে আমার অন্ধ আবেগ।

জন্ম থেকে যে ভালোবাসার বীজ করেছি বপন
সেথা আজ ও ঢেলে চলেছি ভেজা চোখের শাওন জল,আজীবন আজও ।পথ আর নদী,নশীতে পথ আর পথে ভিজে নদী,আমাকে আঁকড়ে ধরে রেখো শক্ত করে।

একা একলা দাঁড়িয়ে ভাঙা আয়নায় দেখি অশক্ত চেষ্টায় চুরমার হয়ে যাওয়া হৃদয়টাকে,দেখতে পাইনা,হারিয়ে গেছে,গেছেই, আমি কে? কে? কেউ কি জানো?

Wednesday, July 17, 2019

কেউ আছো? কেউ কি আছো?
আলুথালু সকালের ভোর ঘুম ছিন্নভিন্ন করে  কে ?
আওয়াজ টা শুনে মনে হয় খুব রিক্ত আবছা কোন ও জীবনের আর্তনাদ।

দাঁড়িয়ে পড়লাম, দাঁড়াতেই হয়,এই খেলাটা আমাদের খেলতে হয়, মরা আদিগঙ্গায় জল আসে  নিতান্তই দু এক পশলা,হাত  কাটা, হিম শীতল কঠিন কোমর বন্ধনী, পুতুলের নাচ নাচতে তোমাকে হবেই।

কেউ আছো? কেউ কি আছো?
গলা থেকে আওয়াজ বেরোলো না,আসলে তো আগাপাশতলা কাপুরুষ, নিজের খেলাটা খেলতে গিয়ে এভাবেই পাশ কাটিয়ে কাটিয়ে এঁদো কানাগলি, নিশ্চিত নিরাপদ একটুকরো নদীর খোঁজে চোখে ছানি।

 চায়ের দোকানের যে শীতকাতুরে ছেলেটিকে ভোর ভেঙে মাজতে হয়,যে অসহায় বুড়ো বিছানা নোংরা করে ফেলে,যে মানুষটাকে নগণ্য টাকায় চালাতে হয় আস্ত সংসার,যে মা তার দেহ কে পণ‍্য করে সন্তানের একপশলা আরামের জন্য,যে পাগল অন্তহীনে  একজন সহযাত্রীর ব‍্যর্থ সন্ধানে,একলা বাউলের কল্পে গোধূলি রঙিন  পৃথিবী,যে নগ্ন বালক চায় একমুঠো হাত,
সব্বাই চিৎকার করে গলা ফাটিয়ে বলে,বলতে চায়,
কেউ আছো? কেউ কি আছো?
উত্তর ওই আকাশ সরোবরে,স্বপ্নের ওধারে।

Monday, July 8, 2019

সমুদ্র মন্থনে এই পৃথি, অনেক অনেকের সাথে জন্ম পুর্ব এই মানবজাতির, এই মানবজমিনের।
ইশ্বর আমার ,অন‍্য সব কিছুর সাথে চুপি চুপি তুমি গড়লে এক পশুখামার যার মধ্যে মানুষও থাকে,থাকতে হয় বৈকি।
চিন্তার কোন কারণই দেখিনা কারণ কি সেই পশুখামার আজ ও চলছে বহাল তবিয়তে।

খামার বেজায় বড়ো, হরেকরকম আয়োজন,বাবু হুকুম চাঁদ সেই থেকে আজও,তুমি আমি অপমান,ফারাক আসমান আর জমিনের। হুকুম মানো,মানো না হলেই দ্বীপান্তর অথবা তিয়ানমেন  স্কোয়ার।

বিপ্লব তুমি নেই, কাপুরুষ বা অমেরূদন্ডী কেঁচো সব, মুখোস শক্ত আর পোক্ত,পশুখামারে কেবল তো খাদ‍্য আর খাদকের সম্পর্ক ,চলন সে তো শিকল বাঁধা পায়ে আর মনে।

খামারে মাঝে মাঝে হুকুম চাঁদ তো বনমহোৎসবে মাছ মাংসের টুকরো টাকরা ও ছুড়ে দেন,প্রভু আমার তুমি ভালো থেকো। আমরা আর ও অনেক ভালো আছি, দিব্বি আছি,হৃদয় ও আছে।


মাস্টার, পাঠশালা আর পশুশালা অবাধ প্রেমে হাবুডুবু।

Wednesday, July 3, 2019

স্তব্ধতার পাথর , রুপান্তরের জীবনশিলা ,ক্লান্ত দ্বীপ্রহরে জাবর কাটছে নিমেষ হারা কলম,ভাঙছে আর ভাঙছে।

মন ভাঙানিয়া বেদন দীঘির কৃষ্ণজল  অতল,
আবছা আলো, বাসলে ভালো, ঐ স্মৃতি সম্বল।

পথগুলো আলুথালু এদিক ওদিক দে দৌড় আর দে দৌড়,ভাঁড়ের চায়ে মুঠো মুঠো কার্বন ডাই অক্সাইড,মধু।

দোদুল দোলে কিপটে আগুন জলে ধিকিধিকি,
ব‍্যঙ্গ হাসি,খোরাক বাঁশী, বাঁধের ধারে জলচৌকি।

চালতা ফুল আকাশ জঙ্গলে একাই ভাসে,নীল গঙ্গায় শুশুক খেলা ভিড়ের মাঝে,শহীদ মিনার বেহাগরাগে।

নিরাপত্তাহীনতায় ল্যম্পপোস্ট আলো ক্ষয়মান,
আশ্রয়হীন আনন্দ, বেদনা ,অবারিত অপমান

বাঁচে কেবল   একান্ত অহংকার বাকি সবটুকু হারাই কৄষ্নগহ্বরে। সকাল ও আসে বোধহারা রুটিনমাফিক।

Wednesday, June 26, 2019


ছোট বড়ো পাথরগুলো সব বুকের মাঝে,
জলজ বেদনাগুলো হোথা আশ্রয় খোঁজে।

শিউলি দুগ্গা বড্ডো তারাতারি,না জানিয়েই ,
সামনে অচিন পাহাড়, কঠিন ভালো থাকাই।

শিকল ছেঁড়া, আগল ভাঙা পাগল উজান,
সওদাগর নাও ভাসাও,নিঝুম নীল সাম্পান।

বাত‍্যজন এই সভ‍্যসমাজ নয় তোমার বাসভুমি,
যাও পালাও, নিশিডাকে আবাদ শেষের জমি।

দিনের শেষে   আকাশচাঁদ , মেঘ নয়নতারা।
পরাণ জাগে, কাঁপে, হাসে হেসে  বেদন হারা।

অসন্মানের বন‍্যা ভুলতে চাওয়া নিঝুম রাতে,
আলগোছে ভেসে  যাই অদৃশ‍্য নদীর বানেতে।

একতারা একাই চলে কোন পথে পাগল রাজা,
ভালো থেকো, পাহাড় কোলে কেন হৃদয় খোঁজা।



            

Sunday, June 23, 2019

    আজ ও


মৃত্যু উপত্যকায় আকাশ ঢাকে কালোপাহাড়,বিষবাস্প শরীর জুড়ে, ইতিউতি শকুনখামার আরও উঠেছে ফুলে ফেঁপে । নবারুণ তোমার বসত আজ কোথায়?
বৃষ্টি আজ হৃদরক্তকণিকা ঝরে ঝরে রক্তাক্ত বনভূমি,সেলোটেপ চেতনপাখির ঠোঁটে।
শোষণযন্ত্র উন্মাদ প্রান্তরের প্রতিটি মরা ঘাসে ,নিঃশ্বাস এখানে উৎকোচের মহাভোজে।

এই উপত্যকায় বিশ্বাস ক্ষয়রোগে,
মানুষের রক্ত পানেই মানুষের তৃষ্ণা নিবারণ,এখানে  পিরানহা দিনভর এই ঘর থেকে ওই ঘরে,খেলা করে,হা হা অট্টহাসি উঠান জুড়ে।
আবদ্ধ চোখ,সারি সারি দৄশ্যপট ভাসে আপন খেয়ালে,
ভারাক্রান্ত একটু আলো,আধারে অন্ধকার ডানা মেলে ।

আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা,চলো নিয়মমতে ,হাতুড়ি ক্লান্তি হীন মস্তিষ্কে অনবরত ঘা মারে, খেটে খাও, খুঁটে খাও ,মন দিয়ে শেখো সুরে তোষামোদি গান,কালাপানি ডাকে করূন স্বরে।কেবল পিছিয়ে চলা,লুঠ বিবেক,চেতনা ,মানবিকতা,স্বাপদের আস্ফালন প্রতিটি সবুজ পাতায়, মৃত্যুর ই উপত্যকা।

           

         

Thursday, June 20, 2019

      কেন?
হে সভ‍্য সমাজ এমন কেন বার বার ঘটে?

এই ক‍্যাবলা,রাম ভ‍্য্যবলা কেমন মজা দেখ,

মেয়েটি তিন তিনবার ধর্ষিত হয়েছিল,কেউ বিশ্বাস করেনি,ওর তো চরিত্রের দোষ,ওই মনে হয় যতো কান্ড ঘটিয়েছিল।জজ সাহেব ও লোকগুলোর দোষ দেখেননি,বেকসুর খালাস পেয়েছিল নিরীহ গোবেচারা মানুষ গুলো।

এই যে হাঁদা,মাথায় কাদা কেমন সাজা দেখ,

মেয়েটি আত্মহত্যা করে বেঁচে ছিল,এই কালপুরুষ এতবার মরে মরেই আছে,ঘরে দরজা,জানালা এমনকি ঘুলঘুলি ও নেই,বুক ফাটে,চোখ ভেজে এতবার ধর্ষিত এই কালো পুরূষ।আমরণ কারাদন্ডিত ,পাথেয় কেবল পথের ধুলো।

এই যে বুক ঝিমঝিম , তপ্ত হিম,দেখ দেখ,

পাগল সে যে অমলকান্তির মতো রোদ্দুর হতে চেয়েছিল, হলো না।
পাগল চেয়েছিল একতাল মাটি দিয়ে গড়তে দেবী প্রতিমা ,পারলোনা।
একমুঠো আকাশ হৃদি মাঝে রাখতে চেয়েছিল সঙ্গোপনে,ছলনা।
জীবন ভর নয়নতারায় দুগ্গা খোঁজ,অবসানে তাও হারাল মিলল না।

এতবার ধর্ষিত হতে হতে এই কাপুরূষ বড়োই ক্লান্ত, অবসন্ন, আত্মসমর্পণে,
কেউ আর খোঁজ রাখে না অমল বাড়িতে আছে না মরছে একটি কেঁচোর জীবন নিয়ে।
রোদ্দুর আর হওয়া হল না।










Sunday, June 16, 2019

     বাউল একাদশী

কত দশক পারাপার,
কোথায় এসে ভিজে ইচ্ছেসব গোল পাকাচ্ছে,
মন্দ বারাণসী?

সাক্ষী পেটমোটা চাঁদ ,
 রোজদিনই তো ভেজাভিজি আষাঢ় ও বেঁচে,
খুকখুক কাশি।

মিঠা ঝুটা পদাবলী,
কানে কানে এই সত‍্যিটাই চিৎকারে বা নীরবে,
নিজেকেই ভালোবাসি।

ভয় হয় মানতে তবু,
অকারণ ঝরা রোদে পুড়ছে,শিকলগুলো গাইছে,
দর্পণে মুচকি হাসি।

হাতল ভাঙা চায়ের কাপ,
ছেঁড়া থলে কাছে কাছে অবিরাম ঘুর ঘুর চক্কর,
চলাটাই বাণভাসি।

দেয়ালগুলো ভাঙা চুরমার,
আধখানা চাঁদে আঁধার, দর্পন  অবয়বহীন প্রতিকৃতি,
তেলচিটে বালিশ উদাসী।

চোখ অস্পষ্ট কায়াহীন
এলোমেলো ওড়ে ভোকাট্টা,লাটাই ঠোঁটে গাঙচিল,
যাই নাহলে এইবার আসি?

