ইরুল
মুক্ত অঙ্গনটি ঘিরে গড়ে উঠছে পাঁচিল,
দীর্ঘতর থেকে আরেকটু দীর্ঘায়িত,
কঙক্রিটের চাতাল শোনে জীবন আর চাঁপার চুপকথা।
অন্ধকার, নিবিড় অন্ধকার।
ওইখানেই কাগতাড়ুয়ার সমাধিস্থ করার আয়োজন মোটামুটি পন্জীকৃত ।
কফিন বন্দী করা হচ্ছে ওড়বার কল্পডানা ,
ভাসিবার মনপাখা ইত্যাদি ,
আাকাশ ভুমিশয্যায় ,
ক্লান্ত হতোদ্যম ,
তবু অবুঝ আশা বৃষ্টি পড়ে একটু যদি ।
মৃত্যু উপত্যকায় ছোট ছোট হৃদপিন্ডগুলির সমাবেশ দুরত্ব মেনে।
নীল সকালটায় জীবনের অমৃত সোয়াদ।
ফ্যাতারুরা আকাশ বনে ,
উড়তেই থাকে, অক্ষমতার দিগন্ত বেলা।
নীচে এদিক ওদিক একগুঁয়ে কচুরিপানায় গেছে ভরে,
পা ফেলার জায়গা নেই।
কে কোথায় যে দাঁড়াবে?
স্বপ্নের কালঘুম শেষে আশাগুলো পথের মিছিলের গোলকধাঁধায়।
সমাজের মালিকানা স্বত্ব কার, এই চিন্তায় মাথার চুল হচ্ছে আরও সাদা।
আপসের ছানি জমে দুই চোখে।
ভ্রান্ত সময়কাল, কালের চিতার শেষের আলোর ধিকি ধিকি।
চলো হাঁটি, নিরুপদ্রব জলছবি আঁকি।
চলো মৌতাত করি, প্রেমানন্দে।
ডুবি ইরুলে।
No comments:
Post a Comment