যাই।


   

Tuesday, June 11, 2019

অফিসে বসে এতো বছর পরে কাজে ফাঁকি দিতে শিখে যাচ্ছি বড্ডো ঝটপট।


শব্দগুলো  প্রচন্ড জীবনদাহে মৃতপ্রায়,আসছে ভিড়ে ঠাসা একলা দুপুর,ভাসিয়ে দিচ্ছি এক এক করে সব ইচ্ছে নৌকো গুলো আকাশ সাগরে।
যে হাত বাড়িয়ে ,গাছ হয়ে শাখামৃগ সাথে ঝরাস্বপ্নপাতার ঝিরিঝিরি গান আকন্ঠ, আজ তো কেবল গহ্বর নিস্তবতার,আজ কাল এবং গল্পকথা ।

সারি সারি ছায়ানারী আর অবয়বহীন পুরূষ ,চিৎকারে রাতপ্রহরী, চুপিচুপি দুগ্গা ঝরছে আনমনে, ভালো নেই কেন?

শ‍্যাওলা ধরা বিছানা,বালিশ ভিজিয়ে ছাদ  ছাপিয়ে তোমার আসা, বিসর্জন দিই একে একে তথাকথিত আমার আভরণ,হাত,পা এমনকি মাথাটাও শুধু বুঝতে পারিনা,ধুকপুক হৃদপিন্ড টাকে কোথায় রাখি ? যদি কোথাও রাখো অবহেলার ঝরা কুঠুরি মাঝে ,যেতেই তো পারি মধ‍্য অমাবস্যায়।

মুক্তাঙ্গন সে চুপিসারে নদীর গভীরে ,মৃত্যু অঙ্গন ইশারায় ডাকে।

Tuesday, June 4, 2019

 নিজেকে তো এই সমাজের উপযুক্ত বলে মনে করিনা, মানুষ হওয়া তো বহুদুর। এখন তো মনে হয় অক্টোপাস তার হাজার হাজার বাহু দিয়ে এমনভাবে বেঁধে ফেলেছে যে এক ঝলক অক্সিজেন ও পাইনা, মাইলের পর মাইল পথ চলি আরও চলি আর নিজের সাথে কথা বলি।আর লুকিয়ে চুরিয়ে দু এক কলম লেখা, এছাড়া তো বাঁচতে পারিনে। আমি নিতান্তই নগণ্য একজন,আবছায়া ঝরা পাতা,ধুলায় ভিজে টিকে থাকি,জর্জ বাবু আর শেষের মান্না দে কে বড়ো মনে পড়ে। আসলে সব পাখিই শিকলে বাঁধা,কেউবা ব‍্যর্থ ডানা ঝাপটায়,অন‍্য কেউ ও শিকলটাকেই আদর করে নিজেকে ভোলায়,শুনতে চায় সেই শিকল ভাঙার গান।
।।যাইনা চলে রঙিন ইচ্ছে ঘুড়ি,
আপন খেয়াল আপনি উড়ি।।


অশ্বমেধের ঘোড়া ব‍্যস্ত বড়ো  ঘুমায় খালি
লুকায়  হোথায় ব‍্যাকুল করে বেণুবন।
রাখাল বালক মাথায় পালক আপণ ভোলে,
বাঁশীর সুরে কোন্ আদরে উদাম মন।

ভ্রান্ত তারা রূগ্ন জরা ,নগ্নপায়ে গল্প জোড়ে ,
ভালুক হাসে শালুক ফুলে ইস্তাহারে এলোচুল।
রাতদুপুরে মাঝপুকুরে, ঝরঝরিয়ে হল্লাবোল,
ঐ বিলাসী হায় উদাসী বারের বার মন্দ ভুল।

তাসের দেশ রাজার বেশ ,কলম সব ধর্মঘটে,
রূদ্র পলাশ কিসের আশ হাসনুহানায় উঁকিঝুঁকি।
ছেঁড়া ঠোঁট বাঁধলো জোট, গালের টোল অহঙ্কারী,
তালেরপাতায় বাবুই ঘুমায় স্বপ্নটাকে জিইয়ে রাখি।













Wednesday, May 29, 2019

তৄষ্না অপরিমেয় ,মুছে  যায়  দিবা রাত্রির সীমারেখা,
 নিদ্রামধুর জাগরণে,শ্যাম সম মরণে এসো  পরাণসখা।

   আধপাগলা বুড়োটা

হচ্ছে না ,বুড়ো বেতো ঘাসগুলো মরেও মরছে না।
একটু কান্না জল,এক আঁজলা আধঘুম আকাশ আর
ঝরা পাতার ঝিরিঝিরি গানে আবার বারবার জাগছে।

নীরবকান্ত ঝড় জলে এখন ভিজে কাঁচুমাচু, পাগল জ্বর আসে মাঝে মাঝেই। ফিরে যায় বনতুলসীর জঙ্গলে আঘ্রাণে পিদিম জ্বেলে শুনতে চায় ফিরে দেখার পালাগান।

এখন লুকিয়েচুরিয়ে একটু আধটু লেখে,
ভীষণশাসন,ইতিউতি ফিরে ফিরে জাগে ,ঝাপসা নয়ন,ভাঙা হাট,দিকশুন্যপুর,সুরে সাধে শিবরন্জনী ।

নির্বাসনের বাতাস লাগছে আদুল গায়ে, বাত‍্য জীবন,একার কোণঠাসা লড়াই।কাঠের বেন্চ একটু বসি বারবার ফোটানো চায়ের তিতকুটে গন্ধ আমিষ রাস্তায়।

পাতা ওড়ে হাওয়ায়, ভীড়াক্রান্ত এই  মাঝদুপুরে দ্বীপ নির্জন,এক চিলতে বুড়ো লোকটা কেবল পশলা ভর  আলো খুঁজে বেড়ায়।মুঠো মুঠো আঁধার তীব্র আলিঙ্গন আশ্লেষে।

অর্থের পলায়ন কোন্ অভিধানে,আজও যখন একমনে পথে চলি, রোদ্দুরে ভিজি, একটুকরো গরম রূটির গন্ধে সব ভুলে নীল নকশা গাঁথা সাজাতে বসি,বাউল বাঁশী হেমলক হয়ে হৃদপিন্ড বিঁধে দেয় বিষভালোবাসায়।

নীরব কান্ত আজ সত্যিই নীরব,হেরে গেছে,একলা,ছেঁড়া  চটি, এই জীবন থেকে অন্য জীবন,ফিরে ফিরে অতীত নক্সী গাঁথায় ক্লান্ত গান গায় নিজের মাঝেই, কিচ্ছুটি আর চায় না।

নীরব কান্ত একফালি আকাশ নিয়ে একমুঠো উঠোনে মনতুলসী পিদিম জ্বালাতে চেয়েছিল।
                            

Sunday, May 26, 2019

পথের ধুলায়  সমুদ্র স্নান  ক্ষণে ক্ষণ নাথ হে আকন্ঠ সমর্পণ।

নয়নতারা

আগুন আজ ভিজছে বড়ো, শীতকাতুরে বিদ‍্যেধরী,
অনন্ত অভিসার,স্বপ্ন জাগে বাউল সুর মিঠেআদুরী।

নয়নতারায় নয়ন হাসে, আঁজলা ভরে আগুন পাখি,
হোক না কল্পে বিলাস,দৃগ্গা মন রে তোরে হৃদে রাখি।

ক্ষনে ক্ষনে মরেই বাঁচা, অন্তর গ্লানিময়,দৄষ্টি মলিন,
 ছিন্ন সুর, ভাঙা হাট, তবু জাগে আহ্লাদী জীবনবীণ।

 আকাশজুড়ে, ভুবনভরে , ধুলিধরাতলে কর্ণফুলী
অতলের ডাক,তোমাকেই চাই , শেষ পর্যন্ত  সব ভুলি।
     



Thursday, May 23, 2019

সব চেতনা অবলোপে, যাচ্ছি সব ভুলে,
কলম করে লুকোচুরি, সুর্য পথের ধুলে।

বারবার যাই,তবু ফিরে আসি রূদ্ধ দ্বারে,
এতবার মরি, বেঁচেই ফিরি কৃষ্ণ নিথরে।

জোনাক আলো মায়া মরিচীকা খিলখিল,
খরা চাতকের চোখে হনন অখন্ড স্বপ্নীল।

দিবানিশি নজরদারি, নিষিদ্ধ সব ভাবনা,
রূদ্ধ দুয়ার মাথা খুঁড়ে মরি,শুন‍্য দ‍্যোতনা।

অযোগ্য,অযোগ‍্য,সত‍্যিই সমাজে অযোগ্য ,
অক্ষম আকুতি,কাল রোগ অন্ধ দুরারোগ্য।

পথ কোথায়?

সব তারা অমৄতপথে নবজীবন নবসৄষ্টি আকন্ঠ অরুণিমায়,
শহরবাউল একলা আকাশ, একমুঠো চাঁদ হৄদি
ভেসে যায় ।
                

Sunday, May 19, 2019


পথ

একলা লড়াই, কতদিন তুমি মেঘে ঢাকা,দেখিনে আকাশ ভেলায়।
সব সবুজ কঠিন দাবদাহে পাড়ি দিয়েছে মৌসিনরাম ,হয়তো বা জল ঝরবে পদ্ম নয় শালুক পাতায় চুপিচুপি।
আলগা হাওয়ায় কেঁপে কেঁপে ওঠে দৃশ্য পট,চালি ভরে শুধু ছবি তোমার পাশে থাকা ,জলঙ্গী অনন্ত বিশ্রামের মোহনায়।
পথ ডেকেই চলে একটানা নির্মম ইশারায়,ফটিক জল কোথা ফটিক জল, তৃষ্ণা আকন্ঠ,অবরূদ্ধ কৃত্তিবাস,চলা
অশেষ, অহরহ পদস্খলন,বার বার ছুটে ছুটে লুকিয়ে আকাশপানে,নিরুদ্দেশ দুগ্গা ছবি।
পরতে পরতে মরণের আস্তরণ,পলি জমে জমে জীবন পৃথিবীর অন্তস্থলে তরল অথবা কঠিন, আমার অ দামী জীবন বা মরণ ঠোক্কর খায় ভাঙা ফুটপাতে।


আমার পাগল লিখেছেন

মানুষ যেভাবে কাঁদে
-- শক্তি চট্টোপাধ্যায়

মানুষ যেভাবে কাঁদে, তেমনি কি কাঁদে পশুপাখি?
একা থাকি বড়ো একা থাকি।
ভিতরে ভিতরে একা, অরণ্যের মধ্যিখানে একা
ঘরে ও বাহিরে একা, দিনে-রাতে, দুঃখে ও সুখে
ছায়া নেই, মায়া নেই, ফুলের বাগানে নেই ফুল
ঝর্নার মতন ঢাল---পিঠ জুড়ে আছে এলোচুল
মেঘের সম্ভার আছে, জল নেই, জলজ উৎসব---
ধান নেই, টান নেই---আছে খড় শুষ্ক সন্নিপাতী
পাতার, গাছের নিচে পদতলে ভাঙনের মতো
এইসব শূন্য আছে এই দেশ পরিপূর্ণ করে।

তবুও মানুষ বাঁচে, মৃত্যু আছে বলে বেঁচে থাকে
মৃত্যু তো জীবন নয়, ধারাবাহিকতা নয় কোনো।
ভিড়ে বাঁচে, একা বাঁচে, মানুষের সমভিব্যাহারে
বাঁচে, বেঁচে থাকে---এই বাঁচতে হবে বলে থাকে বেঁচে---
মানুষ যেভাবে কাঁদে, তেমনি কি কাঁদে পশুপাখি?
একা থাকি, তবু একা থাকি!

Wednesday, May 15, 2019

দিনরাত্রির কাব্য
যদি সত্যি সত্যি একটু পাগল হতে পারতেম। চলার পথে এই জনঅরন্যে কেবলই মুখোসগুলি হাঁটছে ,চলছে ,ফিরছে  , অন্তহীন অক্লান্ত অভিনয় ।আমি আমি আমি শুধু আমি, আমার সুখ, আমার পরিবার ,ছোট সুখী পরিবার, আর.. আরে আর তো কিছুর দরকার নেই ভাই ।তোমাকে ঠকাতে পারলেই আরেকটু বেশী সুখ ।তোমাকে টেনে পিছনে ফেলে আমি আরেকটু এগোই্। নিজেরই বিজ্ঞাপন প্রতি পল, আমিই সবথেকে উপাদেয় , অতীত- বর্তমান -আগামী  একটু কি অন্যরকম হতে পারেনা ?
সারাদিনের একই অভিনয়ের পুনঃ মন্চউপস্থাপন । নিজের ভুমিকা নিয়েই বড়ো চিন্তা ।সাঁঝবেলায় একান্ত আপন উঠান ডাকে অপার মধু সুরে ।আঁধার আকাশের সাথে গভীর গোপন ভালোবাসা, অশেষ কথামালা , রোহিনী, কৄত্তিকা, অনুরাধা, মৄগশিরা নেমে আসে রাত মজলিসে প্রেম বন্যাধারাস্নান । ভিজে যাই, সাথে চিরসখা রবিবাউল আমার ইশ্বর, জীবন এতো মধুর লাগে । সব পাওয়া না পাওয়া একাকার হয়ে যায় । দিনভোর যে মাধুকরী,রাতআঁধারে ঝোলা উপচে পড়ে ।রাতজোনাকআলোয় নিজের সব পাপ ধুয়ে যায় ।বেল জুই কামিনী আর হাসনুহানায় আমি মরে বেঁচে জাগি অপলকে।নিশি আকাশ জুড়ে আমার দুগ্গা হাসিমুখে ।
কখন যে ভোর হয়ে আসে ,জীবন বয়ে চলে, আজ আছি , কাল তো নেই ।নাথ হে আবার ফিরে ডেকো তোমামাঝে , ভুলোনা , ভুলোনা , ভুলোনা .......

নীলকন্ঠ তুমি অচিন  বোবা সবুজ বনে ,
করাত কলে এখন শুধুই ডানা কাটছেই।
উড়ে কি আর পারবে পৌছুতে তীরে রঙ্গিত,
হাজার হাজার মাইল হাঁটা ক্লান্ত নিশ্বাস।
বন্দী মন চায়ের কাপে খোঁজে রুঢ় উত্তাপ,
লিখতে পারিনা ,তবু দেওয়ালে কাটি  কেবলই আকিবুকি।

শক্তি পাগল কে  প্রতি দিন রাত অহরহ হৃদি মাঝে রাখি, তার এক লেখা

আমি যাকে ভালোবাসি
- শক্তি চট্টোপাধ্যায়

আমি যাকে ভালোবাসি সে অন্তত আমাকে গোপনে মেরেছে সহস্রবার
কিন্তু আমি মরিনি একাকী
দৃশ্যত নিস্তব্ধ হয়ে, তাকেও মুখর করে রাখি
ক্রন্দনে, মরিনি বলে তাকেও মুখর করে রাখি!
যেভাবে মানুষ থাকে, পাথর ইটের মতো নয়;

অঙ্গে অঙ্গে লেগে থাকতো শাঁড়াশির মতন মাথুর।
সহসা কি ঝড়ে হলে নিরুদ্দেশ? এই লুকোচুরি
খেলার প্রধান কাল ছেড়ে একি দুঃসময়ে, দূরে...
মানুষের মধ্যে আছো? নাকি স্থির গাছের ভিতরে?


#সুখে_থাকো

#শক্তি_চট্টোপাধ্যায়


চক্রাকারে বসেছি পাঁচজনে
মাঠে, পিছনে পড়ছে আলো
অন্ধকার সন্ধ্যা নামে বিড়ালের মতো ধীর পায়ে
তুমি এসে বসেছো আসনে অকস্মাৎ।
হঠাৎই পথে ঘুরতে-ঘুরতে কীভাবে এসেছো
একেবারে পাশে,
তোমার গায়ের গন্ধ নাকে এসে লাগে
বৃদ্ধের রোমাঞ্চ হয়!
খুব ভালো আছো?
অন্তত এখন, তুমি?
তুমি ঠিক আছো?
না থাকার মানে হয়
বিশেষত যখন এসেছো
কৃপা করে।
কৃপা বাক্যবন্ধ তুমি কিছুতে ছাড়বে না!
ছাড়া যায়?
কিছুক্ষণ আছো?
হ্যাঁ, হাতে সময় আছে
তাই, পায়ে পায়ে
এখানে এসেছি চলে।
শুনেছি, সন্ধ্যার আড্ডা তোমার এখানে
যদি ভাগ্য ভালো হয়, দেখা পেয়ে যাবো,
ভাগ্য ভালো।
এমনই এসেছি,
তোমাকে দেখার জন্য আজ কটি দিন
কী ইচ্ছা করছিলো।
জানালে যেতাম।
কিছুতে যেতে না।

‘কাল আসবো’ বলে তুমি পালিয়ে এসেছো
সেই কাল কবে হবে? ভেবেছি তোমার
সময় অত্যন্ত কম,
আমি নিজে আসি।
আমার সময় আছে…দীর্ঘ অবসর!
চক্রাকারে বসেছি পাঁচজনে।
পাঁচজনের মধ্যে থেকে একা একা একান্ত দুজন,
পাঁচজন বুঝেছে সবই
নিচুস্বরে কথা চালাচলি করে যাচ্ছে অহেতুক শ্লথ,
পাঁচজনের মধ্যে থেকে একা একা একান্ত দুজন
অকস্মাৎ।

ধীরে ধীরে রাত বেড়ে যায়।
সন্ধ্যার আঁচলে মুড়ে করতল অন্য পাতে পায়–
করস্পর্শ।
পাখির পালক হাত খেলা করে কর্কশ মুঠিতে,
পাঁচজনে সমস্ত দেখে ধীরে ধীরে কোথা উঠে যায়
একাকী দুজনে রেখে।
চলো পৌঁছে দিয়ে আসি তোমার বাড়িতে।
যাবে?
কেন নয়।
চলো।

একগাড়ি আঁধার আজ দক্ষিণে দৌড়ায়
দ্রুত।
মনে হয়, গতি বড় দ্রুত বিদ্যুতের মতো!
কথা বলো।
কী কথা বলার?
আছে।
কাছে আছো, এ যথেষ্ট নয়?
যথেষ্ট যথেষ্ট। আজ দিন বড় বেশি কিছু দিল।
সত্যি একে দেওয়া বলো এখনো তুমিও।

না বলার সাধ্য আছে?
বহুদিনই ভাবি, হঠাৎ চলেই যাই, গিয়ে দেখে আসি–
আছোটা কেমন?
কিন্তু বড়ো ভয় করে
যদি তুমি কিছু ভাবো?
অন্যের সংসারে ও কেন হঠাৎ আসে?
সেই জন্যে ভয়,
জড়িয়ে যাবার ভয়,
মন্দ ভাগ্যে ভয়!
বড়ো দ্রুত যাচ্ছে গাড়ি সমূহ দক্ষিণে

গাড়ির আঁধার হলো হাসিতে উজ্জ্বল
এবং মধুর গন্ধ ছড়ালো বাতাসে।
আবাল্য তোমার কিছু পাওনা রয়ে গেলো।
আমি বলি শোধ হয়ে গেছে।
আজি, এইমাত্র, এই এতো কাছে পেয়ে
জীবনে এতোটা কাছে তোমাকে পাইনি,
একা বহুক্ষণ ধরে গাড়ির ভিতরে।

গাড়ি বাঁয়ে চলো, গাড়ি এখন দক্ষিণে
কিশোর প্রেমের মতো অত্যন্ত রঞ্জিত
এই সুসময় আজ দিনশেষে কেন!

মূর্ছার ভিতরে নেমে, দু’কদম গিয়ে
ফিরে এসেছিলে…
আজ নয়, অন্য একদিন।
আর দরজা থেকে একা ক্লান্ত ফিরে যাও,
দুর্বলতা গলা টিপে আছে,
আজ নয়, অন্য কোনদিন
আমার সর্বস্ব নিও।
আজ নয়, অন্য কোদিন…
তুমি হাত দুটি ধরে মুখমণ্ডলের
উপরে আগ্নেয় পাত কেন বা ঘটালে?
সর্বস্ব পেয়েছি আমি আজই, অকস্মাৎ।
সুখে থাকো, আমি ফিরে যাই

একা একা।


আর এই পাগল



Thursday, May 9, 2019

শেষ রেলগাড়ি টাও চলে গেছে,একা প্ল‍্যাটফর্মে দাড়িয়েই আছি,আমি আর আমার হৃদসিন্দুকে রবিবাউল আর শক্তি পাগল, গোপনে, তোমাদের ছেড়ে তো চলেনা এই মাধুকরী।ফিরে ফিরে বারবার আরবার ফিরে ফিরে এসে দাঁড়াই এই সবহারানো একলা প্ল‍্যাটফর্মে,নিজেকেই খুঁজি আকাশের আয়নায়।

বোধ, সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা,স্বপ্ন ,সব গাড়িগুলোই তো ছেড়ে গেছে, দিঘির জলে কেবল ঝরা অমলতাস।মাকড়সার জাল পথকে রাখে অবরোধে, অসহায় অভিযোজন।উপান্তে জড়ো হয় ছায়াময় ভাবনা দল নির্লজ্জ চাঁপা বনে।

মাঝে মাঝে যখন পুড়তে পুড়তে ঝলসে যাই তীব্র লবণাক্ত কান্নায়,পুরূষ তুমি কাঁদো ? মেঘের ওপার থেকে এক পশলা পাথর দৌড়ে এসে ভাঙা বুকে সজোরে আঘাত করে,দম বন্ধ হয়ে আসে, আজকাল তো কবিতাও লিখতে হয় একান্ত গোপনে, সবাই যে উপহাসে গলা টিপে ধরে।

আপাত শান্ত সুগভীর রাতের ছায়ায় মাথার মধ‍্যেকার অবিরাম বিস্ফোরণে জেগে থাকি ,উড়ি,পুড়ি,স্বার্থপর ভিজে চোখে,বাদুড় আর চামচিকে জীবন হাতে নিয়ে।
ভুল মানুষের অরণ‍্যে পথ সব লুকিয়ে পড়ে,এই গাছতলা ওই গাছতলা ,পায়ের তলার মাটি উপহাস করে,বলে,ব‍্যাটা তুই এখনও আছিস কেন?, তবু হঠাৎ করে একলা শিশু চিৎকার করে কেঁদে ওঠে,আমিও,আর তো কিছুই পারিনা।

দাঁড়িয়েই থাকি একা প্ল‍্যাটফর্মে, সকাল ঝরে, দুপুর সে ও মরে,বিকেল ইতি উতি ঘুরতে থাকে কেন কে জানে, নিশি গভীর ,ঝাপসা দুই চোখ তাকিয়ে থাকে, যদি অভ‍্যাসবশত ভুল করে কোন রেলগাড়ি চলে আসে, কেবল কান ভরিয়ে দেয় পাগল আর বাউলের যুগলবন্দী,মরণ, শ‍্যাম আমার এসো পুর্ণগর্ভা গাভীর অপার ভালোবাসায়, আমি যে শেষ পর্যন্ত তোমাকেই চাই।চাই গো।




যা মনে আসে তাই লিখি সবার আড়ালে নিজেকে যে চিনিনে।

এই মানবসাগর ।কত মন, কত যাওয়া আর আসা ।কত জন্ম আর ভেসে যাওয়া ।দুই নিরাসক্ত বুড়ো । সবার মাঝে থেকেও কত অন্য ভুবনপুরে ।সব দিয়েও এতো ফিরে পাওয়া তাদের।জ্যোৎস্না আলোয় জগৎ সিক্ত নিত্যদিন ।পাগল অবাক হয়ে ভাবে এই বিপূলা পৃথিবীতে এই তাসের দেশে মনের জানালা খোলা মানা,আলোতে আধাঁরে মুখোশের আবডালেই মিছেই জীবনের মিছে জয়গান গাওয়া । হাসিতে ভরে যায় দুই বুড়োর মুখ,কোপাইতে জল কোথায় ?পরিনিরবাণ নয় নবজন্মে আলোকিত করো । আলো দাও আরো আরো আলো ।পাগলকে আরো পাগল করো করুণাময় ।

গাছে এক শালিক আর তার চারটি ছানা ।ঝড়ে ভাঙ্গা বাসা নতুন করে গড়ে তোলা । কি মমতা আর ভালোবাসা ।প্রতিদিন প্রতি পল ।পাগল মা খোজে আকাশের তারায় , গাছের নবসবুজ পাতায় , কাটা ধানের সোনায়,ঐ শালিকের ভালোবাসায় । মনেরতো ছবি আকা যায়না ।এতো ছোট জীবন তাও মা কোথায় লুকিয়ে ফেরে ।ঐ আকাশের তারায় ,এই ধরণীর ধুলিকণায় ।ঠাকুরমার ঝুলি খুলে সোনার কাঠি দিয়ে জাগাও মা সব পাগলের তুমি ঘুম ভাঙ্গাও ।একটু গল্পে ভুলি কল্পে চলি ।



Saturday, May 4, 2019

লাল মোরামের পথ পাগলী এই বৈশাখের  আগুন লালে মিলতে চায় আকাশের সীমায় ।পাগলের পলক পড়েনা ।রাধাচূড়ার মোহমায়ায় ভেজা রক্তকৃষ্ণচুড়ায়।অবাক পাগল ঠাকুরদালানে বসে দেখে আর শুনে আকুল হয় উদাস বাউলের গানে ।মরণরে তুহু মম শ্যাম সমান । কেন এই গান ?  দিনের শেষে অচিন সবুজ পাখি বাড়ি ফেরার চাওয়ায় হারায় গহিন গহনে ।

শক্তি ,কে  এই বন্দীজীবন দিল ?
চলি ফিরি,আকাশ পাইনা খুঁজে, চোখের আলোতে গোধুলি বেলা।
রাত যখন তোমার নাভির মতো গভীর,আমার মশারি ঢাকা তক্তোপোষ সুদীর্ঘ দিন শেষে আমাকে দেয় অসহায় স্বাধীনতা।
উত্তুরে জানালার অলিগলি দিয়ে উর্দ্ধশ্বাসে উদাম হাওয়া এসে আমায় ডেকে দেয়, ঝিরিঝিরি গানে আমি শুনতে পাই তোমার হাসি সন্তুরের জলতরঙ্গে।
আর তো কিছুই পারিনা,অসহায় আত্মসমর্পণ, আমার অবশেষ কামনা,একটু মাটি আর জল দাও, আমি একটা সবুজ গাছ লাগাবো,ওই গাছ আমায় মনে রাখবে বহুকাল, গাছের পাতা ভরে থাকবে জীবনের কবিতা,কেই যদি কোন দিন হৃদয়ে নেয় সেই ঝর্ণাধারা।
পথভোলা  সাঁঝ আকাশে  ঝরাতারা আর মরা পাতার চুপকথা, যেতে তো হবেই,তার সময় ,কাল আর পরিপ্রেক্ষিতের অন্বেষণ, দুগ্গা কোন অবসন্ন অবসরে, চুঁইয়ে পড়া রোদ্দুরে নীরবতা গান শুনো,আমি হয়তো বা মহাশুন‍্য কালপুরুষে।


 নিজেকে জানা এক জীবনে শেষ হবেনা এই পাগলের ।বিপুলা ধরণী । জনঅরন্য ।আপণ গন্ডি ছেড়ে কজনা মানবমেলায় নিজেকে হারাতে পারে ?আলো আধারের জীবনপথে নিজেকে এতো অচেনা লাগে ।পাগলতো বাইশে শ্রাবণ, পঁচিশে বৈশাখ কতদুর ।

Thursday, May 2, 2019

টকে,ঝালে,ঝোলে আর একটু অম্বলে,
আছিই তো বেশ এই ছেঁড়া কাঁথা সম্বলে।

অকালে ,সকালে বা মাঝরাতে কানামাছি,
প্রেমে ও অপ্রেমে,আদি আর অন্তেও আছি।

পথ চলি, রোদ ভুলি ,ধুলোতেই গড়াগড়ি,
ক্ষণে ক্ষণে প্রাণপণে খালি বাঁচি আর মরি।

ভাঙা বাঁশী, মন একতারা, আকুল বাউল,
ধর্মেরতলা, পাগল ভোলা খোঁজে নদী কুল।

বেশি বেশি,বেশ আছি মাঝ রাতে দুস্টুমি,
জেগে স্বপ্ন,হৃদি ভগ্ন,ভিমরতি  তুমি আমি।

বুড়ো বেলা ছেলে খেলা,লিখি ভুলভাল,
নিশি ডাকে,দেখি তোমাকে,এ কলিকাল।

নয়নতারা,শিউলি, হলুদ সবুজ মৌরিফুল,
ভাঙা হাটে আজও ফোটে,সোহাগে আকুল।

ধিকি ধিকি চিকিমিকি মোমআলো  পিদিম,
বেশ আছি,  কাছাকাছি, হোক দুর অসীম।

চেনা বৄত্ত, তৄষ্না অপার,মালকোষে খোঁজা।
নাগরদোলা, আঁধার বেলা নিজেকেই বোঝা।

Monday, April 29, 2019

         (  ১)

আমরাও বাঁচি
রোদেলা বিকেল,অনেক অনেক পথ পেরিয়ে
গ্রাম ছাড়িয়ে দুচোখ ভরে তুই আকাশপানে।
পার হয়ে গেলো একটি দুটি কতক  জীবন ,
তুই কি সেই আগের মতো আছিস, বহমান,
অনর্গল ।পায়ে হাতে ছুয়ে পাই তো শুধুই অশ্রুপাথর ।
তুই কি ওরে পাগলপারা ইছামতী ?

চাঁদেলা সাঁঝবেলা ফিসফিস কানে কানে, দে দৌড়
দে দৌড়,একটুখানি অন্য ভুবনে আপন সুরে ,সব
হারিয়ে বকুলব্যাথা,কুল যে ভাঙে উথাল ঢেউ কষ্নকলি ।
ওই যে হোথায় ঔ সুদূরে বৄষ্টি রাঙা স্বপ্ন চর আবছা
নিথর, সব ভেসে যায়, তবু জাগতে চায় পাইন হাওয়ায় ।
তুমি নয় তো সেই বিদ্যাধরী ?

একেলা আকাশ,ছোট্ট ডিঙি, ঠায় দাড়িয়ে,কিসের খোঁজ?
আঁধার নামে, ওকুল কাঁদে, নাও ভাসায়ে ভাসা মন ।
বৈঠা হাতে ,সে হাত কাঁপে, অথৈ মাঝে ভাটিয়ালি
খোঁজের খোঁজ, চোখের জল, ডুব সাঁতারে অমুল্যধন ।
এত শিকলেও বাঁধন টুটে আপন ধারায় অগাধ অশেষ
মরেও বাঁচিস ,অমৄতপানে শীর্ণ কোপাই ।

সরস্বতী জেগে ওঠ ,কানা নদী বয়ে চল আপন সুরে
জ্যোৎস্না ধারায় নেচে নেচে গেয়ে চল নিজের সুরে
নদী তুই জাগ , বেঁচে থাক আপন ধারায় মরিসনা ,
দিন কাল সময় বর্তমানে ভবিষ্যতে মেলে ধর ইচ্ছেডানা ,
নদী তোর অবলম্বনে আমরাও বাঁচি ।

                   (২)
বাঁচি কি ?
অনেক পথ পেরিয়ে আজ সব নদী মরূসাগরে,
বাঁজে বিউগল,হুইসেল সুতীব্র, যন্ত্র বসত গড়ে।

গভীর গহন মনে তীব্র ঝড়ের নিশিডাক মাঝরাতে,
মরানদী পুর্ন দেহবিভঙ্গিমার অতীত স্বপ্ন সাক্ষাতে।

জারূল,অমলতাস, কৃষ্ণচুড়ায় আজ ও ভরে বুক,
আদেখলপনার চোখে আদরে কাজলকালো সুখ।

সর্বহারানদী  শেষপারাণির মাঝি,ভাসে ,ডোবে নাও,
একা কান্না,আঁজলা ভরে ঘৃণা আর ও ঘৃণায় ভরাও।




Thursday, April 25, 2019

অনিমেষ হায় নবারুণ,স্বপ্ন পুড়ছে, জীবন মরছে, আমাকে এই সমাজে চাইনা।
গ্রাম ,শহর, নদী কাঁদছে,সভ‍্যতার বিদায় হুইসেল বাজিয়ে,আছি কেন? এই মন্বন্তর।ঘোলাটে সকাল,অচেনা স্টেশন, ট্রেন থেমে যায়, মালগাড়ী সহাবস্থানে, আকাশবাণী মৃত্যুর অনিবার্যতায় ।

নীল আঁধার ,আগুনে ঘুম ঝরছে, চাইনা ভরপেট অনাহার চাই না।
রেসের মাঠ পাগলকোলে,মাতাল ঘোড়া মুড়ির ঠোঙায়,
বিলাসীবালা গোলাপ গাঁদায়। একলা কান্না সব নীরব মহাসাগরে নির্মোহ সুর সাধছে।
পাহাড় চূড়া বনভোজনে, তার ছেঁড়া সব তালের সারি, রুপসী চা শীতঘুমে,ছররা গুলি উদাম নাচছে।

ভাঙা বেঞ্চে পাতা ঝরছে,জমছে আগুন , উন্মাদ উচ্চাকাঙ্ক্ষা,এই সমাজে শঙ্খনিনাদ, উন্মাদ মত্ত মরিচীকায, আঁজলা ভরে বিতৃষ্ণা , অক্ষম মৈনাক, সমাজতল পদপৃষ্ট ভাবনা,চেতনা,এই সমাজ আমাকে চায়না ,না।

ভুলভুলাইয়া,সান্ধ‍্য বাসর, স্তব্ধ অনুভব,মাথার উপরে চক্কর কাটে নীলকন্ঠ ঝাঁকে ঝাঁকে,অতলদীঘির জলে শকুনের দল গায় গান। সুধী সুন্দর পৃথিবী আরও যৌবনবতী হও,আর চাওনা যখন ,একটু যাওয়ার রাস্তা দাও। একটু হালকা আর আবর্জনা মুক্ত।

শীতাতপ তুমি দাবদাহে কুসুম কুমারী, পথভ্রষ্ট,চলৎশক্তিহীন, দৃষ্টি শুন‍্য হোক,কবে তুমি দুগ্গা কচুগাছ তলায়,অবশেষের শেষ সকাল অথবা সঘন সাঁঝবেলায়। একটু যাওয়ার পথ চাই, তোমাকেই চাই শেষ পর্যন্ত।





Friday, April 19, 2019

প্রখর তপনতাপে মনন চিন্তন সহজিয়ার মেঠো সুর কোথায় যে ভেসে যায় ।নিজেকে আলোকেরবৃত্তে ধরে রাখার কি কঠিন সংগ্রাম । পলাশ শিমুল করবী আর তো চোখে পড়েনা । সবাইতো মুখোসের আড়ালে।একটু যদি বাউল মন অসুর থেকে সুরে ছাতিমের আদরে একটু শীতলপাটির কোমল ছোয়ায় নিজেকে ভেজাতে পারতো ।

                সরস্বতী
আজ অবসন্ন বিকেলে তোর কথাগুলো  সশব্দে আর্তনাদে
উপহাস করছে ।বছর কুড়ি,কতটুকুই বা সময়?
“বাবু গো আমার কোন উপায় নাই গো বাবু,সত্যি উপায় নাই”।
কথাগুলো আজও বুকটাকে আমার ভাঙে চুরমার করে দেয়,বারবার।

সুয্ ওঠে ,নামেও ,আবার ওঠে,বাপটা তো বিছানার সাথে মিশতেই আছে,
কাজে যাবে কিভাবে?মা, তার তো এখন অন্য মরদ।
“বাবু গো আমার কোন উপায় নাই গো বাবু,সত্যি উপায় নাই”।
কথাগুলো আজও আমার মুখোসটাকে ছেড়ে,লবনাক্ত করে দেয়,বারবার।


আগলা উঠোণ, ছেড়া চাটাই, আমি আর মুখোমুখি ক্ষয়ে যাওয়া নারী,

পাহাড়মুলে সন্ধ্যা নামে দ্রুত পায়ে,বিকেলটা ছটফট করতে থাকে,

ওষুধ নয়, একমুঠো চাল,একটু দুধ বা ডিম,

ফরমায়েসি নব্যকবি,কলম ভাঙে, প্রশ্নটা মরে, উত্তরটাই কেবল এই পাহাড় থেকে

ঐ পাহাড় থেকে আশ্রয় নেয় চিলেকোঠায়, আজও এখনও “বাবু গো আমার কোন উপায় নাই গো বাবু,
সত্যি উপায় নাই”। ওরা কি এখন গাছ হয়ে গেছে, আমি কিন্তু বেশ আছি,সখের কাব্যবিলাসী।

                   
                       সুধা
তোদের সেই মাটির বাড়ী, এত্তো বড় সব ফাটল,জামরুলতলা,পুকুরধার,
ছোটঠাকুরের ঠাকুরগড়া,ছেড়া ফ্রকের সেলাই পকেট ভরে কত বনকুল,
বাবার পেটোন, দে দৌড় দি দৌড়, রেললাইন,কান পেতে ধিকি ধিকি গান, চন্ডিতলা,
একলা দেউল, চল্ না একবার জোড়হাতে সেই চাওয়াটাই চাই চল্ দৌড়

অকুল ছাপিয়ে কোথা থেকে বন্য বন্যা এল,মাঠ ভরে কেবল তন্বী ,পাগলী উল্লাসী,
ছাদ ভরে কত তুই আমি রা ,তোর ডাকাতিয়া বাবা কেমন যেন নেভা কালবৈশাখী ,
রোদ এলো কত্তদিন পর,সবই তো গেলো, সব ,সব, সব, খুদে আর কলমিবনে তোরা
কেমন যেন হতে থাকলি মলিন মালকোষ।তুই আমার থেকে দুই না তিন কত বড়ো
ছিলি রে ?

এলো সেই দিন, আজও একলা ঝরে মনে পড়ে,আমায় এক ভরা দুপুরে আজলা ভরে আদরে ডোবালি,
সেই সেই সাঁঝবেলাতেই কোথায় যে গেলি পিদিম জ্বালাতে আর তো এলিনা,
আজও হঠাৎ করে থমকে যাই, এই মরাবেলায় আয় না নিয়ে একতাল কাদা ,
আমি একটু ছোটঠাকুর হই।তুই কি এখন হয়েছিস ভিজে আকাশ।

নন্দিন

আমিই তোকে ওই নামেই ডাকতাম,আজ ও ডাকি,তুই শুধু, পালালি কত্ত দুরে ,পুনে সারাদিন, সেই রেললাইন, অমোঘ আলিঙ্গনে, অনিমেষ ক্লান্তি মৃত্যুর বেসাতি করে। হাসি পায় জানিস,তোর একলা বাবা,তুই ,আমি কতরাত ঔ আকাশ ভেলা,নীল আকাশে তারার মালা গুনতাম, বন্ধু চল।

তুই পালাবি কত দূর,আর জীবনটাই তো অভিনয়, নতুন করে শিখতে গেলি। এখনও জানিস, চুপিচুপি, এখনও রেললাইনে কান পাতলেই তোকে দেখি,আগল খুলে যায়,হা হা হাসি ঝরঝর ঝরে পড়ে,  ধাক্কা দেয়না পাশের দেওয়াল,যাব, যেতেই হবে আকাশ ছুঁতে।বন্ধু থাকিস আনমনে।

Tuesday, April 16, 2019

                   জীবনরে

পদ্মদিঘীর গহিন টানে মন জাগে সে কোন ভোরে,
অমলতাসে মিলতে চায়, পরাণ কান্দে  মেঘমল্লারে ।

আকাশপুরে ঐ হলুদ বাড়ী হোথায় আমার বসবাস,
ইতি উতি মাধুকরী,মেঘল  ভুবনডাঙা দিয়েছে নির্বাস।

আগল খোলা, চোখে ভাসে  সবুজ অবুঝ দ্বীপ সুদুর,
কান্না জমে হাঁটি হাঁটি, দুগ্গাহাসি লুকোচুরি স্মৃতিমেদুর।

বাত‍্যজীবন ঝরামায়া, হৃদি মিলায় দগ্ধদিনে নিঃস্বরাতে,
শব্দহীনে আর্তনাদ,স্পন্দনেতে প্রলয়নাচ মাঝবেলাতে।

কোথায় তুমি ভালোবাসা,বন‍্যাঘৃনা চতুর্দিকে মৌন মুখর, নিরূদ্দেশে,অর্থহীনে চলন ভাঙে,সবখানেতে রক্তচাদর।

জ‍্যোৎস্নাবনে চিতার আগুন,ধিকি ধিকি অন্ধ আগমনী,
মরণ এসো অমোঘ আলিঙ্গনে,ভরাও অশেষ চিরন্তনী।

কালচক্র অনন্ত অব্যয়,হায় রে হায়,দিন আসে দিন যায় ধুলিধরায়  জীবন জুড়ে যত অনুভব মেশে ঝরাপাতায়।

অন্তরায় সুরের তৃষা,গাভীর চোখে ইতিরকথা, ইচ্ছেঘুড়ি,
ভুলভুলাইয়া,পথেরশেষ,হাসছে নীলকন্ঠ হাজার দুয়ারী।

            

Monday, April 15, 2019

পথের শেষ কোথায় ,পাগল মন কেইবা জানে,
উজানে না ভাটায় , নাও ভাসাই  কোন পানে।
দুগ্গাসুতমাসু(৩)

ওই যে উদাসীন আকাশ, আছে এক হলুদবাড়ি,
যাচ্ছি আমি,যেতে তো হবেই, আড়ি প্রাণ আড়ি।

জানো, মনে হয় মাথার মাঝে চলছে বিস্ফোরণ আর বিস্ফোরণ,
যা চাই বলতে , পারিনা, কেবলই খুঁজে ফিরি অনিমেষ অন্বেষণ।

লুকোচুরি খেলতে খেলতে , আগুনরঙা তপ্ত মরুভুমি.চাঁপার বনে ক্লান্ত রাখালিয়া বাঁশী.
অব্যক্ত বর্ণমালা. ছবি জলরঙা. অস্পৃশ্য স্পন্দণ.মহাশুন্যে কৃষ্নগহ্বর,ঠোঁটে পাগলী হাসি।

সবকিছু বড়ো যান্ত্রিক, হরিণ সেও তার তৃস্ণা ভোলে মরা যৌবন,
ভাটিয়ালী গান নীরব নীল , শুখা নদী বুক , অসহায় আত্মসমর্পণ।

কুৎসিত দুটি চোখ বাঁচিয়ে রাখা পৃথিবী সবুজ সুন্দরী,
আলগোছে বসা অনন্ত অবসর আনমন কবন্ধ মাধুকরী।

শেষের আগমনী

Sunday, April 14, 2019

হে প্রভু,নাথ হে এই নতুন বছরে আমাকে,ঐ একলা আকাশের হলুদ বাড়ীতে আশ্রয় দাও আমি আলগোছে বসে আমার কুৎসিত চোখ দিয়ে সুন্দর পৃথিবীকে দেখবো আর শেষ হবো।

Saturday, April 13, 2019

আজ চৈতি হাওয়ায় আমার জানালায় নিমফুল তার শাখায় শাখায় হেসে হেসে ভালোবেসে ফিসফিস করে জানান দিয়ে যাচ্ছে নতুনের আগমনী গান । লেবু ফুলের গন্ধে আমোদিত পাগলমন।একলা টলোমলো পায়ে যে মাধুকরীর শুরু আজও নব নব পথে মানবসাগরে বহমান তৄষ্না নিবারণের অন্তহীন আকাঙ্খায় বহমান ।আজ নীড়ে ফেরার গান,ঝরা পাতার গান মনকে বড়ো ভিজিয়ে দিচ্ছে,কাঁদিয়ে দিচ্ছে ।জীবনভোর কিসের খোঁজ,কেন যে এই পথ চলা ? নিজেকে চিনতে চিনতেই তো প্রদীপের তেল শেষ হয়ে যায় ।এতো মায়া এই ভুবনজুড়ে। মানুষতো একে একে সব্বাইকে ছেড়ে কেবল নিজের জন্যই বাঁচে ।ছোট আর কিশোরবেলায় এমনকি কিছুটা বড়োবেলায়ও তো মায়ের গন্ধ ছাড়া তো ঘুম আসতো না  । এখন কিন্তু দিব্যি টিকে আছি ।সেই সব সাথী যাদের ছেড়ে দিন কাটতো না সময়ের বাদলধারায় তাদের ছেড়ে পথ এগিয়েই চলেছে ।দুটো ভাতের দানার জন্য কি অর্থহীন কুৎসিত লড়াই । আজ আছি কাল নেই তবু তবুও ।জান্তব লালসা কত ফুল যে অকালে ঝরায় । কোন প্রাণ যে ফেরাতে পারিনা, এতো এতো অসহায় ।  সততা ,ভালোবাসা ঝরে পড়ে,আঁধারে হারায় । যে মায়ামৄদঙ্গ মন মাতাল করে দেয় সেই সুরও কোন সুদুরে কোন অস্তাচলে মিলায় ।তবুও যে পথে হাজার বছর আগে কোনো পাগল হেঁটেছিল আজ হাঁটে এই শহর বাউল ,একলা হাতে একা একতারা, কোন্ সুরে যে বাজে ।কাল হাঁটবে অন্য কেউ ।জীবনে কত পাপ, কত অন্যায়,কত ভুল এ জীবনে একটা ভালোমানুষ হওয়া হলোনা। কোনও কোনও পল আসে , যখন ফিরে দেখা ছাড়া কিছুই করার থাকেনা ।তবু স্বপ্নমন ইচ্ছেডানায় ভর করে ইতিউতি কেবলই ঘোরে সে কোন মধুমরীচিকায়, একে তো “BLOCK” করা যায়না ।
সবেরই তো একটা বিরতি বা অন্ত আছে । আজ চৈত্রশেষে এই “WALL” এ নিজের ঢাক নিজে পেটানোর জন্য একটু মাফ চেয়ে নেওয়া। নতুন বাংলা বছরে সব্বাই ভালো থাকুন ।এই ভিজে অন্ধকারে আপনারা সবাই জেগে একটু ঘরে ঘরে দুর্গাদের আপনকথামালায় বাঁচতে দিন ।ঘরে ঘরে অপু দুর্গারা প্রস্ফুটিত হোক,বিকশিত হোক ।  আমি একটু আমার দুগ্গার পুজোর মন্ত্রোউচ্চারনে নিজেকে ভেজাই ।সওদাগর নাও ভাসাও , ওই কুল যে ডাকে ।
 ।।শুভ নববর্ষ।।

Friday, April 12, 2019

এই বয়েসে
----শক্তি চট্টোপাধ্যায়

এই বয়েসে একটু আগুন পেলে আমার লাগতো ভালো।
যা অবশেষ, কিংবা কালো ---
পুড়িয়ে যদি খানিক পেতাম বাঁচার আলো,
লাগতো ভালো,
এই বয়েসে একটু আগুন পেলে আমার লাগতো ভালো।

কী আর এমন বয়েস তোমার?
মাথায় ময়ূরপুচ্ছ বাহার,
কী আর এমন বয়েস তোমার?
নিকটবর্তী শান্ত পাহাড়,
এখন কী সেই যাবার সময় ---
অলুক্ষুণে, যাবার সময়?


হয়েছে সময়


Thursday, April 11, 2019

আজ উদয়বেলায় পাগল মন ভরে গল্পমেলায় ভরে ছিল করবীতে অতসীতো কতদিন আসেনা ।কত যে কথামালা । হাসনুহানা মত্ত হলো তালভঙ্গতায় ।নীরব ভোরের ঘুম ভাঙ্গিয়ে পাগলের কানে এলো ঢাকের আওয়াজ ।চড়কের ঝাপ শুরুর সুর ।আজ রাজা হবে ফকির, ফকির রাজা ।জীবনের আরেকটা পাতা ঝরার দিন এলো যে ।মাধুকরীতে আজ সারা দিন কাটে মানুষের মন খুঁজে, কত যে মন কত তার রকমফের ।মনপাগল দিনের বিদায়ে যখন আকাশের তারাদের খুজতে বসে ভরাচাদ,পুণি্মায় ভরাযৌবনের গানে তাকে ভিজিয়ে দেয় ,ভরিয়ে দেয়, জীবন এতো যাতনাবিধুর । পাগল আরো পাগলামিতে নিজেকে ভরিয়ে তোলে ।মনপাখি ভোলে তার উড়ান ।

মনে পড়ে যায়, ভিজে যাই।

Tuesday, April 9, 2019

বিশ্বাস, রাখি সযতনে,
 আধারে আলো তুমি পারিজাত।
যেও না থেকো কাছে,
হৃদয় মাঝে ,,আসুক না যত আঘাত।

পাগলী তুই  আজ প্রলয় নাচে মাতলি মন উথালপাথাল
আমায় কি সাথে নিবি? ভিজছে যে জীবন  রাতসকাল।

মিলবো আমি তোর ই সুরে,মরব যে আজ রূদ্র দহন,
সব যে আজ এলোমেলো,তোর ই কাছে হৃদয় ক্ষরন।

Monday, April 8, 2019

পাগলী তুই এলোমেলো, আকাশগঙ্গায় ভৈরবী,
ডুবছি .কাঁদছি অমৄতসুখে ,ভিজে হৄদিজলছবি।
জাগছি  . গলছি ,হারিয়ে যাচ্ছে আমার সবই,
“The winds blow…
The lightning’s fall
The space overflows,

Sunday, April 7, 2019

মৃত্যুকে রেখেছ ঢেকে ,কি আবছায়ায়,
 দিয়ে মায়া মরিচীকা,  ছেড়াজীবনের চাঁদর,
টুকরো টুকরো কাপড়ে মোড়া গড়াভাঙায়
রঙিন বেপথু আলখাল্লা , কোন সে ওস্তাগর?

কত দিন কত বছর যে লাগে মৃত্যুর খুন
লাশকাটা ঘরে ,পোড়া স্বপ্ন আর ক্লান্ত স্বাধীনতা।
দম দেওয়া পুতুল বন্ধ শ্বাস,চলে ফেরে,ভাসে,
আরামকেদারায় চুমুকে অনাহারের ছেঁড়া খাতা।

বিপন্ন বিপ্লবআগুন মহাসিন্ধুর গভীরে অতলে,
দীর্ঘায়ু কাপুরুষ জাগে ক্লীব সুশীতল কামনা।
এলো ধানমাঠে সুযৌবন আড়মোড়া ভাঙে
এটো চা,ভাগে বিড়ি,পুড়ছে মুখোশ , কালোকান্না।

চাইনা চাইনা,ভরপেট ঘুম চাই উদোম বটতলায়।





Saturday, April 6, 2019

আগুনের একেবারে মাঝখানে  এসে
দাড়ালে আর আগুন লাগে না ।
মাঝসমুদ্রে জল খেলা করে ঢেউ
পাগলামো ভোলে মাঝিকে ছাড়েনা  ।
পুড়ছি,মরছি,ছাই চারিদিকে শুধু
জীবন, পরমায়ু কতটুকু জানিনা।
দাও ভিজিয়ে,ধুইয়ে দাও আমার একলা কান্না,
কেবল আগলে রাখি আমার চৈত্র, গহিন যাতনা।
আকাশে বিদ্যুৎ রেখায় দুগ্গা তুমি আর লুকোচুরি,
হৃদি ভেসে যায়,অসহায় আঁধার খোঁজ তোমারি।

Friday, April 5, 2019

বিরহে যদি দাঁড়িয়ে ওঠো
- শক্তি চট্টোপাধ্যায়
=====================================
আসলে কেউ বড়ো হয় না, বড়োর মতো দেখায়।
নকলে আর আসলে তাকে বড়োর মতো দেখায়,
গাছের কাছে গিয়ে দাঁড়াও, দেখবে কতো ছোটো,
সোনার তাল তাংড়ে ধরে পেয়েছো ধূলিমুঠো।
ভালোবাসার দীঘিতে কতো করেছো অবগাহন,
পেয়েছো সুখ দুঃখ আর ছলে ভোলানো দাহ।
পুড়েছো বনে মালার মতো, যাওনি তবু ছেড়ে,
যতক্ষণ স্মৃতি-আড়াল নিয়েছে তাকে কেড়ে।
আসলে তুমি ক্ষুদ্র ছোট, ফুলের মতো বাগানে ফোটো--
বিরহে যদি দাঁড়িয়ে ওঠো, ভূতের মতো দেখায়!
গাছের কাছে গিয়ে দাঁড়াও, দেখবে কতো ছোট।
সেমিকোলোন
-অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত

অখিল ভারসাম্য হয়ে দাঁড়িয়ে থাকো,
নদীর ওপর সাঁকো
যে ভাবে বয় প্রতীয়মান ; এবং তুমি ভালোবাসার কথা
জ্ঞাপন করবে শঙ্খ চক্র গদা পদ্মে ; তথাপি যুগ্মতা
বক্ষে থাকুক ; এবং তুমি শ্রীমত্তকল্যাণে
যে গান গাইবে দুরূহ তার মর্মবাণী জানুক এ-সভ্যতা,
মরু যেমন নিজস্ব জল আনে ;

বলতে-বলতে সেমিকোলোনে এগিয়ে যাই একতরফা আদায় করার টানে,
দেখতে পাইনি ততোক্ষণে তোমায় ঘিরে দৈত্যদানবডাইনিপোকামাকড়…
ঝরছে,ভাঙছে, ঝরে পড়ছে চৈতি আলো ,অন্ধকার,
এক এক ঢেলা কান্না গুলো সব মিলে মিশে একাকার।
ঝড় তুমি আমাকে দাও  ভিজে যাওয়া লবণাক্ত একঝলক সমুদ্র, আমি ভেলায় বসে বাজাবো সেই ভুলো গিটার টা, সুর কি সাজবে?

ঝড় থামে, লবনাক্ত দ্বীপগুলোয় ছোট ছোট অঙ্কুর , বাঁচার লড়াই।বায়ু হয় স্তব্ধ, শুধু মাথার মধ্যে বিস্ফোরণ অবিরাম, সামনে , পিছনে  খাদ নিকষ গভীর। আর আকাশ এতো নীল হয়ে ওঠে, নীল।
ফুলঝুরি, তোমার নাম
---- শক্তি চট্টোপাধ্যায়

ছেলেবেলার ফুলঝুরি, তোমার নাম আমার এখনো মনে আছে ।
বলো তো আমার মন ভালো কিনা ?
মোরগঝুঁটি ডাকবাক্সে শাদা পাতা ফেলবামাত্তর কি তুখোড় সব চিঠি---
নিচে লেখা : প্রণাম জানবেন, ভালোবাসা নেবেন ।

আরে বাপু, আমি তো ওইটুকুর জন্যেই ব্যাকুল !
সেই যবে থেকে চটা-ওঠা মার্বেল-গুলি জমাই,
যবে থেকে চুড়ি-লপর যোগাযোগে বানাই শিকলি,
অষ্টপ্রহর বুকে ছিপি এঁটে গুমোরে মাটিতে পা পড়ে না ;
তবে থেকেই, ভালোবাসা, তোমার জন্যে ওৎ পেতে আছি ।

জন্মভূমি---কথাটার মধ্যে এক আশ্চর্য মাদুর বিছানো আছে,
তাতেও শুয়ে দেখতে পারো ।
জ্বালাযন্ত্রণার কথা মুখ ফুটে না বললেও টের পাই---
মানুষ যেমন ফুল, মানুষ তেমনি কাঁটা !
ঘরের ভেতরকার আসবাবে হোঁচট খেলেও তো তাকে রাখো !
সুতরাং ---
ভালো মনকে বুঝ্ দিতে সময় লাগার কথা নয়
ফুলঝুরি, তোমার নাম আমার এখনো মনে আছে ।

Thursday, April 4, 2019

বছর দুয়েক আগে লেখা, আবার ফিরে এলো ফেসবুকে,লুকিয়ে নিজেকে পড়া


আমার উঠোন ভরে আঁধার ঝরে পড়ে অন্তরে,
সুখতারা তুই আয়রে কাছে থাকিসনা ঔ সুদুরে ।
মনের মেলায় মায়ার খেলায় পরাণভরে গল্প করি,
হৄদকাননে মধুপবনে বেয়েই চলি অমৄত স্বপনতরী।
  

Tuesday, April 2, 2019

লিখে ছিলাম একসময়,আজ মনে হয় কেন,তবু
নিজে নিজেকেই পড়ি,যাবার আগে সব মুছে দিয়ে যাব একান্ত অপ্রকাশ্যে,, কাউকে কোনভাবে বিব্রত না করে। কবি বা লেখক হবার কোন বাসনা নেই আমার, হারিয়ে যেতে হবেই ভুলভুলাইয়ায়।

বসত
অনেক সাধে গড়েছি ঘর আপনার
এক দেওয়ালে ইচ্ছানদী,আরেকধারে
ছোট্ট আকাশ,স্বপ্ন পাহাড় অন্যপানে,
বাকিটাতো দরজা জানালা মিলেমিশে
সব একাকার ।

মনভেলাতে ভেসে বেড়াই,হেথায় হোথায়
যেথায় খুশি ।আপন সুরে আপন
ভোরে নিজেই কাঁদি, ইচ্ছে হলে খানিক
হাসি ।আঘাত,বেদনা,যাতনা সবইতো
অরুপ অলংকার ।

ঘরের মাঝে গহিনবন সে মায়াকানন,
আশাতরু যে গল্পগাথে অতসীতে আর
মাধবীলতায়।স্বপনমুলে ,সুখশাখে ওই
আলোছায়ায় আঁধারতলে বাজাই
বাঁশী চৌরাসিয়ার ।

সবুজ সুরে গাই যে গান নীরার
কথায়,নয়নতারায় ।দুগ্গা আরাধনা ,
উপাসনায় আহা পরম ভালোবাসায়।
শিউলিপ্রেম আবিরে ,দখিনা সমীরে
খোলা হৄদয়দুয়ার ।

বাউলানী ঐ মাধুকরীর মোমজোছনা
লুকিয়ে রাখি অন্তরগৄহকোণে।পথ চলি
দিক ভুলি তবু নীরে ফিরি ।মেঘবালিকা
চিত্ত ভেজায় চুপকথায়,শহরবাউল একাই
আকুল ছিন্নতার ।
যখন দরজা জানালা সব যায় বন্ধ হয়ে,অবনীর মাথাটা  ছিঁড়ে যায়, কামনায় আসে মহাসাগর, ইশ্বর তুমি কি সুরে কি গান যে গেয়ে ওঠো ? হাত পা ছুড়ি ,নিজে এতো কুৎসিত বিবস্ত্র  হলাম কিভাবে?

এতো পথ পার করে যখন তোমায় দেখলাম,তুমি তো চিনতে পারলেনা? কি কথা বলতে বলতে  চলে গেলে ।
আসমানী সিঁড়ি বেয়ে তিরতির করে বয়ে গেলে কোন্ পথে ?

বুকের ভেতর যত ব‍্যাথা একজোট হয়ে বিদ্রোহী হয়ে শিকল ভাঙতে থাকলো, আমি পাগল থেকে পাগলতর হতে থাকলাম, চোখদুটো ভারী হয়ে উঠলো, আমি জনাকীর্ণ রেল গাড়ীর কু ঝিক ঝিকের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়লাম। বাঁশী ভাঙলো।

ঢেউ এর পর ঢেউ আছড়ে পরে চুর্ন বিচুর্ন করতে থাকলো, ভাঙতে থাকলো আমি কে, আমার স্বত্বাকে , আমার সবটুকু অসহায় স্বপ্নকে, ধুলায় মিশিয়ে দিতে হবে নিজেকে, আমি কি,কেন, কোথায়? হায় যে যেখানে দাঁড়িয়ে, থেকো ভালো এই আকাশ শামিয়ানায়।

Monday, April 1, 2019

ভেঙে যাই,চুরচুর হয়ে যাই ,তবু একান্ত গোপনে
নীরব সযতনে হে আগুন তোমায় বাঁচিয়ে রাখি
আলতো শাওনে।

শলাকা বিদ্ধ হয় চোখদুটি ভিজে যায় রক্ত স্নানে,
আমৃত্যু চিত্রকথার ক‍্যানভাসে  তবুও তোমায় দেখি
উদ্দাম নয়নে।

ঝড়ের পরে ঝড় নেমে আসে, বৈশাখে আর ফাগুনে
ভবিতব্য জানি, কিন্তূ অবুঝ সবুজে জ্বালাই একাকী
পিদিম উঠানে।

ভাষা মরে বোবা কান্নায়, লবনাক্ত  মৃত্যুর আহ্বানে
কালকুটে নীল কথামালা, গভীর অন্ধ অচিন পাখি
জাগি মরনে।

তুমি থেকো,হে আগুন, অনুভবে, দিশাহীন অনুরনণে
মধুকর বসত সে আগলহীন, আলগোছে হৃদি ঢাকি
অক্ষম জীবনে।

আমার সব টুকু রাগ ,অভিমান আমার নিজ স্পন্দনে
নিজেকেই ,পৃথিবী আপন কক্ষপথে,ঝরা পাতা রাখি
পাপবিদ্ধ নির্বাণে।

শুন‍্য।

Sunday, March 31, 2019

আগুনগুলান ভিজছে,ঘুম ভাঙছে সবুজ,
মন তুই কাঁদিস কেনে ,কেন এতো অবুঝ।
রাততারাদলে মেঘবালিকায় গল্পগাথা,
নয়নতারায় আগুন জ্বলে, পোড়ে ব্যাথা ।

Sunday, March 24, 2019


অমৃতস্য পুত্র
তাপসিক্ত রুদ্রপথে ঠিক পৌছে যাব সুর্য তোমার উজ্জ্বল হৃদয়ের অন্তঃস্থলে,
দহিত হতে হবে,অর্ঘ্যে উৎসর্গ করতে হবে অহংকারউল্লাস,পাপবিন্যাস,
কেবল নাভিমূলে সযতনে লুকিয়ে রাখবো আমার বিবস্ত্র আভিমান।
খুঁজে ফিরি গলিপথে,শুকনো রাতের বিবস্ত্র কামনায়, ভিজে দিনের ঘোড়দৌড়ে।
অনাবশ্যক অনেকটা পথ পেরিয়ে এসে যখন ক্লান্ত ঘর্মাক্ত মনে তালচাটাইতে শুয়ে
অশথ্থ এর ঠিক মাথার সবুজ কচিনিঃশ্বাসগুলোর দিকে চোখ পড়ে যায়,
ভাবনাগুলো সব সচকিত কথাকলির নামাবলি নেয় পড়ে, করলাম টা কি?
ঠিক পথে হেঁটেছি কি?
রাত যখন তার উদ্দামডানা মেলে আকাশটুকু ঢাকতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে,
চুপিচুপি রামধনু জাগে তারাদের ঠেলে সরিয়ে, ডাকে অমোঘ ইশারায়,
রঙ্গিনী নদী চড়ুইছন্দে গান ধরে অমোঘ আহ্বান বলে আয় নেচে নেচে ডুবি,
ইশারায় জীবন জানতে চায় সেই আটপৌড়ে প্রশ্নটা,
কোন গাঙচিলের মোহনায় কাটিয়ে দিলে এতটা সময়?
এই শহরে এই গ্রামে ঘেঁয়ো ঘরগুলো কতশত মরা জীবনের লেদকারখানা
সচল রাখার উত্তেজনার বশে ভেঙে পড়ে,আশ্রয় খোঁজে নিজ নিজ খালাসিটোলায় ।
আমলকি বনছায়ায় আকাশদুগ্গা তুমি যখন  কলসজলে শাওন ডেকে আনো,
বাউন্ডুলে ভাবনাগুলো পাগলামি শুরু করে ,সবাই একজোট হয়ে বলে ওঠে,
চাইনা এই অন্ধকার কালরোগগ্রস্ত কেঠো বেন্চে বসে অরঙিন চা খেতে চাইনা,
আকন্ঠ পাঁকে ডুবে চিৎকার করে বলে উঠতে চাই,
মহাভারতের আদিপর্ব থেকে এতটা পথ পেরিয়েও হে পঙ্গু ইশ্বর
কেন একটা  মানসভূম তৈরী করতে হলে অপারগ ?
সবকিছু গুলিয়ে যায়,
ব্যর্থসঙ্গমে লিপ্ত হয় ফোঁটা আর না ফোঁটা হাসনুহানা কান্নাজল
জানি যেতে হবেই সুর্যের কাছে ,আশা আছে,
আহুতিতে বিসর্জন দেব আমার অপাপবিদ্ধ একান্ত আজন্ম ভালবাসা,
সব আভরণ ত্যাগ করে
বিস্ফোরণ আর বিস্ফোরণের অমোঘ আলিঙ্গন দেখবো অন্ধ ধৃতরাষ্টের চোখ দিয়ে
আজ
এমনকি আজ হতে হাজারকোটি বছর পরেও,
চৌরঙ্গীর পিচগলা চৌমাথায় দাড়িয়ে মধ্যদুপুরে।

Saturday, March 23, 2019

শহর বাউল রাতআধাঁরে, একতারাতে কি সুর বাজে,
ঔ আকাশে,জাগে মাতাল মন কোন মৌতাজে?
সে কোন দেশের তরে সওদাগরের নৌকা সাজে
 আবছা অবুঝে নয়নতারা ভিজে যায় ,যায় ভিজে ।
হৃদয় ভাসে ভেসে যায় একতারা বাজে রে বাজে,
একলা বাউল জাগিস কাঁদিস মরিস্ কিসের খোঁজে ।

Thursday, March 21, 2019

আজ কবিতার দিন,একলা ছাদে বসে দু লাইন জীবনের জলছবি না এঁকে পারলাম না, অস্থির বাক‍্যমালা

দুগ্গাসুতমাসু(২)


জানো আজ আমি আর ক্লান্ত রঙ্গন আলো আঁধারের মিলনের গান শুনছিলাম, আকাশের কাছাকাছি
সাথী একলা নীরন্ন বক নিথর নারিকেল চুড়ায় ,সবাই তো আজ রঙিন খাদ্যের বড়ো আকাল।
কি গভীর আলিঙ্গনে দিন গেলো আবেশের রাত গভীরতায় , আর এই শহরবাউল মগ্নহংসবলাকায় ।

আকন্দবন সার দিয়ে এসে জড়িয়ে ঢাকে মনবনের ফাগ, নীরব নরম মরা শালুক জলে ডুবতে ডুবতে
ঘুমিয়ে পড়ি ।বুঝতে ভুল করি আছি না কি মরেছি ।কচি সবুজ পাতায় মরাফাগুন মনে পড়িয়ে দেয়
পুর্নগর্ভা চন্দ্রিমায় তুমি কথা দিয়েছিলে পাশে থেকে রেখে আদুরী হাত, চলাচল,বাকিটুকু টলমলে পদ্মপাতায়।

হায় ,বারে বারে আকাশের কাছে ছুটে যাই,সাহস ভরে পারিনা তাকাতে, বাক্ শুন্য আরশী ভেঙে চুরমার,
,স্বপন দোলা যায়  ছিড়ে, পড়ে , প্রেম কেন যে এখনো মরেও  বেঁচে থাকে, মৃত্যুপ্রতিক্ষা কি পিচ্ছিল রক্তিম , আমিই পাপ ,অবুঝ আতঙ্ক ভীড় করে করে আসে যদি দুগ্গামুখ ভরে যায় অসহায় ঘৃণায় ।

কত কথা পলাশ শিমুলে সুরে চায় সাজতে আলোকমালায়, উন্মনে গৃহবাসী খোলে দুয়ার,অব্যক্ত প্রশ্নমালা ,
উত্তর সব অথৈ চোরাবালুকাবেলায় , জীবন তোমরা সব থেকো যে যার জায়গায়, আলো আর অন্তিম অন্ধকারে , দুগ্গা কিছুই যে পারিনা, হয়তো তাই আমি নিদ্রায় একবুক ঝরাপাতায়।

Monday, March 18, 2019

পারিনা, কিছুই। কারো সাথে ঠিক ভাবে কথাও বলতে পারি না, ইচ্ছে ও করে না, ইচ্ছে গুলো সব মরে যায়, জানি আমি একটা ক্লাউন, আড়ালে সবাই এর ই উপহাসের পাত্র।বড় কঠিন এই মরে বেঁচে থাকা, আমার আকাশ দুগ্গা গো,আমাকে একচিলতে ঘুম দাও,আমি কতদিন স্বপ্ন দেখি নি। দুগ্গা আমাকে একটা আবরণ দাও, আমি লুকিয়ে থাকি সব্বার কাছ থেকে, আঁধার আমার আরও গভীর গাঢ় করে দাও দুগ্গা, আমি ও অন্ধকার হই।
Sei pagoler path chola,path bhola,bhule abar fire asa,mone hoi hajar bochor age ei path diei heteche ,kintu sob kemon jeno ochena,chena rastay noton moram,chena gacher pata jhora,kemon jeno onnorokom ,jibon nodite joar ar bhata,uthalpathal majdoria,baisakher agomoni,sumul polasher bidayer sur,dur koto dur,madhukorite berote hobeto,manus gulan kemon jeno onnorokom,choker jol,jhapsa charidhar,path khuje fera jabeto
বছর দুই আগে লেখা,আজ ও এক ই ভাবা।

Thursday, March 14, 2019

এক অতি কাছের পড়শী আজ চলে গেল অন্য পাড়ায়,কষ্ট ঢাকতে ই আবার লেখা,আর তো পারিনা কিছু ই
       
       অরিন্দম তুমি

ওই আকাশপথের শেষে বসত বসছে একের পর এক,
তুমি রা সব চলছো  এতো তাড়াতাড়ি, হাত দিও বাড়িয়ে।
কান্না গুলো সব মেঘপালক,
ঢেকে দিচ্ছে সবটুকু নীল জোছনা, ভালো থেকো,অবশ অবসরে।
শুন‍্য দেউলিয়া বাঁশী,চলো যাই ,যদি ফিরে পাই একটুকরো সোঁদা গন্ধে ধোয়া শাওন মন, একফালি ওই আকাশ উঠোন।
ভালো থেকো, সুর্যের কাছে চাঁদ পাহাড়ের গল্প শুনো চুপিচুপি।

Monday, March 4, 2019

এই গভীরে, আঁধার তুমি আজ ভিজছো আকাশজলে,
বাজছে মৃদঙ্গ,মরনসাগর জাগো লগ্ন যায় যে অস্তাচলে।

Saturday, March 2, 2019

নীল নীরবে
একটা সময় সব কিছু ফেলে যেতে হয়,
হতে হয় নিরাভরণ,পিপড়ের মতো সারি দিয়ে যে পথচলা,তবলার বোল আর আসে না বনবীথিকায় সুর জাগাতে। সব বলা কথার শেষ।এখন গল্প জুড়ি গাছ, পাখি আর আমার হলুদ সবুজ একটুকরো ক্লান্ত আকাশের নয়নতারার সাথে।সবটাই একান্ত গোপনে,আমার পাগলামিতে ভিজিয়ে ভিজে  পান করি এককাপ ভালোবাসা।
যাবার আগে তোড়জোড় তো করতেই হয় ,
দুগ্গা যাবার আগে তোমার জন্য রেখে যেতে চাওয়া,
মাঠভরানো ধানের শীষ,লেবু ফুলের গন্ধে মাখামাখি করা,এক উঠোন ছাতারপাখির দামাল হাসি,
তোমার জন্য রাখবো ই আমার রাত জোনাকের আগুন পরশ, একনদী আবেগবন‍্যা, কালপুরুষের আকন্ঠ প্রেম।
জানো,কাল ভোরে তোমার নিমফুলেল হাসি আমাকে দোলা দিল,আমি তখন আরশিনগরের দিকহারা গ্রামের মনবাড়ির উঠানে মাটির ওম নিতে নিতে নিচ্ছি একবুক স্বপ্ন। তুমি শুধোলে ,আছো কেমন ? আমি তো অবাক, তোমার তো চুল গেছে পেকে, হাসি হয়েছে আরও নিটোল, আমি বলতে চাইলাম, আমি তো গাছ হয়ে গেছি,যাবার আগে আমার হৃদিকোনে জমাট বাঁধা সব সব সবটুকুই তো দিয়েছি তোমার চোখের লুকানো জীয়নকুঠুরি ভরে, বলতে চাইলাম,
আমাকে শুধু একবার তোমার হাতটা দাও, আমি আমার বুকে ছোঁয়াই, ডুবে যাই জলঙ্গী জলে,তোমার চুলের গন্ধে ভিজে আমি শঙ্খচিল হই একবার একবার ই। অন্তে গাছ, শঙ্খচিল আর সব ই একাকার।
পারলাম কই ? কোথায় যে হারিয়ে গেলে?


Thursday, February 28, 2019


দুগ্গাসুতমাসু(১),

তোমাকেই,
জানো,সবসময় কাজে এবং অকাজে,
সবখানেতে খুঁজি সব কিছুরই মাঝে।
পশুখামার, মাথায় হাতুড়ির পর হাতুড়ি,শলাকাবিদ্ধ রক্তাক্ত প্রান,
কচুরীপানার জঙ্গল,ভাঙা বাঁশী,লোহিতসাগরে প্রাত্যহিক দিনাবসান।
শুন্যে বসত,আকাশ জুড়ে নদী গড়ে মধুশালা,
দৃষ্টি নিরুদ্দেশ,মরুভুমে অগ্নি ভাসায় কালভেলা।
নীরব গান জাগে নিখিলে আপনসুরে,
শেষ আর অশেষ মিলন মৃত্যুদুয়ারে।


Tuesday, February 26, 2019


সেদিন ঝড় ভিজেছিল প্রাপ্তবয়স্কা বৃষ্টিতে,
সব ভালোবাসা সারি সারি সমাধি ছিদ্র করে ভালো বাসামাঝে।
আবেগের দল জলকাঁদায় ভিজে একাকার লুটোপাটি খা্চ্ছে হায়,
তথাকথিত সততাবাবু দন্ডকারণ্যে গড়েছেন বসত।

সেদিন আলো হেসেছিল নিকষ অন্ধত্বে,
মুখোসগুলো মান্ধাতা আমলের হারমোনিয়ামে ঘুম ভাঙাচ্ছিলো গাঙচিলের।
যত আনন্দ ঝিঁঝিপোকার দলের সাথে কাঁপছে শীতপোষাকে,
পাগলামোগুলো ভোকাট্টা ইতিউতি শহরঅরণ্য।

সেদিন নদী মিলেছিল আকাশগঙ্গাতে,
জীবন রেললাইনবরাবর বিছানা পেতে ধুমধাম করে সন্ধানে একছিলিম মৃত্যুর।
ছায়া আর আবছায়ার মাঝে জাগে নয়নতারা,
মৌরিফুল মাথা উঁচিয়ে ভেঙচি কাঁটে মুচকি হাঁসে।

অবনী আর তক্তোপোষ তেলচিটে বালিশে ।

Saturday, February 23, 2019

যদি পারো দুঃখ দাও
--------শক্তি চট্টোপাধ্যায়

যদি পারো দুঃখ দাও, আমি দুঃখ পেতে ভালোবাসি
দাও দুঃখ, দুঃখ দাও – আমি দুঃখ পেতে ভালোবাসি।
তুমি সুখ নিয়ে থাকো, সুখে থাকো, দরজা হাট-খোলা।

আকাশের নিচে, ঘরে , শিমূলের সোহাগে স্তম্ভিত
আমি পদপ্রান্ত থেকে সেই স্তম্ভ নিরীক্ষণ করি।
যেভাবে বৃক্ষের নিচে দাঁড়ায় পথিক, সেইভাবে

একা একা দেখি ঐ সুন্দরের সংশ্লিষ্ট পতাকা।

ভালো হোক মন্দ হোক যায় মেঘ আকাশে ছড়িয়ে
আমাকে জড়িয়ে ধরে হাওয়া তার বন্ধনে বাহুর।
বুকে রাখে, মুখে রাখে – ‘না রাখিও সুখে প্রিয়সখি!
যদি পারো দুঃখ দাও আমি দুঃখ পেতে ভালোবাসি
দাও দুঃখ, দুঃখ দাও – আমি দুঃখ পেতে ভালোবাসি।
ভালোবাসি ফুলে কাঁটা, ভালোবাসি, ভুলে মনস্তাপ –
ভালোবাসি শুধু কূলে বসে থাকা পাথরের মতো
নদীতে অনেক জল, ভালোবাসা, নম্রনীল জল –
ভয় করে।



আমার পাগল কবিকে মনে হয় বড়ো নিজের

এই পৃথী তুমি সবাই কে রেখো সুখে,
আগল রেখেছি খুলে, দুঃখ থেকো
নিশ্চিন্তে একলা আধো উজানী বুকে।
বয়ে যায় দিন,কাল সময়,নদী তুমিও চুপিচুপি আমাকে ফেলে পালিয়ে গেছো,তবু আমি আছি,সবটুকু ঝড়ের নিবিড় নীল আলিঙ্গনে।
থেকো সুখে, তোমার  আগুন হাসি আমার ভেজা বুকে।
কথায় থেকো,থেকো নক্সীগাথায়, আমি নেড়া পাহাড়টাকে আগলে রাখবো নিভৃত অন্তরালে, যেদিন আমি পুড়লো,জ্বলবো আর নিভবো, তুমি একটিবার এসো ,আগুন হাসিতে হেসো। আমি তোমাকে একবন‍্যা কথামালা উজাড় করে দিয়ে ফিসফিসিয়ে দেবো একদৌড়,আমার কথা বলতে যে এখন বড্ডো ভয় করে।


Friday, February 22, 2019


কদিন ধরে একটাই ভাবনা মাথায় পিট্টু খেলছে ,
কেন  এসেছি, প্রয়োজন তো নেই ,ঘড়ির কাঁটা টিক টিক বাজছেই।
অর্থের সন্ধানে অভিধানের পাতার পর পাতা, বাসন্তিক কথার অপলাপ।
রঙচটা মুখোশটা পরে মুকাভিনয়, কান্নাগুলো ভেজাচ্ছে মরা গাছের পাদমুল।
জলঙ্গীতে কচুরিপানাগুলো জোট বাঁধছে ফুল ফুটবে এবং শুকোবেও একদিন,
ক্ষনস্থায়ী বৈ তো নয়।
                সব সীমানা ছাড়িয়ে,
পাহাড় নদীর পায়ের কাছে বসে আলাপচারিতায়, হিংসুটে মনে কালসিটে ,
আস্থাহীনতার জঙ্মম, বিশ্বাস নিরূদ্দেশযাত্রায়।
 কোথায় তুমি আব্বুলিশ
উড়নচন্ডী পায়ের মল, 
কোথায় তুই সত্যি বল
শব্দে তোর জুড়ুক প্রান,
অস্তাচলে অনন্ত আখ্যান
ভেসে আসে পাঁড় মাতালের  অবসন্ন মালকোষ
পাঁড় ই তো।